নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জন্মসূত্রে মানব গোত্রভূক্ত; এজন্য প্রতিনিয়ত \'মানুষ\' হওয়ার প্রচেষ্টা। \'কাকতাড়ুয়ার ভাস্কর্য\', \'বায়স্কোপ\', \'পুতুলনাচ\' এবং অনুবাদ গল্পের \'নেকলেস\' বইয়ের কারিগর।

কাওসার চৌধুরী

প্রবন্ধ ও ফিচার লেখতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। পাশাপাশি গল্প, অনুবাদ, কবিতা ও রম্য লেখি। আমি আশাবাদী মানুষ।

কাওসার চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

শুভ জন্মদিন (প্রবন্ধ)

০৮ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১:৩৪


ফেইসবুকের কল্যাণে প্রতিদিন আমার ফ্রেন্ড লিস্টের অসংখ্য বন্ধুর জন্মদিনের খবর পেয়ে থাকি। ইচ্ছা থাকা সত্বেও সবাইকে শুভ জন্মদিন বলতে পারি না। যদিও বলা উচিৎ বলে আমি মনে করি। তবে সবাইকে মন থেকে আশীর্বাদ করি, নতুন বছরের জন্য শুভ কামনা জানাই। মানুষের বিশেষ দিনগুলোতে তাকে আশীর্বাদ করলে, উপহার দিলে এবং দাওয়াত করে খাওয়ালে মানুষ খুশি হয়।

কত শত বছর আগে থেকে মানুষ আনুষ্টানিক ভাবে জন্মদিন পালন করা শুরু করেছে তার ইতিহাস জানা কারো পক্ষে সম্ভব নয়। তবে ধারণা করা হয় ঊনবিংশ-বিংশ শতাব্দীতে উদযাপনের ব্যাপকতা অনেক বেড়ে গেছে। জন্মদিন পালনে মোমবাতি ও কেক গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ হলেও বিভিন্ন দেশ, সংস্কৃতি আর সামাজিক প্রথার উপর নির্ভর করে আয়োজনের ধরণ।

তবে জন্মদিনের তারিখ ও জন্মদিন পালন করা একই জিনিস নয়। কারো জন্ম ২৯শে ফেব্রুয়ারিতে হলে প্রতি চার বছর অন্তর জন্মদিন পালন করার সুযোগ হয়। তবে জন্ম তারিখের ক্ষেত্রে কোন হেরফের হয় না।

গত ১লা জানুয়ারীতে আমার ফেইসবুকের ৭১৩ জন বন্ধুর জন্মদিন ছিল। একদিনে এত জনের জন্ম তারিখ দেখে অনেক খুশি লাগলো, পাশাপাশি বিস্মিতও হলাম।

একটি ঘটনার কথা মনে পড়লো। তখন লন্ডন কলেজ অফ একাউন্টেন্সিতে সিএ পড়ি। আমার জন্ম তারিখ.......... মাসের.......... তারিখে হওয়ায় কলেজের রিসিপশনিস্ট মেয়েটি আমার মুখের দিকে তাকিয়ে একটি মুচকি হাসি দিল। রহস্যময় হাঁসির কুল কিনারা করতে ক্রিস্টিনার কাছে কারণ জানতে চাইলাম। জবাবে বল্ল, বাংলাদেশী অনেক ছাত্রের জন্মদিনে নাকি ছন্দমিল আছে!

যেমন- পয়লা জানুয়ারি.......... ছয় জুন.......... দশ অক্টোবর.......... ইত্যাদি।

এমনটা কেন হয় তা আমার কাছে জানতে চাইলো ক্রিস্টিনা। আমি কি বলবো কিছুই বুঝতে পারছিলাম না। পাল্টা উত্তরে বল্লাম, এটা কাকতালীয়! আবার এমনও হতে পারে প্রকৃতি বাংলাদেশীদের জন্য জন্ম তারিখগুলো স্পেশাল করে দিয়েছেন।

