নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রবন্ধ ও ফিচার লেখতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। পাশাপাশি গল্প, অনুবাদ, কবিতা ও রম্য লেখি। আমি আশাবাদী মানুষ।
ছোটবেলায় একটি নাটকে দেখেছিলাম একজন লোক খাওয়া-দাওয়া, গোসল-টয়লেট ও ঘুমের পর সার্বক্ষণিক সময়ে শুধু রাজনৈতিক বক্তৃতা দিয়ে বেড়ায়। সামান্য উঁচু কোন স্থাপনা, মাটির ঠিলা, উচু ব্রিজের রেলিং এমনকি সিড়ি ওয়ালা বারান্দা দেখলেও রাজনৈতিক মঞ্চ মনে করে শুরু করতো বক্তৃতা। এতে সামনে দর্শক থাকুক বা না থাকুক তার কিছুই যায় আসে না। বাঙালিদের অনেকগুলো ট্রেডমার্ক গুণাবলীর মধ্যে এই 'বক্তৃতা' করার নেশাটা কিন্তু বেশ! এজন্য গলাবাজ বক্তাদের কদর এ বঙ্গে আগেও ছিল, আর এখন তো তা গাণিতিক হারে বাড়ছে।
ফলশ্রুতিতে, দেশের মোবাইল কোম্পানিগুলোর ব্যবসা দিন দিন হু হু করে বাড়ছে। আর মাইকের সামনে যেতে পারলে তো কোন কথাই নেই। বার বার নোট দিয়ে, পেছন থেকে টানাটানি করেও বক্তাকে ক্ষান্ত করা যায় না। কতশত কথা যে বুকের মধ্যখানে জমিয়ে রেখেছেন! কথার পংক্তিমালা মিষ্টি মুরির মতো ফট ফট করে ফুটতে থাকে।
কিছুদিন আগে আমার পরিচিত একজন ভদ্রলোকের আমন্ত্রণে মঞ্চ নাটক উপভোগ করতে একটি উপজেলা শহরে গিয়েছিলাম। এই এলাকায় আগে কোনদিন যাওয়া হয়নি, এজন্য আগ্রহ নিয়ে সময় করে যাই। এছাড়া, ভাল মানের মঞ্চ নাটকের প্রতি আমার একটা আলাদা টান আছে। এসব নাটকে বাংলার মাটি, মানুষ ও জনপদের একটি বাস্তব দৃশ্য থাকে, আত্মার খোরাক থাকে। সবচেয়ে বড় কথা বাঙালির হাজারো বছরের কৃষ্টি-কালচার ও ইতিহাস-ঐতিহ্যের অংশ হল মঞ্চ নাটক।
নাটকটি আয়োজন করেছে স্থানীয় একটি সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী। মঞ্চ, লাইটিং ও গ্যালারী সবকিছু বেশ পরিপাটি মনে হল। নাটকটি মঞ্চায়ন হওয়ার কথা সন্ধ্যা সাতটায়। এজন্য তাড়াহুড়ো করে বাসা থেকে যাত্রা করি যাতে সময়ের আগে পৌছা যায়। অনুষ্ঠান শুরু হলো সাতটা বাজার পনের বিশ মিনিট পর। কিন্তু নাটক নয় বক্তৃতা দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হল! আরো স্পষ্ট করে বল্লে রাজনৈতিক বক্তৃতা!!
