নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি কবি। কবিতা লিখি আর মানুষের সুন্দর কবিতা গুলো দেখে হিংসায় জ্বলে পুড়ে ছাই হই।

রুবাইয়াত নেওয়াজ

কবিতা লিখি গান গাই মাঝে মাঝে গীটার বাজাই

রুবাইয়াত নেওয়াজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

তাহাদের কথা

০৪ ঠা মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৯

এক দেশে থাকে একটা ছেলে আর একটা মেয়ে। ছেলেটা মেয়েটাকে খুব ভালোবাসে। ছেলেটার মাঝে মাঝে মনে হয় মেয়েটাও হয়তো তাকে অনেক অনেক ভালোবাসে, আবার মাঝে মাঝে মনে হয় মেয়েটা হয়তো তাকে পছন্দই করে না। এই নিয়ে ছেলেটার মনে ভীষণ দ্বন্দ।ছেলেটা প্রতিদিন মেয়েটার জন্যে একটা করে বেলী ফুলের মালা এনে দেয়, মেয়েটা হাসিমুখে সেই মালাটা হাতে তুলে নেয়, আর তার সৌরভ নেয়। আর অন্যমানস্ক হয়ে যায়।



এত স্নিগ্ধ মেয়েটাকে দেখে ছেলেটার মন বার বার ঊদাস হয়ে যায়। ইচ্ছে করে মেয়েটার দু হাত ধরে বলে, কিসের এত কষ্ট তোমার? কিন্তু বলতে পারে না। ছেলেটা জানে মেয়েটার মনটা কেন কাঁদে। সব বুঝেও ছেলেটা সত্যি কে অস্বীকার করে। মনে মনে দৃড় ভাবে চিন্তা করে, একদিন মেয়েটা তাকে বুঝবে, বুঝবে তার মত ভালোবাসা মেয়েটা অন্য কোথাও খুজে পাবে না, তার মত মানুষ আর পৃথিবীতে নেই কেউ। এটা মেয়েটা বুঝবেই কোন না কোনদিন।



মেয়েটা সব বোঝে, ছেলেটাকেও বেশ লাগে। কথা বলতে কথা শুনতে। অনেক উতফুল্ল প্রানে ভরপুর এক ছেলে।

এও জানে ছেলেটা পাগলের মত ভালোবাসে মেয়েটাকে। এই ভালোবাসা কারও চোখে দেখতে পাওয়া অনেক সৌভাগ্যের, জানে মেয়েটা সব জানে। ছেলেটা খুব অদ্ভুত, কবে কখন তাকে বলেছিল

বেলী ফুল ভালো লাগে, তার পর থেকে যেদিনই দেখা হয় ছেলেটার হাতে একটা বে্লী ফুলের মালা থাকে।

ছেলেটাকে জিজ্ঞাসা করলে বলে আমি তো কবি নই, কবি হলে প্রতিদিন একটা কবিতা লিখে দিতাম, বেলী ফুলই আমার কবিতা।

ছেলেটার চোখে মুখে মেয়েটার ভালোবাসার জন্যে প্রবল আকুতি, চোখ গুলো ছলছল করে ছেলেটার একটু ভালোবাসার কথা শোনার জন্যে। কিন্তু মেয়েটার আসলে কিছু করার নেই, মেয়েটা তার সমস্ত নীল পদ্ম দিয়ে দিয়েছে আরেকজন মানুষকে। সে পদ্মগুলো হাতে মানুষটা পালিয়ে গেছে, স্বাথপরের মত। আজ তাই এই অস্বাভাবিক সুন্দর, চঞ্চল ছেলেটাকে দেবার মত পদ্মপাতা তো মেয়েটার কাছে নাই। তাই ছেলেটার নিদারুণ এই ভালোবাসার ডাকে সারা দেয়া মেয়েটার হয়ে ওঠে না। মেয়েটার খুব কষ্ট হয় নিজের জন্যে, ছেলেটার জন্যে। কিন্তু সবচেয়ে বেশী হয় ঐ মানুষটার জন্যে।



আজ দিনটা অন্য রকম মেয়েটা বসে আছে, গাছের ছায়ায়, পাশেই ঐ মানুষটা।

এত কাছে? কতদিন পর মেয়েটা মনে মনে ভাবে।

হ্যা ঠিক ৩৪ দিন পর।ইস, এমন কেন লাগছে? মনে মনে ভেবে নেয় মেয়েটা।



বুকের ভেতর দ্রিম দ্রিম আওয়াজ। পাশের মানুষটা শুনতে পাবে না তো? ধুর ছাই, কী যে আমি আজকেই বেছে বেছে সবুজ জামা পরে আসলাম,

অথচ মানুষটার পছন্দের রঙ লাল। উফ আমি এত বোকা কেন? আচ্ছা? মানুষটা কী অনেক রোগা হয়ে গেল? চোখের কোনা দিয়ে তাকে দেখতে দেখতে মনে মনে ভাবে মেয়েটা।



হঠাত মা্নুষটা হেসে ওঠে মেয়েটা চমকে ওঠে সেই হাসিতে, এই তো সেই হাসি, কী অসম্ভব সুন্দর হাসি। গলার কাছে ভারী হয়ে আসে মেয়েটার। কী অসহ্য আনন্দ।



মনে মনে মেয়েটা বলতে থাকে "ভালোবাসি" আর ঠিক করে যতটা সময় পাশে থাকবে মানুষটা এই একটি কথাই জপতে থাকবে।



ছেলেটা দূর থেকে দেখে মেয়েটাকে।দেখতে কী সুন্দরই না লাগছে আজ। পথিবীর সমস্ত রূপ যেন ধরা দিয়েছে মেয়েটাকে।

আরেকটু এগিয়ে যেতেই সে দেখতে পেল মানুষটাকে, চমতকার মানুষ।

মানুষটা খুব হাসছে আশে পাশের সবাইও খুব হাসছে, মেয়েটা মন্ত্র মুগ্ধের মত শুধু চেয়ে আছে মানুষটার দিকে, আর মনে হচ্ছে কী যেন বিড় বিড় করছে।

সূর্যের আলো এসে পরেছে তাদের দুজনের মুখে, দু জনকেই মনে হচ্ছে অমর্ত্য।



ছেলেটা্ মিষ্টি করে হাসল, কারণ এই মাত্রই মেয়েটা মুখ তুলে তার দিকে তাকিয়েছিল, কিন্তু পরক্ষনেই মুখ ঘুরিয়ে আবার মানুষটার দিকে তাকালো।

ছেলেটা হাসি মুখেই ওখানে দাঁড়িয়েই রইল।



মেয়েটা আসলে ছেলেটাকে লক্ষই করে নি।ছেলেটা অনেক দূরে একটু অন্ধকারে দাড়িয়ে ছিল। এত আলো থেকে অন্ধকারে কিছু দেখা যায় না।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.