নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জন্মসূত্রে মানব গোত্রভূক্ত; এজন্য প্রতিনিয়ত \'মানুষ\' হওয়ার প্রচেষ্টা। \'কাকতাড়ুয়ার ভাস্কর্য\', \'বায়স্কোপ\', \'পুতুলনাচ\' এবং অনুবাদ গল্পের \'নেকলেস\' বইয়ের কারিগর।

কাওসার চৌধুরী

প্রবন্ধ ও ফিচার লেখতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। পাশাপাশি গল্প, অনুবাদ, কবিতা ও রম্য লেখি। আমি আশাবাদী মানুষ।

কাওসার চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

লাভ জিহাদ (গল্প) "সিরিয়ার গৃহযুদ্ধের পটভূমিতে লেখা"

০১ লা মে, ২০১৮ রাত ১২:৪০


ছোট কাল থেকে পুতুল নিয়ে খেলতে খুব পছন্দ করতাম বলে বাবা আমার জন্য অনেক পুতুল কিনে আনতেন। সারাদিনের ক্লান্তি শেষে সন্ধায় বাবা যখন ঘরে ফিরতেন তখন কলিং বেলের শব্দ পেয়ে দৌড়ে আমি দরজার কাছে হুমড়ি খেয়ে পড়তাম; দরজার সিটকানি নাগাল পেতাম না বলে মা-ই এগিয়ে আসতেন দরজা খুলতে। পুতুল কি আর সব দিন আনা সম্ভব? তাই, বাবা প্রায়ই বানিয়ে বানিয়ে পুতুল বাজার থেকে হঠাৎ উধাও হয়ে গেছে বলে শান্তনা দেওয়ার চেষ্টা করতেন। কোলে নিয়ে আদর করে আলতো করে কপালে চুমু দিয়ে একটি টফি মুখে গুঁজে দিতেন। হরেক রকম বর-কনের জোড়া পুতুলই আমার সবচেয়ে প্রিয় ছিল।

বাবা-মেয়ের অতি ভাব-ভালবাসা দেখে মায়ের কিছুটা হিংসা হতো! তবে মায়ের সাথেও খুব টান থাকলেও বাবা-ই ছিলেন আমার সবচেয়ে আপনজন। গল্প করা থেকে শুরু করে ঘুরে বেড়ানো, স্কুলে যাওয়া, খেলাধুলায় সঙ্গ দেওয়া, সাঁতার শেখানো, পড়া দেখিয়ে দেওয়া সবকিছুতেই বাবা আমার ছায়াসঙ্গী হতেন। কখনো মন খারাপ দেখলে বাবা ভীষণ কষ্ট পেতেন, এজন্য অযথা মাকে বকাঝঁকা করতেন। যদিও মা কোনদিন আমাকে কড়া শাসন করেন নাই।

স্কুল থেকে ফিরে আম্মুকে জড়িয়ে ধরতাম। ঘরে বাবা থাকলে দু'জনকে। স্কুল ছিল বাড়ি থেকে বিশ মিনিটের হাঁটা দূরত্বে। প্রতিবেশী বান্ধবী সায়রা ও গুলবারের সাথে হেঁসে-খেলে প্রতিদিন স্কুলে আসা-যাওয়া করতাম। স্কুলটি ছিল মেয়েদের। আর কোন ভাইবোন না থাকায় বাবা-মায়ের সবটুকু ভালবাসা ছিল শুধুমাত্র আমার জন্য বরাদ্দ।

আমি রাওয়ান। পুরো নাম রাওয়ান মিলাদ। শৈশব ও বেড়ে উঠা সিরিয়ার আলেপ্পো শহর থেকে ত্রিশ কিলোমিটার দূরে সামারা গ্রামে। দুই হাজার সালের ২৫শে জানুয়ারি আমার জন্ম। এজন্য বাবা প্রায়ই আমাকে 'মিলেনিয়াম গার্ল' বলে খেপাতেন। মা ছিলেন হিস্ট্রির ছাত্রী। প্রায় সময় আমাকে সিরিয়ার ইতিহাস, ঐতিহ্য আর শাসন ব্যবস্থা নিয়ে গল্প বলতেন। বিশেষ করে অটোমানদের শাসন, আরব-ইসরাঈল বিরোধ, সিরিয়ানদের সমৃদ্ধ সাহিত্য আর শিল্প-সংস্কৃতির ভান্ডার তুলে ধরতেন। মায়ের গল্প শুনতে শুনতে কখন যে হিস্ট্রির প্রেমে পড়েছি খেয়াল নেই।

সবে ক্লাস সেভেন থেকে এইটে প্রমোশন পেয়েছি। ইচ্ছা ভবিষ্যতে হিস্ট্র নিয়ে পড়ার।

এইতো কিছুদিন আগে বাবা-মায়ের সাথে আলেপ্পো ঘুরে আসলাম। আলেপ্পো শহরের বাসিন্দা ছোট খালামনিকে সাথে নিয়ে হাজার হাজার বছর পুরোনা "এনসিয়েন্ট সিটি অফ আলেপ্পো" ঘুরে ঘুরে দেখলাম। উল্লেখ্য যে, এটি ইউনেস্কোর ওয়ার্লড হ্যারিটেজ সাইট। ঐতিহাসিক আলেপ্পো সিতাদেল, চার্চ অব সেইন্ট সিমিয়ের স্ট্যাইলিতস দেখে খুব ভাল লাগল। খৃষ্টপূর্ব প্রায় তিনশত বছর পূর্বে "সেলুসিড এম্পায়ার"-এর সময়ে এগুলো নির্মিত।

পরদিন বিখ্যাত আব্রাহাম মসজিদ, কুইনাছরিন গেইট, সোক আজ-জিরক, আল-অতরোস মসজিদ দেখা হলো। ভাল লাগলো আলেপ্পো শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত "বাব আল-ফারাজ ক্লক টাওয়ার" দেখে। অটোমান আমলের বিখ্যাত খুছরুইয়া মসজিদেও গেলাম। সবশেষে গেলাম ন্যাশনাল মিউজিয়াম অফ আলপ্পো এবং ইউনিভার্সিটি অফ আলেপ্পোতে। আসার সময় আলেপ্পোর বিখ্যাত মারুশ কুজিনে ডিনার করলাম। যে দুই দিন ছিলাম, শুধু ঘোরাঘুরি.......... খাওয়া-দাওয়া.......... আড্ডাবাজি.......... মুভি দেখা.......... শপিং........... ।

