![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি কিছুটা ভ্রমণবিলাসী আর ফুলের প্রতি আছে আমার আজন্ম ভালোবাসা
উনিশেই গর্জন
আর দশটা মধ্যবিত্ত পরিবারের মতো তাঁর মা-বাবারও স্বপ্ন ছিল ছেলে ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার হোক, সফল হোক। কিন্তু শিশুকাল থেকে ছেলেটির মন পড়ে থাকত ক্রিকেটের ব্যাট আর বলের দিকে। এতে পরিবারের সবার ছিল ঘোর আপত্তি। ব্যাট-বল কেড়ে নিয়ে তাঁকে জোর করে বসানো হতো পড়ার টেবিলে। খেলতে না দিলে কান্নাকাটি করে সবাইকে অস্থির করে তুলতেন তিনি। সেই ছেলেটিই বাংলাদেশের ক্রিকেটের বিস্ময় বালক মুস্তাফিজুর রহমান। ১৮ জুন ভারতের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে নিজের অভিষেকেই ৫ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের বিজয় নিশ্চিত করেন, হন ম্যান অব দ্য ম্যাচ।
সাতক্ষীরা থেকে ৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণে কালীগঞ্জ উপজেলার তারালি ইউনিয়নের তেঁতুলিয়া গ্রামে মুস্তাফিজের বাড়ি। তাঁর বাবা ব্যবসায়ী আবুল কাশেম আবেগজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘আমার ছেলে এখন আর আমার নাই, ও এখন ১৬ কোটি মানুষের সন্তান। ওর ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার হওয়া লাগবে না, ও ক্রিকেটই খেলুক।’
মুস্তাফিজের জন্ম ১৯৯৫ সালে সেপ্টেম্বরে। চার ভাই ও দুই বোনের মধ্যে সবার ছোট তিনি। পরিবারের সব প্রতিকূলতার মধ্যে মুস্তাফিজের পাশে এসে দাঁড়ান তাঁর সেজো ভাই মোখলেছুর রহমান। তিনিই নিজ হাতে গড়ে তুলেছেন আজকের মুস্তাফিজকে।
এই প্রতিবেদককে মোখলেছুর রহমান জানান মুস্তাফিজের ক্রিকেটার হয়ে ওঠার গল্প। তিনি ও মেজো ভাই জাকির হোসেন গ্রামে টেনিস বলে ক্রিকেট খেলতেন। ১০-১২ বছর বয়স থেকে মুস্তাফিজও তাঁদের সঙ্গী হন। গ্রামের তেঁতুলিয়া মাঠের এক খেলায় তাঁরা তিন ভাই-ই খেলছিলেন। তখন মুস্তাফিজ ব্যাটিং করতে ভালো বাসতেন। প্রতিপক্ষের একজন ব্যাটসম্যানকে কিছুতেই আউট করা যাচ্ছে না।
মুস্তাফিজের হাতে তিনি তুলে দিলেন বল। প্রথম বলেই মুস্তাফিজ প্রতিপক্ষের সেই অপ্রতিরোধ্য ব্যাটসম্যানকে আউট করেন। তারপর বোলার হওয়ার দিকে ঝুঁকে পড়েন। বরেহা মিলনি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি করার পরপরই যাতে বাইরে খেলাধুলা করতে যেতে না পারেন, এ জন্য বাড়িতে দেওয়া হলো চারজন প্রাইভেট শিক্ষক। কিন্তু স্কুল পালিয়ে তিনি চলে যেতেন ক্রিকেট মাঠে। মোখলেছুর বলেন, ‘আমার বন্ধু মিলনের পরামর্শে সাতক্ষীরা গণমুখী ক্লাবের ক্রিকেট কোচ আলতাফ ভাইয়ের কাছে নিয়ে যাওয়া হলো। আলতাফ ভাইয়ের পরামর্শে মুস্তাফিজ সাতক্ষীরা স্টেডিয়ামে অনূর্ধ্ব-১৪ প্রাথমিক বাছাই উত্তীর্ণ হয়। তারপর সাতক্ষীরায় ক্রিকেট একাডেমির মুফসসিনুল ইসলামের কাছে প্রশিক্ষণ নেওয়া শুরু হয়।’
