![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি এখনও পড়াশুনা করছি। তার সাথে বেশ কিছু দিন ধরে লেখালেখির সাথে যুক্ত আছি। বাবা মায়ের ছোট ছেলে। ঘোরাঘুরি এবং খাওয়া দাওয়া করতে বেশ পছন্দ করি।
আজ থেকে ঠিক আট বছর আগে আমি এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে পাশ করে আজ এই অবস্থানে আছি। আমাদের সময়ে এত ভাল ফলাফল করা বেশ কষ্টকর ছিল। তার উপরে আমি ছিলাম আবার গ্রামের ছেলে। ঠিক মত সব কিছু পড়তে পারি নাই। আমাদের গ্রামে তখন এক শিক্ষক ২-৩ টা বিষয়ের উপর ক্লাস নিতেন। ঠিক মত ছিল না কোন ল্যাব। কোন রকম তখনকার সময়ে জিপিএ ৫ পেয়ে পাস করি। আমাদের থানা শহরে আমি সহ মাত্র আমরা ৫ জন জিপিএ ৫ পাই। আমাদের স্কুল এ আমি একা পাই। তবে এই জন্য আমি আমার পরিবারের কাছে বেশ কৃতঞ্জ। সেই সময় আমাদের বেশ দাম ছিল সেটা যখন কলেজ এ ভর্তি পরীক্ষা দিতে গেলাম। আমি ঢাকা শহরে একটা কলেজ এ চান্স পেলাম। কিন্থু থাকার জায়গা না থাকার কারনে ভর্তি হলাম একটা সরকারি কলেজ এ। তারপরে সেখান থেকে কোন রকম পাস করি ঢাকা শহরে আসি। তারপরে বিভিন্ন ইউনিভার্সিটি তে ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে শেষ পর্যন্ত ভর্তি হলাম জাবি তে।
কিন্থু আজ এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল দিল। সেখানে বেশ কয়েক বছর ধরে দেখতে পাচ্ছি লাখ লাখ জিপিএ ৫ পাচ্ছে। তারা আবার সৃজনশীল পরীক্ষা দিয়ে পাশ করছে। তার উপরে আবার পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস হয়ে যাচ্ছে। আর আমাদের সরকার বিভিন্ন উপায়ে সেটা বন্ধ করার চেষ্টা করছে। আদৌ তারা সেটা করতে পারছে কিনা আমার আসলে জানা নেই! বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে আমার আসলে কিছু বলার নেই।
এই শিক্ষা ব্যাবস্থা যেমন ভাল কিছু খারাপ কিছু আছে। আসুন এইবার তার কিছু বিশ্লেষন করিঃ
আমাদের সময়ে আমরা যারা জিপিএ ৫ পেয়েছি তারা অনন্ত পক্ষে কিছু শিক্ষা হলেও পেয়েছি। তার কারন হল আমাদের সময় তেমন কোন ভাল শিক্ষক ছিল না। না ছিল ভাল শিক্ষা ব্যবস্থা। আমরা অনেক সময় দেখা গেছে নিজেদের সমস্যা আমরা নিজেরা সমাধান করে ফেলেছি। আমাদের সময় আমরা মোবাইল কি জিনিস সেটা মনে হয় একটু জানতাম। কিন্থু ব্যবহার করতে পারতাম না।
আর এই সময়ে সেটা দেখা যায় ক্লাস ৮-৯ ইন্টারনেট এর ব্যবহার করতে জানে। আমাদের সময় হয়ত নকল বলে একটা জিনিস ছিল। সেটা হতে পারে ৫০% লাগত। কিন্তু বর্তমানে এই ইন্টারনেট এর যুগে সবাই হাতে হাতে প্রশ্ন পেয়ে যায়। যারা প্রশ্ন পেয়ে পরীক্ষা দেয় তারা আসলে কতটা শিখতে পারে সেটা আমি আমাদের শিক্ষামন্ত্রির কাছে জানতে চাইব?
আমি এটা মানতে পারি আমাদের সময়ে আমরা যে পরিমান ছাত্র বা ছাত্রী বিঞ্জানে পরীক্ষা দিতাম তার চেয়ে অনেক কম পরীক্ষা দিত আমাদের পরবর্তী সময়ে। কিন্থু সরকার ও বিভিন্ন কিছু বেসরকারি উদ্দ্যেগে তার পরিমান কিছুটা বেড়েছে।
আমি আশা করি এই সংখ্যাটা ভবিষৎ এ আরো বাড়বে। বিঞ্জানের ছাত্র আরো বাড়বে।
এই ১০০% পাস কিংবা এত লাখ লাখ জিপিএ ৫ ধারীকে আমরা কোথায় স্থান দিতে পারি আমাদের এই ছোট দেশে।
আমরা একটা উদাহরণ দেখিঃ
প্রতি বছর ক্যাম্ব্রিয়ান কলেজ বলে তাদের ১০০% শিক্ষাথী পাস করে। তারা আসলে পাস করে কি করে সেটা আসলে দেখা যায় কি? তাদের একটা ছেলে মেয়েকে কি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এ ভর্তি হতে পারে? না তারা তাদের এই দুইখানা গোল্ডেন জিপিএ ৫ নিয়ে শেষ পর্যন্ত ভর্তি হয় কোন একটা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় এ।
যাই হোক আমাদের দেশে এই জিপিএ ৫ এর পরিমাণ না বাড়িয়ে শিক্ষার মান এর উন্নয়ন করতে হবে। আর তা না হলে কোন লাভ হবে বলে মনে হয় না।
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা জুলাই, ২০১৫ রাত ৮:৩৭
আবির আহমেদ খান বলেছেন: হুম,,,,, ঠিক!!!!!