আমি ক্রিস্টিনাকে বলতে পারতাম অনেক বাংলাদেশীরই দুইটা জন্ম তারিখ আছে। স্কুল-কলেজে যে তারিখটা বসানো হয় অনেক ক্ষেত্রে তা আসল জন্ম তারিখ নয়। ভিনদেশীর কাছে নিজের দেশমাতৃকার বদনাম করতে নেই, তাই সত্যটা বলিনি। সরকারী চাকরির বয়সসীমা ত্রিশ-বত্রিশ বছর হওয়ায় অভিবাবকরা অনেক সময় বাধ্য হয়ে এটা করেন। যানজটের ন্যায় সেশনজটে আটকা পড়ে অনেক শিক্ষার্থীর পড়ালেখা শেষ হতেই আটাশ-ঊনত্রিশ বছর লেগে যায়।


তবে এখন আর আগের মতো সেশনজটের সমস্যা নেই। মনের অজান্তে সন্তানের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে বানিয়ে লেখতে গিয়ে অনেক সময় এমন ছন্দময় তারিখ চলে আসে। এখনো গ্রামে অনেক অভিভাবক আছেন যারা অবহেলা করে নিজের সন্তানের জন্মের সাল ও তারিখ লিখে রাখেন না, তাই স্কুল কতৃপক্ষ নিরুপায় হয়ে প্রয়োজনে একটি তারিখ বসিয়ে দেন। তবে বর্তমানে সরকার জন্ম নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করায় অদূর ভবিষ্যতে এমন সমস্যা হয়তো থাকবে না।

জন্মদিন পালন করাতে আমি দোষের কিছু দেখি না, যদিও অনেকের এ ব্যাপারে ভিন্ন মত থাকতে পারে। বিশেষ করে ছোট বাচ্ছাদের জন্মদিন পালন করলে তারা আনন্দিত হয়, বাবা-মা, ভাইবোন ও আত্মীয়দের কাছ থেকে উপহার ও আশীর্বাদ পেলে তাদের আনন্দের মাত্রা বহুগুণে বেড়ে যায়। এজন্য দিনটির জন্য তারা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে। অভিবাবকরাও চেষ্টা করেন তাদের সাধ্যমত আয়োজন করতে, বাচ্চাদের পছন্দমত কেক খাওয়াতে।

এসব দিনগুলোতে বাবা-মায়েরা নিকটাত্মীয়দেরও দাওয়াত করে খাওয়ান। অনেকে আবার এতিমখানায় দান খয়রাত করেন। এতে বাচ্ছাদের পারিবারিক ও সামাজিক যোগাযোগটা বাড়ে, আত্মীয়-স্বজনদের সাথে দেখা সাক্ষাৎ হয়, সম্পর্কের গাঁথুনি শক্ত হয়।

অনেকে আছেন জন্মদিনের এসব অনুষ্ঠানে হল ভাড়া করে বিশাল পার্টি দেন , প্রচুর টাকা-পয়সা খরছ করেন। ব্যক্তিগত ভাবে আমি এমন জমাকালো অনুষ্ঠানের ঘোর বিরোধী। জন্মদিনের অনুষ্ঠান ঘরোয়া পরিবেশে, নিকটাত্মীয়দের উপস্থিতিতে আয়োজন করাকে আমি শ্রেয় মনে করি। বড় পরিসরে আয়োজন করলে পরিবারের পাচুর্য্য ও শান-শওকত প্রকাশ পায়। যা বাচ্চাদের মানসিক বিকাশের জন্য ভাল নয়। এতে তাদের মধ্যে অহংকারী মনোভাব চলে আসতে পারে।

অনেক প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষও আয়োজন করে কেক কেঁটে জন্মদিন পালন করেন, এটা আমার কাছে হাস্যকর মনে হয়। তবে এটি যার যার ব্যক্তিগত ভাল লাগার বিষয়। এতে আমার আপত্তি থাকার কথা নয়।


জন্মদিন এখন আর শুধু মানুষের বেলায় প্রযোজ্য নয়। পঞ্জিকার সালগুলোও বছরের প্রথম দিনে জাঁকজমকপূর্ণ ভাবে জন্মদিন পালন করে। বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলো তো এ বিষয়ে আরেকটু সরস। প্রতি বছর আয়োজন করে দলের কেন্দ্রীয় অফিস থেকে শুরু করে একেবারে অজপাড়াগায়েও বিশাল বড় বড় কেক কাঁটা হয়, কেকের বিশাল সাইজ দেখে ভয় লাগে। যে কারিগর যত্ন করে এমন বিশাল ও কারুকাজপূর্ণ কেক তৈরি করেন, সাধুবাদ তার প্রাপ্য। পৃথিবীর অন্যকোন দেশে ঘটা করে রাজনৈতিক দলগুলো এমনভাবে জন্মদিন পালন করে বলে আমার জানা নেই।

