নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জন্মসূত্রে মানব গোত্রভূক্ত; এজন্য প্রতিনিয়ত \'মানুষ\' হওয়ার প্রচেষ্টা। \'কাকতাড়ুয়ার ভাস্কর্য\', \'বায়স্কোপ\', \'পুতুলনাচ\' এবং অনুবাদ গল্পের \'নেকলেস\' বইয়ের কারিগর।

কাওসার চৌধুরী

প্রবন্ধ ও ফিচার লেখতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। পাশাপাশি গল্প, অনুবাদ, কবিতা ও রম্য লেখি। আমি আশাবাদী মানুষ।

কাওসার চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিলাতে কলুষিত বাংলাদেশি রাজনীতি (পলিটিক্স)

০৩ রা মে, ২০১৮ রাত ৩:১৩


"ঢেঁকি স্বর্গে গেলেও ধান ভানে"- বাংলায় বহুল প্রচলিত এ প্রবাদটি আমরা কমিবেশি সবাই শুনেছি। বাঙালিদের চিরায়ত অভ্যাসের কথা বুঝাতে আমাদের সমাজে প্রবাদটি ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। বাঙালিরা/বাংলা ভাষাভাষীরা পৃথিবীর যেসব দেশে বসবাস করে সেখানে তারা তাদের আচার-আচরণ, কৃষ্টি-কালচার ও অভ্যাসগুলোকেও সাথে করে নিয়ে যান। এটা চিরায়ত। এতে দোষের কিছু নেই। তবে বাংলাদেশীরা বাকি সবকিছুর সাথে দেশের রাজনীতিটাও নিয়ে যায় চর্চা করার জন্য। এটা এখন অনেকটা বাংলাদেশী সংস্কৃতির অংশ হয়ে গেছে। তবে পশ্চিমবঙ্গের বাঙালিদের সাথে বাংলাদেশের বাঙালিদের কিছুটা গুণগত পার্থক্য আছে। পশ্চিমবঙ্গের লোকজন দেশান্তরিত হওয়ার সময় নিজস্ব সংস্কৃতিটা নিয়ে গেলেও রাজনীতির চর্চাটা দেশে রেখে যায়।

পৃথিবীর যেসব দেশে বাংলাদেশীদের সংখ্যা বেশী সেখানে দেশীয় রাজনীতির চর্চাও বেশি হয়। এসকল দেশে রাজনৈতিক দলগুলোর অঙ্গ সংগঠনগুলোও সমানভাবে সক্রিয়। দেশের মত সেখানে ছোট ছোট শহরগুলোতেও রাজনৈতিক দলগুলোর কমিটি আছে। বাংলাদেশের বাইরে সম্ভবত যুক্তরাজ্যে প্রধান প্রধান রাজনৈতিক দল ও তাদের অঙ্গ সংগঠনগুলো অন্য যেকোন দেশের চেয়ে বেশী সক্রিয়।

দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর পারস্পরিক সহিংস মনোভাব যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশী কমিউনিটির কাছে লজ্জার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সুস্থ ধারার রাজনীতি বাদ দিয়ে দেশের মত সহিংস মনোভাব কমিউনিটিকে প্রতিনিয়ত করছে ক্ষত-বিক্ষত। এতে দেখা দিয়েছে সামাজিক বিভেদ ও বিশৃংখলা। কমিউনিটি এখন স্পষ্টত ডান ও বাম দু"টি ধারায় বিভক্ত। এছাড়াও আছে বিভিন্ন ইসলামী দলের রাজনৈতিক কার্যক্রম। মিছিল, পাল্টা-মিছিল, হাতাহাতি, গালাগালি, বোতল ছোড়াছুড়ি থেকে ডিম নিক্ষেপ পর্যন্ত সব রকম ইতরামি/বিনোদন আছে তাতে। বিশেষ করে দুই নেত্রীর যুক্তরাজ্য সফরের সময় রাজনৈতিক চুলাচুলি ও প্রতিহিংসা চরম পর্যায় পৌছায়।

২০১৫ সালের কথা। একদিন সেন্ট্রাল লন্ডনের পার্কলেন (Park Lane) দিয়ে যাওয়ার সময় একটি নামীদামী পাঁচ তারকা হোটেলের পাশে অনেক বাংলাদেশীকে বিক্ষোভ করতে দেখলাম। দুই দল হোটেলের দুই পাশে ঢিল ছোড়া দূরত্বে অবস্থান করছে। পুলিশ মাঝখানে। মিছিল পাল্টা মিছিল চলছে। শুধু কি মিছিল? এক দল অন্য দলকে জুতা পর্যন্ত দেখাচ্ছে! কৌতুহলী হয়ে একটু এগিয়ে এসে জানতে পারলাম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হোটেলটিতে অবস্থান করছেন। এখানে একদল এসেছেন নেত্রীর বন্ধনা করতে, আর অন্যদল এসেছেন নেত্রীকে তিরষ্কার করতে, প্রতিবাদ জানাতে। সাধারন পথচারীরা ভয়ে আতংকিত হয়ে উৎসুক দৃষ্টিতে তাদের দিকে তাকাচ্ছে। এলাকাটি লন্ডনের অন্যতম ভিআইপি ও ব্যস্ততম। বিশেষ করে বিভিন্ন দেশের হাজার হাজার টুরিস্ট প্রতিদিন এখানে আসে।



লন্ডনের বিখ্যাত হাইড পার্ক, হার্ডরক ক্যাফে ও রীজ হোটেল এখানে অবস্থিত। এছাড়া আমেরিকা, কানাডা সহ পৃথিবীর অসংখ্য দেশের কুটনৈতিক মিশন এ এলাকায়। আছে অসংখ্য পাঁচ তারকা হোটেল, নামীদামী রেস্টুরেন্ট, বার ও শপিং মল। আর হোটেলটির সামনের রাস্তা পার হয়ে পার্কের পথ ধরে একটু সামনে এগিয়ে গেলেই বাকিংহাম প্যালেস (রাণীর বাড়ি)। হোটেলটির গাঁ ঘেসে জাপানী এম্বেসি। এম্বেসির লোকজনকে দেখলাম ভীত হয়ে পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে। লাইনে দাঁড়ানো ভিসা প্রত্যাশিরা যার পর নাই বিরক্ত হচ্ছে। আর দেশের মহান এ রাজনৈতিক নেতাদের পাহারা দিতে লন্ডন মেট্রপলিটন পুলিশ তো আছেই।

