নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জন্মসূত্রে মানব গোত্রভূক্ত; এজন্য প্রতিনিয়ত \'মানুষ\' হওয়ার প্রচেষ্টা। \'কাকতাড়ুয়ার ভাস্কর্য\', \'বায়স্কোপ\', \'পুতুলনাচ\' এবং অনুবাদ গল্পের \'নেকলেস\' বইয়ের কারিগর।

কাওসার চৌধুরী

প্রবন্ধ ও ফিচার লেখতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। পাশাপাশি গল্প, অনুবাদ, কবিতা ও রম্য লেখি। আমি আশাবাদী মানুষ।

কাওসার চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুখোশের আড়ালে মাটি চাঁপা বিবেক (ফিচার)

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৩:১২


আমরা খুব আবেগ প্রবণ জাতি। ঠিক এক বছর পর কেউ তিতুমীর কলেজের রাজীবের (দুই বাসের চাপায় হাত হারানো, পরে হাসপাতালে মৃত্যু) কথা মনে রাখবে না। তার দুই ভাই পড়াশুনা করতে পারলো কি না; পেট ভরে খেল কি না; কেউ খবর নেবে না। এর মধ্যে কত শত রাজীবের স্বপ্নের মৃত্যু হবে, পরিবার নিঃস্ব হবে; বাকশক্তি হারাবে, পঙ্গু হবে। হয়তো এদের দুই একজনকে মিডিয়ার কল্যাণে আমরা জানবো; বড় জোর দুই-চারদিন উহু, আহু করবো। ব্যাস, এ পর্যন্তই। মরুভুমিতে যেমন ধূলা-বালুর ঝড় এলে আপনার সুন্দর পোষাকটিকে নিমিষেই বালুময় করে দেবে; ঠিক তেমনি বালুকণার ন্যায় হাজারো সমস্যার মাঝে বসবাস করলে স্মৃতি আর বিবেকের কুঠরেও জং ধরে।

কত প্রভাবশালী মানুষ, কত রাজনীতিবিদ, কত শত সাধারন মানুষ গুম হলো। কত খুন, ধর্ষণ, ডাকাতি ও মহামারি হল কেউ কি খবর রাখে? কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় খুন হওয়া তনুর কথা নিশ্চয় মনে আছে? কত মানববন্ধন, কত আর্তনাদ, কত চোখের জল বিফলে গেল। আসল কাজের কাজ কিছুই হলো না, অপরাধী চিহ্নিত হলো না, ধরা পড়লো না। ঘটনাটির মাত্র বছরখানেক হল কিন্তু মনে হচ্ছে একযুগ পেরিয়ে গেছে!

এটা কী আমাদের স্মৃতিভ্রম নাকি বিচারহীন সংস্কৃতিতে অভ্যস্থ বলে ভোতা ও জং ধরা জাতীয় অনুভূতি তা আমি বুঝতে পারি না। কত শত তনু আজ স্মৃতির জ্যামে আটকে ভূলে গেছি হিসাব নেই। আরো কত তনুর বাবা মায়ের অসহায় আর্তনাদে আকাশ বাতাস ভারী হচ্ছে, আমরা কয়টি খবর রাখি, বলুন? রাজীবও একসময় হারিয়ে যাবে আমাদের দৃষ্টি থেকে, স্মৃতি থেকে, অনুভব থেকে। শুধু বেঁচে থাকবে তাঁর কষ্ঠের স্মৃতি, সারা জীবনের লালন করা একটু স্বচ্ছলতার স্বপ্ন আর প্রিয়জনদের চোখের জল।


যে সমাজে আইনের শাসন অনুপস্থিত। আইন আদালত ক্ষমতার দাপটে অসহায়, সে দেশে ন্যায়বিচারের আশা করা অন্যায়। এদেশে হাইকোর্টের বিচারপতিগন নিয়োগ পান রাজনৈতিক বিবেচনায়। প্রধান বিচারপতির নিয়োগ হয় সরকারী দলের আনুগত্যের মাপকাটিতে। এদেশে নেই কোন শোষিত ও নির্যাতিত মানুষের রক্ষাকবচ। এখানে মানবাধিকার নিয়ে যারা কথা বলেন এদের বেশির ভাগ-ই মানবাধিকার ব্যবসায়ী। এরা বিদেশীদের কাছে আমাদের অসহায়ত্বের ছবি ও সংবাদ বিকিয়ে নিজের আখের গোছায়, সুবিধামত বিবৃতি দেয়, পকেট ভারী হলে কেটে পড়ে। নির্বাচন আসলে বিদেশীদের দেওয়া বড় সেলামী পেয়ে একদল লোক গণতন্ত্রের নামে ভেটারদের সবক দেন, গণতন্ত্র শেখান। ভোট শেষ, টাকার হিসাব শেষ। সাথে গণতন্ত্রের সবকও শেষ!

