নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
1971 Freedom Fighters
সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল বা হ্রাসের যে দাবি করছে কিছু শিক্ষার্থী, আমি সেটার বিরোধ করি এবং এরকম দাবি যারা করছেন এবং সমর্থন করছেন ওদের নিন্দা করছি। কেন? সেই কথাটাই বলছি। আগে বলেন, মুক্তিযোদ্ধা কোটায় এবং পোষ্য কোটায় এই পর্যন্ত বাংলাদেশে কয়জন বিসিএস ক্যাডারে বা অন্য কোনো গুরুত্বপূর্ণ সরকারি পদে নিয়োগ পেয়েছে? আমি যেটা জেনেছি যে এই সংখ্যাটা অতি নগণ্য। এতোই নগণ্য যে সব কয়জনকে যোগ করলেও চাকরির এক শতাংশও হবে না। মুক্তিযোদ্ধা ও পোষ্য কোটায় লোক পাওয়া যায় না, এই কারণে কোটা খালি থাকে। অর্থাৎ মুক্তিযোদ্ধা ও পোষ্য কোটার কারণে যে কেউ খুব একটা বঞ্চিত হচ্ছে সেটা সত্যি নয়। এই কোটাটা কার্যত কারো স্বার্থই বিঘ্নিত করে না। তাহলে কেন এতো ক্ষোভ? এই প্রশ্নটার উত্তর দিন। বিশেষ ভাবে মুক্তিযোদ্ধা ও পোষ্য কোটার উপর এতো ক্ষোভ কেন আপনাদের? ব্যঙ্গ করে বলেন, ‘নাতিপুতি কোটা’! বক্তৃতা-বিবৃতি, সাক্ষাৎকার এসব দিয়ে নানা কথার প্যাঁচ কষে যে কথাটা বলতে চান সেটা হচ্ছে যে মুক্তিযোদ্ধারা আমাদের রাষ্ট্রে কোনো বিশেষ মর্যাদা বা বিশেষ সুবিধা পাওয়ার হকদার নন। আপনাদের এসব কথার কী অর্থ করবো? যদি এমন হতো যে মুক্তিযোদ্ধা কোটার কারণে শত শত চাকরি ওদের ছেলেমেয়েরা বা নাতি-পুতিরা নিয়ে যাচ্ছে, তাহলে বুঝতাম যে স্বার্থ রক্ষার জন্য বলছেন। সেটা তো নয়। তাহলে কী উপসংহারে পৌঁছবো? বলুন।
[২] বলে যে অনেক নাকি ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা আছে। বলি, তার জন্যে মুক্তিযোদ্ধা কথাটা আমরা ভুলে যাবো? কিছু প্রতারক ধরনের লোক জাল-জালিয়াতি করে ব্যক্তিগত সুবিধা নিতে চেষ্টা করে, ওদের ধরে জেলে পাঠানো দরকার, শক্ত পদক্ষেপ নেওয়া দরকার ওদের বিরুদ্ধে। কিন্তু তার জন্য মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি আমার সম্মান শেষ হয়ে যাবে? চোরের জন্যে মুক্তিযোদ্ধা কথাটা ভুলে যাবো? কিছু লোক প্রশ্ন ফাঁস করে, সেই প্রশ্নে পরীক্ষা দিয়ে বিসিএস পাস করে, তার জন্য বিসিএস তুলে দিবেন? পুলিশের কিছু লোক চুরি করে, পুলিশ বাহিনী তুলে দিবেন? আর্মির জেনারেলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে, আর্মি তুলে দিব? টেলিভিশনে দেখলাম কেউ কেউ বলছেন যে, ‘মুক্তিযোদ্ধারা কি কোটা চেয়েছিলেন?’ ওরে বেয়াদব, মুক্তিযোদ্ধারা ব্যক্তিগত সুবিধা চাইবেন কেন? ১৯৭১ যখন যুদ্ধ শুরু হয়, তখন ব্যক্তিগত সুবিধার জন্যে যারা যুদ্ধে গিয়েছিল ওরা তো রাজাকারের যোগ দিয়েছে। রাজাকাররা বেতন পেতো, ভাতা পেতো, লুটের মাল পেতো। লোভ করেছে রাজাকাররা। মুক্তিযোদ্ধারা তো জীবন দিতে গেছে দেশের জন্যে। জি। প্রাণ দিতে গেছে, মরতে গেছে। জাহানার ইমামের সেই কথাটা জানেন না? তার পুত্র যখন বলছে যুদ্ধে যাবে, তিনি কী বলেছেন? জানেন সেকথা? না জানলে খুঁজে বেড় করেন, জেনে নিন। সেকথা বলতে আমার বুক ভেঙে যায়। কিন্তু সেই কথাটা একদম বর্ণে বর্ণে সত্যি। কল্পনা করুন পরিস্থিতিটা। একটা অন্ত্যন্ত শক্তিশালী সুসজ্জিত বাহিনী আমাদের দেশ আক্রমণ করেছে। বিশাল সে বাহিনীÑ ষোলোই ডিসেম্বরে আমাদের হাতে বন্দীই হয়েছিল প্রায় এক লাখ। ওদের হাতে অত্যাধুনিক অস্ত্র-চীনের অস্ত্র, আমেরিকার অস্ত্র, ব্রিটিশ হাতিয়ার, দেশে তৈরি অস্ত্র। ট্যাঙ্ক কামান বিমান জাহাজ কোনো কিছুর কমতি নেই। একঝাঁক জেনারেল পরিচালনা করছে সেই আক্রমণ। একজন সদ্য কৈশোর উত্তীর্ণ যুবক ওর মাকে বলছে যুদ্ধে যাবে এই বিশাল বাহিনীর বিরুদ্ধে। ওদেরকে আপনি কী বলবেন? এঞ্জেল? পাগল? বেওকুফ? না, ওরা দেশের জন্যে প্রাণ উৎসর্গ করেছে লিটারেলি।