এবার আসল কথায় আসা যাক।

২০১১ সালে সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে আমি সব সময় খুব আতঙ্কে কাটাতাম। ভীষণ ভয় পেতাম। টেলিভিশনে বিভিন্ন দেশে সংঘটিত যুদ্ধের ভয়াবহতা দেখেছি। তাই মনে প্রাণে চাইতাম যুদ্ধটা যাতে থেমে যায়। আমি ধ্বংসযজ্ঞ আর খুনাখুনি সহ্য করতে পারি না। তবে বাবা-মা উভয়ই যুদ্ধের পক্ষে ছিলেন। সরকার বিরোধী পক্ষের সাথে তাদের একাত্মতা ছিল। বাবা প্রায়ই দুই-তিনদিনের জন্য উধাও হয়ে যেতেন আবার ফিরেও আসতেন। বাবা-মায়ের সাথে যুদ্ধ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে মাঝে মাঝে বাকবিতণ্ডা হতো।

যুদ্ধের তীব্রতায় হঠাৎ একদিন স্কুলে যাওয়া বন্ধ হয়ে গেল। শুনেছি সরকার বিরোধীরা আমাদের স্কুলে ক্যাম্প করেছে। সারাদিন বাড়িতে জড়সড় হয়ে চুপচাপ বসে থাকতাম। বোমার শব্দে আর মানুষের চিৎকার-চেঁচামেচি- আর্তনাদ শুনে দু'চোখ বেয়ে অশ্রু গড়িয়ে পড়তো। পিচ্চি হার্টখানি চকলেট আইসক্রিমের মত মেল্ট হয়ে যেত।


দেখতাম বাবা প্রতিদিন তিন-চারজন অস্ত্রবাজ যুদ্ধাকে আমাদের বাড়িতে নিয়ে আসতেন। তারা রাত্রীযাপন করে ভোরের দিকে চলে যেত। তবে তারা কখনো আমাকে দেখে নাই। এর কিছুদিন পর বাবা একটানা পনেরো দিন আমাকে ঘরে তালাবন্ধ করে রেখেছিলেন। শুধু সময়মতো খাবার এনে দিতেন। বাবা কেন এমনটা করতেন, আমার জানা ছিল না। জিজ্ঞেস করলে কোন সদোত্তর মিলত না। চুপচাপ থাকতেন।

এই পনেরো দিনের মধ্যে একদিনও মাকে দেখিনি। সময়টা তখন ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বর মাস। বাবাকে মায়ের কথা জিজ্ঞেস করলে বলতেন ব্যস্ত আছেন। কি যেন একটা কাজে কিছুদিন বাড়ির বাইরে থাকবেন। দিনগুলো খুবই কষ্টের ছিল। ভয় লাগত। রুমে কোন টিভি, রেডিও, ফোন কিছুই ছিল না। একদিন বাবা এসে বললেন-

-- মা, রাওয়ান। শাওয়ার করে ভাল কাপড়-চোপড় পরো।
-- কেন, বাবা! মায়ের কাছে যাব?
-- কোন কথা নয়, যা বলছি তাড়াতাড়ি কর।
-- ঠিক আছে, বাবা।

মনে মনে ভীষণ খুশি হলাম। ভাবলাম হয়তো আমার বন্ধী জীবনের অবসান হতে চলছে। বাবা নিশ্চয় আমাকে মায়ের কাছে নিয়ে যাবেন। অনেক দিন পর মাকে দেখতে পাব।

মনের আনন্দে যখন শাওয়ার করছি হঠাৎ খেয়াল হলো আনুমানিক পঞ্চাশ-বায়ান্ন বছরের একজন অপরিচিত লোক ধীরে ধীরে আমার দিকে এগিয়ে আসছে। আমি ভয়ে কুঁকড়ে গেলাম। ভেঁজা কাপড়ের উপর শুকনো একটা ওড়না পেঁচিয়ে লোকটিকে কাছে আসতে নিষেধ করলাম। না লোকটি আমার নিষেধ আর চেঁচামেচি থোড়াই কেয়ার করছে। গলার সর্বোচ্ছ আওয়াজ দিয়ে বাবাকে ডাকলাম। কোন সাড়াশব্দ পেলাম না। আরো ঘনিষ্ট হতেই সজোরে লোকটার গালে .....টু....শ..... করে একটা ঘুষি বসালাম। লোকটি আমার চুলের মুষ্টিতে জাপটে ধরলো-

-- খানকি মাগী। তোর এতো সাহস আমাকে.......?
-- প্লীজ....... আমাকে ছেড়ে দেন, আঙ্কেল। ....... প্লীজ। আমি আপনার মেয়ের মতো। প্লীজ.......... প্লীজ......... প্লীজ!!!
-- মেয়ের মতো?......... হা-হ-হা।........... মেয়ে তো নয়!
আমার এতো চিৎকার, চেঁচামেচি শুনেও বাবা পাশের ঘর থেকে এগিয়ে আসেনি। পৃথিবীর কোন বাবা এভাবে তার চোখের সামনে মেয়েকে পাশবিকভাবে অত্যাচারিত হতে দেখেও এগিয়ে আসে না? বিশ্বাস হচ্ছিল না!........... মনে হচ্ছিল স্বপ্ন দেখছি। এতদিন জানতাম, বাবারা হলেন মেয়েদের জন্য পৃথিবীর সবচেয়ে নিরাপদ আশ্রয়। .............. কিন্তু না আমার ধারণাটি ভুল ছিল।............. একদম ভুল.......!

এভাবে একের পর এক........চলছে........তো........চলছেই.......। পর্যায়ক্রমে তিনজন আসার পর কখন যে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছি খেয়াল নেই। খেয়াল হলো পঞ্চম জনের সময়ে।
.......... অনেক অনুনয় বিনয় করলাম, হাত-পায়ে পড়লাম। জীবন ভিক্ষা চাইলাম কোন লাভ হল না। কিছুক্ষণ পর আবার জ্ঞান হারালাম।

যখন জ্ঞান ফিরে পাই তখন শরীরের ব্যথা এতো তীব্র ছিল যে, মুখ দিয়ে কথা বের হচ্ছিল না। নাকের জল, চোখের জল সব একাকার হয়ে গেছে। যুদ্ধে পরাজিত এ দেহে কোন শক্তি অবশিষ্ট ছিল না। শরীরের শেষ শক্তিটুকু নিংড়ে প্রতিপক্ষকে পরাজিত করতে ব্যর্থ হয়ে বিছানায় পড়ে আছি।

হঠাৎ বাবা নামক নরপীশাচটি ঘুটি ঘুটি পায়ে আমার ঘরে ঢুঁকলো। আমি চিৎকার দিয়ে বলার চেষ্টা করলাম............. ওরে বাবা নামের পিশাচ, আমাকে কেন রক্ষা করতে এলে না? আমার এতো বড় ক্ষতি করলে কেন?........... কেমনে?............

