![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মাথার ভিতর বেশ কয়েকটি বিষয় কিল বিল করছে............ শেয়ার না করে যে পারলাম না।
** বাংলাদেশ দেশ থেকে যে সকল পেইজ বিশেষ করে পার্টিকুলার মত ও দলের মুখপাত্র হিসেবে কাজ করে তাদের এডমিন গুলোকে আমার মানুসিকভাবে অসুস্থ মনে হয়। '১৮ দলীয় জোট' নামে একটি পেইজ এর স্টাটাসে দেখলাম শামীম ঊসমানের হেফাজতে ইসলাম এর নং মার্চ এ সমর্থনে একটি মিটিং। ঐ স্টাটাসে একটি বাক্য পড়ে আমিতো টাস্কি খাইলাম। ফেইসবুকে এইসব মস্তিষ্ক বিকৃতরাও লাইক শেয়ার পায়? শামীম ঊসমানের ঐ সমর্থন দেখে স্টাটাস দাতার হযরত উমর রাঃ এর ইসলাম গ্রহনের কথা মনে পড়ে গেল! কতবড় টাল হলে এইরকম স্টাটাস কেউ দিতে পারে সে ভাবনা আর ভাবছিনা......।
Click This Link
** 'টিনের চালে কাক, আমিতো অবাক' এই পেইজ এর সট্যাটাস পড়ে যে কোন ভদ্র লোকের ই মুখে অশ্লীল গালি চলে আসার সম্ভাবনা স্বাভাবিক। প্রজন্ম চত্বরের মৌলিক দাবীর প্রতি সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক আবেগ কে তারা ধরে নিয়েছে তাদের সকল চিন্তা, কর্ম কান্ডের প্রতিও সাধারণ মানুষের সমর্থন রয়েছে। তারা ভুলে যায় তাদের অবস্থান। 'বাশের কেল্লা' আর তাদের মধ্যে যে বিষয় বস্তু ছাড়া গুন গত কোন পার্থক্য নাই সেটা বুজতে পিএইচডি লাগেনা, হাই স্কুল পাশ দিলেই চলে। 'বাসের কেল্লা' ধর্মীয় ব্যাপার সামনে এনে যেমন মাথা ধুলাই দেয় তেমনি 'টিনের চালে কাক, আমিতো অবাক'রাও মুক্তিযুদ্ধ আর স্বাধীনতার পক্ষ বিপক্ষ নিয়ে চাপাবাজি করে সহানুভূতি আর মানুষ কে বিভ্রান্ত করতে সকল কুটিলতাই তারা প্রয়োগ করে। মিথ্যা আর নিজেদের প্রপাগান্ডা করতে গিয়ে মাজে মধ্যে বাশের কেল্লাকেও শত মেইল পিছনে ফেলে দেয়। তবে গত কিছুদিন থেকে এই পেইজ থেকে বেগম জিয়া কে সরাসরি ইঙ্গিত করে যে সকল পোষ্ট দিচ্ছিল তাতে আমার মনে হয়েছে এই পেইজ এর এডমিনরা আর যাই হোক কোন ভদ্র পরিবারে সন্তান নয়। আর গত দুদিন থেকে এই পেইজ থেকে আল্লাম শফি সাহেব কে নিয়েও এই পেইজ চরম অবজ্ঞা করছে। মৌলবাদী, হেফাজতে জামাত তো বলছেই সাথে সাথে উনাকে ব্যাক্তিগতভাবে মুনাফিক আখ্যা দিতেও মুখে আটকাচ্ছে না। এখন আমি নিশিচত কোন ভদ্র বাঙ্গালী (মুস্লিম কিংবা অমুসলিম) পরিবারের ছেলে বা মেয়ে) এই পেইজ এর সাথে নেই। আরে বাবা তোমার মতের সাথে মিল না তাহলে আমাকে গালি দিতে হবে। আর আমাদের সমাজ বিজ্ঞানীরাতো এদের পরিচয় অনেক আগেই দিয়ে গেছেন যারা অন্যকে গায়েল করতে অশ্লীল বাক্য আর গালি ব্যাবহার করে। এরা হচ্ছে তারা যারা মূল উৎপাঠিত, শিখড়হীন, কচুরিপানার মত অবস্থান সমাজের মধ্যে। এর বেশি কিছু বলার রুচি আসলেই আমার নেই এদের প্রতি।
