নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কালবেলা

কাল্‌বেলা

স্রষ্টা সত্য

কাল্‌বেলা › বিস্তারিত পোস্টঃ

পান্ডুলিপি / কাল্‌বেলা

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ ভোর ৬:২১

ছোট্টবেলার কথা। আমার বয়স তখন ততটাই কম যতটার আগে মানুষের স্মৃতি শক্তিরই জন্ম হয় না। তখন ইসলামপুরে থাকতাম। দেওয়ানগঞ্জের কাছাকাছি জায়গা ইসলামপুর উপজেলা। আজ এত্তগুলো বছর পর সেই ইসলামপুরটা কেমন আছে খুব জানতে ইচ্ছা করে। নিশ্চই অনেক অনেক পাল্টে গেছে। বাবার ছিল বদলির চাকরী। প্রতি তিনবছর পর পর একজায়গা থেকে আর এক জায়গায় যাওয়া। মা’র মুখে শুনেছিলাম আমরা নাকি প্রথম থাকতাম নকলা’য় । বাবার চাকরি শুরু সেখানেই। মা আর আমাকে নিয়ে ছিল বাবার সংসার। তখন মায়ের কোলে আমি। সেই নকলা আমার স্মৃতিতে নেই- কি ছিল সেখানে, কেমন ছিল আশপাশ তার কিচ্ছু নয় –শুধু মায়ের মুখে শোনা কিছু বিচ্ছিন্ন ছবি ছাড়া আর কিছু ভাসে না চোখে। নকলা থেকে গেছি আমরা ইসলামপুর-যেখানে আমার স্মৃতির খাতা সবে খুলেছে মাত্র। ইসলামপুরের পাট চুকিয়ে বাবা বদলী হয়েছিলেন দেওয়ানগঞ্জ। বিখ্যাত চিনিকলের দেওয়ানগঞ্জ। এখানকার বিশাল অঙ্কের একটা স্মৃতি মনে করতে পারি। আজো চোখে ভাসে বাবা’র অফিসের পাশ দিয়ে চলে যাওয়া রেল-লাইনের দুপাশে ছোট-বড় বিল, যে বিলে ওখানকার লোকেরা চাষ করত ‘পানি ফল’। অনেকে আমরা যাকে ‘সিঙ্গারা’-ও বলে থাকি। অসম্ভব প্রিয় ছিল আমার। বাবার চাকরীর সুবাদে আমাদের বাসা ছিল তখন উপজেলা কোয়ার্টারে। কোয়ার্টার থেকে বাবার অফিস খুব কাছেই ছিল। প্রায়ই চলে যেতাম ওদিকে, এমনি হাটতে হাটতে। আমাকে দেখলেই বাবার অফিসের দারোয়ান কাকা দৌড়ে গিয়ে বিল থেকে থোকা থোকা পানিফল তুলে আনত। বলা বাহুল্য সেই লোভেই মাঝে মাঝে মার চোখ ফাঁকি দিয়ে চলে যেতাম বাবার অফিসের নিচে। বাবাও জানতে পারত না কারন, বাবার অফিস ছিল দোতলায়। অফিসের ধারে কাছে গিয়েও , বাবার সাথে কোন দেখা-টেখা না করে নিচে থেকেই আমার পানি ফল সংগ্রহ শেষে -ফুট। সেই দারোয়ান কাকার কথা খুব মনে পড়ছে আজ।

