নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি এখনও পড়াশুনা করছি। তার সাথে বেশ কিছু দিন ধরে লেখালেখির সাথে যুক্ত আছি। বাবা মায়ের ছোট ছেলে। ঘোরাঘুরি এবং খাওয়া দাওয়া করতে বেশ পছন্দ করি।

কাল্পনিক আমি

আমি এখনও পড়াশুনা করছি। তার সাথে বেশ কিছু দিন ধরে লেখালেখির সাথে যুক্ত আছি। বাবা মায়ের ছোট ছেলে। ঘোরাঘুরি এবং খাওয়া দাওয়া করতে বেশ পছন্দ করি।

কাল্পনিক আমি › বিস্তারিত পোস্টঃ

নীলার কান্না ও তার জায়গির মাস্টার ( একটি সত্যি ঘটনা অবলম্বনে)

১৫ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১:৫০

নীলা (ছদ্দ নাম) কাঁদছে, মাঝে মাঝে ফুঁপিয়ে উঠছে খুব।শব্দহীন সে কান্নার সাক্ষী আকাশ ফুড়ে উপরে উঠে যেতে চাওয়া নারকেল গাছটা। সামনে বিশাল ফসলের মাঠ, পাকা ধানের শীষে সে মাঠের কোথাও কোথাও সোনালী আকার ধারন করছে, কোথাও আবার সরষের হলদে রং। এসবের কিছুই চোখে পরছেনা নীলার। হাঁটুতে মুখ গুজে কিছুক্ষণ কান্না করছে, আবার কেউ দেখে ফেলছে কিনা চারপাশে তাকিয়ে সেটা দেখে নিচ্ছে মাঝে মাঝে।
নীলা বসে আছে ঠিক তাদের বাসার পিছনের দিকটায়। শীতের বিকেলের এই সময়টায় রোদের উত্তাপ অনেকটা কমে আসে। দুপুরের খাবার সেরে কেউ কেউ মিষ্টি সে রোদে এসে গা এলিয়ে দেয়। পাশের বাসার ছোটদাদু তার পাটির বিছানাটা সাথে নিয়ে এসে খড়ের উপর বিছিয়ে নিয়ে শুয়ে থাকেন সন্ধ্যা পর্যন্ত।

নীলা ও প্রতিদিন এখানে এসে খোলা মাঠের আইলে বসে থাকে,আকাশ দেখে আপন মনে। নীল আকাশে তাকিয়ে যখন সে মেঘের খেলা দেখে, তখনই ইচ্ছে হয় তার ঐ সাদা মেঘের মত আকাশে ভেসে বেড়াতে। নীলা ঠিক করে রেখেছে, বড় হয়ে সে একটা পাহাড় কিনবে। অনেক উচু পাহাড়। সে পাহাড়ের একদম উপরে উঠে সে মেঘ ছুবে নিয়ম করে। মেঘের দল যখন তাকে পাশ কাটিয়ে চলে যেতে চাইবে, ঠিক সে সময়টায় ও হা করে কয়েক ঢোক মেঘ গিলে খাবে।

কিন্তু আজ নীলা ঐ আকাশের দিকে তাকাচ্ছে না, কেন যেন মেঘের দলগুলোকে তার কাছে আর আপন মনে হচ্ছেনা।সে অনেকটা লুকিয়ে আছে মোটা নারকেল গাছটির আড়ালে। স্বাভাবিক চাহনিতে কেউ সহজে তাকে এখন দেখে ফেল্বেনা। নীলা জানে, মা তাকে হন্যে হয়ে খুঁজছেন এখন। এখন যে তার বাড়ির কাছারিতে হুজুরের কাছে পড়তে যাওয়ার কথা।


