নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জন্মসূত্রে মানব গোত্রভূক্ত; এজন্য প্রতিনিয়ত \'মানুষ\' হওয়ার প্রচেষ্টা। \'কাকতাড়ুয়ার ভাস্কর্য\', \'বায়স্কোপ\', \'পুতুলনাচ\' এবং অনুবাদ গল্পের \'নেকলেস\' বইয়ের কারিগর।

কাওসার চৌধুরী

প্রবন্ধ ও ফিচার লেখতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। পাশাপাশি গল্প, অনুবাদ, কবিতা ও রম্য লেখি। আমি আশাবাদী মানুষ।

কাওসার চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ব্যক্তিত্বের বিকাশ ও মূল্যবোধ (প্রবন্ধ)

০৪ ঠা মে, ২০১৮ রাত ২:২৩


ব্যক্তি থেকে ব্যক্তিত্বের বিকাশ ঘটে। একজন মানুষের মানবিক মূল্যবোধ, পারিবারিক ও সামাজিক শিক্ষা, জ্ঞান অর্জন, আচার-আচরণ, সামাজিক দায়বদ্ধতা ইত্যাদি গুণাবলীর সমন্বয়ে ব্যক্তিত্ব গড়ে উঠে। বয়স বাড়ার সাথে সাথে মানুষের ব্যক্তিত্বের নিরিখেই নির্ধারিত তার পারিবারিক ও সামাজিক মর্যাদা। ছোট বেলা থেকে প্রতিটি মানুষ কোন না কোন ব্যক্তিকে নিজের অজান্তে অনুসরণ-অনুকরণ করে। বড় হয়ে তার মত হতে চায়। এসব ব্যক্তিদের কথাবার্তা, আচার-আচরণ ও ব্যক্তিত্ব আমাদের মনে গভীরভাবে রেখাপাত করে। তবে এই অনুসরণটি নির্ভর করে মানুষের জানার ও বোঝার পরিধির উপর। যে মানুষটি মাদার তেরেসার নাম কোনদিন শুনেনি, মানবতার কল্যাণে তাঁর ত্যাগের কথা জানেনি সে কখনো মাদার তেরেসা হতে চাইবে না।

ছোট বেলায় জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনান ছিলেন আমার প্রিয় ব্যক্তিদের মধ্যে অন্যতম। আমরা কি কখনো ভেবে দেখছি তারা কিভাবে বিশ্বব্যপী জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন? আমরা কি জানি তাদের সফলতার পেছনে কত ত্যাগ ছিল, বেদনা ছিল, পরিশ্রম ছিল?

আমাদের মধ্যে অনেকে আছেন যারা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক বেশি কথা বলেন। দেখা যায় বেশি কথা বলার অভ্যাসের ফলে হঠাৎ এমন কোন কথা মুখ ফস্কে বেরিয়ে আসে যা আমরা বলতে চাইনি। এছাড়া বেশি কথা বল্লে প্রয়োজনের চেয়ে অপ্রয়োজনীয় আলাপ বেশি হয়। এতে অনেক সময় নিজের বন্ধু-বান্ধব, পরিবার-পরিজন সম্বন্ধে এমন কোন গোপন কথা বলে ফেলি যা বলা হয়ত ঠিক হয়নি। যার জন্য আমাদের বিব্রতকর পরিস্থিতর সম্মুখিন হতে হয়। এছাড়া কথা বলতে হবে ধীরে সুস্থে, ভদ্রভাবে।

আমরা অনেক সময় বুঝে অথবা না বুঝে তর্ক জুড়ে দেই, মেজাজ গরম করি, বাজে কথা বলি। অনেক সময় দেখা যায় আমরা যা জানি না তা নিয়ে অযথা বিতর্ক করি। নিজের পরাজয়ের ভয়ে সত্যটা মেনে নেই না। আবার এর বিপরীত ঘটনাও ঘটে। অনেক সময় আমরা নিজের জানা সত্যটি প্রতিষ্ঠা করতে পারি না অন্যের অসহনীয় মনোভাবের কারণে। আমরা সবাই সব বিষয়ে জানি না, জানা সম্ভবও নয়। এজন্য যা জানি না তা নিয়ে বিতর্কে জড়ানো বোকামি ছাড়া কিছুই না। অন্যের বলা সত্যটা মেনে নেওয়ায় নিজের সম্মানহানি হয় না। এতে সমাজে নিজের গ্রহণযোগ্যতা বাড়ে। যা ব্যক্তিত্বের বিকাশে সহায়ক হয়।

ডাক্তারদের মতে মন খুলে হাসাহাসি করলে নাকি অনেক রোগ থেকে মুক্তি মিলে। হার্ট সুস্থ থাকে। তবে পরিবেশ পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে হাসির ধরণ কেমন হবে। সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় অনুষ্টানগুলোতে অট্টহাসি পরিহার করা বাঞ্চনীয়। এছাড়া কথা বলার সময় বক্তার সাথে আই কন্ট্রাক্ট করতে হবে। কথা শুনার সময় অবশ্যই মনোযোগী হতে হবে, খামখেয়ালি হলে চলবে না। বলার সময় গুছিয়ে অল্প কথায় বিষয়টি শেষ করতে হবে। এছাড়া সমাজ ও পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে আলাপের বিষয় ও ধরণ। নিজের কোন ভুল হলে তর্কে না জড়িয়ে সরাসরি স্যরি বলাটা ভাল এতে উপস্থিত মানুষের মধ্যে নিজের ভদ্রতা পকাশ পায়।

আমাদের মধ্যে অনেকে আছি যারা অনর্গল কথা বলি, অন্য কাউকে বলার কোন সুযোগ দিতে চাই না। এটা খুবই বাজে একটা স্বভাব। এধরণের মানুষকে কেউ পছন্দ করে না। আগে অন্যকে কথা বলতে দিতে হবে, তাদের কথা ও যুক্তি গুলো মনোযোগ দিয়ে শুনতে হবে। অন্যকে সম্মান দিয়ে কথা বলাটাও জরুরী। কাউকে বোঝাতে যাবেন না আপনিই শ্রেয়।


