নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
উপরের ছবিতে যাকে দেখছেন উনার নাম অধ্যাপক ওয়াইসম্যান যাকে সবাই mRNA ভ্যাকসিন টেকনোলজির জনক হিসাবে জানেন। উনি ২০০৫ সনে প্রথম এই কনসেপ্ট এর প্রমান দেখান এবং এই টেকনোলজির পেটেন্ট উনার বিশ্ববিদ্যালয় -পেনসিলভেনিয়া বিশ্ববিদ্যালয় এর নামে নেওয়া হয় (আমেরিকার অধ্যাপক রা কিছু আবিস্কার করলে শুধু আবিস্কারক হিসাবে নাম থাকে কিন্তু পেটেন্ট হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে- টাকা পয়সা সব পায় বিশ্ববিদ্যালয়)। এই পেটেন্ট এর লাইসেন্সিং কিনে নেয় দুইটা প্রতিস্ঠান- মডার্না এবং জার্মান কোম্পানি BioNTech (ড: শাহিন)। যখন এফডিএ এই দুই প্রতিস্ঠান এর ভ্যাকসিন অনুমোদন দিবে.. পেনসিলভেনিয়া বিশ্ববিদ্যালয় শত শত মিলিয়ন অথবা বিলিয়ন ডলার আয় করবে।
বিস্তারিত এখানে
UPENN invention paves way for Covid vaccine
প্রফেসর ওয়াইসম্যান ২০১৮ সনে mRNA ভ্যাকসিন এর উপর একটি 'যুগান্তরী' আর্টিকেল লিখেন বিখ্যাত জার্নাল নেচার এ। ঐ আর্টিকেলেই তিনি লিখেন কিভাবে mRNA ভ্যাকসিন দিয়ে কোন ভাইরাস আউটব্রেক কে খুব দ্রুত কন্ট্রোল করা যাবে। উনি লিখেন
"Finally, the recent launch of the Coalition for Epidemic Preparedness Innovations (CEPI)
provides great optimism for future responses to emerging viral epidemics. This multinational public and private partnership aims to raise $1 billion to develop platform-based vaccines, such as mRNA, to rapidly contain emerging outbreaks before they spread out of control"
পেপার টা পড়তে পারেন এখান থেকে
mRNA vaccine review by Dr. Weissman
আমাকে যদি অপশান দেওয়া হয় কোন ভ্যাকসিন নিব? আমি বেছে নিব অক্সফোর্ডের/এস্ট্রাজেনেকা এর ভ্যাকসিন কেননা তাদের ভ্যাকসিন তৈরি হয়েছে টাইম টেস্টেড নিরাপদ টেকনোলজি ইউজ করে। mRNA ভ্যাকসিন এর আগে পৃথিবী কখনও দেখে নাই... একেবারেই নতুন টেকনোলজি ....লং টার্ম সাইড ইফেক্ট কি হবে কেউ জানে না..। এবার যে ট্রায়াল হল, সেটা মাত্র কয়েক মাসের জন্য হল।
যদিও অক্সফোর্ড এর ভ্যাকসিন এবং mRNA ভ্যাকসিন উভয়ই করোনা ভাইরাস এর একটা প্রোটিন- স্পাইক প্রোটিন কে টার্গেট করে ভ্যাকসিন বানিয়েছে কিন্তু সেই স্পাইক প্রোটিন মানুষের শরীরে তৈরী করার জন্য ভিন্ন ভিন্ন মেথড ইউজ করা হয়েছে। অক্সফোর্ড বানাচ্ছে DNA থেকে আর ড: শাহিন এবং মডার্না বানাচ্ছে mRNA থেকে। যেভাবেই স্পাইক প্রোটিন বানানো হোক না কেন, শরীরের ইমমিউন সিস্টেম যখন স্পাইক প্রোটিন দেখবে, যেহেতু আমাদের শরীরে কোনদিন স্পাইক প্রোটিন দেখে নাই, তাই প্রতিরোধ করার জন্য কিলার টি সেল তৈরী করবে। এই টি সেল পরে স্পাইক প্রোটিন থাকা ভাইরাস দ্বারা ইনফেক্টেড হলে, ইনফেক্টেড সেল কে ধ্বংস করে দিবে। আবার অন্য দিকে স্পাইক প্রোটিন দেখার পর ইমিউন সিস্টেম এন্টিবডি বানানোর বি সেল ও তৈরী করে এবং এই এন্টিবডি ভাইরাস কে পরে শরীরে প্রবেশ করতে বাধা দিবে।
