নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জন্মসূত্রে মানব গোত্রভূক্ত; এজন্য প্রতিনিয়ত \'মানুষ\' হওয়ার প্রচেষ্টা। \'কাকতাড়ুয়ার ভাস্কর্য\', \'বায়স্কোপ\', \'পুতুলনাচ\' এবং অনুবাদ গল্পের \'নেকলেস\' বইয়ের কারিগর।

কাওসার চৌধুরী

প্রবন্ধ ও ফিচার লেখতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। পাশাপাশি গল্প, অনুবাদ, কবিতা ও রম্য লেখি। আমি আশাবাদী মানুষ।

কাওসার চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

সংবাদ সম্মেলন বনাম পদলেহন (ফিচার)

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৮ ভোর ৫:৫২


থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী প্রয়ুত চান অচাহ্ (Prayut Chan Ocha) একবার সংবাদ সম্মেলনে নিজের কাট আউট (সমান উচ্চতার নিজের একটি ছবি, যার বাড়তি অংশ কাটা) নিয়ে হাজির হয়েছিলেন। সেদিন 'শিশু দিবস' উপলক্ষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন তিনি। উল্লখ্য যে, ১০১৪ সালে রক্তহীন এক অভ্যূত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতায় বসেছিলেন প্রয়ুত। তিনি ছিলেন থাইল্যান্ডের সেনা প্রধান। সেসময় নির্বাচনের অঙ্গীকার নিয়ে ক্ষমতায় এলেও বিভিন্ন অজুহাতে সময় নিচ্ছিলেন তিনি। এজন্য তখন রাজনীতি ও নির্বাচন নিয়ে সাংবাদিকদের যেকোন প্রশ্ন এড়িয়ে যেতেন।

ফলে সেদিন নির্দিষ্ট বিষয় নিয়ে কথা বলার পর তিনি মাইক্রোফোনের সামনে কাট আউট দাঁড় করিয়ে দিয়েছিলেন যাতে সাংবাদিকরা অন্য কোন বিষয়ে প্রশ্ন করতে না পারেন। প্রধানমন্ত্রীর এ আচরণে সাংবাদিকদের মধ্যে প্রচুর হাস্য রসের জন্ম দেয়। সবাই ব্যাপারটি বেশ উপভোগ করেন।

সংবাদ সম্মেলন ও সাংবাদিক সম্মেলন দু'টি ভিন্ন ধারণা। সংবাদ সম্মেলনকে সাংবাদিক সম্মেলন বলা গুরুতর ভুল। অথচ হরহামেশা আমাদের দেশে ধারণা দু'টির অপপ্রয়োগ হয়। কোন কোন সময় টিভি, রেডিওতেও সংবাদ সম্মেলনকে সাংবাদিক সম্মেলন হিসাবে প্রচার করা হয়। অনেক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান তাদের ব্যানারে ভুলক্রমে 'সাংবাদিক সম্মেলন' লেখে সংবাদ সম্মেলন করে থাকেন।

যদি কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্টান কোন বিষয় সম্বন্ধে বলার জন্য বা প্রচার করার উদ্দেশ্যে সাংবাদিকদের ডেকে বিষয়টি উপস্থাপন করেন এবং সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন তাহলে তা 'সংবাদ সম্মেলন'। আবার যদি কোন সাংবাদিক সংগঠন বা সাংবাদিকরা একটি জায়গায় জমায়েত হয়ে নিজেদের মধ্যে আলাচনা করেন বা কোন দাবী উত্থাপন করেন তবে তা 'সাংবাদিক সম্মেলন'।


আমেরিকার হোয়াইট হাউসের প্রেস ব্রিফিং সম্বন্ধে আমরা সবাই কমিবেশি জানি। প্রেসিডেন্টের যেকোন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত, আন্তর্জাতিক যে কোন ইস্যু এবং দেশের অভ্যন্তরীন অনেক বিষয় নিয়ে হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি প্রতিনিয়ত সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেন এবং তাদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। ১৯২৯ সালের ৪ মার্চ হোয়াইট হাউসে এটি চালু করা হয়। প্রথম প্রেস সেক্রেটারি ছিলেন জর্জ একার্সন।