কিন্তু মুখ দিয়ে কোন আওয়াজ বের করতে পারলাম না। সে বলটুকু অবশিষ্ট ছিল না বলে।


একটু সুস্থ হওয়ার পর বাবা বল্লেন-
-- মারে, মনে কষ্ট নিছ না। এটা এমন কিছু না। দেখিস তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠবে। তোর সাথে যা হয়েছে তা শরীয়ত সম্মত। এটা এক প্রকার 'জিহাদ'। তুই তো যুদ্ধে যেতে পারবে না এজন্য মুজাহিদের যদি একটু আনন্দ-ফুঁর্তিতে রাখতে পারিস তাহলে যুদ্ধে অংশ গ্রহণের সমান পূণ্য পাবে! তোর অতীতের সব গোনাহ মাফ হবে!! তুই যখন মৃত্যুবরণ করবে তখন শহীদি দরজা পাবে!!! তোর স্থান হবে সোজা জান্নাত!!!!

তেইশ দিন অসুস্থ ছিলাম। বিছানা থেকে উঠতে পারতাম না। একটু জোরে কথা বল্লে কষ্ট হতো।

-- বাবা, আমার শরীরে খুব ব্যথা?
-- ধৈর্য ধর, মা।
-- বাবা, আমার খুব কষ্ট হচ্ছে। অনেক কষ্ট।
মাকে খুব মনে পড়ছে। মাকে বলো একদিন
আসতে, একবার শুধু দেখেই চলে যাবে।
-- এখন আসতে পারবে না।
-- আমাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে চল?
ঔষধ কিনে দাও?
প্লীজ, বাবা।

নাহ্। বাবা আমাকে ডাক্তারেও নিয়ে যাননি,ঔষধও কিনে দেননি। যখন মোটামুটি সুস্থ হলাম তখন বাবা আবার মুজাহিদদের জিহাদের অনুমতি দিলেন।

শুরু হলো আমার দ্বিতীয় দফা জিহাদের মেঘা সিরিয়াল...............!

আগের মতো........ জ্ঞান আসে...........জ্ঞান যায়।.......বাবা আসে......বাবা যায়........।

চলে সান্তনা পর্ব। পাশাপাশি আমার 'জিহাদ' গাড়ি...........!

দিন গড়িয়ে রাত আসে........ সপ্তাহ পেরিয়ে মাস........ ধীরে ধীরে আমার অনুভূতিগুলোতে জং ধরে। পাশাপাশি মনের গহীনে লুকিয়ে থাকা স্বপ্নগলোর একে একে সমাধি হতে থাকে। এখন আর কোন মুজাহিদকে নিষেধ করি না। শুধু স্বপ্নহীন চোখ দু'টি বড় বড় করে তাদের জিহাদকে সমর্থন দিয়ে যাই। এখন চোখ দিয়ে পানিও আসে না। হয়তো মানুষের স্বপ্নগুলো মরে গেলে চোখের পানিও নিঃশেষ হয়ে যায়!

বেশ কয়েক দিন নরক যন্ত্রণা থেকে মুক্তির চেষ্টা করেছি, লাভ হয়নি। জিহাদ পর্ব শেষ হলেই তারা আমাকে তালা দিয়ে রাখতো। জানালার ফাঁক দিয়ে দেখতাম বাড়ির সদর দরজায় ভারী অস্ত্র নিয়ে মোজাহিদরা কড়া পাহারায় টহল দিচ্ছে। একটা সময় মুক্ত হওয়ার আশা ছেড়েই দিলাম। আর মুক্ত হয়েই বা কী লাভ?

তখন প্রায়ই স্বপ্নে দেখতাম বাবা আমার সাথে জিহাদ করছেন। ভয়ঙ্কর, ভয়াবহ জিহাদ। ভয়ে ঘুম ভেঙ্গে যেত। যদিও বাস্তবে বাবা কখনো এমনটি করেননি। যাতে এই দুঃস্বপ্ন আর না দেখি সেজন্য রাতের পর রাত না ঘুমিয়ে কাটিয়ে দিয়েছি। ঘুম আসলেই চোখে পানি ঢালতাম, বিছানা থেকে উঠে হাঁটাহাটি করতাম। বাবাও কী আমার বয়সী অন্য কারো সাথে...........!!!


একদিন শুনলাম আমাদের পাশের 'নাওয়া' গ্রামে আর্মি ক্যাম্প করেছে। সংবাদ পেয়ে বাবা সহ সকল জিহাদি প্রতিবেশী আরেকটি গ্রাম 'তিসিলে' আশ্রয় নিল। এসময় মা কোথা থেকে এসে হাজির হলেন-

-- মা, মাগো। তুমি আমাকে রেখে কোথায় গিয়েছিলে?
-- তিসিল।
-- মা মুজাহিদরা আমার সাথে........!!
জানো, মা.......... বাবা কোন প্রতিবাদ করেনি।..........আমার কান্নাকাটি শুনে এগিয়ে আসেনি। উল্টো ওদেরকে সহযোগিতা করেছে। মাগো, তখন তোমার কথা খুব মনে পড়তো। খুব.......। ওরা যখন অত্যাচার করতো তোমার মুখটি চোখের সামনে ভেসে উঠতো। মাগো, এতদিন আমাকে একা ফেলে কোথায় ছিলে তুমি? কেমনে আমাকে ছাড়া থাকলে? কেমনে!

আমার আর বাঁচতে ইচ্ছা করছে না মা। এ জীবন রেখে কী করবো?

-- চুপ কর, হারামজাদী। যা হয়েছে তা সহজভাবে নে। এ কথা আমাকে বলেছিস ঠিক আছে। যদি কোনদিন শুনি আর কারো কাছে প্রকাশ করেছিস, তাহলে তোর একদিন কী আমার একদিন। এক্কেবারে খুণ করে ফেলবো। এক্কেবারে.........

মায়ের যুদ্ধের মেজাজ দেখে স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিলাম। পাশাপাশি নিষ্টুর এ জিহাদে মায়ের সমর্থন দেখে শকড হলাম। কষ্টে হৃদয়টা চুরমার হয়ে গেল।

মা প্রতিদিন ভোরে ঘুম থেকে উঠে শাওয়ার করে ভাল কাপড়চোপড় পরে, সুগন্ধি মেখে বেরিয়ে যেতেন। উপরে পরতেন একটি পুরাতন বোরকা ও হিজাব। সন্ধায় ফিরে এসে আবার শাওয়ার নিতেন। মায়ের এভাবে সাজুগুজু করতে দেখে দৃষ্টিটা সরিয়ে নিতাম। তবে ঘর থেকে বের হয়ে হেঁটে হেঁটে দূরের বড় রাস্তায় মিলিয়ে যাওয়ার আগ পর্যন্ত অপলক দৃষ্টিতে ঘরের জানালার গ্রিল ধরে চেয়ে থাকতাম।

একদিন ভোরে মা বল্লেন-
-- তাড়াতাড়ি শাওয়ার করে
রেডি হও?
-- কই যাব, মা?
-- কই যাবে মানে? জলদি।