খালেদা জিয়াও যুক্তরাজ্যে অবস্থান করলে ঠিক এমনটাই হয়। অনেকটা মূদ্রার এপিট ওপিট। কেউ কাউকে এক চুল পরিমাণ ছাড় দিতে রাজি নয়। দেশীয় রাজনৈতিক চর্চায় যুক্তরাজ্যে আওয়ামী লীগ-বিএনপি সমানে সমান, শক্তিতে ঊনিশ কুড়ি। এমন পরিস্থিতি শুধু কি হোটেলের সামনে? এ রাজনৈতিক বিনোদন মঞ্চায়ন হয় এয়ারপোর্টে পর্যন্ত। সুনামির গতিতে এরা খবর পায় কোন নেত্রী কখন, কোন বিমানে হিথ্রোতে পৌছিবেন। যাবতীয় কাজ ফেলে দুই দলের সব নেতা নেত্রীরা প্লে কার্ড, ফেস্টুন নিয়ে এয়ারপোর্টের বাইরের দরজায় দাঁড়িয়ে থাকে। পাশাপাশি চলে পক্ষের সাপোর্টারদের নেত্রী তোষণ ও বন্ধনা। এ সময় বিপক্ষের নেতা নেত্রীদের মুখে জ্বালাময়ী স্লোগানে থাকে ভৎসনা ও তিরস্কার। কখনো নোংরা গালি-গালাজ, সাথে সাম্প্রদায়িক উস্কানি।

কিছু মিছিলের নমুনা,

হই..... হই..... রই..... রই
----(নাম)---- গেল কই।।

হরে কৃষ্ণ হরে রাম
-()- বাপের নাম।।

----(নাম)---- গালে গালে
জুতা মারো তালে তালে।।

এছাড়া- চুরের মা, জুতার ফিতার কণ্যা, ভোট চোর, ভারতের দালাল, পাকির জারজ/দালাল কত নামে গলা ফাটিয়ে স্লোগান, সাথে নোংরা ভাষায় লেখা প্লে কার্ড, জুতা প্রদর্শনী আর বিশ্রী অঙ্গভঙ্গি তো আছেই!

আওয়ামী লীগ-বিএনপির পাশাপাশি ইসলামী দলগুলোও যুক্তরাজ্যে বেশ সক্রিয়। জামায়াতে ইসলামীর রাজনৈতি কর্মকাণ্ড মূলত ইস্ট লন্ডন মসজিদকে কেন্দ্র করে পরিচালিত হয়। ইস্ট লন্ডন মসজিদ যুক্তরাজ্যের সর্ব বৃহৎ মসজিদ হওয়া সত্ত্বেও শুধুমাত্র রাজনৈতিক মতবেদের কারণে অনেকে মসজিদে নামাজ আদায় করতে আসে না। দেশের প্রতিহিংসার রাজনীতি সেখানে মসজিদ, মাদ্রাসা পর্যন্ত বিস্তৃত। ইস্ট লন্ডন মসজিদ ও ব্রিকলেন মসজিদ ঢিল ছোড়া দূরত্বে থাকলেও মসজিদ পরিচালনা কমিটির রাজনৈতিক আদর্শের ভিন্নতা থাকায় কট্টরপন্থিরা ভূলেও অন্য মসজিদে সালাত আদায় করতে যায় না। ব্রিকলেন মসজিদ বাংলাদেশের একটি আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলের মতাদর্শের কমিটি দ্বারা পরিচালিত হয়।

লন্ডনের বৃহত্তম "ইস্ট লন্ডন মসজিদ" যতটুকু নামাজ পড়ার জন্য বিখ্যাত, তারচেয়ে অনেক বেশি বিখ্যাত রাজনীতির কেন্দ্র হিসাবে। আর আলতাব আলী পার্ক যতটুকু না শহীদ মিনারের জন্য বিখ্যাত তারচেয়ে অনেক বেশি বিখ্যাত মিছিল-মিটিং, গালি-গালাজ, মারামারি আর জোতা ছুড়াছুড়ির জন্য।


বাংলাদেশের বিভিন্ন জাতীয় দিবস, প্রতিবাদ সভা, মানববন্ধন ও রাজনৈতিক সমাবেশের জন্য পূর্ব লন্ডনের হোয়াইট চ্যাপল হাই স্ট্রিটে অবস্থিত আলতাব আলী পার্ক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ১৯৭৮ সালের ৪ মে কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে আলতাব আলী নামের এক বাংলাদেশী এখানে বর্ণবাধীদের হাতে নিহত হন। তার বাড়ি সিলেট জেলায়। ১৯৯৮ সালে স্থানটিকে সরকার আলতাব আলী পার্ক হিসাবে নামকরণ করে। ১৯৯৯ সালে পার্কের এক কোনায় একটি শহীদ মিনার স্থাপন করা হয়। বাংলাদেশের জাতীয় দিবসগুলোতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং সাধারণ মানুষ শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে আসেন।

দুঃখজনক হলেও সত্য এখানেও চলে রাজনৈতিক নোংরামি। কে কার আগে ফুল দেবে, কোন রাজনৈতিক দলের বহর কত বড় হবে তা নিয়ে চলে প্রতিযোগিতা। এজন্য প্রতি বছর স্থানীয় কাউন্সিল থেকে বিপুল পরিমাণ পুলিশ মোতায়ন করা হয়। এসব দিবসগুলোতে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা ও স্মৃতিচারণের চেয়ে ব্যক্তিগত প্রচারণা ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য মূখ্য হয়ে উঠে।

পাকিস্তান আমল থেকে বাঙালিদের বাস যুক্তরাজ্যে থাকলেও বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে ধীরে ধীরে বাংলাদেশি রাজনৈতিক দলগুলো সক্রিয় হতে থাকে। নব্বই এর দশক থেকে গত শতাব্দীর শেষ পর্যন্ত রাজনৈতিক দলগুলোর গতি বেগতিক হয়। এসময় বাংলাদেশে রাজনীতিতে সক্রিয় তরুণ ও যুবকরা বিলাতে এসে দেশীয় রাজনীতির মোহ ত্যাগ করতে না পারায় বাংলাদেশের রাজনৈতিক বিভিন্ন দল উপদলে বিভক্ত হয়ে পড়ে। রাজনীতির মত একটি সিরিয়াস বিষয়কে তারা বিনোদন হিসাবে নেয়। কালের বিবর্তনে এখন তা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। বিলাতের স্থানীয় রাজনীতিতে তাদের তেমন আগ্রহ নেই।

