নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাংলাদেশে কিছু লোকজন আর ভারতে অনেকেই দেখি মেয়ে সন্তান জন্ম দেওয়াতে একটু নাখোশ। তারউপর পর পর ৩-৪ জন মেয়ে জন্ম নিলেই সব দোষ স্ত্রীর উপর চাপিয়ে দেয়। ভারতে মেয়ে ভ্রুন ধ্বংস করা এখন প্রায় শিল্প পর্যায়ে চলে গেছে... আশপাশের লোকজন, আত্মীয় স্বজন স্বামীকে আবার বিবাহ করার তাগিদ দেয় ছেলে সন্তান পাওয়ার আশায়। কিন্তু এটা কেন কেউ বলে না যে মেয়ে বা ছেলে হওয়ার জন্য মায়ের তেমন কোন রোল নাই লিংগ নির্ধারনে... ডিম্বানু এবং শুক্রানুর মিলন এর পর যে কোষ হয় তাতে বাচ্চার সেক্স নির্ধারন তো হয় সেখানে কি দুটা এক্স ক্রমোজম (একটা বাবা থেকে একটা মায়ের থেকে) আছে, তাহলে মেয়ে হবে; নাকি সেখানে একটা এক্স ক্রমোজম (অবশ্যই মায়ের থেকে) আর একটা ওয়াই ক্রমোজম (অবশ্যই বাবার থেকে) এসেছে, তাহলেই ছেলে হবে। মায়ের থেকে ছেলে বা মেয়ে যাই হোক একই রকমের ক্রমোজম (এক্স ক্রমোজম) আসতেছে। কিন্তু শুক্রানুর মাঝে কি পুরুষের এক্স ক্রমোজম আছে (থাকলেই মেয়ে) নাকি ওয়াই ক্রমোজম (থাকলেই ছেলে) আছে সেটাই নির্ধারন করে ছেলে হবে কিনা। এখন পুরুষ এর যৌবন কালে কোন 'অনাচারে' বা রোগে যদি বেশী বেশী এক্স ক্রমোজম ওয়ালা শুক্রানু উৎপাদন হয়, তাহলে তো মেয়েই জন্ম গ্রহন করবে.। সেখানে তো মেয়ে মানুষের কোন রোল নাই...পুরুষের শুক্রানুই তো নির্ধারন করছে ছেলে হবে না মেয়ে হবে কেননা মেয়ে মানুষ যে এক্স ক্রমোজম ডোনেট করে সেটা ছেলে/মেয়ে তে একই সুতারাং তার কোন লিংগ নির্ধারন করার রোল নাই। পুরূষ এর শুক্রানু ই ঠিক করে মেয়ে হবে না ছেলে হবে।
সুতারাং মেয়েদের উপর দোষ চাপিয়ে দেওয়া একটা কাপুরূষতার ই নামান্তার..কথায় বলে ভাত দেওয়ার মুরোদ নাই কিন্তু কিল.....।
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ৮:১৪
কলাবাগান১ বলেছেন: তার মানে যারা ছেলে না হওয়াতে স্ত্রীকে দোষ দেয়, তারা ক্লাশ নাইন ও পাশ না!!!!!
২| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ৮:২২
নেওয়াজ আলি বলেছেন: আগের দিনের মানুষ এমন মনোভাব দেখালেও এখন মনে হয় শতে একজন হবে। আমারও দুই মেয়ে।
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ৮:৩৫
কলাবাগান১ বলেছেন: ধন্যবাদ...তবে অনেক এখানকার মানুষ মেয়েদের কে দোষ দেয় ছেলে না হওয়ার জন্য
৩| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ৮:৩৭
বিটপি বলেছেন: উন্নত দেশের মত ছেলে মেয়ের নিরাপত্তা ও ভবিষ্যতের দায়িত্ব সরকার নিয়ে নিক, তাহলে ছেলে হল কি মেয়ে হল কেউ চিন্তা করবেনা। যার তিনটি কন্যা সন্তান হয়েছে, সে জানে কি প্রচন্ড অনিশ্চয়তায় তাঁর জীবন কাটে। আমার একটি মাত্র মেয়ে - ওকে নিয়ে আমার দুশ্চিন্তার শেষ নেই। ওর কোন আত্মীয়ও যদি ওকে মাথায় হাত বুলিয়ে আদর করে, সেদিকেও আমার চোখ চলে যায় আদরের ধরণটা কেমন - সেটা বোঝার জন্য। মেয়ের বাবা হয়ায় আমার চোখ এখন আর সহজ স্বাভাবিক চোখ নেই - পুলিশের চোখ হয়ে গেছে। ছেলের ভবিষ্যৎ নিয়ে আমি অতটা উদ্বিগ্ন নই। কিন্তু মেয়েকে নিজের পারে দাঁড় করাবোই - এ ব্যাপারে কারো কোন বাধা আমি মানব না।
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ৯:০৫
কলাবাগান১ বলেছেন: এখানে আপনি নিজেই স্ববিরোোধী কথা বললেন....ছেলের ভবিযৎত নিয়ে আপনি চিন্তিত নন কিন্তু মেয়েকে 'আপনি' নিজের পায়ে দাড়াতে হেল্প করবেন.......আজকাল ছেলে হোক মেয়ে হোক দুজনেই নিজেরাই পারে নিজের পায়ে দাড়াতে বাবা মায়ের ইনডিরেক্ট সাহায্যে। উন্নত দেশে কোন সরকাই ছেলে মেয়ের ভবিষ্যত এর দ্বায়িত্ব নেয় না...পড়ালিখা কর.। নিজের পায়ে দাড়াও...পড়ালিখা না কর, সরকার কেন তোমার দায়িত্ব নিবে.....যদি সরকার দায়িত্বই নিত, তাহলে আমেরিকার রাস্তায় এত এত হোমলেস দেখা যেত না।
৪| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ৮:৪০
সাসুম বলেছেন: একটু ভিন্ন বাট ক্রিটিকাল ও লম্বা বিশ্লেষণ।
ভারতঃ কেন ভারতে মেয়ে শিশুকে বোঝা মনে করা হয়? কারন- দারিদ্রতা। ভারত এখনো মোটাদাগে একটা দরিদ্র রাস্ট্র। হোক তারা অনেক উন্নতি করছে বা সামরিক দিক থেকে দুনিয়ার ৪ নাম্বার শক্তিশালী রাস্ট্র কিংবা পারচেজিং পাওয়ার ও ইকোনমির দিক থেকে ৬ নাম্বার রাস্ট্র কিন্তু তারা এখনো মাস লেভেলে দরিদ্র এবং অজ্ঞ এবং অশিক্ষিত। বাট এটা চেঞ্জ হচ্ছে খুব কুইক্লি যদিও।
এর সাথে ভারতে একটা প্রথা চালু আছে- মেয়েকে বিয়ে দিতে হয় , এর সাথে যৌতুক দিতে হয় অনেক এবং দিন শেষে ভারতে যেহেতু বয়স্ক দের ইকোনমিকাল সেফটি নেট নাই তাই বুড়ো বয়সে ছেলে সন্তানের উপর নির্ভর করতে হয় টিকে থাকার জন্য। এখানে মেয়ে হলে বিয়ে দিলে বাপের বাড়ি ছেড়ে জামাইর বাড়ি চলে যাবে এবং আর বাবা মার ইকোনমিকাল হেল্প করতে পারবেনা শেষ বয়সে, এটাই আসল কারন।
বাংলাদেশঃ উপরে উল্লেখিত সব গুলা কারন আছে আমাদের দেশেও কন্যা সন্তান না চাওয়ার, তবে এর সাথে আরো একটা ভয়াবহ কারন আছে সেটা হল ধর্ম। জি, ইসলাম এর কারনেই মেয়ে সন্তানে অনীহা।
এই যে অনীহা এটা আসলে আমাদের সাব কন্সাস মাইণ্ডের। এর জন্য চিন্তা করতে হয় না বুঝতে হয় না,জাস্ট আমাদের মাইন্ডে ঢুকে গেছে মেয়ে মানে বোঝা।
কিভাবে ধর্মের সাথে মেয়ে সন্তান না চাওয়ার প্রথা চলে এলো?? কিংবা কিভাবে ইসলামের সাথে এর রিলেট হল?
