![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ইন্টারনেটের এই যুগে সারা পৃথিবী যেমন আপনার হাতের মুঠোয় ঠিক তেমনি আপনিও জিম্মি হয়ে আছেন ফেসবুক/ গুগল/ অ্যামাজ মতাে পৃথিবীর বড় বড় টেক কোম্পানিগুলাের হাতের মুঠোয়। তারা ও তাদের ব্যবহার করে আপনার আশেপাশের মানুষজন আপনার ব্রেইনের অ্যাটেনশন ছিনতাই করার জন্য বসে আছে অসংখ্য সব টেকনিক নিয়ে। এগুলাে থেকে বাঁচতে হলে আপনাকে অনেক বেশি সতর্ক ও কৌশলী হতে হবে। ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে এখন আমাদের বাস্তব জীবন থেকে বেশি মনের ভাব। ব্যক্ত করা হয়। মানুষের সাথে মানুষের কান্টেক্টেড হওয়ার সুযােগ এখন। পৃথিবীর অন্য যেকোনাে সময়ের চেয়ে বেশি। আপনাকে ডিস্ট্রাক্টেড (Distracted) করার জন্য সকল ফাদই এখন সহজলভ্য অনলাইন ও অন্যরা যাতে আপনার মনােযােগ নষ্ট করতে না পারে, অন্যের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে আপনার প্রতিদিনের স্বাভাবিক কার্যক্রমের মাঝে যেন ছন্দপতন না ঘটে, অন্যরা যাতে আপনার সময় চুরি করতে না পারে সে জন্য আপনাকে “না” বলা শিখতে হবে এবং তা এখনই।
Saying No Doesn't Mean You're a Bad Person
আপনাকে প্রথমে বুঝতে হবে মানুষ কখন মন খারাপ করে এবং নিজেকে নিজের মধ্যে গুটিয়ে রাখে। কাউকে সরাসরি “না” বলার মাধ্যমে আগ্রাসী মনােভাব এবং সরাসরি প্রত্যাখ্যান করার মনােভাব প্রকাশ পায়। কিন্তু অধিকাংশ লােকজনই সরাসরি আগ্রাসী মনােভাব দেখাতে চান না। কারণ এই “না” শব্দটি নেতিবাচক অর্থ প্রকাশ করে। তখন লােকজন ভাবেন, কাউকে না করার মধ্য দিয়ে হয়তাে ঐ লােকটাকে ছােট করে ফেলেছেন বা নিজে তার কাছে ছােট হয়ে গেছেন। এজন্য তারা নিজেকে অপরাধী ভেবে নিয়ে মনে মনে কষ্ট পান। এসব ছাইপাশ চিন্তা করে তারা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অন্যের সাথে সহমত। পােষণ করেন এবং অমত থাকা সত্ত্বেও হ্যা বলেন। আর যদি কোনাে ক্ষেত্রে “না” বলেও থাকেন, তবে তারা খুবই দুর্বল এবং খোঁড়া যুক্তি দাঁড় করান। এটি ভেবে পরে নিজেরা আরও বেশি হীনতায় ভােগেন। যেমন, কারাে কোনাে প্রস্তাবের বিপরীতে হয়তাে বললেন- “আমি সত্যিই আপনাকে সাহায্য করতে চাই, কিন্তু এই মুহূর্তে ব্যস্ত আছি”। এখানে “এই মুহূর্তে ব্যস্ত আছি” কথাটা ঐ ব্যক্তিকে আরেকটা প্রশ্নের সুযােগ তৈরি করে দেয়। ব্যস্ততার অজুহাত শুনে ওই ব্যক্তিটি উল্টো বলে বসতে পারেন- “এখন। যেহেতু ব্যস্ত আছেন, তাহেল একটু পরে আসি বা আগামীকাল আসি?” এখানে কার্যকরভাবে “না” বলার সাতটি কৌশল আপনার জন্য তুলে ধরছি-
১. বিনয়ী হােন এবং যথাযথ বর্ণনা দেন : আপনি বলতে পারেন “আসলেই আমি দুঃখিত। ঠিক এই মুহূর্তে আমি আপনার সাথে যেতে পারছি না। তবে যখন ফ্রি হব তখন অবশ্যই আপনাকে জানাব।” এই কথার মাধ্যমে খুবই ভদ্রতার সাথে আপনি তার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলেন এবং এ বিষয়ে পরবর্তী কথাবার্তার নিয়ন্ত্রণটা নিজের কাছে রাখলেন। কারণ। আপনি বলেই দিয়েছেন যখন ফ্রি হবেন তখনই তাকে জানাবেন। অথবা আপনি বলতে পারেন, “আপনি আমার কাছে সাহায্য চাওয়ায় গর্ববোধ করছি। কিন্তু সত্যিই আমি কাজ নিয়ে খুব ব্যস্ত আছি, যার কারণে আপনার কথা রক্ষা করা আমার পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না”।
২. কথা বলুন: কখনােই আন্দাজে ঢিল ছুড়বেন না বা দুর্বল কোনাে যুক্তি দিয়ে শাক দিয়ে মাছ ঢাকার মতাে আচরণ করবেন না। দুর্বল যুক্তি দিয়ে প্রথম প্রশ্নে পার পাওয়া গেলেও তা আরেকটি প্রশ্ন বা প্রস্তাবের সুযােগ তৈরি করে দেয়। এমন পরিস্থিতিতে উত্তর দিতে খুব দেরি করবেন না বা খুব তাড়াহুড়াে করবেন না। ভেবেচিন্তে উত্তর দিন। আপনার “না” বলার পেছনের কারণ উল্লেখ করুন। এজন্য পরিকল্পনা মাফিক গুছিয়ে কথা বলুন। যত কম কথা বলে বােঝাতে পারবেন ততই মঙ্গল। তবে এমনভাবে কথা বলবেন না যাতে ঐ লােকের মনে হয় আপনি একান্ত বাধ্য বলে কারণ দর্শাচ্ছেন।