পৃথিবীর সবচেয়ে ক্ষমতাধর দেশটির এসব ব্রিফিং কভার করতে সারা বিশ্বের নামকরা প্রেস ও ইলেক্ট্রোনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকরা হুমড়ি খেয়ে পড়েন যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের মনোভাব ও সিদ্বান্ত জানতে। অনেক সময় তা বিশ্ব মিডিয়ায় লাইভ হয়। এ প্রেস ব্রিফিং আবার 'সংবাদ সম্মেলন' ও 'সাংবাদিক সম্মেলন' এর একটু ব্যতিক্রম। যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের মতবাদ ও সিদ্ধান্ত জানাতে হোয়াইট হাউজ অফিসিয়ালি এটি আয়োজন করে। এমন প্রথা বিশ্বের আরো অনেক দেশে আছে। কোন কোন দেশে সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মূখপাত্র এটি করে থাকেন।

বারাক ওবামা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট থাকাকালীল হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি রবার্ট গিবসকে নিয়ে একটি মজার তথ্য আছে। একবার বাস্টনে আমেরিকার ন্যাশনাল কংগ্রেসে যোগ দিতে বারাক ওবামা গিয়েছিলেন। সাথে ছিলেন রবার্ট গিবসও। কংগ্রেস শুরু হওয়ার আগে ওবামা যখন প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, তখন টাই নিয়ে সমস্যায় পড়েন। সাথে থাকা চার পাঁচটি টাইয়ের কোনটিই পোষাকের সাথে মানানসই হচ্ছিল না। তার স্ত্রী মিশেলেরও টাই গুলো পছন্দ হচ্ছিল না। এদিকে সময় মাত্র দশ মিনিট বাকি, তখন কেউ একজন প্রেস সেক্রেটারি রবার্ট গিবসের পরা টাইয়ের দিকে ইঙ্গিত করলে ওবামার এটি পছন্দ হয়ে যায়। অনেকটা বাধ্য হয়ে বেচারা গিবস টাইটি খুলে দিয়ে ওবামার একটি টাই পরলেন।

কিন্তু অনুষ্ঠান শেষে ওবামা টাই-টি ফেরত দিতে বেমালুম ভুলে গেলেন। দিন যায় মাস যায় গিবসের টাই তো ফেরত আসে না, তিনিও চক্ষু লজ্জার ভয়ে প্রেসিডেন্টকেও কিছু বলেননি। বছরখানেক পরে একদিন হোয়াইট হাউসে গিবসের প্রেস ব্রিফিং চলাকালে প্রেসিডেন্ট ওবামা সবাইকে অবাক করে দিয়ে টাই-টি তাকে ফেরত দেন এবং সাংবাদিকদের সাথে বিষয়টি শেয়ার করেন। এ সময় মজা করে গিবসকে বলেন আমি তোমার টাই-টি অন রেকর্ড সাংবাদিকদের সামনে ফেরত দিলাম, আশা করি এটি ফেরত পাওনি বলে ভবিষ্যতে কোনদিন অভিযোগ করবে না।


রামপাল কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে কয়েক মাস আগে টিভিতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর একটি সংবাদ সম্মেলন দেখলাম। এ প্রকল্পের বিষয়ে অনেক বিরোধীতা হওয়ায় এবং মানুষের মধ্যে পরিবেশ বিপর্যয়ের আশংকা থাকায় সংবাদ সম্মেলনটি খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আমার মত অনেকেই টিভিতে প্রকল্পটি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য শুনতে এবং সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর কিভাবে প্রধানমন্ত্রী দেন তা জানতে উদগ্রীব ছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের শেষে যখন সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেয়ার পালা আসল তখন অবাক হয়ে দেখলাম কোথায় তারা প্রশ্ন করবেন, তা না করে শুরু করলেন প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা ও চাটুকারিতা।

