নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জন্মসূত্রে মানব গোত্রভূক্ত; এজন্য প্রতিনিয়ত \'মানুষ\' হওয়ার প্রচেষ্টা। \'কাকতাড়ুয়ার ভাস্কর্য\', \'বায়স্কোপ\', \'পুতুলনাচ\' এবং অনুবাদ গল্পের \'নেকলেস\' বইয়ের কারিগর।

কাওসার চৌধুরী

প্রবন্ধ ও ফিচার লেখতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। পাশাপাশি গল্প, অনুবাদ, কবিতা ও রম্য লেখি। আমি আশাবাদী মানুষ।

কাওসার চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

কোটার কোঠারাঘাত (পর্যালোচনা)

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪০


কোটা পদ্ধতি নিয়ে অনেক দিন থেকে লেখব লেখব করেও লেখা হচ্ছিল না। মূলত বিবেক তাড়িত হয়েই লেখতে উদ্যোগী হই। আমি কোটা বিলুপ্তির পক্ষে নয়, কোটা সংস্কারের পক্ষে। সমাজের একজন সচেতন নাগরিক হিসাবে যুক্তিযুক্ত ও ন্যায়সঙ্গত কথা বলা আমাদের সবার উচিৎ বলে আমি মনে করি। দেশটা আমাদের; তাই দেশের যে কোন আইন-কানুন, অন্যায়-অবিচার চোখে পড়লে কথা বলার অধিকার সবার আছে। তবে অবশ্যই তা যুক্তিযুক্ত ও ন্যায়ের পক্ষে হতে হবে। আমি সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ দৃষ্টভঙ্গিতে বর্তমান কোটা পদ্ধতি নিয়ে আলোকপাত করার চেষ্টা করবো।

কোটা পদ্ধতির ইতিহাস অনেক পূরনো। ১৯৭২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে এক নির্বাহী আদেশে বাংলাদেশে কোটা পদ্ধতি চালু হয়। যা পরবর্তী সময় অনেক পরিবর্তন ও সংস্কার হয়েছে। মূলত সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী, উপজাতি (ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী), শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধী এবং নারীদের ক্ষমতায়নের কথা চিন্তা করে কোটা প্রথার যাত্রা শুরু হয়। একটি গবেষণায় দেখা গেছে বর্তমানে বাংলাদেশে প্রায় ২৫৮ ধরনের কোটা প্রথা প্রচলিত রয়েছে।

সংবিধানের ১৯(১) ধারায় উল্লেখ আছে, "রাষ্ট্র প্রজাতন্ত্রের সব নাগরিকের জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করবে"। কোটা পদ্ধতি সংবিধানের এ ধারার সাথে সাংঘর্ষিক হলেও সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর প্রতি রাষ্ট্রের দায়বদ্ধতা থেকেই এটা করা হয়। সাধারন মানুষেরও তাতে সমর্থন আছে। তবে কোটা পদ্ধতিটি অবশ্যই যৌক্তিক হওয়া বাঞ্চনীয়। অতি কোটার কুঠারাঘাতে সরকার ও প্রশাসন যাতে মেধাহীন হয়ে না পড়ে সে বিষয়েও সরব দৃষ্টি রাখা জরুরী।

বর্তমানে বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে ৫৬% কোটা সংরক্ষিত। মুক্তিযোদ্ধা কোটা ৩০%, জেলা কোটা১০%, নারী কোটা ১০%, উপজাতি কোটা ৫% এবং প্রতিবন্ধী কোটা ১%। সাধারন শিক্ষার্থীদের জন্য বাকী ৪৪%।


হিসাব করে দেখা গেছে দেশের প্রায় ৩% মানুষ এসব কোটা প্রথার সর্বোচ্চ সুবিধাভোগী। বাকী ৯৭% মানুষ কোটা প্রথায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। নারী কোটা, জেলা কোটা, উপজাতি কোটা এবং প্রতিবন্ধী কোটা নিয়ে তেমন আপত্তি না থাকলেও মূলত ৩০% মুক্তিযোদ্ধা কোটা নিয়েই যত আপত্তি। সমাজের কোন বিশেষ অংশকে সুবিধা দিতে গিয়ে বৃহত্তর অংশকে বঞ্চিত করা কোন অবস্থাতে কাম্য নয়।

৩০% মুক্তিযোদ্ধা কোটা কী যুক্তিসঙ্গত?

