![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জ্ঞান অর্জন করতে হলে লেখার কোন বিকল্প নেই। একটি লেখা পড়ে যতোটা না জ্ঞান অর্জন হয়, একটি লেখা লিখতে তার থেকেও হাজারগুন বেশী জ্ঞানের দরকার হয়।
ঠিকই ধরেছেন, আজকের টপিক “শয়তান”... আমাদের সবচেয়ে কাছের একজন।
Philosophical Post... ইন্টারেস্ট না থাকলে Just Skip.
শয়তান এমন একটা সুক্ষ দেহধারী জীব যে মানুষের রন্ধ্রে রন্ধ্রে চলাচল করতে পারে এবং তার টেকনোলজি এতটাই আধুনিক আর উন্নত যে সে সৃষ্টির সেরা জীব মানুষকে প্রতি পদে পদে বোকা বানাচ্ছে... মানুষ তার কিছুই টের পাচ্ছে না। মানুষ সৃষ্টির সেরা হয়েও তার থেকে নিম্নমানের এক জীবের কাছে প্রতিনিয়ত হেরে যাচ্ছে। কখনও কখনও সেটা বুঝতেও পারছে তবে কিছুই করতে পারছে না। এর থেকে খারাপ আর কি হতে পারে?
আমরা মানুষ ! হ্যা... আপনাদের সবার কথা বলতে পারবো না, তবে আমার নিজেকে মানুষ বলেই মনে হয়। আর মানুষের সব চেয়ে বড় শত্রু হচ্ছে শয়তান। এটা কোন মুসলমান অস্বীকার করলে তার “মুসলমান” এর একাউন্টই ব্লক হয়ে যাবে। কিন্তু বর্তমান অবস্থা এমন হয়ে দাড়িয়েছে যে, আমাদের একদম বেস্ট ফ্রেইন্ড এর যায়গা দখল করে নিয়েছে শয়তান। শুধু তার ফেসবুকে ভেরিফাইড একাউন্ট থেকে ফ্রেইন্ড রিকোয়েস্টটা পাঠানো বাকি আছে। অদূর ভবিষ্যতে সেটাও আর বাকি থাকবে বলে মনে হয়না... তার কথায় আমরা উঠি, তার কথায় আমরা বসি। তার মাস্টারপ্ল্যান এর কাছে মানুষ আজ বড়ই অসহায়। কিন্তু সমস্যা একটায়... মানুষ... মানে আমরা আরকি... সেটা বুঝতে পারি না।
শয়তানকে ফিচারিং করে এতো কিছু বলছি কেন জানেন? কারণ শয়তান খুব হার্ড ওয়ার্কিং একটা পারসন। দিন নাই রাত নাই কঠোরভাবে সবসময় পরিশ্রম করেই চলেছে। মানুষ তার থেকে শ্রেষ্ঠ হলেও এখনকার যুগে কয়জন মানুষ এমনটা করতে পারবে বলুনতো? ওদিকে কাফিরদের অন্তর্ভুক্ত হলেও শয়তান কিন্তু আল্লাহ্-কে সৃষ্টিকর্তা ও পালনকর্তা হিসেবে অস্বীকার করেনি। বরং আল্লাহ্ যখন তাকে অভিশাপ দিয়ে জান্নাত থেকে চিরদিনের মত বিতাড়িত করলেন, তখন সে আল্লাহ্-কে রব হিসেবে সম্বোধন করে প্রার্থনা করলো, হে আমার প্রভু, আপনি আমাকে কিয়ামত পর্যন্ত অবকাশ দিন। আল্লাহ্ তার প্রার্থনা মঞ্জুর করলেন। তখন সে বললোঃ হে আমার পালনকর্তা আপনি যেমন আমাকে পথভ্রষ্ট করেছেন তেমনি আমি মানুষকে পৃথিবীতে নানারূপ সৌন্দর্যে প্রলুব্ধ করে তাদেরকে পথভ্রষ্ট করে দেব। তবে যারা আপনার একনিষ্ঠ বান্দা তাদের ব্যতীত। সেই যে শুরু হলো তার মিশন, যা আজো সমানভাবে চলছে। এক মুহুর্তের জন্যও সে থেমে নেই। তার লক্ষ একটাই... সমগ্র মানবজাতিকে নিয়ে সে জাহান্নামে সুখে শান্তিতে একসাথে বসবাস করবে। আর আমরা মানুষরা সব কিছু জেনে বুঝে চুপচাপ বসে আছি তার মজা দেখার জন্য। আসলে শয়তানই অপেক্ষা করছে আমাদের মজা দেখার জন্য।
সেদিন শয়তান আমাকে বললো, তোরা মানুষরা এতো বোকা কেন বলতো? আমি বললাম, কি রকম? একটু বুঝিয়ে বললে ভালো হতো... সে বললোঃ তোরা কোন হিসেবে জান্নাতে যাওয়ার স্বপ্ন দেখিস? জান্নাতে যাওয়ার কোন যোগ্যতা আছে তোদের? তোদেরকে তোদের ভাষাতেই বোঝায়, ধর একটা মানুষ সারা মাস চাকরি করে গরুর মতো খেটে পনের হাজারটাকা বেতন পেল। সেই টাকাটা দিয়ে তোদের এই দুনিয়াতেই মাত্র একবতল ব্র্যান্ডেড স্কচ বা হুইস্কি পাওয়া যাবে। তার মানে দাড়ালো তোরা একবতল মদের মূল্য অর্জনের জন্য সারা মাস হাড়ভাংগা পরিশ্রম করতে পারিস। আর আমি নিজে চোখে দেখে এসেছি জান্নাতিদের দেওয়ার জন্য এর থেকেও লক্ষকোটি গুন দামী মদের পুরা নদী আল্লাহ্ সেখানে প্রবাহিত করে রেখেছেন। তাহলে ভেবে দেখ, সেটার দামই বা কতো হতে পারে আর তা পাওয়ার জন্য তোদের কিইবা করা উচিৎ? আর তোরা কি করিস...