হুজুরের কাছে পড়তে যেতে নীলার একদম ই ভাল লাগেনা। হুজুর নীলার দিকে কেমন অদ্ভুত চোখে তাকিয়ে থাকেন, মাঝে মাঝে পিঠে হাত রাখেন। হুজুরের টেবিলের উপর একটা বেত পড়ে থাকলেও হুজুর নীলাকে সেটা দিয়ে মারেন না। অথচ নীলার সাথেই হুজুরের কাছে পড়তে যায় ছোটভাই রামিম। হুজুর রামিমকে শাস্তি দেন বেত দিয়ে। নীলাকে পিঠে মারেন, হাতের বাহু ধরে খামচে দেন,থাপ্পড় দেন...কান মলে দেন...।

অথচ গত কয়েক মাস আগেও নীলা খুব আনন্দের সাথে তাদের বাসার কাছারিতে পড়তে যেত। রাইয়ান হুজুর কি সুন্দর করে নীলাদের পড়াতেন!!!। অনেক দিন এমন হয়েছে নীলা পড়া দিতে পারেনি হুজুরকে। রাইয়ান হুজুর একটি বারের জন্য ও নীলা কে বকেননি। কি সুন্দর ভাবে বুঝিয়ে বলতেন সবকিছু। ক্লাস সেভেনে নীলা যখন বার্ষিক পরীক্ষা দিচ্ছে, তখনই রাইয়ান হুজুর চলে গেলেন। হুজুরের নাকি চাকরি হয়েছে এক বড় মসজিদে।নীলার খুব খারাপ লেগেছিল তখন।
নীলা বার্ষিক পরিক্ষায় প্রথম হয়ে ক্লাস এইটে উঠেছে, এইকথা রাইয়ান হুজুর শুনলে খুব খুশি হতেন। কিন্তু সে কথা হুজুরকে আর জানানো যায়নি।


রাইয়ান হুজুর যাওয়ার পরেই এসেছেন এ হুজুর। হুজুরকে প্রথমদিন দেখেই নীলার ভাল লাগেনি। বাবাকে সেকথা বলতেই বাবা নীলার উপর খেঁকিয়ে উঠলেন “তুমি হুজুরের চেহারা দিয়ে কি করবে, হুজুর ভাল অঙ্ক আর আরবি পড়ান, হুজুরের কাছে সকালে আরবি আর বিকেলে অঙ্ক করতে যাবে” ।

নীলা সেই থেকে হুজুরের কাছে সকালে আরবি আর বিকেলে স্কুলের পড়া পড়তে আসে। বেশ কয়েকদিন আগেই ঘটল ঘটনাটা। রাহাত গেছে নানু বাড়িতে। তাই নীলাকে একাই হুজুরের কাছে পড়তে যেতে হল। নীলা পড়ছে আপন মনে। হতাথ করেই হুজুর পাঞ্জাবিটা পিছন থেকে উপরে তুলে নীলাকে বললেন উনার পিঠ চুল্কে দিতে। নীলা থতমত খেয়ে গেল। কি করবে ভেবে পাচ্ছিল না।হুজুর হুংকার ছুঁড়ে উঠলেন “ বলেছিনা, পিঠ চুল্কে দিতে??? কথা কানে যায়না?””। নীলা খুব ভয় পেয়ে গিয়েছিল সেদিন। ভয়ে ভয়ে হুজুরের সারা পীঠ চুল্কে দিয়েছিল সে। বাসায় ফিরে নীলা ঘৃণায় কান্না করতে করতে বমি করে দিয়েছে। মাকে বলবে বলবে করেও সাহস করতে পারেনি।

