নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জন্মসূত্রে মানব গোত্রভূক্ত; এজন্য প্রতিনিয়ত \'মানুষ\' হওয়ার প্রচেষ্টা। \'কাকতাড়ুয়ার ভাস্কর্য\', \'বায়স্কোপ\', \'পুতুলনাচ\' এবং অনুবাদ গল্পের \'নেকলেস\' বইয়ের কারিগর।

কাওসার চৌধুরী

প্রবন্ধ ও ফিচার লেখতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। পাশাপাশি গল্প, অনুবাদ, কবিতা ও রম্য লেখি। আমি আশাবাদী মানুষ।

কাওসার চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাজীবের কাটা হাত ও মৃত্যু, গণতন্ত্রের গালে চপেটাঘাত

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ ভোর ৬:২০


রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জনক এরিস্টটলের শিক্ষাগুরু বিশ্বখ্যাত দার্শনিক প্লেটো আজ থেকে প্রায় ২ হাজার ৪ শত বছর আগে গণতান্ত্রিক সরকার বা শাসন ব্যবস্থাকে সবচেয়ে অযোগ্যের শাসন বা সরকার ব্যবস্থা বলে আখ্যায়িত করেছিলেন। তাঁর মতে, গণতন্ত্র যেহেতু বেশিরভাগ জনগোষ্ঠীর দ্বারা পরিচালিত শাসন ব্যবস্থা, সেহেতু এটি কখনো উন্নত শাসন ব্যবস্থা হিসাবে সুপ্রতিষ্ঠিত হতে পারে না। কারণ প্রতিটি রাষ্ট্রে বিদ্বান, পন্ডিত এবং যোগ্য লোকের তুলনায় অযোগ্য, অশিক্ষিত ও অজ্ঞ লোকের সংখ্যাই বেশি। সুতরাং বেশিরভাগ জনগোষ্ঠীর শাসন মানেই প্রকারান্তে অযোগ্যের শাসন। এখানে মাথা গণনার দ্বারা সবকিছু নির্ধারিত হয়। অতএব গণতন্ত্র গুণে নয়, সংখ্যায় বিশ্বাসী।

সতেরশো শতাব্দীর শেষদিকে ব্রিটেনে গৌরবোজ্জল বিপ্লবের পটভূমিতে আধুনিক গণতন্ত্রের গোড়াপত্তন হয়। গত সাড়ে তিনশো বছরে নানা পরিবর্তন আর পরিমার্জনের ফলে গণতন্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা আজ পৃথিবীর সবচেয়ে আধুনিক শাসন ব্যবস্থা হিসাবে সুপ্রতিষ্ঠিত। এজন্য প্লেটোর মতের সাথে বর্তমান আধুনিক গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থাকে হয়তো মেলানো যাবে না। তবে খুব সম্ভবত শত শত বছর আগে তিনি বাংলাদেশের গণতন্ত্র কেমন হবে তা আঁচ করতে পেরে এমন মন্তব্য করেছিলেন? আর হওয়াটা অসম্ভব নয়, দার্শনিক বলে কথা!

পৃথিবীর উন্নত দেশগুলোতে গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা চালায় সমাজের সবচেয়ে যোগ্য আর বিজ্ঞ লোকেরা কিন্তু আমাদের এখানে ঠিক বিপরীত!

রাজীব হোসেন। বাড়ি পটুয়াখালী জেলার বাউফল উপজেলার বাঁশবাড়ি গ্রামে। তৃতীয় শ্রেণীতে পড়ার সময় মা এবং অষ্টম শ্রেণীতে পড়ার সময় বাবাকে হারান। এতিম ছোট দুই ভাইয়ের মুখে অন্নের যোগান দিয়ে তাদের সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়তে গুরু দায়িত্ব পড়ে কিশোর রাজীবের উপর। সাথে নিজের ভবিষ্যৎ আর স্বপ্ন! দায়িত্ব আর স্বপ্নের উড়াউড়ির ফাঁকে, পরিশ্রম আর মেধার সংমিশ্রণে এসএসসি আর এইচএসসিতে ভাল ফলাফল করে ভর্তি হন তিতুমীর কলেজে। নিজের স্বপ্ন আর ভাইদের দায়িত্বের ভার বহণ করতে পাশাপাশি চলে টিউশনি আর একটি দোকানে খন্ডকালীন কর্মচারীর কাজ। যে করেই হোক বিসিএস পরীক্ষা দিয়ে শিক্ষক হতে হবে। একজন আদর্শ শিক্ষক হওয়াই ছিল তাঁর ধ্যানজ্ঞান। একটি সভ্য দেশে নিশ্চয় স্বপ্ন দেখা কোন অন্যায় নয়।


