নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রযুক্তিকে ভালবাসি। তাই প্রযুক্তি সম্পর্কিত ব্লগ পড়তে ও লিখতে ভালোবাসি। আন্তর্জাতিক রাজনীতি ও অর্থনীতি এবং ভূরাজনীতি সম্পর্কে খবরাখবর রাখতে ভালো লাগে।

কাউসার আহমাদ

কাউসার আহমাদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বুক রিভিউঃ দুর্গেশনন্দিনী।

১৮ ই মার্চ, ২০১৯ সকাল ৮:৫৪

বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের লিখিত এই বইটার নাম অনেক শুনেছি। এটা হলো বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক উপন্যাস। যদিও এর আগেই প্যারিচাঁদ মিত্র আলালের ঘরের দুলাল উপন্যাস লিখে বাংলা সাহিত্যের প্রথম উপন্যাস লেখকের খেতাব অর্জন করেছিলেন। কিন্তু সেটা ঠিক কাঠামোবদ্ধ উপন্যাস ছিল না। পরবর্তীতে বঙ্কিমচন্দ্র দুর্গেশনন্দিনী উপন্যাসটা লিখে বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক উপন্যাস লেখার গৌরব অর্জন করেন।

গড় মান্দারণ দুর্গের অধিপতি বীরেন্দ্র সিংহের অপরূপ সুন্দরী কন্যা তিলোত্তমা। এক রাতে সে বিমলার সঙ্গে (বিমলা তার সৎ মা, কিন্তু সে দাসীর বেশে থাকতো; তিলোত্তমাও কখনো এ ব্যাপারে জানতে পারেনি। এর কারণ বিস্তারিত পড়লে বোঝা যাবে) শৈলেশ্বরের মন্দিরে পূজো দিতে গিয়ে প্রচন্ড ঝড়ের কবলে পড়ে গভীর জঙ্গলে ভগ্নপ্রায় মন্দিরের মধ্যে আটকা পড়ে যায়। পালকি বাহকরা যে যার মতো পালিয়ে যায়। এমন সময় মহারাজ মানসিংহের পুত্র জয়সিংহ সেই জঙ্গলের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিল। ঝড়ের মধ্যে আশ্রয় খুজতে গিয়ে তিনি সেই মন্দিরের সন্ধান পান। সেখানে এমন অপরূপা সুন্দরীকে দেখে তিনি মুগ্ধ হয়ে যান। কিন্তু বিমলা নিরাপত্তার অজুহাত দেখিয়ে রাজকুমারকে তাদের পরিচয় জানাতে অস্বীকৃতি জানায়। তবে ১৫ দিন পর আবার এই মন্দিরের মধ্যেই কুমারের সাথে দেখা করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে যায়।

সম্রাট আকবর উপমহাদেশের বিশাল অঞ্চল জয় করলেও উড়িষ্যা তখনো পাঠানদের হাতে ছিল। ইতিমধ্যে পাঠানেরা কতলু খাঁর নেতৃত্বে নতুন করে মুঘলদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করে দিয়েছিল। তারা বাংলার কিছু অংশও দখল করে নিয়েছিল। তদুপরি মুঘল অধিকৃত বিভিন্ন অঞ্চলে লুটতরাজ শুরু করে দিয়েছিল। সম্রাট আকবর কতলু খাঁকে শায়েস্তা করার জন্য তার শালা বিহারের রাজা মানসিংহকে উড়িষ্যা অভিযানের আদেশ দেন। মানসিংহ সেই অভিযানের প্রস্তুতি নিতে শত্রুদের শক্তি সম্পর্কে ধারণা নেওয়ার জন্য তার পুত্র জয়সিংহকে অল্প কিছু সৈন্য দিয়ে প্রেরণ করে। জয়সিংহ ছদ্মবেশে শত্রু এলাকায় ঘুরে ঘুরে পাঠানদের ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহ করছিলেন। এমন সময় ঝড়ের কবলে পড়ে সঙ্গীদেরকে হারিয়ে ফেলেন ও শৈলেশ্বর মন্দিরের সন্ধান পেয়ে সেখানে আশ্রয় নিলে তিলোত্তমাকে দেখে তার প্রেমে পড়ে যান।

গল্পের আরো দুইটা প্রধান চরিত্র আছে- কতলু খাঁর অপরূপা সুন্দরী কন্যা আয়েষা ও পাঠানদের প্রধান সেনাপতি কতলু খাঁর ভাতিজা ওসমান।

এক পর্যায়ে জয়সিংহ বিমলার সাথে লুকিয়ে তিলোত্তমার সাথে দেখা করতে গড় মান্দারণ দুর্গে গেলে সেই সময় পাঠানরা গড় মান্দারণ দুর্গ আক্রমণ করে। তখন বীরেন্দ্র সিংহ, তিলোত্তমা, বিমলা, জয়সিংহ সকলেই বন্দী হয়। জয়সিংহ যুদ্ধ করতে করতে অনেকগুলো পাঠান সেনাকে যমালয়ে পাঠালেও একা এতগুলো সৈন্যের সাথে যুদ্ধ করতে করতে আহত হয়ে অজ্ঞান হয়ে যান। জ্ঞান ফিরলে তিনি নিজেকে কতলু খাঁর প্রাসাদে আবিষ্কার করেন। সেখানে কতলু খাঁর কন্যা আয়েষা তাকে পরম মমতার সাথে সেবা করে সুস্থ করে তোলে।

এছাড়াও অভিরাম স্বামী, দিগগজ সহ অন্যদের চরিত্রও সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.