**** একটা প্রবণতা দেখছি কিছু মুখ পরিচিত 'সামাজিক যোগাযোগ' ব্যাক্তিদের মধ্যে। একটা গা বাঁচানোর প্রবনতা। এতদিন যারা সজ্ঞানে, স্ববোধে, অতিউৎসাহী হয়ে বর্তমান সরকারের চাটুকারীতা করেছেন, তাদের অপকর্মের প্রতি সমর্থন দিয়েছেন, দেখেও না দেখার ভান করেছেন, সত্যকে স্বীকার করার প্রতি দেখিয়েছেন অস্বাভাবিক নির্লিপ্ততা আজকে তারাই বলছেন,' আমারা জানতাম আওয়ামীলীগ এইরকম করবে, গাছে তুলে মই কেড়ে নিবে, আওয়ামিলীগ কে চিনে রাখলাম, তাদের অপকর্মকে মেনে নেইনি' ইত্যাদি ইত্যাদি; তখন তাদের এই বর্ন চোরা স্টাইল আর স্টাটাস দেখে এই বরফ শীতল দিনেও বেশ উষ্ণতা বোধ করি। বিনা গ্যাস ইলেকট্রিক খরচে এই উষ্ণতা আসলেই তুলনাহীন। অন্য অনেকের সব স্ট্যাটাস পড়ার সুযোগ হয়না, তবে কিছুদিন যাবত নিজুম মজুমদারের স্টাটাস গুলো পড়ি মনেযোগ দিয়ে। আর যাই হোক এ দেশে থেকে আমাদের দেশের প্রচলিত চিন্তা ভাবনা থেকে হয়ত উনার চিন্তা ভাবনা একটু ভিন্ন হবে, কিন্তু না যে চর্বন একবার উনি শুরু করেছেন, সেই চর্বিত চর্বন ই এই শীতের দেশে এসেও চালিয়ে যাচ্ছেন, ‘লন্ডনী’ স্টাইলে। এখনো উনারা মাদ্রাসা শিক্ষা কে জঙ্গি উৎপাদনের উর্বর ক্ষেত্র হিসেবেই দেখেন। ধর্মীয় অনুভূতির বাহ্যিক চরম প্রকাশ কে দেখেন মৌলবাদির উথ্বান কে। আমার হাসি পায় এদের চিন্তা ভাবনার গোড়ামি দেখে। এরা এখনও রয়ে গেছেন সেই একই কাসুন্দি গাওয়াতে । অবশ্য এর বাহিরে গিয়ে কোন কাসুন্দি গাওয়ার মোলিক কোন সৎ ইচ্ছা আছে কিনা সেটাও ভাবার বিষয়। তবে একটা ব্যাপার উনাদের বলতে চাই, যদি বেয়াদবি না নেন, আপনারা ছলে, কৌশলে, কথার মার প্যাচে, যেভাবেই ইসলামিক এই সংগবদ্ধতাকে ‘মৌলবাদ’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন না কেন, এই মৌলবাদ থাকবেই, অন্তত আপানাদের মত বর্নচোরা ব্লগার আর ‘মুক্তমনারা’ থাকবেন।আপনারা তাদের হাতে তীর তুলে দিবেন আর তারা সেটা হাতে করে সাজিয়ে সুজিয়ে আয়জন করে নৌ বিহারে যাবেন সেটা নিশ্চই আপনারা ভাবেন না? আরেকটি ব্যাপার না বললেই নয়। ১৯৯৬ সালেও আওয়ামীলীগ যখন ক্ষমতায় এসেছিল, তখনও কিন্তু ‘মৌলবাদ’ জুজু দেখিয়ে ইসলামিক কমন প্লাটফর্ম কে আপনারা প্রশ্ন বিদ্ধ করতে চেয়ে ছিলেন, পেরেছেন কিনা, সে উত্তর আপনারাই ভালো জানেন। এইবার এসেওই সেই একই জুজু তবে শব্দ নির্বাচনে বৈচিত্রতা এনেছেন সন্দেহ নেই। ‘জঙ্গি’ মুক্তি যুদ্ধের বিপক্ষের শক্তি, স্বাধিনতা বিরোধী চক্র, 'যুদ্ধাপরাধিদের বাঁচানোর জন্য একটি বিশেষ মহল' ইত্যাকার শব্দ চয়নে আপনারা সৃ্ষ্টি করেছেন বাংলা শব্দ ভান্ডারে এক নতুন মাত্রা, সন্দেহ নেই। ‘জামাত বিরোধিতা’ করতে গিয়ে এক সময় আপনারা অন্য একটি শ্বাপদীয় খোলস গায়ে জড়িয়েছেন, সেই উপলব্ধি আসছে, কিংবা আসতে আরো