ইদানিং রাজনৈতিক বড় বড় নেতা-নেত্রীর জন্মদিনেও বিশাল আকৃতির কেক কাঁটা হয়। নেতার প্রভা-প্রতিপত্তি ও দলীয় গ্রহণযোগ্যতার উপর নির্ভর করে কেকের সাইজ। বড় নেতার পাশাপাশি ইদানিং দেখা যায় কর্মীদের রাজনৈতিক গুরু অর্থাৎ গ্রুপের লিডারদের জম্মদিনও মহা ধুমধামে পালন করা হয়।

ফেইসবুকে দেখা যায় গ্রামের দরিদ্র পরিবারের কোন কোন ছেলে যে হয়ত স্থানীয় ওয়ার্ড অথবা ইউনিয়ন কমিটি দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা, সেই ছেলেটিও কমিটির সবাইকে নিয়ে সাধ্যমত একটি কেক কেঁটে জন্মদিনটা পালন করে। এসব ছেলেদের বেশিরভাগের চোখে মুখে অভাব-অনটন ও হতাশার রেখা স্পস্ট দেখা যায়। দলীয় বন্ধু-বান্ধব ও তার নেতার সাথে তাল মেলাতে গিয়ে হয়তো তাকে ধার-দেনা করতে হয়েছ, অথবা বাবা মায়ের কাছে মিথ্যা বলে টাকাটা এনে জন্মদিনের উৎসব করছে।

এখন জন্মদিন পালন করাটাও রাজনৈতিকভাবে অনেক গুরুত্ব বহন করে। ছাত্ররা যেখানে পড়াশুনা নিয়ে ব্যস্ত থাকার কথা, সমাজিক ভাবে দায়িত্বশীল হয়ে বেড়ে উঠার কথা সেখানে জন্মদিনের মত একটি বিশেষ দিনেও রাজনৈতিক চিন্তা-চেতনায়, শুধু সমমনা দলীয় নেতা কর্মীদের নিয়ে সে জন্মদিনটি উদযাপন করে। অথচ দিনটি উদযাপন করার কথা ছিল কাছের বন্ধু-বান্ধব, পরিবার-পরিজন ও সহপাঠিদের নিয়ে। অবেলার রাজনীতি নিজের অজান্তেই তাকে বিচ্ছিন্ন করে রাখল অন্য সবার কাছ থেকে।

আসলে স্বপ্নবাজ এ তরুণ সমাজ আজ দিশেহারা। এদের বেশীরভাগের জীবনে নেই স্বচ্ছলতা, নেই স্বপ্ন পূরণের কোন আলাদীনের চেরাগ, নেই স্বপ্ন দেখানোর কোন ট্রারজান চরিত্র। একরাশ হতাশা আর না পাওয়ার বেদনা প্রতিনিয়ত তাদেরকে নিঃশেষ করে দিচ্ছে। তথ্যপ্রযুক্তির এ যুগে পৃথিবীর উন্নত দেশগুলোতে বসবাস করা তরুণ/তরুণীদের জীবনের গতি, নিশ্চিত চাকরি আর বিনোদন দেখে নিজেকে বড্ড বেমানান লাগে তার। আমাদের তরুনদের জন্য নেই কোন খেলার মাঠ, নেই কোন বিনোদন, নেই পড়াশুনা শেষে ঘুষ ছাড়া সম্মানজনক জীবীকার সম্ভাবনা। এজন্য রাজনীতিটাই তাদের বিনোদন। জন্মদিনে কেক কাটার মঞ্চ। বেকারত্ব আর হতাশা ঢেকে রাখার নিরন্তর প্রচেষ্টা।


