নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জন্মসূত্রে মানব গোত্রভূক্ত; এজন্য প্রতিনিয়ত \'মানুষ\' হওয়ার প্রচেষ্টা। \'কাকতাড়ুয়ার ভাস্কর্য\', \'বায়স্কোপ\', \'পুতুলনাচ\' এবং অনুবাদ গল্পের \'নেকলেস\' বইয়ের কারিগর।

কাওসার চৌধুরী

প্রবন্ধ ও ফিচার লেখতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। পাশাপাশি গল্প, অনুবাদ, কবিতা ও রম্য লেখি। আমি আশাবাদী মানুষ।

কাওসার চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

এডভারটাইজমেন্ট - বাঙালিরা নিজেরাই বিজ্ঞাপন (ফিচার)

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৩:৪৩


পৃথিবীর নামকরা সব ব্র্যান্ডের একটি করে নীতিবাক্য (slogan) থাকে। এগুলো এত চমৎকার ও বুদ্ধিদীপ্ত হয় যে, প্রায়ই এগুলোর অর্থ বা বিশেষণ বোঝা মুশকিল হয়ে পড়ে। আমি বিখ্যাত এসব কোম্পানীর নীতিবাক্য খুব ফলো করি। যেমন বিখ্যাত এ্যাপল (apple) কোম্পানীর বিজ্ঞাপন হল- 'Think Different' অর্থাৎ ভিন্ন ভাবনা; এইচএসবিসির (HSBC) 'The world's local bank' অর্থাৎ পৃথিবীর স্থানীয় ব্যাংক; ল'রিয়ালের (L'oreal) 'Because you are worth it' অর্থাৎ আপনি এটির মূল্য বুঝেন; সেইন্সবারির (Sainsbury's) 'Try somethjng better today' অর্থাৎ আজ ভাল কিছু ট্রাই করুন; ওয়ালমার্টের (Walmart) 'Always low prices' অর্থাৎ সর্বদা কম দাম; পেপসির (Pepsi) 'When there is no coke' অর্থাৎ যেখানে কোক নেই, সেখানে পেপসি।

লক্ষনীয় বিষয় হল এসব নীতিবাক্যে কোম্পানিগুলো সরাসরি ক্রেতাকে তাদের পণ্য ও সেবা গ্রহণ করতে বলেনি। এখানে ওয়ালমার্ট ও পেপসির বিজ্ঞাপন দু'টি আমার কাছে সবচেয়ে বুদ্ধিদীপ্ত মনে হয়েছে। পেপসি বলছে যেখানে কোক নেই সেখানে আমার পানীয় পান কর। প্রকারান্তে তারা কোকের শ্রেষ্ঠত্ব মেনে নিয়েছে। তবে কোকের পরে তারাই যে সবচেয়ে এগিয়ে এটা বুঝাতে চেয়েছে এখানে। অপরদিকে ওয়ালমার্ট আরেক ধাপ এগিয়ে। তাদের বিজ্ঞাপনের শাব্দিক অর্থ যা বুঝায় আসলে কোম্পানিটি তা বলেনি। মূলত পণ্যের ন্যায্য মূল্য ও সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে তাদের পণ্যের দাম এটা বুঝাতে এ বিজ্ঞাপন।

এসব কোম্পানি নিজেদেরকে সেরা বলে দাবী করেনি বা অন্য কোন কোম্পানীকেও ছোট করেনি। বরং কোন কোন ক্ষেত্রের অন্যের শ্রেষ্ঠত্ব মেনে নিয়েছে। এতে কিন্তু তারা ব্যবসায়িক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি, বরং লাভবান হয়েছে। তাঁরা নিজেদের পণ্য ও সেবার মান বাড়িয়ে অন্য কোম্পানিকে টেক্কা দেওয়ার চেষ্টা করেছে, ক্রেতাদের সন্তুষ্টি অর্জন করেছে। এসব কোম্পানী জানে মিথ্যা বিজ্ঞাপন দিয়ে, ধোকাবাজি করে, নিজেকে সেরা প্রচার করে হয়তো সাময়িক সুবিধা পাওয়া যায়, কিন্তু দীর্ঘ মেয়াদে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে, মানুষ বিশ্বাস হারিয়ে ফেলে। আসল কথা হল দামের সাথে পণ্যের কেয়ালিটি ঠিক রাখা, ক্রেতাদের সুবিধা ও পছন্দমত পণ্য তৈরী করা এবং তাদের সন্তুষ্টি অর্জন করা।

নভেম্ভর-ডিসেম্বর আসলে আমাদের দেশে শুরু হয় স্কুল-কলেজের নামে লিফলেট, ব্যানার ও ফেস্টুনে বিজ্ঞাপন। কত যে চটককদার নাম স্কুলগুলোর! বেশির ভাগ নামই ইংশিস ভার্সনের। এতে বঙ্গ সন্তানদের পটাতে সুবিধা হয়। আর কোচিং সেন্টারের কথা কি আর বলবো! তেনারা আরো এক কদম এগিয়ে। পৃথিবীর কোথাও শিক্ষা নিয়ে এতো তেলেসমাতি, এতো কাড়াকাড়ি নেই। কারন এখানে শিক্ষা ও চিকিৎসা একটি অতি লাভজনক ব্যবসা। এক কথায় লোভনীয় পণ্য! আর পণ্যের নীতি হলো প্রচারেই প্রসার। এক্ষেত্রে ডাক্তার মহাশয়রা আরেক কদম এগিয়ে। নামের সাথে কত যে দেশের ডিগ্রী (দেশের নামটি বোঝা গেলেও সংক্ষেপে লেখা ডিগ্রীগুলোর অর্থ আমার মস্তিষ্কে ঢোকে না)। অনেক সময় দেখা যায় কোন দেশে সপ্তাহ-দুই সপ্তাহের ট্রেনিংয়ে গেছেন কিন্তু এটাকেও একটা ডিগ্রী হিসাবে প্রচার করেন! একটি দেশের সাথে একটা ডিগ্রী যুক্ত হওয়া মানে নিজেকে পণ্য হিসাবে পাবলিকের কাছে আরো লোভনীয় করা।