মনে আছে প্রাক ইসলামিক যুগে আরবে মেয়ে সন্তান কে জীবন্ত কবর দিয়ে দিত জন্মাবার সাথে সাথে? কেন?
এই প্রশ্নের উত্তরে লুকিয়ে আছে ভয়ানক এক অরাজকতা এবং ভয়ানক ট্রেজেডি র স্বীকার হবার পরেও মোসলমান দের কেই আবার সেই এন্টি নারী মেন্টালিটি গ্রো করা।
প্রাক ইসলামিক যুগে আরব আসলেই বর্বর ছিলনা, বরং পুরা দুনিয়া টাই বর্বর ছিল। আমরা সবাই খালি আরব দের দোষ দেই।
তো সেখানে মানুষ কে দাস বানিয়ে রাখার যে প্রচলন এই ভয়ানক প্রথা কিন্তু হেরেডিটিকাল ছিল। যুগ থেকে যুগ এবং প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম এই দাস এর দায় বয়ে বেড়াতে হত। এখন, এই যে দায় বয়ে বেড়ানো এটা কিন্তু খালি দাস দের না, বরং রাজাকে সময় মত ইনাম বা খাজনা দিতে না পারলেও সাধারণ জনগন কে ও দাস হতে হত। এখন ধুসর আরব মরুভূমিতে রাজাকে খাজনা দেয়ার মত উপার্জন কই? ফলে যেটা হত, মানুষ কে হয়ে যেতে হত দাস আর তাদের বউ এবং মেয়ে সন্তান দের কে হয়ে যেতে হত সেক্স স্লেভ।
এই যে নিজের সন্তান কে জন্মের পর পর বড় করার সাথে সাথে আপনার মাথায় একটা জিনিষ ঢুকে গেল, এই মেয়েটা একটু বড় হলেই একে দিয়ে দিতে হবে রাজার ভোগে এবং একে রাজা রাত দিন ভোগ করবে এই কস্টের চেয়ে পিতা মাতার কাছে আর কি থাকতে পারে? এই পাপ বোধ এবং কস্ট না পাওয়ার জন্য পিতামাতারা প্রাক আরব যুগে কন্যা সন্তান জন্মাবার সাথে সাথে কবর দিয়ে দিত যাতে করে তাদের কে একটু বড় হলেই ক্ষমতাশীল শেয়াল কুকুর রা ছিড়ে খুড়ে না খেতে পারে।
এই টেন্ডেন্সি টা টিকে গেল প্রাক আরবে এবং ইসলামের প্রসার ও প্রচার এর শুরুর দিকে এটা একটা বড় ফ্যাক্টর ছিল। কিন্তু আস্তে আস্তে ইস্লামিস্ট রাও এইদিকে সরে আসল এবং নারীকে জাস্ট সেক্স অব্জেক্ট হিসেবে কাউন্ট করা শুরু করল।
এটা একটা অদ্ভুত পরিবর্তন। হিস্টোরিয়ান রা এটাকে ব্যাখ্যা করতে গিয়ে দ্বিধায় পড়ে যান। যেখানে প্রাক আরবের এই মেন্টালিটি সহ্য করে এসে ইস্লামিস্ট রা নিজেদের মেয়ে সন্তান দের আর সেক্স স্লেভ হিসেবে পাঠানো লাগবে না এই সিউরিটি পাচ্ছিল সেখান থেকে হুট করে কি করে আবার সেই সাফারার আরব জনগন ই নিজেদের কে অত্যাচারী শাসক এর ভূমিকায় নিয়ে গেল এবং আবার মেয়েদের কে একমাত্র সেক্স অব্জেক্ট হিসেবে গন্য করা শুরু করল?