কিভাবে উনাকে খুশি করা যায়, কে কার চেয়ে বেশি গুছিয়ে তেল মারতে পারেন তার প্রতিযোগিতা। সংবাদ সম্মেলন নয়, যেন দলীয় কর্মী সভা। একজন সাংবাদিক একটু সাহস করে কিছু একটা জানতে চেয়েছিলেন, উনার এই উদ্যোত আচরণের জন্য জুটল সহকর্মী সাংবাদিকদের কাছ থেকে তিরস্কার। এ ধরণের সংবাদ সম্মেলনকে কি বলা যায় শুধু সাংবাদিকরা ভাল বলতে পারবেন।

আমাদের দেশে কথায় কথায় শুধু সংবাদ সম্মেলন হয়। শুধু যে ভাল উদ্দেশ্যে এর আয়োজন তা কিন্তু নয়। কেউ জমি দখল করে সংবাদ সম্মেলন করে নিজের মালিকানা দাবী করে। কেই খুন করেও বাঁচার জন্য সংবাদ সম্মেলন করে। কেউ নিজের ঢোল নিজে পেটানোর জন্য সংবাদ সম্মেলন করে। কেউ হাজবেন্ড/ওয়াইফ ফিরে পাওয়ার জন্য সংবাদ সম্মেলন করে। কেউ অন্য ব্যক্তি বা দলের বদনাম করতে সংবাদ সম্মেলন করে ইত্যাদি।

স্পোর্টস কনফারেন্সগুলো সবচেয়ে জমজমাট হয়। গুরুত্বপূর্ণ কোন ম্যাচের আগে ও পরে সংবাদ সম্মেলন অনেকটা বাধ্যতামূলক। এ সময় দলের ম্যানেজার ও অধিনায়ক ম্যাচ নিয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। কোন কোন সময় সাংবাদিকদের বুদ্ধিদীপ্ত ও তীর্যক প্রশ্ন তাদের বেকায়দায় ফেলে দেয়। এজন্য সতর্কতার সাথে প্রশ্নগুলো সামাল দিতে হয় তাদের। কয়েকমাস আগে বাংলাদেশের জনপ্রিয় ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের সংবাদ সম্মেলনে একজন সাংবাদিক খেলার ফলাফলে শিশিরের প্রভাব নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেছিলেন, আপনি যদি পরিকল্পনা মাফিক খেলতে পারেন তাহলে ম্যাচ জিততে শিশির কোন প্রভাব ফেলবে না! উল্লেখ্য সাকিবের বউয়ের নাম শিশির।


বিখ্যাত পর্তুগীজ ফুটবল ম্যানেজার জোসে মরিনহো সংবাদ সম্মেলনে হাস্য কৌতুক করতে খুব পছন্দ করেন। একদিন দলের রক্ষণাত্মক টেকটিস নিয়ে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে বলেছিলেন, ফুটবল হল গোলের খেলা। দিনের শেষে সবাই জিততে চায়। নিজের চাকরি বাঁচাতে, দলকে চ্যম্পিয়ন করতে এর কোন বিকল্প নেই। সুন্দর ফুটবল খেলে হেরে যাওয়া আর সুন্দরী প্রেমিকার পেছনে ঘুরতে ঘুরতে না পাওয়ার বেদনার মধ্যে কোন পার্থক্য নেই।

নিজেদের পণ্য ও সেবার প্রচার, এমনকি নিজের পরিচিতির জন্য অনেকে প্রেস রিলিজ বা সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে থাকেন। এটা অনেকটা বিজ্ঞাপনের কাজ করে। এজন্য বর্তমানে এটি খুব জনপ্রিয় ও কার্যকরী। তবে জনপ্রিয় পত্রিকাগুলো বেশিরভাগ সময় প্রেস রিলিজ থেকে নিউজ করেনা। তবে জনসার্থে ও গুরুত্বপূর্ণ কিছু হলে অনেক সময় পত্রিকায় ছাপায়। সেক্ষেত্রে সূত্র হিসাবে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি উল্লেখ করতে হয়।