আইনগত বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার জন্য কোন কোন জন্মদিন বেশ গুরুত্ব বহন করে। এ ক্ষেত্রে বয়সটি ষোল-একুশ পর্যন্ত ধরা হয়। এটা নির্ভর করে দেশগুলোর পলিসির উপর। নির্দিষ্ট বয়সে উত্তোরনের ফলে তরুণ-তরুণীরা আগের চেয়ে বেশী স্বাধীনতা পায়। বিয়ের অধিকার, ভোটের অধিকার, এমকি ভোটে অংশগ্রহণের অধিকার পায়।

উন্নত দেশগুলোতে ড্রাইভিং লাইসেন্স, স্বাধীন ভাবে বারে যাওয়া এবং দোকান থেকে সিগারেট-এলকোহল কেনার জন্য তরুণ-তরুণীরা নির্দিষ্ট জন্মদিনটির জন্য অধীর অপেক্ষায় থাকে। দেশগুলোতে এক্ষেত্রে বয়সের মাপকাঠি কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হয়।

আমেরিকা, কানাডা ও ব্রিটেনের পরিবারগুলো মেয়েদের বয়স ষোল হলে বেশ আয়োজন করে "সুইট সিক্সটিন" পার্টি করে। তবে পর্তুগাল ও ব্রাজিলে "সুইট ফিফটিন" পালন করা হয়। জাপানিরা পরিবারের কারো বয়স বিশ বছর হলে "পূর্ণবয়স্ক হওয়ার দিনটিতে স্বাগতম" নাম দিয়ে দিনটি উদযাপন করে। যদি জন্মের তারিখটি কারো জানা না থাকে তাহলে সধারণত ১লা জানুয়ারিতে জন্মদিন পালন করা হয়। এ ট্রেডিশন পৃথিবীর অনেক দেশে আছে।

"........মাফসুতিন খিল্লিনা,
উইল আহবাব মে জাম্মাঈন
ফরহানিন বেহলিনা, ফিস্সিমা বাঈরি
মামা, বাবাও; খালিও আম্মী
উখওয়ানি মিয্ যাম্মাঈন।
আয-ঈ রাব্বী লাইফার রিগনাউ
নিগফাদাঈম মাকসুদিন।
হ্যাপি হ্যাপি হ্যাপি হ্যাপি...
হ্যাপি হ্যাপি হ্যাপি হ্যাপি...
হ্যাপি বার্থডে টু ইউ........"
.... Hala Al Turk (arabic)....



ফটো ক্রেডিট,
গুগল।

মন্তব্য ১৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১২:১৫

রোকনুজ্জামান খান বলেছেন: ভালো লেগেছে আপনার পোষ্ট গুলো
প্রথম পাতায় আসা উচিত ।

০৮ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১২:৪২

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ, আপনাকে। আপনিও খুব ভাল লেখেন। আপনার কিছু লেখা পড়েছি। শুভ কামনা রইল।

২| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৪:৫০

নীল মনি বলেছেন: লেখাটি ভালো লেগেছে।সুন্দর করে গুছিয়ে লেখা।আপনি সদ্য এখানে এসেছেন আর আমি অনেকদিন এলেও নিয়মিত হয়েছি মাত্র কয়েকদিন।মজার ব্যাপার হল প্রথম পাতায় লেখা যেতে যে ওয়েট করতে হয় তা আমি জানতাম না।এক্যাউন্ট খোলার পর প্রথম পোস্ট দেওয়ার পর নোটিফিকেশন এল যে প্রথম পাতায় প্রকাশিত হবে।
আলহামদুলিল্লাহ্‌ আমি লাকি :)

১০ ই এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৫

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: আমি তো তিনদিন ওয়েট করেছি!!! তারপর থেকে .....ওয়ে....টিং....। অপেক্ষায় আছি। আন্নে এট্টু দোয়া কইরেন।

৩| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৬

নীল মনি বলেছেন: ফী আমানিল্লাহ। :) আপনার অপেক্ষা সফল হোক

১০ ই এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৫:০১

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ।

৪| ১১ ই জুন, ২০১৮ সকাল ৯:৪৮

কথার ফুলঝুরি! বলেছেন: লেখার কথাগুলো খুব ই ভালো লাগল ভাইয়া। আপনার প্রতিটি লেখায় আপনি একটু মজা করে উপস্থাপন করেন কথা গুলো, আমার কাছে ভালো লাগে খুব।