স্বাধীনতা উত্তর হঠাৎ গজিয়ে উঠা দেশের গুটিকয়েক পরিবারের কাছে দেশের সাধারণ মানুষ এখনো জিম্মি। এ জিম্মি দশার কবে শেষ হবে কেউ জানে না।

এ দেশে কেউ স্বাধীনতা বিক্রি করে কোটিপতি, কেউ মুক্তিযুদ্ধ ব্যবসা করে কোটিপতি, কেউ রাজাকার হয়ে কোটিপতি, কেউ রাজনৈতিক পরিবারের উত্তরাধিকার সুত্রে কোটিপতি, কেউ চান্দাবাজি করে কোটিপতি, কেউ রাজনীতির ব্যবসা করে কোটিপতি, কেউ তেল (চাটুকারি) ব্যবসা করে কোটিপতি, কেউ ধর্ম বেঁচে কোটিপতি, কেউ জমি দখল করে কোটিপতি, কেউ খুন করে কোটিপতি, কেউ মন্ত্রী/এমপি হয়ে কোটিপতি, কেউ শিক্ষা বিক্রি করে কোটিপতি, কেউ ইয়াবা/ফেন্সিডিল/কোকেইন বিক্রি করে কোটিপতি, কেউ ম্যাডাম/নেত্রীর সু-নজরের জন্য কোটিপতি, কেউ সরকারি চাকরি নামক আলাদীনের চেরাগ পেয়ে কোটিপতি।

আর আমার মত প্রজাতন্ত্রের অতি সাধারন জনগণ; যারা উপরে উল্লেখিত কোন ক্যাটাগরিতে পড়ি না, যাদের কোন কোটার সুবিধা নেই, তারা যখন কোন অনাচার দেখি তখন আবেগী হয়ে উঠি। অতিশয় আবেগী! দরদ উথলিয়া উথলিয়া পড়ে আমাদের। ভীষণ কষ্ট পাই। সব সময় দেশপ্রেমের বড়াই করি, সুন্দর একটি শোষণমূক্ত সমাজের স্বপ্ন দেখি। কিন্তু বাস্তবে কিছুই করতে পারি না। কখনো কখনো করতে দেওয়া হয় না।


লোভের যেমন কোন পরিসমাপ্তি নেই, ঠিক তেমনি ভোগ বিলাসের আকাঙ্খা আমৃত্যু থাকে। এই আকাঙ্খা আসে উচ্চবিলাস ও অনুকরণের সংস্কৃতি থেকে। যারা সোজা পথে বিলাসিতা করতে অপারগ তারা বাঁকা পথের সন্ধান করেন। আমাদের দেশে প্রাতিষ্ঠানিক বড় দূর্ণীতিগুলো মানুষ করে চল্লিশ-পয়তাল্লিশ বছর বয়সের পর। তখন পদের সাথে অভিজ্ঞতা বাড়ে, সুযোগ বাড়ে। কিন্তু এ সম্পদ ডালপালা দিয়ে বড় হতে হতেই এদের বেশিরভাগই দেহত্যাগী হোন। বয়সে কুলায় না। পরে পোষ্যদের মধ্যে চলে সম্পদ নিয়ে কাড়াকাড়ি, মারামারি আর মামলা মোকদ্দমা। কখনো খুণ খারাপি!

কেউ কেউ এই টাকা দিয়ে মসজিদ/মন্দির বানান। তীর্থ যাত্রা করেন। কোরবানী আসলে বাজারের সবচেয়ে দামী গরুটি কিনে লোক দেখানো কোরবানি দেন। শুক্রবারে জুম্মার নামাজে দামী পাঞ্জাবী-পায়জামা পরে মসজিদের সামনের কাতারে আসন নেন। রমজান আসলে দামী দামী হরেক রকম ইফতারির আয়োজন করেন (কেউ কেউ রোজা না রেখে)। চলে ইফতারি দেওয়া ও ঈদের কেনাকাটার পর্ব এই ঘুষের টাকায়। তাহলে কী লোভ, উচ্চাকাঙ্খা ও দুর্নীতি মানুষকে হিপোক্রেট বানায়? নাকি এগুলো তারা বিবেকের তাড়নায় অনুশোচনা থেকে করে!! জানা নেই আমার।

একটি ঘটনার কথা সব সময় মনে পড়ে, লন্ডনে থাকার সময় মরিশাসের একটি ছেলে আমার হাউজমেট ছিল, সে University of East London-এ আইন বিষয় নিয়ে পড়াশুনা করত। প্রায় সময় বাংলাদেশী একজন সহপাঠী বন্ধু তার কাছে আসতো। বাংলাদেশী এ ছেলেটির সাথে কথা বলে জানতে পারলাম সে পড়াশুনার পাশাপাশি কোন পার্টটাইম জব করে না! শুনে অবাক হয়ছিলাম। লন্ডনের মত এতো ব্যয়বহুল শহরে তা কিভাবে সম্ভব? তার যাবতীয় খরছ নাকি সচিব বাবা প্রতিমাসে দেশ থেকে পাঠিয়ে দেন।