[৩] কোনো মুক্তিযোদ্ধাই ব্যক্তিগত লাভের জন্যে যুদ্ধে যায়নি। লোভীরা পাকিস্তানিদের পক্ষে ছিল, আর যুদ্ধে গেছে দেশপ্রেমিকরা। আর দেশপ্রেম কী জিনিস? এই প্রেম সেই প্রেম না। দেশপ্রেম হচ্ছে এমন একটা পরীক্ষা যেটাতে পাস মার্ক হচ্ছে ১০০তে ১০০- ৯৯ পেলেও ফেইল। এই পরীক্ষায় পাস করেছে কেবল আমাদের মুক্তিযোদ্ধারা। এদেশের আর কেউ না। আমার সারা জীবনের আফসোস, কেন আমি আরও কয়েক বছর আগে জন্মালাম না, এই পরীক্ষাটায় অংশ নিতে পারলাম না। ওরা দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান। এমনকি যে চোরটা জেলের তালা ভেঙে যুদ্ধে গিয়েছিল, সেও আমাদের যুদ্ধে না যাওয়া সবচেয়ে মেধাবী ব্যক্তিটির চেয়ে উত্তম। দেশপ্রেমের পরীক্ষায় সেই চোরটিও পাস করেছে, সেই পরীক্ষায় আমাদের বিপক্ষে থাকা পণ্ডিতরাও ফেইল, অথবা সেইসব উচ্চশিক্ষিত মেধাবীরা যারা একরকম নিরাপদ নিরপেক্ষ অবস্থান নিয়েছিল। আপনি আমাদের সেসব প্রিয়দের চেয়ে প্রিয়তম মানুষগুলোর ত্যাগের কী প্রতিদান দেবেন? সামান্য কয়েকটা বিসিএস চাকরি? শোনেন। আপনি যদি বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের গুরুত্ব না বুঝে থাকেন, আপনার জীবনে ওদের অবদান অনুধাবন না করতে পারেন, আপনি হয় মূর্খ অথবা আপনি মন্দপক্ষ।
মুক্তিযোদ্ধা কোটা বা পোষ্য কোটা, আপনারা যাকে বলছেন নাতিপুতি কোটা, এটা হচ্ছে আমাদের সেইসব পাগল দিওয়ানা সর্বস্বত্যাগী দেশপ্রেমিকদের জন্যে এই জাতির অতি সামান্য একটি নৈবেদ্য মাত্র। আপনি ব্যক্তিগত স্বার্থে এর বিরোধ করবেন? তাও বুঝতাম যদি এই কোটায় কারো ক্ষতি হতো বা কাউকে বঞ্চিত করা হতো। সেটাও তো হচ্ছে না। পিএসসিকে জিজ্ঞাসা করেন, ওরা আপনাকে জানাবে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় এযাবৎ কয়জনের চাকরি হয়েছে। তিরিশ পারসেন্ট শুনতে ইয়ে শুনায় বটে, কিন্তু কার্যত মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি পেয়েছে অল্প কয়েকজন, অনুল্লেখযোগ্য সংখ্যা, এক পারসেন্টেরও কম।
[৪] মুক্তিযোদ্ধা কোটা খালি থাকলে সেটা অন্যরাই পায়। আর যদি অন্যরা না পায় তাইলে সেই দাবি করুন, মুক্তিযোদ্ধা কোটার শূন্য আসনগুলোতে অন্যদের নিয়োগ হোক। মুক্তিযোদ্ধা কোটা কেন তুলে দিবেন? মতলবটা কী? আন্দোলনের সকলের মতলব জানি না, অনেকেই হয়তো স্পষ্ট ধারণা নেই বিধায় আন্দোলনে যোগ দিয়েছে। কেউ কেউ গণতন্ত্রের সংগ্রামের অংশ বিবেচনা করে সরকারবিরোধী আন্দোলনে যোগ দিয়েছে। কিন্তু এই আন্দোলনের নেতৃত্বে কিছু ক্যারেক্টারকে আমরা দেখেছি, চিনি ওদের, ওরা মুক্তিযুদ্ধের গরিমাকে ম্লান করার উদ্দেশ্যে আন্দোলনটা টেনে নিচ্ছে। জানুন, তথ্য দেখুন, এরপর একবার আমার পতাকার দিকে তাকান, বুকে হাত দিয়ে জাতীয় সঙ্গীতের দুইটা লাইন গেয়ে এক ফোঁটা চোখের জল ফেলুন। বলুন, আপনি আমাদের জাতির হাজার বছরের ইতিহাসে শ্রেষ্ঠ অর্জন মুক্তিযুদ্ধ, এর গরিমা ম্লান করতে চান? আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন আপনি কোন দলে।
১৩ ই জুলাই, ২০২৪ সকাল ৮:৪৪
কলাবাগান১ বলেছেন: আমি হলে মুক্তিযোদ্ধাদের কোটা তুলে দিয়ে, তাদের কোটা কে প্রতিবন্ধী, উপজাতি, নারী, জেলা কোটায় দিয়ে দিতাম। মানে কোটা এখন যা আছে তাই থাকত, শুধু মুক্তিযোদ্ধার কোটা কে অন্যদের ভাগে দিয়ে দি্তাম। হলফ করে বলতে পারি তখন এত তেজ দেখা যেত না ..তা মেনে নিত কিন্তু যত দোষ মুক্তিযোদ্ধার কোটা।
১৩ ই জুলাই, ২০২৪ সকাল ৯:৩২
কলাবাগান১ বলেছেন: পেয়ারা পাকিস্হানে ১০% এর ও কম হল মেধায় সিভিল সার্ভিস এর চাকরী। ৯০% ই হল এলাকাভিত্তিক কোটা
"the Civil Service of Pakistan (CSS) Exam has regional quotas for seats and posts, including 50% for Punjab, 19% for Sindh, 11.5% for Khyber Pukhtoonkhwa, and 6% for Balochistan. The CSS also has a 10% quota for women"
Detail of regional quota is as under: Merit=7.5%, Punjab=50%, Sindh=19% (Sindh(U)-7.6%, Sindh(R)-11.4%), Khyber Pukhtoonkhwa=11.5%, Balochistan=6%, GB/FATA=4%, AJK=2%.
