নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কাহ্নপাদ

এখনো ছাত্র। বিশ্ববিদ্যালয়ের পারিপার্শিকতায় শিখছি। সেই সঙ্গে শিখছি বিশ্বজোড়া পাঠাশালায়ও। সাহিত্যে আকর্ষন আছে, সেই সঙ্গে আছে অনুরাগও। জীবন, সমাজ, দেশ ও মানুষ নিয়ে মনের ভাবের নান্দনিক প্রকাশ করতে ও কাউকে করতে দেখতে পছন্দ করি।

কাহ্নপাদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

জীবনের ধুসর মাঠে বুনে দেই গম

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:১৮

হঠাৎ করেই কেন যেন ছোটবেলায় গম ক্ষেতের বেড়ে ওঠার স্মৃতিগুলো মনে পড়ছে।
এইরকম শীত আসি আসি করছে, এমন সময়গুলোতে ধুলো ওড়া খেতে চাষের পর চাষ দিয়ে বুনে দেওয়া হত গম। মনে হত কোনো প্রাণের চিহ্নই বুঝি নেই ওই ক্ষেতে। রোজ আমরা দল বেধে পাহারা দিতাম, পাখি যেন বহুমুল্য গমবীজ খেয়ে না ফেলে। গমক্ষেত পাহারা দেওয়ার বিনিময়ে নানা রকম মজার খাবার-দাবার সঙ্গে দেওয়া হত। ক্ষেতের কাছেই খেলা-ধুলায়, আক্ষরিক অর্থেই প্রচুর ধুলা থাকত এই সময়টায়, মেতে উঠতাম সবাই।
তারপর তিন কি চার দিন পর ধুলো ওড়া গম ক্ষেতে দেখা দিত সবুজ সবুজ প্রাণের চিহ্ন। খুব অদ্ভুত লাগে এখন ভাবতে সেই স্মৃতিগুলো। ধুলোর রাজ্যের হঠাৎ সবুজের আগমন। তবে খুব ক্ষীণ! কিন্তু আরো তিন-চারদিন পর ধুলোর ওপর মনে হত, সবুজের কার্পেট বিছিয়ে দিয়েছে কে! খুব সুন্দরভাবে সেই সবুজের কার্পেটে ঢেকে গেছে সব ধুসর ধুলোর রাজ্য। সারা মাঠ জুড়ে শুধু সবুজ আর সবুজের ঢেউ। কচি গম ক্ষেত দেখাটা সত্যিই চোখ জুড়ানো ব্যাপার। শীতের সকালে আমরা যেতাম, কঁচি সবুজ গমের চারার ওপর থেকে নেউর (কুয়াশা বা শিশির) ছাড়িয়ে দিতে। যেন ওরা বেড়ে ওঠে খুব দ্রুত।
সেসব স্মৃতি সত্যিই হঠাৎ হঠাৎ খুব আপ্লুত করে ফেলে। ভাবতে থাকি, আমাদের জীবনের জমিনে কেন আমরা তবে গমের বীজ বুনতে পারিনা। ধুসর জীবন তবে হয়তো খুব দ্রুত প্রশান্তির সবুজ কার্পেটে ঢেকে যেতো। আমরা আমাদের সর্বশক্তি দিয়ে ওই কঁচি সবুজ কার্পেট থেকে নেউর ছাড়াতাম। রোজ একটু একটু করে ভরে উঠতেআমাদের জীবনের মাঠ। আমরাও স্বপ্ন দেখতাম জীবনের মাঠ একদিন ভরে উঠবে সোনালী গমের শীষে....

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.