এ প্রশ্নের সমাধানের আগে কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর জেনে নেওয়া জরুরী।

(১) বাংলাদেশে কী মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা সংরক্ষিত আছে?
(২) তালিকাভূক্ত মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে কী কোন ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা আছে?
(৩) সত্যিকারের মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের সবাই কী কোটা প্রথার সুবিধা পাচ্ছে?
(৪) বাংলাদেশে কত পার্সেন্ট মানুষ প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্য?

একাত্তরে যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা করা না হওয়ায় গত দুই দশকে হাজার হাজার ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা তালিকাভূক্ত হয়েছে। রাজনৈতিক যোগসাজশে, মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় এবং মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের ইউনিটগুলোর দূর্ণীতি ও স্বজনপ্রীতির ফলে এমনটি হয়েছে বলে বিজ্ঞজনের মত। বিষয়টিতে সরকার টিকমত গুরুত্ব না দেওয়ায় দেশ এখন ভূয়া মুক্তিযোদ্ধায় সয়লাভ। এটা অত্যন্ত নিন্দনীয় ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এই কারসাজিতে যারা জড়িত তাদেরকে চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। দেশে যদি একজনও ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা থাকে তাহলে জাতির শ্রেষ্ট সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য তা অমর্যাদাকর ও অপমানের।

কিছুদিন আগে পত্রিকার একটি সংবাদ দেখে আৎকে উঠলাম। বীর শ্রেষ্ঠ রুহুল আমীনের ছেলে ফেরিওয়ালা! স্বপ্নের ফেরিওয়ালা নয়, বাস্তবে। তিনি নাকি গ্রামে গ্রামে, হাটে বাজারে ফেরি করে জীবিকা নির্বাহ করেন। সংবাদটি কতটুকু সত্য জানি না। যদি সত্য হয় তাহলে পুরো জাতি উনার কাছে হাতজোড় করে ক্ষমা চাওয়া উচিৎ।

তিনি কী কোন কোটার মধ্যে পড়েন না?


১৯৮৬-৮৭ সালের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রণীত তালিকায় মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ছিল ১ লক্ষ ২ হাজার ৪৫৮ জন। ১৯৯৭-২০০১ সালে সংখ্যাটি বেড়ে দাঁড়ায় ১ লক্ষ ৮৬ হাজার ৭৯০ জন! ২০০১-২০০৬ সাল পর্যন্ত আরেকদফা তা বেড়ে দাঁড়ায় ২ লক্ষ ১০ হাজার ৪৮১ জনে!! বিগত দশ-বারো বছরে সংখ্যটি যে আরো বেড়েছে তাতে কোন সন্দেহ নেই!!!

এই হচ্ছে মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকার বেহাল দশা।

হিসাব করলে দেখা যায় দেশের মাত্র.......... ০.১১% ভাগ (শুণ্য দশমিক এগার) !!! ......... (মোট জনসংখ্যার ১% এর নয়ভাগের এক ভাগ...........!!!! সত্যি বিষ্ময়কর) মানুষের জন্য সরকারি চাকরিতে ৩০% কোটা সংরক্ষিত!!!!!

এটা কোন যুক্তি বলে কোন লেভেলের বিশেষজ্ঞরা করেছেন জানি না। যারা করেছেন তাদেরকে বিচারের আওতায় আনা উচিৎ।

চরম বৈষম্যমূলক এ কোটা প্রথা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী বলে আমি মনে করি। মুক্তিযোদ্ধারা একাত্তরে তাঁদের সন্তান ও নাতিপুতিদের অধিকার আদায়ের জন্য যুদ্ধ করেননি। তাদের সংগ্রাম আর আত্মত্যাগ ছিল সমগ্র বাংলাদেশের মানুষের মুক্তির জন্য, পাকিস্তানীদের বৈষম্যমূলক আচরণের বিরুদ্ধে। সরকারি চাকরিতে বাঙালিদের সম অধিকার নিশ্চিত করার জন্য।