ছেলেটি হিসাব করে বল্ল, বছরে প্রায় বাইশ লক্ষ টাকা। একদিন কথা প্রসঙ্গে জানতে চাইলাম, সৎ পথে তার বাবার এত টাকা আয় করা সম্ভব কি, না? উত্তরে ছেলেটি বলেছিল, ঘুষ দুর্ণীতি করতেও যোগ্যতা লাগে, যা তার বাবা সচিব হয়ে অর্জন করেছেন! অতএব বাড়তি ইনকাম (ঘুষ খাওয়া) তার যোগ্যতারই প্রতিদান। উত্তর শুনে শুধু চেয়ে চেয়ে থাকলাম, কোন কথা মুখ দিয়ে বের হল না। ধন্য হলাম যোগ্য বাবার যোগ্য ছেলের জবাব শুনে। এ ছেলে একদিন ব্যারিস্টািরি পাশ করে দেশে গিয়ে বড় আইনজীবী হবে। রাজনৈতিক লিংক থাকলে হাইকোর্টের বিচারপতি হবে। প্রধান বিচারপতি পর্যন্ত হওয়া হয়ত সম্ভব। আর রাজা/রাণীদের সুনজর থাকলে তো এমপি/মন্ত্রী! খুবই সম্ভব।

আরেকটি ঘটনার কথা মনে পড়লো। তখন লন্ডনের অক্সফোর্ড স্ট্রীটে কাজ করতাম। একদিন বাংলাদেশের একজন প্রভাবশালী সাবেক মন্ত্রীকে পাঁচ তারকা একটি হোটেলের নীচে পায়চারী করতে দেখলাম। সঙ্গে উনার স্ত্রী ও মেয়ে। উনার স্ত্রী বাংলাদেশের একজন নামকরা মানবাধিকার কর্মী এ জন্য সহজে চিনতে পারলাম। এভাবে দুই তিনদিন দেখা হল। একদিন কৌতুহল বশত এগিয়ে গিয়ে কুশল বিনিময় করে জানতে চাইলাম হোটেলে অবস্থানের কারণ। তিনি জানালেন সেন্ট্রাল লন্ডনের মে ফেয়ারে (may fair) একটি বাড়ি কিনতে এসেছেন। দরদাম চলছে, কেনার প্রক্রিয়া শেষ করতে কিছুদিন লন্ডনে থাকতে হবে।

এখানে উল্লেখ্য যে, মে ফেয়ার হলো লন্ডন তথা বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল ভিআইপি এলাকা। এখানে দুই বেড রুমের একটি ফ্ল্যট কিনতে মিনিমাম ত্রিশ কোটি টাকা খরছ হয়। তিনি জানালেন, বাড়িটির দাম ৪.২ মিলিয়ন পাউন্ড (৫১ কোটি টাকা)। সাহস করে বল্লাম, আপনারা মন্ত্রী হয়ে কোটি কোটি টাকা খরছ করে বিদেশে বাড়ি কিনেন আর দেশের মানুষকে উন্নয়নের স্বপ্ন দেখান, ঘুষ ও দূর্ণীতির বিরুদ্ধে কথা বলেন। মন্ত্রী মহোদয় আমার কথার কোন জবাব না দিয়ে কছুটা লজ্জিত হয়ে চলে গেলেন। আমার এতো বড় স্পর্ধা দেখে বেশ বিরক্ত হলেন। অবশ্য দেশে হলে এমন প্রশ্ন করার সুযোগ ও সাহস কোনটিই হতো না। গোল্ডেন ভিআইপি (এ+ ক্যাটাগরি) বলে কথা!


আমরা শিক্ষক হয়ে শিক্ষা বিক্রি করি, বিচারপতি হয়ে ন্যায় বিচার বিক্রি করি, আইনজীবী হয়ে মিথ্যা আইন বিক্রি করি, আমলা হয়ে নাগরিক অধিকার বিক্রি করি, উর্দি পরে মানুষ শোষণ করি, রাজনীতিবিদ হয়ে দেশ বিক্রি করি, কালো টাকার মালিক হয়ে রেমিটেন্স পাচার করি, ধার্মিকের নামে ধর্ম বিক্রি করি, লেখক হয়ে চাটুকারি করি, মানবাধিকারের নামে অধিকার বিক্রি করি, মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের নামে মানুষকে বিভক্ত করি, সমাজ সেবার নামে সমাজ বিক্রি করি, ডাক্তারীর নামে মানুষ কোরবাণী করি, ঔষধের নামে নেশার বড়ি/বোতল বিক্রি করি।

এতে আমাদের বিবেকে বাঁধে না; বিবেক শাণিত করিনি বলে। আর বিবেক নেই বলে এতো এতো জাতীয় দিবস ঘটা করে উদযাপন করেও বুকের কোনায় একটুও দেশপ্রেম জাগে না। বিবেকের কোটরে জমা হয় শুধু লোভ, ভোগ, অবিচার ও ঘৃণা। যার ফলে আমরা হই মুখোশধারী মানুষ নামক রোবট।