সময় নিবে হয়ত, কিন্তু আসবেই, সেটা আজ কাল, কিংবা অনেক অনেক বছর পর। সাময়িক উন্মাদনা নিজের অস্তিত্যকে জানিয়ে দিতে সাহায্য করলেও আসলে কিন্তু ক্ষয় সেখান থেকেই শুরু। আপনাদেরও শুরু হয়েছে, শুধু ‘ফিল’ করছেন না এই যা ! আর যেটা সবচেয়ে ভয়ংকর, সেটা হচ্ছে এই ক্ষেত্রে জামাত-শিবির আর আপনাদের সাইকোলজিক্যাল মিল কিন্তু খুভই সুক্ষ, ক্ষেত্র বিশেষে স্থূলও বটে। আপনাদের প্রতি শুভ কামনা।
**** আচ্ছা হেফাজতে ইসলাম এর লং মার্চ নিয়ে জামাত-শিবির এর এত আগ্রহ কেন? বি এন পিও কম যাচ্ছে না তলে তলে। কারণটা কি? হেফাজতে ইসলাম তো কোন রাজনৈতিক ইস্যু নিয়ে আসছে না। তাহলে এইসব রাজনৈতিক দলের নিদহীন রাত্রী যাপনের অর্থ কি ? হ্যাঁ, এখানে আপনাদের অনেকেরই সাথে আমার সহমত। জামাত-শিবির চাচ্ছে এই লং মার্চ থেকে ফায়দা লুটতে, বিএনপি চাইছে নির্ভেজাল মসনদের সিড়ি। শুনেছি এরশাদ সাহেবের জাতীয় পার্টিও লং মার্চ এ পানি পান করিয়ে অশেষ সোয়াব হাসিল করার সুযোগ হাত ছাড়া করতে চাচ্ছে না। যদিও আমাদের কুঠিল মন(!) এর অন্য অর্থ করে নিচ্ছে। কিছু কিছু জ্ঞানপাপীরা জামাত ও হেফাজতে ইসলামের কাজ কর্ম প্রক্রিয়া কে সমধাচে ফেলতে চাচ্ছেন । তারা জানেন না যে তা নয়, ভালো করেই জানেন, শুধু নিজেদের জাবড় কাটাকে আরো সুস্বাধু করার জন্যই জামাত ও হেফাজত কে একচোখে দেখেন। অথচ কোন কওমি মাদ্রাসায় জামাতের বা শিবিরের নাম গন্ধ শুনলেই একজন শিক্ষকের চাকরী ঠেকানো দায় হবে, ছাত্রকে গুড বাই বলা হবে তৎক্ষনাত। এখনও এই ‘ওপেন লং মার্চ’ এ যদি শিবির বা জামাত যোগ দেয় তার দায় হেফাজতে ইসলাম নিতে প্রস্তুত হবে কিনা সেটাও ভাবার ব্যাপার।
এর থেকেও কিছু কিছু জেগে ঘুমানোদের হুঁশ আসছে না যে, ‘হেফাজতে ইসলাম’ হচ্ছে একটা পাকা ফল, এই ফলের গ্রহণযোগ্যতা আছে মুটামুটি সবার কাছেই। তাই সব রাজনৈতিক দল ই চাচ্ছে এই ফলটাকে নিজেদের ঘরে নিতে। এই সহজ সমীকরনটাতে যারা হাইয়ার ম্যাথ এর সুত্র ব্যবহার করতে চান আর যাই হোক আপনাদের উচ্চ জ্ঞান আর শিক্ষার তারীফ না করে পারি না। জয় হোক আপনাদের কৃত্তিম অহমের।
**** হেফাজতে ইসলামের মৌলিক নেতৃবিন্দের দৃষ্টি শুধু একটি বিষয়ের প্রতি রাখার অনুরোধ করব। আপাতত এই সময়ে আপনারা কোন দলের গিনপিগ হবেন না। আপনাদের কাধে বন্দুক রেখে কূট শিকারীদের বড় শিকারের সুযোগ করে দিবেন না প্লিজ। আপনাদের আশ পাশের লোক জনদের কে চিনুন, বুজুন, অনাকাঙ্কিতদের কানটা ধরে বের করে দিন। বাংলাদেশে একটি বিরাট অংশের বিশ্বাস আর শ্রদ্ধার সাথে সামান্য ভুল সিদ্ধান্ত বা কথার মাধ্যমে বালি মিশিয়ে দিবেন না। বিশেষ করে জামাত ও শিবির- এর দিকে একটু বিশেষ নজর রাখবেন। ইনশাল্লাহ আপনারা সফলকাম হবেন ই।
©somewhere in net ltd.