বাড়ি থেকে বের হয়ে গ্রামের মূল সদর রাস্তায় কিছুদূর যেতেই দেখলাম রাস্তার পাশে দুইজন জিহাদীর লাশ পড়ে আছে। এদের মধ্যে একজন আমার খুব পরিচিত। অতি আপনজন..........!!! আমার রেগুলার জিহাদের পার্টনার। বাহ্ শান্তি পেলাম। এই প্রথম মৃত মানুষের লাশ দেখে ভয়ের পরিবর্তে পুলকিত হলাম। আরেকটু সামনে এগিয়ে যেতই দেখলাম সরকারি মিলিটারী রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে টহল দিচ্ছে। কাছাকাছি আসতেই চিৎকার দিয়ে বলে উঠলাম-

-- বাঁচাও বাঁচাও। আমাকে রক্ষা করো, প্লীজ। প্লীজ বাঁচাও। মা আমাকে লাভ জিহাদের জন্য মুজাহিদদের কাছে নিয়ে যাচ্ছে।
আমার চেঁচামেচি শুনে দুজন মিলিটারী মাকে জাপটে ধরে আটকে রাখলো। আমাদের শরীর ভালভাবে চেকআপ করলো। আমাকে আলাদা একটি গাড়িতে তুলে অল্প কিছু দূরে একটি মিলিটারী ক্যাম্পে নিয়ে গেল। তিন দিন পর সেখান থেকে সোজা লেবানন।


গত সাড়ে চার বছর থেকে আমি লেবাননের "যাতারি রিফিউজি ক্যাম্প"-এ আছি। এখানে সিরিয়ানদের পাশাপাশি ইরাকি, ইয়াজিদি ও ফিলিস্তিনের রিফিউজিরাও আছেন। আমি জানি না আমার সাথে যা হয়েছে তা ইসলামী শরীয়ত সম্মত কিনা!! সত্যি সত্যি কী ইসলাম এই বর্বরতাকে সমর্থন করে? মুজাহিদরা সবাই ইসলামের কথা বলে আমার মতো হাজার হাজার মেয়ের জীবন নষ্ট করেছে। এরা মুজাহিদ নয়, এরা ছিল ভয়ঙ্কর হিংস্র সন্ত্রাসী। বাবা নামক পিশাচটাও। জানি না, বাবা-মা বেঁচে আছে কি না। তারা বেঁচে থাকা অথবা মরে যাওয়া আমার কছে কোন গুরুত্ব বহন করে না। পাঁচ বছর আগেই হৃদয়ের গহীনে তাদেরকে মাটি চাপা দিয়েছি। চিরতরে।

একদিন যাতারি ক্যাম্পের ইয়াজিদি বান্ধবী সুফিয়া আমাকে প্রশ্ন করেছিল-
-- আচ্ছা, কারাগার জীবন আর রিফিউজি ক্যাম্পের মধ্যে পার্থক্য কী?
-- জানি না। আমি তো কারাগার দেখিনি।
উত্তর দিয়েছিলাম আমি।
-- শোন, পার্থক্য সামান্যই। কারাগারে থাকে বিভিন্ন অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত কয়েদীরা। আর এসব রিফিউজি ক্যাম্পে থাকে যুদ্ধোপরাধীদের দ্বারা আঘাতপ্রাপ্তরা, পরাজিতরা।
-- তবে একটা কমন বিষয় আছে?
-- কমন?
-- হুম। কয়েদী আর রিফিউজিরা স্বপ্নবাজ
হয় না। স্মৃতি কাতর হয়।
-- হয়তোবা।

যে আমি প্রতিনিয়ত ইতিহাস নিয়ে পড়ার স্বপ্ন দেখতাম, সে কিনা আজ নিজেই ইতিহাসের অংশ হয়ে গেলাম। এ ইতিহাস নিয়ে আমার কোন আগ্রহ নেই। এটা হিংস্র। হয়তো আরো কয়েক বছর পর আমার মতো কোন ইতিহাস প্রেমী "সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ" নিয়ে আগ্রহ সহকারে গবেষণা করবে। সে কী জানবে আমার ইতিহাস? শুনেছি ইতিহাস নাকি পুরোটা সত্য নয়। কারণ ইতিহাস তো লেখে বিজয়ীরা। থাকে শুধু বীরত্বের জয়গান। আমার মতো পরাজিত সৈন্যের আবার ইতিহাস!!!

আমি তো সৈন্য নয়, একদম শুণ্য। পঁচে-গলে দুর্গন্ধ ছড়ানো ইতিহাসের একটা জীবাষ্ম মাত্র।

ওহ! আরেকটি তথ্য দিতে বিলকুল ভুলে গেছি; আমার জন্মের কথা বলা হয়নি। জন্ম সিরিয়ার উত্তর-পূর্ব সীমান্তে "বানু আল-খোয়ান" নামক একটি উপজাতি সম্প্রদায়ে। শুনেছি জন্মের সময় মা মারা যান, আর বাবা বছরখানেক পর নাকি হারিয়ে গিয়েছিলেন। তবে সত্য-মিথ্যা জানা নেই। এক বছর দুই মাস সতরো দিন বয়স থেকে আমি নতুন ঠিকানায়, নতুন বাবা-মায়ের সাথে ছিলাম।



সবাইকে মে দিবসের শুভেচ্ছা। গল্পটি ব্লগার (পদাতিক চৌধুরী) ভাইকে উৎসর্গ করলাম।

ফটো ক্রেডিট,
গুগল।

মন্তব্য ৫৮ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (৫৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা মে, ২০১৮ রাত ১:৩৫

মাআইপা বলেছেন: খুব কষ্ট পেলাম ভাই লেখাটা পড়ে।

০১ লা মে, ২০১৮ রাত ১:৪৭

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: হ্যা, কাহিনী কষ্টের। তবে সিরিয়া যুদ্ধে এমন ঘটনা ঘটেছে। মূলত: ধর্মের নামে ধর্মান্ধতা যে কতটুকু বিপজ্জনক তাই গল্পে বলেছি। এগুলো মানুষের বিবেককে বিকারগ্রস্ত করে দেয়।

২| ০১ লা মে, ২০১৮ রাত ২:০৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


প্লট সঠিক কিনা বলা কঠিন; তবে, সিরিয়ায় যা ঘটেছে, এটা শুধু আরবেই ঘটা সম্ভব। আরবীরা আরব, ওরা মানুষ নয়।

০১ লা মে, ২০১৮ রাত ২:১১

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: হ্যা, ঠিক বলেছেন। এটা কেবল আরবেই সম্ভব। ধর্মান্ধতা তাদের সমাজের পরতে পরতে। আমরা এ হিসাবে অনেক ভাল আছি।

৩| ০১ লা মে, ২০১৮ রাত ৩:২৪

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: এটা কি মৌলিক গল্প নাকি অনুবাদ? যাই হোক গল্পটা জঘন্য লাগল। এ ধরনের গল্প প্রকাশ করা উচিত নয়...