বিভিন্ন পারিবারিক ও সামাজিক অনুষ্ঠানে অনেক পরিচিত মানুষের সাথে দেখা সাক্ষাৎ হয়। এসময় ধনী-গরীব নির্বিশেষে পরিচিত সবার সাথে মন খুলে কথা বলা উচিৎ। টেবিলে খাবার আসলে অন্যকে আগে দিয়ে পরে নিজের পাতে খবার নিতে হবে। খাবার ভালমন্দ যাই হোক এ নিয়ে কোন বদনাম করা যাবে না। এতে আমন্ত্রণকারী ব্যক্তি শুনলে কষ্ট পাবে। আপনার ব্যাপরে তার বাজে ধারণা জন্ম নেবে। ফলে ভবিষ্যতে এমন অনুষ্ঠানে আপনাকে আর দাওয়াত নাও দিতে পারে, কোন দরকারী পরমর্শ ও বৈঠকে না ডাকতে পারে। এতে পারিবারিক ভাবে আপনার গুরুত্ব কমবে।

অনেক সময় উপযুক্ত দাওয়াত পেয়েও আমরা নিকটাত্মীয়দের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হই না। এটা ঠিক না। সময় সুযোগ থাকলে তাদের দাওয়াতে উপস্থিত হতে হবে, সামর্থ্য অনুযায়ী গিফট দিতে হবে। বিয়ে-সাদির অনুষ্ঠান হলে আগে থেকে খোঁজ খবর নিতে হবে।

অন্যের ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে চর্চা না করে নিজেকে নিয়ে ভাবাটা জরুরী। আপনি যেমন চান না অন্য কেউ আপনার ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে হস্তক্ষেপ করুক, ঠিক অন্যরাও চায় না আপনি তাদের ব্যক্তিগত বিষয়ে হস্তক্ষেপ করুন। এছাড়া সৃজনশীল ভাবে কথা বলাটা জরুরী। বাঁকা ও ইঙ্গিতপূর্ণ কথা পরিহার করা উচিৎ। অন্যের ভাল কাজে উৎসাহ দিতে হবে। খারাপ কিছু চোখে পড়লে তিরস্কার না করে বুঝিয়ে বলতে হবে। পারলে পরামর্শ দিতে হবে যাতে সে সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসতে পারে। কাউকে অযথা ক্রিটিসাইজ করা যাবে না।

অনেক সময় আমরা নিজের সামর্থ্য থাকার পরও বারবার অন্যের কাছ থেকে চেয়ে খাওয়ার চেষ্টা করি। অথচ নিজে কখনো তাকে দাওয়াত করে খাওয়াই না। রেস্টুরেন্টে খেতে বসলে অন্যের পকেটের অবস্থা না বুঝে দামী খাবারের অর্ডার দেই। অথচ বিল পরিশোধের সময় অন্যের ঘাড়ে তা চাপিয়ে দেই। এ ধরণের স্বভাব থাকলে যত দ্রুত সম্ভব তা পরিহার করা উচিত। এ ধরণের মানুষদের সবাই পাশ কাটিয়ে চলে। বিশ্বাস করে না, স্বার্থপর ও লোভী ভাবে।

অনেক সময় আমরা বিপদে পড়লে অনেক মিথ্যা কথা বলে টাকা পয়সা ধার করি। অথচ পরিশোধের সময় কোন খেয়াল থাকে না। দিনের পর দিন পার হলেও ঋণের টাকা ফেরৎ দেই না। প্রয়োজনে সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করে দেই। বারবার মিথ্যা আশ্বাস দেই। অথচ নিজের সমস্যার কথা মন খুলে তার সাথে শেয়ার করলে, কেন তার ঋণ পরিশোধ করতে পারছেন না তা জানালে লোকটি খুশিই হবে। আপনার প্রতি আস্তা রাখবে। হয়তো লোকটি আপনার সমস্যা থেকে পরিত্রাণের জন্য কোন পরামর্শও দিতে পারে।


মানুষের ব্যক্তিত্বের বিকাশে পোষাক-পরিচ্ছদও অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পরিবেশ পরিস্থিতির উপর ভিত্তি করে ড্রেসআপ করাটা জরুরী। এছাড়া পরিচ্ছন্ন ও পরিপটি পোষাক হওয়াটা বাঞ্চনীয়। অনেক সময় পোষাক-আশাক মাননসই হলেও কারো কারো ক্ষেত্রে দেখা যায় জুতাটি পরিচ্ছন্ন ও মাননসই নয়। চশমার বেলায়ও একই নিয়ম প্রযোজ্য। সম্ভব হলে বডি স্প্রে ও পারফিউম ব্যবহার করা উত্তম।

আমাদের সমাজে অধঃস্থন কর্মচারীদের সাথে আমরা অনেকে বাজে আচরণ করি। এটা পরিহার করতে হবে। নিজের অধঃস্থন কর্মচারিদের সাথে তুই তুকারি করা যাবে না। চিল্লাচিল্লি করা যাবে না। ভদ্রভাবে নিচু গলায় বুঝিয়ে কথা বলতে হবে। মনে রাখবেন আপনি তার চেয়ে বেশি জানেন ও বুঝেন বলেই আপনি তার বস। বস হিসাবে ভুলগুলো শুধরে দেওয়াই আপনার কর্তব্য, বসগিরি করা নয়।

আপনি সামাজিক মাধ্যমে কি করছেন, কি লেখছেন তার উপরও অনেক কিছু নির্ভর করে। আজ আমার পরিচিত একজনের ফেইসবুকে এগারটি শব্দের একটি স্টেটাস দেখলাম। অবাকের বিষয় বাক্যটিতে তেরটি জায়গায় ভুল। তেরটি জায়গায় ভুলের কারণ হলো বাক্যের মধ্যে দুই জায়গায় অযথা দাড়ি/কমার ব্যবহার। বাকি এগারটি শব্দের সবকয়টি বানান ভুল।

