![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কম্পিউটার ডিজাইনার
রাত যখন 10টা বাজে টিক তখন বাসায় এলাম আমি। অফিস থেকে বাসায় ডুকার পর দেখি ১ মধ্য বয়সি যুবতি অপূর্ব সুন্দরী আমি অনেকটা অবাক এই সুন্দরী যুবতীকে দেখে। যাক আমি যুবতিকে দেখেও না দেখার মত করে হাতমুখ ধুয়ে খাবার খাওয়ার জন্য বসলাম। খাবার খাচ্ছি আর মাকে বলাম অতিথিকে ? মা বলো যে আমি ও তাকে চিনি না। তবে মনে হচ্ছে কোন সূনামধন্য হিন্দু পরিবারের মেয়ে হবে। আমি বলাম- তাকে না চিনলে বাসায় এলো কি করে। মা বলো- সন্ধ্যায় হঠাৎ করে মেয়েটাকে আমাদের বাসার সামনে দেখতে পাই। তাই তাকে বলাম মা তুমি কই যাবা মেয়েটা আমায় বল আমি কই আচ্ছি আমি নিজেও বলতে পারবো না। আমি কিভাবে এলাম তা বলতে পারিনা।আমি শুধু মনে পরে আমি সি.এন.জিতে উঠেছিলাম আর কিছু মনে নেই। তার পর এখানে কি করে এলাম। মা আমায় কিছু থাকার জায়গা দিবেন। মা বলো- মেয়েটির কথা শুনে আমার খুব মায়া হল তাই তাকে আমাদের বাসায় থাকতে দিলাম। তারপর আমি বলাম আপনাদের সবার খাওয়া হইছে। মা বলো- হে হইচ্ছে। খাওয়া শেষে আমি ঘুমাতে যাই। কিন্তু আমি ঘুমাতে গেলেও আমার মন ও কান ছিল মায়ের রুমের দিকে। এই জন্য যে মেয়েটি ও মা কি বলতেছিল শুনার জন্য। কারণ আমি এই সুন্দরী রমনিকে চিনি। শুধু চিনাতে শেষ না এই সুন্দরী বালিকাই আমার মনের রাজকুমারী। এই সুন্দরী আমার স্বপ্ন বালিকা। যাকে আমি ভালবাসি। তবু আমি কাউকে কিছু বুঝতে দেই নাই। সারা রাত মা আর সুন্দরী মেয়েটি কথা বলও। সকালে আমি ঘুম থেকে উঠে স্ন্যান সেরে খাবার খাব তখন
মা বলো- এমন যদি একটা ছেলে বউ পেতাম।
আমি বলাম- এমন বলতে কার কথা বলছো মা।
মা বলো- আমাদের ঘরে যে অতিথী এসেছে।
আমি বলাম- ত মানা করছে কে ? কয়েক দিনের জন্য বউ করে রেখেদেন।
মা বলো- পাগল। খাবার খাও তারাতারি।
আমি খাবার খেয়ে অফিসে চলেগেলাম। অফিসে যাওয়ার পর সুন্ধরী আমায় ফোন করলো। আমি ফোন রিসিব করে বলাম – হ্যাল
ঐ পাশ থেকে- সে সুন্দরী মেয়েটি যার নাম নীলা। সে বলো- নিরব তোমার মা আমায় আজও থাকতে বলতেছে। তখন আমি বলাম- থাকও সমস্যা কি। আমিও চাই তুমি আমাদের বাড়ি থাকো।
আজ অফিস থেকে একটু তারা তাড়ি বাড়িতে ফেরে এলাম বিকালে। মা বলো- তারাতারি চলে এলি।আরে মা তোমার মনে নাই ঐযে সকালে বলাম মেয়েটারে বউ বানাতে হইবো। তাই চলে এলাম। মা বলো- ঐ তোর কি কোন শরমনাই। আমি হাসি আর হাসি আর বলি আরে মা এমন কিছু না অফিসে কাজ কম ঈদ সামনেতো তাই আজ ছুটি দিয়ে দিল। মা বলো- তোর যা কথা। সন্ধ্যায় আজ আর কোথাও বাইরে ঘুরতে যাইনাই। আজ নিরবে নিবিরে আমি নিরব বাস বসে ছিলাম।কিছুখন পর মা পাশের বাড়িতে গেলো। চট করে আমি নীলা রুমে গিয়ে উঠলাম। নীলা আমায় দেখে লাপমেরে বলও মা মামামা.... এখান থেকে যাও মা দেখলে সমস্যা। আমি বলাম দূর পাগলী মা বাসায় নেই। পাশের বাড়ি গেছে। নীলা দূরে এসে আমায় জড়িয়ে ধরলো। বার বার শুধু আমার সেই মুহুতটাই মনে পড়ে বেশি।