নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ডেংগু আর জিকা রোগ দুর করার জন্য, এই সপ্তাহে আমেরিকান পরিবেশ এজেন্সী (ইপিএ) ব্রিটিশ কোম্পানীর আবিস্কৃত ও ল্যাবে জেনেটিক ভাবে মডিফাই করে তৈরী মশাকে ফ্লোরিডাতে উন্মুক্ত করে দিতে সন্মতি দিয়েছে। যদিও পরিবেশবাদীরা প্রতিবাদ করে যাচ্ছে কিন্তু সরকারী অনুমতি পাওয়ার পর আর কোন বাধাই রইল না ল্যাবে তৈরী মশাকে পরিবেশে উন্মুক্ত করা।
ব্রিটিশ কোম্পানী এমনভাবে মশাকে বানিয়েছে যে শুধু পুরুষ এডিস মশাকে ছাড়া হবে আর তাদের কাজ হবে ফিমেল এডিস মশার সাথে মিলন করা। আর এই মিলনের ফলে যে অনেক মশার প্রজনন হবে, তার মাঝে মেয়ে মশাগুলি, ল্যাবে তৈরী মশা থেকে একটা বিধ্বংসী প্রোটিন পাবে যেটা শুধু মেয়েদের মাঝে ই বিধ্বংসী, তাই ছেলে মশাগুলি বেচে যাবে কিন্তু মেয়ে মশাগুলি মারা যাবে। বেচে যাওয়া ছেলে মশাগুলি আবার মিলন করে আরো অনেক মেয়ে মশাকে মেরে ফেলবে প্রায় ১০ জেনারেশন ধরে।
আর আমরা সবাই জানি যে মেয়ে এডিস মশারা ই মানুষের মাঝে ডেংগু, জিকা, চিকুনগুনিয়া রোগের বিস্তার করে। এই কোম্পানীর মতে প্রায় ১০ জেনারেশনে, একটা এলাকার ৯০% মেয়ে এডিস মশা কে মারা যাবে এই ল্যাবে তৈরী মশা দিয়ে...আর এই ১০ জেনারেশন পরে অবশ্য ছেলে মশাগুলি ও নাই হয়ে যাবে। তখন আবার ছাড়া হবে ছেলে মশা গুলিকে।
গত পাচ ছয় বছর ধরে এর কার্যকারিতা পরীক্ষা হয়েছে ব্রাজিল, ল্যাটিন আমেরিকার কিছু দেশে, ব্রিটেন এর কিছু দ্বীপে, ভারত (ল্যাবে), আর এখন ফ্লোরিডাতে হবে আগামি বছর হবে টেক্সাসে।
১০ বছর পরীক্ষা করে কোন সাইড ইফেক্ট নাই কিন্তু কার্যকারীতা আছে প্রমান করার পরই আমেরিকার রেগুলেটরি অথোরিটি এর ব্যবহার করার অনুমোদন দিল....
আমেরিকা ও মেনে নিয়েছে যে ফগিং করে, ইনসেক্টিসাইড ইউজ করে, বাড়ি বাড়ি এডিস মশার প্রজনন স্হান নস্ট করেও কোন লাভ হচ্ছে না...তাই এখন এই পদ্ধতি এর দিকে ঝুকছে
বাংলাদেশ এর রোগত্বত্ত বিভাগ কেও চিন্তা করতে হবে এটার কি বাংলাদেশে প্রয়োগ করা যাবে কিনা তা নিয়ে পরীক্ষা করা (এট লিস্ট ছোট আকারে কন্ট্রোলোড পরিবেশে)।
কোম্পানী অনেক ইজি করে দিয়েছে....তারা শুধু মশার ডিম পাঠিয়ে দেয়, আর যে এলাকা তে ছাড়া হবে সেখানে ডিমের মাঝে সামান্য পানি ছড়িয়ে দিলেই ডিম ফুটে শুধু ছেলে মশা বের হয়ে আসে একদিনের মাঝেই।
কুইজ ব্লগের 'বিজ্ঞানী' দের জন্য: কোন ট্যাকনিক্যাল কারনে শুধু মেয়ে মশা মারা যায় (একই প্রোটিন সব মশা- (ছেলে এবং মেয়ে) বাবা মশা থেকে পায়,তবুও শুধু এই প্রোটিন মেয়ে মশাতে বিধ্বংসী কিন্তু ছেলে মশাতে না). I had to research for at least 4 hours to get the answer. No website (even the Company website) explains this riddle.... They just say that only females will be dead but males won't. Can use this as a case study in my genetics course this semester....
