নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রকৃতির মাঝে তুমি হে, সপ্নীল হয়ে মনে-- কারিমুল হাসান লিখন

কারিমুল হাসান লিখন

কারিমুল হাসান লিখন › বিস্তারিত পোস্টঃ

ধুনট উপজেলা হতে পারে পর্যটক বা দর্শনার্থীদের ভ্রমনস্থল

২৪ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:৫০

ধুনট উপজেলা হতে পারে পর্যটক বা দর্শনার্থীদের ভ্রমনস্থল
(কারিমুল হাসান লিখন)
ধুনট উপজেলা প্রায় ২৫০ কিঃ মিঃ আয়তনের একটি উপজেলা। যা প্রায় ৯৮ বর্গমাইল। এ উপজেলার উত্তরে সারিয়াকান্দি উপজেলা, দক্ষিনে সিরাজগঞ্জ জেলার রায়গঞ্জ উপজেলা, পশ্চিমে শেরপুর উপজেলা, পূর্বে কাজীপুর উপজেলা। ধুনট উপজেলা হতে পারে পর্যটক বা দর্শনার্থীদের ভ্রমন স্থান। বগুড়ার ধুনট উপজেলায় বহু প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন ও প্রাচীন ঐতিহ্য বিজড়িত বহুস্থান রয়েছে যা পর্যটক বা দর্শনার্থীদের ধুনট সম্পর্কে অবগত হওয়া ছাড়াও মানুষের মৌলিক চাহিদা বিনোদনও পেতে পারে খুব সহজেই। এ বিনোদন আহরনে পর্যটক বা দর্শনার্থীদের জন্য রয়েছে পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা যা অন্যকোন প্রাকৃতিক পর্যটন কেন্দ্রের চেয়ে কোন অংশে কম নয়। ধুনট উপজেলায় রয়েছে প্রাচীন নিদর্শনাদি ও প্রত্নসম্পদ। রয়েছে এলাঙ্গী বন্দরের দর্গাভবন, নীলকুঠি, বাদশাহ সেকেন্দারের বাড়ি (বেরের বাড়ি গ্রাম), আছে বিলচাপড়ী বাঙ্গালী নদীর মহনা, উপজেলার সরুগ্রামের সরুগাং, বৈশাখীর চড় সহ অনেক দর্শনীয় স্থান।
উল্লেখ্যযে, উপজেলার প্রকৃতির সৌন্দর্য দেখতে, প্রতিবছর দুই ঈদ ও দুর্গাপুজার সময় উপজেলার বৈশাখীর চড় ও বিলচাপড়ী বাঙ্গালী নদির মহনায় অসংখ্য দর্শনার্থীদের ভীর জমে যায়।
যোগাযোগ ব্যাবস্থাঃ
ধুনট উপজেলার যে কোন স্থান ভ্রমনে যোগাযোগ ব্যাবস্থায় রয়েছে আধুনিকতা। সড়ক পথে যে কোন যানবহনের মাধ্যমে গোটা ধুনট উপজেলা ভ্রমন করা সম্ভব। তবে খুব কম সংখ্যক ঝুকিপুর্ণ সড়ক পথ ছাড়া, সবগুলো যোগাযোগ ব্যাবস্থাই ঝুকিমুক্ত। খাদ্য সামগ্রীঃ ধুনট উপজেলার প্রায় প্রত্যেক ইউনিয়নেই রয়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসহ ব্যবহার্য সামগ্রী। যোগাযোগ ব্যাবস্থা ভালো হওয়ায় জেলা শহর গুলো থেকে ভালোমানের খাদ্য সামগ্রী উপজেলার প্রত্যেক ইউনিয়নে পৌছে যায় অনাআয়েশে। তাছাড়া ধুনট উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় খাদ্যের ব্যাপক সুনাম রয়েছে। উদাহরন হিসেবে ধুনট উপজেলার কালেরপাড়া ইউনিয়ননস্থ হাঁসখালী গ্রামের প্রাচীন পদ্ধতিতে তৈরীকৃত দই ধুনট উপজেলাসহ বগুড়া তথা বিশ্বের দরবারে তুলে ধরা যেতে পারে।
রেস্তরাঃ
ধুনট উপজেলায় দেশীয় খাবার সমৃদ্ধ বেশ কিছু রেস্তরা রয়েছে। যা দেশীয় ও ধুনটের ঐতিহ্যবাহী খাবারের পাশাপাশি তৈরী করে দিতে পারে পর্যটকদের পছন্দের খাবার।
হোটেলঃ
ধুনট উপজেলা নদী ভাঙ্গন প্রবন এলাকা হওয়ায় আবাসিক কোন হোটেল না থাকলেও রয়েছে সুন্দর পরিপাটি ডাক বাংলো। ডাক বাংলোটি উপজেলা পরিষদ থেকে উত্তরে নিরিবিলি মনরম পরিবেশে মুল সড়কের পশ্চিম পার্শ্বে অবস্থিত। সেখানে রয়েছে প্রকৃতির অন্য এক রূপ, যা পর্যটকের চোখে দৃষ্টি নন্দিত।
আতিথীয়তাঃ
ধুনট উপজেলার পর্যটক বা দর্শনার্থীদের মন ও নয়ন জুড়ানো স্থানের যেমন অভাব নেই, তেমনি অভাব নেই আতিথীয়তার। ধুনট উপজেলায় আগত দর্শনার্থীদের আতিথীতায় রয়েছে বন্ধু সুলভ আচার ও ব্যবহার। স্থানীয় লোকজনেরও অনেক আনন্দ ফুটে ওঠে অতিথিদের সেবায়।
বিচ্যুতি সমুহঃ
ধুনট উপজেলায় বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান ভ্রমনে যেমন সহজতা পাওয়া যায়, তেমনি রয়েছে কিছু বিচ্যুতিও। যেমনঃ নির্জন স্থান সমুহে বোখাটেদের উৎপাত একটি বড় ধরনের বিচ্যুতি ধরা যেতে পারে। গোটা ধুনট উপজেলায় দু-চারটি বোখাটে ছাড়া তেমন কোন বিচ্যুতি লক্ষ করা যায়না। উপজেলার জনবসতি গুলো সচেতন হওয়ায় চুরি, ছিনতাই নাই বললেই চলে।
★সুন্দর পরিপাটিতে প্রকৃতির সাজে সাজানো ধুনট উপজেলা ভ্রমন করে, ভ্রমন তালিকায় আরও এক ধাপ এগিয়ে যেতে পারেন আপনিও।
(কারিমুল হাসান লিখন)
পর্যটন ও প্রকৃতি প্রেমী
সরুগ্রাম, ধুনট, বগুড়া।
বিঃদ্রঃ- পরবর্তিতে ধারাবাহিক ভাবে ধুনট উপজেলার দর্শনীয় স্থানগুলোর সংক্ষেপ ইতিহাস তুলে ধরার চেষ্টা করবো। ইংশাআল্লাহ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.