০১ লা মে, ২০১৮ রাত ৩:২৯

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: এটা মৌলিক গল্প। কাহিনীটা আপনার পছন্দ নাও হতে পারে। তবে তা জঘন্য নয়। সিরিয়ার যুদ্ধের বাস্তব ঘটনার উপর ভিত্তি করে গল্পটি লেখা।

৪| ০১ লা মে, ২০১৮ ভোর ৪:৩৪

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: চাঁদগাজী ভাই বলেছেন - আরবীরা আরব, ওরা মানুষ নয় - কথাটি ভয়ন্কর ভাবে সত্য । সিরিয়ায় রাওয়ানের মতো হাজারো লাখো শিশু বেঘর হাজারো শিশু কবরে মাটি চাপায় আছে - দায়ী কে ?


**কাওসার ভাই, আমদানী সহ আমি ইনডেন্ট এর কাজ করি আমার রাত জাগাও একটা কাজ, আমাকে রাতে পাবেন, ধন্যবাদা ভাই স্বরণ করেছেন।

০১ লা মে, ২০১৮ ভোর ৪:৪৭

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: আসলে বল্লে, অনেক কথাই বলতে হয়। যা এই খোলা মাঠে বলা যাবে না! তবে একটা কথা বলি ঠাকুরমাহমুদ ভাই, মানুষের কঠোর অন্ধবিশ্বাস প্রকৃত মানুষ হতে বাঁধাগ্রস্থ করে। কারণ, বিশ্বাস দর্শন মানে না, বিজ্ঞান মানে না, অন্য মতের জ্ঞাননীদের কথা শুনে না, সাহিত্য পড়ে না। এতে এ মানুষগুলো যুগের সাথে তাল মেলাতে পারে না। ফলে নিজের অজান্তেই একটা জটিল মানসিক সমস্যায় পড়ে।

০১ লা মে, ২০১৮ ভোর ৪:৫১

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: আমদানী সহ আমি ইনডেন্ট এর কাজ করি আমার রাত জাগাও একটা কাজ, আমাকে রাতে পাবেন, ধন্যবাদা ভাই স্বরণ করেছেন।
(আপনার ব্যবসার উত্তরোত্তর উন্নতি কামনা করছি)

৫| ০১ লা মে, ২০১৮ ভোর ৪:৫৭

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: বাংলাদেশে লিবিয়া’র অবদান আছে একটা বিশাল স্ংখ্যা লিবিয়া পাড়ি দিয়ে জনশক্তিতে রুপান্তরিত হয়েছে, আজকে বাংলাদেশে মুসলিম মুসলিম করে কাাঁদে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সিরিয়া ফিলিস্তিন করে কেঁদে বুক ভাসায় (ছবি আপডে মারে) অথচ দেশে রোহিঙ্গা দিয়ে পূর্ণ করে দিয়েছে সিরিয়া লিবিয়া ফিলিস্তিনি কেনো আনতে পারে নি ? ১৫ লক্ষ রোহিঙ্গা প্রবেশ অনুপ্রবেশ হয় আর
১০ / ২০ টা সিরিয়া লিবিয়া ফিলিস্তিন মাইগ্রেশন ইমিগ্রেশন বা রিফিউজি স্থান করা যায় না !!!

০১ লা মে, ২০১৮ ভোর ৫:০৮

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: এটা হলো হিপোক্রেসি। মূর্খরা হিংসুক হয়, আর হিংসুক ও গোড়া মানুষ ভয়ঙ্কর। এরা নিজের স্বার্থের বাইরে গিয়ে কিছু ভাবে না।
দেখুন, এই সিরিয়া-ইরাক যুদ্ধে বৃটেন-আমেরিকার পাশাপাশি সৌদি, কাতার ও দুবাইয়ের অবদান আছে। এরা আইএসকে অর্থ ও অস্ত্র দিয়ে সহযোগিতা করেছে। কিন্তু এই তিনটি দেশ একজনও যুদ্ধে দেশ ছাড়া হওয়া সিরিয়ান-ইরাকিদের আশ্রয় দেয়নি। কিন্তু কথায় কথায় বলতে "উই অল আর ব্রাদার"।

০১ লা মে, ২০১৮ ভোর ৫:১০

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: আরব এসব রিফিউজি আমাদের দেশে আসবে না। নিজেরা রিফিউজি, তাতে কী? তাই বলে মিসকিনের দেশে আশ্রয়!!!

৬| ০১ লা মে, ২০১৮ ভোর ৫:১৩

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
এই লেখায় এই ব্লগের যেহাদিগন বেশ অসন্তুষ্ট হয়েছেন মনে হচ্ছে।

০১ লা মে, ২০১৮ ভোর ৫:১৮

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: হাসান ভাই, সত্য কথা অনেক সময় তেঁতো হয়। তাই একটু মনোক্ষুন্ন হওয়াটাই অনুমিত। আমি সত্যটা তুলে ধরেছি মাত্র। লেখালেখি করি হিসাবে তা তুলে ধরা ন্যায় সঙ্গত। আশা করি পুরো গল্পটা মনযোগ দিয়ে পড়লে আমার ম্যাসেজটা পাঠকরা বুঝতে পারবেন।

৭| ০১ লা মে, ২০১৮ ভোর ৫:২৩

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: কাওসার ভাই, আমরা সম্মান দিতে জানি না, সম্মান দিলে তারা আসতো, আরবীয়রা ইউরোপে মানবেতর জীবন যাপন করছে আর আরবী মহিলারা ভুল পথে - কি করবে জীবন তো বাাঁচাতে হবে। ইউরোপ শিল্প কারখানার চেয়ে রেষ্টেুরেন্ট বার হোটেল আর ট্যুরিষ্ট বেশী অত্রএব যা চাহিদা তাই কর্ম।

ছাগল চিনে কাঠাল পাতা, রতনে রতন চিনে মানিকে মানিক !!!

০১ লা মে, ২০১৮ ভোর ৫:৩১

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: এ কথা একদম ঠিক। কারণ, অনেক আরব মহিলা আছেন এসব পশ্চিমা দেশে নিজেদের খাপ খাওয়াতে পারছে না। এছাড়া নেই নিরাপত্তা, নেই ভাল শিক্ষা ব্যবস্থা, নেই থাকার ভাল পরিবেশ ও প্রয়োজনীয় খাবার।
তবে আমরা তো খুব জনবহুল একটি দেশ। মুসলিম অনেক দেশ আছে যেখানে আয়তনের তুলনায় মানুষ কম সেখানে তাদেকে পূণর্বাসন করা যেতে পারে। যেমন- সৌদি, ইরান, উজবেকিস্তান, তুর্কেমেনিস্থান ও ইন্দোনেশিয়া।

০১ লা মে, ২০১৮ ভোর ৫:৩৪

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: "ছাগল চিনে কাঠাল পাতা, রতনে রতন
চিনে মানিকে মানিক !!!
আপনার এ কথাটি নিয়ে কিছু বল্লাম না!!