২| ১৩ ই জুলাই, ২০২৪ সকাল ৯:৩৬
আসাদুজ্জামান(আসাদ) বলেছেন: ভাই মুক্তিযোদ্ধা কোটা কেনই বা রাখতে হবে ?
প্লিজ একটু বোঝার চেষ্টা করুন, বীর মুক্তিযোদ্ধারা কোনো কিছুর লোভে বা পাওয়ার আসায় যুদ্ধ করেন নি। উনারা একটা বৈষম্য এবং অত্যাচারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিলেন। আপনি তাদেরকে এটার বিনিময় যদি দিতেই চান তাহলে গাড়ি-বাড়ি-অর্থ-সম্পদ সব দেন কিন্তু চাকরিই কেন দিতে হবে ?
ভাই আপনি কি চান না দেশের শ্রেষ্ট ডাক্তারের সেবা নিতে? আপনি কি চান না দেশের শ্রেষ্ট ব্যাংকার,ইঞ্জিনিয়ার এদের সেবা নিতে ? আপনি কি চান না আপনার সন্তান শ্রেষ্ট শিক্ষকের কাছে পড়ুক ? তাহলে কেন কোটার মাধ্যমে সেই শ্রেষ্ট মেধাগুলোকে ছেটে ফেলছেন ?
এখন অনেকেই বলবে কোটাধারীরা কি মেধাবী না ?
আমি বলি অবশ্যয় মেধাবী কিন্তু সেই মেধাটা হয়তো তার একটু কম আছে যে কারণে সে ঐ মেধাবী মানুষটার মত স্কোর তুলতে পারে নাই। তবে সব কোটাধারী স্কোর তুলতে পারবে না এমন না, কিছু আছে কোটা না থাকলেও তারা ফেয়ারভাবে টিকে যাবে। আমি তো ভাই সেই শ্রেষ্ট মেধাবীর কাছ থেকেই সেবা নিতে চাই।
মনে রাখা দরকার, ৭১ এ এধরণের বৈষম্যের বিরুদ্ধেই কিন্তু মহান মুক্তিযোদ্ধারা আওয়াজ তুলেছিলেন।
৩| ১৩ ই জুলাই, ২০২৪ সকাল ৯:৫৬
আহলান বলেছেন: একজন মুক্তিযোদ্ধার ভুয়া ৭ সন্তানের ৫ জনই কোটা সুবিধায় চাকরি করছে ... এমন খবর জানার পরেও কোন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা এমন কোটার পক্ষে থাকবে বলে বিশ্বাস হয় না। কোটার মিস ইউজের কারণেই আজ সবাই কোটার বিপক্ষে ...
৪| ১৩ ই জুলাই, ২০২৪ সকাল ১০:৫৮
নয়া পাঠক বলেছেন: ভাইয়া সুন্দর লিখেছেন। কিন্তু আমাদের দেশের বর্তমান এই জগা-খিঁচুড়ি অবস্থার দিকে দৃষ্টিপাত একটুও করেন নি মনে হচ্ছে। এমপি কোটা, টাকার কোটা, প্রশ্নফাঁশ কোটা, মুক্তিযোদ্ধা কোটা, প্রতিবন্ধী কোটা, আদিবাসী কোটা এর পর আত্মীয় কোটা ইত্যাদি ইত্যাদি কোটার পরে আর বাকি কি থাকে চাকুরীর ক্ষেত্রে। দেশে বর্তমানে লক্ষ লক্ষ বেকার, সামান্য একটি পিওন বা এমএলএসএস এর চাকুরীর জন্যও যাদের পক্ষে সম্ভব ৫-১০ লক্ষ টাকা খরচ করে চাকুরী পেতে হয়। সরকারী চাকুরীর এমনি মাহাত্ম যেন এ চাকুরী না করলে আর করার মত কিছু নেই। এর পেছনেও অনেক যুক্তি রয়েছে, তবে মূলে রয়েছে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা, সামাজিক অবস্থা বা এমন আরও অনেক বিষয়। আর যথাযোগ্য স্থানে যোগ্য ব্যক্তি না থাকলে যা হওয়ার দেশে এখন তাই হচ্ছে। সবকিছু আম-জনতার নাগালের বাইরে মুষ্টিমেয় কিছু মানুষের হাতে চলে যাচ্ছে। গণতন্ত্র মানে কি এটাই, আমার বাবা বেঁচে নেই, থাকলে তাকে প্রশ্ন করতাম এই সব দেখার জন্যই কি তিনি মুক্তিযুদ্ধে গিয়েছিলেন। তিনি হয়ত দেখে যাননি কিন্তু আমি তো দেখছি, ভবিষ্যতে আমার পরবর্তী প্রজন্ম আর কি কি দেখবে সেটা ভেবে আমি অনেক সংকার মধ্যে রয়েছি। সত্য কথা বলার মত কোন পরিস্থিতি দেখতে পাই না, কিছু মানুষের পরিস্থিতি দেখে।
৫| ১৩ ই জুলাই, ২০২৪ সকাল ১১:২৮
নিমো বলেছেন: আসাদুজ্জামান(আসাদ) বলেছেন: ভাই মুক্তিযোদ্ধা কোটা কেনই বা রাখতে হবে ?