মোখলেছুর রহমান প্রতিদিন ভোর রাতে তেঁতুলিয়া থেকে ৪৫ কিলোমিটার দুরে মোটরসাইকেলে করে সাতক্ষীরা নিয়ে আসতেন প্রশিক্ষণের জন্য। অনূর্ধ্ব-১৪ হয়ে অনূর্ধ্ব-১৭ দলে খেলে ধারাবাহিকভাবে সফল হয়েছেন মুস্তাফিজ। এরপর এলেন ঢাকার শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ফাস্ট বোলিং ক্যাম্পে ট্রায়াল দিতে। সেখানে এসে কোচদের নজর কাড়েন। এরপর অনূর্ধ্ব-১৯ খেলেছেন নিয়মিত।
বাংলাদেশ দলে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজাকে সবাই চেনে ‘নড়াইল এক্সপ্রেস’ নামে। অভিষেকেই আলো ছড়ানো ক্রিকেটের নতুন বিস্ময় মুস্তাফিজকে কি তবে ডাকা যায় ‘সাতক্ষীরা এক্সপ্রেস’!
বড় জয়ে বিশ্বকাপের ‘প্রতিশোধ’
মহেন্দ্র সিং ধোনির সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে মাঠের বাইরেই ছিটকে গিয়েছিলেন মুস্তাফিজুর রহমান। সেখান থেকে কী দারুণভাবেই না ফিরলেন প্রথম ওয়ানডে খেলতে নামা এই বাঁ-হাতি পেসার। টানা দুই বলে ফেরালেন সুরেশ রায়না ও রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে। পরের ওভারে তুলে নিলেন ভারতের শেষ ভরসা রবীন্দ্র জাদেজার উইকেটও। প্রথম ওয়ানডেতেই পাঁচ উইকেট নিয়ে অভিষেকটা দারুণভাবে স্মরণীয় করে রাখলেন বাঁ-হাতি এই পেসার। ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৭৯ রানের জয় দিয়ে বিশ্বকাপ কোয়ার্টার ফাইনালে হারের ক্ষতে কিছুটা প্রলেপ দিল বাংলাদেশ। চার ওভার আগেই ২২৮ রানে গুটিয়ে গেছে ভারতের ইনিংস। তিন ম্যাচের সিরিজে বাংলাদেশ তাই এগিয়ে ১-০ ব্যবধানে।
প্রথম স্পেলে ভালো বোলিং করেও কোনো উইকেট পাননি মুস্তাফিজ। দ্বিতীয় স্পেলে বল করতে এসে ভারতকে দিয়েছিলেন জোড়া ধাক্কা। তুলে নিয়েছিলেন রোহিত শর্মা ও অজিঙ্কা রাহানের উইকেট। কিন্তু সেই স্পেল শেষ করতে পারেননি ভারতীয় অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনির সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে। সুস্থ হয়ে মাঠে ফিরেই নিয়েছেন তিনটি উইকেট। অভিষেকে পাঁচ উইকেট নেওয়া দ্বিতীয় বোলার হিসেবে মুস্তাফিজ নাম লিখিয়েছেন তাসকিন আহমেদের পাশে। এক বছর আগে ঢাকায় ভারতের বিপক্ষে অভিষেকে তাসকিন নিয়েছিলেন পাঁচ উইকেট। মুস্তাফিজের আগে ওয়ানডেতে অভিষেকে পাঁচ উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব ছিল মাত্র নয়জনের।