এর সাথে ধর্ম ও কালচারে মেয়েদের একদম ডিজাস্টার করা হল। তাদের কে লো ক্লাস ক্যাটাগরিতে ফেলা হল এবং নারী কখনোই পুরুষের সমকক্ষ নয় এটা ঢুকিয়ে দেয়া হল ধর্মের অস্থি মজ্জায়। এর সাথে ধর্ম গ্রন্থে নারীকে করা হল খালি সেক্স এর জন্য অব্জেক্ট আর সশ্য ক্ষেত আর ধর্মের বিচারে পরকালে পুরুষের পুরস্কার হিসেবে নারী দেয়া হল আনলিমিটেড। এর পর আরো যোগ করা হল- পরকালে সবচেয়ে বেশি জাহান্নামী হবে নারীরা এবং সকল অন্যায় ও অপরাধ এর জাস্টিফিকেশান করতে লাগল নারীর উপর। নারীকে গন্য করা হল অযোগ্য, নারীকে ক্ষমতার জন্য অপরিপক্ক ঘোষনা করা হল এবং নারীর পিছে জমায়েত করাও নিষেধ করা হল।
একটা এলাকার মানুষ যারা নারীর প্রতি ভয়াবহ অপ্রেশান এর স্বীকার হয়ে নিজেদের আলাদা কালচার এবং ধর্ম গড়ে তুল্লো তারাই আবার অল্প কয়েকদিন পরে নারীকে অপ্রেসড করে ফেলল। এটা ইতিহাসের একটা কালো দিক।
এই যে নারী মানে অপরাধী আর নারী মানে জাহান্নামী, এই চিন্তা টা কিন্তু ইস্লামিস্ট দের মাথায় ঢুকে গেল বেশ ভাল ভাবে। এর সাথে ইস্লামিস্ট রা কখনোই ইকোনমিকালি শক্তিশালী ছিল না বরং তারা নির্ভর করত যুদ্ধ ও শক্তির উপর। ফলে তাদের মেন্টালিটি এক্টাই ছিল- পুরুষ জন্ম দাও যাতে যুদ্ধ করতে পারে এবং ছিনিয়ে আনতে পারে বা দখল করতে পারে।
এই যে প্রাক আরব এর এন্টি মেয়ে মেন্টালিটি থেকে আরব উত্তর ইসলামের এন্টি মেয়ে মেন্টালিটি গ্রো করা এবং সেখান থেকে ছড়িয়ে পড়া পুরো দুনিয়ায়- এই কারন গুলোই আমাদের দেশেও প্রচলিত মেয়ের প্রতি বিরোধ এর কারন হিসেবে।
খেয়াল করে দেখবেন, মেয়ে সন্তান এর প্রতি এই বিরুপ মনোভাব থাকার মুল রিজনিং দুইটা।
১। যে এলাকা গুলো গরীব এবং অশিক্ষিত এবং যেখানে মানুষ গুলো বুদ্ধির চেয়ে শক্তি দিয়ে চিন্তা করে বেশি।
২। মুসলিম সংখ্যা গুরু এলাকা গুলো। পাকিস্তান, বাংলাদেশ, নাইজেরিয়া , সোমালিয়া, সুদান, ইরান, আফগানিস্তান সহ বলতে গেলে সকল গরীব মুসলিম কান্ট্রি।
আবার বর্তমানে ধনী কান্ট্রি গুলোতে এটা কম হোক সেটা মুসলিম কান্ট্রি। যেমন সৌদি এরাবিয়া, কুয়েত, কাতার সহ আরো অনেক মুসলিম কান্ট্রি যাদের অনেক টাকা পয়সা আছে।
যার ফলে, আপনি একটা কঙ্কলুশানে আসতে পারেন। মুল কারন ধর্ম ও সমাজে নারীকে পিছিয়ে পড়া, অপরাধী, পাপী এবং জাহান্নামী হিসেবে স্টাব্লিশ করা এবং ইকোনমিকাল কারনেই মেয়ে সন্তানে অনীহা । যেটা আমদের এই উপমহাদেশ এ একদম পই পই করে ঘটে চলেছে এবং আরো ঘটে চলেছে অন্য ইসলামিক গরীব ও অশিক্ষিত অনুন্নত দেশ সমুহে।
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ৯:১২
কলাবাগান১ বলেছেন: আপনি লজিক্যাল এবং ঐতিহাসিক কারন গুলি ঠিক ভাবেই তুলে ধরেছেন কেন বিভিন্ন সমাজে মেয়েকে ইনফিরিয়রশিসাবে দেখা হয়। তালেবান দের মহিলাদের নিয়ে বিভিন্ন ফতোয়া তো এই একুশ শতকেও আমরা দেখছি।
এখন তো বিজ্ঞান অনেক এগিয়ে গিয়েছে...। ছেলে হয় না ..তা তে নিজের অক্ষমতাকে স্বীকার করে নাও, ডাক্তার দেখাও, IVF পদ্ধতি দিয়ে ছেলে সন্তান এর জন্ম দেও কিন্তু স্ত্রীকে দোষ দেওয়া বন্ধ কর..আরেক বিবাহ করার খায়েস না করাই ভাল।
৫| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ৮:৫২
সোবুজ বলেছেন: মায়ের গর্ভে সন্তান আসার চল্লিশ দিন পর আল্লাহ পাক ঠিক করেন শিশু ছেলে হবে না মেয়ে।
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ৯:১২
কলাবাগান১ বলেছেন: 'সবুজ' ভাই রিভার্স খেলছেন!!!!