যাহোক mRNA ভ্যাকসিন এর কিছু নেগেটিভ দিক দেখছি: যেহেতু শরীরের বাইরে (ল্যাবে) DNA থেকে mRNA তৈরী করে, সেই mRNA কে শরীরে পুশ করা হয়, ল্যাবে তৈরীর সময় প্রায়স একটা mRNA আরেক টা mRNA এর সাথে জোড়া লেগে যায়। যদি এই জোড়া লাগা mRNA কে শরীরে পুশ করা হয়, তাহলে শরীর ভীষন ভাবে রিয়াক্ট করে কেননা mRNA-mRNA এক সাথে দেখলে শরীরে type 1 interferon নামক রেসপন্স তৈরী করে যেটা শরীরের নর্মাল সেল কে ও ধ্বংস করে (অটো ইমিউন এটাক)...এই ভ্যাকসিন নেওয়ার পর ডায়াবেটিস এ আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না..আর যাদের অলরেডি ডায়াবেটিস আছে, তারা কিছুটা সাবধনতা অবলম্বন করা উচিত বলেই মনে করি। যদিও আমি মনে করি শরীরে পুশ করার আগে জোড়া লাগা mRNA গুলি কে পৃথক করা হবে (যেটা টেকনোলজিক্যালি চেলেন্জিং)। পৃথক করা হলেও, কিছু জোড়া লাগা mRNA (residual) এর থেকে যাওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
এই ভ্যাকসিন কে কেন এত ঠান্ডা রাখতে হবে??? সেটা হল যে শুধু mRNA ভ্যাকসিন কে ইনজেক্ট করলে কখনই এটা শরীর এর কোষে প্রবেশ করবে না..।কোষের বাইরেই ভাসতে থাকবে যেটা খুবই ডেন্জারাস... কোষের এর বাইরে নর্মাল mRNA কখনই থাকে না। থাকলেই তারা টাইট কোষের মেমব্রেন কে লুজ করে দেয় আর এতে ইনজেকশন এর স্হানে এবং শরীর এর নানা জায়গায় পানি এসে যেতে পারে ( edema). কোষের বাইরে থাকা mRNA রক্ত জমাট করে ক্লট করার মত ইফেক্ট ও দেখা গেছে। mRNA কে কোষে প্রবেশ করানোর জন্য mRNAকে এক ড্রপ চর্বি এর সাথে মিশানো হয় আর চর্বি খুব সহজেই কোষের মেমব্রেন এর সাথে মিশে যেতে পারে আর তাতেই mRNA কোষে ঢুকে পড়ে আর কোষ এই mRNA থেকে স্পাইক প্রোটিন বানানো আরম্ভ করে। এত ঠান্ডা রাখতে হয় যাতে চর্বি/mRNA কমপ্লেস্ক স্ট্যাবল থাকে (না ভাংগে)। হালকা গরমে চর্বি থেকে mRNA আলাদা হয়ে গেলে, mRNA ভ্যাকসিন আর কোষে প্রবেশ করবে না। আমার মতে হয়ত ১০০% mRNA চর্বি এর সাথে থাকবে না, কিছু mRNA কোষের বাইরে থাকবে ইনজেক্ট করার পর, পরে সেটাই বিপদের কারন হতে পারে... যারা ইনজেক্শন দিবে তার কতটা পারদর্শী সেটাও বিবেচ্য।
যাহোক, আমার অভিনন্দন রইল ড: শাহিন এবং মর্ডানার ড: রসি এর প্রতি কেননা উনারা খুব দ্রুতই mRNA ভ্যাকসিন এর আসল কাজ (ক্যান্সার ভ্যাকসিন তৈরী) এর প্ল্যাটফর্ম কে করোনা ভ্যাকসিন এর কাজে রূপান্তরিত করাতে আজ বিশ্বে আশা দেখা যাচ্ছে যে আবার আমরা 'নর্মাল' লাইফে ফিরে যেতে পারব।
এই কাজের জন্য যখন নোবেল পুরস্কার দেওয়া হবে, তখন হয়ত মডার্না এবং ড: শাহিন কে না দিয়ে এই টেকনোলজির মূল আবিস্কারক ড: Weissman and ড: Karikó পেতে পারেন যেটা মডার্না র মালিক নিজেই স্বীকার করে নিয়েছেন। মজার কথা ড: Karikó অনেক দিন ধরেই ড: শাহিন এর কোম্পানীতে চাকরী করছেন এবং বলা হচ্ছে যে ড: Karikó পেনসিলভেনিয়া বিশ্ববিদ্যালয় এর টেকনলজি ড: শাহিন এর কোম্পানীতে নিয়ে গিয়েছেন।
২৫ শে নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:২৯
কলাবাগান১ বলেছেন: হয়ত ৬ মাস...