তার কথা শুনে আমি তো পুরাই স্পিকার হয়ে গেলাম। আসলেই তার কথার যুক্তি আছে। আমি আর বেশী কিছু না বলে চুপচাপ ওখানথেকে কেটে পড়লাম। যায়হোক সেদিনের পরে থেকে শয়তান আমারসাথে ডাইরেক্ট কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছে, এখন শুধু ইনডাইরেক্টলি মস্তিষ্কে উল্টা-পাল্টা সিগন্যাল পাঠায়। আমার রিসিভার মাঝে মধ্যে সেটা রিসিভ করে ডিকোড করার চেষ্টা করে। আবার মাঝে মধ্যে রিসিভ করেই ডিলিট করে দেয়। কিন্তু তাইবলে শয়তান সিগন্যাল পাঠানো কখনও বন্ধ করেনি।
শেষে একটা কথাই বলতে চাই, শয়তান জান্নাত থেকে বহিষ্কৃত হলেও মানুষের মস্তিষ্কে ঢুকে ধোকা দেওয়ার আর বিভ্রান্ত করার ক্ষমতা আল্লাহ্ তাকে দিয়েছিলেন। আর এটা ছিল মানুষের পরীক্ষার জন্য। শয়তানের ধোকার বিরুদ্ধে জিততে পারলেই মানুষ তার শ্রেষ্ঠত্বের মর্যাদা অক্ষুন্ন রাখতে পারবে। আর তা না পারলে যদি শয়তানই মানুষের থেকে শ্রেষ্ঠ হয়ে যায় তবে মানুষের জান্নাতে যাওয়ার কোন অধিকার আছে বলে আমার মনে হয়না ।।।
ফেসবুকে আমিঃ Káñàk The-Bøss
২| ১৬ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১:৫৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
ফিলোসফি হলো লজিকের উপর প্রতিস্ঠিত, শয়তান হলো ধর্মীয় বিশ্বাস; ধর্মীয় বা যেকোন বিশ্বাস, যা লজিকের উপর প্রতিস্ঠিত নয়, তা ফিলোসফির অংশ নয়; আপনার পোস্টে ফিলোসফিক্যাল কিছু নেই।
১৬ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ২:৩০
মোঃ কামরুজ্জামান কনক বলেছেন: আপনার গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
তবে আমি ফিলোসফি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করতে এখানে আসিনি, তবে এটুকু বলতে হচ্ছে... ফিলোসফি অর্থাৎ দর্শন জ্ঞানের অন্যতম প্রাচিন একটি শাখা যেখানে ১. নীতিবিদ্যা ২.অধিবিদ্যা ও ৩.যুক্তিবিদ্যা নিয়ে আলোচনা করা হয়। এছাড়াও এর অনেক শাখা আছে যেমনঃ জ্ঞানতত্ত্ব, নন্দনতত্ত্ব, রাজনৈতিক দর্শন, প্রাচ্য দর্শন, ইসলামী দর্শন ইত্যাদি... আপনি মনেহয় ফিলোসফিটাকে শুধু যুক্তিবিদ্যা হিসেবেই দেখছেন। আর এটাও জরুরী না যে কোন বিষয় ফিলোসফিক্যাল হতে হলে উপরের তিনটা জিনিসই এক সাথে থাকতে হবে। আপনার মন্তব্যের জন্য আবারো ধন্যবাদ ।।
৩| ১৬ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ৭:১৪
মানুষমানব বলেছেন: আমি জানি না আপনার লেখার অন্য কোন অর্থ আছে কী না কিন্তু আমার জন্য অনেক উপকারি হইছে, আমার অর্থে। ধন্যবাদ আমার গালে চড় মারার জন্য, যার ফলে আমি চেতনা ফিরে পেয়েছি।
৪| ১৬ ই জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১২:১২
সিগনেচার নসিব বলেছেন: তার কথা শুনে আমি তো পুরাই স্পিকার হয়ে গেলাম।
আসলেই তার কথার যুক্তি আছে।
আমি আর বেশী কিছু না বলে চুপচাপ ওখানথেকে কেটে পড়লাম।
ভাল করেছেন ভাই থাকলে না জানি আরও কি বলে বসত।
পোস্টটি পড়ে মজা পাইলাম
©somewhere in net ltd.
১|
১৬ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১:৪৫
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: লিখাটা জট্টিল হইছে, পিলাচ ++