যদিও দর্শকদের কারো এসব বক্তৃতা শুনার আগ্রহ ছিল না। মঞ্চায়ন করা হল প্রায় ত্রিশ-পয়ত্রিশ জন নেতাকে। উপজেলা, পৌরসভা, এমনকি ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতারা পর্যন্ত আছেন তাতে। বেশিরভাগ নেতাই বয়সে তরুণ। প্রধান অতিথি আগামী সংসদ নির্বাচনে এলাকার সম্ভাব্য সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী। যেহেতু এই এলাকায় আগে কোনদিন যাইনি এজন্য মঞ্চে আসীন কোন নেতা আমার পরিচিত ছিলেন না।
দর্শকের আসনে বসে একে একে বক্তৃতা শুনতে লাগলাম। রাজনীতি করি না বলে রাজনৈতিক সভা সমাবেশের বক্তব্যগুলো কেমন হয় শুনার সুযোগ হয় না। যদিও নাটকটি উপভোগ করা মূল উদ্দেশ্য ছিল তারপরও নেতাদের বক্তৃতা শুনতে ভালই লাগছিল। মঞ্চে আসীন সব নেতা ছাড়াও বাইরে থেকে বেশ কয়েকজন নেতাও বক্তৃতা করেন। সময় যত গড়াচ্ছিল মানুষের ধৈর্যের সীমা তত ল্যুজ হচ্ছিল। একজন নেতাকে দেখলাম মাত্র দু'টি কথা বলতে গিয়ে পাক্কা বাইশ মিনিট নন স্টপ বক্তৃতা করলেন!
অবাক করা বিষয়, বক্তারা মঞ্চে উপস্থিত সিনিয়র নেতাদের পরিচয় ও তোয়াজ করতেই বেশি সময় ব্যয় করলেন। বেশির ভাগ বক্তার মুখ থেকে একজন অতিথিকে নিয়ে বেশ সুনাম করতে শুনলাম। যেহেতু এই নেতাকে আমি চিনি না তাই স্থানীয় একজন দর্শকের কাছে তার সম্বন্ধে জানতে চাইলাম। লোকটি বল্লে, উনি একজন ইউনিয়ন চেয়ারম্যান। উপজেলা পর্যায়ের একটি রাজনৈতিক দলের প্রভাবশালী নেতা। উপজেলা ও পৌর এলাকার রাজনীতি তার ইশারায় চলে। এই নাটকটি মঞ্চায়নে সহযোগিতা করতে তিনি এক লক্ষ টাকা অনুদান হিসাবে দিয়েছেন। এতক্ষণ পরে বুঝলাম এই নেতাকে এত তোষণের আসল হেতু!
প্রায় সাড়ে তিন ঘন্টা পর বক্তৃতার পালা শেষ হল। আমাকে আমন্ত্রণকারী ভদ্রলোকও বেশ বিরক্ত ছিলেন অপ্রয়োজনীয় এসব বক্তব্যের জন্য। অবাকের বিষয় হলো, যে উদ্দেশ্যে অতিথিরা মঞ্চে উপবিষ্ট হলেন, বক্তৃতা করার সুযোগ পেলেন সে বিষয়টি নিয়ে (মঞ্চ নাটক) একটি কথাও কোন নেতার মুখ থেকে বের হল না! সবাই শুধু রাজনৈতিক বক্তৃতা দিলেন। যদিও আয়োজনটি রাজনৈতিক কোন দলের ছিল না।
এসব বক্তৃতায় দলের গুণকীর্তনের পাশাপাশি চলে অন্য মত ও গোষ্ঠীর প্রতি তীব্র আক্রমণ। বক্তা অতি আবেগী হয়ে উত্তজিত হয়ে পড়লে তা কখনো গালিতে রূপ নেয়। এসব গলাবাজির সাথে গালি দেওয়া, অন্যকে সমাজে হেয় প্রতিপন্ন করা, মিথ্যা কথা বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করা ইত্যাদি আমাদের দীর্ঘ দিনের সংস্কৃতির অংশ। অতএব বক্তৃতা বিবৃতির সাথে এগুলো অবধারিতভাবে আসে। ভাষা ও সাহিত্যের মতো জাতীয় ঐতিহ্য নিয়মিত চর্চা না হলে তা হারিয়ে যাওয়ার চান্স থাকে। তাই বক্তাদের এ চর্চাকে আমাদের সাধুবাদ জানাতেই হয়।