যাই হোক, আজ দেওয়ানগঞ্জ নয়, মুলত বলছিলাম ইসলামপুরে থাকা কালীন আমার খুবই খন্ডিত এক ঝলক বিদ্যুত চমকের মত মনে পড়া একটি হাস্যকর স্মৃতির কথা। স্মৃতিটুকু হাস্যকর কিনা ঠিক বুঝতে পারছি না, আবার খুব সিরিয়াস কিছু কিনা তাও বলতে পারছি না। তবে সেই স্মৃতির ছবিটুকু জানি কোন্‌ অজান্তে আমার সত্ত্বার গহীন কুহরে দিব্যি লীন হয়ে গেছে। প্রত্যকেরই ছোটবেলার কিছু টার্নিং পয়েন্ট বা ঘটনা বা খন্ডিত ছবি থাকে এবং সেই ছবি গুলো হতে পারে খুব নগন্য হতে পারে ভয়াবহ । যাই-ই হোক না কেন, তা নিয়ে মনোবিজ্ঞানীরা পিএইচডি করুন-এমুহুর্তে সেটা নিয়ে বিচলিত নই, যেটুকু বলতে চাইছি সেটুকু হল- ঐ ছবিগুলো, সচরাচর মানব শিশুর অবচেতনের গহীন গভী্রে বোধয় প্রবল কিছু প্রভাব ফেলে যায়। আমার এই স্মৃতি-ছবিটা যেন সেরকমই ছিল কিছু। ছবিটা কিছুটা এরকম- বাবা সকাল বেলা ঘরের দরজার সামনে সপ (পাটি ও বলে) পেড়ে বসে হাতে কিছু কাগজ নিয়ে কি যেন লিখছেন খুব মনযোগ দিয়ে। মা বোধয় সকালের চায়ের কাপ হাতে কছে এসেছেন-দেখেন বাবা কি যেন লিখছেন এবং মা আসার সাথে সাথে খুব লজ্জায় রাঙ্গা হয়ে পাশে সরিয়ে রাখলেন। মা বুঝে গেলেন যে এটা অফিসের কোন কাজই হতে পারে না। তা নাহলে এত লজ্জা পাওয়ার কিংবা এতটা হতচকিত হওয়ার কি আছে? তাই মা সেটা দেখতে চাইলেন। কিন্তু মজার ব্যাপার ঘটল বাবা সেটা দেখতে দিচ্ছেন না। মা যতই জোর করছেন বাবা ততই না না করছেন। অবশেষে মার সাথে আর না পেরে বাবা বললেন- এটা ‘পান্ডুলিপি’। মা বললেন – ‘পান্ডুলিপি? পান্ডুলিপি কিসের?’ বাবা বললেন- ‘এই আছে...একটা কিছুর’। মানে হল- বাবা মোটেও মাকে সেটা দেখাতে চাচ্ছেন না। মা’র তাই ভীষণ অভিমান হল। মুখ গোমড়া করে ফেললেন। বাবা সেটা দেখে তড়িঘরি করে বললেন- এটা আসলে একটা গল্প। এটাই সেই ছবি টুকু।

আমার স্মৃতিময় এই ছবির সমস্তটার নির্যাস এসে জমা হয়েছে ‘পান্ডুলিপি’ শব্দটার ভিতর। আমার ওইটুকুন জীবনের মধ্যে প্রথম শোনা একটা শব্দ। যার মানে দাঁড়ালো আমার কাছে......গল্প। অর্থাৎ ঐ মূহুর্তে আমি ভাবছিলাম ‘পান্ডুলিপি’ মানে গল্প। যাই হোক পরে এই পান্ডুলিপি নিয়ে মা , বাবাকে অনেক ক্ষেপাত। আরো পরে বুঝতে পেরেছি পান্ডুলিপি মানে কি। তবে সেই যে ছোট্টবেলায় ‘পান্ডুলিপি’ শব্দটা মাথায় ঢুকে গিয়েছিল...আর বাবাকে সেটা লিখতে দেখেছিলাম- সেটা নিজের ই অজান্তে কখন যে নিজের ভিতরে ঢুকে গেছে.........খেয়াল ই করিনি। বলা যায় লেখা লেখির একটা অণুবীজ যেন সেদিন বপিত হয়ে থাকল আমার মাথার মধ্যে.........যার অঙ্কুরোদ্গম হয়েছিল তার ও সাত-আট বছর পরে, ক্লাস সিক্স- সেভেনে এসে.........অসম্ভব হাস্যকর আর ছেলে মানুষি টাইপের একটা কবিতা লেখার মাধ্যমে।



সেই ইসলামপুরে খোলা কেবল ঝকঝকে তকতকে স্মৃতির খাতাটি আজ বেশ ধুলোমলিন- মরচে রঙ্গা হয়ে গেছে, যেন ক্লাস ওয়ানের বাংলা বইয়ের ( ‘আমার বই’ প্রথম ভাগের) প্রায় ছিঁড়েই যাবার দশায় উপণীত সূচীপত্র পাতাটি। এ বই পড়তে নিলে কোন দিনই সূচীপত্র দেখার প্রয়োজন হয় না যেহেতু, তাই খুব হঠাৎই খেয়াল করাতে আজ এতোটা বছর পর মনে হল যেন – পাতাটা লেমিনেটিং করে রাখা দরকার। তাই এই প্রয়াস।



এরপর এই লেখাটি ভালো লাগলেও লাগতে পারে



মন্তব্য ২৫ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ সকাল ৮:১০

রনপি বলেছেন: স্মৃতিচারণ ভালো লাগল ।

২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:৩৫

কাল্‌বেলা বলেছেন:
অনেক অনেক ধন্যবাদ রনপি।



(দেরিতে জবাবের জন্য দুঃখিত)

০১ লা মার্চ, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:৪৯

কাল্‌বেলা বলেছেন:

রনপি ,
আপনার ব্লগে পোস্ট করেন না?

২| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ সকাল ৮:১৫

বিবর্ণ বলেছেন: ভালো লিখা।

২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:৩৭

কাল্‌বেলা বলেছেন:
বিবর্ণ,
শুকরিয়া।

৩| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ সকাল ৮:৫৯

নীল েঢউ বলেছেন: ভালো লাগলো

২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:৩৯

কাল্‌বেলা বলেছেন:
ব্লু ওয়েভ,
ধন্যবাদ , আপনার মন্তব্যের জন্য।

৪| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ সকাল ৯:২৩

সুলতানা শিরীন সাজি বলেছেন: খুব ভালো লাগলো স্মৃতিচারণ......।
ঘুরে এলাম দেওয়ানগঞ্জ।
তিস্তা এক্সপ্রেস এ করে লালমনিরহাট যাওয়া আসার পথে দেওয়ানগঞ্জ পড়তো।যাওয়া আসার পথে কত পানি সিঙ্গারা যে খেয়েছি.....
কালবেলা.......স্মৃতিময় সেইসব দিন মনে পড়ে গেলো।.............।তবে পানি সিঙ্গারা খাবার জন্য কেমন যেনো লাগছে।কাল বাংলাদেশী দোকান থেকে আনা কালো জাম খেলাম.....গন্ধটাই একটু ছিলো,কি আর বলবো খুব ই খারাপ অবস্হা।এখন পানি সিঙ্গারা কই পাইরে কালবেলা?
শুভেচ্ছা থাকলো সুন্দর স্মৃতিচারণের জন্য।

০১ লা মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৫:৩৮

কাল্‌বেলা বলেছেন:
শিরী'বু,
আমার কপালটাই খারাপ। কালকে যখন কেবল ব্লগ খুলে বসেছি অমনি জরুরী একটা কাজ পড়ে গেল। মন্তব্যটা লিখলাম, কিন্তু নেট কানেকশান প্রবলেমের জন্য পোস্ট হল না।
যাইহোক, আপনার মন্তব্যে মনে পড়ে গেল আর এক দুর্দান্ত স্মৃতি...তিস্তা এক্সপ্রেসে ঢাকায় যাওয়া...। যতদিন যমুনা সেতু ছিল না ততদিন উত্তর বংগ থেকে ঢাকা যাওয়াটা সারাদিনের একটা বিশাল ভয়েজ ছিল বটে......।
হা......হা............কালোজামের কথা শুনে হাসি পেল। কি আর করা ......আপনারা বড় বড় দেশে থাকবেন......ভালো ভালো খাবার খাবেন............জাম-জামরুল নাহয় নাই খেলেন। দেশে আসেন ইনশাল্লাহ যেখান থেকে পারি পানি সিংগারা খাওয়াবো।

শুভেচ্ছা নিলাম। অনেক অনেক শ্রদ্ধা দিলাম।

৫| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ সকাল ৯:১৭

মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: অসাধারণ হয়েছে

২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:৪৬

কাল্‌বেলা বলেছেন:
মেহরাব শাহরিয়ার,
আপনাকেও অসাধারন ধন্যবাদ ।

৬| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ সকাল ১০:৪৬

শেখ জলিল বলেছেন: দেওয়ানগঞ্জে আমারও একটা স্মৃতি আছে। ১৯৮৫-৮৬ এর দিকে একবার ঘুরতে গিয়েছিলাম। ছিলাম দেওয়ানগঞ্জ হাইস্কুলের হেডমাস্টার জালাল সাহেবের বাসায়....