তাই বলি কি অন্তত: নিজের জন্য, পরিবারের জন্য, সমাজের জন্য সম্ভব হলে চুপ থাকি। সব কিছু দেখেও কিছুই দেখিনি, কিছুই বুঝিনি বলে এড়িয়ে যাই। আর নিজের বেলায় কোন অঘটন যাতে না ঘটে এজন্য সতর্ক থাকি। কারণ আমরা হচ্ছি অতি সুবিধাভোগী, বিবেকহীন, দেশপ্রেমহীণ, কালো টাকার মালিক একটি সমাজের অচল পয়সা মাত্র।।



ফটো ক্রেডিট,
গুগল।

মন্তব্য ৬২ টি রেটিং +১০/-০

মন্তব্য (৬২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৩:৫৯

রিফাত হোসেন বলেছেন: মনের মত একটা কথা বলেছেন

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৮ ভোর ৪:৩১

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, রিফাত ভাই। পরিচিত হলাম, শুভেচ্ছা নেবেন। আমি আসলে এভাবেই লেখি। পড়ে ভাল লেগেছে জেনে প্রীত হলাম। শুভ কামনা আপনার জন্য।

২| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৮ ভোর ৪:০১

পাগলা বস বলেছেন: ভাল লাগল, সময়োপযোগী ব্যতিক্রম ধর্মী আত্ম সমালোচনা মূলক লেখা, দুঃখের বিষয় হলেও সত্যি যে, আমরা কেউ আত্মকেন্দ্রিকতার বাইরে যেতে পারিনা, যার কারনেই এত অনিয়ম ও দুর্নীতি। :(

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৮ ভোর ৪:৩৫

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: ভাইজান, ধন্যবাদ। আপনি খুব সুন্দর বলেছেন। আত্মসমালোচনা হলো আত্মশুদ্ধির প্রথম ধাপ। আর আত্মশুদ্ধি না থাকলে বিবেক সৃষ্টি হয় না। বিবেক না থাকলে লোভ ও ভোগ ত্যাগ করা যায় না। দেশপ্রেমিক হওয়া যায় না।

শুভেচ্ছা রইলো।

৩| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৮ ভোর ৫:১৪

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনি তো লিখতে জানেন; প্রতিশ'তে কতজন নামও লিখতে জানে না; তারা কি করে জানবে যে, সেক্রেটারীর ছেলে বছরে ২২ লাখ খরচ করে লন্ডনে পড়ে, আর মন্ত্রী সাড়ে ৪ মিলিয়ন পাউন্ডে বাড়ী কিনছে?

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৭:০৮

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: চমৎকার কমেন্ট শ্রদ্ধেয় প্রিয় "চাঁদ গাজী" ভাই। এজন্য দেশের প্রচলিত রাজনীতি আর আমলাতন্ত্র আমার একদম না পছন্দ। দলগুলো মুদ্রার এপিট ওপিট। কেউ খারাপ, আর কেউ খারাপের মধ্যে খারাপ। এজন্য কোনটাই উপকারী নয় বলে বেছে নিতে পারি না। ইলেকশন আসলে ভোটের গণতন্ত্র নামক রাজতন্ত্রের অংশীদার হতে চাই না বলে ভোট দেই না। এ নাগরিক অধিকার আমার কাছে মূল্যহীন।

৪| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৮ ভোর ৬:৪৮

সৈয়দ তাজুল বলেছেন: চাঁদগাজীর মন্তব্যে আমি...

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৭:০৭

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: আপনিও!! একটা কাজ করলে কেমন হয়?
লেখাটা অডিও করে ক্যাসেট আকারে গলিতে গলিতে, পাড়ায় পাড়ায় মাইক লাগিয়ে এনাউন্স করলে? আশা করি শুনতে কোন সমস্যা হবে না। কারণ, আমরা হলাম বিরল প্রজাতির মানব জাতি। যারা পড়ালেখা না করলেও রাজনীতিটা ঠিকই জানি, গলাবাজিটা ঠিকই পারি। আর হ্যা, কানটা কিন্তু খুবই পাতলা!!!

৫| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৭:১৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: কাওসার ভাই,, ভাল লাগলো, কিন্তু নিজেদের কাছে বেশ উদ্বেগের। এ সংকট বোধহয় যাবার নয়।

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১:১০

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ, পদাতিক ভাই। হ্যা, আমারও মনে হয়ে এ সঙ্কটের সহসাই সমাধাান নেই। যদি কোনদিন এ জাতির বিবেক সৃষ্টি হয়, সার্টিফিকেটের পেছনে না দৌড়ে প্রকৃত শিক্ষার পেছনে দৌড়াবে তখন দেশপ্রেম ও দেশের প্রতি দায়বদ্ধতা আসবে।

৬| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৮:৩১

নতুন নকিব বলেছেন:



মূল্যবান আত্মসমালোচনা। দারুন লিখেছেন।

নিজেদের কর্মদোষেই আমরা পিছিয়ে। এ জাতির ভাগ্যাকাশে মুক্তির দীর্ঘ প্রতিক্ষিত সূর্য্যটা যে কত দূরে, এ ভাবনাতেই আকুল হই।

