![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মোঃ আরিফিন ইসলাম একটি সুন্দর পৃথিবীর প্রত্যাশা করি। কর্মস্থলঃ thereport24.com (IT support)
আন্তর্জাতিক আদালতকে উপেক্ষা করে আবারও তিমি শিকার করতে যাচ্ছে জাপান। এক বছরেরও বেশি সময় তিমি শিকার বন্ধ রাখার পর ফের শিকার শুরুর সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে দেশটির সরকার। খবর বিবিসির।
আইসিজে (ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিস) জাপানকে সব ধরনের তিমি শিকার বন্ধের নির্দেশ দেওয়ার পরও জাপান ঘোষণা দিয়েছে, আগামী বছর থেকে আবারও অ্যান্টার্কটিকায় তিমি শিকার শুরু করবেন তারা। তারা আরও জানিয়েছেন, এখন থেকে সংশোধিত নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী ছোট আকারের মিঙ্কি তিমি শিকার বছরে দুই-তৃতীয়াংশ কমিয়ে আনবেন তারা। পরিকল্পনা অনুযায়ী, আগের এক হাজার মিঙ্কি তিমি শিকারের জায়গায় এখন তা কমিয়ে ৩৩.৩ এ নামিয়ে আনা, অর্থাৎ সংখ্যাটি দুই-তৃতীয়াংশে কমিয়ে আনবেন তারা।
জাপান কর্তৃপক্ষ বলছে, আদালতের রায় বিবেচনা করেই তারা এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে। পরিকল্পনাটি বৈজ্ঞানিকভাবে পরিমিত ও গ্রহণযোগ্য বলেও দাবি তাদের।
এ সিদ্ধান্ত আন্তর্জাতিকভাবে পরিবেশবাদীদের মধ্যে ক্ষোভের জন্ম দিতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে।
কিছু পরিবেশবাদী সংগঠন এবং অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাজ্যের সরকার ইতোমধ্যে এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদও জানিয়েছেন।
অস্ট্রেলিয়ার পরিবেশমন্ত্রী গ্রেগ হান্ট এক প্রতিক্রিয়ায় বলছেন, ‘তথাকথিত বৈজ্ঞানিক গবেষণার অংশ হিসেবে তিমি শিকারের এই ধারণা আমরা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারি না’।
যুক্তরাজ্য সরকার বলছে, ‘জাপান সরকারের ফের তিমি শিকারের এই সিদ্ধান্তকে আমরা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছি না’। তারা মনে করেন, আন্তর্জাতিকভাবে তিমি শিকার নিষিদ্ধ, এটার অবমাননা করতেই মূলত এ সিদ্ধান্ত।
১৯৮৭ সাল থেকে জাপান তিমি শিকার কর্মসূচি চালু করে। তারপর থেকেই আন্তর্জাতিকভাবে এই কর্মসূচি সমালোচনার মুখে পড়ে। অস্ট্রেলিয়া ২০১৪ সালে তিমি শিকার করায় নেদারল্যান্ডসের ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসে জাপানের বিরুদ্ধে মামলা করে। যার প্রেক্ষিতে ওই রায় দেয় কোর্ট।
২০০৫ সাল থেকে প্রতিবছর ৩৬ হাজার মিঙ্কি তিমি শিকার করে আসছে দেশটি।
সংগ্রহ - অনলাইন নিউজ পোর্টাল the report24 থেকে।
©somewhere in net ltd.