এ তো গেল পণ্য ও সেবার বিজ্ঞাপনের কথা। মানুষের প্রচার ও পরিচিতির জন্যও বিজ্ঞাপন অপরিহার্য। মানুষের পরিচিতি নির্ভর করে নিজের কর্মে। এটাই তার বিজ্ঞাপন। পণ্য ও সেবার নিজস্ব কোন ভাষা নেই; তারা নিজে থেকে বলতে পারে না আমিই সেরা, আমাকে নিয়ে যাও প্লীজ! নিজের গুণ দেখিয়েও বোঝাতে পারে না তাদের শ্রেষ্ঠত্ব। কারণ, পণ্যগুলো জড় বস্তু। এগুলোর কোন প্রাণ নেই। অপরদিকে আমরা যে সেবা গ্রহণ করি এগুলোও খালি চোখে দেখা যায় না, ছোয়া যায় না, শুধু অনুভব করা যায়। এজন্য বিজ্ঞাপন হল পণ্য ও সেবার পরিচিতি পাওয়ার অন্যতম মাধ্যম।

তবে আজ পর্যন্ত নিজের প্রচার প্রচারণা করে কোন মানুষ বিশ্ব মঞ্চে প্রতিষ্ঠিত হতে পারেনি, সম্মানিত হতে পারেনি। যা হয়েছে তা হল মানুষের সাময়িক মোহ মাত্র। যখন মোহটা কেটে যায় তখন পাবলিক ব্যক্তির বিজ্ঞাপন ভূলে যায়।

তবে প্রচারেই প্রসার এই নীতিটা আমাদের দেশে বেশ প্রচলিত। তবে তা পণ্যের বিজ্ঞাপনে নয় ব্যক্তির প্রচারে। ইদানিং শুনেছি কিছু কিছু নেতা মিছিল/মিটিংয়ের সুন্দর ছবি ও ভিডিও রেকর্ড করার জন্য ক্যামেরাম্যান হায়ার করেন, কোন কোন সময় ফটো সাংবাদিকদেরও টাকা দেন ভাল মানের ছবি তোলার জন্য। এজন্য সামনের সারিতে কে ব্যানারে ধরবে তা নিয়ে মারামারি হয়। কখনো তা খুন খারাপিতে পর্যন্ত গড়ায়। আসল উদ্দেশ্য হল পাবলিকের কাছে নিজের গ্রহণযোগ্যতা বাড়ানো, দলের বড় নেতার চোখে পড়া, মিডিয়ার নজরে আসা ইত্যাদি। সহজ কথায় এটা হল ছোট নেতার বড় রাজনীতিবিদ হওয়ার বিজ্ঞাপন। রাজনীতি নামক পেশায়! নিজের অবস্থান পোক্ত করার কৌশল।

দেখা যায় এলাকায় বড় নেতা, এমপি ও মন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে শুরু হয় স্থানীয় নেতা/উপ নেতাদের পোস্টার বিলি করা, তোরণ নির্মাণ ও বিশাল ব্যানার দিয়ে গেইট নির্মাণের হিড়িক। তবে অতিথি প্রধানমন্ত্রী হলে তো কথাই নেই; চার-পাঁচ হাত দূরত্বে শুধু গেইট আর ব্যানার দিয়ে ছাটা থাকে পুরো এলাকা। কোন বিশেষ উপলক্ষ যেমন- দুই ঈদ, বিভিন্ন জাতীয় দিবস, এমনকি বিভিন্ন পূজা-পার্বণেও চলে নিজেদের প্রচার প্রচারণা। যেভাবেই হোক নিজেকে পাবলিক চিনতে হবে, বড় নেতার নেক নজর পেতে হবে। এতে যত টাকা খরছ হোক তাতে কোন সমস্যা নেই।


এই বিজ্ঞাপন শুধু রাজনীতিতে হয় তা কিন্তু নয়। এমনও দেখা যায় কেউ কেউ নব্বই টাকা দামের পনের বিশটি কম্বল বিতরণ করতে হাজার-পনেরশো টাকার বিশাল ব্যানারে নিজের নাম বড় বড় হরফে লেখে নিজেক দানশীল হিসাবে প্রচার করেন। এমনও সামাজিক সংগঠন আছে যারা বাজেটের শতকরা আশি ভাগ টাকা খরছ করে শুধু মঞ্চ/গেইট নির্মাণে আর অতিথি আপ্পায়নে। আবার অনেকে আছেন এলাকার বড় নেতার ছবি উপরে দিয়ে নিচে নিজের ছবি ও পদবী লেখে পোস্টার ও ফেস্টুন বানিয়ে বিলি করেন।