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১:১২

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: হ্যা, ভাই। আমরা হিপোক্রেট একটা জাতি। আর হিপোক্রেটরা হয় লোভী, সেলফিস ও পরশ্রীকাতর। এগুলো ত্যাগ না করলে উন্নতির সম্ভাবনা নেই।

৭| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৯:২৭

রাজীব নুর বলেছেন: মানুষ মাত্রই বিতর্কিত। যারা পরির্বতন চায় ও সত্য-নিষ্ট জীবনের জন্য সংগ্রাম করে তারা আর বেশী বিতর্কিত। কোন ভাল মানুষকে মৃত্যুর পর বিতর্কিত করা উচিত নয়।

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১:১৭

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: আপনার কথায় যুক্তি আছে, রাজীব ভাই। তবে আমরা চাই বিতর্কের মাত্রাটা কমুক। অন্তত নিজেদের দায়িত্ববোধের ক্ষেত্রে। দেশ সেবার ক্ষেত্রে। আর লোভটা যাতে অন্যের সম্পদে না থাকে। নিজের যা আছে তা নিয়েই সুখে থাকার চেষ্টা করতে হবে।

৮| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৯:৫৭

পলাশবাবা বলেছেন: দেশে আসিয়েন না। গুম হইয়া যাবেন।

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১:১৮

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: প্রবাসীরা তো গুমই। মাতৃভূমি ছেড়ে কেউ প্রবাসী হতে চায় না। ধন্যবাদ, ভাই।

৯| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:২৫

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: আমাদের দেশে এত বেশি ঘটনা আলোচিত হয় যে, একটা ঘটনা খুব বেশীদিন মানুষ মনে রাখেন, আর বিচারের বাণী নিভৃতে কাদে।

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১:২১

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: এটা সত্য। তারপরও মানুষ মনে রাখে, আন্দোলন করে, মানববন্ধন করে। এটাও কিন্তু কম না। ধন্যবাদ, তারেক ভাই।

১০| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:২৯

কামরুননাহার কলি বলেছেন: আপনার কথা বা লেখায় আমি মুগ্ধ।
দোয়া করি আপনি ভালো থাকেন কোন কুনজর যেনো আপনার দিকে না পরে।
আসলে আমরা তো দেশে বন্দি হয়ে আছি তাই খুব অপরাধি মনে করি নিজেদের।

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১:২৬

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: 'কু নজর'----- হাসলাম! আমি আসলে এভাবেই লেখি। আশা করি কারো কুনজর পড়বে না!! সত্য যা মনে করি তাই লেখি। রাজনীতি করি না বলে কোন নেতা/নেত্রীর আদর্শের ছায়াতলে আমি নই! এজন্য মুক্ত মনে লেখি।
খুব সুন্দর মন্তব্য করেছেন, এজন্য ধন্যবাদ কলি আপা। অনেক শুভ কামনা আপনার জন্য।

১১| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৪

তারেক ফাহিম বলেছেন: সিনেমার মত একেটার পর একেকটা অাপডেট।

নতুন ঘটনা উপস্থিত হলে পুরান ঘটনা কেউ মনেই রাখে না :(

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১:২৯

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: একদম ঠিক। আসলে মানুষকে দোষ দিয়েও লাভ নেই। আইনের সুবিচার থাকলে কথাটি উঠতো না। ধন্যবাদ, ফাহিম ভাই।

১২| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৩:১০

অনন্য দায়িত্বশীল আমি বলেছেন: অনেক চমৎকার একটি লেখা। পড়ে অনেক মুগ্ধ হয়েছি।

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৩

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: কৃতজ্ঞতাচিত্তে ধন্যবাদ। পড়ে কষ্ট করে মন্তব্য করেছেন। ভাল থাকবেন।

১৩| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৪

আল আমিন সেতু বলেছেন: আপনার প্রবন্ধের সাথে একমত পোষণ করছি। আপনার গুগল থেকে আনীত ফটোগুলো খুবই প্রাসঙ্গিক মনে হয়েছে। আর আপনি খুব সাহসী মানুষ ,মন্ত্রীর মুখের উপর কথাটি বলে দিয়েছিলেন। ধন্যবাদ।

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৩

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: কৃতজ্ঞতাচিত্তে ধন্যবাদ সেতু ভাই। হ্যা, ঠিকই বলেছেন। দেশে হলো মন্ত্রীর পিএসের কাছেও যেতে পারতাম না। সবচেয়ে অবাক লেগেছে উনার স্ত্রী দেশের প্রথম সারির একজন মানবাধিকার নেত্রী। আর তলে তলে এত্তো। আসলে এরা মুখোশধারী।

১৪| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৩:৫২

মাআইপা বলেছেন: “ঘুষ দুর্ণীতি করতেও যোগ্যতা লাগে, যা তার বাবা সচিব হয়ে অর্জন করেছেন! ” আহা কি মধুর বাণী শুনিলাম, কিছুই বলার নাই কারণ “আমরা হচ্ছি অতি সুবিধাভোগী, বিবেকহীন, দেশপ্রেমহীণ, কালো টাকার মালিক একটি সমাজের অচল পয়সা মাত্র।।”
ভাল হয়েছে লেখা। শুভ কামনা রইল।