৬| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ৯:৪৪
জ্যাকেল বলেছেন: এই তথ্য অধিকাংশ ব্লগারই তো জানার কথা। নিম্ন মাধ্যমিকেই তো পড়ানো হয়।
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ৯:৪৭
কলাবাগান১ বলেছেন: আমি সমাজের কথা বলতে চেয়েছি যাতে সমাজ মেয়ে হওয়াতে মায়ের কোন দোষ না দেখে। আমি তথ্য বিতরন করতে এই পোস্ট দেই নাই
৭| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ৯:৫৮
সাজিদ! বলেছেন: এখন মাধ্যমিকের আগেই বইয়ে এইসব কথা বলা আছে। বাংলাদেশের সমাজে মেয়ে সন্তান হলে ত্যাগ এই বিষয়টাও কিছুটা কমে এসেছে আগে থেকে।
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:০৪
কলাবাগান১ বলেছেন: এই তথ্য সবাই জানে ........ আমি তথ্য বিতরন করতে আসি নাই। তবে তথ্য জেনেও অনেকেই মেয়েকেই দোষ দেয়
৮| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:০৬
শেরজা তপন বলেছেন: @ সাসুমকে অনুরোধ করব আপনার মন্তব্যটা পোষ্ট আকারে দিন। সমালোচনা হলে হবে তাতে কি!
আমি চেয়েছিলাম আমার ঘর ভর্তি মেয়ে থাকুক। আমার বড় ছেলে মন খারাপ করে তাঁর সময়ে আমি মেয়ে চেয়েছিলাম বলে।
কষ্ট পেলে সে বলে; তুমিতো মেয়ে চেয়েছিলে -আমাকে চাওনি।
আমার ছোট ভাই দীর্ঘ একযুগ নিঃসন্তান থাকার পরে একটা মেয়ে শিশু দত্তক নিয়েছে। সে ছেলে শিশুও পেয়েছিল কিন্তু সে আগ্রহ দেখায়নি। আমার বিশালদেহী রাশভারী বাবা তাঁর বড় মেয়ের বিয়ের দিন মাটিতে গড়িয়ে কেঁদেছিল।
সম্পত্তি বন্টনটা সমানভাবে হলে এই দেশে মেয়ে শিশু নিয়ে আর কোন সমস্যা থাকবে না।
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:২৫
কলাবাগান১ বলেছেন: সুন্দর কমেন্ট। আমাদের পরিবারে সবচেয়ে বড় accolade টা এসেছে আমাদের একমাত্র মেয়ের হাত ধরেই...
৯| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:৪৪
জুল ভার্ন বলেছেন: মেয়ে সন্তান পরিবারকে লক্ষ্মী।
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:২৫
কলাবাগান১ বলেছেন: সত্যি কথা
১০| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:২৮
বিটপি বলেছেন: তপন, দত্তক নিতে হলে মেয়ে শিশু নিয়েন। ছেলেদের বেড়ে উঠতে সমস্যা হয়না, কিন্তু একটা মেয়ে বেড়ে উঠতে হাজারটা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে - গার্ডিয়ান না থাকলে খুব অসহায় হয়ে পড়ে।
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১০:৩৩
কলাবাগান১ বলেছেন: সমাজ ঠিক থাকলে, ছেলে মেয়ে দুইজন এর ই কোন অসহায় অবস্হায় পড়তে হয় না
১১| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:০২
রাজীব নুর বলেছেন: আমি আমার নিজের কথা বলি-
আমি সব সময় চেয়েছি একটা সুস্থ শিশু। ছেলে হোক, মেয়ে হোক সে আমার কাছে কোনো বিষয় না। কারন আমার ছেলেকে আমি যতটুকু আদর করবো, মেয়েটাও ততটুকু আদর করবো। আমার আদর ভালোবাসার কম বেশি হবে না।
তবে কেউ যখন প্রশ্ন করতো- তুমি কি চাও ছেলে না মেয়ে?