ঠিক। রাজাকার কোটা রাখা দরকার। এতে করে দেশ ও ব্লগ বর্তি রাজাকারের সংখ্যাটা সহজেই উওলভ্য হবে। অসাধারণ চিন্তাধারা আপনার।
আসাদুজ্জামান(আসাদ) বলেছেন: আপনি তাদেরকে এটার বিনিময় যদি দিতেই চান তাহলে গাড়ি-বাড়ি-অর্থ-সম্পদ সব দেন কিন্তু চাকরিই কেন দিতে হবে ?
আসলেইতো মাছ ধরা শেখানোর চেয়ে, প্রতিদিন একটা করে মাছ দেয়া কতই না উপকারী। দেখুন দেখি কলাবাগানটা কত বোকা!
আসাদুজ্জামান(আসাদ) বলেছেন: ভাই আপনি কি চান না দেশের শ্রেষ্ট ডাক্তারের সেবা নিতে? আপনি কি চান না দেশের শ্রেষ্ট ব্যাংকার,ইঞ্জিনিয়ার এদের সেবা নিতে ? আপনি কি চান না আপনার সন্তান শ্রেষ্ট শিক্ষকের কাছে পড়ুক ?
গত কয়েক বছরের ধারাতো বলছে সব প্রশাসন ক্যাডারে যায়। তো আপনার বলা শ্রেষ্ঠরা সেখানে বসে ঠিক কতটা শ্রেষ্ঠ ডাক্তারি সেবা, শ্রেষ্ঠ ব্যাংকার,ইঞ্জিনিয়ার সেবা দিচ্ছে ? আপনি সম্ভবত এই আন্দোলনের শ্রেষ্ঠ শিক্ষকের কাছে পড়েছেন, নইলে শ্রেষ্ঠ বানানের এই হাল হবার কথা না আপনার লেখায়!
৬| ১৩ ই জুলাই, ২০২৪ সকাল ১১:৩১
নিমো বলেছেন: *ভর্তি, উপলভ্য। আমি মেধাহীনতো তাই বানান ভুল করেছি। ক্ষমা করবেন।
৭| ১৩ ই জুলাই, ২০২৪ দুপুর ১:৩০
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: কিছু মানুষের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে চুলকানি আছে, আর একটা প্রতারক চক্র মুক্তিযুদ্ধকে কলঙ্কিত করেছে।
৮| ১৩ ই জুলাই, ২০২৪ দুপুর ২:৪৭
আসাদুজ্জামান(আসাদ) বলেছেন: নিমো বলেছেন: রাজাকার কোটা রাখা দরকার। এতে করে দেশ ও ব্লগ বর্তি রাজাকারের সংখ্যাটা সহজেই উওলভ্য হবে। অসাধারণ চিন্তাধারা আপনার।
আমি কি কোথাও বলেছি রাজাকার কোটা রাখতে হবে। আর আপনাদের মত কিছু ননসেন্স আছে দেখেই আজকে দেশের এই অবস্থা। আপনাদের লোভী মনোভাবের বিরুদ্ধে গেলেই তাকে রাজাকার ট্যাগ দেন। আমার তো আপনাদের অন্য কিছু নিয়েই সন্দেহ হয়।
আপনি তাদেরকে এটার বিনিময় যদি দিতেই চান তাহলে গাড়ি-বাড়ি-অর্থ-সম্পদ সব দেন কিন্তু চাকরিই কেন দিতে হবে ?
আমার এই কথার পরিপ্রেক্ষিতে নিমো বলেছেন:
আসলেইতো মাছ ধরা শেখানোর চেয়ে, প্রতিদিন একটা করে মাছ দেয়া কতই না উপকারী। দেখুন দেখি কলাবাগানটা কত বোকা!
প্লিজ মাথার গোবর গুলা একটু পরিষ্কার কইরেন। আমি বুঝাতে চেয়েছি মুক্তিযোদ্ধার নাতি-পুতিরা যেহেতু প্রতিদান চাচ্ছেই সেহেতু তাদেরকে গাড়ি-বাড়ি- অর্থ দিয়ে সাহায্য করুক। কেন অযোগ্য হয়েও ঐ পদে বসাতে হবে ?