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৮

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: ভাইজান, শুভেচ্ছা রইল। আমার প্রিয় কয়েকটি লাইন পয়েন্ট আউট করেছেন, এজন্য ধন্যবাদ। পড়ে ভাল লেগেছে জেনে প্রীত হলাম। আরেকটি কথা, আপনার নামের সাথে প্রফাইল পিকটাও কিন্তু চমৎকার।

১৫| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৩:৫২

আল আমিন সেতু বলেছেন: আপনি ওদের মুখোশ খুলে ফেলতে থাকুন। এরকম দুর্বার গতিতে লিখে যান।

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৪:০২

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: সেতু ভাই আমি এভাবেই লেখি। আর একজন লেখকের দায়িত্ব হলো সত্যকে অকপটে বলা। সমাজে মুখোশধারীদের মুখোশ উম্মোচন করা। এটা লেখকদের দায়বদ্ধতা। দোয়া করবেন আমার জন্য।

১৬| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৪:০৩

ইব্‌রাহীম আই কে বলেছেন: কোটিপতি হওয়ার যে কয়েকটা পন্থার কথা উল্যেখ করেছেন এই প্রসঙ্গে একটা কথা বলতে হয়ঃ প্রাচীনকালে একটা সাম্রাজ্যের পতন হলে বিজয়ী দল যেভাবে লুটতরাজ করে বাংলাদেশকে এখন সবায় সেইরকম পতিত ভুমি মনে করতেছে। আর উনারা সবায় বিজয়ীরূপে যে যেভাবেই পারতেছে লুট করতেছে। আর সাধারণ জনগণের সাথে দাসের মতো ব্যবহার করতেছে।

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৪:০৯

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: ইবরাহীম ভাই, একদম সত্যি বলেছেন। আমরা শত শত বছর পরেও লুটেরা তকমা থেকে বেরিয়ে আসতে পারলাম না। কারণ, আমরা হিপোক্রেট। হিপোক্রেটরা হিটলারের চেয়েও ভয়ঙ্কর। শুভ কামনা আপনার জন্য।

১৭| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৫

মিথী_মারজান বলেছেন: ক্ষোভ, আক্ষেপ, হতাশা এবং বর্তমান প্রেক্ষাপটের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ মেশানো খুব সুন্দর এক সমালোচনা।
পড়লাম, বুঝলাম এবং একমত, তারপরও এড়িয়ে যাবো এসব।
কারণ আমরা সবাই আপনার বর্ণনার মতই একেকজন অসহায়, বিবেকহীন, ভীরু, অচল পয়সা।

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৬

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, আপনাকে। কষ্ট করে পড়ে মন্তব্য করেছে এজন্য প্রীত হলাম। আমরা চরম হিপোক্রেট একটা সমাজের মানুষ। এতো খাই খাই করি, খাইও চেটেপুটে তারপরও খিদে মিটে না। কারণ আমরা এখনো মানুষ হইনি বলে।

১৮| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৫

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: আপনার কথায় যুক্তি আছে, রাজীব ভাই। তবে আমরা চাই বিতর্কের মাত্রাটা কমুক। অন্তত নিজেদের দায়িত্ববোধের ক্ষেত্রে। দেশ সেবার ক্ষেত্রে। আর লোভটা যাতে অন্যের সম্পদে না থাকে। নিজের যা আছে তা নিয়েই সুখে থাকার চেষ্টা করতে হবে।


সুন্দর মন্তব্যের জবাব দিয়েছেন।

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২১

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, প্রিয় রাজীব ভাই।

১৯| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৫

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: একটা গল্প লিখেছি, আপনার মতামত একান্ত কাম্য বড় ভাই
শহুরে গাছ

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২১

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: এখই পড়ছি।

২০| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৮:০৫

জুন বলেছেন: মিথী_মারজান বলেছেন
আমরা সবাই আপনার বর্ণনার মতই একেকজন অসহায়, বিবেকহীন, ভীরু, অচল পয়সা।
নিষ্ঠুর সত্য কাউসার চৌধুরী । আপনি লিখেন আমরা পড়বো ।
+

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৮:১১

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: খুশি হলাম আপনার চমৎকার মন্তব্য পড়ে। আপনাদের আশীর্বাদ আমাকে আরো ভাল লেখতে প্রেরণা দেয়। আপনার জন্য শুভ কামনা রইল। সাথে কৃতজ্ঞতা।

২১| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৮:১৪

সনেট কবি বলেছেন: দারুন লিখেছেন।

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৮:২২

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ, স্যার। শুভ কামনা আপনার জন্য।

২২| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৮:২০

আহমেদ জী এস বলেছেন: কাওসার চৌধুরী ,



চমৎকার সত্যটি তুলে ধরেছেন ।

আমরা আসলেই অতি স্বার্থান্বেষী, বিবেকহীন , দেশপ্রেমহীন আহাম্মক একটা প্রজাতি । বারবার নিজের মাথাটি পেতে দিচ্ছি যাতে আরেকজন এসে কাঠাল ভেঙে খেয়ে যেতে পারে । ন্যাড়া একবারই বেলতলা যায় , আমরা যাই বারবার ।