আমি বিনা দ্বিধা আর সংশয়ে বলতাম- আমি কন্যা চাই।
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১০:৩৩
কলাবাগান১ বলেছেন: ভাল মানসিকতা
১২| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:০৯
মোগল সম্রাট বলেছেন: এদেশে মেয়ের বাবারা সারাক্ষণ উদ্বিগ্ন থাকেন মেয়ে রেপ হওয়ার ভয়ে। মেয়েরা প্রতি মুহূর্তে অনিরাপত্তায় ভোগে। কি ভয়ংকর!
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১০:৩১
কলাবাগান১ বলেছেন: সমাজ মেয়েদের কে এখনও সেই নিরাপত্তা দিতে পারছে না
১৩| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৪:৩৪
হাসনাত সিদ্দিকী মুরাদ বলেছেন: দোষ কাউকেই দিচ্ছিনা। তবে এটা পড়ে দেখতে পারেন।
https://www.manchester.ac.uk/discover/news/human-eggs-prefer-some-mens-sperm-over-others-research-shows/
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১০:৩০
কলাবাগান১ বলেছেন: শুক্রানুতে ২৩টা ক্রমোজম, তার মাঝে একটা হল এক্স অথবা ওয়াই...ডিম্বানু সব সময়ই চায় সবচেয়ে শক্তিশালী (কোন ত্রুটি ছাড়া) শুক্রানুকে এট্রাক্ট করতে.... তাই সে ২৩ টা ক্রমোজমের মাঝেই ত্রুটিযুক্ত কোন ক্রমোজম থাকলে তাকে রিসিভ করবে না। এখানে শুধু এক্স আর ওয়াই নিয়ে সে চয়েস করছে না।
১৪| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৪:৩৭
হাসনাত সিদ্দিকী মুরাদ বলেছেন: রিসার্স পেপারের লিংক
https://royalsocietypublishing.org/doi/10.1098/rspb.2020.0805
১৫| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:১৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
ধর্ম লিখেছে পুরুষেরা, ধর্মীয়রা সামজে নারীর ভুমিকা বুঝার মতো জ্ঞানী ছিলো না।
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১০:২১
কলাবাগান১ বলেছেন: এখনও ধার্মিকরা নারীর ভুমিকা বুঝার মত জ্ঞানী নন
১৬| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ৮:৩৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: সন্তানের লিঙ্গ নির্ধারণে নারীর কোন হাত নেই, তবুও যুগ যুগ ধরে নারীকে মেয়ে সন্তান জন্মদানের জন্য দায়ী করা হয়েছে। এটা অবশ্যই পুরুষতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থার একটা অনাচার। আশার কথা, এমন অপবাদ দেয়ার প্রবণতা এখন অনেকটা কমে গেছে, ভবিষ্যতে আরও দ্রুত কমবে বলে আশা করি। শিক্ষাই এ ব্যাপারে সবচেয়ে সহায়ক এবং কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারে।
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১০:২০
কলাবাগান১ বলেছেন: আমার উদ্দেশ্য ছিল সেটাই...সবাই জেনেও না জানার ভান করে
১৭| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ৯:৫৫
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ক্লাস নাইন উপযোগী পোস্ট।
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১০:১৯
কলাবাগান১ বলেছেন: ধন্যবাদ
১৮| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১:১৭
হাসনাত সিদ্দিকী মুরাদ বলেছেন: শুক্রাণু চুজ যখন ডিম্বাণু করছে তখন পুরুষ দায়ী কিভাবে? "অনাচার" এর কারণে একটি নির্দিষ্ট ধরনের সেক্স ক্রোমোজোম কমে যাওয়ার কোনো বিজ্ঞানসম্মত প্রমাণ আছে কি?