তবে পরিচিত হওয়ার জন্য রাজনৈতিক স্লোগান একটি বড় ভূমিকা রাখে। মিছিলের সামনে যারা সুন্দর করে হাত-পা নাচিয়ে, মুখ ভেংচিয়ে উচ্চস্বরে দলীয় স্লোগান দিতে পারেন দলে তাদের গ্রহণযোগ্যতা বেশি থাকে। টিভি পত্রিকায় তাদের ছবি আসে, মানুষ তাদের সহজে চিনতে পারে।

অনেক বঙ্গ সন্তান রীতিমত ডোনেশন দিয়ে বিভিন্ন সামাজি, ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক অনুষ্টানে অতিথি হোন। এটা হলো নিজের ঢোল নিজে পেটানোর বিজ্ঞাপন। এতে অতিথি মহোদয় নিজেকে একটা উৎকৃষ্ট পণ্য হিসাবে জাতির সামনে উপস্থাপনের সুযোগ পান।

পরিচিতি লাভের আরেকটি সহজ উপায় হল বড় নেতা-নেত্রী, এমপি-মন্ত্রী ও সমাজের গুরুত্বপূর্ণ মানুষজনের সাথে ছবি তোলে যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া। অনেকে আবার নেতাদের সাথে সেলফি তুলতে বেশ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। তিনি যে নেতার খুব পরিচিত ও ঘনিষ্ট তা জাতিকে জানিয়ে দেওয়া কর্তব্য মনে করেন। এতে ঐ নেতার নাম ভাঙ্গিয়ে পরিচিতি পাওয়া যায়, বিভিন্ন তদবির ও ধান্ধায় সুবিধা আদায় করা যায়।

সব শেষে আমার একটি অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করে লেখাটি শেষ করব। ২০১৪ সালের কথা। তখন লন্ডনের ওয়েস্ট এন্ডে (Central London) কাজ করি। একদিন বিকালে সাইকেল চালিয়ে "মার্বেল আর্চ" হয়ে "পিকাডিলি সার্কাস" যাচ্ছিলাম। রাস্তায় প্রচন্ড জ্যাম ছিল। উল্লেখ্য যে, সকালের অফিস আওয়ারে এবং বিকালে অফিস ছুটির পর ওয়েস্ট এন্ডে পাবলিক বাস ও ট্যাক্সির প্রচন্ড জট থাকে। এজন্য যানজট হয়। হঠাৎ খেয়াল করলাম আমার ঠিক বামপাশে লন্ডনের তখনকার মেয়র বরিস জনসন (বর্তমানে পররাষ্ট্র মন্ত্রী) সাইকেল নিয়ে আটকা পড়েছেন।


ছবিটি আমার ক্যামেরায় তোলা (Oxford Street, London), ২০১৫ সালে ক্রিসমাসে।

চোখাচোখি হতে হাই-হ্যালো বল্লাম। তিনিও প্রতি উত্তরে একটু হেসে হাত নেড়ে ধন্যবাদ জানালেন। মাত্র পাঁচ মিনিটের রাস্তা পার হতে আমাদের আধা ঘন্টার বেশি সময় লাগল। খেয়াল করলাম মেয়র ধৈর্য ধরে সাইকেল চালাচ্ছেন। তাঁর মুখে বিরক্তির কোন লক্ষণ নেই। অবাক হলাম লন্ডনের সবচেয়ে ক্ষমতাধর লোকটির ধৈর্য দেখে। তিনি একাধারে লন্ডনের বত্রিশটি বারার (Council) প্রধান। লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশ তাঁর অধীনস্থ। লন্ডনের আন্ডারগ্রাউন্ড ট্রেন ও বাসের বসও তিনি। লন্ডনের বিখ্যাত ব্ল্যাক ক্যাব, মিনি ক্যাবের নিয়ন্ত্রকও তিনি।

রাস্তার পাশে বিশাল ফুটপাত (মূল রাস্তার সমান), তিনি চাইলে ফুটপাত দিয়েও সাইকেল চালিয়ে যেতে পারতেন। কিন্তু আইনের প্রতিশ্রদ্ধাশীল হয়ে তা করেন নাই। আইনের পৃষ্টপোষক হয়ে বেআইনি কাজ করা যে গুরুতর অন্যায় তা তিনি জানেন। তিনি এও জানেন জনগন ভোট দিয়ে তাকে নির্বাচিত করেছে। এজন্য জনগনই সকল ক্ষমতার উৎস ও মালিক। তিনি হলেন তাদের নির্বাচিত একজন প্রতিনিধি মাত্র। জনগনের সেবক, মাস্টার নয়।

এতো ক্ষমতা, এতো পরিচিতি তারপরও নেই কোন দেমাগ, নেই বাড়াবাড়ি, নেই বিলাস বহুল গাড়ি, নেই কোন সিকিউরিটি। রাস্তায় তাঁকে কেউ চিনতে পেল কি না তাতে তাঁর বিন্দু পরিমাণ আক্ষেপ নেই। তিনি জানেন কর্ম ও নিষ্ঠা তাঁকে নেতা বানাবে। মিছিল, সেলফি, বড় নেতার পরিচিতি ও ব্যক্তিগত বিজ্ঞাপন নয়। তিনি এও জানেন তাঁর দল তাঁকে কর্ম দিয়ে মূল্যায়ন করবে, পরিচিতি দিয়ে নয়। যতটুকু জানি ভবিষ্যতে কনজারভেটিভ দলের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জোর সম্ভাবনা আছে তার।।