৩নং প্রতিমন্তব্যে লিখেছেন - " ইলেকশন আসলে ভোটের গণতন্ত্র নামক রাজতন্ত্রের অংশীদার হতে চাই না বলে ভোট দেই না। এ নাগরিক অধিকার আমার কাছে মূল্যহীন।" এটা আপনার-আমার কোনও মৌলিক অধিকারই নয় । সাথের লিংকটি মনে হয় আপনার কথাকেই সমর্থন করতে পারে , হয়তো মুখোশের নীচে মাটিচাপা বিবেককে দংশাতেও পারে ------ভোট : ইফ দ্য কান্ট্রি ইজ দ্য আনসার, হোয়াট ইজ দ্য কোয়েশ্চেন ?

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৮:৩৩

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: প্রথমে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি আপনার মতো উচু মানের একজন মানুষের সাথে পরিচিত হতে পেরেছি বলে। আপনি (৩) নম্বর উত্তরটা কোটেশন করার জন্য ধন্যবাদ। এই কথাটি আমার মতো দেশের খেটে খাওয়া মানুষগুলো বুঝতে পারলে ভোটের অধিকার নিয়ে, সুষ্টু ভোটের আয়োজন নিয়ে মাথা ঘামাত না। কথাটি নির্মম হলেও চরম সত্য। এ ভোটের ফলে দেশে নতুন করে ৩০০ লুটেরা জন্ম নেয়। দেশ মাতৃকার তাজা রক্ত চুষে খাওয়ার লাইসেন্স পায় পাঁচ বছরের জন্য। আমি এ মাতৃ হত্যাকারীদের সহযোগী হতে পারি না। কখনো না।

অনেক অনেক শুভ কামনা আপনার জন্য।

২৩| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১০:১৭

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: চমৎকার একটা পোস্ট।

সবচেয়ে ভালো লাগলো, প্রাক্তন মন্ত্রীকে করা আপনার প্রশ্ন এবং তার সলজ্জ নীরবতা। আরেকটি প্রশ্ন করতে পারতেন- মন্ত্রী হয়ে তিনি মোট কী পরিমাণ কামাইয়াছিলেন। আমাদের দেশে ঘুষ চাওয়া ও দেওয়া, দুর্নীতি হলো মজ্জাগত। একটা নিম্নস্তরের চাকরি পেতে গেলেও আপনাকে লাখ পাঁচেক টাকা দিতে হবে। যে টাকা দিয়ে চাকরি পেল, সে চাকরিতে ঢুকেই দ্রুততম সময়ে অসৎ পথে মূলধন তুলে আনতে দুর্নীতিগ্রস্ত হয়ে পড়ে। এগুলো ফেরাবে কারা? যারা ফেরাবে তারা তো স্পিড মানি পকেটে তুলেই বর্তমান অবস্থানে উঠে এসেছে।

যে-সচিব মহোদয়ের ছেলে বাবার ঘুষের টাকায় লজ্জিত অনুতপ্ত না হয়ে গর্বের সাথে যোগ্যতার কথা বলেছিল, তাকে পা থেকে জুতা খুলে পটাশ পটাশ করে গালে মারা দরকার ছিল।

রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতি থেকে আমরা মুক্তি পাব- এমন কোনো আশার আলো দেখি না। একমাত্র পরওয়ারদেগার একটা নূহের প্লাবনে সব ভাষাইয়া নিয়া ধুইয়া মুইছা সাফ কইরা নতুন বাংলাদেশ গড়ার তৌফিক দান করিতে পারেন।

আপনার ফিচার লেখার হাত অসাধারণ। অনুসরণে নিলাম।

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১১:২৪

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, প্রিয় খলিল মাহমুদ সাহেব। হ্যা, আরো কয়েকটি প্রশ্ন করেছিলাম। কিন্তু মন্ত্রী মশাইকে সবাই চিনে ফেলবে তাই ফিচারে লেখিনি। এখানে উল্লেখ করা প্রশ্নটি হলো তৃতীয়।

প্রথম প্রশ্ন, আপনি মন্ত্রী থাকা অবস্থায় শুনেছি প্রতিটি সিএনজি অটোরিক্সা রেজিস্ট্রি করা বাবদ ৫০,০০০ টাকা করে নিতেন। মানুষ এখন ভাববে এই কমিশনের টাকায় লন্ডনে বাড়ি কিনছেন?
উত্তর:- এসব অপপ্রচার। আমাকে দুর্ণীতি কখনো স্পর্শ করেনি। সবাই জানে আমাদের পারিবারিক সম্পদ আছে। আমি আইনজীবী হিসাবে এ টাকা আয় করেছি!!
দ্বিতীয় প্রশ্ন, হাওয়া ভবন সম্বন্ধে আপনার মূল্যায়ন কী?
উত্তর:- দেখুন হাওয়া ভবন নিয়ে আমরাও কিছু অভিযোগ শুনেছিলাম। কিন্তু এগুলোর কোন সত্যতা ছিল না। তবে ওয়ান ইলেভেনে এর কিছু সত্যতা পেয়েছি বলে এখন নতু দল করেছি। হাওয়া ভবনের ব্যাপারে ম্যাডাম কোন একশন না নেওয়ায় বিরক্ত হয়ে এখন দলত্যাগ করছি। আমার নতুন দলে দুর্নীতির কোন স্থান নেই।।