More Info here
২০ শে আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৫
কলাবাগান১ বলেছেন: সব মশা ধ্বংস হবে না শুধু মেয়ে এডিস মশা...পরিবেশে কোন ইফেক্ট হবে কিনা তা নিয়ে প্রচুর কাজ হয়েছে
Assessment of Oxitec Mosquito
২| ২০ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১:০৭
রাজীব নুর বলেছেন: মশা ছোট্র একটা প্রানী। কিন্তু অনেক ক্ষমতাবান। মশা থেকে আমাদের সাবধান থাকা দরকার।
২০ শে আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৫
কলাবাগান১ বলেছেন: স হমত
৩| ২০ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:৩৯
অজ্ঞ বালক বলেছেন: দারুণ পোস্ট। তবে যদ্দুর বুঝি, প্রকৃতির মধ্যে কেরদানি করতে গেলে প্রকৃতি 'পুত' কইরা দিতে পারে। অবশ্য যেহেতু, দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা ও গবেষণা কইরা এই ফলাফল পাওয়া গেছে, সেহেতু ইন সায়েন্স উই ট্রাস্ট।
২০ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:১২
কলাবাগান১ বলেছেন: এফডিএ তে ২৮৪ পাতার রেজাল্ট জমা দিয়েছে কোম্পান। লিং সামু নিতে দিচ্ছে না
গুগল করে দেখতে পারেন
oxitec mosquito FDA লিখে
The document contains the most comprehensive research I have ever seen.....
৪| ২২ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৩:১৭
মা.হাসান বলেছেন: আমেরিকাতে মশা আছে জেনে খুব অবাক হলাম। ওখানকার বিভিন্ন গ্যানিগুনি লোকেরা যেভাবে তাদের শক্তিশালি লেখার দ্বারা পৃথিবীর তাবৎ সমস্যার তুড়ি মেরে সমাধান করে দিচ্ছেন তাতে আমার মনে ধারনা জন্মেছিলো আমেরিকায় কোনো সমস্যাই নাই।
আগের মেয়র বলতেন ডেঙ্গু গুজব । তার চেয়ে শক্তিশালি লোকেরা বলেছেন ডেঙ্গু ষড়যন্ত্র। তবে নতুন মেয়র আসার পর, আমার এলাকায়, গত দু-এক মাসে কিছু মশার ওষুধ ছিটাতে দেখেছি।
গাছ না কেটে কি ভাবে রাস্তা সংস্কার করা যায় তা শেখার জন্য বাংলাদেশের ইঞ্জিনিয়াররা ভারতে ট্রেনিঙ নিতে যাবার আগ্রহ দেখিয়েছেন। আপনার লেখা চোখে পড়লে সিটি করপোরেশনের লোকেরা ফ্লোরিডা/ব্রাজিল/নেদারল্যান্ড ট্রেনিঙ নিতে যেতে চাইবেন।
অতীতে গাপ্পি মাছ ছাড়ার নামে কোটি কোটি টাকা সিটি করপোরেশন গাপ করেছে। নতুন প্রোজেক্ট দরকার।
এর আগে ওলবাকিয়া ব্যাকটেরিয়া দিয়ে মশা নিয়ন্ত্রনের কথা শুনেছি। গত বছর পত্রিকায় দেখেছি, বাংলাদেশের অ্যাটোমিক এনার্জি কমিশনের ল্যাবে স্টেরাইল ইনসেক্ট টেকনিক দিয়ে মশা নিয়ন্ত্রের পরীক্ষা সফল হয়েছে। লিংক: ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে রূপান্তরিত মশায় বিজ্ঞানীদের নজর
এর কোনো ফলো আপ চোখে পড়ে নি।
টেকনিক্যাল ইভ্যালুয়েশন রিপোর্ট অনুসারে (আপনার দেয়া লিংকে যেয়ে দেখলাম) পরিবেশে টেট্রাসাইক্লিন থাকলে ঐ মডিফাইড মশার লার্ভা নাও মরতে পারে। বাংলাদেশের পানিতে টেট্রাসাইক্লিন পাবার কথা। পুকুর-নদির পানিতে পাওয়ার স্টাডি আছে, শহরের ড্রেনের পানির কোনো স্টাডি হয়েছে কি না জানা নেই, তবে হলে পাওয়ার সম্ভাবনা আছে বলে মনে করি।