জামায়াত, জাতীয় পার্টি, হেফাজত, খেলাফত, জমিয়ত, দেওয়ানবাগী, আটরশি, চরমোনাই, আল-ইসলাহ, কে নেই তাতে? সবাই বহাল তবিয়তে ঘাঁটি গেড়ে আছেন। মূল দলের পাশাপাশি উপদলগুলোর কমিটিও সেখানে বেশ সক্রিয়। এছাড়া কোন কোন ক্ষেত্রে বাদ পড়াদের বিদ্রোহী গ্রুপও দেখা যায়। শোনা যায় এসব দলের গুরুত্বপূর্ণ পদ পেতে অনেক সময় বড় অঙ্কের টাকা লেনদেন হয়। এছাড়া দেশে বিভিন্ন মামলার আসামী, চিহ্নিত সন্ত্রাসী, দুর্ণীতি মামলায় পলাতক এমনকি দেশে খুনের মামলায় সাজাপ্রাপ্তরাও অনেক সময় এসব দলের গুরুত্বপূর্ণ পদে স্থান পায়।

নেতাদের অনেকের বেগমরাও মহিলা দল/লীগে বিভক্ত। আর হ্যা, কমিটিও আছে! বড় নেতা/নেত্রী ব্রিটেনে বেড়াতে গেলে এসব নেত্রীরা তাদের বেশ আদর আপ্যায়ন করে থাকেন। গুরুত্বপূর্ণ মিছিল/অবরোধেও অংশ নেন।


মূলত কেন্দ্রের আসকারা পেয়ে এসব লোক যাদের বেশির ভাগই বিত্তবান, রাজনীতির নামে কমিউনিটিতে বিভেদ সৃষ্টি ও প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা করে। দেশ থেকে বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা/নেত্রী ও মন্ত্রীরা যুক্তরাজ্য ভ্রমণে গেলে কমিটির এসব লোকজন তাদের তোয়াজ করেন, সংবর্ধনা দেয়, টাকা পয়সা চাঁদা দেয়। এসব সুবিধা পেয়ে কেন্দ্রীয় কমিটির নেতারা বিদেশের এসব কমিটিগুলোকে অনুমোদন করে। রাজনীতির নামে চলে কমিউনিটিকে নিয়ে টানা হেচড়া। এখন ব্রিটেনে বাঙালি কমিউনিটি নেই, এটি এখন পলিটিক্স কমিউনিটি। এসব মিছিল, মিটিং আর পিকেটিংয়ে একজনও ভাল, বিবেকবান, সুশিক্ষিত ও সভ্য মানুষ ভুলেও যায় না। এগুলো দেখে লজ্জায় মুখ লোকায়। আর ব্রিটেনে বাংলাদেশী টিভি চ্যানেলগুলো হলো রাজনীতির আখড়া। যদিও অতি নিম্মমানের এসব প্রচার যন্ত্র সভ্য বাঙালিরা দেখে না।

অবাকের বিষয় যুক্তরাজ্যে পৃথিবীর অন্যকোন দেশের রাজনৈতিক দলের কার্যক্রম আমার চোখে পড়েনি। আমাদের চেয়েও অনেক বেশী দরিদ্র ও যুদ্ধ বিগ্রহে ক্ষতিগ্রস্ত কোন দেশেরও নয়। পৃথিবীর বৃহত্তম গণতান্ত্রীক দেশ ভারতের কোন রাজনৈতিক দলের নাম পর্যন্ত নিতে কাউকে শুনিনি। তাদের ভাষায় ভারতীয় রাজনীতি করলে যুক্তরাজ্যে বসে করব কেন? এটা তো ভারতীয় রাজনীতির ময়দান না। পারলে এদেশের মূল ধারায় রাজনীতি করব, ভারতের নয়।

এসব দেশের প্রধানমন্ত্রী/রাষ্ট্রপতিকে সবাই মিলে গণ সংবর্ধনা দেয়। বিভিন্ন সমস্যা ও সম্ভাবনার কথা তুলে ধরে। রাষ্ট্র প্রধান হিসাবে তিনি তো আমার দেশটাকে বিশ্বব্যাপী প্রতিনিধিত্ব করছেন। তার অপমান কি নিজের অপমান নয়? এখানে ব্যক্তিগত পছন্দ অপছন্দের জায়গা নেই। সবার আগে দেশ।

যুক্তরাজ্যে জন্ম নেওয়া নতুন প্রজন্ম এসব রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডকে ভাল চোখে দেখে না। প্রচন্ড বিরক্ত হয়। নেতাদের সন্তানরাও তাদের এমন রাজনীতিকে সাপোর্ট করে না। যার ফলে বাংলাদেশকে নিয়ে তাদের মনে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। তারা বাপ-দাদার জন্মভূমির প্রতি কোন টান ও দায়বদ্ধতা অনুভব করে না। বাংলাদেশ মানেই একটি দরিদ্র, অধিক জনসংখ্যায় ভরপুর, প্রাকৃতিক দূর্যোগ, রাজনৈতিক হানাহানির একটি অসভ্য ও বর্বর দেশ হিসাবে তাদের অনেকেই মনে করে। সাধারন মানুষ যারা সব সময় দেশের রাজনীতির খবরা খবর রাখেন কিন্তু সে দেশে কোন রাজনৈতিক দলকে সাপোর্ট করেন না তারাও এসব রাজনৈতিক কমিটির কার্যক্রমকে ভাল চোখে দেখে না। আর সে দেশের মূলস্রোতে যারা রাজনীতি করেন তারা প্রতিনিয়ত লজ্জিত হন এসব প্রতিহিংসা ও আদর্শহীন রাজনীতি দেখে।।



ফটো ক্রেডিট,
গুগল।

মন্তব্য ৫০ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৫০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা মে, ২০১৮ রাত ৩:২৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