কিন্তু সেই স্বপ্নদ্রষ্টা রাজীবই রাজধানীতে দুই বাসচালকের নিষ্টুর খেয়াল খুশির শিকার হয়ে প্রথমে হাত হারিয়েছেন। পরে ১৪ দিনের জীবনযুদ্ধের খেলায় পরাজয় স্বীকার করে সবাইকে কাঁদিয়ে চলে গেলেন। সাথে নিয়ে গেলেন কষ্টে নীল হয়ে যাওয়া স্বপ্ন আর রাজকীয় গণতন্ত্রের সীমাহীন বঞ্চনাকে।

ঘটনার বিবরণে জানা যায় ৩ এপ্রিল বিআরটিসির একটি দোতলা বাসের পেছনের ফটকে দাঁড়িয়ে অন্য অনেকের সাথে গন্তব্যে যাচ্ছিলেন রাজীব। তখন তার ডান হাতটি বাসের পেছনের ফটকের বাইরে ছিল। তখন স্বজন পরিবহণের একটি বাস বিআরটিসির বাসটিকে ওভারটেক করার সময় দুই বাসের প্রবল চাপে রাজীবের হাতটি শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এবং বিচ্ছিন্ন হওয়া হাতটি বাসের মাঝখানে ঝুলতে থাকে।

রাজীবের ডান হাতের কাঁটা অংশটি নাকি ঘন্টা দুয়েক রাস্তার উপর পড়েছিল। মোবাইলে অনেকেই তার ছবি তুলেছেন। উহু! আহু!! আহ-হা!!! বলেছেন। পাশাপাশি দিয়েছেন ফেইসবুকে স্ট্যাটাস। যখন হতভাগ্য কাঁটা হাতটি হাসপাতালে নেওয়া হল ততক্ষণে অনেক দেরী হয়ে গেছে। ডাক্তার বাহাদুররা জানিয়ে দিলেন, হাতটি জোড়া লাগানো সম্ভব নয়।

শুনা যায় হাসপাতালটি সাথে সাথে চিকিৎসা শুরু করেনি। শুরু করেছে আত্মীয়স্বজন আসার পর। টাকার নিশ্চয়তা বলে কথা! পরদিন বিল আসে সর্বসাকুল্যে মাত্র দেড় লাখ টাকা! গরীব আত্মীয়রা এতো টাকা পরিশোধ করতে না পেরে মুচলেকা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান ঢাকা মেডিকেলে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে সাধুবাদ দিতেই হয় পুরো টাকা না পাওয়ার পরও রাজীবকে ছেড়ে দিয়েছে বলে। ব্যবসায় ভাই লাভ লস হতে পারে, তাই বলে হসপিটেল ব্যবসায়? কক্কনো না। বাংলাদেশে এই কসাই ব্যবসাটাই সবচেয়ে প্রফিটেবুল আর ইনভেস্টমেন্ট হানড্রেড পারসেন্ট নিরাপদ।


ডোলরিমিটার আর পালপোমিটার নামে বিজ্ঞানীরা শারীরিক যন্ত্রণা/ব্যথা মাপার দু'টি যন্ত্র আবিষ্কার করেছিলেন। কিন্তু বাস্তবে একজন মানুষের কষ্টের পরিমাপক হিসাবে তার মস্তিষ্কটাই যথেষ্ট। যখন মানুষ শরীরের যন্ত্রণায় ছটফট করে তখন মস্তিষ্ক থেকে সঙ্কেত আসে তাই দেহটাকে অজ্ঞান করে দেয় মানুষটার কষ্টটা লাঘব করার জন্য। তখন কী রাজীবের মস্তিষ্ক সক্রিয় ছিল? শুনেছি মৃত্যুর আগে শেষ কয়দিন রাজীবের মস্তিষ্কে রক্তকরণ হয়েছে। এসময় রাজীব কী নিজের ডান হাতটি অচেতন মনে খুঁজেছিল? মস্তিষ্ক থেকে কোন সঙ্কেত কী যাচ্ছিলো ডানহাতটায়? রাজীব কী ঘুমের ঘোরে ভাবছিল কিচ্ছু হয়নি আমার, নিছক অবচেতন মনে স্বপ্ন দেখছি মাত্র!