আমরা ফেইসবুকে কি স্টেটাস দেই, কি বিষয়ে লাইক/কমেন্ট করি তা আমাদের ফ্রেন্ড লিস্টের সবাই দেখে। যদিও অনেক সময় তারা আমাদের তা বলে না। আমাদের লেখার ভুল হলে শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে মানুষ প্রশ্ন তুলবে। কাউকে পরোক্ষভাবে থ্রেট করলেও মানুষ বিরক্ত হবে। অন্যকে ছোট করলে, অপমান করলেও ঠিক তাই। অনেকেই আছেন যারা সব সময় ফেইসবুকে ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট করেন, মনে রাখবেন মানুষ এগুলো পছন্দ করে না। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কাউকে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমন করা যাবে না, সমাজে হেয় প্রতিপন্ন করা যাবে না। এটা অপরাধ। এজন্য ফেইসবুক সহ অন্যান্য সামাজিক মাধ্যমগুলো ব্যবহারে আমাদের আরো সতর্ক হওয়া জরুরী।

নিজেক বুঝতে, পৃথিবীটা জানতে শিক্ষা অর্জনের কোন বিকল্প নেই। একাডেমিক শিক্ষার পাশাপাশি প্রচুর আউট নলেজ থাকাটাও গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষার কোন বয়স নেই, মানুষের জীবটাই একটা পাঠশালা। জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত আমাদের শিক্ষা নিতে হয়, অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হয়। আপনি পারিবারিক, সামাজিক অথবা রাষ্ট্রীয় যে কোন পর্যায়ে, যে কোন বিষয়ে কথা বলুন না কেন বিষয়টি ভালভাবে জানাটা খুব জরুরী। আর জ্ঞান অর্জন না করলে ব্যক্তিত্ব গড়ে উঠে না। এটা নির্ভর করে ব্যক্তির জানা, বোঝা ও বোঝানোর ক্ষমতার উপর।

মানবিক মূল্যবোধ ও ব্যক্তিত্বের বিকাশ ঘটে মানুষের নিরন্তর প্রচেষ্টা ও বিবেকের পরিস্ফুটনের মাধ্যমে। নীতিবাক্য মুখস্ত করে, বিখ্যাত দার্শনিকদের জীবন দর্শন চোখ কান বন্ধ করে পড়লে কাজের কাজ কিছুই হবে না। এজন্য প্রয়োজন জানার ও শেখার পাশাপাশি নিয়মিত চর্চা করা। আর এগুলো বুঝে নিয়মিত চর্চার মাধ্যমে মনুষ্যত্বের বিকাশ ঘটে। হঠাৎ করে এ গুণাবলী অর্জন করা কারো পক্ষে সম্ভব নয়। এজন্য অল্প বয়স থেকেই শুরু করা আবশ্যক।



ফটো ক্রেডিট,
গুগল।

মন্তব্য ৬৮ টি রেটিং +১১/-০

মন্তব্য (৬৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা মে, ২০১৮ রাত ৩:১৩

শামচুল হক বলেছেন: ব্যাক্তিত্বের বিকাশ ও মূল্যবোধ নিয়ে চমৎকার একটি পোষ্ট উপহার দিয়েছেন। এমন মূল্যবান পোষ্টের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ

০৪ ঠা মে, ২০১৮ রাত ৩:১৮

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, শামচুল ভাই। পড়ে ভাল লেগেছে জেনে ভাল লাগলো। শুভ কামনা আপনার জন্য।

২| ০৪ ঠা মে, ২০১৮ ভোর ৪:০৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


মানুষের ব্যক্তিত্ব গঠনে শিক্ষা, সমাজ ও সময় গুরুত্বপুর্ণ ফ্যাক্টর

০৪ ঠা মে, ২০১৮ ভোর ৪:১১

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: ঠিক বলেছেন। এগুলো হঠাৎ করে গড়ে উঠে না, প্রয়োজন নিয়মিত অনুশীলন। কমেন্ট করার জন্য ধন্যবাদ, স্যার।

৩| ০৪ ঠা মে, ২০১৮ ভোর ৪:২৫

নোয়াখাইল্ল্যা বলেছেন: শিক্ষণীয় পোস্ট ভাই। খুব সুন্দর করে লিখেছেন। ব্যক্তিত্বের বিকাশে পরিবারের ভূমিকা অনেক,তবে সমাজে বিরজমান অস্থিরতা ও লোভ মানুষের ব্যক্তিত্বের বিকাশ বাঁধাগ্রস্ত করে।অবশ্য এটা নিয়মিত চর্চার ব্যাপার, আপনার কথার সাথে আমি সহমত পোষণ করছি। ভাল থাকবেন

০৪ ঠা মে, ২০১৮ ভোর ৪:৩০

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ, ভাই। ব্যক্তিত্বের বিকাশে ব্যক্তির ইচ্ছার পাশাপাশি, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের ভূমিক থাকতে হয়। তবে ব্যক্তির নিজস্ব চর্চাটাই আসল।

ভাল থাকবেন, ভাই।

৪| ০৪ ঠা মে, ২০১৮ ভোর ৪:২৭

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: বেশীর ভাগ মানুষই এখনকার সময়ে এই রুলসগুলো আর ফলো করতে পারছে না। তাই সমাজে এত অধঃপতন...