তবে ৭১৩ জন এর জন্মদিন ছিল একদিনে =p~ ওইগুলো সব বানানো। তবে আপনার ফেসবুক এ এত ফ্রেন্ড কিভাবে :P

আমি ভাইয়া ফেসবুক এ নোটিফিকেশান দেখে কাউকে জন্মদিনে ওয়িশ করিনা :P কারন আমি মনে করি, যে আমাকে পছন্দ করবে বা আমার জন্মদিন যার কাছে Important হবে সে অবশ্যই ফেসবুক ছাড়া সেটি মনে রাখবে এবং আমার নিজের ক্ষেত্রে ও তাই।
আচ্ছা, ভাইয়া আপনার জন্মদিন কবে ?

১১ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১:৩৪

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: তবে ৭১৩ জন এর জন্মদিন ছিল একদিনে =p~ ওইগুলো সব বানানো। তবে আপনার ফেসবুক এ এত ফ্রেন্ড কিভাবে :P .............. আমার ফেইসবুকে, ৫ হাজার+ ফ্রেন্ড এবং আরো অনেকে ফলোয়ার আছেন। এজন্য ১লা জানুয়ারী এতো ফ্রেন্ডের জন্মদিন ছিল। এগুলোর অনেকগুলোই ফেইক জন্মদিন।

"আমি ভাইয়া ফেসবুক এ নোটিফিকেশান দেখে কাউকে জন্মদিনে ওয়িশ করিনা :P কারন আমি মনে করি, যে আমাকে পছন্দ করবে বা আমার জন্মদিন যার কাছে Important হবে সে অবশ্যই ফেসবুক ছাড়া সেটি মনে রাখবে এবং আমার নিজের ক্ষেত্রে ও তাই।
আচ্ছা, ভাইয়া আপনার জন্মদিন কবে?".................... আমিও খুব পরিচিত না হলে ফেইসবুকে উইশ করি না। আর আমার জন্মদিনটা কোন এক মাসের আট তারিখ!! :( B-)

৫| ১১ ই জুন, ২০১৯ বিকাল ৩:১৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন। আমার আসল জন্মতারিখ এবং সনদপত্র অনুযায়ী অফিসিয়াল জন্ম তারিখ ভিন্ন হওয়াতে জীবনে যতবার যত রকমের ফর্মে জন্মতারিখ হিসেবে অফিসিয়াল তারিখটি লিখেছি, ততবারই একটা মিথ্যে লিখার জন্য মনে মনে খুব খারাপ অনুভব করেছি। এজন্য আমার তিন সন্তানের জন্মতারিখ প্রকৃত তারিখেই উল্লেখ করেছি।

১২ ই জুন, ২০১৯ দুপুর ১:৫২

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ, স্যার।
আমার ঠিক একবছর আগের লেখাটি পড়ে চমৎকার একটি মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে। আমাদের দেশে এখনো গ্রামের অনেক পরিবারে জন্মতারিখ ঠিকমতো লিখে রাখা হয় না। আর লিখে রাখলেও একাডেমিক ইয়ারে অনেকে বয়স কমিয়ে রাখেন অজানা আতঙ্কে! তবে এখন জন্ম নিবন্ধন বাধ্যতামূলক হওয়ায় এখন একটি জন্মতারিখ সবাই ব্যবহার করছে। এটা ভালো লক্ষণ।

৬| ১১ ই জুন, ২০১৯ বিকাল ৩:১৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: ঠিক এক বছর পরে আপনার পোস্টে একটা নতুন মন্তব্য যোগ হলো।

১২ ই জুন, ২০১৯ দুপুর ১:৫৫

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



স্যার, ব্লগে প্রকাশিত ফিচার ও প্রবন্ধ থেকে নির্বাচিত কয়েকটি লেখা নিয়ে বই বের করলে কেমন হবে? আপনার সুচিন্তিত মতামত পেলে উপকৃত হতাম।

৭| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৯ সকাল ১০:৪৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: ভালই হবে বলে আমার মনে হয়। এ লক্ষ্যে লেখাগুলো পুনঃপাঠ করতঃ সম্পাদনা শুরু করে দিন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.