৮| ০১ লা মে, ২০১৮ ভোর ৫:৩৫

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: কাওসার ভাই, সিরিয়ান মহিলারা ফ্রুট এগ্রিকালচারে জেনেটিক শিক্ষিত - আমরা তাদের না নিয়ে ১৫ লক্ষ ইয়াবা কারীগর নিয়েছি ।

০১ লা মে, ২০১৮ ভোর ৫:৪৪

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: আপনার কথার সাথে আরেকটু যোগ করি, গল্পটি লেখতে গিয়ে সিরিয়া নিয়ে অনেক ঘাটতে হয়ছে। একটা বিষয় জানেন? কালচার ও ইতিহাস ঐতিহ্য রক্ষায় সিরিয়ানরা আরবের মধ্যে সেরা। এরা অনেক স্মর্ট, আত্মমর্যাদাবান, সুশিক্ষিত ও প্রগতিশীল। সিরিয়ায় ইস্টার্ন ইউরোপিয়ান প্রচুর মানুষের বাস, বিশেষ করে অনেক গ্রীক এখানে বাস করে। এরা অটোম্যান শাসনামলে এসেছে। আপনি তো জানেন- সিরিয়া, গ্রীস ও আলবেনিয়া ১৯১৭-১৯২২ সালের মধ্যে অটোম্যান মুক্ত হয়। এসময় প্রায় ২৫ লক্ষ মানুষকে অটোম্যানরা হত্যা করে।

০১ লা মে, ২০১৮ ভোর ৫:৪৬

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: এরা ইয়াবার কারবারী এতে কোন সন্দেহ হয়। আর অফিম উৎপাদনে মিয়ানমার পৃথিবীর সবচেেয়ে এগিয়ে। অফিম থেকে হেরোইন তৈরী হয়। হেরোইন হলো পৃথিবীর সবচেয়ে মারত্মক ড্রাগ।

৯| ০১ লা মে, ২০১৮ ভোর ৫:৪৮

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: আপনার এ কথাটি নিয়ে কিছু বল্লাম না!!
- নেগেটিভ নেওয়া যায় পজেটিভও সহজ করে দেই - আরবের পুরুষরা ভালো বিজনেস ইনভেষ্টর, আর মহিলারা রান্নায়, ফার্মিংয়ে, এগ্রিকালচারে, ব্যাকারী আইটেমে এমন কি হাতের কাজেও (তাদের সেলাই কাজ দেখার মতো - তবে কার্পেটের জন্য ইরান আর তুর্কি) মাত্র ১০ টা পরিবার বাংলাদেশে আনতে পারলে তারা দেখিয়ে ‍দিতো রেষ্টুরেন্টে খাবার কেমন হওয়া উচিত । আর ফলের চাষ কিভাবে করতে হয়। আমরা ফর্মালিন যুক্ত ফল খাবো এটাই আমাদের সৌভাগ্য !!!

০১ লা মে, ২০১৮ ভোর ৫:৫৩

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: একমত, সিরিয়ানদের সাথে রোহিঙ্গাদের কোন অবস্থাতে মেলানো যাবে না।
কথাটি ১০০% সত্যি। ইয়াবার কারবারীর পকেটে ফল/কার্পেটের ফর্মুলা থাকে না, থাকে বিষের বড়ি।
"মাত্র ১০ টা পরিবার বাংলাদেশে আনতে পারলে তারা দেখিয়ে ‍দিতো রেষ্টুরেন্টে খাবার কেমন হওয়া উচিত । আর ফলের চাষ কিভাবে করতে হয়। আমরা ফর্মালিন যুক্ত ফল খাবো এটাই আমাদের সৌভাগ্য !!!"

১০| ০১ লা মে, ২০১৮ ভোর ৫:৫৯

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আরবের মানুষ কি কখনো সভ্য ছিল? আজও কি তারা সভ্য।
তাদের কাছে মানবিক কিছু কখনোই আশা করা যায় না।

০১ লা মে, ২০১৮ ভোর ৬:০৮

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: কখনো সভ্য ছিল না, এখনো নয়। তবে ভবিষ্যতে কী হয় কে জানে!! সৌদি যেভাবে চেঞ্জ হচ্ছে। বলা তো যায় না। সৌদি এখন ইরানকে টেক্কা দিতে ইসরাইলের সাথে জোট করছে। অথচ, আমাদের পাসপোর্টে লেখা আছে, "আপনি ইসরাঈল ব্যথিত পৃথিবীর সব দেশ এই পাসপোর্ট নিয়ে ঘুরে আসতে পারেন!! ভাবছি সরকারের বিরুদ্ধে একটি মামলা করবো, কি বলেন? সাজ্জাদ ভাই।

১১| ০১ লা মে, ২০১৮ ভোর ৬:০৫

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: এটাই বলছি সুন্দরী বলে নয়, সিরিয়া লিবিয়া লেবানন মরক্কো তিউনিসিয়া এরা সুন্দরীর দেশ, তা প্রসঙ্গ নয় এরা বাই জেনেটিক শিক্ষিত তাদের কাছে আমাদের কোনো পজেটিভ দুতবার্তা ছিলো না, যা ছিলো বা আছে তা শুধু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পতাকা আর দুঃখগাথা, তাদের পূর্ণবাসন করা খুব সহজ হতো - তাছাড়া তাদের সাথে আমাদের আত্মিয়তা হতে সমস্যা তো দেখি না, বাই দ্যা ওয়ে আরবীয় মহিলারা ফলের রষে হাতে বানানো ফার্ষ্ট ক্লাস ওয়াইন তৈরি করবে তা আমরা চাইনি, আমরা চেয়েছি ড্রাগ হেরোইন ইয়াবা পেয়েছি ১৫ লক্ষ কারীগর এখন সামলান !!!

০১ লা মে, ২০১৮ ভোর ৬:১৭

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: হুম। কোথায় ফলের রস!! আর কোথায় হেরেইনের রস!! আমরা এই রসের চিপায় পড়ে চ্যাপটা। এখন কেউ ডাইল! খায় না। ইয়াবাতে বুঝি মজা বেশি!! শুধু কি তাই? রোহিঙ্গারা এখনো মন মানসিকতার দিক দিয়ে শত বছর পিছিয়ে আছে। তাদের একটি মেয়ের বয়স বিশ বছর হওয়ার আগেই পাঁচ সন্তানের জননী হয়। হিসাব করলে দেখা যায় তিন প্রজন্মের বাচ্ছা এরা এক প্রজন্মে জন্ম দেয়। এই বিষয়টি আমাকে বেশি ভাবাচ্ছে। আগামী ৩০ বছর এরা আমাদের দেশে থাকলে কেমন চাপ পড়বে আমাদের জনজীবনে একবার ভাবুন!!