ফটো ক্রেডিট,
গুগল।

মন্তব্য ৬২ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (৬২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ ভোর ৪:১৪

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: আমাদের ওয়্যারহাউজ টঙ্গি, উত্তরা থেকে মাত্র টঙ্গি যেতে অসংখ্য রাজনৈতিক বিলবোর্ড সাইনবোর্ড পোষ্টার দেখে আশ্চার্য্য হতে হয় - সিঙ্গাপুর কতো পিছিয়ে আছে মার্কেটিং এ তাদের উচিত বাংলাদেশে এসে বিলবোর্ড সাইনবোর্ড পোষ্টার দেখে কিছু শিখুক, তাছাড়া গাড়ীর জানালা খোলা থাকলে চলতি গাড়ীতে বোরকা পড়া মেয়ে বা মহিলারা বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের ভিজিটিং কার্ড ও লিফলেট যেভাবে ছুড়ে মারে এটি হাসপাতালের দেশ সিঙ্গাপুর এখনো রপ্ত করতে পারেনি বলে তারা এখনো বাংলাদেশ থেকে পিছিয়ে আছে বলে মনে করি !!!

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ ভোর ৪:৩১

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: চমৎকার বলেছেন, প্রিয় ঠাকুর মাহমুদ ভাই। চলন্ত গাড়িতে বোরকা পরা মেয়েদের কার্ড ছুড়ে মারাটা সত্যি চমৎকার!! আরেকটি বিষয় আমার খুব হাসি পায়। মোড়ে মোড়ে "হাবালের বিজ্ঞাপন" যেমন- সিঙ্গাপুর হারবাল লিমিটেড। এখানে আসলে ----- মোটা-তাজা করা হয়, যাদের লাস্টিংয়ে সমস্যা তারা আমাদের মালিশ ইউজ করলে ঘন্টার পর ঘন্টা ----- পারবেন!! আর যাদের উত্তানজনিত সমস্যা আছে, তাদের জন্য আছে রড থেরাপি।

আসলে দেশে এতো এতো বিনোদন কোনটা রেখে কোনটা বলবো। বাঙালি বলে কথা।

২| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ ভোর ৪:২৬

নোয়াখাইল্ল্যা বলেছেন: ইনফরমেটিভ পোস্ট।বরাবরের মতই সুন্দর লিখেছেন ভাই।

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ ভোর ৪:৩৫

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: প্রিয় নোয়াখাইল্যা ভাইজান, অনেক ধন্যবাদ। আমি "নোয়াখালি-বরিশাল, মিল্লামিশ্যা নয়াশাল" নাটকটি দেখে নোয়াখালির ভক্ত হয়ে গেছি। নোয়াখালির কথা বলার স্টাইল আমার খুব ভাল লাগে।

৩| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ ভোর ৪:৩২

চাঁদগাজী বলেছেন:


দেশ সমস্যায় জর্জরিত, নতুন সমস্যা যোগ হচ্ছে প্রতিদিন; সমাধানের দায়িত্ব মানুষকে দেয়া হচ্ছে না।

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ ভোর ৪:৩৯

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: একটা কাজ করি। সামু ব্লগের নিয়মিত লেখকদের দিয়ে দেশের সরকার গঠন করলে কেমন হয়? আপনি রাষ্ট্রপতি আর @মন্ডল ভাই প্রধানমন্ত্রী। আর আমাকে "তৈল মন্ত্রণালয়" দিলেই চলবে।

৪| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ ভোর ৪:৫০

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
কুয়ালালামপুর সিটি হতে ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট রোড - মালয়েশিয়া কত্তোবড় বেকুবের দেশ দেখতে পাচ্ছেন রাস্তায় বিজ্ঞাপণের কোনো সাইনবোর্ড বিলবোর্ড পোষ্টার নাই আর এমন বেকুবের দেশে আমরা কাজে-কর্মে এমনকি বেড়াতে ও যাই !!!

সাইনবোর্ড বিলবোর্ড আর মাইকিং ‍দিয়ে কি আমরা গিনিজ বুক রেকর্ডে আসতে পেরেছি ? না আসতে পারলে বলেন আমাদের আগে কোন দেশ আছে মাত্র ৩০ দিনে তাদের যদি পেছনে না ফেলে এগিয়ে যাই বিফলে মুল্য ফেরত, জায়গায় বসে হাত তুলবেন অথবা অনলাইনে অর্ডার করবেন আপনার বাসায় পোষ্টার পৌছে যাবে ।

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ ভোর ৫:০২

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: কুয়ালালামপুর সিটি হতে ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট রোড - মালয়েশিয়া কত্তোবড় বেকুবের দেশ দেখতে পাচ্ছেন রাস্তায় বিজ্ঞাপণের কোনো সাইনবোর্ড বিলবোর্ড পোষ্টার নাই আর এমন বেকুবের দেশে আমরা কাজে-কর্মে এমনকি বেড়াতে ও যাই !!!

