নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কলাবাগান১

বিজ্ঞান নিয়ে পড়ালেখা দেশপ্রেমের ই অংশ

কলাবাগান১ › বিস্তারিত পোস্টঃ

করোনাভাইরাস- হার্ভাড প্রফেসর এখন বিলিনিওয়ার

২৪ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১০:০৭



ট্রেডিশিন্যালি ভাইরাস ভ্যাকসিন তৈরী হয় একটা প্রায় মৃত ভাইরাসকে আপনার শরীরে ইনজেক্ট করা হয় আর তাতে শরীরের ইমিউন কোষ গুলি একে প্রতিরোধ করতে এন্টিবডি তৈরী করে আর পরে যখন আসল ভাইরাস আপনাকে ইনফেক্ট করে, তখন এই এন্টিবডি গুলি আসল ভাইরাসকে নিস্ক্রিয় করে দেয়...কিন্তু এই ধরনের ভ্যাকসিন তৈরীতে অনেক বছর লেগে যায় ডিজাইন, টেস্ট, উৎপাদন ইত্যাদি করতে করতে...।এখনও ফ্লু ভাইরাসের ভ্যাকসিন জাস্ট উৎপাদন করতে ৬ মাস লাগে আর এই ভ্যাকসিনপ্রতি বছর বানাতে হয়....। তবে বিজ্ঞানীরা একটা শর্টকাট খুজে বের করেছেন যাতে করোনাভাইরাস এর মত প্যানডেমিক এর সময় অতি দ্রত ভ্যাকসিন বানানো যায়...
সেটা হল মৃতপ্রায় ভাইরাস না ইউজ করে...ভাইরাস এর একটা প্রোটিন তৈরী করার কোড- ডিএনএ অথবা আরএনএ সরাসরি ইনজেক্ট করা...এই ডিএনএ/আরএনএ কোষে পৌছা মাত্র কোষের এনজাইম ডিএনএ অথবা আরএনএ কোড রিড করে প্রোটিন টা বানায় আর সেই প্রোটিন যেহেতু 'ফরেন' প্রোটিন, তখন ইমিউন সেল এই প্রোটিনের বিরূদ্ধে দ্রত এন্টিবডি তৈরী করে যাতে পরে এই প্রোটিন যে ভাইরাস বানায় সেই ভাইরাস দেহে প্রবেশ করলেও এর এন্টিবডি কোষে থাকাতে আর বাড়তে পারে না..নিস্ক্রিয় হয়ে যায়। ইনভিও নামের এক কোম্পানী মাত্র ৩ ঘন্টায় কোরনাভাইরাসের ডিএনএ ভ্যাকসিন এর ডিজাইন শেষ করে আর এটা সম্ভব হয়েছে যেহেতু কোন মানুষ মারা যাওয়ার আগেই চীনের বিজ্ঞানীরা এই ভাইরাস এর সম্পুর্ন জিনোম (আরএনএ থেকে ডিএনএ) কে পাবলিশ করাতে...।
এখন প্রায় ১৪ টা কোম্পানি এই পদ্ধতি তে ভ্যাকসিন বানাচ্ছে আর টেস্ট ও শুরু হয়ে গিয়েছে.. পুরা লিস্ট টা পাবেন নীচের লিং এ
RNA/DNA coronavirus vaccine

.... যখন MERS virus pandemic হয়েছিল তখন যারা আক্রান্ত হয়েছিল, তাদের শরীরে করোনাভাইরাসের Spike protein specific antibody (because MERS is another type of Coronavirus) পাওয়া গিয়েছিল, তাই সবাই এই স্পাইক প্রোটিন তৈরীর DNA/RNA কে ই সরাসরি ইনজেক্ট করছেন শরীরে to develop antibody against the current coronavirus. Regulatory authority like FDA has waived the requirement to test these vaccines first on animals...so they are directly testing them in human reducing time to develop the vaccine