১২| ০১ লা মে, ২০১৮ সকাল ৭:৩১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ভাই গাযে কাটা দিয়ে গেল। কথা বলতে পারছিনা । একটু স্বাভাবিক হয়ে ফিরছি।

০১ লা মে, ২০১৮ বিকাল ৪:০১

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: গল্পটি পড়েছেন জেনে ভাল লাগল।

১৩| ০১ লা মে, ২০১৮ সকাল ৮:০০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন:
Annelies Marie or Anne Frank was one of the most discussed Jewish victims of the Holocaust. Her wartime diary The Diary of a Young Girl has been the basis for several plays and films.

কাওসার ভাই অ্যানির এই ডায়েরীকে অন্তরে রেখেও বলবো, সিরিয়ায় লভ জিহাদের নামে যা বললেন,এ হাড় হিম করা সন্ত্রাস,দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে ঘটা অ্যানির ঘটনাকেও মনে হয় হার মানাবে।আর আরব জাতীয়তাবাদ নিয়ে সামন্য একটু পড়া আছে।তবে আজ আপনি যা দেখালেন, আমারতো একই সঙ্গে খ্রীষ্টপূর্ব ৮০০০-৩০০০ অব্দে ককেশীয় অঞ্চলে বা ভল্গা উপত্যকার কথা মনে পড়ে গেল।

০১ লা মে, ২০১৮ বিকাল ৪:০৬

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: Holocaust হলো পৃথিবীতে ঘটে যাওয়া এ পর্যন্ত গণহত্যার মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ ও নৃশংস। Jewish এ্যানির ডায়রির কথা শুনেছি তবে পড়া হয়নি। আসলে যুগে যুগে এ্যানি, রাওয়ানের মতো হতভাগী মেয়েরাই যুদ্ধে বলি হয়েছে নীরবে। আমাদের ৭১ এমন হয়েছে।

১৪| ০১ লা মে, ২০১৮ সকাল ৮:১০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: পোষ্টটি আমাকে উৎসর্গ করলেন দেখে, অন্তরের কৃতজ্ঞতা জানাই।সহ ব্লগার হিসাবে আপনার ভালোবাসার ঋন কোনোদিন শোধ হবার নয়।তবে আমার শ্রদ্ধেয় গাঁজী স্যার আবার লাভ জিহাদের সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক আছে কিনা এখনো পর্যন্ত প্রশ্ন করেননি। আগাম জানিয়ে রাখি, আমার এখনো বিদেশে যাওয়ার সুযোগ হয়নি। সুতরাং এই জিহাদের সঙ্গে আমার কোনো যোগ নেই।

অ....নে......ক.....কৃতজ্ঞতা.........আ......প.......না.......কে।

০১ লা মে, ২০১৮ বিকাল ৪:১৮

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: শ্রদ্ধেয় চাঁদগাজী সাহেব মনে হয় লেখার নীচের অংশটি খেয়াল করেন নাই। নতুববা আপনার নামটি বলতেন!! আর এ গল্পটি লেখতে যত সময় ব্যায় করেছি, লভ জিহাদ নিয়ে ঘাটাঘাটি করেছি, সিরিয়ার ইতিহাস নিয়ে পড়েছি, মানুষের সামাজিক ও পারিবারিক অবস্থা নিয়ে পড়েছি তা অন্য কোন গল্পের বেলায় করিনি। এটা আমার অনেক পরিশ্রমের ফল।

আমার সবচেয়ে আদরের এই গল্পটি তাই প্রিয় মানুষকে উৎসর্গ করেছি। গল্পটি যারা পড়বেন তারা দ্বিধায় পড়ে যাবেন, ভাববেন সত্য কোন ঘটনার বিবরণ শুনছেন। আমি এটাই চেয়েছি। গল্পে অনেক জিজ্ঞাসা আছে, বাস্তব সত্য আছে যা একুশ শতকের সভ্য সমাজ ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে।

এজন্য আমাকে কৃতজ্ঞতা জানানোর প্রয়োজন নেই। আপনাকে উৎসর্গ করে আমার ভাল লাগছে।

১৫| ০১ লা মে, ২০১৮ সকাল ১০:১৯

রাজীব নুর বলেছেন: চমৎকার একটি পোষ্ট।

এটা গল্প নয়, বাস্তব। গল্প হলেও লেখার কারিশমায় বাস্তব বলে মনে হচ্ছে।

০১ লা মে, ২০১৮ বিকাল ৪:০০

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: রাজীব ভাই, ধন্যবাদ। হ্যা, এটা গল্প। তবে আইএসরা লভ জিহাদের নামে ইরাক ও সিরিয়ায় এমনটি করেছে। লভ জিহাদ যে কতটুকু ভয়াবহ তা বুঝাতেই গল্পটি লেখা। পড়ে ভাল লেগেছে জেনে খুশি হলাম।

১৬| ০১ লা মে, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৫

শামচুল হক বলেছেন: কষ্টের কাহিনী

০১ লা মে, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৮

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ, শামচুল হক ভাই।

১৭| ০১ লা মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৩

নুরুন নাহার লিলিয়ান বলেছেন: আপনি লেখা কে অনেক জীবন্ত করে তুলতে পারেন । আপনার জন্য অনেক শুভ কামনা রইল ।

০১ লা মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৩

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: কৃতজ্ঞতা রইলো, ব্লগে আসার জন্য। হ্যা, আমি গল্পগুলো লেখতে একটু বেশি পরিশ্রম করি যাতে কাহিনীটা জীবন্ত হয়। জানি না কতটুকু পারি। এ গল্পটি লেখার আগে লাভ জিহাদ, সিরিয়ার ইতিহাস-ঐতিহ্য, সমাজ-সংস্কৃতি, মানুষের জীবন-জীবিকা, মানসিকতা ও সম্প্রতি ঘটে যাওয়া গৃহযুদ্ধ নিয়ে পড়াশুনা করে তারপর লেখেছি। যাতে লেখায় কোন ফাঁক ফোকর না থাকে।

আপনার জন্য অনেক শুভ কামনা রইল।

১৮| ০১ লা মে, ২০১৮ রাত ৮:১৪

মাকামে মাহমুদ বলেছেন: ব্যাপারটা দুঃখজনক।

০১ লা মে, ২০১৮ রাত ৮:৩৬

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: হ্যা, সত্যি দুঃখজনক। ব্লগে আসার জন্য কৃতজ্ঞতা রইল। অনেক শুভ কামনা আপনার জন্য।

১৯| ০১ লা মে, ২০১৮ রাত ৮:৫৮

মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: ১//লেখকের এমন আবেগময় লেখার হেতু কি????X(
এমন কোন ঘটনা দেখেছেন??? (Exceptional is not Example).

#আপনি গল্পের মাধ্যমে বাবা-মাদের অশ্রদ্দা/অপমান করেছেন সেটা জানেন??

২// সিরিয়ার বিদ্রোহী ও আসাদ সম্পর্কে আপনার ধারনা কি?