০৪ ঠা মে, ২০১৮ ভোর ৪:৩৬

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ, ভাই। আসলে আমাদের সমাজটা একটা অসুস্থ প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এখন শৈশব থেকেই বাচ্ছারা শেখে এ+ পাওয়ার শিক্ষা, বড় হয়ে বড় চাকরি পাওয়ার ধিক্ষা। দামী স্কুল, কলেজ ও দামী কোচিং সেন্টারে পড়াশুনা করা শিক্ষা। মানবিক মূল্যবোধ ও ব্যক্তিত্বের শিক্ষা তো সিলেবাসে নেই। পরীক্ষায়ও আসে না। অতএব, তা বর্জনীয়।

৫| ০৪ ঠা মে, ২০১৮ ভোর ৫:০৯

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: টাকা ধার নিয়ে ফেরত না দেয়া বাংলাদেশের মানুষের একটা চিরন্তন অভ্যাস। কেউ কেউ কোন পরিচিত ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা ধার নেয়।কিন্তু ফেরত দিতে চায় না। আবার প্রভাবশালীরা কেউ কেউ ব্যাংক থেকে টাকা ধার নেয় । কিন্তু ফেরত দিতে গেলে মনে কষ্ট পায় বলে আর ফেরতই দেয় না।

কথা দিয়ে কথা রাখা, সদা সত্য কথা বলা, আইনকানুন মেনে চলা, উন্নত বিবেকবোধ দ্বারা পরিচালিত হওয়াও দরকার।

০৪ ঠা মে, ২০১৮ ভোর ৫:১৬

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: আমি নিজে এজন্য জীবনে খুব ভূগেছি। হাতে টাকা থাকলে মিথ্যা বলতে পারি না। ফলাফল সম্পর্ক নষ্ট। টাকা তো গেলে সাথে অনেক বছরের সম্পর্ক!! আর ব্যাংক থেকে মারতে লাগে বুকের পাটা, আর টিকঠাক লাইন ঘাট। যাদের আছে তারা মহামানব!!!

আমরা হলাম, আমড়া গাছের ঢেঁকি। শুধু লেখি। সমাজ ও রাষ্ট্র কেউ লেখকদের পছন্দ করে না।

শুভ সকাল, সাজ্জাদ ভাই।

৬| ০৪ ঠা মে, ২০১৮ ভোর ৫:৪৪

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: নিজেকে সবচেয়ে জ্ঞানি প্রমাণ দেখার উদাহরণ টিবিতে “টক শো” যদিও নাম হওয়া উচিত ছিলো “টক্কর শো” আমরা সব সময় সামনের মানুষটিকে বোকা ভাবতে চাই বোকা বানাতে চাই ও ক্ষতি করতে চাই । শুধু তাই নয় মানুষে মানুষে দ্বন্দ না হয় মেনেই নিলাম - আপনি ট্রেনে চড়েছেন, যাত্রা করছেন কোথাও - ট্রেন আপনার কি ক্ষতি করেছে এটি একটি যানবাহন মাত্র তার সিটে বসে সিট ছিরছেন ? সে তো প্রতিবাদ ও করতে পারছে না তাহলে কোথায় আপনার আনন্দ ?

০৪ ঠা মে, ২০১৮ ভোর ৫:৫৫

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: আমি টকশো গুলোকে বলি "গলা শো"। যাদের গলার আওয়াজ বড়, যাদের তেলের ডিব্বা টইটুম্বুর, যারা অতি আঁতেল ও দলীয়/স্ব ঘোষিত বুদ্ধিজীবি, এসব গলা শোতে এদের পোয়া বারো। আরেকটি বিষয় লক্ষ্য করেছেন কী না জানি না, এসব গলাবাজিতে বেশিরভাগ সরকারী অবসরপ্রাপ্ত আমলা থাকে। সারা জীবন দুই নাম্বারী করে মাল কামিয়ে এখন বিরাট অবসর উনাদের। তাই জাতিকে আইন আর নীতি কথা শেখাতে আসেন!!

আহ!! কি চমৎকার নীতিকথা। শুনলেই কলিজাটা জুড়িয়ে যায়। আর ট্রেনের সিটের কথা কি আর বলবো। অনেকে তো ভালবাসা পেতে/দিতে নিজের মোবাইল নাম্বারটা লেখে রাখে!!! সরকার কা মাল দরিয়া কা ঢাল। জয় হোক বাঙালির ভন্ডামী আর ইতরামির

৭| ০৪ ঠা মে, ২০১৮ ভোর ৬:০৭

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: আমাদের ব্যাবহার ও তার পরিচয় কোথায় থাকে জানেন - টাকা, দেয়াল, ট্রেন ও লঞ্চের টয়লেট !!!
টয়লেটে আর টাকাতে মোবাইল নম্বর: ০১৪২০৪২০৪২০ ইমু হোয়াটসআপ ভা্ইবার ফোন দিবেন কথা হবে !!!

- দায়ী কে ?

০৪ ঠা মে, ২০১৮ ভোর ৬:৩০

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: হা হা হা..............
আসলে যার যেখানে মানায়। বাঙালিরা পৃথিবীর যেকোন জায়গায় সহজে মানিয়ে নিতে পারে। ঠিক তেমনি সব জায়গায় নিজেদের পরিচিতির জানান দিতে পারে। এতে টয়লেটের কমোড হলেও প্রব্লেম নেই।

ইদানিং ফেইসবুকে কিছু মেয়েদের একাউন্ট দেখলাম।
এক্কেবারে রেইট পর্যন্ত দেওয়া আছে।

ইমো --x-- (ভিডিও) -- ১০০০/ঘন্টা।
ভিডিও ছাড়া শুধু ফোনে --৫০০/ঘন্টা
সরাসরি, ২০০০/ঘন্টা।
বিঃদ্রঃ প্রবাসী ভাইদের জন্য ডিসকাউন্টের ব্যবস্থা আছে। নিয়মিত ক্লায়েন্টদের জন্যও এ নিয়ম প্রযোজ্য।
বিকাশ নম্বর...... ০১৭০০০০০০০০!!

