![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পরিবর্তিত সমাজ কাঠামোতে সামাজিক চিন্তা চেতনার পরিবর্তন ঘটবে স্বাভাবিক। কিন্তু এই পরিবর্তনটার ধরন যদি আমরা বিচার করি তবে একটি সূচক চোখে পরে। উর্দ্ধে কিংবা নিম্নে।
কথাগুলো আরো বিশদ করে হয়ত বলা যায়, কিন্তু তার চেয়ে লিংক এ গিয়ে নাটকটি দেখে আসলে আমার সেটির প্রয়োজন পরবেনা। নাটকটির নাম শিরোনামহীন
http://youtu.be/zCclrsIBsLo
তবে যে বিষয়গুলো নাটকটিতে ইচ্ছা করে, বলা যায় 'ওয়ার্ম আপ' হিসেবে নিম্নোক্ত বিষয়কে আমাদের সামাজিক কাঠামোতে স্বাভাবিক হিসেবে চালিয়ে দেওয়ার একটা চতুর প্রয়াস।
১ঃ একটি মেয়ের তার অন্য আত্বীয়ের (সে আপন বড় ভাই হোকনা কেন) চেয়ে তার সাবেক এক ছেলে বন্ধু বেশি আপন।
২ঃ সে ছেলে বন্ধুর ফ্ল্যাটে মাজরাতে যাওয়া যায় এবং সে ছেলেটি তাকে খুভ স্বাভাবিকভাবে গ্রহন করে। যেন একটি প্রাপ্ত বয়স্ক মেয়ে তার সাবেক প্রেমিকের বাসায় মাজরাতে ছুটে আসা খুভই স্বাভাবিক!
৩ঃ মাজরাতে অন্যের স্ত্রীর সাথে ঘনিষ্ট হয়ে বসা, মুখে খাবার তুলে দেওয়া অন্যায় কিছু নয়। (ঐ রুমান্টিক মুহূর্তে আবেগঘন আবহ সঙ্গীত শুনে সেটাই বুজা যায়)
৪ঃ একটি অবিবাহিত প্রাপ্ত বয়স্ক ছেলের সাথে বিবাহিত মেয়ের রাত কাটানো অস্বাভাবিক কিছুই না।
৫ঃ মাজ রাত্রীতে মেয়েটির ঘুম ভেঙ্গে যাওয়া এবং ছেলেটির কাছে আসা যদিও মানবিক আবেগকে তুলে দেওয়া হয়েছে কিন্তু মনোবিজ্ঞান কি শুধু মনেরই কথা বলে, শরীরের কি কোন কথা বলে না?
৬ঃ স্কুল/কলেজ পড়ুয়া মেয়েদের তার গানের শিক্ষকের বাসায় স্কুল কলেজ ফাকি দিয়ে চলে আসতে পারে।
৭ঃ একটি মেয়ে সারাদিন একটি ছেলের ফ্ল্যাটে কাটিয়ে দিতে পারে; পরিবারের তাতে কোন দায় বা দায়িত্ব কোনটাই নেই। স্কুল/কলেজ পড়ুয়া মেয়ে কোথায় যায়, কার সাথে সময় কাটায়, কিভাবে সময় কাটায় তার কোন জবাবদিহিতা নেই।
৮ঃ একটি অবিবাহিত প্রাপ্ত বয়ষ্ক ছেলের বাসায় যে কোন মেয়ে যে কোন সময় আসতে এবং যেতে পারে, অবস্থান করতে পারে; সমাজেরও কারো তাতে কিছুই যায় আসেনা।
৯ঃ একট বিবাহিত মেয়ে ডিভোর্সের কাগজ পত্রের সমাধান হওয়ার আগেই আরেকটি বিয়ে করতে পারে, তার জন্য ছেলেটিও রাজিও থাকে। (মেয়েটি যেহেতু ইসলাম ধর্ম মতে বিবাহিত, সুতরাং তালাক বা ডিভোর্স হয়ে গেলেও নুন্যতম তিন মাস অতিক্রান্ত না হয়ার পুর্ব পর্যন্ত অন্য কারো সাথে বিবাহে আবদ্ধ হতে পারে না। অথচ এখানে সেটাই প্রায় সম্ভব করে দেওয়া হয়েছে।)
-----
এই রকম নাটক দিয়ে আমাদের কি ম্যাসেজ দেওয়া হচ্ছে সেটা যত তাড়াতাড়ি উপলব্দধি করা হবে ততই মঙ্গল।
আরো আশ্চর্য্য এই নাটকটি এনটিভি তে এসেছে যার মালিক, পেয়ারা জাতীয়তাবাদী ও ধর্মীয় মুল্যবোধে বিশ্বাসী ম্যাডাম খালেদার এককালীন (এখনো সম্ভবত) ডানহাত কাছের মানুষ মিষ্টার ফালু।
জয় হোক তোমাদের ভন্ডামীর।
©somewhere in net ltd.