এরপর থেকে সুযোগ পেলেই হুজুর নীলাকে পিঠ চুল্কে দিতে বলেন। নীলা খুব অস্বস্তি নিয়ে হুজুরের পিঠ চুল্কে দেয়। হুজুর মাঝে মাঝে নীলার হাত ধরে গায়ের বিভিন্ন জায়গায় ইঙ্গিত করে বলেন চুল্কে দিতে। নীলার কান্না পায় খুব।
নীলা প্রতিদিন হুজুরের কাছ থেকে পড়া শেষ করে বাসায় যাওয়ার সময় ঠিক করে ... মাকে বলবে ঘটনাগুলো , কিন্তু সাহস পায়না। শুধু একদিন মাকে সে বলেছে এই হুজুরের কাছে সে আর পড়তে যাবেনা। হুজুর খুব মারে। মা নীলার উপর ক্ষেপে গেলেন “ পড়াশুনা না করলে তো মারবেই, তুমি তো একটু ও পড়াশুনা করনা”

নীলা কাকে বলবে ঘটনাগুলো, অনেক ভেবে চিন্তেও ঠিক করতে পারেনা। ক্লাসে ওর সবচে ঘনিস্ট বান্ধবী ফারিহা। একবার নীলা ভেবেছে ফারিহা কে বলবে।কিন্তু পরক্ষনেই ভেবেছে ফারিহা যদি দুষ্টুমি করতে করতে ক্লাসের অন্য কাউকে বলে দেয়? তাহলে তো সে লজ্জায় কারো কাছে মুখ দেখাতে পারবেনা। এই ভেবে ফারিহাকে ও বলা হয়নি। গত কিছুদিন ধরে হুজুর নীলার গায়ে হাত দিতে শুরু করেছেন। শেষ বিকেল থেকে সন্ধ্যার পর হুজুরের কাছে পড়ার পুরো সময়টা নীলার কাছে খুব জন্ত্রনাকর মনে হয়। নীলা কি করবে ভেবে পায়না।

আজ নীলা মাকে বলেছে হুজুরের কাছে আর পড়তে যাবেনা। সে কথা শুনেই মা রেগে গেলেন। নীলাকে ইচ্ছেমত বকে দু গালে দুটো থাপড় দিয়ে দিলেন। নীলার নিজেকে খুব অসহায় লাগছিল। তারপরও সে ঠিক করেছে ঐ হুজুরের কাছে আর পড়তে যাবেনা।

নীলার হঠাত করেই মনে হল,স্কুল থেকে ফেরার পথে যে গুন্ডা ছেলেটা নীলাকে এই কথা সেই কথা বলে বিরক্ত করে, হুজুর সেই ছেলেটার চেয়েও খারাপ।

সন্ধ্যা হতে আর কিছুক্ষণ বাকি। একই জায়গায় বসে থাকতে থাকতে নীলার কোমর ব্যাথা করছে। মাগ্রিবের আজানের সময় হল। চারদিক কিছুটা অন্ধকার হয়ে আসছে। নীলা বাসার পথে পা বাড়াল।

এর মধ্যে মাস খানেক পেরিয়ে গেল। নীলা প্রতদিন মায়ের বকুনি খেয়ে হুজুরের কাছে পড়তে আসে। পড়া শেষ করে বাসায় ফিরে নিজের রুমে ঢুকে কিছুক্ষণ কান্না করে সে। আজ ক্লাসের তানিয়া তাকে উদ্দেশ্য করে কি যেন এক বিস্রি কথা বলেছে। নীলা সে কথা পরিষ্কার না শুনলেও বুঝেছে তানিয়া কেন বলেছে অমন কথা। নীলা বুকের মাঝে ব্যাথা অনুভব করে খুব। কথাগুলো কাউকে বলতে না পেরে দম আঁটকে আসে তার। নিজের প্রিয় শরীরের প্রতি প্রচণ্ড ঘৃণা হতে শুরু করে, তার খুব ইচ্ছে হয় সবকিছু ছেড়ে দূরে কোথাও পালিয়ে যেতে। গেল কয়েকদিন ধরেই রামিম অসুস্থ থাকার কারণে হুজুরের কাছে পড়তে যায়না। হুজুর নীলার সাথে খুব খারাপ আচরন করেছেন গতকাল। নীলা হুজুরের কাছ থেকে বাসায় ফেরার সময় একবার ভেবেছে সে আর বাড়িতে ফিরবেনা। কিন্তু কোথায় যাবে এই সন্ধাবেলা? এই চিন্তা করে সে বাড়ি ফিরে আসে। নিজেকে খুব অসহায় মনে হয় তার।