এফডিএর রিপোর্টের সমালোচনা করার জ্ঞান আমার নেই। তবে মনে করি নেচারে ইভোলিউশন হাজারঝাজার বছর ধরে হয়। কয়েক বছর স্টাডি করে যে তথ্য পাওয়া গেলো ভবিষ্যতে এটা বদলাবে না এমন নাও হতে পারে। আমার কাছে ওলবাকিয়াই বেশি এফেক্টিভ হতে পারে মনে হয়েছে। অবশ্যই বিশেষজ্ঞরা সব দিক চিন্তা করেই সিদ্ধান্ত নেবেন, শুধু বানিজ্যই মুখ্য উদ্যেশ্য হওয়া উচিৎ না।
ব্লগে মেন্ডেলের চাইতে বড় বড় বিজ্ঞানীদের পোস্ট নিয়মিত দেখি । আপনার কুইজের কেউ জবাব দিলো না, আমি হতাশ।
সতর্ক থাকবেন। সুন্দর লেখাটির জন্য ধন্যবাদ।
২২ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ৯:০৬
কলাবাগান১ বলেছেন: অনেক অর্থপূর্ন মন্তব্যে ধন্যবাদ...আমেরিকার ট্রপিক্যাল আবহাওয়ার জায়গা যেমন ফ্লোরিডার মত এলাকায় মশার প্রকোপ আছে...তবে আমাদের দেশের মত না....ডেংগুর ভেক্টর মশাকে নিয়ন্ত্রন এ আনতে পারবে বলে মনে হয় এই টেকনোলজি দিয়ে...এটা কোন কোম্পানী না করে সরকারী ভাবে করা যেত কিন্তু ক্যাপিটালিস্ট ইকনমিতে প্রাইভেট সেক্টর রুলস। ওলবাকিয়া দিয়ে তো অনেক রিসার্চ হল কিন্তু কার্যকারীতা এখনও তেমন আশাব্যান্জক না।
আমার চার ঘন্টা নেটে রিসার্চ করে যে উত্তর পেয়েছি সেটা আমার নিজের পড়ানোর জন্য অনেক কাজে লাগবে...নতুন কেইস স্টাডি বানিয়েছি এই ইনফো দিয়ে।
আমি এখনও শিউর না, এই ইমপোর্টেন্ট ইনফরমেশন টা কেন 'লুকিয়ে' রাখা হয়েছে (ট্রেড সিক্রেট??)....আপনি নিজেও গুগলে সার্চ করতে পারেন কিন্তু কোন সরাসরি উত্তর পাবেন না (why female not male oxitec mosquito die লিখে সার্চ করুন)...সবাই বলে মেয়ে মশা মারা যাবে কিন্তু ছেলে মশা মারা যাবে না কিন্ত কোন ম্যাকানিজমে সেটা লিখে না...।
৫| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:০০
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
মুল্যবান তথ্য সমৃদ্ধ পোষ্ট ।
অনেক দিন আগে বাংলাদেশের
সংবাদ পত্রে প্রকাশিত সংবাদ ভাষ্যে
দেখেছিলাম বাংলাদেশের প্রাণী বিজ্ঞানীরা
নাকি বিষয়টি নিয়ে বেশ আশাবাদ ব্যক্ত
করেছিলেন এটাকে বাংলাদেশে প্রয়োগের
ব্যপারে । তার পর এটা নিয়ে কিছু শুনা যায়নি।
প্রয়োজন ছিল এটা নিয়ে কিছু কাজ করার ,
প্রয়োজনে কিছু বিজ্ঞানীকে বিদেশে পাঠিয়ে
এর কার্যকারীতা সচক্ষে পর্যবেক্ষন করার
ও গবেষনা আর প্রয়োগ পদ্ধতি দেখার।
কিন্ত দু:খ লাগে যখন দেখি খাল কাটা
ও খিচুরী পাক দেখার জন্য কিছু
বিশেষ শ্রেনীর মানুষের জন্য রয়েছে
বিদেশ ভ্রমন খাতে উদ্যোগ নেয়ার।
মুল্যবান পোষ্টটির জন্য ধন্যবাদ ।
শুভেচ্ছা রইল
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১:১৭
কলাবাগান১ বলেছেন: বিজ্ঞানকে এপ্রিসিয়েট করার মত আমলা খুব কমই আছে কেননা এপ্রিসিয়েট করতে হলে পড়ালেখা করতে হবে কিন্তু উনারা আমলা হওয়ার পর আর কোন বই/প্ত্র/জার্নাল আর্টিকেল পড়েন বলে মনে হয় না। তবে ফেসবুক 'পড়েন' বলে মনে হয়
©somewhere in net ltd.
১| ২০ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১২:৩৯
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এই মশা বাংলাদেশে আমদানি করা হউক প্রয়োজনীয় নিয়ম কানুন মেনে। সম্ভব হলে অন্যান্য জাতের মশার ব্যাপারেও গবেষণা করা যেতে পারে। মশার কামড় কোনও মানুষেরই ভালো লাগে না। তবে মশা ধংশের ফলে পরিবেশে অন্য কোনও বিরুপ প্রভাব পরবে কি না এটা জানতে হবে।