নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কাহ্নপাদ

এখনো ছাত্র। বিশ্ববিদ্যালয়ের পারিপার্শিকতায় শিখছি। সেই সঙ্গে শিখছি বিশ্বজোড়া পাঠাশালায়ও। সাহিত্যে আকর্ষন আছে, সেই সঙ্গে আছে অনুরাগও। জীবন, সমাজ, দেশ ও মানুষ নিয়ে মনের ভাবের নান্দনিক প্রকাশ করতে ও কাউকে করতে দেখতে পছন্দ করি।

কাহ্নপাদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

যেখানে ৪৫ দিনে মাস

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১০

সময়ের আবর্তন হিসেব করতে মাস একটি অতি পরিচিতি ও প্রয়োজনীয় অনুষঙ্গ। আর পৃথিবী নামক এই গ্রহে মাস সময়ের আবর্তের একক হিসেবে বহুল ব্যবহৃত ও অতি সুপরিচিত। পৃথিবীতে প্রচলিত ও ভুতপূর্ব প্রায় সব সময়পঞ্জিতেই মাস সাধারনত তিশের ঘরেই (এক-দুই দিন কম বেশি) থাকে। কিন্তু পৃথিবীর মধ্যেই এক অদ্ভুত স্থান আছে যেখানে মাস হয় ত্রিশের বদলে পঁয়তাল্লিশ দিনে। আর সেখানে বছর হয় আট মাসে।

শুনে আগ্রহ জাগতে পারে কেমন সেই জায়গা আর কেমন সেই বর্ষপঞ্জি। স্থানটি পৃথিবীর মধ্যেই এশিয়া মহাদেশের একটি উন্নয়নশীল দেশের রাজধানীর বুকে অবস্থিত। সেই দেশে একটি প্রবাদ প্রচলিত আছে- এক সময় আমাদের গোয়াল ভরা গরু আর পুুকুর ভরা মাছ ছিল। প্রচলিত প্রবাদের মত করে যদি বলা যায়- এক সময় এই স্থানেও শান-শওকত ছিল, ছিল জৌলুস আর আভিজাত্যের চকচকানি। অনকে আমির ওমরাহ আর রাজা জমিদারের পদচারনায় মুখর ছিল এই স্থানটি। আর হ্যা, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হচ্ছে, তখন এই স্থানটিতেও ত্রিশ দিনেই মাস গননা করা হতো। কিন্তু সব এখত অতীত।

স্থানটির অতীতের জৌলুস আজ ম্লান হয়ে গেছে। পুরাতন ভগ্ন জমিদারবাড়িগুলো যেমন অযত্নে অবহেলায় পড়ে থেকে থেকে শ্যাওলা জমে আর পলেস্তরা খসে জীর্ন হয়ে যায়, এই স্থানটিও ঠিক তেমনি পুরনো রাজপ্রাসাদের জীর্ন কঙ্কাল হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। এ যেন একটা সময়ের সাক্ষী। প্রত্ননিদর্শন হিসেবে যেমন পুরাতন রাজবাড়ি কিংবা জমিদারবাড়িগুলোর মুল্য রয়েছে এরও তেমনি একটি মুল্য রয়েছে। জৌলুসের চাকচিক্যের একটা অতীত একটা সোনালী সময়ের স্মৃতি হিসেবে আমরা একে সংরক্ষণ করতে পারতাম।

কিন্তু এর ভাগ্য ঠিক ওই জমিদারবাড়িগুলোর মত নয় যেগুলো প্রত্ননিদর্শনের আখ্যা পেয়ে দর্শনীয় স্থানে পরিণত হয়েছে। এর হয়েছে দশ শরিকে ভাগ হয়ে বেওয়ারিশ হয়ে পড়ে থাকা জমিদারবাড়ির দশা। আজ সেই ব্রিটিশ আমল নেই, জমিদারিও নেই। কিন্তু আছে জমিদারের বংশধরদের রক্তে জমিদারীর স্মৃতি আর দেমাগের ছিটেফোটা। এর ফলে তারা এই জীর্ন বাড়িটিতে বসবাসের চেষ্টা চালান। ফলে সেটা দিনে দিনে আরো জীর্নতর হয়ে ওঠে। এরই এক পর্যায়ে তাদের বর্ষপঞ্জিগুলো ধুসর হয়ে ওঠে। তারা সময়ের ঠিকঠাক হিসেবে রাখতে ভুলে যান। আর সেই পুরনো বংশগৌরব আর অহংকার তাদেরকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলে বর্তমান সময়ের হিসেব থেকে।

ঠিক একই রকমভাবে এই স্থানটি পুরনো জৌলুস খুইয়ে বসেছে আজ বহুদিন। কিন্তু এর ওয়ারিশগন এর ভোগদখলস্বত্বও ছাড়েনি আবার সংস্কার করে জাঁকও বজায় রাখেনি। ফলে সময়ের আস্তরে ধুঁলো জমে গেছে। আর এর ফলে তারা ভুলে গেছে এক সময় পৃথিবীতে ত্রিশ দিনে মাস গননা করা হতো। সুর্য একবার পৃথিবী প্রদক্ষিণ করতো বারো মাসে। শ্যাওলা ঘেরা এই স্থানে এখন পঁয়তাল্লিশ দিনে মাস গননা করা হয়। আর এর বাসিন্দারা জানে পৃথিবী সুর্যের চারিদিকে একবার ঘুরে আসতে সময় নেয় আট মাস। আর পৃথিবীতে ঈদ-পূজা বা পার্বনে কেউ কখনো অতিরিক্ত টাকা পয়সা ব্যায়ও করে না। এখানে নানা কাজে নিয়োজিত গুটিকতক লোকও একমাস পর পর নিয়মিত তাদের পাওনা বুঝে পান। কিন্তু তারা বাইরের পৃথিবীর নিয়মের সঙ্গে কেন যেন তাল মেলাতে পারেন না। কারন বাইরে এখনো ত্রিশ দিনে মাস হয়, সূর্যকে একবার প্রদক্ষিণ করতে পৃথিবীর সময় লাগে বারো মাস। আশ্বর্য দোটানায় ভোগে এখানে আসা লোকগুলো। আপনারা যদি আসতে চান জেনে নিতে পারেন স্থানটির নাম, ঠিকানা। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার তেজগাঁও এলাকায় লাভ রোডে অবস্থিত এইচাআরসি মিডিয়া ভবনটিই (দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকাটির দপ্তর এখানে অবস্থিত) হলো এই আশ্বর্য স্থান, যেখানে এখন পঁয়তাল্লিশ দিনে মাস হয়।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৮

ফাহমিদ বলেছেন: এইচ আর সি গ্রুপ বেতন দেয় ৪৫ দিনে।!!!!

২| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৮:০৮

অল্পদর্শী বলেছেন: খুবই লজ্জা পাইলাম... এতদিন মাসের হিসাব ভুল জানছি বইলা।
আরো লজ্জা পাইলাম এইচআরসির ভন্ডামি দেইখা।
তারা ভাবে, এইচআরসি হইলো 'হিজ রাজকীয় কোম্পানি'।
কিন্তু পাবলিক তো কয়... ছ্যাঁচড়া কোম্পানি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.