২| ২৫ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:০৭
নেওয়াজ আলি বলেছেন: দেখতে দেখতে এক বছরের কাছাকাছি হয়ে গেল মহামারী বিশ্বকে ঘর বন্ধি করে রেখেছে
২৫ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:১৪
কলাবাগান১ বলেছেন: ঘরে থেকেও বিশ্ব কিন্তু একেবারে বেকার বসে নাই.... অনেক অলটারনেটিভ টেকনোলজি এসেছে এই সময়ে
৩| ২৫ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৩৬
রাজীব নুর বলেছেন: আপনার পোষ্টে তো মন্তব্য করতেও ভয় লাগে।
মনে হচ্ছে আগামী বছরটা বিষময় হবে না। সবাই মুক্তি পাবে।
২৫ শে নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৩
কলাবাগান১ বলেছেন: পুরো মুক্তি হয়ত হবে না...ফ্লু এর মত কভিড এর ও থেকে যাওয়ার কথা উরিয়ে দেওয়া যায় না কিন্তু ঔষুধ আর ভ্যাকসিনের কারনে এত ডেডলি হবে না
৪| ২৫ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৪৫
শাহ আজিজ বলেছেন: ভাল লাগলো পূর্ণ বিবরন পড়ে । এর রিস্ক ফ্যাক্টর কোথায় ছিল বা এক দুজন কেন অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তা পরিস্কার হল । গবেষণা চলছে এবং আরও উন্নতি হবে এই ভ্যাক্সিনের । সব ভ্যাক্সিনের উপাদানে কি হর্স শু ক্রাবের নির্যাস ব্যাবহার হচ্ছে না সিনথেটিক নির্যাসও আছে । এটার উপরে আলোকপাত করবেন আশা করি । ভ্যাক্সিনের উপর মোটামুটি সাধারন যে জ্ঞান থাকা দরকার তা দিয়েছেন আপনি । ধন্যবাদ ।
২৫ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ৮:১৭
কলাবাগান১ বলেছেন: ধন্যবাদ। হর্স শু ক্রাবের নির্যাস ভ্যাকসিনের উপাদান হিসাবে ইউজ করা হয় না। এই নির্যাস ব্যবহার করা হয় শুধুমাত্র তৈরী ভ্যাকসিন এর মাঝে কোন কোন ব্যাক্টেরিয়াল কন্টামিনেশন (এন্ডোটক্সিন) আছে কিনা সেটা পরিক্ষা করতে। কেননা এই এন্ডোটক্সিন যদি ভ্যাকসিন এর দ্বারা মানুষের শরীরে প্রবেশ করে, তাহলে বিপদের কারন হয়ে দাড়ায়। তবে এখন সিনথেটিক নির্যাস ও পাওয়া যায়। আর যদি কোন ব্যাচে ১ মিলিয়ন ভ্যাকসিন থাকে, তখন র্যান্ডম স্যাম্পলিং এর দ্বারা হয়ত ১% ভ্যাকসিন কে পরীক্ষা করা হয় কোন এন্ডোটক্সিন আছে কিনা সেটা জানার জন্য।
mRNA ভ্যাক্সিন এর সুবিধা হল যে এটা বানাতে কোন ব্যাক্টিরিয়াকে ইউজ করা হয় না এবং খুব ই অল্প সময় এর মাঝেই তৈরী করা হয় বলে ব্যাক্টেরিয়াল কন্টামিনেশন হওয়ার কোন চান্স খুবই কম
তবে DNA বেইসড ভ্যাক্সিন এই পরীক্ষা মাস্ট কেননা DNA কে প্রথমে ব্যাক্টিরিয়ার প্লাসমিডের মাঝে ঢুকানো হয় এমপ্লিফাই করার জন্য। তাই এই পরীক্ষা এর দরকার আছে..যদিও এমন ব্যাক্টেরিয়া ইউজ করা হয় যারা এন্ডোটক্সিন তৈরী করে না, তবুও নির্যাস দিয়ে ভ্যাক্সিনে কোন এন্ডোটক্সিন আছে কিনা সেটা পরীক্ষা না করলে সেটা মানুষের শরীরে ইউজ করার অনুমতি মেলে না।