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ২:০১
কলাবাগান১ বলেছেন: ডিম্বানুতো এক্স বা ওয়াই ক্রমোজম দেখে চুজ করছে না।
খাদ্যাবাস/জীবন যাত্রা এর জন্য শুক্রানুর 'কোয়ালিটি' নিয়ে বিভিন্ন রকমের গবেষনা আছে.... সেই কথার সুত্র ধরেই বলা যে হয়ত এক্স/ওয়াই এর কোয়ান্টিটি ও এফেক্টেড হচ্ছে....
এন্ডোক্রাইন ডিসরাপ্টার এর দ্বারা এ্ক্সপোজার হলেও ওয়াই ক্রমোজম ওয়ালা শুক্রানু কমে যাওয়ার প্রমান আছে
"Our results suggest that some of EDCs have larger effects on the viability of Y spermatozoa than X spermatozoa, implicating that a reduction in Y sperm viability may result in a female-biased sex ratio of offspring at birth."
সামু লিং দিতে দিচ্ছে না।
আপনাকে দেখছি নারীদের কেই পরোক্ষে ভাবে দায়ী করার পন্হা খুজে বেড়াচ্ছেন
১৯| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১:২৫
হাসনাত সিদ্দিকী মুরাদ বলেছেন: দুর্বল হয়ে যাওয়ার*
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ২:০৫
কলাবাগান১ বলেছেন: লিং এর জন্য উপরের কোট করা সেন্টেন্স দিয়ে গুগুল করুন।
২০| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ২:০৮
হাসনাত সিদ্দিকী মুরাদ বলেছেন: আমি কাউকেই দায়ী করছিনা। আমার পয়েন্ট হলো দায়ী কেউই না। কারণ সচেতন ভাবে তারা এটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনা।
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ৩:৩৬
কলাবাগান১ বলেছেন: সন্তান এর লিংগ নির্ধারনে পুরুষের শুক্রানু মেইন ভুমিকা পালন করে, এই শ্বাসত সত্যকে আপনি স্বীকার না করলেও কিছু আসে যায় ন.....মেয়েদের কে দোষ দেওয়ার লোকের অভাব নাই.। এই ব্লগেও
২১| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২১ ভোর ৫:০৪
হাসনাত সিদ্দিকী মুরাদ বলেছেন: আমার সমস্যা আপনার এই স্টেটমেন্টে। পুরুষ যখন শুক্রাণু ত্যাগ করে তখন তাতে XX এবং XY দুই ধরনেরই sex chromosome বহনকারী শুক্রাণু থাকে। এখন এই শুক্রাণুর দল থেকে কোন criteria গুলোর উপর ভিত্তি করে একটি ডিম্বাণু শুক্রাণু নির্বাচন করবে তার উপর কিন্তু পুরুষের কোনো হাত নেই। এখন আপনি যদি এই শুক্রাণু যেহেতু পুরুষদের কাছে থেকে আসে এই যুক্তিতে ঢালাওভাবে পুরুষদের দোষারোপ করতে চান, তাহলে তো যেহেতু নারীদের ডিম্বাণু তার ইচ্ছামত ( criteria যাই হোক না কেন) শুক্রাণু নির্বাচন করে, সেহেতু তাদেরও ঢালাওভাবে দোষ দেওয়া যাবে আপনারই যুক্তি অনুসারে।
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ৯:২৬
কলাবাগান১ বলেছেন: আমি নারীদের মেয়ে না হওয়ার জন্য ঢালাও ভাবে দোষারোপ করা, পুরুষের আবার বিয়ে করা ছেলে সন্তান এর আশায় --- সেই বিষয়েই কথা বলতেই এই পোস্ট করেছি। নারীর ডিম্বানু যেহেত শুক্রানু তে এক্স নাকি ওয়াই আছে এর উপর ভিত্তি করে শুক্রানু সিলেক্ট করে না, সেহেতু তাকে কেন দোষারূপ করা হবে মেয়ে হওয়ার জন্য যেখানে হয়ত পুরুষ এর ওয়াই শুক্রানু কম থাকার জন্য এক্স শুক্রানুই সিলেক্ট করতে হচ্ছে ডিম্বানুকে