নিমো বলেছেন:
গত কয়েক বছরের ধারাতো বলছে সব প্রশাসন ক্যাডারে যায়। তো আপনার বলা শ্রেষ্ঠরা সেখানে বসে ঠিক কতটা শ্রেষ্ঠ ডাক্তারি সেবা, শ্রেষ্ঠ ব্যাংকার,ইঞ্জিনিয়ার সেবা দিচ্ছে ? আপনি সম্ভবত এই আন্দোলনের শ্রেষ্ঠ শিক্ষকের কাছে পড়েছেন, নইলে শ্রেষ্ঠ বানানের এই হাল হবার কথা না আপনার লেখায়
ননসেন্স আমি কোথায় বলেছি আমি শ্রেষ্ট ছাত্র ? আমি আপনার মত হাত পেতে ভিক্ষা নিতে চাওয়া মানুষ না। আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ আমাকে যেভাবে রেখেছেন আমি খুশি।
আপনি এমনিতেই থার্ড ক্লাস ব্রেন নিয়ে ঘুরেন সেটা আপনার কথাতেই বোঝা যাচ্ছে, না হলে আপনি বলতেন না প্রশাসন ক্যাডারে যেয়ে ডাক্তারি সেবা দিচ্ছে। ননসেন্স একটু মাথা খাটান - আমি ২ টি ডিপার্টমেন্ট এর এক্জামপুল দিয়েছি মাত্র।আমি বলেছি যেখানেই নিয়োগ হোক মেধাবীরাই যেন সার্ভ করতে পারে তাহলে বেটার সার্ভিস পাবো। প্রশাসন হইলে প্রশাসনের বেটার সার্ভিস পাবে দেশ।
সর্বোপরি আপনার মত ফাঁকিবাজ, লেখাপড়া না করা পাবলিক জনগণের কি সেবা দিবেন সেটা আপনাদের লোভ দেখেই বোঝা যাচ্ছে।
৯| ১৩ ই জুলাই, ২০২৪ দুপুর ২:৪৮
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: বিভিন্ন কারনে বিভিন্ন দেশে সবাই সমান সুবিধা পেয়ে বেড়ে উঠে না।
একারনে পৃথিবীর সব সভ্য দেশে একটি সমতাভিত্তিক সমাজ নির্মাণে বিভিন্ন কোটার প্রয়জনিয়তা দেখা দেয়।
সবাইকে আগে জানতে হবে।
কোটাধারী ও সাধারন সব নির্বাচিত প্রার্থি যোগ্যতা, পরীক্ষা সকল পর্বে মেধা পরিক্ষিত হয়ে আসে।
উত্তির্ন প্যানেলে হিসেবে কাগজে কলমে সবাই সমান। এরপর কোটার প্রয়োগ হচ্ছে।
উত্তির্ন প্রার্থিরা সবাই মেধাবী কেউ মেধাহীন নয়।
কিন্তু রজাকারের আন্ডাবাচ্চারা একটা মিথ্যা ধোঁয়া তুলে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে প্রতিযোগিতামুলোক নিয়োগ তালিকার বাইরে রেখে একক সুবিধা নিতে চাইছে।
১০| ১৩ ই জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৩:৫৯
এক্সম্যান বলেছেন: কি একটা আজব বিষয়, মুক্তিযোদ্ধাদের নাম ব্যবহার করে যা করা যাবে সবই ন্যায্য হয়ে যাবে?
মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সরকার যে সুন্দর সকল সুবিধা দিয়েছে কেউ প্রতিবাদ করেছে বলে শুনিনি, প্রয়োজনে তা আরো বাড়ানো হোক, সন্তানদেরকেও বিশেষ সুবিধা দেয়া হয়েছে। তাই বলে তাদের বংশানুক্রমে সুবিধা দিতে হবে? মানে লজিকটা কি? দেশের অন্য কারোই দেশ গঠনে, উন্নয়নে কোনো অবদান নেই?
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: কিন্তু রজাকারের আন্ডাবাচ্চারা একটা মিথ্যা ধোঁয়া তুলে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে প্রতিযোগিতামুলোক নিয়োগ তালিকার বাইরে রেখে একক সুবিধা নিতে চাইছে।
এই লোকটার মত অথর্ব, মুর্খ ব্লগার খুব কমই আছে। তো জনাব প্রতিযোগিতামুলক পরিক্ষায় নিয়োগ আর কোটায় নিয়োগের পার্থক্য বোঝেন? বেবিসিট করার টাইম নাই, টাইম থাকলে বাস্তব চিত্র সহ বুঝায়া দিতাম। আর কোটা না থাকলে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের লোক প্রতিযোগিতামুলক নিয়োগ তালিকার বাইরে থাকবে কোথায় পাইলেন?? আমেরিকায় কি কোটায় গেছিলেন??
১১| ১৩ ই জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:০৭
আমি নই বলেছেন: ছাত্ররা আন্দোলন করছে কারন তারা ভবিস্যত নিয়ে শঙ্কিত। সরকার প্রয়োজন অনুসারে চাকরি সৃষ্টি করতে পারে নাই, যদি প্রচুর পরিমান চাকরি থাকত তাহলে কোটা-ফোটা নিয়ে কেউ মাথা ঘামাত না। এখন চাকরির পদের তুলনায় যোগ্য প্রার্থীর সংখ্যা অনেক বেশি, এখানে কোটায় লোক নিয়োগ দিয়ে অন্য আর এক জন অপেক্ষাকৃত যোগ্যকে বন্চিত করার কোনো মানেই হয়না।
বৈষম্যমুলক কোটা বাতিল হোক এটাই আশা করি।
১২| ১৩ ই জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:০৯
হাসান জাকির ৭১৭১ বলেছেন: ভয়ঙ্কর একটা প্রজন্ম বেড়ে উঠছে। যাদের যে কোন ইস্যুতেই - মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযোদ্ধা, স্বাধীনতা যুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধে সহায়তাকারী দেশ ভারত ইত্যাদিতে প্রবল এলার্জি! এরা "খেলার সাথে রাজনীতি মেশাবেন না বলে" পাকিস্তানের পতাকা কপালে বাধেঁ!!
কোটা বিরোধীদেরও মূল আপত্তি- "মুক্তিযোদ্ধা" শব্দটি নিয়ে।
শেইম.........!!!