৫| ২৫ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:২৭
আমি সাজিদ বলেছেন: চমৎকার।
২৫ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ৮:১৮
কলাবাগান১ বলেছেন: ধন্যবাদ
৬| ২৫ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৫৪
রাজীব নুর বলেছেন: আমাদের দেশে করোনা পরিস্থিতিঃ
গত ২৪ ঘন্টায় করোনায় মৃত ৩৯,
নতুন আক্রান্ত ২১৫৬,
সুস্থ ২৩০২,
নমুনা পরীক্ষা ১৬০০১
মোট মৃত ৬৪৮৭,
আক্রান্ত ৪৫৪১৪৬,
সুস্থ ৩৬৯১৭৯ জন।
২৫ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ৮:১৯
কলাবাগান১ বলেছেন: আমেরিকার চেয়ে ভাল অবস্হা...এখানে আমরা খুবই সতর্ক থাকতে হচ্ছে
৭| ২৫ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৫৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
ইনজেকশানের তরল যখন শরীরে প্রবেশ করবে, উহা ১ মিনিটের ভেতরেই শরীরের তাপমাত্রায় চলে যাবে, তখন Fat ও mRNA কি আলাদা হয়ে যাবে না?
ভালো পোষ্ট!
২৫ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ৮:২৬
কলাবাগান১ বলেছেন: চমৎকার অর্বজারভেশন। শরীর এর কোষে প্রবেশ করার পর যদি Fat ও mRNA আলাদা না হয় তাহলে mRNA তো সেলের রাইবোযমে গিয়ে স্পাইক প্রোটিন বানাতে পারবে না। আইডিয়া হল Fat শুধু mRNA কে কোষে প্রবেশে সাহায্য করবে, এর পর তার কাজ শেষ। তারপর কোষের প্রোটিন বানানোর এনযাইমগুলি স্পাইক প্রোটিন বানানোর mRNA কে ব্যবহার করে স্পাইক প্রোটিন বানানো শুরু করে। Fat ও mRNA যদি এক সাথে থাকে, তখন এনযাইম mRNA কে ইউজ করতে পারে না প্রোটিন বানানোর জন্য।
আপনাকে কখনও কারো পোস্টে প্লাস দিতে দেখি নাই !!!!!! আজ কি মতি ভ্রম হল.....
৮| ২৫ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:০৯
আখেনাটেন বলেছেন:
আপনি খুবই চমৎকার করে লিখেছেন। এই mRNA ভ্যাকসিন প্রযুক্তি চিকিৎসাবিজ্ঞানের যুগান্তকারী ঘটনায় বটে। এখন এটি দীর্ঘমেয়াদে সফল হলে ভ্যাকসিন তৈরিতে আমূল পরিবর্তন আসবে।
সুন্দর এই পোস্টের জন্য অসংখ্যা ধন্যবাদ।
২৫ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:২৬
কলাবাগান১ বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ..
"এখন এটি দীর্ঘমেয়াদে সফল হলে ভ্যাকসিন তৈরিতে আমূল পরিবর্তন আসবে।"
সহমত
৯| ২৬ শে নভেম্বর, ২০২০ সকাল ৮:২৮
নূর আলম হিরণ বলেছেন: মাল্টি ভ্যাকসিনের কথা শুনছিলাম অনেক আগেজ যেটা নাকি সবধরনের ফ্লুয়ের বিরুদ্ধে কাজ করবে। এমন ভ্যাকসিন কি বানানো সম্ভব?