নাকি জন্মের পর ২১টা বছর যে মস্তিষ্ক রাজীবের স্বপ্নকে লালন পালন করেছে, স্বপ্ন দেখিয়ে এগিয়ে নিয়ে গেছে, এগিয়ে দিয়েছে, ঘুমের সময় জেগে থেকে রাজীবকে পাহারা দিয়েছে; সেই মস্তিষ্ক কী তাকে শেষ রক্ষা করতে না পারার বেদনায় কান্না করছিল। হয়তো এটাই মস্তিষ্কের কান্নার আওয়াজ। কারণ রাজীবের চলে যাওয়া মানেই তো তার নিজের অস্তিত্বও বিলীন হয়ে যাওয়া।

দুঁটি বাসের চিপায় আটকে আছে একটি হাত। একটু আগেও হাতটি একটি স্বপ্নবাজ তরুণের শরীরের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল। এখন সেই হাত আটকে আছে দুটি বাসের চিপায়। পরিবহণ সন্ত্রাসের বলি হয়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া হাতটি থেকে রক্ত ঝরছে বিরামহীন ভাবে। সাথে হাত হারিয়ে চোখ বড় বড় করে থাকিয়ে থাকা রাজীবের রক্তকরণ হচ্ছে শরীরে, মস্তিষ্কে আর হৃদয়ে।

আসলে দোষটা তো রাজীবেরই! বাঁশবাড়ি নামক ছোট্ট গ্রামটিতে দরিদ্র পরিবারে জন্ম নিয়ে ঢাকা শহরের মতো বনেদী একটি শহরে স্বপ্নগুলোকে চাষবাস করতে আসাটাই ঠিক হয়নি। বাঁশবাড়ির বাঁশ বাগানের ফাঁকে চাঁদ মামাকে ফোকলা দাঁতে হাসতে দেখার মজাই তো ভাল ছিল। স্বপ্ন দেখতে ঢাকায় আসতে হবে কেন? বাড়িতে বসে খেয়ে না খেয়ে, পড়ে না পড়ে স্বপ্ন দেখা যেতো না? গ্রামের অনাহারী, ভীটে মাটি হারা হাজার লক্ষ তরুণ এভাবেই তো স্বপ্ন দেখেই আটষট্টি হাজার গ্রামে ঘুরে বেড়ায়। স্বপ্ন ছোয়া কোনদিন না হলেও দেখে যায় বিরামহীন। এতে পয়সা লাগে না, টাকা খরছ করে রাজধানীতে আসা লাগে না।


ঢাকার বাসগুলোর দিকে থাকালেই দেখা যায় শুধু ঘর্ষণের দাগ। ঘসার চিহ্ন বীরত্বের চিহ্ন। রাজধানীতে ঘষা ছাড়া কোন বাস চোখে পড়লে বুঝতে হবে স্বপ্ন দেখছেন। এখানে বাসে বাসে ঘর্ষণে বিদ্যুৎ উৎপন্ন না হলেও বীরত্বের জয়গান থাকে। স্বপ্নবাজরা চাইলে অবশ্য এখান থেকে ইতিবাচক কিছু পেতে পারেন। কারণ ঘসা দেওয়া মানে স্বপ্নকে জাগিয়ে তোলা, থেমে যাওয়া নয়!

বাস আর চালকের এই বীরত্বের ঘষাঘসিতে প্রতি বছর হাজার হাজার মানুষ প্রাণ হারায়। এটা এখন গণহত্যার পর্যায়ে চলে গেছে। হাজার হাজার মানুষ আহত হচ্ছে, পঙ্গু হচ্ছে। শত শত পরিবার নিঃস্ব হচ্ছে, পথে বসছে। এ যেন রাজপথে মৃত্যুর মিছিল। নিয়ম নেই, শৃঙ্খলা নেই, দায় নেই, দায়িত্ব নেই। নেই চালকদের যথাযথ প্রশিক্ষণ। নেই গাড়িগুলোর ফিটনেস। আর এগুলোর দেখার জন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থার সীমাহীন অনিয়ম আর দূর্ণীতি। আছে রাজনৈতিক গুন্ডামী, নৈরাজ্য আর চান্দাবাজি। রাজনীতির রাজকীয় চাল আর পকেট ভারী করার ফন্দি।