ইতিহাস ঘেটে যতটুকু জানা যায়, আমরা বাঙালিরা কখনো নিজ ভূমিতে স্বাধীন ছিলাম না। খৃষ্টপূর্বে আমরা দ্রাবিড় ও তিব্বতীয়-বর্মী জনগোষ্ঠী দ্বারা শাসিত-শোষিত হয়েছি। তারপর বারশো শতাব্দী পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে চলে আর্য, গুপ্ত, শশাঙ্ক, পাল ও সেন বংশের রাজত্ব। বারশো শতাব্দী থেকে আঠারো'শো শতাব্দী পর্যন্ত চলে সুলতানি ও মোঘল শাসন। তারপর শোষিত হই যথাক্রমে ব্রিটিশ, ভারতীয় ও পাকিস্তানীদের দ্বারা। স্বাধীন ছিলাম না বলে বাঙালিরা কখনো নিজ ভূমিতে শাসক হতে পারেনি। এজন্য ঐতিহাসিক ভাবে আমরা চাটুকার ও ক্ষমতাবানদের গোলাম হিসাবে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করেছি। ফলশ্রুতিতে এ শতাব্দীতে এসেও আমাদের আত্মমর্যাদা ও ব্যক্তিত্বে মারাত্মক ঘাটতি আছে। যার ফলে এখনো ক্ষমতাবানদের রাজা/রাণীর চেয়েও বেশি পূজা করে বঙ্গ সন্তানরা।।



ফটো ক্রেডিট,
গুগল।

মন্তব্য ৩০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৩০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৮ ভোর ৬:৩৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


হোয়াইট হাইজের ও বাংলাদেশের গণভবনের সংবাদ সন্মেলন একই লেভেলের হওয়ার কথা নয়, বাংগালীরা আমেরিকান নয়।

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৮ ভোর ৬:৪৪

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: শ্রদ্ধেয় স্যার, এক নয় কথাটি ধ্রুব সত্য। তাই বলে সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নের পরিবর্তে চাটুকারীতা? সংবাদ সম্মেলন তো প্রশ্ন করার জন্য পদলেহনের জন্য নয়! আশা করি এ বিষয়ে আমার সাথে একমত।

২| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৮ ভোর ৬:৫৯

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: শ্রীলঙ্কায় বলা হত মিডিয়া ব্রিফিং।

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৭:০২

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: তথ্যটা জানা ছিল না। জানলাম এখন। শুভ সকাল, প্রিয় সাজ্জাদ ভাই।

৩| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৮:১৪

সোহাগ তানভীর সাকিব বলেছেন: আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের সংবাদ সম্মেলন আর বাংলাদেশের সংবাদ সম্মেলন আকাশ পাতাল ফারাক। আমাদের দেশে যাদের সবচেয়ে বেশি সংবাদ সম্মেলন করতে দেখা যায় তাদের মাঝে ক্যামেরা প্রীতি লক্ষ্যণীয়। আর নেতারা তো বস্তিতে যদি সমান্য বস্ত্র বিতরণও করতে যায়, টিভি ক্যামেরা না আসা পর্যন্ত কাজ শুরু করে না।
একমাত্র আমাদের দেশে-ই চার দেয়ালের বাহিরে রাস্তা-ঘাট এমন কি হাঁটু পানিতে দাঁড়িয়েও সংবাদ সম্মেলন করতে দেখেছি।

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ২:১০

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: আমরা পৃথিবীর বিরলতম জাতির মধ্যে অন্যতম। আর বেশি দিন বাকী নেই, বাঙালিরা বাসর ঘরের অনুভূতি প্রকাশ করতে সকাল বেলা ফরজ গোসলের আগে সংবাদ সম্মেলন করবে। নিজের ফকফকা অনুভূতির সাথে প্রিয়তমার অনুভূতিও জানাবে। কারণ এসব বিষয়ে জানতে ও শুনতে আমরা বড্ড আরাম পাই। আর সেলিভ্রেটি হলে টিভিতে লাইভ হওয়াটাও অসম্ভব নয়!