আমার দু’চোখে কোথায় থেকে এত জল এলো। নীলা আমায় জড়িয়ে ধরে বড় বড় নীশ্বাস ফেলছে। আর দু’চোখ দিয়ে অশ্রুরু ছেড়ে দিল। আর আমায় বলো আমি বাড়ি থেকে পালিয়ে এসেছি। আমি বলাম আচ্ছা সমস্যা নই। আমিত আছি চিন্তা কইর না। এদিকে মা আশার শব্দ শুনতে পেলাম । মা উচ্চস্বরে বল নীলা ! নীলা। আমরা দুইজনে দুই পান্তে। চলে গেলোম দূরে সরে গেলাম। নীলা শব্দ করে বলো- মা আমি রুমে। মা বলো- এদিকে এসো দেখ তোমার জন্য কি আনেছি । নীলা মায়ের কাছে গেল। মা বলো- পিয়ারা এগুলো তোমার জন্য। নীলা পিয়ারাগুলো হাতে নীল । তখন মা নীলাকে উদ্দেশ্য করে বল । নিরবকে 1টা দিও। আমি পাশের রুম থেকে উচ্চস্বরে বলাম না মা আমার দুইটা লাগবে। (কারণ পিয়ারা আমার সবচেয়ে প্রিয়) আয় মা পিয়ারা খেতে খেতে আমরা কিছু পিঠা বানাই। তারপর বাসায় মা ও নীলা পিঠা বানাইতেছিল আর এদিকে আমি আমাদের গ্রামের বাজারে চলে যাই সেখানে আমার বন্ধু মহল আড্ডা দিছিল । বন্ধুদের সাথে দেখা হওয়ার সাথে সাথে জিগাস করলাম। কি খবর সবাই কেমন আছো। বন্ধুরা সবাই একসাথে বলে উঠলো আমাদের খবর জানতে হবে না। আগে বল তোমার বাসার সুন্ধরী কণ্যাটি কে। আমি ত অবাক তারা কি করে জানলো। আমি বলাম তোমরা কি করে যানো। বন্ধুরা বল দোস্ত সবিই খবর রাখতে হয়। তার পর আমি বলাম অতিথি। বন্ধুরা বল শুধুই অতিথি নাকি অন্যকিছু বন্ধু কিছু কিছু বুঝি। আমি বলাম তোরা যা মনে করছ। অনেক খন বন্ধুদের সাথে মজা করে বাসায় এলাম। বাসায় আসার পর মা পিঠা খেত দিল সাথে ভাত দিল । সব খেয়ে আমি ঘুমাতে গেলাম। আজ অনেক দিন পর চিন্তা মুক্ত ভাবে ঘুমাতে পারবো। মায়ের সাথে নীলা খুব ভাল বন্ধুত হয়ে গেল। ভাল লাগে। কই দিন পর যে আমার বউ হবে তার সাথে আমার মায়ে খুব মিল । কিন্তু মায় কিছুই বুঝতে পারলো না। বাবার কথা আর কি বাবা ত মহা ব্যাস্থ মানুষ । ছোট রাজপুর সেত আর কথাই নাই । সারা দিন খেলা খেলা খেলা। ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে গেলাম। সকাল হতে না হতেই কে যে আমায় নাম ধরে ডাকদিল নিরব , নিরব। অহ. এতসকালে কে। মাত্র 5:30 মিনিট । কে । উঠে এসে দরজা খুলাম । আর যা হবার । দুইজন ভদ্র লোক দাড়িয়ে আছে আমার ঘরের সামনে । কি ব্যাপার আপনারা আসেন ঘরে আসেন বসেন। উত্তরে দুজন ভদ্রলোক না আমরা এখানে বসতে আসিনি। বলও আমাদের মেয়ে কোথায়। আমাদের মেয়েকে কই রাখছ। দেখেন ঘরে আসেন বসেন। এভাবে ঘরের বাহিরে উচ্চ স্বরে কথা বলে । মানুষ কি মনে করবে। ভদ্রলোক দুজন হল নীলার বাবা আর মামা। নীলার বাবা বল আমার মেয়ে আজ দুইদিন বাড়িতে নাই। মানুষ আমাদের নিয়ে যা ভাবার তাত ভেবেছে। এখন ভালই ভালই আমার মেয়েকে ফিরিয়ে দেও।আমি বলাম দেখেন আমি আপনার মেয়েকে তুলে আনিনাই। আমাকে এভাবে আপনি দুশ দিবেন না। নীলা বাবা রেগে গেলেন এবং আমায় বলেন দেখি তুমি কতখন আমার মেয়েকে জিমি করে রাখতে পারো।