২৬ শে নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:২৬
কলাবাগান১ বলেছেন: PREVNAR 13 ভ্যাকসিন হল একটা ভ্যাকসিন যেটা ১৩টা বিভিন্ন ব্যাক্টেরিয়া যারা নিউমোনিয়া ঘটায়, তাদের সবগুলি থেকে প্রটেক্ট করে। ফ্লু ভ্যাকসিন সব সময়ই ৪-৫টা বিভিন্ন ফ্লু স্ট্রেইন (প্রজাতি)কে টার্গেট করে বানানো হয়। আমেরিকার সিডিসি বিভিন্ন মডেল এর সাহায্যে প্রেডিক্ট করে যে এবছর কোন কোন প্রজাতি বেশী দেখা যাবে, সেই বছরে সেই সেই প্রজাতির ফ্লু কে টার্গেট করেই ভ্যাকসিন বানানো হয়। ইউনিভার্সাল ফ্লু ভ্যাকসিন বানানোর চেস্টা হয় কিন্তু ফ্লু ভাইরাস এর খুব দ্রুত পরিবর্তন হওয়াতে এখনও সফল হওয়া যায় নাই
১০| ২৬ শে নভেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:৫১
ফয়সাল রকি বলেছেন: সুখ ও ঈশ্বর সংক্রান্ত ঐ কৌতুকটা মনে পড়ে। যখন রাশানরা জিজ্ঞেস করে- আমরা কবে সুখী হবো? তখন ঈশ্বর বলেন- ততদিন আমি কি বাঁচবো!!!
একইভাবে, যতদিনে আমাদের মতো ম্যাংগো পিপলের হাতের কাছাকাছি ভ্যাকসিন আসবে ততদিন কি আমরা বাঁচবো?
২৬ শে নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:২৭
কলাবাগান১ বলেছেন: এই প্যানডেমিক থেকে বাচতে হলে পৃথিবীর সবাই কে ই ভ্যাকসিন দিতে হবে...নিজেদের গরজেই উন্নত বিশ্ব সব দেশেই ভ্যাকসিন পাবার ব্যবস্হা করবে।
১১| ২৬ শে নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৩৯
কালো যাদুকর বলেছেন: এখানে অক্সফোর্ড ভ্যাকসিনের বাপারে জানলাম। Click This Link
"The Oxford–AstraZeneca vaccine is made from a cold-causing ‘adenovirus’ that was isolated from the stool of chimpanzees and modified so that it no longer replicates in cells. When injected, the vaccine instructs human cells to produce the SARS-CoV-2 spike protein — the immune system’s main target against coronaviruses."
যেটা মনে হল , এই ভ্যাকসিনের বা mRNA বেসড ভ্যাকসিনের কোনোটিরই বিশ্বাসযোগ্য ডাটা নেই। জানি না ডাক্টাররা ব্যবহার করবেন কি না। পাবলিকই বা রাজি হবে কিনা।
সময় নিয়ে এরকম পোস্ট দেয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
২৬ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:২৭
কলাবাগান১ বলেছেন: AstraZeneca এর ডাটা তে কিছুটা গোজামিল আছে কিন্তু মর্ডানা/ফাইজার এর ডাটা ঠিক আছে।
মানুষের মাঝে থাকা adenovirus না ইউজ করে, শিম্পান্জি এর adenovirus ইউজ করা হয়েছে যেটা হবে নতুন ধরনের ভাইরাস শরীরের এর জন্য....যদিও এই adenovirus এর জিনোম কে চেন্জ করা হয়েছে যাতে সে রেপ্লিকেট করতে না পারে এবং যাতে করোনার স্পাইক প্রোটিন ও এই adenovirus বানাতে পারে। প্রবলেম টা হল ইমিউন সিস্টেম তো শুধু স্পাইক প্রোটিন কে টার্গেট করবে তা না, সে শিম্পাজীর adenovirus এর বিরূদ্ধে ও রেসপন্স করবে কেননা উভয়ই নতুন মলিকুল (এন্টিজেন)।
যদিও এখানে adenovirus ইউজ হয়েছে শুধু মাত্র স্পাইক প্রোটিন কে কোষে ঢুকানো এবং এক্সপ্রেস করানোর জন্য যেমন mRNA ভ্যাকসিন এর সময় ফ্যাট ড্রপলেট ইউজ করা হয়েছে mRNA কে কোষে ঢুকানোর জন্য। adenovirus খুব সহজেই মানুষের কোষে ঢুকতে পারে
১২| ২৬ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৪৫
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