কোটা পদ্ধতির সুবিধা নিয়ে ভূয়া মুক্তিযোদ্ধারা জাতির মাথায় কাঁঠাল ভেঙ্গে খাচ্ছে। সরকার প্রতিমাসে মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারকে যে সম্মানী দেন তার একটি বড় অংশ ভূয়াদের পেটে যায়।

২০১১ সালে সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের পোষ্যদের জন্য বিশেষ বিসিএসের আয়োজন করে। যা ৩২তম বিসিএস নামে পরিচিত। ২০১৪ সালে সরকার দেশের ৪৫তম স্বাধীনতা দিবসে মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি-নাতনিদের জন্য কোটা সংরক্ষণ করেন। প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের সর্বোচ্চ সম্মান ও সুবিধা দেন এটা আমরাও চাই। তাদের ছেলেমেয়েদর জন্য কোটা চাই? তাও মেনে নিলাম। তাই বলে নাতি-পুতিদের জন্য?

দুঃখিত মেনে নিতে পারলাম না।


সঙ্গত কারণে বাংলাদেশ সরকার সামর্থ্য অনুযায়ী মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে আর্থিক প্রণোদনা প্রদান করছে। প্রয়োজনে এটা আরো বাড়ানো হোক। তাই বলে থার্ড........ ফোর্থ....... জেনারেশনেও তা কন্টিনিউ চলবে! সরকারের এমন কান্ডজ্ঞান হীন চরম বৈষম্যমূলক নীতির জন্যই কোটার বিরুদ্ধে মানুষের স্বতস্ফুর্ত এ আন্দোলন। ছাত্রদের অধিকার আদায়ের এ আন্দোলনে আমার পূর্ণ সমর্থন আছে। এ আইন চরম বৈষম্য মূলক। এ আইনের ফলে সরকারি চাকরি পাওয়া থেকে সাধারন শিক্ষার্থীরা অন্যায়ভাবে বঞ্চিত হচ্ছে বলে আমি মনে করি।

কিছুদিন আগে দেশের নামকরা এক শিক্ষাবিদকে বলতে শুনলাম সরকারি চাকরি ভাল কোন চাকরি নয়! অতএব কেন কোটা নিয়ে এতো মাতামাতি? তিনি নাকি ইচ্ছা করেই সরকারি চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন। আপনার প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলছি, এটা কোন যুক্তি সংগত কথা? আপনার সরকারি চাকরি ভাল লাগেনি অথবা তারচেয়ে বড় সুযোগ পেয়েছিলেন বলেই হয়তো চাকরিটি ছেড়েছেন। অন্য কোন ব্যবস্থা না থাকলে কী চাকরিটা ছাড়তেন?

আমাদের দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা রেজাল্ট ও চাকরি নির্ভর। পাগলাটে এ শিক্ষা ব্যবস্থা শিক্ষার্থীদের গবেষক হতে, উদ্যোক্তা হতে, দার্শনিক হতে সাহায্য করে না। চাকরির উদ্দেশ্য নিয়ে যে শিক্ষার শুরু ও শেষ সেখানে সরকারি চাকরির পর্যাপ্ত সুবিধা পাওয়া শিক্ষার্থীদের সাংবিধানিক অধিকার।

একমাত্র বিসিএস ব্যতীত ঘুষ ছাড়া সরকারি কোন চাকরির সুযোগ আছে? একজন পুলিশ কনস্টেবল হতেও এখন তিন-পাঁচ লাখ টাকা ঘুষ দিতে হয়। এজন্য মেধাবীদের একমাত্র রাস্তা বিসিএসে নিজের যোগ্যতা প্রমাণ দিয়ে চাকরি পেয়ে নিজের ভবিষ্যতকে নিশ্চিত করা। কিছুদিন আগে রেলওয়ের একজন ড্রাইভার দুঃখ করে বল্লেন, রেলের গার্ডের চাকরিতে নাকি এখন পনেরো-বিশ লক্ষ টাকা ঘুষ দিতে হয়! বিষ্ময়কর!! টাকা দিয়ে চাকরি হবে সে নিশ্চয়তাও নাকি নেই। চাকরি পাওয়ার আগেই নাকি পুরো টাকাটা হাওয়া হওয়ার চান্স আছে।


