![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
'চারিদিকে সৃজনের অন্ধকার র'য়ে গেছে নারি অবতীর্ণ শরীরের অনুভূতি ছাড়া আরও ভালো'
খালেক ডাক্তার বসে বসে গনগনে আগুনে ইনজেকশনের সূই গরম করছেন। খেলার মাঠের পশ্চিম প্রান্তে পাকুড় গাছের নিচে বসেছেন তিনি। তার মুখের প্রতিটি পেশী শক্ত হয়ে আছে। তাকে দেখেই আমাদের রাত্মারাম খাঁচাছাড়া। স্কুলের চারদিকে থৈথৈ পানি। রাস্তাঘাট ডুবে গেছে। পালানোর মতো কোন স্থলভাগ নেই। বাঁচার একমাত্র রাস্তাটা আগলে বসে আছেন খালেক ডাক্তার নিজে। উপায়ান্তর না দেখে স্কুল ঘরের উত্তরের বেড়ার ভাঙ্গা ফাঁক গলে পানির মধ্যে দিলাম ঝাঁপ । লক্ষ্য একদেড়শ গজ দূরে একটি কাঁটাবেতের ঝোপ। অনেক চেনা এই ঝোপে একবার পৌছতে পারলে আর কে পায়। কিন্তু পানি ভেঙ্গে যতই ঝোপের দিকে এগুচ্ছি ততই ডুবে যাচ্ছি।
এদিকে পালানোর খবর পেয়ে প্রধান শিক্ষক সিরাজ স্যার আমাকে ধরে আনার জন্য দুই ক্লাস সিনিয়র সফু ও হায়দার ভাইকে পাঠিয়েছেন । তারা হা-রে-রে করতে করতে তেড়ে আসছেন আমার দিকে। আর আমি যত এগুচ্ছি ততই ডুবে যাচ্ছি। শেষ পর্যন্ত তাদের হাতে ধরা পড়ে গেলাম। তারা চ্যাংদোলা করে আমাকে ডাক্তারের সামনে নিয়ে এলেন। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজনকে টিকা দেয়া হয়েছে। স্কুলের নানা প্রান্ত থেকে তাদের গোঙানির আওয়াজ আসছে। আমি ততক্ষণে আধমরা।
আমি ডাক্তারের মুখের দিকে তাকালাম। তার চোখ দুটি জ্বলজ্বল করছে। সারামুখে পোলাপানগুলোরে নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচানোর কৃতিত্বের আভা। সেখানে খেলা করছে গৌরব। সেই গৌরবের কাছে আমি আত্মসমর্পন করলাম। ডাক্তার তপ্ত সূই দিয়ে খুচিয়ে খুচিয়ে টিকা দেবার কাজ শেষ করলেন। এরপর টানা তিনদিন জ্বর। টিকার স্থানটি ফুলে ডোল। অতঃপর ঘা। খালেক ডাক্তার মারা গেছেন সেই কবে। আমার ডানহাতে এখনো রয়ে গেছে টিকার দাগ এবং ভয়ংকর স্মৃতি। আশির দশকের মাঝামাঝি পর্যন্ত যারা এ পদ্ধতিতে পোলিও, যক্ষ্মাসহ মারাত্মক বেশ কয়েকটি রোগের টিকা নিয়েছেন তাদের হাতে এক বা একাধিক দাগ আছে। বিশ্বাস না হলে একবার পরখ করে দেখুন সত্যি কি-না।
২২ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:২৮
শ্যামল নওশাদ বলেছেন: আশা করি স্মৃতির আয়নায় সব প্রতিবিম্ব হচ্ছে। ভালো থাকবেন।
২| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:২১
নেক্সাস বলেছেন: টিকার দাগ আমারো আছে। আমাদের সময় প্রাইমারি স্কুলে এস দিত। টিকাওয়ালা ডাক্তার যখন আসলো আমি তো স্কুলের বেড়া ভাইঙা দৌঁড়। পড়ে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে দিছিল।
২২ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৩০
শ্যামল নওশাদ বলেছেন: টিকাওয়ালা ডাক্তার যখন আসলো আমি তো স্কুলের বেড়া ভাইঙা দৌঁড়।
সবার ঘটনা প্রায় একই। ধন্যবাদ।
৩| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:২৩
*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: স্মৃতি পিপিলিকা...... বেশ মজা পেলাম।
২২ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৩১
শ্যামল নওশাদ বলেছেন: সব মনে পোড়ে গেল? ভাল থেক মামা।
৪| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:২৪
মাহমুদুল হাসান কায়রো বলেছেন: টিকার দাগ আমারও আছে কিন্তু অনেক ছোট।
মামাদের দেখতাম অনেক বড় বড় দাগ।
২২ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৩২
শ্যামল নওশাদ বলেছেন: এটা কিন্তু মামাদের সময়ের গল্প।
৫| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১১
সাহিদা আশরাফি বলেছেন: আমার আব্বু আম্মুর হাতেও এমন বড় বড় টিকার দাগ আছে।
২২ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০২
শ্যামল নওশাদ বলেছেন: কী মজা না?
৬| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২২
দেবদাস. বলেছেন: টপিক পরে মাত্র বাম হাতে খেয়াল করলাম , আমার ও আছে
২২ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৪
শ্যামল নওশাদ বলেছেন: হা হা হা!!!!!!!!!!!!!!!!!
৭| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৮
এ্যাংগরী বার্ড বলেছেন: "স্কুলের নানা প্রান্ত থেকে তাদের গোঙানির আওয়াজ আসছে। আমি ততক্ষণে আধমরা।" -- দারুন এক্সপ্রেশন, হা হা হা। আমারও আবছা আবছা মনে পড়ে।
সুন্দর লিখেছেন।
২২ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৬
শ্যামল নওশাদ বলেছেন: ধন্যবাদ এ্যাংগরী বার্ডকে। আশা করি সব সময় সঙ্গে থাকবেন।
৮| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৮
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: টপিক সেটা কি
৯| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৯
শ্যামল নওশাদ বলেছেন: পরিবেশ বন্ধু
আপনার কথা বুঝতে পারিনি।
১০| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫০
কালোপরী বলেছেন: এমন ভয়ংকরভাবে কেউ টিকা দিসে বলে মনে পড়ে না
বাবারে বাইচা গেসি
২২ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৫
শ্যামল নওশাদ বলেছেন: হ্যা। আপনারা অবশ্যই এই বিপদের মুখোমুখী হননি। ভালো থাকুন।
১১| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:২৮
বর্ণ অনুচ্ছেদ বলেছেন: আমিও দেখি প্রতিদিন
২২ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:১০
শ্যামল নওশাদ বলেছেন: বর্ণের হাতে রেখাটি স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি।
১২| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:১৪
মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: আমি আমার জীবনেও টিকা দেই নাই
২২ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:১৩
শ্যামল নওশাদ বলেছেন: মাসুম ভাই বাইচা গেছেন।
১৩| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৪৫
দৃঢ় মানুষ বলেছেন: মজা পেলাম
২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৭:০২
শ্যামল নওশাদ বলেছেন:
১৪| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:২২
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: অভিজ্ঞতা ভালো লাগলো।
শুভেচ্ছা।
২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:১৮
শ্যামল নওশাদ বলেছেন: দেখার জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:১৪
রেজোওয়ানা বলেছেন: হু, আমারও আছে!