নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জন্মসূত্রে মানব গোত্রভূক্ত; এজন্য প্রতিনিয়ত \'মানুষ\' হওয়ার প্রচেষ্টা। \'কাকতাড়ুয়ার ভাস্কর্য\', \'বায়স্কোপ\', \'পুতুলনাচ\' এবং অনুবাদ গল্পের \'নেকলেস\' বইয়ের কারিগর।

কাওসার চৌধুরী

প্রবন্ধ ও ফিচার লেখতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। পাশাপাশি গল্প, অনুবাদ, কবিতা ও রম্য লেখি। আমি আশাবাদী মানুষ।

কাওসার চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্বাধীনতা, দর্শন ও কিছু উপলব্ধি (প্রবন্ধ)

০৬ ই মে, ২০১৮ রাত ২:১৭


মাঝে মাঝে মনে হয় মুক্তিযুদ্ধ করে লাভটা কী হলো? মধ্য থেকে ৩০ লক্ষ মানুষ প্রাণ হারালো, ২ লক্ষ মা বোন ইজ্জত হারালো। সংখ্যালঘু (আমি এই শব্দটি ব্যবহার করি না) মানুষজন নিজের বাপ-দাদার ভিটে মাটি হারালো। পাকিস্তান আমলে পশ্চিম পাকিস্তানিরা আমাদের শোষণ করতো, এখন বিএনপি-আওয়ামীলীগ-জাতীয়পার্টি-বাম-ডানরা আমাদের শোষণ করে। তখন পশ্চিম পাকিস্তানীরা ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখতো, এখন এরাও তাই করছে। আমাদের সাধারন জনগনের পাকিস্তান আমলে যে অবস্থা ছিল এখনো তাই আছে। আমরা জনগন বরাবরই বঞ্চিত, শোষিত।

মাঝখান থেকে মুক্তিযুদ্ধকালে একদল পাকিস্তানীদের পক্ষ নিয়ে হলো রাজাকার; আরেকদল স্বাধীন বাংলাদেশের পক্ষ নিয়ে পাকিস্তানীদের কাছে হলো গাদ্দার। প্রভাবশালী দেশগুলো এখন সুযোগ পেলে আমাদের এখনো শোষণ করে, নসিহত দেয়, আইন শেখায়, গণতন্ত্রের সিলেবাস পড়ায়। হায়রে স্বাধীনতা, হায়রে মুক্তিযুদ্ধ পুরোটাই সাধারন জনগনের সাথে রাজনৈতিক ধোকাবাজি। এতে একটি সুবিধাভোগী জনগোষ্ঠী ছাড়া সাধারন মানুষের মুক্তি মিলেনি।

বিশ্ব বিখ্যাত গ্রীক দার্শনিক সক্রেটিসের নাম আমরা অনেকেই জানি। খৃষ্টপূর্ব প্রায় ৪০০ বছর পূর্বে (২৪০০ বছর আগে) জন্ম নিলেও তাঁর জীবন দর্শন ও শিক্ষা পদ্ধতি আজো বিশ্বব্যপী সমাদৃত। বিখ্যাত এ দার্শনিকের জীবনী সম্বন্ধে আমরা তেমন কিছুই জানি না। শোনা যায় যেখানে তিনি মানুষকে জমায়েত হতে দেখতেন জোর করে হলেও তাদের নিজের জীবন দর্শন শেখাতেন, শিক্ষা দিতেন।


আরেক বিখ্যাত গ্রীক দার্শনিক প্লেটো তাঁর ছাত্র ছিলেন। আর এরিস্টটল ছিলেন প্লেটোর ছাত্র। এজন্য প্লেটো ও এরিস্টটলের দর্শনে সক্রেটিসের প্রভাব ছিল বেশ। সক্রেটিসের কয়েকটি দর্শনীয় উক্তি আমাকে সব সময় খুব আন্দোলিত করে। এগুলো হলো-

(১) জ্ঞানের শিক্ষকের কাজ হচ্ছে কোন ব্যক্তিকে প্রশ্ন করে তার কাছ থেকে উত্তর জেনে দেখানো যে জ্ঞানটা তার মধ্যেই ছিল।
(২) তুমি কিছুই জান না, এটা জানাই জ্ঞানের আসল মানে।
(৩) আমি কাউকে কিছু শিক্ষা দিতে পারব না, আমি শুধু তাদের চিন্তা করাতে পারব।
(৪) সত্যিকারের জ্ঞান আমাদের তখই আসে যখন আমরা বুঝতে পারি আমরা আমাদের জীবন এবং আমাদের চারিপাশ সম্বন্ধে কত কম জানি।
(৫) তারা জানে না যে তারা কিছুই জানে না, আমি জানি আমি কিছুই জানি না।