যখন এই শর্টকাট ভ্যাকসিন তৈরীর জন্য মোডার্না নামের কোম্পানী ফান্ডিং চাচ্ছিল কেউই কোন উৎসাহ দেখায় নাই কিন্তু হার্ভাড এর প্রফেসর উনার তৈরী ছোট একটা কোম্পানি যেটা আরেক কোম্পানী ১০০ মিলিয়ন ডলারে কিনে নেয়, উনি মোডার্না কে ৫ মিলিয়ন ডলার দেন এই আরএনএ ভ্যাকসিন বানানোর জন্য (সেটা ছিল অন্য এক ভাইরাস এর বিরূদ্ধে).....যখন করোনা ভাইরাস আসল, সরকার তখন মোডার্না কে প্রায় ৫০০ মিলিয়ন ডলার দেয় তাড়াতাড়ি এই ভ্যাকসিন বানাতে...আর এতে এই কোম্পানীর স্টক প্রাইস এত বেড়ে যায় ..হার্ভাড প্রফেসর এর ৫ মিলিয়ন ১৭০০% বেড়ে এখন ৮০০ মিলিয়ন ডলার আর সাথে আগের ডলার মিলে উনি এখন বিলিনিওয়ার!!!!

অবশ্য প্রফেসর রা যেমন হয়....এই টাকা উনি নিজের জন্য ব্যয় না করে বললেন
"Springer said his money, though, won’t stay in pocket. Most of it will go to the Institute for Protein Innovation, an open source hub he and colleague Andrew Kruse founded several years ago to design antibodies and other proteins as cures for intractable diseases."

তবে প্রবলেম হল এই ছোট ছোট কোম্পানী কোন ভাবেই স্বল্প সময়ে শুধু মাত্র আমেরিকার ৩৫০ মিলিয়ন লোকের জন্য এই ভ্যাকসিন উৎপাদন করতে পারবে না ....আর সারা বিশ্বের লোকজন তো পড়েই আছে....বছর খানিক লেগে যাবে অন্তত আমেরিকার সবার জন্য এই ভ্যাকসিন বানাতে....

তাই বেশ কিছু বুদ্ধিমান দেশ যেমন সিংগাপুর তার ৬ মিলিয়ন লোকের জন্য সেইম ভ্যাকসিন বানানো আরম্ভ করে দিয়েছে তাদের দেশেরই একটা কোম্পানি দিয়ে যাতে আমেরিকার দিকে চেয়ে না থাকতে হয়...এটা ডিজাইন করা খুবই সহজ ..জাস্ট স্পাইক প্রোটিন এর ডিএনএ কোড কে ক্লোন করা...।যে কোন মলিকুলার বায়োলজি থেকে পাশ ছাত্র/ছাত্রীই করতে পারবে...।কিন্তু টেস্ট/উৎপাদন করার জন্য যে ব্যাপক ইনফ্রাস্ট্রাকচার দরকার সেটা আমাদের দেশে নাই তবে সমাধান হল
ভারত/সিংগাপুর/থাইল্যান্ডে প্রচুর বায়োটেক কোম্পানী আছে যারা ফান্ডিং পেলে শুধু তার ক্লায়েন্টের জন্য ভ্যাকসিন বানাতে আগ্রহী আর সে ক্লায়েন্ট যদি হয় একটা দেশ....তারা মহা উৎসাহে উৎপাদনে যাবে...
অন্যান্য দেশ এখন অনেক স্বার্থপর..।আগে নিজের প্রয়োজন মিটায়ে পরে অন্য দেশের কথা চিন্তা করবে

সরকার অনেক হাজার কোটি টাকা প্রনোদনা প্যাকেজ দিচ্ছে...আমার মতে তার কিছু অংশ এখনই বায়োটেক কোম্পানি কে (সিংগাপুরের মত) ভাড়া করা উচিত যাতে সেইম টেকনোলজি (যেটা পেটেন্টে করা খুব ই কঠিন যেহেতু স্পাইক প্রোটিনের ডিএনএ সিকোয়েন্স সবার জন্য উন্মুক্ত) ইউজ করে বড় মাত্রায় শুধু বাংলাদেশের জন্য ভ্যাকসিন উৎপাদনে যাওয়া।