০১ লা মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৫:৪২

কাল্‌বেলা বলেছেন:
আমাদের ব্লগের গর্ব কবি শেখ জলিল ভাই,
অনেক অনেক ধন্যবাদ স্মৃতিচারনের আড্ডায় অংশগ্রহনের জন্য। আপনিও আমার আর এক স্মৃতির কথা মনে করিয়ে দিলেন। আমি অবশ্য ওই টুকু ভূলেই গেছিলাম। সেটা হল দেওয়ানগঞ্জ হাইস্কুলের মাঠে মেলা হত। খুব আবছা আবছা মনে পড়ছে ......সেই মেলার কথা।
ধন্যবাদ আবারো।

৭| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:০৯

রাশেদ বলেছেন: ভালো লাগছে।

০১ লা মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৫:৪৬

কাল্‌বেলা বলেছেন:
কি রাশু?
সত্যিই ভালো লাগছে? তাইলে শুকরিয়া।

৮| ০৪ ঠা মার্চ, ২০০৮ দুপুর ১:৩৭

পুষ্প বলেছেন: সব মানুষেরই মনে হয় সুন্দর একটা ছেলেবেলা থাকে। একজনেরটা শুনে অন্যজনেরটা মনে পড়ে যায়।যেমন আপনাটা পড়ে আমার ছেলেবেলাটা চোখের সামনে ভেসে উঠল। ভাল লাগল পড়ে।প্লাস।

০৫ ই মার্চ, ২০০৮ ভোর ৪:৪১

কাল্‌বেলা বলেছেন:
পুষ্প,
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে + আরো ধন্যবাদ প্লাসের জন্য ।

৯| ০৪ ঠা মার্চ, ২০০৮ দুপুর ১:৫৮

স্বপ্নশিকারী বলেছেন: মনকে ছুয়ে যায়।

০৫ ই মার্চ, ২০০৮ ভোর ৪:৪৫

কাল্‌বেলা বলেছেন:
ইয়াসিন কবির,
ধন্যবাদ পড়ার জন্য।

প্রান ভরে যায় মম ভালো লাগাতে!!

১০| ২১ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১২:১৯

নির্বাসিত বলেছেন: বাহ-কি চমৎকার লেখা। আমাকে এখানে আসতে বলার জন্য ধন্যবাদ। ছেলেবেলায় আমাদের বাড়ীতেও পানিফল আনা হোত অনেক। আমার অবশ্য দু চোখের বিষ ছিল সেটা (স্যরি!)।

বাবার পান্ডুলিপিটির কি হোল পরে?

২১ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১২:৫৭

কাল্‌বেলা বলেছেন:
ধন্যবাদ নির্বাসিত'দা, কষ্ট করে আসার জন্যে। হা...হা...পানিফল!

অনেক দিন পরের কথা। বাবা'র সেই পান্ডুলিপিটি পড়ে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। আর লেখেন নি পড়ে। আমি অনেক চেয়েও পাইনি। তখন আসলে বাবার বয়স ছিল আমাদের ই মতন। লেখালেখি করতে ইচ্ছে করেছিল। পড়ে আস্তে আস্তে আমরা বড় হতে থাকলাম ...সংসারের দায়দায়িত্ব / টানাপোড়েন সমান তালে বাড়তে থাকাতে বোধয় বাবার সেই ক্ষুদ্র লেখক সত্বাটি হারিয়েই গিয়েছিল। সময় ও সুযোগ তার আর হয়ে ওঠেনি। এই আমিই, চাকরি+সংসারের চাপে পড়লে এত ব্লগ লেখালেখির সৌখিনতা বজায় রাখতে পারব কি না কে জানে? বাবার ইচ্ছের ও কমতি ছিল বোধয়।

১১| ২১ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১২:২১

মুজিব মেহদী বলেছেন: লেমিনেশন ভালো হয়েছে। আর ছিঁড়বে না।

২১ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১:০১

কাল্‌বেলা বলেছেন:
মুজিব'দা,
আপনার হীরক তুল্য মন্তব্যটিও সযত্নে লেমিনেটিং করে রাখলাম হৃদয়ের গভীরে। অনেক অনেক ধন্যবাদ।

১২| ২১ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১:০৩

নির্বাসিত বলেছেন: নেশার জিনিস ভূতে জোগায়। লেখালেখির নেশা যদি একবার টান দেয়, তাহলেই হবে। দিনে অল্প একটু লিখুন। আধাঘন্টা নাহয় কমই ঘুমালেন।

২১ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১:৪১

কাল্‌বেলা বলেছেন:
ঠিক আছে...নির্বাসিত দা। আপনার উপদেশ শিরোধার্য। কিন্তু , আমাদের দাবির কথা যেন ভুলে যেয়েন না!!!!!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.