৩// কসাই আসাদের সাথে গাদ্দাফি ও সাদ্দামের পার্থক্য কী??

#কিছু মাথামোটা, সুবিধাবাদী, কালার ব্লাইন্ডকে দেখছি???

@বিচার মানি তালগাছ আমার, সহমত।

(আজ মেজাজ গরম):(

০১ লা মে, ২০১৮ রাত ১০:০১

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: মেজাজটা যেহেতু গরম, তাহলে আর রাগানো ঠিক হবে না!! আপনার গোপন মিশন কেমন চলছে। যেখানেই থাকেন, সময় সুযোগে ব্লগে আসবেন। না হলে অনেক মিস করবো।

অনেক শুভ কামনা আপনার জন্য।

২০| ০১ লা মে, ২০১৮ রাত ১০:৫৭

মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: সমস্যা নাই, এসি চলছে। মেজাজও কন্ট্রোলে আছে। প্রশ্নের উত্তর দিন....:)
(বিডিঃ ১১:৩০ পর্যন্ত আছি)

মিশন কাল থেকে শুরু হবে।।

০২ রা মে, ২০১৮ রাত ১২:০৮

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: গেলেন বড় ধুমধাম করে তারপর মেজাজ এতো চড়া? এসির বাতাসে মেজাজ কন্ট্রোলে আসবে।

(১) অপমান করিনি। একটা বাস্তব সত্য তুলে ধরেছি। এমনটা ঘটেছে।
(২) দুই পক্ষই মানবতার শত্রু।
(৩) পার্থক্য নেই, সব কসাই একই গোত্রের।

যাক আশা করি এখন মেজাজ বাবাজি কন্ট্রোলে আছেন!!

শুভ রাত্রি।

২১| ০১ লা মে, ২০১৮ রাত ১১:০৬

নীলপরি বলেছেন: খুব ভালো লাগলো ।

০২ রা মে, ২০১৮ রাত ১২:০৯

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ। এখন আপনার লেখাটি পড়বো।

২২| ০২ রা মে, ২০১৮ রাত ১২:২৭

সনেট কবি বলেছেন: চৌধুরী সাহেব পশুগুলোর যথাযথ পরিচয় উপস্থাপন করেছেন।

০২ রা মে, ২০১৮ রাত ১২:৪৪

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ, স্যার। মন্তব্য করার জন্য কৃতজ্ঞতা। মে দিবসের শুভেচ্ছা।

২৩| ০২ রা মে, ২০১৮ রাত ১২:৪০

রায়হান ইমন বলেছেন: মর্মস্পর্শী গল্প :(
লেখনীর ভঙ্গি দারূন +

০২ রা মে, ২০১৮ রাত ১২:৫০

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: রায়হান ভাই, শুভেচ্ছা নেবেন। হ্যা, গল্পটি মর্মস্পর্শী। তবে বাস্তব ঘটনার উপর ভিত্তি করে লেখা। আমার লেখার স্টাইল ভাল লেগেছে জেনে খুশি হলাম।

মে দিবসের শুভেচ্ছা।

২৪| ০২ রা মে, ২০১৮ রাত ১:২৪

মাহের ইসলাম বলেছেন:
এক নিশ্বাসে না পড়ে, পারলাম না।
মর্ম স্পর্শী।

০২ রা মে, ২০১৮ রাত ১:৫৩

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: মাহের ভাই, খুশি হলাম। শুভেচ্ছা নেবেন।

২৫| ০২ রা মে, ২০১৮ সকাল ১০:০১

শিখা রহমান বলেছেন: গল্পটা ভালো লেগেছে। আপনি বেশ ভালো লেখেন। শুভকামনা থাকলো।

০২ রা মে, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৪

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: আপা, গল্পটি পড়েছেন। এজন্য কৃতজ্ঞতা রইলো। আমি আপনার গল্প পড়েছি। বেশ ভাল মানের গল্প লেখেন আপনি। গল্পের কাহিনী, চরিত্র আর কথামালা বেশ পরিপাটি, গোছানো। আপনার জন্য অনেক শুভ কামনা রইলো।

২৬| ০৩ রা মে, ২০১৮ রাত ৩:৪০

সোহানী বলেছেন: যেদিন লিখাটা পোস্ট করেছেন সেদিনই পড়েছিলাম অফিস যেতে যেতে ট্রেনে। যেহেতু মোবাইলে তাই বাংলা কমেন্ট করতে পারছিলাম না। অসাধারন হয়েছে লিখাটা।

অামি জানি না সত্য মিথ্যা সিরিয়ানদের জীবন নিয়ে তবে এখানে এখন প্রচুর সিরিয়ান নিয়ে আসছে সরকার রিফিউজি হিসেবে। জার্মান সরকার ও অনেক সিরিয়ান নিচ্ছে। সবই ঠিক আছে কিন্তু সমস্যা হলো সাধারন জনগন খুব সহজভাবে নিচ্ছে না তাদের। কারন এরা অনেকেই জব না পেয়ে অপরাধের সাথে জড়িয়ে যাচ্ছে। তার উপর সরকারী ভাতা বরাদ্ধ নিয়েও অনেকে ক্ষেপেছে।

গল্পে সত্যিই ভালোলাগা।

০৩ রা মে, ২০১৮ ভোর ৪:৪০

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: লন্ডনেও ঠিক এমনটা ঘটছে। স্থানীয় মানুষ বিষয়টিকে সহজভাবে নেয়নি। আইন কঠোর বলে প্রকাশ্যে কেই কিছু বলছে না। আর সমস্যা হলো এরা হঠাৎ করে উন্নত দেশগুলোতে যখন যায় তখন স্থানীয় সিস্টেমগুলোতে সহজে ম্যাচ করতে পারে না। এছাড়া আছে কালচার ও ভাষাগত সমস্যা। এরা স্কীলফুল নয় বলে কোন কাজ করতে পারে না।

এজন্য সমস্যা কেবলই বাড়ে। এছাড়া যুদ্ধের ভয়াবহতায় এদের অনেকে পরিবার পরিজন হারিয়ে হিংস্র হয়ে উঠে। ফলে লকাল কমিউনিটিতে সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

২৭| ০৩ রা মে, ২০১৮ বিকাল ৩:১৩

করুণাধারা বলেছেন: খুব কষ্টকর গল্প, কিন্তু সত্য যে কঠিন, কঠিনেরে ভালোবাসিলাম। কষ্ট পেলেও গল্পটা পড়ে ভালো লাগলো, কারন আপনার লেখনশৈলীতে পারদর্শিতা। ভালো লিখেছেন।

০৩ রা মে, ২০১৮ বিকাল ৪:০৩

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: শুভেচ্ছা নেবেন। গল্পটি পড়েছেন জেনে ভাল লাগলো। হ্যা, কাহিনীটা কষ্টের, তবে খুব শিক্ষণীয়। আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.