প্রবাসে বাংগালীদের বড় সমস্যা হলো, তারা রাজনীতির নামে দলাদলি করে।

০৩ রা মে, ২০১৮ রাত ৩:৫৪

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: শুধু শুধু দাালালী করলে সমস্যা ছিল না। এতে চলে ঘৃণা আর প্রতিহিংসার রাজনীতি। ফলে বাংলাদেশি কমিউনিটি বিভক্ত হয়ে পড়েছে। এটা কমিউনিটির জন্য মোটেও ভাল লক্ষণ নয়।

২| ০৩ রা মে, ২০১৮ রাত ৩:৪২

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: প্রবাসীদের ভোট দেয়ার সিস্টেম নাই তবুও এত মারামারি। যদি ভোট দেয়ার সুযোগ তৈরি হয় তাহলে খুন খারাবিও শুরু হবে। তবে দুই রানী মজা পান, তাই বন্ধ করেন না। কিন্তু যারা নিজের ব্যবসা, চাকুরি বাদ দিয়ে প্রবাসে রাজনীতি করছেন তাদের কী স্বার্থ থাকতে পারে? তারা হয়তো শেষ জীবনে দেশে ফিরে কিছু করবেন বলে নেতাদের সাথে হাত রাখার জন্য রাজনীতি করছেন। নতুবা, ইউরোপ, আমেরিকা থেকে তো তাদের প্রজন্মও আর দেশে ফেরত যাবে না বলেই মনে হয়...

০৩ রা মে, ২০১৮ ভোর ৪:০৩

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: ভাইজানের নামটা জানি না। তবে কৃতজ্ঞতা জানাই আমার লেখাগুলোতে কমেন্ট করার জন্য। এদের ভোটাধিকার থাকলে মারামারি/খুণাখুণি হতো নিশ্চিত। এটা সেখানকার কমিউনিটির কাছে পলিটিকাল বিনোদন হিসাবে পরিচিত। এরা সেদেশের মূল ধারায় রাজনীতি করতে পারে না বা পাত্তা পায়না বলে দেশীয় রাজনৈতিক বিনোদনে নিজেদের সম্পৃক্ত করে। এতে তারা অনেক গর্ববোধ করে, আনন্দ পায়। তবে তাদের সন্তানরা বাংলাদেশকে একটি অতি নোংরা, আনকালচার্ড ও তৃতীয় বিশ্বের একটি দেশ মনে করে।

৩| ০৩ রা মে, ২০১৮ রাত ৩:৫৬

সোহানী বলেছেন: কাওসার ভাই, যেহেতু দেশে বিদেশে দুই জায়গাই থাকি সাথে ইর্ন্টান্যাশানাল জব করি তাই অনেক কিছুই বাহির হতে কিংবা ভীতর থেকে দেখি বা দেখছি। নিজের মাথা নিজে কিভাবে কাটি তার কথা বলে আর কত লজ্জা পাবো।

ভারত বা নিদেন পক্ষে পাকিস্তানে ও কত রাজনৈতিক দলাদলি কিন্তু দেশের স্বার্থে সবাই এক। কখনই প্রকাশ্যে বিদেশের মাটিতে নিজের দেশের বদনাম হতে পারে এমন কিছু করে না। আর আমরা একেকটা স্টুপিট।

আস সকালেই একটু মেজাজ খারাপ করলাম এক বাংলাদেশীর সাথে। সকালে নোটিশ্ড হলাম আমার গাড়ির উপরের ছাদ থেকে পানি সিমেন্ট পড়ে গাড়ির যাচ্ছেতাই অবস্থা। আমার গাড়ির আবার ওপেন হুড, বুঝেন অবস্থা। কমপ্লেইন করতে যেয়ে দেখি অফিসে এক বাংলাদেশী আছে। এডমিন মেয়েটি সাহায্যে এগিয়ে আসলে সেই বাংলাদেশী বলে উঠলো, আরে যে এর দায়িত্বে সে নেই, আপনি পরে আসে। অামি বল্লাম গাড়ি এখনই না সরালে অামার হুড গ্লাস পুরোপুরি নস্ট হয়ে যাবে। সে আমাকে হাইকোর্ট দেখানো শুরু করলো। তারপর যখন একটা চরম ধমক লাগালাম, অমনি চুপ করলো।........

এক কানাডায় কয়টা বাংলাদেশী দল আছে, জানেন!!!!!! শুনলে মাথায় হাত দিবেন।

০৩ রা মে, ২০১৮ ভোর ৪:২২

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: ভারত বা নিদেন পক্ষে পাকিস্তানে ও কত রাজনৈতিক দলাদলি কিন্তু দেশের স্বার্থে সবাই এক। কখনই প্রকাশ্যে বিদেশের মাটিতে নিজের দেশের বদনাম হতে পারে এমন কিছু করে না। আর আমরা একেকটা স্টুপিট।"
........আপনার এই কথাটি আমার মনে সব সময় উদয় হয়। সত্যি বলছি ভারত বাদ দেন, পাকিদের কোন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড লন্ডনে আমার দৃষ্টিতে পড়েনি। এই বিষয়টা আমাকে যার পর নাই অবাক করেছে। বিষ্মিত হয়েছি। আমরা পাকিদের চেয়েও অধম!! কথায় কথায় মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আওড়াই কিন্তু বাস্তবে, আচরণে সাক্ষাৎ রাজাকার।

আপা আমরা একটা হিপোক্রেট জাতি। সত্যি বলছি। আপনি কানাডায় অনেক আরামে আছেন। কানাডা পুরো পশ্চিম ইউরোপের চেয়েও বড়। সো কানাডায় যত নেতা/উপনেতা আছে তাদের বিশাল দেশ গিলে ফেলছে। কিন্তু ব্রিটেন ছোট একটা দেশে। কয়েক হাজার নেতার মুভমেন্ট প্রতিনিয়ত লন্ডন হয়। এজন্য ভদ্র বাংলাদেশি লন্ডনবাসী বেশ বেকায়দায় আছেন।

আর যে মেয়েটির কথা বল্লেন, এটা ওর দোষ না, দোষটা বিষাক্ত রক্তের।

৪| ০৩ রা মে, ২০১৮ ভোর ৫:০৪

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: বিদেশে রাজনীতির দল করা উভয় দেশের আইনেই বেআইন। বাংলাদেশের কোন দলেই গঠনতন্ত্রে এর অস্তিত্ব না থাকলে গৌরবে চলে প্রবাসে দেশের দলবাজি।