৮| ০৪ ঠা মে, ২০১৮ ভোর ৬:১৩

যুক্তি না নিলে যুক্তি দাও বলেছেন: প্রথমে আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি এমন সুন্দর একটি পোস্টের জন্য। প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়লাম খুব ভালো লাগল। টকশো বছর তিনেক একেবারে শুনিনে বা দেখিনে তার চেয়ে পুরাতন খেলার হাইলাইটস দেখি।

০৪ ঠা মে, ২০১৮ ভোর ৬:২৮

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: মনযোগ দিয়ে পড়ার জন্য ধন্যবাদ, ভাই। ভাল থাকবেন।

৯| ০৪ ঠা মে, ২০১৮ সকাল ৭:৩১

শহীদ আম্মার বলেছেন: আপনার এই শতভাগ খাঁটি ঘি কয়জন বাঙালী হজম করতে পারে এটাই দেখার বিষয়। তবে দোয়া করেন যাতে আমি হজম করতে পারি।

০৪ ঠা মে, ২০১৮ সকাল ৭:৫০

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: হাসালেন ভাই, এদেশে ভেজাল আর ফরমালিনের ভীড়ে খাঁটি বলতে কিছুই নেই। এখন শ্যাম্পু দিয়ে আমার দুধ বানাতে পারি!! অতএব খাঁটি ঘিয়ের অস্তিত্ব এ বঙ্গে নেই। ফলে খাঁটি ঘি খেলে বদহজম হবে নিশ্চিত!!!

শহীদ ভাই, শুভ কামনা রইলো।

১০| ০৪ ঠা মে, ২০১৮ সকাল ৭:৫৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সুপ্রভাত কাওসার ভাই।বর্তমান বিশ্বে যে ভাবে ক্ষয়িষ্ঞুতা আমাদেরকে গ্রাস করেছে,সেখানে দাড়িয়ে এরকম পোষ্ট নিঃসন্দহে যুগোপযোগী। পোষ্টের সঙ্গে সম্পূর্ণ সহমত হয়েও বলছি,ব্যক্তিত্বের বিকাশে গৃহ,সমাজের ভূমিকা, তার পুঁথিগত শিক্ষার ভূমিকা অনস্বীকার্য।কিন্তু তার পরেও এত অনৈতিকতা কেন? চারিদিকে এক অলিখিত অশুভ আঁতাতই যেন আমাদের গাসওয়া হয়ে গেছে,উল্টে যে নৈতিকতার কথা বলে,তাকে আমরা ভিন গ্রহের জীব বলে ট্রিট করি।

অনেক অনেক ভাল লাগা আপনাকে।

০৪ ঠা মে, ২০১৮ সকাল ৮:১৫

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: সুপ্রভাত, পদাতিক চৌধুরী ভাই। আসলে অনিয়মটাই এখানে নিয়ম হয়ে গেছে। এজন্য নিয়ম-নীতি দেখলে মানুষ ফরমালিন ভাবে। লেখতে শিখে এখন মহা ফ্যাসাদে পড়ে গেছি। না পারি এগুলো সহ্য করতে, না পারি সমাজের উল্টো পথে হাঁটতে। তাই নীরবেই লিখে যাই নতুন প্রজন্মের জন্য। যাতে এরা জাগ্রত হয়। এটা অনেকটা বিবেকের তাড়নায় লিখি, দায়িত্ববোধ থেকে।

যদি সমাজের একজনেরও বোধেদয় হয় তাতেই স্বার্থকতা।

১১| ০৪ ঠা মে, ২০১৮ সকাল ৯:০২

শহীদ আম্মার বলেছেন: কাওসার ভাই খাঁটি ঘি বলতে আপনার ঐ খাঁটি লেখাটা বুঝিয়েছি। ওটা আসলেই খাঁটি। কিন্তি ভাই, পাকি-রাজাকার-ভারতীয় দালাল-মৌলবাদী-নাস্তিক-সাম্প্রদায়িক এতসব অস্বাস্থ্যকর রেসিপিগুলো গলধ:করণ করতে করতে আমাদের বাংগালীরা এক প্রকার গ্যাস্ট্রিক জনিত পেটের পীড়ায় আক্রান্ত। সেখানে হটাৎ আপনার ঐ খাঁটি রেসিপিটা বাঙালীর পরিপাকতন্ত্রে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। ফলাফলে কোন মহামারী দেখা দিলে আপনার কাছে ইন্টারপোলের রেড এলার্ট যায় কিনা এ ভয়ে ছিলাম!!!!

০৪ ঠা মে, ২০১৮ সকাল ৯:০৮

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: আমি আপনার সাথে কথাটি যোগ করেছি। আমি বুঝতে পেরেছি, আপনি কি বলেছেন। আসলে সব কিছুতেই চলছে বাড়াবাড়ি টাইপের বাড়াবাড়ি। আপনার প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। সব সময় আমাকে অনুপ্রাণিত করেন।

লেখতে শিখে এখন মহা ফ্যাসাদে পড়ে গেছি। না পারি এগুলো সহ্য করতে, না পারি সমাজের উল্টো পথে হাঁটতে। তাই নীরবেই লিখে যাই নতুন প্রজন্মের জন্য। যাতে এরা জাগ্রত হয়। এটা অনেকটা বিবেকের তাড়নায় লিখি, দায়িত্ববোধ থেকে।

ভাল থাকবেন, শহীদ ভাই।

১২| ০৪ ঠা মে, ২০১৮ সকাল ৯:২০

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: দারুন একটি লেখা। ব্যাক্তিত্ব কি এবং এই ব্যাক্তিত্বের সুষ্ঠ বিকাশ সম্পর্কে আমাদের সচেতন হওয়া উঠিৎ সবার আগে।

০৪ ঠা মে, ২০১৮ সকাল ৯:২৪

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: পরিচিত হতে পেরে ভাল লাগলো। লেখাটি পড়েছেন জেনে খুশি হলাম। মনুষত্বের বিকাশ না ঘটলে ব্যক্তিত্বের বিকাশ হয় না।