অনেক দামী একটি কথা বলেছেন। এই কথাটির অর্থ ১৫ কোটি বাঙালি বুঝবে না কনফার্ম। আর "গলা ব্যবসায়ী" মন্ত্রী/নেতারা বুজলেও চুপটি মেরে থাকবেন। আচ্ছা, এরা এতো এতো বিদেশ সফর করে, শুধু কি টাকা পাচার করতে যায়? আমি লন্ডনের ক্যাসিনো/----! অনেক বিগ নেতাকে দেখেছি। আসলে তেনাদের দোষ দিয়ে লাভ নেই। তেনারা রাষ্ট্রীয় খরছে এসি গাড়িতে ঘুরে বেড়ান, বাইরে দৃষ্টি দেওয়ার সময় কই!!

৫| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ ভোর ৫:২৪

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: আমরা নিতান্ত সাধারণ মানুষ খুবই সামান্য ব্যাপার নিয়ে কানাঘোষা করি,
এমপি মন্ত্রি’রা আধ্যাত্মিক চিন্তা করেন
কোটা দিয়ে আসমান থেকে তারা পারেন ।

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ ভোর ৫:২৯

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: হা হা হা.........হা হা হা........
শুধু হাসছি আপনার কথায়। তেনারা আধ্যাত্মীক বটে!! ভন্ড পীর ও ভন্ড রাজনীতিবিদের কোন যোগ্যতা লাগে না, শুধু ভাল অভিনেতা হলেই চলে।

৬| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৮:২৬

বিদেশে কামলা খাটি বলেছেন: সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণঃ ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।

কিন্তু কেউই লিখে না যে- আমাদের সিগারেট ক্ষতিকর। আমাদেরটা খাবেন না। অন্যটা খান।

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৩:৩২

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: কথাটি চরম সত্য। এতো নিষেধ করার পরও মানুষ সিগারেট বলতে অজ্ঞান। চমৎকার কমেন্ট ভাই। শুভ কামনা আপনার জন্য।

৭| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৮:২৮

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: বিজ্ঞাপন খাতে কোম্পানীগুলো যে টাকা খরচ করে তা কিন্তু আবার ভোক্তাদের পকেট থেকেই কেটে নেয়া হয়। তাই আমার প্রস্তাবঃ বিজ্ঞাপন কমিয়ে দিয়ে সেই টাকায় গ্রাহকদের সেবা দিন। সম্ভব হলে পণ্যের দাম কমিয়ে দিন। টিভিতে , পত্রিকায় বিজ্ঞাপন সহ্যের মাত্রা ছাড়িয়ে যাচ্ছে দিনকে দিন।

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৭

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: এটা আমার মনে কথা। ইউটিউবে যেভাবে বিজ্ঞাপপন যায়, তাতে ভয় করে। এমনিতেই আমাদের পকেট কাটা, তার উপর বিজ্ঞাপনের বাড়তি চাপ নেওয়া সম্ভব না। যত বেশি বিজ্ঞাপন, ততো বেশি আমাদের দামের বোঝা।

৮| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৮:৫৪

আকিব হাসান জাভেদ বলেছেন: নীতিবাক্য আর ইতিবাক্য দিয়েই আমরা বেচে আছি। আমাদের মন বড় তাই বিশ্বাস ও অনেক । আপনি যা বুজাবেন তাই চলবে এ ধনরাজ বাজারে । না হয় সস্তা বিলবোর্ডের নীতিকথায় আমরা বাজারের সবচেয়ে সস্তা জিনিস টি কি করে ঘরে তুলতে পারি। সুন্দর কথা লিখেছেন কাউসার ভাই। আমাদের মন্ত্রিরা কিন্তুু অনেক স্মার্ট ।

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৯

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: আকিব ভাই, ধন্যবাদ। দেখবেন সবচেয়ে বাজে পণ্যের বিজ্ঞাপনটি সবচেয়ে চটকদার হয়। এতো বঙ্গ সন্তানদের পটাতে সহজ হয়।

৯| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৯:১৫

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: বিজ্ঞাপনের একটা অদ্ভুত শক্তি আছে। যখন বিজ্ঞাপন প্রচারিত হয় তখন বিজ্ঞাপন নিয়ে মানুষ অত মাথা ঘামায় না কিন্তু বাজারে গিয়ে যখন জোন পন্য কিনতে যায় তখন বিজ্ঞাপনে প্রচারিত পন্যটির কথাই সবচেয়ে আগে মনে পড়ে। সুন্দর পোষ্ট।

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৩

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: হ্যা। ঠিক, তারেক ভাই। ইদানিং আইপিএলের খেলা টিভিতে দেখতে গিয়ে অদ্ভুত কিছু বিজ্ঞাপন চোখে পড়ল। শব্দ ও কাহিনী এতো বিরক্তিকর যে প্রতি ওভারের ফাঁকে চ্যানেল চেঞ্জ করি!

১০| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১১:৪৯

রাজীব নুর বলেছেন: খুব সুন্দর পোষ্ট।
আপনি ছবিটা ভালো তুলেছেন।

প্রতি বছর আমাদের এই বাংলাদেশে কয়েক হাজার কোটি টাকার 'বিজ্ঞাপন' ব্যবসা হয়।

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৬

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: ঠিক, রাজীব ভাই। তবে এখানে শুধু পণ্যের প্রচার হয় না। বঙ্গ সন্তানরা নিজেদেরকেও বিজ্ঞাপনের পণ্য হিসাবে প্রচার করে।

১১| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১২:২২

মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: মন খারাপ করা লেখা রে ভাই???:(

লেখা বরাবরের মতই! হার্ট টাচিং, ইউনিক!!:)


মেয়েদের ছবি দুটি না দিলেও পারতেন??