কোটা পদ্ধতি অবশ্যই মেধা বিকাশের অন্তরায়। জন্মের পর থেকে একটি সন্তান যখন দেখে তার জন্য চাকরি সংরক্ষিত আছে; তার চাকরির জন্য বয়স দু'বছর বেশি থাকবে; কোন রকমে পাশ করতে পারলেই চাকরি নিশ্চিত; এমতাবস্থায় একজন ছাত্রের মেধার পুরোপুরি বিকাশ হওয়ার সুযোগ নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচেয়ে মেধাবী শিক্ষার্থী যখন দেখে ক্লাসের সবচেয়ে কম মেধাবী ও অনিয়মিত ছেলেটি কোটা আর খুঁটির জোরে বিসিএস পাশ করে চোখের সামনে রাতারাতি বড় অফিসার হয়ে দামী গাড়িতে বসে এসির হাওয়া খাচ্ছে অথচ সে চাকরি জুটাতে না পেরে বাসায় বাসায় টিউশনি করে রাতকে দিন করছে তখন নিশ্চয় ভাল লাগার কথা নয়।

অথচ কোটার প্রার্থী না পাওয়ায় ২৮তম বিসিএসে ৮১৩ জন, ২৯তম বিসিএসে ৭৯২ জন, ৩০তম বিসিএসে ৭৮৪জন, ৩১ তম বিসিএসে ৭৭৩ জন এবং ৩৫ তম বিসিএসে ৩৩৮ জনের পদ শুণ্য ছিল। শুণ্য পদগুলো অন্যদের দিয়ে পূরণ করা হয়নি।

বর্তমানে দেশে উচ্চশিক্ষিত বেকার প্রায় ১২-১৫%। আগামী দশ বছরে তা ছয়-সাত কোটি হবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। কোটা ব্যবস্থার ন্যায়সম্মত বন্টন না হলে শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বাড়বে। তাই সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি খাতে ব্যাপক কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে।

আমার মতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা সর্বোচ্চ ১০% রাখতে হবে। স্পেশাল বিসিএস চিরতরে বাতিল করতে হবে।

বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, ঊনসত্তরের গণআন্দোলন এবং আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে এই ছাত্ররাই নেতৃত্ব দিয়েছে। এখনো দেশের যেকোন সংকটময় সময় আসলে আবারো দেশমাতৃকা রক্ষায় তারা পিছপা হবে না। হাঁসি মুখে বুকের রক্ত ঢেলে দেবে বলে আমি বিশ্বাস করি। তাহলে জাতির ভবিষ্যৎ চালিকা শক্তি সোনার ছেলেদের প্রতি এত বৈষম্য কেন?

কার স্বার্থে?


পাশাপাশি সরকারের কাছে আরেকটি অনুরোধ, বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি কোচিং ও বিসিএস পরীক্ষা কোচিং আইন করে কঠোর হস্তে বন্ধ করতে হবে। কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে বছরের পর বছর লেখাপড়া করেও যদি আলাদা কোচিং করতে হয় তাহলে ধরে নিতে হবে দেশের প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থায় অনেক গলদ আছে। এখন তো ছাত্ররা অনার্সে পড়তে থাকা অবস্থায় বিসিএস কোচিং করে!! এটা এক ধরণের অসুস্থ প্রতিযোগিতা। এটা বন্ধ না হলে জাতি মেধাহীন হতে বেশীদিন বাকী নেই।

ক্লাসের সবচেয়ে বিনয়ী ছেলেটি?.......... যে কোনদিন রাজনৈতিক স্লোগান দেয়নি.......... যার ধ্যানজ্ঞান আর স্বপ্ন ছিল ভাল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চান্স পাওয়া.......... ভাল রেজাল্ট নিয়ে লেখাপড়া শেষ করা.......... ঘুষ ছাড়া একটি সরকারি চাকরি পাওয়া.......... বাকি জীবনটি দেশমাতৃকার সেবায় নিয়োজিত করা................। কিন্তু সে ছেলেটি যখন চড়া রোদ .......... ঝড়-বৃষ্টি.......... রক্ত-ঘাম .......... টিয়ার গ্যাস/শেল .......... আর.......... বুলেট.......... উপেক্ষা করে প্রতিবাদ মুখর হয়.......... একত্রে জড়ো হয়..........