৩০৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা অবশ্য ভালো হয়েছিল ভারতের। উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিমের ব্যর্থতায় দুইবার ‘জীবন’ পেয়েছিলেন শিখর ধাওয়ান। উদ্বোধনী জুটিতে ধাওয়ান ও রোহিত শর্মা যোগ করেছিলেন ৯৫ রান। কিন্তু এরপর জোড়া আঘাত হানেন তাসকিন ও মুস্তাফিজ। প্রথমে তাসকিনের শিকার হয়ে ফিরে যান ধাওয়ান ও কোহলি। দুজনেই উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছেন মুশফিককে। সেই ধাক্কা সামলাতে না সামলাতেই আসে মুস্তাফিজের জোড়া আঘাত। তুলে নেন ভারতের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৩ রান করা রোহিত ও অজিঙ্কা রাহানের উইকেট। দুই ওভার পর নিজের প্রথম ওভারেই ভারতীয় অধিনায়ক ধোনির উইকেট তুলে নেন সাকিব আল হাসান। ভারতের স্কোর দাঁড়ায় ১২৮/৫। ষষ্ঠ উইকেটে ৬০ রানের জুটি গড়ে কিছুটা ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছিলেন সুরেশ রায়না ও রবীন্দ্র জাদেজা। কিন্তু এই দুজনের সঙ্গে অশ্বিনকেও সাজঘরমুখী করে বাংলাদেশের জয় নিশ্চিত করে ফেলেন মুস্তাফিজ। শেষপর্যায়ে ভুবনেশ্বর কুমারের অপরাজিত ২৫ রানের ইনিংস ভারতের হারের ব্যবধানটাই শুধু কমাতে পেরেছে।
এর আগে মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনার সৌম্য সরকার, তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসানের অর্ধশতকে ৩০৭ রান করেছিল বাংলাদেশ। ওয়ানডেতে ভারতের বিপক্ষে এটিই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ স্কোর।
মুস্তাফিজুর রহমান জানিয়ে দিলেন, তিনি ধূমকেতু নন, বাংলাদেশের ক্রিকেটে এসেছেন ধ্রুবতারা হতে। ৫ উইকেট নিয়ে স্মরণীয় করেছিলেন অভিষেক। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ছাড়িয়ে গেলেন অভিষেককেও! রোববার ভারতের বিপক্ষে তরুণ বাঁহাতি পেসার নিয়েছেন ৬ উইকেট!
ক্যারিয়ারের প্রথম দুই ম্যাচেই ৫ ও ৬ উইকেট নেই ওয়ানডে ইতিহাসে আর কারও। প্রথম দুই ম্যাচেই ৫ উইকেট পেয়েছেন আর কেবল জিম্বাবুয়ের ব্রায়ান ভিটরি ২০১১ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষেই ক্যারিয়ারের প্রথম দুই ম্যাচে ৫ উইকেট পেয়েছিলেন ভিটরি।
ভিটরি আর মুস্তাফিজ ছাড়া প্রথম দুই ম্যাচেই ৫ উইকেট নেই আর কারও। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ফিদেল এডওয়ার্ডস অভিষেকে ৬ উইকেট পেলেও পরের ম্যাচে পেয়েছিলেন ২ উইকেট।
ওয়ানডে ইতিহাসের রেকর্ডে মুস্তাফিজ ছুঁয়েছেন ভিটরিকে, আর বাংলাদেশে ছাড়িয়ে গেছেন সবাইকে! মুস্তাফিজের আগে অভিষেকে ৫ উইকেট পাওয়া একমাত্র বাংলাদেশী বোলার তাসকিন আহমেদ দ্বিতীয় ম্যাচে পেয়েছিলেন ২ উইকেট। অভিষেকে মুস্তাফিজ ৫ উইকেট পেয়েছিলেন ৫০ রানে। রোববার ৬ উইকেট পেলেন ৪৩ রানে। লম্বা বৃষ্টি বিরতির আগে ৫ উইকেট ছিল মুস্তাফিজের। স্পেলের বাকি ছিল একটিই বল। বিরতি শেষে সেই বলেই বোল্ড করেছেন রবীন্দ্র জাদেজাকে!