,

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৮

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: হাসালেন, মন্ডল ভাই। আপনি ব্যাচেলর মানুষ তাই ছবিটা দিলাম!! বলা তো যায় না পাত্রি হিসাবে পছন্দ হলে হতেও পারে!!!

১২| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১:১১

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: জ্ঞানগর্ভ ও বুদ্ধিদীপ্ত পোস্ট।

আমাদের দেশে নেতাদের পোস্টার কালচার শুরু হয়েছে খুব বেশিদিন হয় নি। যতদূর মনে পড়ে, ২০০৭/৮/৯ এর দিকে প্রথম একটা/দুটা করে এগুলো দেখতে থাকি। এখন তো নেতা হওয়ার জন্য এর চাইতে বড়ো বিজ্ঞাপন আর হয় না।

মেয়রের উদাহরণটা খুব ভালো লাগলো। কিন্তু আফসোস, আমাদের দেশে এসব কেবল স্বপ্নই।

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৩

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ, ভাইজান। আসলে আমরা প্রচারেই বিশ্বাসী। এজন্য পণ্যের বদলে নিজেরাই পণ্য হই। কালকে আমার এক ফেইসবুক ফ্রেন্ড আমাকে সহ ৭৮ জনকে আট লাইনের একটি কবিতা লেখে ট্যাগ করে পোস্ট করেছেন! পড়ে দেখলাম কবিতার কিছুই হয়নি!!

১৩| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৩:১২

মাআইপা বলেছেন: আজকের টপিকটা চমৎকার হয়েছে 'Think Different' টাইপ।
লেখা বিষয়ে কোন মন্তব্য নেই। অবচেতন মনের ভাবনাগুলোই সাবলিলভাবে বিশ্লেষণ করেছেন।
শুভ কামনা রইল।

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৭

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ, প্রিয় ভাই। আপনার কমেন্ট পড়ে অনুপ্রাণিত হই। অনেক শুভ কামনা আপনার জন্য।

১৪| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৮

মাআইপা বলেছেন: ।।ধন্যবাদ।।

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৪:০১

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।

১৫| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৫:২৩

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: তৎকালীন মেয়রের ঘটনায় প্রভাবিত হলাম!

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৫:৩০

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: প্রভাবিত হলেন জেনে খুশি হলাম। আমরা আনিসুল হককে পেয়েছিলাম, কিন্তু তিনিও চলে গেলেন।

১৬| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৫:২৪

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: +++

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৫:২৫

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, ভাই।

১৭| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আগে একবার এসেছিলাম,মন্তব্য দেওয়ার সময় ছিলনা। শুধু এটুকু বলবো আপনার চোখের সামান্য দৃষ্টি শক্তি যদি মাননীয় নেতা মন্ত্রীদের থাকত তাহলে সমাজটা সম্পূর্ণ বদলে যেত।

অনেক শুভ কামনা, কাওসার ভাই আপনাকে।

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৮

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ, প্রিয় প. চৌধুরী ভাই। কি আর বলবো মন্ত্রী/নেতারা জাতির মঙ্গল কামনায় এতো ব্যস্ত থাকেন যে এসব ফালতু লেখা পড়ার সময় কই। আর মহামান্যরা সমালোচনার উর্ধ্বে!! এমনিতেই জাতির কষ্ট দেখে উনাদের কষ্টের শেষ নেই।।

১৮| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৪

শাহিন-৯৯ বলেছেন: আপনার প্রতিটি লেখা সত্যি অসাধারণ। ব্লগ মনে হয় একজন ভাল ব্লগার পেল।

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২১

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: শাহিন ভাই, হাসালেন! এক সপ্তাহ হয়নি সেফ হয়েছি। তবে একটা কথা বলতে পারি লেখতে অনেক পরিশ্রম করি। প্রতিদিন আগের চেয়ে ভাল লেখতে চেষ্টা করি। কতটুকু পারি জানি না। তবে চেষ্টায় কোন ত্রুটি নেই।

অনেক ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।

১৯| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩১

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: কাওসার ভাই,
বিজ্ঞাপণের নামে অনেকেই জ্ঞান দান করেন “প্রচারেই প্রসার” সেই প্রচার যখন মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে দাড়ায় তখন আর প্রসার হয়না তখন প্রহার হয় আর প্রহারে গ্রাহক পালায় প্রমাণ দিচ্ছি - বাংলাদেশে প্রাণ আরএফএল এর প্রোডাক্ট নাই হেন বস্তু নাই তবে তারা এখন আর প্রাণ বা আরএফএল ব্রান্ড লিখেছে না, মোড়কে’র নিচে খুব ছোট্ট করে প্রাণ বা এমন নাম লিখছে যা সাধারণ জনগণ জানেন না - হবিগঞ্জ এগ্রো ফুড প্রোডাক্টস লিঃ = প্রাণ আরএফএল, নরসিংদী এগ্রো ফুড প্রোডাক্টস লিঃ = জ্বী তারাই । আরএফএল পানির টাংকি হয়ে গেছে এখন “সেরা” পানির টাংকি - তারা বোঝে গেছে প্রচারে প্রহার হয় বিক্রি বাট্টা কমে যায় । প্রাণ প্রতিষ্ঠানের গা’য়ে মাখার সাবান বাদে সব কন্জুমার প্রোডাক্ট মার্কেটে সয়লাব । প্রাণ আরএফএল ব্যাবসা করছে মারাত্বক তবে তারা কোনো ব্যাবসায়ী প্রতিষ্ঠান নয় - ব্যাবসায়ী নীতিজ্ঞান কাকে বলে তাদের ধারণার বাইরে ।
প্রাণ আর এফএল এর মুল শক্তি মাত্র দু্ইটি তাদের কাছে টাকা আছে আর দেশে আছে শিক্ষিত বেকার (সুশিক্ষিত’রা প্রাণে চাকুরী করে নাহঃ)