ইদানিং মাকে আর নীলার আপন কেউ মনে হয় না। বাবাকে ঘটনাগুলো বলবে চিন্তা করে, কিন্তু বাবা অফিস থেকে ফিরেন সেই রাতের দিকে। বাবাকে নীলা ভয় ও পায় খুব।

শেষতঃ
খুব কষ্টে চোখ মেলে তাকায় নীলা, আবার পরক্ষনেই ক্লান্তিতে চোখ বন্দ করে ফেলে সে। সারা শরীরে প্রচণ্ড যাথা অনুভুত হয় । তেষ্টায় তার গলা শুকিয়ে আসে। নীলা বুঝতে পারছেনা সে কোথায় আছে। চোখে সবকিছু ঝাপসা দেখছে সে। একবার তার কাছে মনে হচ্ছে এটা তাদের কাছারিঘর, আবার মনে হয়েছে সে তার স্কুলে সুয়ে আছে। দূরে কোথাও হতে আজানের শব্দ ভেসে আসছে। নীলা বুঝতে চেষ্টা করছে এটা কোন সময়ের আজান, ফজর নামাজের? নাকি মাগ্রিবের? নীলা বুঝতে পারছেনা সে সপ্ন দেখছে কিনা। চোখ বুঝে মনে করার চেষ্টা করে সব, অন্ধকার ঘরের চালা থেকে একটা টিকটিকি লাফিয়ে পড়ে তার বুকের উপর। নীলা চিৎকার দিয়ে উঠে বসে। নিজেকে শূন্য কাছারিঘরের খাটের উপর আবিস্কার করে সে। একটু একটু করে তার মনে পড়ে যায় সবকিছু...... নীলা টেবিলের উপর উপুড় হয়ে পড়ছে, হুজুর পেছন থেকে এসে নীলাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরেছেন, নীলা প্রানপনে নিজেকে ছুটাতে চেষ্টা করছে.......।। তারপর আর কিছু মনে করতে পারেনা নীলা। অস্ফুট সরে মুখ থেকে একটি সব্দই বের হয়... মা আ আআ.....।। দু চোখ বেয়ে তখন টপটপ করে গড়িয়ে পড়ছে নোনাজল......।


বিশ্বাসঘাতকের দৃষ্টিতে ......

নীলার গল্পটা আরও লম্বা করা যেত, কিন্তু নীলার নীল হয়ে যাওয়া কষ্টগুলো আমার বুকের ভিতরটা ভারী করে দিয়েছে। আমার আঙ্গুলের ডগাগুলো ক্রমেই ভোঁতা হয়ে আসছে। তাই আর লিখতে ইচ্ছে হয়নি। নীলাকে কথা দিয়েছিলাম, ওর এই না বলা কথাগুলো কখনো কাউকে বলবনা, গত ছয় বছর ধরে বলিনি ও। কিন্তু তাকে দেয়া সে কথাটা রাখতে পারিনি শুধু ওর পথে এগিয়ে চলা নাম না জানা আরও হাজারো নীলার কারণে। এই গল্প পড়ে ওরকম আরেকটি নীলা যদি রক্ষা পেয়ে যায়? খুজে নিতে পারে তার সাদা মেঘ গুলোকে? তখন নীলাকে দেয়া বিশ্বাসভঙ্গের পাপবোধটুকু হয়ত আমার কেটে যাবে।