ওহ এই প্রফেসর এর নামই বলা হয় নাই.।নাম হল Timothy Springer আর বিস্তারিত পাবেন এখানে
Harvard Professor is now billionaire

মন্তব্য ২৫ টি রেটিং +১০/-০

মন্তব্য (২৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১০:২৪

রাজীব নুর বলেছেন: ওকে।
ধন্যবাদ।
জানলাম।

২৪ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১০:২৬

কলাবাগান১ বলেছেন: হুম

২| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১০:৩৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: চমৎকার একটি তথ্যসমৃদ্ধ পোস্ট, থ্যাঙ্কস।
আশাকরি, আপনার শেষের সুপারিশটা বাংলাদেশের উচ্চমহলের কারো দৃষ্টিগোচর হবে এবং তিনি এটা প্রধানমন্ত্রীর আনুকূল্য নিয়ে দ্রুত বাস্তবায়ন করতে পারবেন।
পোস্টে প্লাস +।

২৪ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১০:৪৯

কলাবাগান১ বলেছেন: আসলে যদি কোন উচ্চমহলের কারো নজরে পড়ে তাহলে ভালই হয়...কিন্তু আশা হয় না...গত ১লা এপ্রিল টেস্টের এর পরিধি বাড়াতে একটা টেকনিক ইউজ করার কথা বলেছিলাম (Click This Link)
এমন কি পিজির হাসপাতালের নতুন টেস্টিং সেন্টারে ইমেইল ও করেছিলাম কোন উত্তর পাই নি...আজ শুনলাম ইন্ডিয়াতে নাকি এখন ৫ জন ৫জন করে গ্রুপ করে এই টেস্ট হচ্ছে....একজন একজন করে টেস্ট করা, ৫ জনের একসাথে টেস্ট করার চেয়ে অনেক অনেক স্লো...

আপনার লিখা খুব পড়ি...আমি অবাক হয়ে আপনার সুক্ষ পর্যবেক্ষন করার ক্ষমতা দেখি....অনেক কিছুই দেখি আপনার মত দেখা হয় না.....

৩| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১০:৫৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: চমৎকার তথ্যসমৃদ্ধ পোস্ট। চারিদিকে আতঙ্ক ভয় আর হতাশার মধ্যে এমন খবরটি যেন মনের শক্তি কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিল। স্যার টিমোথি স্প্রিংগারের হাত ধরে মানবসভ্যতা হয়তো খুব শীঘ্রই চলমান বিপদ থেকে উদ্ধার হতে পারে। ধন্যবাদ আপনাকে বিষয়টি শেয়ার করার জন্য।

শুভেচ্ছা নিয়েন।

২৪ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১১:০৭

কলাবাগান১ বলেছেন: যারা গবেষনাগারে মাইক্রবায়োলজি নিয়ে কাজ করেন...তার প্রায় শতভাগ ল্যাবই এখন করোনাভাইরাস নিয়ে গবেষনা করছে ইনক্লডিং মাইন....ফান্ডিং ও যে পরিমানে বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে ভ্যাকসিন/ঔষুধ আসতে বেশী দেরী হবে না। কিন্তু দেশগুলি অনেক স্বার্থপর হয়ে গেছে যেটা দেখা গেছে এক দেশের পিপিই লোড করা প্লেন আরেকদেশ ৫ গুন বেশী টাকা দিয়ে প্রায় জোর করেই নিয়ে গেল...।

তাই নিজের দেশের জন্য নিজেই ভ্যাকসিন উৎপাদনে না গেলে পরে পস্তাতে হবে....নতুন আবিস্কারের এর দরকার নাই ..।যেটা সিংগাপুর করছে (ভাড়া করা বায়োটেক ফার্ম) সেটাই এখন করা উচিত সব দেশের....