অনেকে বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে রীতিমত চাঁদা দিয়ে অতিথি হয়ে নিজের জ্ঞানগর্ভ বক্তব্য জাতির সামনে তুলে ধরেন। যাতে নিজের প্রচার-প্রচারণার পাশাপাশি জাতীয় ঐতিহ্যটি রক্ষা পায়।
মনে আছে একবার মানবাধিকার বিষয়ে একটি সেমিনারে গিয়েছিলাম। প্রধান অতিথি ছিলেন সরকারের একজন মন্ত্রী। অবাক হয়ে দেখলাম বক্তৃতা করার সময় মানবাধিকার নিয়ে মন্ত্রী মহোদয় টু শব্দটি পর্যন্ত করলেন না। সারাক্ষণ শুধুই সরকারের উন্নয়ন, দলীয় প্রধানের তোষণ আর বিরোধী দলের বদনাম করলেন। তাহলে কী মন্ত্রী মহোদয় জানতেন না কী বিষয়ে সেমিনার? নাকি প্রস্তুতি ছিল না? তবে অতিথিদের মধ্যে দুই-চারজন ব্যতিক্রম ছিলেন।
রাজনীতিবিদদের সব জায়গায় রাজনৈতিক বক্তৃতা দেওয়া কী শোভা পায়? অথবা স্থান, কাল, পাত্র না বুঝে শুধু রাজনৈতিক বক্তৃতা দেওয়াই উনাদের একমাত্র কাজ? আমি বুঝতে পারিনা দলীয় কোন সভা সেমিনার ছাড়া অন্য অনুষ্ঠানেও এসব গুরুত্বপূর্ণ নেতারা রাজনৈতিক বক্তৃতা দেন কেন? এটা কি অজ্ঞতা না অদূরদর্শিতা? না বিষয় ভিত্তিক জ্ঞানের অপ্রতুলতা? নাকি কোন বিষয়ে অনুষ্ঠান পূর্বে থেকে না জানা?
আমেরিকার সিলিকন ভ্যালিকে যেমন পৃথিবীর তথ্য প্রযুক্তির হাব হিসাবে ধরা হয় ঠিক বাংলাদেশও রাজনীতিবিদ বানানোর একটি ফ্যাক্টরী। আমরা জাতি হিসাবে বাচাল হওয়ায় চাপাবাজিটা খুব ভাল পারি। নিজেদের ঢোল পেটাতে আমাদের বিকল্প জাতি পৃথিবীতে আর একটিও নেই। কিছুই না করে কৌশলে সব কৃতিত্ব নিতে চাই। অথচ যারা সমাজে ভাল কাজ করে তাদের উৎসাহ দেই না, তাদের কৃতিত্বকে আড়াল করার চেষ্টা করি। বড় নেতার সাথে সেলফি তুলে নিজের প্রচার প্রচারণা করি। আত্মতুষ্টিতে ভূগী। এটা কী আমাদের আইডেন্টিটি ক্রাইসেস?
শুনেছি জ্ঞানী ও বিবেকবান মানুষেরা ধীরস্থির থাকেন। মিতভাষী ও প্রচার বিমুখ হন। মঞ্চে বক্তৃতা করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন না। অতিথি হতেও তাদের তেমন আগ্রহ নেই। নিজের ঢোল নিজে পেটান না। তাঁর কর্মই তাকে মানুষের কাছে পরিচিত করে, সমাজে সম্মানের আসন দেয়। তাঁরা অপ্রয়োজনীয় কথা বলেন না এমনকি শুনতেও পছন্দ করেন না। তাদের চাপার জোর নেই। সাদাকে সাদা আর কালোকে কালো বলেন। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, জাতি হিসাবে আমারা এসবের বিপরীত। তাহলে এটা কি বাঙালিদের জ্ঞানের গভীরতার অভাবের লক্ষণ?