শুভ সকাল। ভাল থাকবেন।

১৩| ০৪ ঠা মে, ২০১৮ সকাল ৯:৪৭

করুণাধারা বলেছেন: এই পোস্ট নিজের দিকে ফিরে তাকানোর, নিজেকে যাচাই করার।

০৪ ঠা মে, ২০১৮ সকাল ৯:৫৭

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: সুন্দর কথা বলেছেন, ভাই। আত্ম সমালোচনা মানুষকে পূর্ণতা দেয়, প্রকৃত মানুষ করে।

১৪| ০৪ ঠা মে, ২০১৮ সকাল ৯:৫৩

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: শুভ সকাল কাওসার ভাই, ব্যক্তিত্ব বিকাশের পোষ্টটি সময় উপযোগী এবং সুন্দর।

০৪ ঠা মে, ২০১৮ সকাল ৯:৫৮

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ, তারেক ভাই।

১৫| ০৪ ঠা মে, ২০১৮ সকাল ১০:৫৭

মৌরি হক দোলা বলেছেন: খুব সুন্দর একটি পোস্ট! খুব ভালো লাগল। :) :)

০৪ ঠা মে, ২০১৮ সকাল ১১:০৯

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, আপা। ছুটির দিনটা ভাল কাটুক, এই প্রত্যাশায়।

১৬| ০৪ ঠা মে, ২০১৮ সকাল ১১:১২

রাজীব নুর বলেছেন: সহজ সরল সুন্দর একটি লেখা। লেখাটি আগে কেন পড়ি নাই ??!!!

আপনার লেখাটি পড়ে আত্মবিশ্বাস কিছুটা বেড়ে গেল ।

০৪ ঠা মে, ২০১৮ সকাল ১১:১৭

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ, রাজীব ভাই। লেখাটি শেষ রাতে দিয়েছি তখন আপনি ঘুমে কাতর। এজন্য দেখেন নাই!! আপনি এমনিতেই ব্যক্তিত্ববান। লেখাটি আপনার জন্য নয়। আমার মতো যারা আছেন উনাদের জন্য।

ছুটির দিনটা আনন্দময় হোক, এই প্রত্যাশায়।

১৭| ০৪ ঠা মে, ২০১৮ সকাল ১১:২০

শাহিন-৯৯ বলেছেন: ব্যক্তিত্ব!! সেটা আমাদের নেতাদের মাঝে প্রচুর পাওয়া যায়, ভাবছেন আমি মিথ্যা বলছি, না একদম মিথ্যা বলছি না। তবে সেই ব্যক্তিত্ব হল নোংরা ব্যক্তিত্ব।

০৪ ঠা মে, ২০১৮ সকাল ১১:২৩

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: এরা তো মারাত্মক ব্যক্তিত্ববান। তাদের ব্যক্তিত্বের সাইজ বিশাল আকৃতির। সো, উনাদের এ গুণাবলী নিয়ে আলাদা করে লেখতে হবে।

শহীন ভাই, ছুটির দিনটা ভাল কাটুক।

১৮| ০৪ ঠা মে, ২০১৮ সকাল ১১:৩২

লাবণ্য ২ বলেছেন: সুন্দর একটি পোস্ট।রাতেই পড়েছিলাম।

০৪ ঠা মে, ২০১৮ সকাল ১১:৪২

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: শুভেচ্ছা নেবেন। পড়েছেন জেনে ভাল লাগলো। ছুটির দিনটা সবাইকে নিয়ে ভাল কাটুক এই প্রত্যাশা রইলো।

১৯| ০৪ ঠা মে, ২০১৮ সকাল ১১:৩৩

পুলক ঢালী বলেছেন: খুব সুন্দর লিখেছেন অনেকের বাস্তব মন্তব্যও ভাল লেগেছে । চাঁদগাজীভাই সংক্ষপে সঠিক কথা বলেছেন যা বিভিন্ন মন্তব্যেই উঠে এসেছে যেমন এই সময়ের টক শো। এই সমাজের ভিতর আগাছা (নৈতিকতাহীন মানুষের সংখ্যা গরিষ্ঠতা)
জিপিএ টাইপ শিক্ষা ব্যবস্থা সবকিছু মিলিয়ে ভীষন বাজে একটা অবস্থা বিরাজ করছে। এই অবস্থায় কিভাবে একটি শিশু তার আদর্শ ঠিক করবে যেখানে শিক্ষাটাকে জ্ঞান অর্জন নয় বরঞ্চ চাকুরীর মূলধন হিসাবে বিবেচনা করা হয়।
আপনার দিক নির্দেশনা মূলক লেখাটির জন্য ধন্যবাদ।

০৪ ঠা মে, ২০১৮ সকাল ১১:৪৯

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: পুলক ঢালী ভাই, প্রথম পরিচয় তাই শুভেচ্ছা রইলো। হ্যা, শ্রদ্ধেয় চাঁদগাজী সংক্ষেপে যে কথাগুলো বলেছেন তা খুব গুরুত্বপূর্ণ। এখন দেশে চরম অস্থির একটা সময় যাচ্ছে। লেখাটা পড়ে যদি সমাজের সামান্যতম উপকার হয় তাতেই আমি খুশি।

ছুটির দিনের শুভেচ্ছা।

২০| ০৪ ঠা মে, ২০১৮ দুপুর ১২:০৮

এজাজ ফারিয়া বলেছেন: অপূর্ব লেখনী ও বাস্তবিকতার মেল্বন্ধন!