৪| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১১:১০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সুন্দর প্রতিমন্তব্য করেছেন ভাইজান। ধন্যবাদ আপনাকে।


৫| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১১:২৮

সোনালী ঈগল২৭৪ বলেছেন: মৎকার ও তথ্যবহুল লেখা । বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাস এর জিনোম বিন্যাস লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে এটা ইউনিক নয় , অর্থাৎ , ইউরোপ , আমেরিকা , চীন কিংবা ভারতের করোনা ভাইরাস জিনোম সিকোয়েন্স এ কিছুটা ভিন্নতা লক্ষণীয় । অর্থাৎ ভাইরাস বিভিন্ন পরিবেশে নিজেকে কিছুটা হলেও অভিযোজন করে নিয়েছে , এমতাবস্থায় , অঞ্চলভেদে ভ্যাকসিন এর কার্যকরিতা ভিন্ন হতে পারে , অর্থাৎ , ইউরোপ কিংবা আমেরিকায় ডেভেলপ করা ভ্যাকসিন আমাদের দেশে কাজ নাও করতে পারে । এজন্য সামর্থবান সব দেশেই তাদের নিজ নিজ যতটুকু টেকনোলজি আছে সটুকু দিয়ে কিংবা জয়েন্ট ভেঞ্চার এ গিয়ে হলেও ভ্যাকসিন কিংবা ড্রাগ ডেভেলপমেন্ট এর কাজ করছে !!!!

সমস্যা হলো করোনা সংক্রমণের এই দিনগুলোতে উন্নত দেশ গুলো যেখানে নিজেদের ঘর সামলাতে ব্যাস্ত সেই মুহূর্তে তারা যেকোনো সাহায্যের জন্য আমাদের ডাকে কতটা সারা দেবে তা ভাবনার বিষয় । কারণ বৈশ্বিক মহামারীর এই সময় সবার কাছে জরুরি নিজেদের জনগণকে বাঁচানো , সেজন্য আমাদের নিজেদেরই ভ্যাকসিন কিংবা ড্রাগ যেটাই হোক না কেন তৈরিতে উদ্যোগ নিতে হবে ।

আপনি ঠিক বলেছেন ভ্যাকসিন এর প্রাইমারি ডিজাইন করা খুবই সহজ এবং মলিকুলার বায়োলজি থেকে পাশ করা শিক্ষার্থীরা একটা গ্রূপ করে সেটা তৈরী করে ফেলতে পারে । এজন্য দরকার একটি সঠিক পরিকল্পনা । আমাদের দেশেও নামকরা মলিকুলার বায়োলজিস্ট আছেন যেমন প্রফেসর ড শরীফ আক্তারুজ্জামান , ড শাহ মোহাম্মদ ফারুক প্রমুখ । সরকারের উচিত হবে উনাদের নিয়ে জাতীয় পর্যায়ে একটি কমিটি করে তাদের অধীনে ছোট ছোট কয়েকটি গ্রুপ তৈরী করা যারা জিনোম সিকোয়েন্স থেকে শুরু করে , ড্রাগ ডিজাইন পর্যন্ত করতে পারবে ।পরে সব রিপোর্ট এক করে চূড়ান্ত ভ্যাকসিন ডেভেলপমেন্ট এর দিকে যাবে । এসব তথ্য উপাত্তের উপর ভিত্তি করে আমরা যদি বাহিরের দেশের কোনো বায়োটেক কোম্পানি কে দিয়ে ভ্যাকসিন ডেভেলপমেন্ট করি সেটা হয়তো ভালো হবে । কিন্তু এখানে ব্যাপক আমলাতান্ত্রিক জটিলতা এবং আমাদের দেশের ফার্মা কোম্পানির প্রভাব কাজ করে । বাহিরে অর্ডার করতে না পারলেও ইনসেপ্টা ভ্যাকসিন এবং গ্লোব বায়োটেক কে এই কাজ দিয়ে দেখা যেতে পারে , কারণ আমাদের দেশে ইতিমধ্যেই এই দুটা কোম্পানি বিভিন্ন ভ্যাকসিন তৈরি ও বাজারজাতের কাজ করছে ।