আমাদের সমাজে আজ সক্রেটিসের বড়ই অভাব। আমারা সবাইকে প্রতিনিয়ত শিক্ষা দিতে চাই, উপদেশ গিলাতে চাই। অথচ সক্রেটিস প্রায় আড়াই হাজার বছর আগে বলে গেছেন মানুষকে যেমন শিক্ষা দেওয়া যায় না, ঠিক তেমনি জ্ঞান দেওয়ারও কিছু নেই। আমরা যা ভাবি, নিজেদের মধ্যে লালন করি তা অন্য মানুষের মধ্যেও বিরাজ করে। প্রয়োজন শুধু নিজেদের চিন্তা শক্তিকে কাজে লাগানো, নিজের মধ্যে আত্মবিশ্বাসটা জাগ্রত করা। পাশাপাশি অন্যদেরও।

একজন শিক্ষককে বুঝতে হবে, আমি যা জানি বা যে জ্ঞান অর্জন করেছি তা অন্যের মধ্যেও আছে। যেমন- আমরা যদি কাউকে কাজটি করলে কেন? প্রশ্ন না করে জিজ্ঞেস করি আচ্ছা, কাজটি করা কী তোমার ঠিক হলো অথবা কাজটি করা কী তোমাকে মানায়? তাহলে সে নিজে থেকে বুঝতে পারবে কাজটি করা তার ঠিক হয় নাই। আসল কথা হলো মানুষের বোধ শক্তিকে জাগ্রত করা। এটাই হচ্ছে প্রকৃত শিক্ষা।


অনেকের মনে হতে পারে লেখাটি শুরু করলাম একটি বিষয় নিয়ে কিন্তু মাঝে সক্রেটিসকে নিয়ে আসলাম কেন? আসলে উল্লেখিত দর্শনগুলো দিয়ে উপরের প্রশ্নগুলোর উত্তর খোজার চেষ্টা করতে সক্রেটিসকে টেনে আনা।

একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে নিহত ত্রিশ লক্ষ মানুষ ও দুই লক্ষ মা বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত মহান স্বাধীনতার চেতনা কী এতো বছর পরও আমরা বাস্তবায়ন করতে পেরেছি? স্বাধীনতার এত বছর পরও আমরা কী শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনাদের নামের তালিকা জাতির কাছে উপস্থাপন করতে পেরেছি? উত্তর হলো, না পারিনি। আসুন নিজেদের বিবেককে প্রশ্ন করি, এগুলো করা কী উচিৎ ছিলো না?

আপনি কী জানেন, মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ত্রিশ লক্ষ মানুষের মধ্যে অধিকাংশই ছিলেন বেসামরিক মুক্তিযোদ্ধা? অথচ বীরশ্রেষ্ঠ, বীর উত্তম, বীর বিক্রম ও বীর প্রতীক খেতাব প্রাপ্ত অধিকাংশ মুক্তিযোদ্ধা সামরিক বাহিনীতে কর্মরত ছিলেন। সাতজন বীর শ্রেষ্ঠের মধ্যে একজনও বেসামরিক যোদ্ধা নেই! আচ্ছা, বীরশ্রেষ্ঠদের মধ্যে অন্তত একজন বেসামরিক যোদ্ধা থাকা কী উচিৎ ছিল না?

আরেকটি কথা, যে মানুষটি জাতিকে স্বাধীন করতে হাসিমুখে নিজের জীবনটি উজাড় করে শহীদ হলো তার চেয়ে বড় মুক্তিযোদ্ধা কী কেউ হতে পারে? তাহলে শহীদ বীর সেনাদের মধ্যে এত শ্রেণীভেদ কেন? আচ্ছা, এই ত্রিশ লক্ষ শহীদই আমাদের বীর শ্রেষ্ঠ হলে কেমন হতো?


আমরা যাদেরকে সংখ্যালঘু ও উপজাতি বলি তারা কী আমাদের মুক্তিযুদ্ধের পরে রিফিউজি হিসাবে আমাদের দেশে এসেছে? বাঙালি বলতে কী আমরা শুধুই সংখ্যাগুরুদের বুঝি? নাকি, এই বাংলায় শত শত বছর থেকে বসবাসরত হিন্দু-মুসলিম-পাহাড়ী সবাইকে বুঝি? মুক্তিযুদ্ধে কী কোন হিন্দু-পাহাড়ী মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না? কোন হিন্দু-পাহাড়ী কী মুক্তিযুদ্ধে মারা যান নাই? কোন সংখ্যালঘু বীরাঙ্গনা ছিলেন না?