১৩| ১৩ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ৮:৫৪
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
বিসিএস পরীক্ষা পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, কোটা নন কোটা সহ ৪ -৫ লাখ আবেদনকারী চাকরিপ্রত্যাশীদের বিভিন্ন পর্ব প্রিলিমিনারি, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন মাত্র মাত্র ২ দশমিক ২৭ শতাংশ। তারপর কোটা বিবেচনার বিষয়টি আসে।
এখানে অপেক্ষাকৃত বেশি মেধাবী কেউই নন। কাগজে কলমে সবাই সমান মেধাবী।
কিন্তু এই তিনটি কঠিন পরীক্ষা সহ সকল ধাপ উত্তীর্ণ হয়ে প্যানেলে আসছেন, তাঁদের 'মেধাহীন' বলছে রাজাকার আলবদরের ছানারা।
একটি মিথ্যা, মেধাহীন অপবাদের ধোঁয়া তুলে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে প্রতিযোগিতামুলোক নিয়োগ তালিকার বাইরে রেখে খালী মাঠে একক সুবিধা নিতে চাইছে ওরা। মুক্তিযুদ্ধ শব্দটিই তাদের মুল আপত্তি।
১৪| ১৩ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ১০:১৯
শ্রাবণধারা বলেছেন: "মুক্তিযোদ্ধা ও পোষ্য কোটার ওপর এত ক্ষোভ কেন আপনাদের?" এই শিরোনামটি কোনো দুষ্ট বুদ্ধির লোকের বানানো একটি শিরোনাম। যেখানে ঘটনার মূল কারণকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে।
"আমার সারা জীবনের আপসোস, কেন আমি কয়েকটা বছর আগে জন্মালাম না, এই পরীক্ষায় অংশ নিতে পারলাম না" এই লাইনটা পড়ে বোঝা যায় যে, এই লোকটা প্রবল ভণ্ড। এই ধরনের লোকেরাই মুক্তিযুদ্ধের সময়ে সবার আগে রাজাকারের খাতায় নাম লিখিয়েছে।
প্রথমত, ক্ষোভটি মূলত দিনের পর দিন তৈরি হওয়া আওয়ামী নৈরাজ্য এবং লুটেরাতন্ত্রের বিরুদ্ধে ক্ষোভ। আওয়ামী লুটপাট এবং মস্তানী এত দূর গড়িয়েছে যে মুক্তিযোদ্ধা কোটাকেও তারা তাদের লুটপাটের একটি অস্ত্র বানিয়েছে মাত্র।
দ্বিতীয়ত, এটা যদি সত্যি সত্যিই মুক্তিযোদ্ধা কোটা হতো, তাহলে এই কোটা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান পর্যন্তই ন্যায়সঙ্গত হতো, এটা নাতি-পুতি পর্যন্ত গিয়ে হেলমেট হাতুড়ি বাহিনীর ক্ষমতায়ণ পর্যন্ত গড়াতো না।
১৫| ১৩ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ১১:৫৭
নিমো বলেছেন: আসাদুজ্জামান(আসাদ) বলেছেন: আমি কি কোথাও বলেছি রাজাকার কোটা রাখতে হবে।
আলোর অভাবই অন্ধকার। যে কিনা প্রশ্ন করে বসে, ভাই মুক্তিযোদ্ধা কোটা কেনই বা রাখতে হবে ? তারপর আবার আলাদা করে বলতে হবে।
আসাদুজ্জামান(আসাদ) বলেছেন: আর আপনাদের মত কিছু ননসেন্স আছে দেখেই আজকে দেশের এই অবস্থা।
আর আপনার মত অতি বুদ্ধিমানরা থেকে কি ভেরেণ্ডা ভাজছেন্।
আসাদুজ্জামান(আসাদ) বলেছেন:আপনাদের লোভী মনোভাবের বিরুদ্ধে গেলেই তাকে রাজাকার ট্যাগ দেন। আমার তো আপনাদের অন্য কিছু নিয়েই সন্দেহ হয়।
সন্দেহবাতিকতা রোগ থেকে শিঘ্রই মুক্তি লাভ করুন, কামনা করি। রাজাকার ট্যাগ দিতে হয় না, কর্ম, আচরণের ফলে এমনিতেই অর্জিত হয়।
আসাদুজ্জামান(আসাদ) বলেছেন:প্লিজ মাথার গোবর গুলা একটু পরিষ্কার কইরেন।
গোবর পরিষ্কারকের পদে নিয়োজিত আছেন নাকি!
আসাদুজ্জামান(আসাদ) বলেছেন:আমি বুঝাতে চেয়েছি মুক্তিযোদ্ধার নাতি-পুতিরা যেহেতু প্রতিদান চাচ্ছেই সেহেতু তাদেরকে গাড়ি-বাড়ি- অর্থ দিয়ে সাহায্য করুক। কেন অযোগ্য হয়েও ঐ পদে বসাতে হবে ?
অযোগ্য যদি হয়, তাহলে গাড়ি-বাড়ি- অর্থই বা দেয়া কেন ? আর তাদের অযোগ্যতাটা ঠিক কোথায় ? তারা কি পরীক্ষা না দিয়ে বা শূণ্য পেয়ে কোন পদে বসেছে ? ব্লগের নাহল তরকারির ভাষ্যমতে, তিনি মুক্তিযোদ্ধার নাতি কোটায় ৬০ শতাংশের বেশি নাম্বার পেয়েও নাকি কোথাও নিয়োগ পান নাই। তাহলে অযোগ্যতা আর বৈষম্যটা হচ্ছে কোথায় ?