ফটো ক্রেডিট,
গুগল।
০৫ ই মে, ২০১৮ রাত ৩:০৪
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: শুভেচ্ছা নেবেন, শ্রদ্ধেয় চাঁদগাজী ভাই। আমিও বাচ্চাদের নাচ গান পছন্দ করি না। বিশেষ করে ছোট বাচ্চাদের মুখে রুমান্টিক প্রেমের গান। এগুলো বেমানান। তবে বিনোদন হিসাবে বক্তৃতা শুনা যায়। এতে আনন্দ আছে।
শুভ রাত্রী, স্যার।
২| ০৫ ই মে, ২০১৮ রাত ২:৩৪
শামচুল হক বলেছেন: আপনারও কি রাত জাগার অভ্যাস আছে?
০৫ ই মে, ২০১৮ রাত ৩:০৬
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: শামচুল ভাই। হ্যা, রাতে জেগে থাকি। অভ্যাসটা পরিবর্তন করতে পারছি না। আপনার কী অবস্থা? আমার মতো নিশ্চয় নয়!!!
৩| ০৫ ই মে, ২০১৮ রাত ৩:৪০
নোয়াখাইল্ল্যা বলেছেন: নেতাদের খালি কলসি বাজে বেশি।
বিঃদ্রঃ রাজনৈতিক বক্তৃতা বিনোদন হিসেবে নিবেন। প্রচণ্ড ধৈর্য না থাকলে কেটে পড়াই মঙ্গল।
০৫ ই মে, ২০১৮ রাত ৩:৪৭
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: হ্যা, বিনোদন হিসাবেই নেই। কিন্তু মাঝে মাঝে শব্দ দূষণে অত্যাচারের মাত্রাটা ছড়িয়ে যায়। তখন আর বিনোদন হিসাবে নিতে পারি না। কমেন্ট করার জন্য ধন্যবাদ, ভাই।
৪| ০৫ ই মে, ২০১৮ ভোর ৬:১৭
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সুপ্রভাত কাওসার ভাই। আপনার পোষ্টটি পড়ে বেচারা রাজনীতিবিদদের অবস্থা দেখে দুটি কথা, আমার দেখা একজন উচু দরের মানুষ সকালে বেলা করে ঘুম থেকে উঠে ছয়টি পেপারের শুধু হেডলাইন পি.এর মুখ থেকে শুনে নিতেন, তারপরে নিজে দলীলপত্রিকা গুলি খুঁটিয়ে পড়তেন। সারাদিন মঞ্চে তার বমি করতেন।সেক্ষেত্রে এহেন নেতাদের কাছ থেকে শ্রাদ্ধ বা মুসলমানিতেও দলীয় বক্তব্যের বাইরে কিছু আশা করাটা অন্যায়। শিক্ষক হিসাবে আপনি পড়ুয়াদের কাছ থেকে প্রশ্ন অনুযায়ী উত্তর না পেলে অপ্রাসঙ্গিক লিখে কেটে দিতে পারেন তাবলে এদের বেলায় আপনি ঢোক গিলতে বাধ্য।
অনেক শুভেচ্ছা ও ভাল লাগা আপনাকে।
০৫ ই মে, ২০১৮ ভোর ৬:২৯
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: শুভ সকাল, প্রিয় পদাতিক চৌধুরী ভাই। একদম ঠিক কথা বলেছেন।
"শিক্ষক হিসাবে আপনি পড়ুয়াদের কাছ থেকে প্রশ্ন অনুযায়ী উত্তর না পেলে অপ্রাসঙ্গিক লিখে কেটে দিতে পারেন তাবলে এদের বেলায় আপনি ঢোক গিলতে বাধ্য।"........ চমৎকার একটি কথা, বাস্তব।
পশ্চিম বঙ্গের আমার একজন প্রিয় দাদাকে নিয়ে একটি গল্প লেখেছি। গল্পটি লিঙ্কে দিচ্ছি। এছাড়া ঘটি-বাঙাল নিয়েও একটি ফিচার আছে।
০৫ ই মে, ২০১৮ ভোর ৬:৩০
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: Click This Link
০৫ ই মে, ২০১৮ ভোর ৬:৩১
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: Click This Link
৫| ০৫ ই মে, ২০১৮ ভোর ৬:২২
