নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কাহ্নপাদ

এখনো ছাত্র। বিশ্ববিদ্যালয়ের পারিপার্শিকতায় শিখছি। সেই সঙ্গে শিখছি বিশ্বজোড়া পাঠাশালায়ও। সাহিত্যে আকর্ষন আছে, সেই সঙ্গে আছে অনুরাগও। জীবন, সমাজ, দেশ ও মানুষ নিয়ে মনের ভাবের নান্দনিক প্রকাশ করতে ও কাউকে করতে দেখতে পছন্দ করি।

কাহ্নপাদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আসুন কিছু শুরু করি

১০ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১:৫৮

বাংলাদেশ নিয়ে আমরা আধা-বুদ্ধিজীবীর দল নানান কথা বলে থাকি। এই দেশের এই সিস্টেম ভালো না। ওইটা বদলানো দরকার। নানান রকম উপায়ও হয়তো বলে বাৎলে দেই পাক্কা বুদ্ধিজীবিদের মতো। কিন্তু শেষে যখন বেড়ালের গলায় ঘন্টা বাধাবার সময় আসে তখন একে অপরের মুখ চাওয়া-চাওয়ি করে একে একে সটকে পড়ি। সকলেরই কথা- ভাই আমার দুটো বাল-বাচ্চা আছে। আমি ছা পোষা মানুষ। আমার অত শক্তি কোথায় আর দায়টাই বা কোথায়। এই বলেই ক্ষান্ত দিয়ে আবার রাত্তিরের অন্ধকারে নীল আলো জ্বেলে আরেক প্রজাতির নিশাচরের বক্তব্য শুনে টেলিভিশনের পর্দাটাকে গালিগালাজ করি। বেচারা বোকাবাক্স! তার কী দোষ। অনেকে রাগের মাত্রা একটু বেশি হলে হাতের রিমোটটাও ছুড়ে মেরে নিদ্রার আয়োজনে ব্যস্ত হই। তারপর সুর্য উঠলে আবার সেই একই রুটিন আর একই হাপিত্যেশ। বদলের কথা বলছি বটে কিন্তু বদল তো হচ্ছেনা। দিন কেটেই যাচ্ছে। ক্রমশ ক্ষয়ে যাচ্ছে আমাদের শক্তি।
শক্তিক্ষয়ের পাল্লায় আমরা বাংলাদেশিরা দিনে দিনে বেশ পটু হয়ে উঠছি। কিন্তু আমরা কেউই বদলানোর জন্য কিছুই করছি না। দেশের একটি প্রথম সারির জাতীয় দৈনিক কবি আবুল হাসানের দুটি লাইন চুরি করে একটা বদলের স্লোগান তুলেছে বটে- বদলে যাও বদলে দাও, কিন্তু আদতে তাদের উদ্দেশ্য যতটা না বদল তার চেয়ে বাজার। আর তাই সেখানে প্রচারনার আতিশয্যে আর ব্যনারের আড়ালে বদলের কথাটাই কেমন আড়াল হয়ে যাচ্ছে। যাই হোক বদলের কথা বলে আমিও সেই পুরনো প্যাচাল আর কথার মারপ্যাচে এখানে সামুতে এসে বকবকই করে যাচ্ছি। আসলে প্রশ্ন হচ্ছে বদলে আমি বা আমরা ব্যক্তিগতভাবে বা গোষ্ঠীগতভাবে কী ভুমিকা রাখতে পারি?
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে একথাটা খুব সত্য যে আমাদের বদলাতে হলে রাজনৈতিক বিন্যাস টাই আগে বদলাতে হবে। এটা আমার খুব একান্ত ব্যক্তিগত অভিমত রাজনৈতিক সংস্কৃতির আগে বদল দরকার। এজন্য আমাদের খুব নিজস্ব ধাাঁচের একটা রাজনৈতিক ব্যবস্থার জন্য কাজ করতে হবে। আর এটা করতে হবে একেবারে গোড়া থেকেই। কী শুরু করতে হবে? বদলাতে হবে আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতি। আমরা প্রত্যেক এলাকায় যাদের জনপ্রতিনিধি বা নেতা হিসেবে দেখি তাদের কখনো এই প্রশ্নটা করি না যে আপনার পেশা বা আয়ের উৎস কী। সবাই বলে থাকেন যে রাজনীতি করি দেশ ও জনগনের সেবার জন্য। তাহলে ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় আপনার সম্পদের স্বাস্থ্যজৌলুস এত বাড়ে কেমন করে সেই প্রশ্নটা আমরা করি না। আসুন না এটাই শুরু করি। খুব ছোট পরিসর থেকে শুরু করি। জানি বাধা আসবে। তাই ছোট পরিসরে শুরু করলে ছোট বাধা আসবে। সমাজের সদস্যরা ছোট ছোট পরিসরে ভাগ হয়ে ছোট ছোট ঐক্য গড়ে তুলি।
আজ আপনি বা আমি একটি টিম গঠন করলে বাকিরা উৎসাহিত হবে। এভাবে একটা স্বেচ্ছাসেবী নেটওয়ার্ক তৈরি হবে। আমাদের কাজ হবে সুশাসনের জন্য দেশের ভালোর জন্য ছোট ছোট কাজ করা এবং আমাদের পরিসরে ক্ষমতার অপব্যবহারগুলো সম্ভব হলে রোধ করা আর না হলে প্রতিবাদের সবচেয়ে মৃদু ভাষাটি প্রথমে ব্যবহার করুন না। অনেকগুলো মৃদু কন্ঠস্বর একত্রিত হলে অনেক জোরে আওয়াজ হয়। আমাদের আসলে আওয়াজ তোলা দরকার। খুব ছোট্ট পরিসরে হলেও। শুরুটা সবসময় ছোট্টই হয়। আমাদের মেনে নেওয়ার সংস্কৃতির বদলে মানিয়ে নেওয়ার সংস্কৃতির বদলে নতুন কিছু করার সংস্কৃতি চালু করা দরকার। আমাদের নিজেদের ছোট পরিসরগুলো বদলাতে শুরু করলে দেশটাও একদিন বদলে যাবে। সুন্দর আর সুখি একটা মধ্যম আয়ের দেশের স্বপ্ন সত্যিই পুরন হবে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.