mRNA ভ্যাকসিন অত্যন্ত ঠান্ডা রাখার অন্যতম কারণ হতে পারে করোনা ভাইরাস অত্যন্ত ঠান্ডা বরফের নিচের দেশ হতে সংগ্রহ করা (হয়তোবা)। করোনার কারণে পুরো পৃথিবী মাইগ্রেশন করছে এখন ভবিষ্যত বলে দিবে সেই মাইগ্রেশন মানবজাতির জন্য কতোটা ভালো / কতোটা মন্দ।
ভালো বিষয় জানা হলো, ধন্যবাদ।
২৭ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১২:২৮
কলাবাগান১ বলেছেন: আপানার জানার কিছুটা ভুল আছে। ভাইরাস যত ঠান্ডাই থাকুক না কেন, ভ্যাকসিন কাজ করবে আপনার দেহের তাপমাত্রায়- সেটা হল ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগেই বলেছে ভ্যাকসিন যাতে সহজেই দেহের কোষে প্রবেশ করতে পারে, তার জন্যই এত টান্ডা দরকার যাতে ভ্যাকসিন আর ফ্যাট এর কমপ্লেস্ক না ভেংগে যায়। ভেংগে গেলে দেহে ভ্যাকসিন প্রবেশ করবে না। পৃথিবী অনেক উন্নত দেশেই -৭০ ডিগ্রি ফ্রিজার এর সক্ষমতা নাই....এমনকি জাপান ও বলেছে যে তাদের দেশ ব্যাপি এমন কোল্ড চেইন এর সক্ষমতা নাই।
যে বক্স এ করে ভ্যাকসিন আসবে, সেটা কয়েকদিন মাত্র ঠান্ডা রাখতে পারবে (ড্রাই আইস দিয়ে)।
১৩| ২৭ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:০৮
কলাবাগান১ বলেছেন: Modified RNA= Moderna
১৪| ২৭ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৪৭
কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন: ভৌগলিক অঞ্চল, জাতি ভেদে ভ্যাকসিন গুলো কি সমান ভাবে কার্যকর হবে? বাংলাদেশ ,ভারত,পাকিস্তান সহ নিম্ন মানের জীবন এমন অনেক দেশ গুলোতে করোনা আক্রান্ত মৃত্যুর হার অনেক কম ইউরোপ-আমেরিকার তুলনায়। যুক্তরাজ্য বাসকরা বাংলাদেশীদের করোনা আক্রান্তদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়, অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন কয়েক ধাপ যাচাই শেষে?
২৭ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১১:১০
কলাবাগান১ বলেছেন: ফেজ ৩ ট্রায়াল তো এই জন্যই করা হয় যাতে ভৌগলিক অঞ্চল, জাতি ভেদে ভ্যাকসিন গুলো কি সমান ভাবে কার্যকর হবে কিনা জানার জন্যই....কিন্তু বর্তমানে ট্রায়াল আমি জানি ব্রাজিল/আরব দেশ ইত্যাদি তে হয়েছে.....ভারতেও হচ্ছে মনে হয়
১৫| ২৭ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১১:২৯
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
কলাবাগান১ বলেছেন: লোকালয়ে/গ্রামের দিকে হয়ত ড্রাই আইস উবে যাবার পরও শরীরে পুশ করা হবে..তাতে হয়ত করোনা প্রতিরোধের চেয়ে করোনাকে আরো ইনফেক্ট (exacerbate) করার জন্য হেল্প করবে ( Antibody dependent enhancement) যেটা ডেংগুর ভ্যাকসিন এ হয়েছে।
- মারাত্বকভাবে সমর্থনযোগ্য একটি কথা ও চিন্তার বিষয়। বাংলাদেশে যে কেনো সামান্য বিষয়েও হ-য-ব-র-ল করে ছাড়ে আর করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে কি হবে তা বলা বাহুল্য। নানান ধরনের দুর্ঘটনা ঘটবে বলে ধারণা করছি যার দায়ভার শুধুমাত্র আল্লাহর নিতে হবে। (আল্লার মাল আল্লা নিয়ে গেছে টাইপ)।
২৮ শে নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৪৩
কলাবাগান১ বলেছেন: রুম টেম্পেরেচার এর ভ্যাকসিন কখনও কোষে প্রবেশ করবে না...আর তাতেই বিপত্তি বাধবে যেটা পোস্টে উল্লেখ করেছি
১৬| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৪৯
কলাবাগান১ বলেছেন: এটা কোন ব্যাপার না তাও জানতে ইচ্ছে করে কোন ধরনের পোস্ট নির্বাচিত পাতায় স্হান পায়???