সবচেয়ে হতাশাজনক ব্যাপার হচ্ছে , বাংলাদেশে সংক্রমণ ব্যাপারে যে জাতীয় কমিটি সম্প্রতি গঠিত হয়েছে সেখানে কোনো মলিকুলার বায়োলজিস্ট এমনকি বায়োটেকনোলোজিস্ট কে রাখা হয় নি । তাই এ ব্যাপারে সরকারের শীর্ষ পর্যায়ে অবহিত করার কোনো চ্যানেল ও নাই ।

আপনার সুস্বাস্থ কামনা করছি ।

২৪ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১১:৩৮

কলাবাগান১ বলেছেন: "কারণ বৈশ্বিক মহামারীর এই সময় সবার কাছে জরুরি নিজেদের জনগণকে বাঁচানো , সেজন্য আমাদের নিজেদেরই ভ্যাকসিন কিংবা ড্রাগ যেটাই হোক না কেন তৈরিতে উদ্যোগ নিতে হবে ।"
আমিও সেই কথা টাই বেশী বলছি...পুরা জিনোম সিকোয়েন্স করার ও দরকার নাই সামান্য আরটি পিসিয়ার দিয়ে বাংলাদেশের করনা ভাইরাসের একটা জিন - স্পাইক জিন টাকে সিকোয়েন্স করলেই তো জানা যায় অন্যদেশের স্পাইক জিনের সাথে কি কোন অমিল আছে কিনা ..অমিল থাকলেই তো কোন সমস্যা নাই...।বাংলাদেশ স্পেসিফিক স্পাইক প্রোটিন এর ডিএনএ কোড কে ইউজ করেই ভ্যাকসিন বানানোর জন্য বায়োটেক ফার্ম কে ভাড়া করা হোক....আমেরিকার ডিজাইন, ট্রায়াল, টেস্ট, ইম্প্লিমেন্ট এর জন্য অপেক্ষা না করে, এখনই সেইম পদ্ধতি ইউজ করে লোকাল/ফরেন বায়োটেক ফার্ম কে ভাড়া করা হোক শুধু বাংলাদেশের জন্য ভ্যাকসিন বানাতে।

৬| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:০১

ক্ষুদ্র খাদেম বলেছেন: আমাদের দেশের এই জিনোম গবেষণায় (ভাইরোলজি, মাইক্রো বায়োলজি) পারঙ্গম লোকজন রয়ে গেছে আমেরিকা কানাডা আর জার্মানির মতো দেশগুলোতে। তাদেরকে কি আমাদের দেশের সরকার কোনোভাবে এই বিষয়ে কাজে লাগাতে পারে???

২৪ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:০৬

কলাবাগান১ বলেছেন: ইন্টারনেটের যুম/স্কাইপের যুগে কে আমেরিকা আর কে বাংলাদেশে, সে সীমানা এখন প্রায় বিলীন....। অনলাইনে ল্যাব করাচ্ছি যেটা জীবনেও চিন্তা করতাম না যদি না এই অবস্হায় না পড়তাম....

সরকার এর কাছে লিস্ট আছে (যেমন আমেরিকার বাংলাদেশ দুতাবাসে) বিদেশী বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষনা রত বাংলাদেশী অরিজিন গবেষকদের.... তাদের মধ্যে আপানর পরামর্শ মত জিনোম গবেষণায় (ভাইরোলজি, মাইক্রো বায়োলজি) এর গবেষকদের নিয়ে একটা মিটিং করা উচিত.....

৭| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:১৩

ক্ষুদ্র খাদেম বলেছেন: আপনার পয়েন্ট ওয়েল নোটেড। কিন্তু, সরকার কি চাচ্ছে??? না, তারা ঘুণাক্ষরেও চাচ্ছে বলে এখন পর্যন্ত আমার মনে হয়না। অথচ আমার পরিচিত লোকজনই আছেন যারা ঠিক আজকের দিনেও প্রায় ১৬ ঘণ্টা প্রতিদিন হিসেবে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন, শুধু বাংলাদেশ তাদের দিকে তাকায় না। অথচ তাদের দিকে তাকিয়ে আছে পশ্চিমা বিশ্ব। তারা বাংলাদেশেরই সন্তান, তারা শুধু গবেষণা ই করতে চেয়েছিল, যাদের আমরা রাখতে আর উপযুক্ত সুযোগ দিতে রাজি হইনি!! :((

