![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি এখনও পড়াশুনা করছি। তার সাথে বেশ কিছু দিন ধরে লেখালেখির সাথে যুক্ত আছি। বাবা মায়ের ছোট ছেলে। ঘোরাঘুরি এবং খাওয়া দাওয়া করতে বেশ পছন্দ করি।
ঢাকা শহরের ব্যাচেলর দের জীবন সবচেয়ে বৈচিত্রময় হয়। প্রথমেই বাসা খুঁজে পাওয়ার ব্যাপার। একদল আপদ কেউ ঘরে আনতে চায় না।
তারা ঠিকমত ভাড়া দেয় না সময়মত। তারা একটা সিগারেট ৫ জনে খায়, ভাড়া কিভাবে দেবে?
রাত বিরাতে বের হয়, ঢোকে অনকে রাতে। একজন ব্যাচেলরের দশজন বন্ধু নয়তো আত্মীয়ের যাতায়াত তো কমন।
ব্যাচেলররা কিন্তু সাশ্রয়ী। তারা পানি অপরচয় করে না। গোছল করেনা প্রগৈতিহাসিক যুগ থেকে।
জামার ধোয়ার তেমন প্রয়োজন নেই। তিন দিন ঠিক ভাবে পড়ে, বাকি তিন দিন জামাটা উল্টো করে পড়লেই হয়ে যায়।
এক সাবানে সবার হয়ে যায়। অনেকের দুইটা টুথব্রাশে সাতজনের দাত মাজা হয়ে যায়। সবাই ভাবে এটাই আমার টুথব্রাশ।
বুয়া সাধারনত এক্সপেরিমেন্টাল রান্না করতে ব্যাচেলর দের বাসায় আসে। ধরুন আজ বৃষ্টি, খিচুরি রাধতে বললেন। সেই খিচুরি গুলো ইটের টুকরোর মত চাক্কা চাক্কা। গলা দিয়ে নামবে না।
রাতে সারা রাত কথা বলা রুমমেটের প্যারা খেতে হয়। নতুন স্কাইপ ভাইবার ব্যবহারকারী সাউন্ডবক্সে ল্যাপটপ লাগিয়েও কথা বলে।
উপরের তালার মেয়েটা বেশি সুন্দর না নীচের তালার ? এটা ভাবতে ভাবতে
এমন সময় রব ওঠে, উপরের ব্যাচেলর দের ফ্লাটে মেয়ে দেখা গেছে। অনেক অনুসন্ধান করার পর খোঁজ পাওয়া যায়, এটা নতুন বুয়া।
এক জামা বারো দিন পড়া পোলাপান আর এক টুথব্রাশে সবাই দাত মাজা পোলাপানের কাছে মেয়ে?? ব্যাপার টা রূপকথা।
এদের এক কাঁথায় তিনজন হয়ে যায়। রাতে কে কাকে জড়িয়ে ধরে ঘুমায় কেউ জানে না, জানতেও চায় না। কিছু কথা থাকনা গোপনে....
প্রেম হইছে? ব্রেক আপ ? ফেল করছোছ ? চল গলা ভিজাই..... সবাই একযোগে তাকায়। আমতা আমতা করে তখন বলা হয়, কোক কিংবা পেপসি দিয়ে.... পানি দিলেও হবে।
আর এই ব্যাচেলর ফ্লাটে সব কিছুই এশট্রে। গোল যে কোন কিছু। একবার মাউসের উপরের খাপ খুলে যাওয়াতে ওটা এশট্রে হয়ে গিয়েছিলো। খাটের চিপা, জানালা দিয়ে যে কোন জায়গায় এ্যাশ ফালানো যায়। পানির জগ... মগ....
