নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কালপুরুষ

একদম সাধারণ একজন মানুষ ।

কালপুরুষ ও চারুলতা

একদম সাধারণ একজন মানুষ ।

কালপুরুষ ও চারুলতা › বিস্তারিত পোস্টঃ

বি এ এফ শাহীন কলেজে বিমান বাহিনীর যোগসাজশে কলেজের ইতিহাসে নিকৃষ্টতম দুর্নীতি চলছে

২৬ শে জুন, ২০১২ রাত ১১:১৪

এস এস সি পাস করার পর শিক্ষার্থীদের এখন প্রথম লক্ষ ভালো একটি কলেজে ভর্তি হওয়া । কিছু কিছু কলেজে ভর্তিও শুরু হয়েছে । যেমন শুরু হয়েছে বি এ এফ শাহীন কলেজ, তেজগাঁও, ঢাকায় । যথাযথ ভাবে টাকা জমা দেওয়ার পরে যখন শিক্ষার্থীরা ভর্তি ফর্ম জমা দিতে গিয়েছে, তখন অফিস থেকে বলা হয়েছে কলেজ বুকস্টল থেকে সব বই-খাতা না কিনলে ভর্তি ফরম জমা নেয়া হবেনা । এদিকে শিক্ষার্থীরা ভর্তির সমস্ত টাকা ব্যাংকে পরিশোধ করেছে । এখন বুকস্টল থেকে বলা হচ্ছে, সমস্ত বই-খাতা সেখান থেকে কিনতে হবে, না হলে রিসিপ্ট দেয়া হবেনা এবং বুকস্টলের রিসিপ্ট না দিলে ভর্তি ফরম জমা নেয়া হবেনা । অনেকেরই আগে থেকে বই কেনা আছে অথবা যোগাড় করা আছে । তাদেরও আবার করে সব বই-খাতা কিনতে হবে । যাদের পকেটে টাকা আছে, তারা বই আবার করে কিনছেন । কিন্তু মধ্যবিত্তরা পড়েছেন বিপদে । এতবড় একটা অর্থের অপচয়ের বোঝা তারা বহন করতে পারছেন না । এদিকে ভর্তির জন্য অনেক টাকা দেয়া হয়ে গেছে । সে টাকা বাঁচাতে এখন আরও টাকা খরচ করতে হবে । আর এই ঘৃণ্য কাজটা তদারক করছেন বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একজন অফিসার খোদ কলেজ বুকস্টলে বসে । তিনিই রিসিপ্ট লেখেন এবং সেই রিসিপ্টই জমা দিতে হয় । শিক্ষার্থীদের তিনি সমস্ত বই-খাতা না কিনলে রিসিপ্ট দেন না । কিছু কিছু অভিভাবক দেন-দরবার করে অল্প বই কিনে রিসিপ্ট হাতে পেয়েছেন । কিন্তু শিক্ষার্থীদের কোন ছাড়ই দেয়া হচ্ছেনা । একবার চিন্তা করেছেন সেই ছেলেটির কথা, যে গ্রাম থেকে শুধু ভর্তির টাকা হাতে এসেছে ঢাকা শহরে । হয়তো তার বাবাকে এখন মহাজনের কাছ থেকে আরও চড়া সুদে ঋণ নিতে হবে । তাতে শাহীন কলেজ কর্তৃপক্ষের কিছু যায় আসেনা । ভাবা যায়, ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের মধ্যে এমন দুর্নীতি প্রকাশ্যে চলছে । অবশ্য খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এই বুকস্টল পেতে নাকি অনেক টাকা -পয়সা খরচ করতে হয় । বিমান বাহিনী টাকা নিয়েছে, তাই তারাই অফিসার লেলিয়ে দিয়ে নিজেদের ঘুষ বৈধ করছে । আজ একজন বিমান বাহিনীর অফিসারকে দিয়ে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে জোর করে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ টাকা আদায় করা হচ্ছে । কাল যদি এই অবৈধ টাকার ভাগ নিয়ে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে মিউটিনি হয়, তাহলে তার দায়িত্ব কে নিবে । বি ডি আর বিদ্রোহের পর আমাদের কি একটুও লজ্জা হয়নি ? আর বি এ এফ শাহীন কলেজের এতদিনের গৌরব বিমান বাহিনীর কিছু প্রতারক নষ্ট করে দেবে ?



সবশেষে মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছে বিনীত নিবেদন, তিনি যেন দেশের গর্ব বাংলাদেশ বিমান বাহিনীকে এইসব বিতর্কিত কর্মকাণ্ড থেকে ফিরিয়ে আনেন । আর মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীর কাছে আবেদন, তিনি যেন শাহীন কলেজের এইসব প্রতারকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেন ।

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে জুন, ২০১২ রাত ১১:৩৮

খান মেহেদী ইমাম বলেছেন: কলেজ এর শিক্ষার সাথে দুর্নীতি ও শিক্ষা দেয়া হচ্ছে। আমাদের স্বাধীন বাংলায় দুর্নীতি শিক্ষা বাধ্যতামুলূক।

২| ২৭ শে জুন, ২০১২ রাত ১২:০৪

কুড়েঘর বলেছেন: হায় হায়.! আমার কলেজে এই অবস্থা!!

৩| ২৭ শে জুন, ২০১২ রাত ১২:১২

সাকিন উল আলম ইভান বলেছেন: আর্মির গুলা দেখি চোরামিতে আরো এককাঠি সরেস ।

৪| ২৭ শে জুন, ২০১২ রাত ১:১৪

নূরুল হুদা (শান্ত) বলেছেন: আমি প্রোটন ও জেনিথ গ্রুপে ছিলাম

৫| ২৭ শে জুন, ২০১২ বিকাল ৪:৫১

নিশাচর২৮ বলেছেন: আজব !!

৬| ০১ লা জুলাই, ২০১২ বিকাল ৩:১৭

জানকিরান বলেছেন: আমি ও শাহীনের ছাত্র। হালার অনেক খারাপ।

৭| ০১ লা জুলাই, ২০১২ বিকাল ৩:৩৬

মাহবু১৫৪ বলেছেন: কি আর বলবো!! যেই কলেজে স্কুল জীবন শেষ করেছি সেই কলেজের এরকম দুরাবস্থার কথা শুনে খুব খারাপ লাগছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.