আসাদুজ্জামান(আসাদ) বলেছেন:আমি বলেছি যেখানেই নিয়োগ হোক মেধাবীরাই যেন সার্ভ করতে পারে তাহলে বেটার সার্ভিস পাবো। প্রশাসন হইলে প্রশাসনের বেটার সার্ভিস পাবে দেশ।
ডাক্তার, প্রকৌশলী, ব্যাংকার, শিক্ষক যদি গিয়ে প্রশাসনে ভিড় করে, আর প্রশাসনে পড়া লোকজন না থাকে, তাহলে আপনার বলা বেটার সার্ভিস কিভাবে পাওয়া যাবে ? আর ঐ সব সংশ্লিষ্ট ক্যাডার গুলোয় বা কারা আপনার বলা বেটার সার্ভিস দিবে।
গালাগালি আমিও দিতে পারি। পারলেই সব করতে হয় না।
১৬| ১৪ ই জুলাই, ২০২৪ ভোর ৪:২৬
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
যৌক্তিক কথামালা সমৃদ্ধ একটি লেখা । আন্দোলনকারীগন অযৌক্তিক একটি বিষয় নিয়ে আন্দোলনে নেমেছে ।
প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাগন ধর্যের সাথে সরকারের ক্রিয়া কর্মের দিকে এখনো তাকিয়ে আছে । তাদের ধৈর্যের বাধ
ভেঙ্গে গেলে পরিনতি কি যে হবে তা হয়ত এখনো কেও ভাবতেও পারছেনা । ১৯৭১ এ জাতি মুক্তি যুদ্ধাদের
ত্যাগের ও বিরত্বের পরিচয় পেয়েছে । দীর্ঘ নয় মাস ধরে অমানবিক দু;খ দুর্দশাকে সাথে নিয়ে মরনের ভয়কে
উপেক্ষা করে , হানাদারের বিপক্ষে অস্র ধারন করে মৃত্যুর ভয়কে উপেক্ষা করে সন্মুখ সমরে যাপিয়ে পড়ার
দৃশ্য যারা দেখেনি তারা কেমনে বুঝবে দেশ প্রেমিক নির্লোভ মুক্তি যুদ্ধাদের চেতনা কাকে বলে। তারা চাকুরীর
জন্য কোন কোটা দাবী করে সে সময় আন্দোলনে নামেনি , বরং দেশ স্বাধিনের পর সকল মুক্তি যোদ্ধা তাদের
বিনা বেতনের চাকুরী ছেড়ে দিয়ে ঘরে ফিরে গিয়েছিল । এখন জাতি যদি তাদের তরে কৃতজ্ঞতা স্বরূপ কিছু
সুযোগ সুবিধা দিতে চায় অন্য সকলের মত যথাযথ নিয়ম মেনে, তাহলে তা মেনে নেয়ার জন্য এত আহাজারি
কেন থাকবে অনেকের মনে । দেশটা আজ স্বাধীন না হলে চাকুরী ক্ষেত্রে ৫০% কোটাও থাকতনা এ কথাটা
অনেকেরই জানা থাকা উচিত বলে মনে করি । তার পরেও সেই ৫০% মধ্যে অর্ধেক আবার চলে যেতো
এখানে থাকা উর্দুভাষী বিহারীদের কাছে ।
এ কথা ভুলে গেলে চলবেনা মুক্তিযোদ্ধাসহ দেশ প্রেমিক সকলের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা কভু বিনাশ হবার নয় ।
দেশের স্বাধিনতা লাভের জন্য যারা জীবন বাজি রেখে প্রাণপন লড়ে গেছেন তাদের ও তাদের সন্তানদের
মধ্যে এখন যারা যথাযথভাবে ভাবে প্রায় তিন স্তরের নির্বাচনী প্রক্রিয়া তীব্র প্রতিযোগীতার মধ্যদিয়ে পাড়ি
দিয়ে অন্যান্য মেধাবীদের সাথে নীজকে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছেন সেখান হতে হাজার হাজার পদের
বিপরীতে মাত্র গুটি কয়েক পোষ্ট প্রতিযোগীতায় উত্তির্ণ মেধাবী মুক্তিযোদ্ধা বা তাঁদের পুত্র সন্তানদের জন্য
বরাদ্ধ রাখা হলে দেশ মেধা শুন্য হয়ে যাবে কি? সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রেই তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের
অংশ হিসাবে যেখানে যেখানে সম্ভব সুযোগ সুবিধার বরাদ্ধ রাখা জাতীয় কর্তব্য বলে বিবেচনা করা উচিত ,
এর অন্যথা হলে যে কেও যৌক্তিক কারণে তাদের প্রকৃত লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যকে ভিন্নতা বলে বুঝে নিবে , এবং
মাত্র গুটি কয় বাদে সকলেই তা বুঝেও নিচ্ছেন, ফলে তাদের আন্দোলনও অনেকটাই স্তিমিত হয়ে গেছে
মর্মে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে দেখা যাচ্ছে । আন্দোলনকারীদের দাবী দাওয়ার মধ্যেও বিভিন্নতা দেখা যাচ্ছে।
যাহোক, দেশের প্রকৃত সকল বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের সন্তানদের জন্য কৃতজ্ঞতার বহিপ্রকাশ হিসাবে যতটুকু
সম্ভব ত্যগ স্বিকার করার মানসিকতা সকলকেই মেনে নেয়ার মানসিকতা থাকা প্রয়োজন।
কোটা মোটার চেয়ে এই মহুর্তে সবচেয়ে বড় প্রয়োজন হল বিসিএস ক্যাডারের সংস্কার সাধন । ইদানিংকার
ট্রেন্ড হতে দেখা যাচ্ছে যে, বিসিএস পরিক্ষায় উর্ত্তীর্ণদের মধ্যে থাকা ডাক্তার, প্রকৌশলী ও আন্যান্য কারগরী
ও বিজ্ঞান শাখার মেধাবীগন সাধারণ প্রশাসনিক শাখায় পদায়নের জন্য হন বেশী লালায়িত ।
প্রশাসন ক্যাডারের মুল কাজ মুলত সংবিধিবদ্ধ নিয়ম কানুন মেনে সেবামুলক দায়িত্ব সম্পদনের লক্ষ্যে