৪| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৯:২৯

তাওহিদ হিমু বলেছেন: "ঐতিহাসিক ভাবে আমরা চাটুকার ও ক্ষমতাবানদের গোলাম হিসাবে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করেছি। ফলশ্রুতিতে এ শতাব্দীতে এসেও আমাদের আত্মমর্যাদা ও ব্যক্তিত্বে মারাত্মক ঘাটতি আছে। যার ফলে এখনো ক্ষমতাবানদের রাজা/রাণীর চেয়েও বেশি পূজা করে বঙ্গসন্তানরা।"
একদম একমত। খুব সত্য কথা বলেছেন।

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ২:১৫

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: তাওহিদ ভাই, শুভেচ্ছা। আপনি আমার প্রিয় কয়েকটি লাইন কোটেশন করেছেন। আমাদের অতি চাটুকারিতার বিষয়টি নিয়ে ভাবতে গিয়ে জিনিসটা খেয়াল করলাম। নেতৃত্বের ইতিহাস রক্তে না থাকলে নেতা হওয়া যায় না। এজন্য এখনো আমরা মেরুদন্ডহীন।

৫| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:৫৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সুপ্রভাত কাওসার ভাই।ভাল লাগলো আপনার বারাক ওবামা ও গিবসের টাই দেওয়া, পরে আবার সুযোগমত ফেরৎও দেওয়া।আবার পর্তুগাল দলের ম্যানেজার মারিনহোর রসবোধযুক্ত উক্তিতেও মজা পেলাম।পেলামনা মজা আমাদের আত্ম সমালোচনায়া।কী আর করবো পূর্বপুরুষের মূল্যবোধ বলে কথা!

শুভেচ্ছা নিয়েন।

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ২:২১

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ, পদাতিক ভাই। আমরা বাঙালিয়ানা ঠিকিয়ে রাখার জন্য কতো ইতিহাসপ্রেমী হই। বাঙালি পরিচয় দেই। অথচ দেখেন, চাটুকারিতার মূল্যবোধটা ঠিকই বুকে লালন করি নিজেদের অজান্তে। এখন বছর একটা দিন নির্ধারণ করা হোক 'চাটুকার উৎসব' হিসাবে! দিনটিতে সরকারি ছুটি থাকলে ভাল হয়!!

৬| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১১:২৬

মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন:

"সাংবাদিকরা আসলেই সুবিধাবাদী, পাচাটা, একচোখা। হুদাই ৫৭, ৫৭,৩২ ধারা বলে হাউকাউ করে।"X(

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ২:২২

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: নিজাম ভাই, ঠিকই বলেছেন। গত কোটা আন্দোলনই তার বড় প্রমাণ।

৭| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১১:৩৭

শাহিন-৯৯ বলেছেন:


অসাধরণ লেখা। হোসে মরিনহো আমার খুব প্রিয় একজন ম্যানেজার।
আসলে আমরা ঐতিহ্যগতভাবে পা চাটুয়া জাতি।

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ২:২৫

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: পা চাটুয়া কথাটি মনে ধরেছে। আসুন আমরা পূর্বপূরুষদের এ ঐতিহ্য নিজেদের মধ্যে লালন করি, পালন করি। আর পারলে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেই।

৮| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১২:০৯

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: ভালো পোষ্ট, সাংবাদিক সম্মেলন আর সংবাদ সম্মেলন সম্পর্কে পুরোপুরিভাবে একটা ধারণা পেলাম যা আগে জানতাম না।

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ২:২৭

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: নয়ন ভাই, হুম ঠিক বলেছেন। এখনো অনেকে এগুলো একই সূতায় বেঁধে ফেলেন। যাক আমরা ঘন ঘন সংবাদ/সাংবাদিক সম্মেলন চাই না। শান্তি ও আইনের শাসন চাই।