আমি তোমার নামে থানায় কমপ্লিন করবো। এই বলে চলে গেল নীলার বাবা কিছু খনের মধ্যে শত শত লোক বাড়িতে ভরে গেল নানান মানুষ নানান কথা । মা আমায় বলো- মেয়েটাকে তুই চিনশ। আমি বলাম- হ্যা চিনি। মা বলো- তবে তুই আমায় আগে কেন বলিস নি যে মেয়েটা মুসলিমের মেয়ে। আমি বলাম মা তা তুমিও তাকে দেখে বুঝনি। সে যে মুসলিম তাকি তার গায়ে লেখা আছে। মা বল- আমায় তুমি বুঝাতে এসোনা। যারা একটু পরে আসবে তাদেরকে বুঝিও। মা এবার নীলার কাছে গেল এবং বলো দেখ মেয়ে আমিতোমাকে নিজের মেয়ের মত ভাবছিলাম।কিন্তু তুমি এমন একটা কাজ করবে আমি ভাবতে পারিনি। নীলা চুপ করে দুৎচোখের জল ছেড়েদিল। কিছুখনের মধ্যে পুলিশ এসে হাজির। সাথে গ্রামের কিছু হিন্দু / মুসলিম মুরবি তার সাথে ছোট খাট নেতা আর আমার বন্ধুরা। পুলিশ আমায় জিগাস করল নীলার কথা আমিবলাম যে আমি কাউকে অপহরন করেনি বা কাউকে জিন্মি করিনি। আমিতাকে ভালবাসি তাই সে আমার কাছে চলে এসেছে। আপনারা নীরাকে জিগাস করেন সে কি বলে তাহলেই ত হয় সে যদি বলে আমি অন্যা করছি। তাহলে আমি আর কিছু বলবো না। পুলিশ নীলার দিকে এগিয়ে গেল। এবং নীলাকে প্রশ্ন করলো। যে তুমি এখানে কেন। আর এখানে তোমায় কে এনেছে। উত্তর নীলা ??????????????????
.........
উত্তরে নীলা কিছুখন ধম ধরে বসে ছিল।
বার বার পুলিশ তাকে জিগাস করতেছে। তার পরও সে কিছু বলতেছিল না। তার পর আবার ও পুলিশ তাকে জিগাস করলো। তখন নীলা পুলিশ কে যা বলো।
নীলা বলো- আমি এখানে নিজে নিজে এসেছি। আর আমি নিরবকে ভালবাসি। আমাদের সম্পর্ক কেউ মেনে নিবেনা আমি তা জানি। তাই আমি বাড়িথেকে পালিয়ে এখানে চলে এসেছি। কিন্তু আমি 2 দিন ভালই ছিলাম কোন সমস্যাছিল । কিন্তু আমাদের সেই ভালথাকাটা আপনাদের জন্য আর হয়তো হবে না। এই বলে নীলা কাদ্দে শুরু করল। এই কথা শুনে নীলা বাবা রেগে গেল। পুলিশ তাকে শান্ত হতে বলেন এবং তার সাথে পুলিশ তাকে বলেন আপনার মেয়ে নিজের ইচ্ছা এখানে এসেছে আইন দৃষ্টিকোন থেকে আপনার মেয়ে সাবালিকা। এখানে আমাদের কিছুই করার নাই। এটা দেখেন আপনারা নিজেরা নিজেরা সমধান করে নেন। এই বলে পুলিশ চলে গেলে। গ্রামের শালিশের জারা মুরুবি হিন্দু সমাজ ও মুসলিম সমাজ দুই সামজের একটাই কথা না না এটাহতে পারে না। দেশটা রসাতলে গেলো যা শুরু হইচ্ছে এহন দেহি আমাগো মুখ দেখানো পাপ। আমাগো সময় আমরা কেমন করে চলতাম। এখনকার পুলাপাইনে মুরুবি মানে না। বিয়াদপ। ছি ছি কি করে হয়। এই সব। হিন্দু/মুসলিম এক ছাদের তলে কি করে । না না তা হতে পারে না।
এসব কথা আমি শুনতেছিল আর ভাবতেছি।
শালার সমাজ আর মানুষ অবাক করে দেও। গোপনে যখন বেশসা বিত কর তখন ত আর জানতে চাওনা যে বেশসার সাথে তুমি রাত কারাও সে কি হিন্দু না বৌদ্ধ । তখন আর জাত যায় না। তারি সাথে মনে পরে গেলে শাইজির সেই গানটার কথা।
জাত গেল জাত গেল বলে
একি আজব কারখানা
সত্য কাজে কেউ নয় রাজি
সবই দেখি তা না না না....
