নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দংশিত

মানুষ হয়ে বাচঁতে চাই, মানুষের মত ভাবতে চাই

সৈয়দ সাব

সৈয়দ সাব › বিস্তারিত পোস্টঃ

অসমাপ্ত জীবনী ও শেখ হাসিনা সমাচার

১৮ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:৪২

বাপের কীর্তিনাশ করার জন্য অপদার্থ ও বদমাইশ একটা সন্তানই যথেষ্ট। এটা আমাদের দেশে একটি মশহুর বিশ্বাস। আমারও বিশ্বাস। এবং এই বিশ্বাস দিনকে দিন আরো গাঢ় হয় বাংলাদেশের তথাকথিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কে দেখে, উনার কথা শুনে। আমি 'জনগনের দ্ধারা নির্বাচিত' প্রধানমন্ত্রীকে তথাকথিত বলছিনা, আমি সেই প্রধানমন্ত্রীকে তথাকথিত বলছি যিনি প্রধানমন্ত্রীত্বের শপত নিয়ে শপত ভংগ করেছেন, তাই মানুষের যে পরিমান বিবেক থাকলে সে মানুষ, সেই পরিমান জ্ঞান বুদ্ধি আর বিবেক নিয়েই বলছি তিনি শেখ হাসিনা তথাকথিত প্রধানমন্ত্রী।

যাই হোক যে কারনে এই প্রসংগ। বঙ্গবন্ধুর নিজের লেখা নিয়ে 'অসমাপ্ত জীবনী' নামে যে বইটি বেশ আলোড়ন তুলেছে সেই বইটির প্রশঙ্গে কথাগুলো বলা। ৩২৯ পৃষ্টার বইটির ২৮৮ পৃষ্ট পর্যন্ত পড়ে আপনি নিজের অনিচ্ছায়ই বলবেন 'আহারে বঙ্গবন্ধু'? কিন্তু এর পরে টীকা নামে পরের পৃষ্টাগুলো যতই উল্টাবেন ততই বিরক্তিতে নাক কুচকাবেন। আইচ্ছা, বইটাতে এই পরিশিষ্ট নামক লেজটুকু না লাগালেই কি হতনা? বুজলাম ব্যাখ্যা বা বিশদ বর্ননা আনা হয়েছে, কিন্তু এইগুলো জানার ইতিহাসের বাংলা বইয়ের কি আকাল পড়ছে দেশে? আমার তো মনে হয় মধু চোষা লেখকদেরই তো শ'খানেক বই আছে বংগবন্ধুরে নিয়া। তবে কেন এই সত্য মিথ্যার সংযোজন? কি প্রয়োজন ছিল বইটিতে কৃত্রিমতা আনার? শেখ হাসিনার একবারও কি বুক কাঁপলনা, তাঁর নিজের বাবার লেখা পান্ডুলিপিতে উঁই পোকা চেড়ে দিতে। হয়নি, কারন ঐ যে বাপের অপদার্থ সন্তান হলে যা হয়। এই সেই শেখের কন্যা, একটি দেশের প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু তাঁর মুখের ভাষা শুনলে একটি মধ্যম রুচির মানুষেরই গা ঘিন ঘিন করে উঠে। অথচ কি অদ্ভুত, আমাদের দেশের উচ্চ শিক্ষিত সুশীলরা ধন্য হন সে সকল অমৃত বানী শুনে! আরো অদ্ভুত যখন দেশের উচা উচা বিদ্যালয়ের উচা উচা শিক্ষক, বুদ্ধিজীবিরা সামনে সারিতে বসে হাততালী দেন প্রচণ্ড ইস্কের সহিত। এই সেই বাপের সন্তান যে আল্লামা সফী সাহেব কে একজন বড় আলেম স্বীকার করে আবার এই কথার শেষেই বলে 'উনি যে নেত্রীর পাশে বসেন তাঁর বাসে বসে যদি উনার মুখের লালা ঝড়ে তাহলে আমার কিছু বলার নাই।' হ্যাঁ, আমাদেরও কিছু বলার নাই। শেখ হাসিনা ইজ শেখ হাসিনা, তাহার কোন তুলনা নাই। এই মহিলা আসলেই বাংলাদেশ নামক দেশকে, দেশের দেশের মানুষকে ভাল চোখে দেখেনি বিদেশ থেকে আসার পরদিন থেকে । 'দুধের ভাই' রাসেল সহ স্বপরিবারে সকল সদস্যকে হারিয়ে যে ভয়ংকর মানসিক বিকার হয়েছিল, তারই বহিঃপ্রকাশ আজকের শেখ হাসিনা। সেতো বলেই ছিল তাঁর কথা। 'আমার রাজনীতি করার কোন ইচ্ছা নাই, যে অকৃতজ্ঞ জাতি আমার বাবা মা সহ সবাইকে মেরে ফেলল অথচ এক ফোঁটা চোখের জল ফেললনা তাদের জন্য কিসের দরদ।' তাই, শেখ হাসিনা কে দোষ দেইনা, দোষ আসলে আমাদেরই। আমাদের মত 'মেছো বাংগালদের' এর চেয়ে ভাল শাসক হতে পারেনা। আর এই কথাটাই যেন বলে গেছেন কার্লাইলঃ 'কোনো একটা জনগোষ্ঠির মনের খবর যদি জানতে হয়, তবে জানতে হবে সেই জনগোষ্ঠীর বীরদের, দেখতে হবে কারা পাচ্ছে বীরের কাংক্ষিত মর্যাদা ও সম্মান"

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.