যদি অভিষেকের সীমানা ছাড়িয়ে বিবেচনায় নেওয়া হয় গোটা ক্যারিয়ার, সেখানেও বাংলাদেশে অনন্য মুস্তাফিজ। ওয়ানডেতে টানা দুই ম্যাচে ৫ উইকেট নেই বাংলাদেশের আর কারও! কাছাকাছি যেতে পেরেছিলেন কেবল আব্দুর রাজ্জাক। ২০১০ সালে জিস্বাবুয়ের বিপক্ষে টানা দুই ম্যাচে নিয়েছিলেন ৫ ও ৪ উইকেট।
শুধু এখানেই পাশাপাশি নন এই দুজন। বাংলাদেশের হয়ে ওয়ানডেতে একাধিকবার ৫ উইকেট পাওয়ার কীর্তি আছেন কেবল রাজ্জাক আর মুস্তাফিজেরই। চারবার ৫ উইকেট পেয়েছেন রাজ্জাক, ২ বার নিলেন মুস্তাফিজ। একবার করে পেয়েছেন আফতাব আহমেদ, ফরহাদ রেজা, মাশরাফি মুর্তজা, মোহাম্মদ রফিক, রুবেল হোসেন, জিয়াউর রহমান ও তাসকিন আহমেদ।
ভিটরি ও মুস্তাফিজের ছাড়া ওয়ানডে ইতিহাসে টানা দুই ম্যাচে ৫ উইকেট আছে আর কেবল ৮ জন বোলারের। প্রথম নিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার বাঁহাতি পেসার গ্যারি গিলমোর, ১৯৭৫ বিশ্বকাপে। এরপর এই ক্লাবে গিলমোরের সঙ্গী হয়েছেন শ্রীলঙ্কার অশান্থা ডি মেল, পাকিস্তানের ওয়াকার ইউনিস, আকিব জাভেদ, আজহার মাহমুদ, সাকলায়েন মুশতাক, অস্ট্রেলিয়ার রায়ান হ্যারিস ও মিচেল স্টার্ক। ওয়াকার আবার এখানে অনন্য। টানা দুই ম্যাচে ৫ উইকেট নিয়েছেন তিন দফায়। একবার আবার নিয়েছিলেন টানা তিন ম্যাচে ৫ উইকেট!
মুস্তাফিজুরের বোলিং ফিগার (৪৩/৬) ওয়ানডেতে বাংলাদেশের তৃতীয় সেরা। এই তালিকায় সবার ওপরে মাশরাফি; ২০০৬ সালে নাইরোবিতে কেনিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে ২৬ রানে ৬ উইকেট নেন তিনি।
দ্বিতীয় সেরা ২০১৩ সালে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে গড়া রুবেল হোসেনের ২৬/৬।
অভিষেকেই তারকাখ্যাতি পেয়ে যাওয়া মুস্তাফিজুর রহমান নিশ্চিতভাবেই লাখো-কোটি ভারতীয়র মন ভেঙে দিয়েছেন। কিন্তু কলকাতার এক জনের মন ঠিকই জয় করে নিয়েছেন বাংলাদেশের তরুণ এই পেসার।
মিরপুর শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার ভারতকে হারাতে মূল ভূমিকায় ছিলেন মুস্তাফিজুর। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম মাচেই ৫০ রানে ৫ উইকেট নিয়ে ভারতের ব্যাটিংয়ে ধস নামান তিনি।
১৯ বছর বয়সী মুস্তাফিজুরের সেদিনের পারফরম্যান্সে দারুণ খুশি পশ্চিম বাংলার সাবেক পেসার রণদেব বোস। ভারতের পত্রিকা টাইমস অব ইন্ডিয়ার একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, আলোচনায় উঠে আসা মুস্তাফিজুরের পেসার হিসেবে গড়ে ওঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল ২০০৪-০৫ মৌসুমে ভারতের দল গঠন প্রক্রিয়ায় খুব কাছ থেকে দায়িত্ব পালন করা বোসের।