আসবার কালে কি জাত ছিলে
এসে তুমি কি জাত নিলে
কি জাত হবা যাবার কালে
সে কথা ভেবে বলো না...
ব্রাহ্মণ চন্ডাল চামার মুচি
এক জলেই সব হয় গো সুচি
দেখে শুনে হয় না রুচি
যমে তো কাউকে ছাড়বে না...
গোপনে যে বেশ্যার ভাত খায়
তাতে ধর্মের কি ক্ষতি হয়
লালন বলে জাত কারে কয়
সে ঘোরও তো গেল না...
জাত গেল জাত গেল বলে
একি আজব কারখানা.......!
শাইজি এখন যদি তুমি থাকতে তাইলে এই মূর্খদের হয় তো কিছু বুঝানো যেত।
চার চাঁদে দিচ্ছে বাতি মনি কোটার ঘরে
ভালবাসা, ভালবাসি, ভালবাসবো এই নিয়ে কত গল্প, কত গান, কত ছবি, কত উপনাস আজ আমার বেলায় এমনটা হল হায় ভগবান –
হে স্রষ্টা তুমি কি কারও একার নাকি। সবার একিই রক্ত, একিই অঙ্গ, জন্ম একি ভাবে মরন হয় একি ভাবে। পাপ সবার জন্য আচ্ছে নরক/দজগ সবার জন্য আচ্ছে । আকাশে আসমান সবার জন্য// এবাদত প্রার্থনা সবাইকরে/ তোমার গুন গান সবাই করে। খাবার সাবই একই খায়। পোষাকেও সবার সমান। তবে ব্যবধান কোথায় । হাহাহাহা প্রার্থনায় তাতেও উদ্দেশ্য এক শুধু শুধু নিয়মটা একটু বিন্ন.......
পাপ-পুণ্যের কথা আমি কারে বা শুধাই।
এই দেশে যা পাপ গণ্য অন্য দেশে পুণ্য তাই।।
তিব্বত নিয়ম অনুসারে
এক নারী বহু পতি ধরে
এই দেশেতে হলে পরে
ব্যভিচারী দণ্ড হয়।।
শূকর গরু দুইটি পশু
খাইতে বলেছেন যিশু
তবে কেন মুসলমান হিন্দু
পিছেতে হটায়।।
দেশ সমস্যা অনুসারে
ভিন্ন বিধান হতে পারে
সূক্ষ্ম জ্ঞানের বিচার করে
পাপপুণ্যের নাই বালাই।।
পাপ হলে ভবে আসি
পুণ্য হলে স্বর্গবাসী
লালন বলে নমি উর্বশী
নিত্য নিত্য তার প্রমাণ পাই।।
এসব কথা ভাবতেছি আর ঘরে দরজার পাশে বসে রইলাম কি নিয়ম কি আইন। কি সমাজ ব্যবস্থা। হাসি আর হাসি নিজের বিবেকের সাথে হাসি। হাসতে হাসতে হটাত দিখি চোখে অনেক আলো এসে পড়লো । এখন বিচার খুবই চিন্ত কি করে এই বিচার করবে । কি করা যায় সমাপ্ত কি ভাবে দেওয়া যায়।
আচ্ছা বন্ধুরা আজ যদি তুমি সেখানকার বিচারক হতে তবে তুমি কি করতে কিভাবে সমাধান দিতে ।বন্ধুরা দয়া করে বলে দিবে এই গুল্পটার শেষ সমাপ্ত কি হতে পারতো।
জানার আশায় রইলাম দয়া করে বন্ধু কমেন্ট কর। গল্প অনেক সময় বাস্তব হয়ে যায়।
©somewhere in net ltd.