এই পোস্ট কি আলোচিত পাতায় থাকতে পারত না...।
লক্ষ্য করে দেখলাম বড় জোর ১ থেকে ২ ঘন্টা এই পোস্ট আলোচিত পাতায় ছিল সর্বাধিক পঠিত অথবা সর্বাধিক লাইক প্রাপ্ত পোস্ট হিসাবে কিন্তু সাথের অন্য আলোচিত পোস্ট কিন্তু ২৪ ঘন্টারও উপর আলোচিত পাতায় ছিল...স্বয়ংক্রিয় প্রক্রিয়া শুধু কি আমার পোস্টেই স্বয়ংক্রিয়???
১৭| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:০৬
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
কলাবাগান১ বলেছেন: এটা কোন ব্যাপার না তাও জানতে ইচ্ছে করে কোন ধরনের পোস্ট নির্বাচিত পাতায় স্হান পায়??? এই পোস্ট কি আলোচিত পাতায় থাকতে পারত না...। - দুঃখজনক। আর বলার কিছু নেই।
০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:২৭
কলাবাগান১ বলেছেন: আপনার সাথে প্রথম ইন্টারাক্শান টা সুখকর ছিল না.। সেটা যতটা না ব্যক্তিগত, ততটা হল প্রথমেই না চেনা শুনার জন্যই।
সামু ও বোধ হয় পোস্টের কন্টেন্ট বুঝতে ভুল করে....
এখন মানুষের জানা উচিত ভ্যাকসিন কিভাবে কাজ করে, কোন নায়কের প্রিয় রং কি জেনে কোন লাভ নাই
১৮| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৪১
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
আপনার পোস্টের সাথে সামঞ্জস্য নেই তারপরও বলছি, সেলিব্রেটিরা নানা ধরনের অবৈধ / ডকুমেন্টস বিহীন দ্রব্য বহন করতে দেখা যায় ফ্লাইটে, যে কারণে বিমান বন্দরের ইমিগ্রেশন ও কাস্টমসে তাদের নানা চেকে পরতে হয়। একে ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের সহোদর মিডিয়াগোষ্টি নিয়ে তারা প্রশসনের গোষ্ঠী নিপাত করতে লেগে যায়।
২০১২ সনের কথা এক গাপ্পু নায়িকা গ্রামের বাচ্চাদের ৫০০ বেলুন! নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র যেতে ঢাকা বিমান বন্দরে ব্যাগ তল্লাসি ও আটক! (কোন বেলুন - আশা করি বুঝতে পারছেন) আমার প্রশ্ন হচ্ছে তুই ৫০০ প্যাক গ্রামের বাচ্চাদের বেলুন নিয়ে প্রবাসে কেনো যাবি?
১৯| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৪৭
কবিতা ক্থ্য বলেছেন: কোনো ভাবে আপনার পোস্ট মিস করেছিলাম।
তথ্যবহুল পোস্টের জন্য ধন্যবাদ।
১০ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৫১
কলাবাগান১ বলেছেন: ধন্যবাদ
২০| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২০ ভোর ৫:৩৬
এলিয়ানা সিম্পসন বলেছেন: I got the vaccine.
২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৮:৫৪
কলাবাগান১ বলেছেন: Teachers are next.....
©somewhere in net ltd.
১| ২৫ শে নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:২৮
এম এ হানিফ বলেছেন: নরমাল লাইফে ফেরার অপেক্ষা জানি না আর কত দীর্ঘ হবে।