৯| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১:২৮

রাজীব নুর বলেছেন: আমাদের দেশের সংবাদ সম্মেলনটা একটূ অন্যরকম।
সংবাদ সম্মেলনে কোনো মিডিয়াকে আনার জন্য 'কিছু' দিতে হয়। সংবাদ সম্মেলনের শেষে মিডিয়াকে খাওয়াতে হয় গিফট দিতে হয়। তা না হলে তারা সংবাদ প্রচার করে না।

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ২:৩৩

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: বিষয়টি নিয়ে আমিও ভাবছি। পরে লেখিনি। এই সেলামি পেয়ে, পেট পূজা করেও অনেকে সংবাদ ছাপায় না। কারণ কোন বিশেষ মহলের নিষেধাজ্ঞা থাকে। ক্ষমতাবানদের হুংকার থাকে। পত্রিকাওয়ালার ডাবল ইনকামের সুযোগও থাকে।
চিন্তুা করলে দেখবেন, এগুলোও সুক্ষ চাটুকারি মনোভাব ও পদলেহন সংস্কৃতির চুম্বক অংশ।

১০| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ২:৫৬

মাআইপা বলেছেন: আহা!!! আপনার লেখায় তো দেখি মধু আছে।
এক বাক্য থেকে অন্য বাক্যের ধারাবাহিকতা এবং বাক্যের গাঁথুনী আমার খুব ভাল লেগেছে। পোস্টে ব্যবহৃত ছবিগুলোরও একটা ধারাবাহিকতা লক্ষ করছি। খুব ভাল।
প্রথম পাতায় প্রকাশ হওয়া আপনার ৩টি লেখাই পড়া হয়েছে।
আসলে আমি একটা ব্লগের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ি। একটা ব্লগ পড়া চলছে। আর একটা ব্লগ হাতে আছে। এই দুটোর পর আপনার ব্লগ বাড়ীতে হানা দেব।
শুভ কামনা রইল।

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৩:০৭

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: কৃতজ্ঞচিত্তে ধন্যবাদ। আমি এভাবেই ফিচারগুলো লেখি। কারণ কঠিন বিষয়গুলো কঠিন করে লেখলে পাঠকের বুঝতে কষ্ট হয়। তাই চেষ্টা থাকে কঠিন কথাটি সহজ ভাবে বলার। ব্লগে আগের লেখাগুলো পড়লে আরো ভাল লাগবে আপনার। আর হ্যা, আমার গল্পগুলোতেও ভিন্নতা আছে। মার্চে ২২টা গল্প দিয়েছি।

অনেক শুভ কামনা আপনার জন্য।

১১| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৫:০৯

শামচুল হক বলেছেন: সংবাদ সম্মেলন নিয়ে সুন্দর একটি পোষ্ট উপহার দিয়েছেন।

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৫:১৩

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, সামচুল হক ভাই।

১২| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: কাওসার চৌধুরী ,




ভালো লিখেছেন ।
যাদের নিয়ে লিখেছেন আমাদের দেশের তারা কেউই আদতে সাংবাদিক নন ( সাংবাদিকতার অর্থে ) , এরা সংবাদ সংগ্রাহক মাত্র । একজন সাংবাদিককে হতে হয় ডিটেকটিভের মতো । অথচ এরা নিজেরা কেউই সংবাদের ভেতরের সংবাদ কি করে বের করতে হয় জানেই না । তাই সংবাদ সম্মেলনগুলোতে আপনি কোনও ক্ষুরধার প্রশ্ন করতে দেখবেন না কাউকে । আপনি যেমন লিখেছেন তেমনিই এরা তেলদেয়া মার্কা প্রশ্ন করে । কন্ট্রোভার্সিয়াল ইস্যুগুলিতে ( যেমন রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র ) আমি কখনও কোনও সাংবাদিককে দেখিনি তেমন একটি দু'টি প্রশ্ন করে খুঁচিয়ে সাপ বের করে আনতে পারে । কোনও রকম ঝুঁকি নিতেই চায়না এরা । হয়তো নিতে জানেও না ।