০৩ রা মে, ২০১৮ ভোর ৫:০৯

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: দেশের বড় রাজনৈতিক দলগুলোর আস্কারা পেয়ে বিদেশে এরা এতো দলাদলি করে। দলগুলোর নেতারা বিজিটে গেলে এরা জামাই আদর করে। পকেট ভরে টাকা দেয়, তৈল মর্দন করে, চামচামি করে, পকেট মানি দেয় তাই দলগুলো এদেরকে কমিটি করতে, দলাদলি করতে উৎসাহিত করে।

৫| ০৩ রা মে, ২০১৮ ভোর ৫:০৭

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: এ ব্যাপারে বাংলাদেশ প্রতিদিন সম্পাদক নঈম নিজামের বিশাল একটি লেখা পড়েছি। সেটা গুগুলে খুজে পড়তে পারেন। এক দম মনের কথা তুলে এনেছেন।

০৩ রা মে, ২০১৮ ভোর ৫:১৪

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: লেখাটি পড়িনি। পড়বো। এটা আমার দীর্ঘ অভিজ্ঞতার আলোকে লেখা। বিশ্বাস করেন এগুলো দেখে বিদেশিরা ছিছি দেয়। আমাদের পুরো দেশটাকে একটা অসভ্য জাতি হিসাবে মনে করে। আর সজ্জন বাংলাদেশিরা লক্ষ/হাজার হাত দূরে থাকে এগুলো থেকে। এরা না পারে এই গুন্ডামী হজম করতে না পারে গালি দিতে, না পারে আত্মসম্মান নিয়ে বাঁচতে।

৬| ০৩ রা মে, ২০১৮ সকাল ৭:২৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ধন্যবাদ, কাওসার ভাই।আপনার পোষ্টটি পড়ে বাঙালী হিসাবে গর্ববোধ না করে পারিনা। বাঙালী কাঁকড়ার জাত। আমার বিদেশী ভায়েরা যতই স্বদেশ ছেড়ে থাকুন না কেন, নিজস্ব সংস্কৃতি ভুলবেন কেন। বরং আন্তর্জাতিক মঞ্চে দাড়িয়ে এমন কাঁকড়ার সংস্কৃতিকে যদি আরো দুচারটে জাতির মধ্যে প্রবেশ করাতে পারে, তাহলে ধন্য হই বড়।
অনেক ভাল লাগা আপনাকে।

০৩ রা মে, ২০১৮ সকাল ৭:৩০

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: শুভ সকাল পদাতিক ভাই। বিশ্বাস করুণ এগুলো দেখে কি পরিমাণ লজ্জা লাগে বুঝাতে পারবো না। সেখানে খারাপ হওয়ার প্রতিযোগিতা চলে। কেউ একজনকে জুতা ছুড়ে মারলে, অন্য পক্ষ পঁচা ডিম ছু্ঁড়ে মারে।

বিদেশি ভদ্রলোকেরা যখন আতংকিত হয়ে এগুলোর পাশ কেটে যায় তখন লজ্জায় মাথা হেঁট হয়ে যায়।

৭| ০৩ রা মে, ২০১৮ সকাল ৭:৪১

শাহাদাত* বলেছেন: শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে সিডনিতে দুই দিন ব্যাপী বিএনপির ব্যতিক্রমী বিক্ষোভ

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে সিডনিতে দুই দিন ব্যাপী বিএনপির ব্যতিক্রমী বিক্ষোভ

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে সিডনিতে দুই দিন ব্যাপী বিএনপির ব্যতিক্রমী বিক্ষোভ

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে সিডনিতে দুই দিন ব্যাপী বিএনপির ব্যতিক্রমী বিক্ষোভ

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে সিডনিতে দুই দিন ব্যাপী বিএনপির ব্যতিক্রমী বিক্ষোভ

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে সিডনিতে দুই দিন ব্যাপী বিএনপির ব্যতিক্রমী বিক্ষোভ

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে সিডনিতে দুই দিন ব্যাপী বিএনপির ব্যতিক্রমী বিক্ষোভ

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে সিডনিতে দুই দিন ব্যাপী বিএনপির ব্যতিক্রমী বিক্ষোভ

০৩ রা মে, ২০১৮ সকাল ৭:৪৮

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: শাহাদাত ভাই, শুভ সকাল। যাক সিডনিতেও বাংলার দামাল ছেলের দল বেশ স্ট্রিং!! ছবিগুলো দেখে ভেতরটা জুড়িয়ে গেল। আহ, বাঙালি। পৃথিবীর সর্বোৎকৃষ্ট প্রাণী। জয় হোক রাজনীতির।

৮| ০৩ রা মে, ২০১৮ সকাল ৭:৫৮

শাহাদাত* বলেছেন: শুধু তাই নয় ঝাড়ু হাতে ও র‌্যালি বের করেছিল। ঐ সব ছবি আপলোড করতে রুচিতে বাধে।

০৩ রা মে, ২০১৮ সকাল ৮:০৯

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: দেন, এক্সক্লুসিভ দুই-চারটা পাঠকরা দেখে প্রীত হবেন।

৯| ০৩ রা মে, ২০১৮ সকাল ৮:৫৪

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: যখন ভাবি বাংলাভাষার জন্য একটি জাতি নিজেদের বুকের রক্ত দিয়েছে তখন নিজেকে বাঙালী ভাবতে ভাল লাগে, যখন ভাবি ৩০ লক্ষ মানুষ এই দেশের জন্য জীবন তখন খুবই গর্ববোধ হয়। যখন দেখি কৃষক শ্রমিক প্রবাসীরা মিলে দেশের অর্থনীতিতে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন তখন বুকটা গর্বে ভরে ওঠে। কিন্তু যখন দেখি রাজনীতির নামে মানুষ হত্যা,গাড়িপোড়ানো,লুটতরাজ তখন মনে কেন এইদেশে জন্ম নিয়েছিলাম? আমার মনে হয় এই দেশের প্রধান শত্রু রাজনীতি। দেশেবিদেশে এইসব নোংরা রাজনীতি দেখলে লজ্জায় মাথা হেট হয়ে যায়।অনেক সুন্দরভাবে প্রবাসী বাংলাদেশিদের নোংরা রাজনীতিকে তুলে ধরেছেন, অনেক ধন্যবাদ কাওসার ভাই।