তখন তাদের কথা শুনতে হয়..........।
মনযোগ দিয়ে।

!!!----------হ্যা, কোন প্রশ্ন না করে শুধু
কথা শুনার ধৈর্য আর সময়
থাকতে হয়।----------!!!

এ স্বপ্নবাজ তরুণরাই আমাদের ভবিষ্যৎ। তাদের এ দাবী ন্যায্য, এতে কোন সন্দেহ নেই। রাষ্ট্র হিসাবে উচিৎ স্বপ্নবাজ এ তরুণদের সুযোগ করে দেওয়া, ঘসামাজা করে তাদের রঙিন পালে হাওয়া দিয়ে স্বপ্নটিকে বিকশিত করা। অন্যতায় তিলে তিলে বড় করা অভিমানী এ স্বপ্নটি হারিয়ে যাবে চিরতরে।।


ফটো ক্রেডিট,
গুগল।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১২:২৮

মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: কোটা নিয়ে একটা রেভ্যুলিউশন হচ্ছে। আশাকরি দ্রুত এর সমাধান হবে।

১০ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১:১২

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: ভাইজান, লেখাটি পড়েছেন জেনে ভাল লাগলো। শুধু আশ্বাস দিলে হবে না। কোটা ব্যবস্থার বড় সংস্কার করতে হবে। এটা চরম বৈষম্যমূলক।

২| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৮

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: লিখতে থাকুন আশাকরি দ্রুতই প্রথম পাতায় সুযোগ পাবেন।
অনেক শুভ কামনা রইল।

১০ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১:১৫

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: কমেন্ট করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে। সিনিওয়রদের সাথে পরিচিত হলে ভাল লাগে। উৎসাহ পাই। আপনার জন্য শুভ কামনা রইল।

৩| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১:৫৩

চোরাবালি- বলেছেন: অনেক তথ্যবহুল লেখা।
কোটা এখন বিলুপ্তির সময়। এখন আর অঞ্চল বা গোষ্ঠি ভিত্তিক উন্নয়নের প্রয়োজন নেই। এখন পরিবার ভিত্তিক উন্নয়ন প্রয়োজন। কোটার সুবিধা নিয়ে একই পরিবারের ৫ ভাই বোনের ৪জনই চাকরী করে একজন করে না তার চাকুরী ভালো লাগে না তাই।
অন্যদিকে অনেক মেধাবীর পরিবার অনাহারে দিনকাটায়।

১০ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ২:২৪

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: দেশে এতো এতো বৈষম্য আর স্বেচ্ছাচারিতা হচ্ছে যে বলে শেষ করা যাবে না। মেধাবীদের বাদ দিয়ে মূর্খরা যখন দেশ চালায়, প্রশাসন চালায় তখন পরিণতি এমনই হয়। আমরা দূর্ভাগা জাতি।

৪| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৪:৪১

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: মুক্তিযোদ্ধারা দেশের প্রবীন নাগরিক। সাধারণত মৃত্যুজনিক কারেণ তাদের সংখ্যা কমার কথা। কিন্তু দিনে দিনে আমরা দেখতে পাচ্ছি মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে। তার মানে যারা বাড়ছে তারা প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা নন। অথবা আগের সব তালিকায় প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের ঠাই হয়নি। এই সব ভাবলে খারাপ লাগে।

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৩

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
এখন রাজনীতি আর মুক্তিযুদ্ধা একাকার হয়ে গেছে। একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের সাপোর্টার হলে যুদ্ধ না করলেও মুক্তিযুদ্ধা দাবী করতে পারবেন। মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় নাম লেখাতে পারবেন। শুধু পয়সা ঢালতে হবে। ব্যাস, আপনি মুক্তিযুদ্ধা। আপনার তিন প্রজন্ম দেশের মালিক হয়ে যাবে।

তালিকাভূক্তদের মধ্যে ৬০% ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.