২৪ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:২২

কলাবাগান১ বলেছেন: গবেষনাই একটা দেশ কে সন্মান এনে দিতে পারে....টাকা পয়সা এর চেয়ে বেশী......আমাদের দেশের ছাত্র/ছাত্রী রা যে পরিমানে টেলেন্টেড....শুধু সাপোর্ট পেলেই বিশ্বমানের কাজ করতে পারবে...।কিন্তু শিক্ষাখাতে বাজেটের কত অংশ ব্যয় হয়?? ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেটের ৮০-৯০% শুধ বেতনেই শেষ?? গবেষনা হবে কিভাবে... তবে গবেষনার জন্য শুধু পয়সা লাগে না লাগে উদ্দ্যাগ-মনোবল...আর সেটাই প্রতিফলিত হয়েছে আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাক্রোবায়োলজির শিক্ষক এর করোনা ভাইরাস নিয়ে (কোন ফান্ডিং ছাড়াই)- নিজ উদ্দোগে (বানান পারি না) চমৎকার বিশ্বমানের একটা গবেষনা পত্র প্রকাশের মাধ্যমে
https://www.preprints.org/manuscript/202004.0337/v1

৮| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:২৯

আহা রুবন বলেছেন: অনেক অকল্পনীয় কাজও আমরা করতে শুরু করেছি। আপনার পরামর্শ সরকার গুরুত্ব দিয়ে ভাবতে পারে।
অনক তথ্যপূর্ণ পোস্ট! মনে জোর পাচ্ছি। ধন্যবাদ আপনাকে।

২৪ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:৩৬

কলাবাগান১ বলেছেন: অনেক অকল্পনীয় কাজও আমরা করতে শুরু করেছি। কি যে গর্ব হয়েছিল যখন বাংলাদেশের নিজস্ব স্যাটেলাইট উৎক্ষেপন করা হয়েছিল....আমার তখনকার পোস্ট দেখলেই বুঝতে পারবেন

৯| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ২:২৮

নেওয়াজ আলি বলেছেন: সরকার মনে তারাই জ্ঞানী । আর আমরা বোকা । তাই শুনবে না

২৪ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:২৭

কলাবাগান১ বলেছেন: জনগনের ও দোষ আছে..।সব সরকার করে দেবে তা ভাবাটাও ও ঠিক না। ডেভেলপিং দেশের সীমিত ফান্ড এর ই বহিপ্রকাশ ঘঠে সরকার এর ডিসিসানে....কিন্তু একটা জিনিষ প্রতীয়মান- ডিসিসান নিবার পজিশনে ইফেক্টিভ/ইফিসিয়েন্ট লোকের বড়ই অভাব

১০| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:২২

মা.হাসান বলেছেন: সরকারের ব্যপারে আশা কম রাখাই ভালো। নাসিম সাহেব স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের স্বাস্থ্য নাশ করে গেছেন।

ভাইরাসটা দূর্বল হয়ে কম ক্ষতিকর না হলে দু মাস পরে ব্লগের অনেককেই দেখতে পারবেন না।

আয়ুব বিন মোস্তাক সাহেবের পেপারটায় চোখ বুলালাম। আমার এরিয়া না। মনে হলো প্রচন্ড পরিশ্রম করেছেন। বড় কাজ।

সরকার রিসার্চ খাতে প্রচুর টাকা দেয়। আমার বন্ধুদের মধ্যে অনেকেই টাকা পায়। এ টাকা দিয়ে এসি, পর্দা, পিসি (গেম খেলার) এসবই কেনা হয় বেশি। সরকারের একটা সংস্থার কাছে টিউব ফার্নেস ব্যবহারের অনুমতির জন্য মাস চারেক ঘোরাঘুরির পর সুবিধা করতে না পারে নিজেই কিনে ফেলেছেন আমার এক পরিচিত ভদ্রলোক। সরকারি সংস্থা গুলোর কাছে অনেক দামি ইকুইপমেন্ট আছে। কিন্তু চালানোর লোক নেই। অব্যবস্থা চরম। ব্যক্তিগত উদ্যোগ ছাড়া কিছু করা কঠিন, লাল ফিতা বড় কঠিন চিজ। ফান্ডের না থাকলে ব্যক্তিগত ভাবে কিছু করা মুশকিল। ইউজিসি আর শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের টাকা লবিং-গ্রুপিং ছাড়া পাওয়া মুশকিল। দু চারজন এর মাঝেও এগিয়ে যাচ্ছেন, তবে প্রয়োজনের তুলনায় বলার মতো না।