০৪ ঠা মে, ২০১৮ বিকাল ৫:৪০

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: শুভেচ্ছা রইলো। পড়ে ভাল লেগেছে জেনে খুশি হলাম। শুভ কামনা আপনার জন্য।

২১| ০৪ ঠা মে, ২০১৮ দুপুর ১:০৯

প্রামানিক বলেছেন: মান সম্মত লেখা ব্লগে অনেক কমে গেছে, আপনার লেখাটি খুব ভালো লাগল, লিখতে থাকেন সাথে আছি।

০৪ ঠা মে, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৪

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: প্রামাণিক ভাই, শুভেচ্ছা নেবেন। সাথে শ্রদ্ধা। আপনি গুণী মানুষ। লেখাটি পড়েছেন জেনে ভাল লাগলো। আপনাদের আশীর্বাদ আমার ভাল লেখার অনুপ্রেরণা।

ভাল থাকবেন, ধন্যবাদ।

২২| ০৪ ঠা মে, ২০১৮ দুপুর ১:৫০

নীলপরি বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন। ++

০৪ ঠা মে, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৬

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ। আর ++ জন্য কৃতজ্ঞতা। ছুটির দিনটি ভাল কাটুক এই প্রত্যাশায়।

২৩| ০৪ ঠা মে, ২০১৮ দুপুর ২:১২

মাআইপা বলেছেন: ব্যক্তিত্ব সমৃদ্ধ করতে যারা কিছু শিখতে বা ত্যাগ করতে চায়, তাদের জন্য চমৎকার একটি পোস্ট দিয়েছেন।

সমস্যা হলো স্বভাব। কেউ যদি নিজ থেকে নিজের স্বভাব বা রুচিবোধ সম্পর্কে সচেতন না হন।

ব্যক্তিত্ব সমৃদ্ধ করতে যারা কিছু শিখতে বা ত্যাগ করতে চায়, তাদের জন্য চমৎকার একটি পোস্ট দিয়েছেন।

সমস্যা হলো স্বভাব। কেউ যদি নিজ থেকে নিজের স্বভাব বা রুচিবোধ সম্পর্কে সচেতন না হন।

'Think Different' টাইপ পোস্টর জন্য ধন্যবাদ।
শুভ কামনা রইল

০৪ ঠা মে, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৯

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: এ্যাপলের শুভেচ্ছার জন্য ধন্যবাদ। লেখাটি পড়ে অনুপ্রাণিত হয়েছেন, এজন্য ভাল লাগল। উৎসাহ পেলাম। অনেক শুভ কামনা আপনার জন্য।

২৪| ০৪ ঠা মে, ২০১৮ দুপুর ২:২০

আল আমিন সেতু বলেছেন: সাবলীলভাবে অনেক উপদেশ দিলেন।এই মানবিক মূল্যবোধের অবক্ষয় যে আজ চরম নীচুতে। এ নিয়ে ভাবতে ভাবতে খেই হারিয়ে ফেলি বেঁচে থাকার। ধন্যবাদ।

০৪ ঠা মে, ২০১৮ বিকাল ৫:৫১

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: সেতু ভাই, আসলেই বেশি বলা হয়ে গেছে!! যতটুকু পারা যায় ফলো করার চেষ্টা করবো। তাতেই অনেক অর্জন হবে।

২৫| ০৪ ঠা মে, ২০১৮ দুপুর ২:৩৮

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ, রাজীব ভাই। লেখাটি শেষ রাতে দিয়েছি তখন আপনি ঘুমে কাতর। এজন্য দেখেন নাই!! আপনি এমনিতেই ব্যক্তিত্ববান। লেখাটি আপনার জন্য নয়। আমার মতো যারা আছেন উনাদের জন্য।

ছুটির দিনটা আনন্দময় হোক, এই প্রত্যাশায়।


আসলেই তখন আমি গভীর ঘুমে ছিলাম।
আমার ইচ্ছা আছে একতা প্রকাশনী খুলব। সেই প্রকাশনীতে সামু ব্লগের ভালো লেখা গুলো প্রকাশ করে সারা বাংলাদেশ ছড়িয়ে দিব।

০৪ ঠা মে, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৪

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: রাজীব ভাই, প্রীত হলাম। 'একতা প্রকাশনীর' স্বপ্ন বাস্তবায়ন হোক এই প্রত্যাশা রইলো।

২৬| ০৪ ঠা মে, ২০১৮ বিকাল ৩:১৩

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: কনফুসিয়াস বলেছেন,'সত্যিকারের মহত্ব নিহিত আছে পবিত্র ও সরল জীবন যাপনের মাঝে।'
আমি একটা বিষয় খেয়াল করলাম যে, সরল জীবন যাপন ছাড়া ব্যক্তিত্ব বিকশিত হয় না, তারউপর আমাদের সভ্যতার যা অবস্থা!
সুন্দর গঠনমূলক পোষ্ট, ধন্যবাদ।

০৪ ঠা মে, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৭

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: চমৎকার কথা বলেছেন। খেয়াল করলে দেখবেন, ব্যক্তিত্ববান মানুষজন একটু সরল প্রকৃতির হয়। কারণ বিবেক থাকলে সরলতা থাকতে হয়। কুটিল বুদ্ধি বিবেককে মাটি চাঁপা দেয়।

২৭| ০৪ ঠা মে, ২০১৮ বিকাল ৩:১৮

মিথী_মারজান বলেছেন: চমৎকার, শিক্ষনীয় এবং সময়োপযোগী পোস্ট।
এই সুযোগে নিজেকেও আরেকবার মিলিয়ে নিলাম।
ভুল ত্রুটি, আচরণগত সমস্যা এসব চলার পথে থাকতেই পারে, তবে অবশ্যই তা শুধরে নেবার মানসিকতা থাকতে হবে।
সুন্দর মানসিকতার আবেদন অপরাসীম।

আপনার প্রতিটা পোস্টই সামুকে সমৃদ্ধ করে চলেছে দিনের পর দিন।
এভাবেই আমাদের পাশে থাকুন সবসময়।:)

০৪ ঠা মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০২

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: চমৎকার, শিক্ষনীয় এবং সময়োপযোগী পোস্ট।
"এই সুযোগে নিজেকেও আরেকবার মিলিয়ে নিলাম।
ভুল ত্রুটি, আচরণগত সমস্যা এসব চলার পথে থাকতেই পারে, তবে অবশ্যই তা শুধরে নেবার মানসিকতা থাকতে হবে।"