উত্তর যদি হ্যাঁ হয় তাহলে তাদের সংখ্যালঘু বলি কেন? আচ্ছা, আমরা কী পাকিস্তান থেকে স্বাধীন হইনি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে? আপনাদের কী মনে হয় না আইন করে সংখ্যালঘু শব্দটি বাদ দেওয়া হোক? এছাড়া উপজাতিরা কী শত শত বছর থেকে আমাদের দেশে বসবাস করছে না? আসুন আমরা জোর গলায় বলি আমাদের স্বাধীন বাংলায় কেউ সংখ্যালঘু নয়, কেউ উপজাতি নয়, কেউ পাহাড়ী নয়। সবাই আমরা সংখ্যাগুরু। সবাই সম মর্যাদায়, সম অধিকারে এক সাথে বসবাস করবো এই স্বাধীন বাংলায়। দেশটা আমার নয়, আমাদের। এটাই হোক সবার প্রতিজ্ঞা।

আমরা খুব আবেগ প্রবণ জাতি। এজন্য কাজের সময় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আমরা হার্ট/হৃদয় দিয়ে সিদ্ধান্ত নেই। আমরা বুঝি কম, কিন্তু বলি অনেক বেশী। হার্ট হচ্ছে আবেগ অনুভূতির জায়গা। আর মাথা হলো চিন্তা শক্তি বিকশিত করার জায়গা, গবেষণার জায়গা, উদ্ভাবনের জায়গা, বুদ্ধিভিত্তিক চর্চার জায়গা। আচ্ছা, আমরা যে প্রধান দুই রাজনৈতিক দলকে, দলের প্রধান নেত্রীদের এত সমর্থন করি, তাদের আদেশ উপদেশ বেদ বাক্য হিসাবে মনে করি এগুলো কী অতি আবেগী মনের ফসল নয়? সত্যি কী আমরা ভাল মন্দ যাচাই বাচাই করে রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য জান কুরবান করি? নিজের জীবন বিপন্ন করে দলবাজি করি, মানুষকে হত্যা করি, গাড়িতে পেট্রোল বোমা ছুড়ি, সন্ত্রাস করি। এগুলো কী আমাদের করা উচিৎ?

দলগুলো যখন ক্ষমতায় থাকে তখন বিরোধী শিবিরে হামলা-মামলা, গ্রেফতার বাণিজ্য ও দিনের পর দিন শুধু রাজনীতি করার অপরাধে তাদের বাড়ি ছাড়া করি, তাদের ব্যবসা বাণিজ্য তছনছ করি। এগুলো কী সত্যি গণতান্ত্রিক নিয়মের মধ্যে পড়ে? এতে কী সমাজে, রাজনীতিতে চরম ঘৃণা ও প্রতিহিংসা ছড়ায় না? আমরা কী একবারও ভাবছি ক্ষমতার পালাবদলে আমাদেরও এমন পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হবে। যে ছেলেটি শুধু বিরোধী রাজনীতি করার অপরাধে জেল-জুলুমের স্বীকার হল সে ছেলেটি নিজের জান বাজি রেখে তার দলকে পুনরায় যে করেই হোক ক্ষমতায় আনার চেষ্টা করবে নিজের মুক্তির আশায়। এটা যতটুকু না তার দলপ্রেম তার চেয়ে অনেক বেশি নির্যাতন, প্রতিহিংসা ও মামলা-হামলা থেকে বাঁচার হাতিয়ার।


আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময় দেশের গুটিকয়েক মানুষ স্বাধীনতার বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিল। দেশের মানুষকে হত্যা, ধর্ষণ ও সম্পদ লুটপাটে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীকে এদের অনেকেই সহযোগিতা করেছিল। এদের মধ্যে কিছু রাজনৈতিক দলও জড়িত ছিল। তাহলে মুক্তিযুদ্ধের পরপর দায়ী এসব রাজনৈতিক দলগুলোকে নিষিদ্ধ করা হলো না কেন? আজ আমরা যারা মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে, যুদ্ধোপরাধীদের নিয়ে গলা ফাটাই তারাইতো বিভিন্ন রাজনৈতিক আন্দোলনে তাদের সাথে হাত মিলিয়ে ক্ষমতায় গেছি। আজো কেন দলগুলোকে আমরা বিচারের আওতায় আনি নাই?