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৮:৪৬

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: ঠাকুর মাহমুদ ভাই, শুধু প্রাণ যে প্রতারণা করছে তা কিন্তু নয়। দেশের আনাচে কানাচে এমন গজিয়ে উঠা মারাত্মক কিছু কোম্পানী আছে তাদেরও বিক্রয় প্রতিনিধি সারা দেশে কয়েক হাজার!! ইয়াং ছেলেরা (ইদানিং মেয়েরাও দেখেছি) ইস্ত্রি করা সার্ট-প্যান্ট আর চকচকে কালি করা জুতার সোলের বারোটা বাজাচ্ছে দোকানে দোকানে হাঁটতে হাঁটতে আর দোকানীকে স্যার ডাকতে ডাকতে!!! কোম্পানী থেকে টার্গেট থাকে, না হলে বেতন থেকে মাইনাস!!! পদের নাম সেলস অফিসার, সেলস রিপ্রেজেনটেটিভ!!! আরো কত কী? ঢাকায় বসে দুই নাম্বার কোম্পানির মাকিকটা পায়ের উপর পা তুলে ঠ্যাং নাচায়। পরিচয় হয় নব্য শিল্পপতি। আহা!! টাকা আর টাকা!!!

২০| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫২

শহীদ আম্মার বলেছেন:

লেখাতো ভালই হইছে।

তো চাঁদগাজী, মন্ডল আর কাওসার পরিষদের নির্বাচনী বিজ্ঞাপনটা কেমনে সাজাবেন তাতো বললেন না।

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৮:৫২

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: শহীদ ভাই, কমেন্ট পড়েছেন তাহলে? প্রস্তাব তো দিয়েছিলাম। কিন্তু @চাঁদগাজী ভাই ও @মন্ডল ভাইয়ের কোন রেসপন্স পেলাম না!! মনে হয় জোটের ব্যাপারে উনারা নিজেদের মধ্যে আলাপ আলোচনা করছেন। আপনার মনে হয়ে জোটভোক্ত হওয়ার আগ্রহ আছে?

২১| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৮:৪৯

সনেট কবি বলেছেন: চৌধুরী সাহেব আপনার পোষ্টগুলো ভালই হচ্ছে। যাক ব্লগ আরো একজন গুণী ব্লগার পেল।

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৮:৫৬

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ, স্যার। আপনি গুণীজন। আপনাদের ভাল লেখা দেখে অনুপ্রাণিত হই। আমি কয়েক বছর থেকে লেখালেখি করলেও ব্লগে নতুন। আপনার মতো ভাল লেখকের আশীর্বাদ আমার আগামী দিনগুলোতে ভাল লেখার প্রেরণা।

আপনার জন্য অনেক শ্রদ্ধা ও শুভ কামনা।

২২| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৯:৩১

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: কাওসার ভাই, সাংসদ গঠন হলে আমাকে এমপি মন্ত্রী পদবী দিতে হবে না । আপনি কি লক্ষ্য করেছেন আগেকার রাজা মহারাজাদের একজন কানপড়া দেওয়ার লোক থাকেতো যিনি রাজার সাথে শুধু কানে কানে কথা বলতেন - জ্বী বিশেষ দূত - আমাকে বিশেষ দূত হিসেবে নিতে পারেন (শুধু কানে কানে কথা হবে - স্পেশাল ব্যুরো)

সম্ভাব্য বিশেষ দূতের প্রথম কানে কানে কথা: নাক মুখ বন্ধ করে ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখেন ত্রিশ সেকেন্ড পার করতে কতো কাল সময় লাগে - আর পাঁচ বছর তো মহাকাল দেশ স্বর্ণ শিখরে না পৌছাতে পারি রৌপ শিখরে পৌছে দিবো বাকীটা না হয় আগামী প্রজন্মের জন্য থাকবে - - - - - - না কি বলেন

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১০:০৯

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: ঠাকুর ভাই, তাহলে "কানপড়া" মন্ত্রণালয় আপনার জন্য।

২৩| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৯:৪৮

শহীদ আম্মার বলেছেন:


আমাকে "কোটা মন্ত্রণালয়" দিলে থাকতে রাজী আছি।

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১০:০৮

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: শহীদ ভাই, এই মন্ত্রণালয় নিতে অনেকের আগ্রহ। ভাবছি "কোটা" মন্ত্রণালয় কয়েকটি করবো!!! একটি আপনার জন্য কনফার্ম।

২৪| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৯:৫১

মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: কী চৌধুরী বাড়ীর পোলা? বিরহ? জোড়া লাগবে???