শুধু বাস চালকদের দোষ দিয়ে কী লাভ? জাতীয় জীবনের মতো ভয়ানক বৈষম্য আর রেষারেষিতে ভরা রাজধানীর রাজপথ। রাস্তায় আধুনিক গণতান্ত্রিক রাজতন্ত্রের রাজা/রাণী হলেন মন্ত্রী/এমপি/ভিআইপিরা; তারপর তাদের উজির নাজির; তিন নাম্বারে তাদের শুভাকাঙ্খী, সুবিধাভোগী আমলা, সমর্থক, খাঁটি চাটুকার আর দালালরা। এই শ্রেণীবিন্যাসে কোটাবিহীন সাধারন যাত্রীরা হলেন সবার নিচে। যেদিন ভিআইপিদের দৌড় ঝাঁপ বেশি সেদিন ফার্মের মুরগীর মতো ছাল বাকল হীন, ঘসা লাগা খাঁচায় চোখ কান খোলা রেখে গলা টান টান করে দীর্ঘ শ্বাস নিতে নিতে গরমে হাঁসফাঁস করতে করতে অসহায় দৃষ্টিতে ভিআইপিদের এসিতে বসা চকচকে চেহারা, দামী পাজারুর সারি দেখে দেখে গণতন্ত্রের চৌদ্দগোষ্টী উদ্ধার করে এরা নীরবে।

লন্ডনে দেখেছি পাবলিক বাসের জন্য আলাদা লেন আছে। ঘন্টার পর ঘন্টা জ্যামে আটকে থাকলেও প্রাইভেট গাড়িগুলো বাস লেন দিতে যাওয়ার অনুমতি নেই। ভুল করে উঠলেও বড় অঙ্কের জরিমানা গুনতে হয়। পাবলিক পরিবহণে নেই কোন ব্যক্তি মালিকানা, এটা পুরোপুরি সরকারি। চালকদের প্রাইভেট গাড়ি চালানোর লাইসেন্স থাকলেও পাবলিক বাস চালাতে আলাদা টেস্ট দিয়ে পাশ করতে হয়। কোন চালক পূর্বে কোন মামলায় আদালত কর্তৃক ক্রিমিনাল হিসাবে অভিযুক্ত হলে পাবলিক পরিবহণের চালক হওয়ার অযোগ্য বিবেচিত হবেন। বাসগুলো পৃথিবীর সর্বোচ্ছ প্রযুক্তি দিয়ে তৈরী, আরামদায়ক ও বিলাসবহুল।


চলার পথে সামান্যতম কোন ত্রুটি দেখা দিলে চালক বাস থামিয়ে যাত্রিদেরকে অন্য বাসে তুলে দেন, কোন প্রকার রিস্ক নেন না। আর বাস ওভারটেকের নজির সেখানে নেই। একটু পর পর বাস স্টপেজ থাকে, প্রতিটি স্টপেজে ডিজিটাল বোর্ডে দেখা যায় কোন বাস কত মিনিট পর আসছে। বাস থেকে নামতে জায়গায় বসে সুইচ টিপলে ড্রাইভার পরের স্টপে বাস থামায়। বাসের সামনে মনিটর থাকে, যাতে পরের স্টপেজের নাম দেখানো হয় আবার অটোমেটিক সিস্টেমে স্টেশনের নামটি স্পিকারে বলতে থাকে। এসব বাসে কোন হেল্পার নেই। ড্রাইভার কোন ক্যাশ ভাড়া নেয় না। যাত্রীরা বেশিরভাগ সময় সাপ্তাহিক/মাসিক 'ওয়েস্টার কার্ড' ব্যবহার করে।

আমরা বীরের জাতি। বড়ই তেজ আমাদের, তবে তা বিদ্যায় ও দেশপ্রেমে নয়। এ তেজ ল্যাং মেরে, কনুইয়ের গুতায় অন্যকে ভূপাতিত করে এগিয়ে যাওয়ার। অন্যের অধিকার হরণ করে, অন্যের স্বপ্নগুলোকে ব্লেকমেল করে নিজের করে নেওয়ার। এই কনুইয়ের গুতা, ল্যাং মারা আর স্বপ্ন চুরি করা চলে দিনের ফকফকা আলোয়, গণতন্ত্র নামক এক রক্ষা কবচের রক্ষক হয়ে। এখানে স্বপ্ন দেখা অন্যায়, গণতন্ত্র বোঝা অন্যায়, অধিকার চাওয়া অন্যায়, প্রতিবাদ করা অন্যায়। শুধু করা যাবে তোষামোদ আর উন্নয়নের গল্প।