আশা করি শানে নজুল বুঝতে পেরেছেন।।

২৪| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১১:১০

শাহিন-৯৯ বলেছেন: দেশে থেকে মন্ত্রীকে বা সচিবের ছেলেকে ঐ প্রশ্নগুলো করলে আজ হয়তো আপনি লেখার মত অবস্থায় থাকতেন না।

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১১:২৭

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: ঠিক বলেছেন। আসলে আমি এমনই। চাটুকার নই বলে ব্যক্তিত্বটা টিকিয়ে রাখি সর্বদা। দেশে থাকলে এ প্রশ্ন করতে পারতাম। পরে যাই হোক, এটা নিয়ে ভাবতাম না।

২৫| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৩:০২

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: দারুণ বলেছেন, ভালো লাগলো আপনার কথাগুলো।
সুন্দর পোষ্ট।

আমাদের দেশটা যদি দুর্নীতি মুক্ত হতে পারতো ....!!

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৩:১৪

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: হবে না। শুধু মানুষ হতেই আমাদের কয়েক শতক লেগে যাবে। তারপর মুখোশ খুলতে লাগবে আরো অনেক বছর। তবে আশা তো করাই যায়। স্বপ্ন দেখার মত আশা করতে পয়সা লাগে না।

২৬| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৩:২৬

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমাদের এক হওয়া দরকার, দেশপ্রেম দরকার আমাদের।

সম্পদের যথাযথ হিসাব ও নির্দিষ্ট সীমারেখা রাখার ব্যবস্থা দরকার।

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৩:৪০

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: খুবই সত্যি কথা, নয়ন ভাই। সহমত আপনার সাথে।

২৭| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১১:০২

ওসেল মাহমুদ বলেছেন: আমার মনের কথা গুলো বলেছেন ! প্রিয়তে রাখলাম !

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ২:৩৬

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ, মাহমুদ ভাই। আসলে চারিদিকের অবস্থা দেখে কষ্ট পাই, তাই লেখি। ভাল থাকবেন। শুভ কামনা আপনার জন্য।

২৮| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১১:০৪

নীলপরি বলেছেন: ভালো লিখেছেন । ২৬ নং মন্তব্যের সাথে একমত ।

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ২:৪১

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: শুভেচ্ছা রইলো। আমি চাইলে লেখে দিতে পারি, উত্তর ২৬ নং মন্তব্যে দেখুন!!! আমি কিন্তু তা করবো না। কষ্ট করে লেখাটি পড়ে মন্তব্য করেছেন। আপনার নীল পরী ও তার গোল্ডেন কেশটা কিন্তু দারুণ। শুভ কামনা আপনার জন্য।

একটু দুষ্টুমি করলাম।

২৯| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৭

মোহনা সেতু বলেছেন: আমাদের দেশে প্রতিনিয়ত ইস্যুর ভীড়ে ইস্যু চাপা পরে!

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৫:১৬

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: পরিচিত হলাম, এজন্য শুভেচ্ছা। কথাটি একদম সঠিক। তবে ন্যায় বিচার থাকলে এতো কথা উঠতো না।

৩০| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৪:১৩

নিয়াজফাব বলেছেন: সবচেয়ে খারাপ লাগে যখন অন্যায় করে সেটাকে অন্যায় ভাবে না

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৪:৩০

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: হ্যা, ঠিক বলেছেন। অন্যায়কারী অন্যায়টা বুঝলেও তা স্বীকার করে না।

৩১| ০১ লা মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৭

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
সময়োপযোগী, ভিন্নধারার চমৎকার প্রবন্ধের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ চৌধুরী ভাই,
যে দেশের মন্ত্রীরা ঘুষ খাওয়াকে অন্যায় মনে করেনা, অপরাধ প্রমানিত হলে গ্রেফতার
করতে পারমিশন দরকার হয়, শাস্তি দিতে গেলে চিৎকার চেচামেচি করে আমলা,কর্মচারীরা
সে দেশের উন্নয়ন সূদুর পরাহত। বিবেকতো মাটি চাঁপা পড়বেই।

০১ লা মে, ২০১৮ রাত ৮:৪২

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: লেখাটি পড়ার জন্য কৃতজ্ঞ। আপনি গুণীজন আপনাদের দেখানো পথেই হাঁটার চেষ্টা করছি। আপনার কোন লেখা পড়তে মিস করি না। প্রতিটা লেখাই যুগোপযোগী ও গুরুত্বপূর্ণ। অনুপ্রেরণা দেওয়ার জন্য ভাল লাগল।

ভাল থাকবেন, সব সময়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.