@"বলা তো যায় না পাত্রি হিসাবে পছন্দ হলে হতেও পারে!"
---- বেশী উদারপন্থী(খোলামেলা) মেয়ে আমার পছন্দ নয়। সামনের পোস্টে এসব অপ্রয়োজনীয় ছবি দিলে আপনার খবর আছেX(
আপনিই ওদের নিয়ে রাত কাটান।।:P


(বি.দ্রঃ কয়েক দিন ব্যস্ত থাকব।)

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১০:০৩

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: @মন্ডল ভাই। আপনি ব্লগে কী কছুদিন থাকবেন না? মনটা খারাপ হয়ে গেল। যাক, বেশি দেরী করবেন না, প্লীজ। "উদারপন্থী মেয়ে" কথাটি পড়ে বেশ হাসি পেল। আচ্ছা, বিয়ের পর বউ তো হাজবেন্ডের কাছে উদার!! হয়। না হয় পাত্রী দেখার সময় একটু পরখ করে নিলেন!!!

২৫| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৯:৫৮

মনিরা সুলতানা বলেছেন: লেখা ভালো লাগছে ভাইয়া !!!

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১০:০৫

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: মনিরা আপা, অনেক ধন্যবাদ। লেখাটি পড়েছেন জেনে ভাল লাগলো। শুভ কামনা আপনার জন্য।

২৬| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১২:০০

আহমদ আতিকুজ্জামান বলেছেন: অসাধারণ লিখেছেন। ফ্যান হয়ে গেছি। ♥

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১২:০৬

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: আতিক ভাই, শুভেচ্ছা নেবেন। পরিচিত হলাম, এজন্য ভাল লাগছে। আপনার লেখাও পড়েছি। অনেক ভাল লেখেন আপনি। লেখতে লেখতে আরো ভালো হবে। অনেক অনেক শুভ কামনা আপনার জন্য।

২৭| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১২:১৭

শহীদ আম্মার বলেছেন: ধরলাম "কোটা মন্ত্রণালয়" বানাইলেন ৩টা। আমারে দিলেন ২নম্বরটা । তখন লোকেরা আমারে কি নামে ডাকবো?

"২নম্বর কোটা মন্ত্রী"
নাকি?
"কোটা মন্ত্রী নম্বর২(দু)"

মাফ চাই কাওসার ভাই! আপনার মন্ত্রী পরিষদে আমার জন্য কোন কোটা বরাদ্দের প্রয়োজন নেই।
তারচেয়ে বরং গৃহপালিত বিরোধী দলের প্রধান হয়ে আপনার "বিশেষ দূত" পদে চাকুরী দিলেই হল।

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১:০১

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: হা.....হা....হা.....
আপনি তো সুবিধার লোক না!!!
সব তৈল মন্ত্রণালয় নিতে চান!!! আপনাকে প্রধানমন্ত্রীর প্রধান উজির করা হবে। নাম হবে "প্রধনমন্ত্রীর খাস পরামর্শ দাতা। কাজ হলো শুধু........ চামচামি........জি হুজুর....... জি হুজুর....... করা।

আর সব সময় বলা আপনিই পৃথিবীর সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী!!!

২৮| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১:০৮

ইব্‌রাহীম আই কে বলেছেন: লেখাটা ভালো লাগলো।
তবে একটা কথা আমরা কিন্তু 'Think Different' টাইপের ভাবনাই ভাবি। আমাদের মতো এমন নিজেদেরকে পণ্য বানানোর মতো ভাবনা যেহেতু অন্য কেউ ভাবেনা তাহলে আমরা কি এদিক দিয়ে ইউনিক নই!!!

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১:১৮

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: ইবরাহীম ভাই, চমৎকার বলেছেন। আশা করি আমার আপনার মত মানুষরা এখন "Think Different" হবেন। এতে দেশ ও দশের উপকার হবে।

২৯| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১:১২

শহীদ আম্মার বলেছেন: বেতন কেমন দিবেন? সিঙ্গাপুরে বাড়ী করা যাবেতো?

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১:১৫

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: আচ্ছা, আপনি তো চরম বোকা মানুষ!! মন্ত্রীর বেতনে কী সংসার চলে? বাজেটের টেন পর্সেন্ট আপনার জন্য বরাদ্দ থাকবে। হিসাব করলে বছরে কয়েকশো কোটি তো হবেই। এক বছরের আয় দিয়ে সিংগাপুরে দশটি বাড়ি করা যাবে।

৩০| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১:২১

শহীদ আম্মার বলেছেন: তাহলে লাইনে আছি। খুইজা নিয়েন।

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১:৩২

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: ঠিক আছে। ঠিক সময়ে নক করবো!!!

৩১| ০৬ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:০৩

গরল বলেছেন: যে দেশের মানুষ যেমন নেতাও ঠিক তেমনি হয়, মানুষের রুচিবোধ যেন আমাদের দেশে দিনদিন ক্ষয়ে যাচ্ছে। যেমন ধরুন ড: ইউনুস যখন রাজনীতিতে নামবেন ঘোষণা দিলেন, কোনও সাধারণ মানুষও তাকে স্বাগত জানায় নাই। আর তাই আমাদের নেতারাও সেরকম হবে আশা করা অর্থহীন।

০৬ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫০

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ, ভাই। ঠিক বলেছেন। আমরাই তো নেতা ঠিক করি, এজন্য আগে নিজে নদলাতে হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.