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৮:৩৯

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: শুভেচ্ছা নিবেন। আপনি আমার মনের কথাটি বলেছেন, স্যার। সংবাদ সংগ্রাহক ও সাংবাদিকের মধ্য অনেক পার্থক্য। ঠিক যেমন- প্রকৃত শিক্ষা আর সার্টিফিকেটের শিক্ষার মধ্যে পার্থক্য। সাংবাদিকদের নির্ভীক, নীতিবান, দক্ষ ও ডিটেকটিভ হতে হয়। খবরের পেছনের খবর খুঁজতে হয়। গুরুত্বপূর্ণ খবরগুলো নিয়ে এনালাইসিস করতে হয়, গভীর খেয়ালে স্টাডি করতে হয়। যা আমাদের দেশের সাংবাদিকদের মধ্যে এ প্রবণতা নেই। এজন্য হাতুড়ে সাংবাদিক হয় এরা।
সবচেয়ে অবাকের বিষয়, স্যার। অনেক ছেলে আছে ক্লাস টেন পর্যন্তও পড়েনি কিন্ত মানুষের কাছে সাংবাদিক হিসাবে পরিচয় দেয়। দশটা শব্দের বাক্য লেখলে কম করে হলেও তিনটি বানান ভুল হয়। এখন রাজনীতি ও সাংবাদিকতা হচ্ছে মহান দুইটি পেশা যাতে শিক্ষা ও ইথিকসের প্রয়োজন নেই।

(তবে দুই-চারজন ভাল মানের সাংবাদিকও আছেন। উনারা এতো সংখ্যালঘু যে মাইক্রোস্কোপ দিয়েও খুঁজে পাওয়া মুশকিল)।

১৩| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৯:৫০

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: আমাদের দেশে যেটা হয় সেটা হলো আকবরের সভা। তবে আমাদের সংবাদপত্রে অনেক ভালো ভালো সরকারের সমালোচনা তথা গঠনমূলক কলাম ছাপা হয় কিন্তু সেসব সাংবাদিককে আবার ঐসব সংবাদ সম্মেলনে যেতে দেয়া হয় না বা ঐসব প্রশ্ন করতে নিরুৎসাহিত করা হয় আগে থেকে...

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১০:২১

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: তবে যারা সংবাদপত্রে ভাল ভাল কলাম লেখেন উনাদের বেশিরভাগের পেশা সাংবাদিকতা নয়। বাকী যারা আছেন এদের বেশির ভাগের দলীয় লিংক আছে। যা লেখায় ফুটে উঠে। আর আপনার কথাও ঠিক মেরুদণ্ড ওয়ালা যে দুই চারজন আছেন উনাদের ইনবাইট করা হয় না।

১৪| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১১:৩৮

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: সংবাদ সম্মেলন হতে হবে এরকম। শেখ হাসিনার আমলে প্রশ্ন করবেন, ইনকিলাব, আমার দেশ-এর সাংবাদিক। আর খালেদা জিয়াকে প্রশ্ন করবেন, জনকন্ঠ, ভোরের কাগজের সাংবাদিক। তবেই না জমজমাট হবে। কিন্তু এখন তো সাংঘাতিক রা খালি "আপনার অপেক্ষায় বসে থাকি", আপনি এখন পীর, আপনি ছাড়া গতি নাই" টাইপ প্রশ্ন করে পুরো সংবাদ সম্মেলন প্রথাকে কলুষিত করছেন। বলা বাহুল্য এই ধারা বিএনপি আসলেও চলবে...

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১২:০০

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: চমৎকার আইডিয়া। এটা হতে পারে। তবে টিভি চ্যানেল নিয়ে কিছু বল্লেন না? বিশেষ করে একাত্তর টিভির মোজাম্মেল বাবু!!

১৫| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১:১৪

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: মোজাম্মেল বাবু তো মানুষ না, আওয়ামী লীগ...

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১:১৫

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: ভাই, ভয়ে ভয়ে বল্লাম!!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.