![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মধ্যবিত্ব মানসিকতার চলন্তবিগ্গাপন এই আমি ।নিজেকে নিয়ে বলার মত কোন কিছুই নেই।সাধারণ মানুষের আজীবন যে স্বপ্ন,নিশ্চিত ভবিষৎ,আমার চাওয়া পাওয়ার স্বপ্নটা ও এরকম ।
ঘরকুনোর দূর্নাম মাথায় নিয়ে ও ঘরে বসে থাকতেই ভাল লাগে।
বেশীরভাগ মানুষই 'ফ্যানাটিক' হয় তার স্বভাবগত বা জন্মগত দোষে।এই জিনিসটা তার চরিত্রের মধ্যেই থাকে,ধর্মকে ব্যাবহার করা হয় তার কর্মকান্ডগুলোকে জায়েয বা মহিমা মন্ডিত করার জন্য।
একজন চরমপন্থী হিন্দুর ঘরে জন্মালে হয় 'শিব সেনা' আর মুসলিম ঘরে জন্মালে হয় 'আল-কায়েদা'।
একজন সন্ত্রাসী সে স্বভাবগত ভাবেই সন্ত্রাসী,তাকে সুযোগ দেয়া হলেই সে অপরাধে লিপ্ত হবে।এরা কখনো ছাত্রলীগ নামের ঢাল নিয়ে রাস্তায় নামে আবার কখনো ছাত্রদল বা শিবির নাম নিয়ে।এরা নিজেদের নোংরামি,অপকর্ম এবং স্বার্থের জন্য 'পার্টি' কে ব্যাবহার করে আর পার্টি ও নিজেদের নোংরামি চালু রাখার জন্য এদেরকে ব্যাবহার করে।অনেকটা-'তামাক আর ফিল্টার দু'জনে দু'জনার' টাইপের।
এরা আওয়ামিলীগ,বি.এন.পি কিংবা জামায়াত কোনটাই না এদের প্রধান পরিচয় হল এরা সন্ত্রাসী।
অত্যাচারের শিকার হওয়া মানুষেরও কোন দল-ধর্ম-জাতি থাকেনা।বিশ্বজিৎ হিন্দু কি মুসলিম সেটার চেয়েও বড় পরিচয় হচ্ছে সে অন্যায়ের শিকার হওয়া একটি অসহায় ছেলে।তানভীর আহমেদ ত্বকী আওয়ামিলীগ নাকি বি.এন.পি সেটার চেয়েও বড় কথা হল সে অন্যায় ভাবে নির্মমতার শিকার।তাদেরকে প্রথমে মানুষ এবং তারপরে বাংলাদেশী হিসেবে বিবেচনা করে প্রচলিত আইনেই বিচার করা যায়।
সচেতন কিংবা অবচেতন ভাবে সংখ্যালঘু শব্দটা ব্যাবহার করে আমি-আপনি নিজেদের মাঝেই একটা বিভাজন রেখা সৃষ্টি করে যাচ্ছি।যাদেরকে উদ্দেশ্য করে এই শব্দটা ব্যাবহার করছি ব্যাপারটা তাদের জন্য মোটেও সম্মানজনক নয়।আমি মুসলিম হয়েও যে পরিমানে বাংলাদেশী অন্যরা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রীষ্টান কিংবা চাকমা হয়েও সেই একই পরিমানে বাংলাদেশী।ন্যায় বিচার সবারই প্রাপ্য।
মন্দির কিংবা মসজিদ যাই পোড়াকনা কেন,বিশ্বজিৎ কিংবা ত্বকি যাকেই খুন করা হোকনা কেন;এটাকে জাতি-ধর্ম-দল কোন বিশেষনে বিশেষায়িত না করেই বিচার চাওয়া যায়।
মানুষকে শধুমা্ত্র ভাল এবং খারাপ এই দুই ভাগেই ভাগ করা যায়,অন্য যে কোন ধরনের বিভক্তি কোনভাবেই গ্রহনযোগ্য নয়।
২| ২১ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ২:৩২
ফ্রিঞ্জ বলেছেন: ঘুরায়ে বলিঃ
বেশিরভাগ মানুষের ভালোবাসা খুব সীমিত
প্রথমত সে নিজেকে ভালবাসে
তারপর সে তার পরিবার/স্বজন দের ভালবাসে
যাদের স্টক এ আরেকটু ভালোবাসা আছে সে তার সাথে মিল খায় এমন মানুশকে ভালোবাসে (যেমন রাজনৈতিক মিল / ধর্মীয় মিল / এলাকার মিল / গায়ের রঙ এর মিল / স্কুল কলেজ এর মিল )
এরপর বেশিরভাগ মানুষের ভালোবাসে শেষ হয়ে যায়। বাকিদের অন্যধর্মের / অন্যদলের / অন্যদেশের মানুষ বলে ঘৃণা করতে চায়।
জন্ম থেকে ট্রেনিং দিলে মনে হয় এইটা ঠিক করা সম্ভব। বেশিরভাগ বৌদ্ধরা তো পারে। ওদের ভালোবাসা দেখি পোকামাকড় পর্যন্ত বিস্তৃত।
৩| ২১ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:৪৩
সাধারন বলেছেন: কেন,আপনার থিউরি কি এইডার লগে মিলেনা?
ফ্রিন্জ(ভাইরে,আপনার নিক এর বানানটা লিখতে পারতেসিনা), ঠিকই বলসেন,জন্ম থেকে ট্রেনিং দিলে হয়তোবা সুফল পাওয়া যেতে পারে।তারপরও চরিত্রগত একটা ব্যাপার মনে হয় থেকেই যায়-নাইলে কিছুদিন আগে মায়ানমারে এই ধরনের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হতোনা।
©somewhere in net ltd.
১|
২১ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ২:২৪
বাংলার হাসান বলেছেন: একজন চরমপন্থী হিন্দুর ঘরে জন্মালে হয় 'শিব সেনা' আর মুসলিম ঘরে জন্মালে হয় 'আল-কায়েদা'। এই থিউরি কই পাইলেন?