টাইমস অব ইন্ডিয়াকে বোস বলেন, “ভারতের হয়ে আমি খেলতে পারিনি। কারণ সেই সময়ে তাদের জাভাগাল শ্রিনাথের মতো পেসার ছিল। কিন্তু এমন একটা ছেলেকে খুঁজে পেয়ে আমি খুশি, যে এখন বাংলাদেশকে গর্বিত করেছে।”
২০১২-১৪ এর মধ্যে বাংলাদেশ জাতীয় অ্যাকাডেমির বোলিং কোচ ছিলেন বোস। ওই সময়ে তিনি মুস্তাফিজুরকে প্রশিক্ষণ দিয়েছিলেন।
ওই সময়ের স্মৃতিচারণ করে বোস বলেন, “আমাকে ১০ জন বোলার বাছাই করতে বলা হয়েছিল এবং মুস্তাফিজুর আমার তালিকার শীর্ষে ছিল। প্রশিক্ষণে আমি তার বোলিং দেখে খুব খুশি হয়েছিলাম এবং তাকে আমি গড়তে চেয়েছিলাম।”
বর্তমানে বেঙ্গল রঞ্জি ট্রফির দলের পরামর্শক হিসেবে কাজ করেন বোস। ঢাকায় তার অধীনে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে যোগ দেওয়ার সময় মুস্তাফিজুর খুবই শান্ত-ভদ্র ছিল বলে স্মৃতিচারণ করেন বোস।
“নেটে আমি তার (মুস্তাফিজুরের) সঙ্গে ঘণ্টার পর ঘণ্টা পার করতাম। আমি তার কব্জির অবস্থান, রান-আপ এবং বল ছাড়ার উপর কাজ করেছি। এটা দেখা খুবই আনন্দের যে, সে এতটা উন্নতি করেছে। স্লোয়ার বলগুলো সে খু্ব ভালো করতেছে।”
-------------------তথ্যসূত্রঃ বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত খবর থেকে সংগৃহীত
******************************************************************************
২২ শে জুন, ২০১৫ বিকাল ৫:২৫
কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে!!!
২| ২২ শে জুন, ২০১৫ বিকাল ৫:৪৭
অঝোরে কষ্ট বলেছেন: হুম
২২ শে জুন, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫১
কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: উম্ম ?????
৩| ২২ শে জুন, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৯
জামাল হোসেন (সেলিম) বলেছেন: -------------------তথ্যসূত্রঃ বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত খবর থেকে সংগৃহীত
এই একটা গুন আজকাল অনেক ব্লগারের মাঝেই খুঁজে পাওয়া যায়না। যে কোন লেখা নিজের বলে চালিয়ে দেয়া অথবা কিছু না বলে জাস্ট পোষ্ট দিয়ে দেয়া একটা ফ্যাশন হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিছু কিছু ব্লগ সাইটও রয়েছে এই ভণ্ডামির উপর ভিত্তি করে।
আপনাকে ধন্যবাদ আপা। সুন্দর একটা সংকলিত পোষ্টের জন্য। মুস্তাফিজুরের ব্যাপারে অনেক কিছু জানার আগ্রহ ছিল আমার। তা্র অনেকটাই আজ পুরা হলো। শুভকামনা আপনার জন্য।
২২ শে জুন, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৭
কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: নিজেকে সবজান্তা জাহির করে কী লাভ বলুন!!!
আমিতো আমিই থাকব!!
হ্যা, মুস্তাফিজুরকে এই প্রথম জানলাম, কিন্ত এ জানা অনেক অহংকারের!!
বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে অভিনন্দন ও দোয়া!!