তালাচাবি বলেছেন: অনেক দিন পর এরকম প্রাণবন্ত ও সময়োপযোগী লেখা পড়লাম। আপনার বাকী লেখাগুলোও খুব মান সম্মত ও শিক্ষামূলক। সময় সুযোগে আপনার প্রতিটি লেখা পড়বো। আপনার লেখা সামু ব্লগকে অনেক সমৃদ্ধ করবে। আপনার জন্য অনেক শুভ কামনা রইল। এরকম গঠনমূলক ও গবেষণাধর্মী লেখকের বড়ই অভাব এ দেশে। প্লীজ, আপনি লেখতে থাকুন। মনে হচ্ছে বাংলা সাহিত্য অসম্ভব প্রতিভানান একজন সাহিত্যিক সামনের দিনগুলোতে পাবে।
অনেক ভাল লাগা ও শ্রদ্ধা, স্যার। ভাল থাকবেন।
০৫ ই মে, ২০১৮ ভোর ৬:৩৬
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: "মনে হচ্ছে বাংলা সাহিত্য অসম্ভব প্রতিভানান একজন সাহিত্যিক সামনের দিনগুলোতে পাবে।"........আমি লেখার চেষ্টা করছি মাত্র। এতো বড় কম্পলিমেন্টের যোগ্য আমি নই। ভাল লাগে তাই মনের আনন্দে লেখি। আশীর্বাদ করবেন যাতে লেখালেখি চালিয়ে যেতে পারি। (ধন্যবাদ)
৬| ০৫ ই মে, ২০১৮ ভোর ৬:৪০
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: অনেক বাস্তব চিত্র তুলে ধরেছেন।
০৫ ই মে, ২০১৮ ভোর ৬:৪৪
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: শুভ সকাল। আপনাদের মতো গুণীজন আমার লেখা পড়েন, এটা আমাকে অনেক অনুপ্রেরণা দেয়। ভাল থাকনেন।
৭| ০৫ ই মে, ২০১৮ সকাল ৭:১৫
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: একবার এক নেতা বক্তৃতা করেই চলেছেন তো চলেছেনই। থামার কোন নাম নেই। অবশেষে ক্লান্ত হয়ে তিনি বক্তৃতা থামালেন। থামিয়ে তিনি দেখেন এক জন শ্রোতাই তার ব্ক্তৃতা তখনো দারুণ মনোযোগ দিয়ে শুনছেন। খুশী হয়ে নেতা বললেন- আমি আপনার উপর খুব খুশী হলাম। এক মাত্র আপনি আমার বক্তৃতা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত শুনেছেন।
লোকটি বললো- স্যার, আমি মনোযোগ দিয়ে আপনার বক্তৃতা শুনিনাই। আমি অপেক্ষা করছিলাম কখন আপনি থামবেন আর আমি আমার মাইক খুলে গুছিয়ে নেব। কেননা আমি এই মাইকের অপারেটর।
########
আরেক বক্তাঃ ভদ্রমহোদয়গণ, আমি দুঃখিত যে আমার হাতে ঘড়ি ছিল না। তাই বক্তৃতাটি দীর্ঘ কে ফেলেছি।
জনৈক শ্রোতাঃ স্যার, আপনার হাতে ঘড়ি ছিল না ঠিক আছে কিন্তু দেয়ালে তো ক্যালেন্ডার ছিল। সেটা দেখলেই তো পারতেন।
বিজ্ঞ লোকদের বক্তৃতা আমি খুব মন দিয়ে শুনি। চাপা বাজ নেতাদের বক্তৃতা শুনতে মন চায় না।
০৫ ই মে, ২০১৮ সকাল ৭:২১
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: সাজ্জাদ ভাই, শুভ সকাল। প্রথম গল্পটা জানা। তবে পরের গল্পটি নতুন লাগলো। বেশ সময়োপযোগী। এরা কাজের কাজ কিছুই জানে না, চাপাবাজিটাই এদের সম্বল।
৮| ০৫ ই মে, ২০১৮ সকাল ৭:২৮
সোহানী বলেছেন: এ আর এমন কি............. কিছু বলে যদি শান্তি পায় তাতে সমস্যা কি ........... চলুক না!!!!!!!