উন্নত অনেক দেশে রাজা/রানী আছে কেতাবে, বাস্তবে তাদের কোন দাপট নেই। আর আমাদের দেশে কেতাবে কোন রাজা/রাণীর অস্তিত্ব নেই কিন্তু বাস্তবে আছে। শুধু আছে বল্লে ভুল হবে। বহাল তবিয়তে বিশাল পরিষদ নিয়েই আছে। এরা সবাই রাজা! এদেশে শুধু নির্বাচন আসলে ভোটে দাঁড়ানো, ভোট চাওয়া আর ভোটারদের ভোট দেওয়াটাই গণতন্ত্র! যদিও ভোটের প্রসেস শুরু হওয়া থেকে শুরু করে, নির্বাচিত হওয়ার পর পর্যন্ত যাবতীয় কার্যক্রম অগণতান্ত্রিক হয়।

এদেশে ফারমার্স ব্যাঙ্কে কোন কৃষক নেই। লুটপাট করার জন্য কৃষকদের ফটো দেখিয়ে উজির নাজিররা কোটিকাটি টাকা লোপাট করে, বিদেশে পাচার করে। মন্ত্রী হয়েও পরিবহণ নেতা হয়। এমপি/মন্ত্রী হতে শিক্ষাগত যোগ্যতা লাগে না। গলাবাজি, অস্ত্রবাজি, বোমাবাজি, দখলবাজি আর খুণ খারাপি জানলেই নমিনেশন কনফার্ম হয়। গণতন্ত্র বানান করতে না পারলেও এমপি হতে সমস্যা নেই। টাকা থাকলে গণতন্ত্র কেনা যায়। প্লেটোর কথায় আবার ফিরে আসি; তাঁর কথায় রাষ্ট্রে বিদ্বান, পন্ডিত আর যোগ্য লোকের সংখ্যার চেয়ে বিপরীত অংশটা অনেক বেশি বলে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় তাদের প্রতিনিধিত্বটাও করা হয়। এটাই গণতন্ত্র। অন্ততঃ বাংলাদেশের জন্য তা শতভাগ প্রযোজ্য।।



ফটো ক্রেডিট,
গুগল।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১:১৮

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
রাজীবের আত্মার শান্তি কামনা করছি,
যারা তার অকাল মৃত্যুর কারণ তাদের
দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও তাদের কাছ থেকে
ক্ষতিপূরণ আদায়ের দাবী জানাই।

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১:২১

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:


সহমত আপনার সাথে। ধন্যবাদ, মন্তব্য করার জন্য।

২| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১:৩১

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আমাদেরকে সৎ হতে হবে। সততার কোন বিকল্প নেই। যোগ্যতার প্রমাণ না পেলে যাকে তাকে গাড়ীর চালক বানানো ঠিক নয়।

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১:৫৪

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:


সর্বত্র শৃঙ্খলা আনতে হবে। রাষ্ট্রে শৃঙ্খলা সবার আগে জরুরী।

৩| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ২:২৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: গত কয়েকদিন ধরে ব্লগে একটি আলোচিত বিষয় রাজিবের প্রয়াণ। আগেও যেকথা ববলেছি, আজও সেই কথাই বলবো যে যেকোনো মৃত্যু দঃখজনক।আর এই রকম অকাল প্রয়াণতো আরো বেদনার। রাজিবের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করি।

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ২:৩৬

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:


ধন্যবাদ, আপনাকে।

৪| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১১:০৮

বিএম বরকতউল্লাহ বলেছেন: গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে দীর্ঘ লেখাটি অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে।
ক্ষমতাশীলেরা পড়লে ভাল হতো।
আপনার জন্য শুভকামনা।

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১১:২৮

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:


অনেক ধন্যবাদ, আপনাকে। ব্লগে সব সময় এসে অনুপ্রাণিত করার জন্য ধন্যবাদ।

৫| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১১:৩৩

মোঃ ফিরোজ কবির (শান্ত) বলেছেন: বেশ লিখেছেন।

২০ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১২:১৭

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:


ধন্যবাদ, ফিরোজ ভাই। আপনার জন্য শুভ কামনা রইল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.