০৩ রা মে, ২০১৮ সকাল ৯:১০

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: তারেক ভাই, শুভ সকাল। আপনার প্রথম কথাগুলোর সাথে আমিও একমত। নীতিহীন রাজনীতি আমাদের বারোটা বাজাচ্ছে। যা এখন দেশের গন্ডী ছড়িয়ে বিদেশেও পাচার হচ্ছে। এখন উন্নত দেশগুলোও এ বিষে নীল হবে।

১০| ০৩ রা মে, ২০১৮ সকাল ৯:০৩

রাজীব নুর বলেছেন: বিদেশে যেমন দুষ্ট বাঙ্গালী আছে। তেমনি ভালোও কিছু বাঙ্গালী আছে।
আপনার পোষ্ট এবং পোষতের সব মন্তব্য গুলো মন দিয়ে পড়লাম।

ধন্যবাদ আপনাকে ভালো একটি বিষয় তুলে ধরেছেন।

০৩ রা মে, ২০১৮ সকাল ৯:১২

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: রাজীব ভাই, শুভ সকাল। পড়েছেন জেনে ভাল লাগল। বিদেশে ভাল বাঙ্গালীরা এসব নেতাদের দাপটে বড়ই লজ্জিত।

১১| ০৩ রা মে, ২০১৮ সকাল ৯:৫৬

ইনাম আহমদ বলেছেন: ভারতীয় কেউ বিলাতে গেলে কলসেন্টারে কাজ নেবার চেষ্টা করবে কিংবা ইন্ডিয়ান রেস্তোরা খুলবে। পাকিস্তানী কেউ গেলে সেখানে মৌলবাদের প্রচার করবে। বাঙালীদের স্বভাব রাজনীতি করা, আমরা রাজনীতি করবো। স্বাভাবিক ব্যপার।

০৩ রা মে, ২০১৮ বিকাল ৪:০৫

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: আপনি রাজনীতি করেন, আপনার জন্য শুভ কামনা।

১২| ০৩ রা মে, ২০১৮ সকাল ৯:৫৬

কানিজ রিনা বলেছেন: দেশের বিভিন্ন মামলার আসামী চিহ্নিত
সন্ত্রসী দূর্নীতি মামলার আসামী। এমনকি
খুনের মামলার পলাতক সাজাপ্রাপ্ত আসামীরা
এসব দলের গুরুত্বপূর্ন পদে স্থান পায়।
স্থানীয় বিত্তবানরা দলের আস্কারা দিয়ে
মন্ত্রী এমপিদের আপ্যায়ন হিথ্র বিমান বন্দর
থেকে শুরু করে বড় নামী দামী পাঁচতারা
হোটেলে তাদের আপ্যায়ন করে স্থানীয়
বিত্তবানরা।
আসল কথা এটাই দেশের আসামীরা যখন
দেশে পাত্ব্যা পায়না তারাই যুক্তরাজ্যে ঘাটি
গেড়ে বসে অপনীতিতে ততপর। এসব কর্ম
কান্ডকে রাজনীতি বলা ঠিক হবেনা এটা
দখলদার অপনীতি। আমাদের দেশে এখন
রাজনীতির নামে দখলদার নীতি দূর্নীতিতে
বিশ্বাসী দলগুল শুধু নিজেদের দলের চিন্তা
ছারা দেশের সাধারন মানুষের কথা ভাবেনা।

শিরোনামটা ভাল হয়েছে ঢেঁকি স্বর্গে গেলেও
ভানে সময় উপযোগী পোষ্টের জন্য অনেক
অনেক ধন্যবাদ।

০৩ রা মে, ২০১৮ বিকাল ৪:১৬

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: শুভেচ্ছা নেবেন। আপনার আগের মন্তব্যে (১১) একজন পাঠক মনে হয় লেখাটি পড়ে একটু কষ্ট পেয়েছেন। এজন্য সুন্দর যুক্তিপূর্ণ একটি কমেন্ট করেছন!! আপনাকে ধন্যবাদ, খুব সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য। এখন দেশে রাজনীতি বলেতে কিছু নেই। শুধু লুটপাট আর দাপট। এখন এই অপরাজনীতি বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ছে বাংলাদেশীদের মধ্যে। যে দেশে বিশজন বাংলাদেশি আছে সেখানে কমপক্ষে দুইটি দলের কমিটি আছে!! এই রাজনীতি কতটুকু আত্মঘাতী তা অনেকেই বুঝে না। এটা জাতীয় ঐক্য টুকরো করার অপকৌশল মাত্র।

১৩| ০৩ রা মে, ২০১৮ সকাল ১০:২৪

ইমরান আশফাক বলেছেন: একটি আশার কথা, বর্তমানে বাংলাদেশে অধিকাংশ মানুষই ক্রমান্বয়ে রাজনীতি বিমূখ হয়ে যাচ্ছে। ক্রমবর্ধমান জীবনযাত্রার ব্যায় মিটাতেই হিমশিম খাচ্ছে, রাজনীতির খবর দিয়ে কি করবে? তাছাড়া সকল রাজনীতিবিদ কমবেশী এক। এদের পিছনে সময় নষ্ট করে কি হবে।

তবে এদের মধ্যে পেশাদার রাজনৈতীক সমর্থকদের কথা ভিন্ন।

০৩ রা মে, ২০১৮ বিকাল ৪:২০

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ ইমরান ভাই। তবে বিদেশে বাংলাদেশী রাজনীতির রমরমা সময় এখন। আর দেশের পেশাদার রাজনীতির বাইরেও রাজনীতি প্রেমী লাখ লাখ মানুষ আছে এখনো। যারা নিজের জান মাল কুরবান করে রাজনীতি করে। এটা তাদের বিনোদন।

১৪| ০৩ রা মে, ২০১৮ দুপুর ১:৪৪

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: আসলে এগুলোর কোন সমাধান নাই।
রাজনীতি আর ক্রিকেট দুটোই পাবলিক সেন্টিমেন্টের বিষয়। এজন্য এর একটাও ভালো লাগে না।

০৩ রা মে, ২০১৮ বিকাল ৪:২২

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: হা হা হা,
ক্রিকেট তো এখন জাতীয় চেতনার নাম। এজন্য ক্রিকেটের নামে ভারতকে গালি দিলেও জাতীয় চেতনা বাড়ে। ক্রিকেটাররা উদ্যোত আচরণ করলেও পাবলিক খুশি হয়!!

