নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কাহ্নপাদ

এখনো ছাত্র। বিশ্ববিদ্যালয়ের পারিপার্শিকতায় শিখছি। সেই সঙ্গে শিখছি বিশ্বজোড়া পাঠাশালায়ও। সাহিত্যে আকর্ষন আছে, সেই সঙ্গে আছে অনুরাগও। জীবন, সমাজ, দেশ ও মানুষ নিয়ে মনের ভাবের নান্দনিক প্রকাশ করতে ও কাউকে করতে দেখতে পছন্দ করি।

কাহ্নপাদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

হাতির ঝিল:টাকা জনগনের, সড়ক বড়লোকের!

৩০ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:২১

এদেশে জনগনের টাকায় কত ভুতের বাপেরই তো শ্রাদ্ধ হয়েছে, হচ্ছে, হয়তো হতেই থাকবে। জনগনের টাকায় বিভিন্ন বড় বড় উন্নয়ন প্রকল্পের অনেক ক্ষেত্রেই পুরো কাজটা হয় না। কিন্তু জনগন এই ভেবে স্বান্তনা পায় যে, অন্তত কিছু হলেও তো হচ্ছে। কিন্তু ওই স্বান্তনাটুুকই। জনগনের টাকায় বড় বড় উন্নয়নের ফল যা তা তো জনগনের প্রতিনিধিত্বশীল অংশের নাগালে আসছে না। এর খুব বড় একটা উদাহরন হিসেবে দেখানো যেতে পারে রাজধানী ঢাকার বুকে হাতির ঝিল প্রকল্প। বহু অর্থব্যায়ের ঢাকার বুকে সিডনির শোভা সৃষ্টি করা এই বিশাল প্রকল্পের অধীনে খুব গুরুত্বপূর্ণ দুুটি সড়ক নির্মান করা হয়েছে। গুলশান এবং বাড্ডা এলাকার সঙ্গে কারওয়ান বাজার এলাকার যোগাযোগের ক্ষেত্রে এই দুটি সড়ক বড় একটি সুবিধা এনে দিতে পারতো। হ্যা, পারতো শব্দটা লিখতে হচ্ছে কারন, এই সড়ক দিয়ে কোনো গণপরিবহন চলাচলের সুযোগ নেই। এই সড়ক দিয়ে চলে শুধু প্রাইভেট কার, বিলাসবহুল দামী দামী জিপ, পাজোরো, এবং এসব বিলাসবহুল গাড়ির ফাঁকে এক আধটু জায়গা পেলে ইজ্জত বাচিয়ে কিছু সিএনজিচালিত অটোরিক্সা। কিন্তু একটু মনযোগ দিয়ে লক্ষ্য করে দেখুন তো- এই যে হাতির ঝিলের রাস্তার ইট বালু সিমেন্ট পিচ এবং রাস্তা ওপর জ্বলা লাত-নীল বাতির পেছনে যেসব টাকা খরচ হয়েছে তাতে জনগনের টাকার কতটা ভাগ রয়েছে। সত্যি কথা হলো এই ঠাকা শহরে সম্ভবত শতকরা ৯৫জনেরই নিজস্ব গাড়ি নেই এবং দৈনন্দিন চলাচল করেন এমন ৮০ শতাংশ লোকেরই সামর্ত নেই এমনকি সিএনজি চড়ারও। তাদের প্রতিদিনকার যানবাহন হচ্ছে পাব্লিক বাস, সেটা হতে পারে লোকাল কিংবা সিটিং। আর আছে পুরনো লক্কর-ঝক্কর কিন্তু খুবই কাজের বিশেষ সার্ভিস লেগুনা গাড়ি। বড়জোড় কিছু উঠতি পেশাজীবি রিক্সায় চড়েন কিছুটা ভীড় বাঁচিয়ে চলার জন্য। কিন্তু হাতির ঝিলের এই রাস্তায় এখনো এই তিনটি যানবাহনের একটিকেও চলাচলের অনুমতি দেওয় হয়নি। যার ফলে সাধারন জনগন যাদের টাকায় এই হাতির ঝিল প্রকল্প বাস্তাবায়ন হলো বা যারা এই ঋণের টাকা শোধ করার জন্য, ভ্যাট দেবে, মোবাইলে কথা বললে ট্যাক্স দেবে বাড়তি বিদ্যুত আর গাসের দাম পরিশোধ করবে এবং দুটাকা বাসভাড়া বাড়ার জন্য বাসের হেল্পারের সঙ্গে তর্ক করবে তারা হাতির ঝিল প্রকল্পের প্রকৃত সুফল থেকৈ বঞ্চিতই থাকবে। তাদের কপালে ওই দূর থেকে দেখা লাল-নীল আলোই হবে স্বান্তনা। অন্তত আমাদের একটি সিডনি অপেরা হাউসের সমকক্ষ "দর্শনীয়' স্থাপনা রয়েছে। হ্যা হাতির ঝিল ইদানিং শুধু দর্শনীয় স্থাপনাই হয়ে যাচ্ছে কারন সেখানে গেলে আপনার শুধু চোখ খুলে দৃশ্য উপভোগই করতে হবে, পঞ্চইন্দ্রিয়ের অন্যতম ঘ্রাণেন্দ্রিয় উন্মুক্ত করার সঙ্গে সঙ্গেই এমন সব কটু ঘ্রাণ আসবে যার তুলনা আমি সভ্য সমাজে দিতে চাচ্ছি না। আমার এই লেখার উদ্দেশ্য সমালোচনা করা নয়, দাবি জানানো। হ্যা, আমি আমার টাকার ভাগ চাই। হাতির ঝিলের ভেতর দিয়ে পাব্লিক বাসে গুলশান গিয়ে একটু হাওয়া খেয়ে টাকা উসুল করতে চাই। আপনি আপনার টাকার ভাগটা বুঝে নিতে চাইলে আসুন আওয়াজ তুলি।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৯:১৯

ঢাকাবাসী বলেছেন: তারউপর আছে পৃথিবীতে সবচাইতে বেশী হারে ঘুষ খাওয়া হয় কোথায় জানুন। এদেশে প্রতি কিলোমিটার ব্রীজ বা রাস্তা বানাতে পৃথিবীতে সবচাইতে বেশী খরচ হয়। এদেশের রাস্তা নাকি খাঁটি সোনা দিয়ে বানানো! তাওতো বড়লোকদের জন্যই!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.