খুব ভালো লিখেছেন । ++

২৪ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:৩০

কলাবাগান১ বলেছেন: এটাই প্রবলেম....অনেক দামী যন্ত্রপাতি কিনে পর্দা/তালা দিয়ে ঢেকে রাখা হয় কিন্তু ইউজ করা হয় না...উদ্দোম এর বড়ই অভাব। ল্যাবের জন্য কিনা যন্ত্রপাতি যদি ইউজ ই না হয় তাহলে ছাত্র/ছাত্রী রা শিখবে কিভাবে?? নস্ট হয়ে যাবার ভয়ে একজন ইউজ করে আর দশজন দুর থেকে অবলোকন করে প্র্যাকটিক্যাল ক্লাশে...।এভাবে শিক্ষা হয় না...শিক্ষা হয় হাতে কলমে কাজ করে

১১| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:২৭

শের শায়রী বলেছেন: জানিনা, আপনার এই লেখা গুরুত্বপূর্ন কারো চোখে পড়বে কিনা, আর পড়লেও আপনার লেখার শেষ অংশটি তারা বাস্তবায়ন করবে কিনা। করলে আখেরে সবার ভালো হবে। অত্যন্ত ভালো এবং গুরুত্বপূর্ন একটি লেখা। ধন্যবাদ আপনাকে।

২৪ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:৩১

কলাবাগান১ বলেছেন: কারো চোখে পড়লে ভালই হয়..।

১২| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১২:০৪

নতুন বলেছেন: দেশের সকল সিদ্ধান্ত প্রধানমন্ত্রীর দিতে হয়। যদি তার নজরে পরে তবে তিনি কোন মন্ত্রীকে বলবেন এই লেখা গুলি পড়ে বুঝে দেখতে ।

২৫ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১২:৫৮

কলাবাগান১ বলেছেন: উনার আশে পাশের লোকজনের সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়

১৩| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ২:৪১

রাজীব নুর বলেছেন: সবার মন্তব্য গুলো ভালো লাগলো।

১৪| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৭:০৩

রাফা বলেছেন: এই বিষয়গুলো যাদের ভাবার কথা তারা খুবই উদাসিন।আর বেশিরভাগ পজিশনে অযোগ্য লোক বসে আছে।সরকারকে এ্যডভাইস করার মত গাট্স সমৃদ্ধ লোকের খুব অভাব।প্রচুর মেডিকেল ইকুইপম্যান্ট কেনা হয়েছে যেগুলো প্যাকিং অবস্থায়ই নষ্ট হয়ে গেছে।এমনকি অপারেশন থিয়েটারের ফুল সেটও নষ্ট হোতে দেখেছি আমি।চুরি করার জন্য বড় বড় কোম্পানি টেন্ডার করে অনেক কিছু নিয়ে আসে।কিন্তু জানেইনা এগুলো ব্যাবহার করার মত যোগ্য লোক আমাদের আছে কিনা। এবং পোষ্টিং হলে তারা সেখানে যাবে কিনা। আসলে সাস্থ্য মন্ত্রনালয় পুরোটাই হ য ব র ল।

বিপরীতে এমন কিছু যদি কেউ জানতে পারে যে এটা আনলে কোটি টাকা প্রফিট হবে সেটা যতই অপ্রয়োজনীয় হোক সেটা চলে আসবে।কেউ না চাইলেও ঐ খবর চোরদের কাছে ঠিকই পৌছে যাবে। ধন্যবাদ,চমৎকার উপস্থাপনের জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.