০৫ ই মে, ২০১৮ সকাল ৭:৩৩
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: হাসলাম। রীতিমত অট্ট হাসি...............
বিলকুল ঠিক কথা। "কিছু বলে যদি শান্তি পায় তাতে সমস্যা কি " - ঠিক আছে এগুলো নিয়ে আর লেখবো না!!!
৯| ০৫ ই মে, ২০১৮ সকাল ৮:০২
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: লন্ডনে হাইড পার্ক না কি যেন একটা পার্ক আছে। সেখানে নাকি ফ্রি স্টাইলে বক্তৃতা দেয়া যায়। চাপাবাজদেরকে সেখানে পাঠিয়ে দিয়ে জাতিকে উদ্ধার করুন।
০৫ ই মে, ২০১৮ সকাল ৮:১১
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: : হ্যা, হাইড পার্কের মার্বেল আর্চের কাছে। প্রতি রবিবার অনেকেই এখানে টুলের উপর দাঁড়িয়ে বক্তৃতা করে। আবার বক্তৃতার পাশাপাশি ডিবেটও হয়। চলে কথা কাটাকাটি কখনো কখনো। এলাকাটি আরব ট্যুরিস্ট অধ্যুসিত হওয়ায় বেশিরভাগ বক্তা ও শ্রুতা আরব।
১০| ০৫ ই মে, ২০১৮ সকাল ৮:১৩
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হ্যাঁ মামুনভাই, গল্পটা পড়েছি।উনি এখন আমেরিকায়, বিয়ে করে চলে গেছেন।খুব ভাল লিখেছেন।ওখানে মন্তব্য দিয়েছি।
তাহলে কাওসার ভাই নয়? মামুন ভাই?
০৫ ই মে, ২০১৮ সকাল ৮:১৬
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: না, মামুন প্রতীকী নাম। যাতে গল্পের সাথে পাঠক আমাকে মেলাতে না পারেন তাই মামুন দিয়েছি। কাওসার আমি।
১১| ০৫ ই মে, ২০১৮ সকাল ৯:০০
প্রামানিক বলেছেন: রাত দু'টার পরে যখন উভয়ই আছি তাহলে আপনার সাথীই বলতে পারেন।
০৫ ই মে, ২০১৮ সকাল ৯:০৭
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: শুভ সকাল, প্রামাণিক ভাই। হাসালেন আমায়। আমি রাত জাগা পাখি তাই পোস্টগুলো সবাই ঘুমিয়ে পড়লে চুপি চুপি দেই। যাতে নজর না লাগে!! আপনি জেগে আছেন জানলে নক করতাম।
ছুটির দিনটি সুন্দর হোক, এই কামনায়।
১২| ০৫ ই মে, ২০১৮ সকাল ৯:১১
তারেক_মাহমুদ বলেছেন: শুভ সকাল কাওসার ভাই, নেতাদের ধান ভানতে শীবের গীত গাওয়ার অভ্যাস আজীবনের। তবে বাংলাদেশের বেশির ভাগ নেতার বক্তব্য শুনতে রুচিতে বাধে।
০৫ ই মে, ২০১৮ সকাল ৯:২১
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: তারেক ভাই, শুভ সকাল। আসলে পড়াশুনা করাটা ভুল হয়েছে। না হলে এতো কিছু জানতাম না, বুঝতাম না। এখন কোন অনিয়ম দেখল প্রচন্ড আঘাত পাই, হতাশ হই। এসব বক্তৃতায় অন্য অনেকের মতো খুশি হলে, শান্তি পেলে ভালই হতো।
১৩| ০৫ ই মে, ২০১৮ সকাল ৯:২৭
রাজীব নুর বলেছেন: আমাদের রাজনীনিবিদরা মাইক্রোফোন হাতে পেলে মাথা ঠিক থাকে না। বলতেই থাকে, বলতেই থাকে। কথার কোনো আগা মাথা নেই। উচ্চারন ভুল করে। তাদের এইসব ঘ্যান ঘ্যান কেউ পছন্দ করে না। বিশেষ করে ঢাকা শহ্রের মানূষেরা। তবে গ্রামের লোকজন কিন্তু খুব মন দিয়ে শোনো। এটা তাদের কাছে একটা বিনোদন। ইউটেব এ তাদের কিছু বিনোদন মূলক ভিডিও পাবেন।
একসময় আমি সারা রাত জেগে থাকতাম। মাসের পর মাস। বছরের পর বছর।
০৫ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:১৪
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: ঠিক বলেছেন, রাজীব ভাই। এটা অনেকটা কেনবেচারের মতো। যত বেশি গলাবাজি মলমের কাটতি ততো বেশি।
১৪| ০৫ ই মে, ২০১৮ সকাল ১০:৩৬
মোছাব্বিরুল হক বলেছেন: কথার উপর টেক্স নাই তাই বলে এত চাপাবাজি!!!!!!!!!