আমি আপনার মনোভাব টা বুঝতে পারছি...আর এটাই আমার শেষ উত্তর আপনার সাথে.।আপনি আপনার এংগেল থেকে চিন্তা করতে থাকুন ...আপনি কাউকে দোষ দিচ্ছেন না কিন্তু আমার লিখার মূল কথা ছিল যে সমাজ নারীকেই দোষ দিচ্ছে ছেলে না হওয়ার জন্য যেখানে নারী কোন ভাবেই ছেলে বা মেয়ে হওরায় শুক্রানু কে প্রেফারেন্স দিয়ে সিলেক্ট করছে না
২২| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:০৪
মিরোরডডল বলেছেন:
এটা আমাদের সমাজের অনেক পুরনো একটা সমস্যা, যেটা এখনও আছে ।
নারী পুরুষে ভেদাভেদ না করে, মানুষ হিসেবে সবাইকে মূল্যায়ন করবে, এটা যেন এখনও স্বপ্ন ।
ক্ষেত্র বিশেষে সামান্য পরিবর্তন আসলেও, ঘরে বাইরে প্রতিনিয়ত এখনও অনেক মেয়ে বৈষম্যের শিকার ।
সন্তান না হলে সেটাও মেয়ের দোষ, ইভেন দ্যো ছেলেটার প্রবলেমের কারনে বাচ্চা হয়না ।
মেয়ে সন্তান কেন হলো, এটাও মেয়ের দোষ । এগুলো করে মেয়েদেরকে অবদমিত করা হয় ।
এটা শুধু সন্তানের মায়ের জন্যই অপমানজনক না, মেয়ে সন্তানের জন্যও অপমান আর গ্লানি ।
তার মনে হয় সে আনএক্সপেক্টেড ছিলো ।
আমার পরিচিত এমন আছে, ছেলে ছেলে করে চারটা মেয়ে হয়েছে । মায়ের কথা কেউ ভাবেনা, অনিচ্ছা সত্ত্বেও বার বার বাচ্চা জন্ম দিতে আর লালন পালন করতে তার কতোটা কষ্ট হয় ! কিন্তু ঐযে, ছেলে না হলে সেই এক্সকিউজে আবার বিয়ে করে অনেকেই !
অথচ প্রকৃতপক্ষে দেখা যায় মেয়ে সন্তান হচ্ছে ব্লেসিং ।
তারাই এন্ড অব দ্যা ডে পরিবারকে আগলে রাখে ভালোবাসা দিয়ে ।
বাবা মায়ের প্রতি, ছোট ভাইবোনদের প্রতি অনেক বেশি রেস্পন্সিবল আর প্রোটেকটিভ হয় ।
মানসিকতা আর দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন যতক্ষণ না হচ্ছে, এই সমস্যা থেকে মুক্তি নেই ।
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১০:৪২
কলাবাগান১ বলেছেন: আপনি পোস্টের আসল কথা টাই বলে দিলেন। আমি এটাই হাই লাইট করতে চেয়েছিলাম।
২৩| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১২:৪৩
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
মুল্যবান কথামালা সমৃদ্ধ পোষ্ট ।
নব বর্ষের শুভেচ্ছা রইল
২৪| ১০ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:৫৯
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
লেখক বলেছেন: তার মানে যারা ছেলে না হওয়াতে স্ত্রীকে দোষ দেয়, তারা ক্লাশ নাইন ও পাশ না! - সহমত আমারও তাই মনে হচ্ছে। তবে আমি নিজে দেখেছি প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা মানুষকে শিক্ষিত করতে পারে না। আমাদের দেশেও ক্লিনিকগুলো ভ্রূন হত্যার মতো এই নোংরা ব্যবসা করে যাচ্ছে।
নারী পুরুষের এই সমস্যা অনন্তকাল ধরে চলতে থাকবে। খুবই গুরুত্বপূর্ণ লেখা পোস্ট দিয়েছেন। ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ৮:০৯
নাহল তরকারি বলেছেন: ক্লাস নাইনের বিজ্ঞান ক্লাস মনে পড়ে গেলো।