কারনিক পর্যায়ের কাজ। সেখানে তারা মুলত একটি গতবাধা নিয়ম ও শৃংখলার ভিতরে থেকে শুধু মাত্র
জনসেবক হিসাবে নিয়মের ভিতরে থেকে তালিকাভুক্ত সেবা কর্ম পরিচালনা করেন । প্রশাসন ক্যাডারের
মুল কাজ হলো নিয়মের ভিতরে থেকে সংবিধিবদ্ধ সেবাগুলি সঠীকভাবে জনগনের মাঝে পৌঁছে দেয়া ও
তার রক্ষনাবেক্ষন করা । জনগনকে প্রদেয় সেবাগুলি কি হবে তা নির্ধারিত হয় আইন প্রনেতাদের মাধ্যমে,
প্রকৃত মেধার প্রয়োজন সেখানে । অথচ দেখা যায় দেশের সব মেধা চলে যেতে চায় সুযোগ সুবিধা দানের
জন্য প্রান্তিক পর্যায়ের চাকুরীতে নিয়োজিত হতে , এই আকর্ষনের মুল কারণ এখন অবশ্য সকলেই বুঝেন,
আর জনগনের জন্য সুযোগ সুবিধা সৃজন ও তার পরিচালনের জন্য প্রয়োজনীয় আইন কানুন ও বাস্তবায়ন
নিয়ম শৃংখলা যারা প্রনয়ন করবেন তা থেকে যায় অন্যদের জন্য ।
উল্লেখ্য, দেশের সকল আইন কানুন , সেবা ও তার পরিচালন পদ্ধতির প্রায় সবই দেখা যায় প্রনীত হয়
বিশেষভাবে গঠিত পর্ষদ , কমিটি বা কমিশনের মাধ্যমে। সেখানে দেখা যায় বিসিএস ক্যাডার হতে মাত্র একজন
বা দুজন থাকেন সমন্বয়ক বা সদস্য সচিব হিসাবে যা মুলত একটি কারনিক পোষ্ট, সেখানে মেধার প্রয়োগ কতটুকু
তা সহজেই বুঝা যায় , অথচ দাবী করা হয় সব মেধা নাকি বিসিএসেই রয়েছে, মুক্তিযো্দ্ধা কোটায় দুচার জনকে
বিসিএস ক্যাডারে নিলে যা হয়ে যাবে মেধা শুন্য! বিষয়টা শুনতেও যেন কেমন কেমন লাগে ।
তাই, আন্দোলন হওয়া উচিত দেশে সম সুযোগ সুবিধা সম্বলিত সরকারী ও বেসরকারী পর্যায়ে আরো
অধিক সংখ্যক কর্মসংন্থানের জন্য । আন্দোলনের মুল লক্ষ্য হওয়া উচিত সকলের জন্য সম্প্রসারণ , কারো
জন্য কোন সংকোচন নয় , সংকোচনের ফল কারো জন্য ভাল নয় , সম্প্রসারনের সুফল সকলেই পায় ।
যাহোক, সকলের সুবিবেচনা জাগ্রত হোক এ কামনাই করি । প্রকৃত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি যথাযথ সন্মান
ও কৃতজ্ঞতা প্রদর্শন মুলক সুযোগ সুবিধার বিধান রেখে দেশপ্রেমিক সকল নাগরিকের জন্য কল্যানমুখী
নীতিমালা দেশে চলমান থাকুক এটাই হোক সকলের জন্য বড় চাওয়া ।
জনগনের আন্দোলন হওয়া উচিত দেশকে দুর্নীতি মুক্ত করার জন্য , দেশে সু শাসনের জন্য । মনে রাখতে হবে
কোটা বা নন কোটা যে ভাবেই হোক ক্যাডারভুক্ত চাকুরীজীবিগন মাঝে মধ্যেই বিবিধ প্রকারের দাবি দাওয়া নিয়ে
প্রতিবাদী হন শুধু নীজেদের সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধির জন্য , কখনো তারা আন্দোলন করেননা দুর্নিতীমুক্ত সুশাসন
কায়েমের জন্য । তাই আন্দোলন করে সমাজের হাতে গোনা কয়েকজনকে শুধু সমনীতির আওতায় সুযোগ সুবিধা
ভোগের গদিতে না বসিয়ে, দলমত ভেদে সকলের আন্দোলন করা উচিত বিসিএস ক্যাডারভুক্তগন যেন দুর্নীতি
মুক্ত থেকে দেশে সুশাসন ও প্রাতিষ্ঠানিক গনতান্ত্রিক ব্যবস্থা কায়েমে ভুমিকা রাখেন ।
১৭| ১৪ ই জুলাই, ২০২৪ সকাল ১১:০৭
বিদ্রোহী পুরুষ বলেছেন: মুক্তিযোদ্ধারা চেতনা ব্যবসা বা ভাতা খাওয়ার জন্য মুক্তিযুদ্ধ করেনি।
এখন কোটা বিরোধীতায় যাদের আতে লাগে তারা হয় চেতনা ব্যবসায়ী আর না হয় পরজীবি কোটাধারী।
অন্যায় বৈষম্যের বিরোধীতা করলেই এদের গা চিরবিড় করে।
১৮| ১৫ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ১২:৩৩
অধীতি বলেছেন: মুক্তিযোদ্ধার নাতিপুতিরা কোন দিক থেকে কোটা পায়। তাদের সন্তানরা পর্য্ন্ত ঠিক ছিল কিন্তু তাই বলে নাতিপুতি?
©somewhere in net ltd.
১| ১৩ ই জুলাই, ২০২৪ সকাল ৮:২৫
নূর আলম হিরণ বলেছেন: তাহলে শেখ হাসিনার সব ধরনের কোটা উঠিয়ে দিলেন কেনো ১৮সালে!
উন্নত বিশ্বে এ ধরনের মেজাজ দেখিয়ে কোনো জাতীয় সিদ্ধান্ত নিলে তার চাকুরি কি থাকতো? ১৮ সালে নুরা, রাশেদরা যখন এ আন্দোলন নিয়ে চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে তখন উনি উনার মেজাজ দেখিয়ে সব কোটা উঠিয়ে দিলেন সংস্কার না করে। তখন যদি এটার স্থায়ী সমাধান করতো, তাহলে আজকে আবার এই ধরনের আন্দোলন আসতো না।
এই কোটার ব্যাপারে উনার অবস্থান ও সিদ্ধান্তকে কি আপনি প্রজ্ঞাময় মনে করেন?