(আগের দিনে প্রায় সব গ্রামের বাড়ির সামনেই থাকত এক একটি কাছারি ঘর। সেখানে জায়গির থাকত গ্রাম কিংবা কাছের কোন স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসায় পড়ুয়া কোন শিক্ষার্থী, সকাল বিকেল বাড়ির ছেলেমেয়েদের নিয়ম করে পড়ানোই ছিল তাদের কাজ। বিনিময়ে ফ্রি থাকা খাওয়া সহ কোন কোন ক্ষেত্রে জুটত সম্মানি। অনেক বিখ্যাত মানুষদের জীবনীতেও উঠে এসেছে তাদের জায়গির মাস্টার হয়ে থাকার কথা। একটা সময় এই জায়গিরমাষ্টার জায়গাটিতে হুজুরদের বিচরন বাড়ে । কিন্তু সব মানুষ যেমন ভাল হয় না তেমনি সব হুজুর ,মাস্টার ও ভাল হন না। কিছু কিছু ষেত্রে তাদের দারাই ঘটে মারাত্মক কিছু অপরাধ কর্ম। পরিবারের সম্মান, বংসমর্যাদা আর নানাবিধ লাঙ্গনা গঙ্গনার ভয়ে এমন ঘটনা গুলো থেকে যায় অপ্রকাশিত। নীলারা আজীবন ঘানি টানে সে কস্টের, সেই মানসিক ঘা বুকে নিয়েই একদিন নীলারা শেষ নিঃশ্বাস ফেলে চলে যায় এই জায়গীর কাছারি ছেড়ে, সমাজ,সংসার ছেড়ে উপরে, ঠিক উপরে। আমরা নীলাদের রক্তমাখা ভঙ্গুর সপ্নের উপর দিয়ে গড়ে যাই আমাদের প্রগতিশীল আর বিবেকবাদি সভ্যতা ।

আশার কথা এই যে, কাছারি ঘর গুলো বিলুপ্ত হতে শুরু করেছে, নীলার মা বাবারা আগের চে সচেতন হতে শুরু করেছেন। একদিন হয়ত আমার এই লেখাটা নিছক একটি গল্প মনে হবে। সেদিনের প্রতিক্ষায়)

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ৮:৫৭

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: ++++++++++++

কাছারিঘর হয়তো বিলুপ্ত হয়েছে , কিন্তু আমাদের শিক্ষা নিয়ে অতি চিন্তিত পিতামাতা এখনো অনেক সময় শিশুদের মনের খবরটা জানতে চান না । যার ফলাফল এরকম ভয়াবহই হয় ।

ভালো থাকবেন :)

২| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ৯:২৩

আজকের বাকের ভাই বলেছেন: জায়গির থাকত গ্রাম কিংবা কাছের কোন স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসায় পড়ুয়া কোন শিক্ষার্থ। তারপরও হুজুরকে নিয়ে লেখাটা উচিৎ মনে হলো না।

জানি বলবেন হুজুররা এমনই হয়, তবে সবাই কী এমন? আবার বাকীদের মাঝেও পরিমল আছে। মেনে নিই হুজুররা এমনই, তবুও দেশের যে একজন ভালো হুজুর আসুন তাকে ভাল বলে সব হুজুরই খারাপ বলা থেকে বেরিয়ে আসি।

৩| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ২:০৫

কলমের কালি শেষ বলেছেন: দুঃখজনক । কাছারী বিলুপ্ত হচ্ছে ঠিক কিন্তু ওই সময়কার অসভ্য মাষ্টারগুলো কি বিলুপ্ত হচ্ছে ? দোষ কাছারীর নয় দোষ এইসব চরিত্রহীন অসভ্যদের । এখনো এইসব ঘটনা অহরহই ঘটে । :( :(

১৫ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৮:০০

কাল্পনিক আমি বলেছেন: ওই সময়ের মাষ্টারগুলোই হচ্ছে আমাদের আজকের সমাজের পরিমল, পান্নালাল সহ আরো নাম না জানা অনেক।
তাদের আসলে ধিক্কার জানানো ছাড়া আর কিছু নাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.