১৫| ০৩ রা মে, ২০১৮ দুপুর ২:০৯

আল ইফরান বলেছেন: আমার বড় ভাই এক পশ্চিমা দেশে অনেকদিন যাবত বসবাস করছেন।
উনি এই অযাচিত ঝামেলা এড়ানোর জন্যই লোকাল কম্যুনিটির সাথে খুব বেশি মেলামেশা করেন না।
বাঙ্গালিরা বিদেশের মাটিতেও কুয়ার ব্যাঙ হয়ে থাকতেই পছন্দ করে।
আমার অবজার্ভেশান এটলিস্ট তাই বলে আর কি /:)

০৩ রা মে, ২০১৮ বিকাল ৪:২৫

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ, ইফরান ভাই। শুধু আপনার ভাই না, বিদেশে ভদ্র মানুষজন না পারে এদের সাথে তাল মেলাতে না পারে মিশতে। এখন আর বাঙালি কমিউনিটি বলতে কিছু নেই। এখন তা পলিটিকাল কমিউনিটি।

১৬| ০৩ রা মে, ২০১৮ রাত ৮:০৫

বিদেশে কামলা খাটি বলেছেন: দেশে যত পারিস দলাদলি কর। বিদেশে এসেও মরতে আসিস। বেটাদের জ্বালায় মান সম্মান নিয়ে বাঁচা গেল না।

০৩ রা মে, ২০১৮ রাত ৯:০২

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: চোর না শুনে ধর্মের কাহিনী, আর বাংলাদেশের রাজনীতি প্রেমীরা না মানে নীতি ও মর্যাদার কাহিনী।

১৭| ০৩ রা মে, ২০১৮ রাত ৯:৫০

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: সবকিছুর পরেও আমরা বাংলাদেশী।

০৩ রা মে, ২০১৮ রাত ১১:৪৯

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: হ্যা, আমরা বাংলাদেশী।

১৮| ০৪ ঠা মে, ২০১৮ রাত ২:১৪

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: বাংলাদেশে বিএনপির ছাগলগুলো রাজনীতির বন্ধ। তাই লন্ডনে চলছে তাদের পুরোদম রাজনীতি। যাই হোক, বিএনপির ইতিহাসে লগিবৈঠার মত কোন অন্ধকার অধ্যায় অন্ততপক্ষে নেই।

০৪ ঠা মে, ২০১৮ রাত ২:২৭

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: উভয় দলই মূদ্রার এপিট, ওপিট। কেউ খারাপের মধ্যে মহা খারাপ। আর কেউ সর্বাধিক খারাপ।

১৯| ০৪ ঠা মে, ২০১৮ রাত ৩:১৬

পাকাচুল বলেছেন: যতটুকু জানি, বিদেশে সবাই কমবেশি ব্যস্ত। এইসব কামড়াকামড়ি করার জন্য অফুরন্ত সময় দরকার। যারা এইসব কামড়াকামড়ি করে, তারা অন্য সময় কি কাজ করে?

০৪ ঠা মে, ২০১৮ রাত ৩:২২

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ, আপনাকে। উনারা কামড়া কামড়ি করার জন্য ঠিকই সময় বের করে। আসলে ইচ্ছা থাকলেই উপায় হয়। আর এটা অনেকটা তাদের কাছে বিনোদনের মতো। অতএব মনের খোরাক মেটাতে সময় বের করতে হয়, নিজেকে বিনোদিত করতে হয়। তাই জাতীয় এ মহান ঐতিহ্যকে উনারা ঠিকিয়ে রাখেন বিদেশের মাটিতে।

২০| ০৪ ঠা মে, ২০১৮ ভোর ৪:০৪

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: বৃটিশরা আমাদের দেশে এসে রাজনিতি করেছেন তাদের কাছে ই শিখেছি রাজিনিতি আর তাদের দেশে গিয়ে রাজনিতি করবো না ? এও সম্ভব ?

০৪ ঠা মে, ২০১৮ ভোর ৪:২৪

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: আগে বলুন কোথায় ছিললন, দুইদিন। বলা নাই, কওয়া নাই একদম লাপাত্তা!!! আপনার ধারণার পক্ষে জোরালো যুক্তি আছে। এখন ব্রিটিশদের রাজনীতি শেখানোর মহান দায়িত্ব বঙ্গ সন্তানরা নিয়েছে। আরো পঞ্চাশ বছর পর দেখবেন ব্রিটিশরা এই রাজনীতির ভয়ে বিভিন্ন দেশে গিয়ে ইমিগ্যান্ট হবে। এখন তারা বাঙালি অধ্যুষিত এলাকা ছেড়ে নিরাপদ দূরত্বে চলে যাচ্ছে।

২১| ০৪ ঠা মে, ২০১৮ ভোর ৪:৫২

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: - আমরা রাজনিতি করবো এটা আমাদের জাতীয় পেশা এবং নেশা, এই পেশা ও নেশা সর্বত্র ছড়িযে দেওয়া আমাদের মহান ব্রত । আর মসজিদ হবে আমাদের রাজনৈতিক আশ্রয়, কোনো কারণে পুলিশি আক্রমণ হলে সারা বিশ্ব জানবে মসজিদে আক্রমণ হয়েছে, একেই বলে রাজনিতি, এখানে মসজিদ হচ্ছে একটি আগ্নেগিড়ি - প্রমাণ “মসজিদুল আকসা” আমাদের বাপ দাদা ও শুনে আসছেন এই মসজিদ নিয়ে খুন খারাবি হচ্ছে আমাদের নাতি পুতিরা ও শুনবে ইনশাল্রাহ । তাই রাজিনিতিতে মসজিদ রাখতে হবে - এটি স্পর্শকাতর খুন খারাবি করতে মজা পাওয়া যায় - রাজনিতিতে মজার প্রয়োজন আছে, মজা না থাকলে রাজনিতি খোঁচট খাবে ।।