আপা, আমি এতো ভাল কমেন্টের যোগ্য না। শুধু আশীর্বাদ করবেন যাতে লেখার মানটা ভাল করতে পারি। নতুন প্রজন্মকে জাগ্রত করতে পারি। মানুষের কল্যাণে লেখতে পারি।

ছুটির দিনটা ভাল কাটুক, সবাইকে নিয়ে এই কামনা করি।

২৮| ০৪ ঠা মে, ২০১৮ বিকাল ৫:১৭

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আপনার লেখাগুলো খুবই মানসম্মত। আমি বার বার পড়ি।

০৪ ঠা মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৩

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: সাজ্জাদ ভাই, আপনি গুণীজন। আপনার আশীর্বাদ আমার ভাল লেখার অনুপ্রেরণা। ছুটির দিনের শুভেচ্ছা।

২৯| ০৪ ঠা মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৯

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: দয়া করে দোলার এই গল্পটি পড়ে আপনার মতামত দিন
click

০৪ ঠা মে, ২০১৮ রাত ৮:২৫

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: ঠিক আছে, পড়বো। ধন্যবাদ, আপনাকে।

৩০| ০৪ ঠা মে, ২০১৮ রাত ১১:০৪

অর্থনীতিবিদ বলেছেন: অনেক কিছু জানলাম লেখাটা পড়ে। ভালো লাগলো। পোস্টে +

০৫ ই মে, ২০১৮ রাত ১২:১৩

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: আপনার সাথে পরিচিত হতে পারিনি। প্রথম পরিচয়, তাই শুভেচ্ছা নেবেন। লেখাটি পড়ে ভাল লেগেছে জেনে খুশি হলাম। আর + দেওয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। সময় করে আপনার মূল্যবান লেখাগুলোও পড়বো।

অনেক শুভ কামনা আপনার জন্য।

৩১| ০৫ ই মে, ২০১৮ সকাল ৭:২৬

সোহানী বলেছেন: ভাইরে কারে যে কি বলেন, কি শেখাবেন.......... আমরা এখন সব কিছুর উর্ধে।

আদপ কায়দা শিক্ষা সব কিছুই এখন ফেইসবুক কেন্দ্রিক। শুধুমাত্রই ফেইসবুকেই এর অস্তিত্ব মিলে। আসলে ভাই গোঁড়ায় গলদ। কান ধরে নাহিদ আংকেলরে রিটায়মেন্টে পাঠান তারপর দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা ঢেলে সাজান একেবারে গোড়া থেকে.... অ আ ক খ থেকে। অার কঠিন টাইট দেন, আইনের শাসন নিশ্চিত করেন........ আস্তে আস্তে সব ঠিক হয়ে যাবে।

০৫ ই মে, ২০১৮ সকাল ৭:৩০

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: "আদপ কায়দা শিক্ষা সব কিছুই এখন ফেইসবুক কেন্দ্রিক। শুধুমাত্রই ফেইসবুকেই এর অস্তিত্ব মিলে। আসলে ভাই গোঁড়ায় গলদ। কান ধরে নাহিদ আংকেলরে রিটায়মেন্টে পাঠান তারপর দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা ঢেলে সাজান একেবারে গোড়া থেকে.... অ আ ক খ থেকে। অার কঠিন টাইট দেন, আইনের শাসন নিশ্চিত করেন".............. একদম আমার মনের কথাটি বলেছেন। শুধু একটি কথা যুক্ত করবো, ফেইসবুকের এ নতুন প্রজন্ম নিয়ে আমার খুব ভয় হয়। না জানি দেশের কপালে কী আছে।

৩২| ০৫ ই মে, ২০১৮ সকাল ১১:৪১

কথার ফুলঝুরি! বলেছেন: আমি একজন মানুষের বাক্তিত্ত কে খুব বেশি প্রাধান্য দেই। তাই নিজে ও বাক্তিত্তের চর্চা করতে পছন্দ করি । আমার আশে পাশের মানুষের থেকে তাদের ভাল গুনগুলো অনুসরন করার চেষ্টা করি । এরকম সবার ই করা উচিত । কারন একটা মানুষের বাক্তিত্ত ই তাকে আরেকটা মানুষের কাছে থেকে সম্মানিত হতে সাহায্য করে এবং দিন শেষে মানুষ একটা ভাল বাক্তিত্তের মানুষকেই মনে রাখে। আপনার লেখাটায় শিক্ষণীয় অনেক কিছু আছে, আমি চেষ্টা করব সেগুলো অনুসরন করার।

০৫ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:১০

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: মানুষের বয়স বাড়ার সাথে সাথে ব্যক্তিত্বের বিকাশ হয়। ছোট বেলা প্রতিটা মানুষ কোন না কোন মানুষকে অনুকরণ করার চেষ্টা করে। বড় হওয়ার সাথে সাথে এই গুণগুলো নিজের মধ্যে ধারণ করে। ব্যক্তিত্বের বিকাশ ও মানবিক মূল্যবোধ গঠনের জন্য পরিবার, সমাজ এবং রাষ্ট্রের ভূমিকাও থাকতে হয়।

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। শুভ কামনা আপনার জন্য।

৩৩| ০৫ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১:২৩

মনিরা সুলতানা বলেছেন: চমৎকার লেখা !!!

০৫ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:১২

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: মনিরা সুলতানা, আপা। পড়ার জন্য ধন্যবাদ। আপনার জন্য অনেক শুভ কামনা রইলো।

৩৪| ২৮ শে জুন, ২০১৮ রাত ৩:২৬

রাকু হাসান বলেছেন: প্রবন্ধ এ ++ ক্যাটাগরির হয়েছে । জানলাম ..

২৮ শে জুন, ২০১৮ রাত ৩:৪৯

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ, প্রিয় রাকু হাসান ভাই। পুরাতন একটা লেখা পড়েছেন জেনে ভাল লাগলো। শুভ কামনা আপনার জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.