৩. স্বার্থপর হােন : কাজের ক্ষেত্রে সবসময় নিজের প্রয়ােজনকে অগ্রাধিকার দিন। অন্য কারাে চাওয়াকে নিজের প্রয়ােজনের চেয়ে গুরুত্ব দিতে যাবেন না। যখনই আপনার অন্যের কাজকে অগ্রাধিকার দিতে শুরু করবেন, তখনই নিজের লক্ষ্য অর্জনের পথকে কঠিন করে ফেলবেন। শুনতে কঠিন শােনালেও এটাই বাস্তবতা। তাই প্রয়ােজনের খাতিরে কিছুটা হলেও স্বার্থপর হোন।
বোনাস টিপস: Don't lie. Lying will most likely lead to guilt
৪. লােকজনের কুশল বােঝার চেষ্টা করুন : কিছু ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান খুব সূক্ষ্ম কৌশলের সাথে কথা বলে। ধরুন, তারা আপনার কাছে কোনাে একটা দাতব্য সংস্থার জন্য চাঁদা চাইতে এল। এখন তারা আপনাকে জিজ্ঞেস করতে পারে “আপনি কত টাকা ডােনেট করতে চান? ১০০ টাকা, ৫০০ টাকা, নাকি হাজার টাকা?” আবার বলতে পারে, “অধিকাংশ লােকজনই ৫০০ টাকা করে দিচ্ছে, তাে আপনি কত দিতে চান?” এমন কৌশলের মাধ্যমে তারা আপনার ওপর একটা চাপ প্রয়ােগ করে। এসব বিষয় বােঝার চেষ্টা করুন এবং নিজেও কৌশলী পন্থা অবলম্বন করুন।
"Love yourself enough to set boundaries, Your time and energy
are precious. You get to choose how you use it. You teach people
how to treat you by deciding what you will and won't accept."
- Anna Taylor
৫. নিজের সিদ্ধান্তে অবিচল থাকুন : যদি কেউ আপনার ‘না’ বলাটা পছন্দ না করে, তবে নিশ্চিত থাকুন, সম্ভবত তিনি আপনার সত্যিকারের বন্ধু নন অথবা আপনার প্রতি তার শ্রদ্ধাবােধ নেই। এমন ব্যক্তি যদি আপনার ওপর কোনাে কাজ চাপিয়ে দেন তাহলে নিজেকে বাধ্য হিসেবে মেনে নেবেন না। কারণ এই মেনে নেওয়ার স্বভাবের জন্য আপনাকে প্রচুর কাঠখড় পােড়াতে হতে পারে।
৬. সম্পর্কের গভীরতা বুঝুন : লােকজন পারস্পরিক সম্পর্কের গভীরতা বুঝতে পারে না বা সম্পর্কের মূল্যায়ন করতে পারে না বলে কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়। যখন সম্পর্কের মাঝে আপনি নিজের ভূমিকাটা বুঝতে পারবেন তখন কিন্তু “না” বলার ক্ষেত্রে ততটা দ্বিধাদ্বন্দ্ব কাজ করবে না। কারণ নিজের অবস্থানটা বােঝার সাথে সাথে এটাও বুঝতে পারবেন যে, একটিমাত্র “না” শব্দ আপনার সম্পর্কের ওপর খুব গুরুত্বপূর্ণ কোনাে প্রভাব ফেলবে না।
Don't say “I'll think about it” if you don't want to do it.
৭. প্রস্তাবের পেছনে শর্ত জুড়ে দিন : এই কৌশলটা কর্মক্ষেত্রের জন্য খুবই উপকারী। ধরুন আপনার বস আপনাকে কাজের লম্বা একটা তালিকা। ধরিয়ে দিলেন। কিন্তু আপনি তালিকার এতগুলাে কাজ নির্দিষ্ট সময়ের মাঝে করতে পারবেন না। তখন আপনি বলতে পারেন “আমি আসলে ক’, ‘গ’ এবং ‘চ’ নম্বর কাজটা করতে পারব। তবে এর জন্য তিন দিন সময় লাগবে। আসলে দুটো কাজ হলে এই সময়ের মধ্যে ভালােভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব হতাে। তাে আপনি একটু বলে দিন কোন কাজটা আগে করব আর কোনটা পরে করব।”
"NO" is a complete sentence. It does not require an explanation to follow. You can truly answer someone's request with a simple NO"
- Sharon E. Rainey
Collected From: ব্রেইন বুস্টার
২| ০১ লা এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ২:২০
রাজীব নুর বলেছেন: ওকে। শিখে রাখলাম। জেনে রাখলাম।
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ২:০৭
নেওয়াজ আলি বলেছেন: না বলার উপর ছোটকালে একটা অনুবাদ বই পড়ে ছিলাম। না বলা ব্যক্তিত্ব বাড়ে।