বাংলাওয়াশের অপেক্ষায় আছি!
৪| ২২ শে জুন, ২০১৫ রাত ৯:০৯
প্রামানিক বলেছেন: কামরুন্নাহার আপা আমি পুরো লেখাটাই পড়লাম এবং অনেককেই পড়ে শুনালাম। খুব ভাল লাগল। ধন্যবাদ
২২ শে জুন, ২০১৫ রাত ৯:১৫
কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ প্রামানিক ভাই!!
আমাদের সিরিজ জেতার নায়ক সম্মন্ধে যতটুকু খবরের কাগজে পড়েছি, তা' শেয়ার করবার তাগিদ অনুভব করছিলাম।
ভাল লাগবে আশা ছিল!!!
৫| ২৩ শে জুন, ২০১৫ সকাল ১০:২৯
ইমতিয়াজ ১৩ বলেছেন: তথ্যবহুল পোস্টের জন্য ধন্যবাদ। আর শুভ কামনা মোস্তাফিজের জন্য। তবে সতর্ক থাকতে হবে সে যেন হারিয়ে না যায়। অনেক পরিচর্যা প্রয়োজন মোস্তাফিজের
২৩ শে জুন, ২০১৫ বিকাল ৩:৩১
কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: ঠিক তাই, মোস্তাফিজুরকে হারিয়ে যেতে দেয়া যাবে না!
একটা আশার কথা, বাংলাদেশ এখন প্রচুর খেলছে। প্রাকটিসও হচ্ছে।
তাই আশা করা যায় উদীয়মান খেলোয়াররা টিকে থাকবে।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে!!
৬| ২৩ শে জুন, ২০১৫ বিকাল ৫:৩১
আজাদ মোল্লা বলেছেন: মোস্তাফিজুর এখন আমাদের আশা পুরুন করবে । সাথে আমরা আছি । সুন্দর থাকবে আর সুন্দর খেলা খেলব আমাদের জন্য । আর আপু ভালো লিখা গুলি একসাথে করেছেন । ভালো থাকবেন ।
২৩ শে জুন, ২০১৫ রাত ৮:১৬
কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: হ্যা আমরা সেই আশাতেই আছি!
আমাদের ক্রিকেট দলটা এখন পারফেক্ট দল, শেষ বলটি পর্যন্ত খেলায় লেগে থাকছে!!
অভিনন্দন তাই মাশরাফি বাহিনীকে!!
আপনাকেও অনেক শুভেচ্ছা, ভাল থাকবেন!!
৭| ২৪ শে জুন, ২০১৫ রাত ১১:২০
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: "একখণ্ড মুস্তাফিজনামা"... ভালো লাগলো। অভিষেকেই ম্যান অব দ্যা ম্যাচ, ম্যান অব দ্যা সিরিজ সাথে তিন তিনটা বিশ্ব রেকর্ড... সেইরাম...
২৫ শে জুন, ২০১৫ রাত ১১:৪৪
কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: হুম্ম, সেইরাম
৮| ২৭ শে জুন, ২০১৫ দুপুর ১:৪৪
জুন বলেছেন: সবটা যেন ভিনি ভিডি ভিসি
শুভকামনা থাকলো মুস্তাফিজের জন্য। আর আপনাকে ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য
২৭ শে জুন, ২০১৫ দুপুর ২:১৪
কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: হুম্ম, ঠিক তাই!!
মুস্তাফিজ এই জয়ের ধারাটা ধরে রাখুক এটাই আমাদের কামনা!!
শুভেচ্ছা আপু!!
৯| ২৮ শে জুন, ২০১৫ সকাল ৯:১৬
উর্বি বলেছেন: শুভ কামনা
২৮ শে জুন, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৭
কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: ধন্যবাদ!
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে জুন, ২০১৫ বিকাল ৫:২৩
অঝোরে কষ্ট বলেছেন: শুভকামনা মুস্তাফিজুর