(কাওসার ভাই, হেন বন্ধ তেন বন্ধ পার করে চিটাগাং সি পোর্ট কাষ্টমসে কিছু কাজ ছিলো)

০৪ ঠা মে, ২০১৮ ভোর ৪:৫৯

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: এখন, স্বরণে নিলাম। আমি বুঝতে পেরেছি। আপনার বুদ্বিদীপ্ত লেখা আর কমেন্টগুলো সত্যি অসাধারণ। মসজিদুল আকসা নিয়ে যে রাজনীতি হচ্ছে তা অনেকেই বুঝে না!! এজন্য কিছু হলেই আবেগ উথলিয়া পড়ে। যত স্পর্শকাতর জায়গায় রাজনীতি হবে, ততো প্রচার প্রচারণা বাড়বে। এটা কিন্তু চমৎকার একটা ফর্মুলা।

ইস্ট লন্ডন মসজিদও আল আকসার রাজনীতির পথে।

২২| ০৪ ঠা মে, ২০১৮ ভোর ৫:১৫

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: ভয়ে সরাসরি বলা সম্ভব নয় তাই - অত্যন্ত নম্রতার সাথে বিনয়ে নত হয়ে ভদ্রতার সাথে জানতে চাচ্ছি দয়া করে জানাবেন “রাজনিতিরি সঙ্গে ধর্মের সম্পর্ক কি ?”

০৪ ঠা মে, ২০১৮ ভোর ৫:২৮

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: রাজনীতি ও ধর্ম আলাদা হলেও এগুলো অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত। কারণ, ধর্ম হচ্ছে একটা ভাবধরারা বা বিশ্বাস। আর এ বিশ্বাসকে অসংখ্য মানুষের মধ্য ছড়িয়ে দিতে, ধর্মীয় নিয়ম কানুন মানতে বাধ্য করতে চাই রাষ্ট্র ক্ষমতা। কারণ রাজনীতি বিশ্বাস করে সামাজিক বিবর্তন, আধুনিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা, রাষ্ট্র বিজ্ঞানী ও দার্শনিকদের দিক নির্দেশনা। এজন্য রাষ্ট্রের কাছে ধর্মীয় বিশ্বাসটা গৌণ। রাজনীতিতে ধর্ম যখন মূখ্য হয়ে উঠে তখন রাজনীতি আর নীতি থাকে না। এটা হয়ে যায় অবশ্যই পালনীয়। এজন্য ধর্মভিত্তিক দলগুলো রাজনীতি করে রাষ্ট্র ক্ষমতায় গিয়ে নিজেদের চিন্তা চেতনা সবার মধ্যে ছড়িয়ে দিতে।

(নতুন পোস্টে কমেন্ট দেন)।

২৩| ০৪ ঠা মে, ২০১৮ ভোর ৫:২৬

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: রাজনিতি ই কি ধর্ম ? না কি ধর্ম ই রাজনিতি ? - সেই ক্ষেত্রে তো বিড়াট বিভ্রাট হবে ধর্ম বলে মানুষের প্রয়োজনে ধর্মের কাছে আসবে - আসতে হবে, প্রয়োজন টা মানুষের ধর্মের না আর তাই মানুষকে দেওয়া হয়েছে জ্ঞান যাতে সে চিনে নিতে পারে কোনটি তাকে স্বর্গে নিয়ে যাওয়ার সিড়ি ? - তাহলে ধর্মের কেনো ক্ষমতার লোভ প্রয়োজন হয়ে পড়েছে ?

০৪ ঠা মে, ২০১৮ ভোর ৫:৩১

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: আগের প্রশ্নের উত্তরে বলেছি।

এখন আপনি নিজে যখন ধর্মের কাছে যাচ্ছেন না। তাই বাধ্য করতে চাই রাজনীতি ও রাষ্ট্র ক্ষমতা।

২৪| ০৪ ঠা মে, ২০১৮ সকাল ৭:১৭

শহীদ আম্মার বলেছেন: এটাকে অনলাইন রাজনীতি বলতে পারেন।
যেমন অনলাইন ব্যংকিং-এ একাউন্ট একটা; কিন্তু লেনদেন যে কোন শাখা থেকে করা যায়।
অনরূপ দল একটা ; কিন্তু মিছিল-মিটিং-হাঙ্গামা-চুলাচুলি-কমিটি-পদ-পদবী-ডিম মারামারি এসব যে কোন দেশ থেকে চালিয়ে নিতে পারেন আপনি।
এই অনলাইন রাজনীতির সুবিধাটা না দিলে অসুবিধা হল যদি কখনো "ডিজিটাল বাংলাদেশ স্টক এক্সচেঞ্জ" এ বাহুবলের ব্যাপক দরপতন ঘটে তখন তলানিতে গিয়ে ঠেকা সূচক সহসায় আর উর্দ্ধমুখী করা সম্ভব নাও হতে পারে। তখন উপায় একটায় অন্য কোন শাখা থেকে অনলাইনে লেনদেন চালিয়ে নেয়া !!!

০৪ ঠা মে, ২০১৮ সকাল ৭:৫৫

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: অনলাইন রাজনীতির ব্যাপারটি মাথায় আসেনি। চমৎকার আইডিয়া আপনার। হ্যা, বাংলাদেশের রাজনীতিটা এখন অনলাইনে দেওয়া হোক। পৃথিবীর সব প্রান্ত থেকে যাতে সবাই এর সুবিধা নিতে পারে।
"ডিজিটাল বাংলাদেশ স্টক এক্সচেঞ্জ" - ধারণাটাও চমৎকার। আশা করি দলগুলো এবার এ পদক্ষেপ নেবে।

২৫| ০৪ ঠা মে, ২০১৮ দুপুর ২:৩২

আল আমিন সেতু বলেছেন: সবাই কমেন্টে সব বলেই ফেলেছে।যাই হোক, আজ অনেক তথ্য জানতে পারলাম বিদেশে বাংলাদেশিদের চুলাচুলি কাদা ছোঁড়াছোড়ি সম্পর্কে ।

০৪ ঠা মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৭

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: সেতু ভাই, ধন্যবাদ। জেনে প্রীত হয়েছেন, বাংলার দামাল ছেলেদের গুণ কীর্তন এজন্য ভাল লাগলো ভাল থাকবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.