০৫ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:১৬
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: মোছাব্বির ভাই, চমৎকার বলেছেন। ট্যাক্স বসালে দেশের রাজস্ব হুহু করে বড়তো।
১৫| ০৫ ই মে, ২০১৮ সকাল ১১:৩৯
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: তবে তরুণ প্রজন্মের জন্য নিয়মিত বিতর্ক অনুষ্ঠানের আয়োজন করলে ভালো। এটা তাদের মেধা আর মননকে উন্নত করবে। আমাদের সৃষ্টিশীল ভালো মানুষ অনেক দরকার। নেতার দরকার কম করে। নেতা বেশী হয়ে গেছে।
০৫ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:১৯
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: আমি বিতর্ক অনুষ্ঠানের পক্ষে। তরুণরা চমৎকার আইডিয়া নিয়ে যুক্তি দিয়ে বিষয়ভিত্তিক বিতর্ক করে। এতে তাদের চিন্তা শক্তি ও মননশীলতার বিকাশ ঘটে। মেধার বিকাশ হয়।
১৬| ০৫ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১:০১
লাবণ্য ২ বলেছেন: নেতাদের
০৫ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:২০
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: হুম, ঠিক।
১৭| ০৫ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১:০২
লাবণ্য ২ বলেছেন: নেতাদের অন্তঃসারশূন্য গলাবাজি বিরক্তি আনে মনে।
০৫ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:২২
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: চরম বিরক্তিকর। এরা সবাইকে শ্রোতা ভাবে। মনে করে তারা যা বলছে সবাই চোখ বুজে বন্ধ করে বিশ্বাস করছে।
১৮| ০৫ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১:২১
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: এখন বিরক্তিকর বক্তব্য চামচা ছাড়া অন্যরা শুনেনা। তাই 'অনুষ্ঠান শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান' বলে প্রচার করে দর্শক হাজির করা হয়।
ওয়াজ নসিহতেও 'অনুষ্ঠান শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান' কালচার শুরু হয়ে গেছে।
০৫ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:৪০
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: লিটন ভাই, হাসালেন।
"ওয়াজ নসিহতেও 'অনুষ্ঠান শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান' কালচার শুরু হয়ে গেছে।".............. কিছুদিন পর দেখেবন এসব মাহফিলে হালাল নৃত্য শুরু হবে।
১৯| ০৫ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৬
মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: সহমত।
ব্লগের আপকামিং সুপারস্টার চৌধুরিদ্বয়কে বক্তব্য প্রদান করার জন্য অনুরোধ করা হল......