অনেকের পানির মগ শুরুতে থাকলেও এখন জগ দিয়ে সরাসরি খায় পানি। মগ গ্লাস এখানে না রাখাই উত্তম।
পরীক্ষার আগের রাতে টুয়েন্টিনাইন জমে বেশি। আর একজন অবশ্যই থাকে যে সবচেয়েবেশী বায়ুদূষন করে। একজন বেশি খায়। সে পারলে হাড়ি পাতিল চিবিয়েও খেয়ে ফেলে।
আর বাথরুমের প্রায় সব কিছুই বিকল, কমোডের ফুটো ছাড়া, মাঝে মধ্যে ওটাও আটকে যায়। মগের কিনারা ফাটা থাকা আবশ্যক। বাথরুমের স্যান্ডেল শুরুতে থাকলেও পরে সেটা পড়ে কেউ ক্লাসে চলে যায়।
ছেলেগুলো বেশিরভাগই কিপটা। চায় বিড়ি খেয়ে দোকান থেকে আগে চলে আসে। নাইলে ১ হাজার নিয়ে বলে , ভাংতি তো নাই। অনেকে পারলে ভিসা মাস্টার কার্ডও বের করে ফেলতে পারে, অবাক হবার কিছু নেই।
মাসে একবার দেন দরবার হয়। সালিশে বড় ব্যাচেলর সব ঠিকঠাক করিয়ে বুক মিলিয়ে দেন। তারপর শুতে গিয়ে তার বালিশ কোন হারামজাদা নিছে তা নিয়ে কেওয়াজ করেন।
এই সব ফ্লাটে একটা জিনিষ অনেক। হেডফোন, চার্জার, মাল্টিপ্লাগ। তার আর তার চারিদিকে।
মোটা মোটা বই পড়ার জন্য কেনা হলেও পরবর্তীতে তা ল্যাপটপের নীচে দেয়ার কাজে ব্যবহৃত হয়। আর আরেকজনের ল্যাপটপে উল্টা পাল্টা জিনিষ দেখে ভাইরাস পূর্ন করার পর কিছু জানি না ভাব নিয়ে ঘোরা ফেরা করে।
সবাই পানি খায় ঠিকি, কিন্তু কেউ পানি ভরে না। আর একজন কখনই সিগারেট খায় না। সে কেউ সিগারেট ধরালে তার মুখের দিকে তাকিয়ে বসে থাকে। অত:পর সে বাকিটা টানে।
আর মাসের ২০ দিন খাবারে ডিমের তরকারি থাকে। বাকিটা আল্লার ইচ্ছা। সাথে পাইনা ডাল। কেউ প্লেট পায়, কেউ পাতিল পায়, কেউ অপেক্ষা পায় যে কখন কারো খাবার শেষ হবে।
তারপর..... একদিন শেষ হয় সবকিছুর। পাখিরা ফিরে যায় নিজ নিজ নীড়ে। পরে থাকে সেই এ্যাশট্রে। দেয়ালে সাটানো বব মার্লে কিংবা চে।
১৮ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১:৩২
কাল্পনিক আমি বলেছেন: ধন্যবাদ
২| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৩:৩৩
অন্যসময় ঢাবি বলেছেন:
১৮ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১:৩৩
কাল্পনিক আমি বলেছেন:
৩| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৫ ভোর ৪:২৯
কামরুল হুদা বলেছেন:
৪| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৫ ভোর ৫:০৭
মেহেদী_বিএনসিসি বলেছেন: সবই দেখি মিল্লা গ্যাছে..........তয় সেই আগোছালো, নোংরা আর স্বাধীন জীবন যে কতোটা সুখের ছিলো......সেটা এখন আমার সাজানো গোছানো এ্যাপার্টমেন্টে বসে টের পাই........
১৮ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১:৩৪
কাল্পনিক আমি বলেছেন: মেহেদি ভাই, আসলেই সেই জীবন সবাই মিস করবে,
©somewhere in net ltd.
১|
১৭ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৩:১১
ব্লগার মাসুদ বলেছেন: সুন্দর লেখছেন ।