১. কা. চৌধুরি
২. প. চৌধুরী
০৫ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৬
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: মন্ডল ভাই, এতো ব্যস্ততার মাঝেও ব্লগে আসেন! এজন্য অনেক ভাল লাগছে। আপনি হলেন সামুর নিউক্লিয়াস। আপনি যেদিন থাকেন না, সামুর সাথে সংশ্লিষ্ট সবাই মনমরা হয়ে যায়। আর আপকামিং যে দুজন সুপারস্টারের কথা বলেছেন, উনাদের সাথে আমার ব্যক্তিগত কোন পরিচয় নেই, তাই মন্তব্য করলাম না।
তবে দুই চৌধুরীর প্রতি শুভ কামনা রইল।
২০| ০৫ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৪:০৬
আমিনভাই বলেছেন: বরতমান সরকার একটু বেশিই। প্রধান আরো বেশি । আমার মনে কষ্ট লাগে আর আমার মনে হয় জাতিকে নিরবোধ আর অদুরদরসি করে ফেলছে এই সরকার!!!
আমি ভাল লিখতে পাড়ি না। আপনার লিখা চিন্তা অনেক ভাল।
০৫ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৯
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: শুভেচ্ছা রইলো, আমিনভাই। আসলে সরকারী বলেন আর বিরোধী বলেন সবাই একই গোত্রের বাসিন্দা। গলাবাজিতে কেউ কারো চেয়ে কম না।
২১| ০৫ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৭
ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: গলাবাজি আমাদের পবিত্র পরিচয়ের অংশ।
০৫ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১২
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: হ্যা, এটা আমাদের ঐতিহ্য। এখন গলাবাজিতেই সবচেয়ে বেশি ইনকাম। বিনা পূজির ব্যবসা।
২২| ০৫ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩২
তারেক ফাহিম বলেছেন: আপনার ব্লগে মধ্যে মধ্যে ছবিগুলো আপনার ব্লগকে আরো আকর্ষনিয় করে তুলেছে।
অল্প সময়ের ভিতরে সামুকে আপন করে নিয়েছেন দেখছি।
বক্তৃতা আমি কম শুনি, তবে আপনার ব্লগে বক্তৃতার দিকটা দেখে শোনার আগ্রহ আসলো।
০৫ ই মে, ২০১৮ রাত ৮:১৮
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: ফাহিম ভাই, শুভেচ্ছা নেবেন। আমি অনেক দিন থেকে লেখালেখি করলেও সামুতে নতুন। সবার কাছে থেকে যে সহযোগিতা পেয়েছি তা সত্যি আমাকে অনুপ্রাণিত করেছে। আমি লেখি খুব যত্ন করে, যাতে লেখার মান ভাল হয়। আর ছবিগুলো অনেক সময় নিয়ে বাছাই করি, যাতে লেখার সাথে মানানসই হয়।
আপনার জন্য অনেক শুভ কামনা।
২৩| ০৫ ই মে, ২০১৮ রাত ৮:১৮
সনেট কবি বলেছেন: অনেক দিনের জমানো কথা একটা মঞ্চ পেয়ে বেরিয়ে আসতে চায়। হোক সেটা নাটকের মঞ্চ। মন্দ ভাবেন কেন?
০৫ ই মে, ২০১৮ রাত ৮:২০
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: কবির কমেন্ট তো কবির মতো হওয়া চাই। চমৎকার বলেছেন।
২৪| ০৬ ই মে, ২০১৮ রাত ১২:৫২
মাআইপা বলেছেন: এগুলো দেখতে দেখতে সবাই অভ্যস্ত হয়ে গেছে। এটাই এখন কালচার।
লেখা ভাল হয়েছে।
শুভ কামনা রইল
০৬ ই মে, ২০১৮ রাত ১:১৫
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ, ভাই। শুভ কামনা আপনার জন্য।
©somewhere in net ltd.
১| ০৫ ই মে, ২০১৮ রাত ২:৩৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
আমি বক্তৃতা শুনতে ভালোবাসি; সুযোগ পেলে বক্তৃতা শুনতে যাই; আমি বাচ্চাদের নাচ-গান দেখ্তে পছন্দ করি না; তার বদলে রাজনৈতিক বক্তৃতা শোনার জন্য যাই।