একটি দল নিষিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত স্বাধীন বাংলাদেশে রাজনীতি করার অধিকার রাখে। নতুন প্রজন্ম, যাদের জন্ম একাত্তরের অনেক পরে তাদের মধ্যে হাজার হাজার মেধাবী তরুন যদি এসব যুদ্ধোপরাধী দলের সমর্থক হয় এবং আদর্শ মনে করে তাহলে এর দায়ভার কার? আমাদের প্রধান দুই রাজনৈতিক দলগুলো কী পারছে এসব তরুণ মেধাবীদের নিজেদের দলীয় আদর্শের ছায়াতলে ভেড়াতে? না আমাদের মধ্যেও রাজনৈতিক দেউলিয়াপনা আছে? নাকি দলগুলোর আদর্শের বিচ্যুতির জন্য তরুণ মেধাবীরা বিকল্প রাজনৈতিক জোট খুজছে? সময় এসেছে এসব প্রশ্নের উত্তর খোঁজার।

আধুনিক পররাষ্ট্র নীতিতে কোন নির্দিষ্ট দেশে, নির্দিষ্ট জোটের তাবেদারীর সুযোগ নেই। দেশগুলো চলে পারস্পরিক আস্থা, অভ্যন্তরীন ও আন্তর্জাতিক স্বার্থ্য, সামরিক কৌশল ও অর্থনৈতিক মুক্তির ভিত্তিতে। পৃথিবীর কোন দেশ সারা জীবন একই পররাষ্ট্র নীতি মেনে চলে না। আধুনিক পররাষ্ট্র নীতিতে যেখানে স্বার্থ ফুরিয়ে যায়, দেশগুলোও আস্তে আস্তে নতুন নীতি গ্রহণ করে।

এমনও দেখা যায় যারা যুগের পর যুগে একে অন্যের বিরোধিতা করেছে তারাও আজ পারস্পরিক বন্ধু হয়ে গেছে। এখানে দেশের স্বার্থটাই আসল। পররাষ্ট্র নীতিতে শত্রুর শত্রু বন্ধু হয়, আবার বন্ধুর শত্রুও শত্রু হয়। ভারত চীনের শত্রু, আবার পাকিস্তান ভারতের শত্রু। এজন্য পাকিস্তান চীনের বন্ধু। ঠিক তেমনি যুক্তরাষ্ট্র চীনের শত্রু হওয়ায় ভারত যুক্তরাষ্ট্রের বন্ধু। অথচ যুক্তরাষ্ট্র ভারত ও চীন উভয়ের বন্ধু! মোট কথা তাবেদরীর রাজনীতি থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। সম মর্যাদা ও সম অধিকারের ভিত্তিতে পররাষ্ট্রনাতি সাজাতে হবে। এতে বিশ্বের দরবারে দেশের মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে, সরকারের প্রতিও জনগনের আস্থা বাড়বে।।



ফটো ক্রেডিট,
গুগল।

মন্তব্য ৭২ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (৭২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই মে, ২০১৮ রাত ২:৩৭

মাআইপা বলেছেন: প্রশ্নগুলো তো ভালই, দেখি উত্তরগুলো মন্তব্যে পাওয়া যায় কিনা।

শুভ কামনা রইল

০৬ ই মে, ২০১৮ রাত ২:৪০

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: আপনি এখনো জেগে আছপন?
দেখা যাক কী হয়!! উত্তরগুলো জানা জাতির জন্য খুবই জরুরী। আপনার নতুন কোন পোস্ট দেখছি না? নতুন একটি সুন্দর লেখা দেন।

২| ০৬ ই মে, ২০১৮ রাত ২:৩৯

প্রামানিক বলেছেন: আমিও জেগে আছি। সকালে পড়ে মন্তব্য করবো।

০৬ ই মে, ২০১৮ রাত ২:৪১

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: প্রামানিক ভাই, সকালে কাজ থাকলে ঘুমিয়ে পড়ুন। কমেন্ট সকালে দিলেও চলবে।

৩| ০৬ ই মে, ২০১৮ রাত ২:৪০

মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: সাবাস চৌধুরী। এই জন্যই বলি আমরা ভালোর দলে।



"আপনি কী জানেন, মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ত্রিশ লক্ষ মানুষের মধ্যে অধিকাংশই ছিলেন বেসামরিক মুক্তিযোদ্ধা? অথচ বীরশ্রেষ্ঠ, বীর উত্তম, বীর বিক্রম ও বীর প্রতীক খেতাব প্রাপ্ত অধিকাংশ মুক্তিযোদ্ধা সামরিক বাহিনীতে কর্মরত ছিলেন।"
---- আমি নিশ্চত অনেক বেসামরিক লোক বিশেষ করে ছাত্ররা আর্মিদের চেয়ে ভাল যুদ্ধ করেছে।।

০৬ ই মে, ২০১৮ রাত ২:৪৪

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: নিজাম ভাই, কেমন আছেন? ব্যস্ততা কিছু কমেছে?
"আপনি কী জানেন, মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ত্রিশ লক্ষ মানুষের মধ্যে অধিকাংশই ছিলেন বেসামরিক মুক্তিযোদ্ধা? অথচ বীরশ্রেষ্ঠ, বীর উত্তম, বীর বিক্রম ও বীর প্রতীক খেতাব প্রাপ্ত অধিকাংশ মুক্তিযোদ্ধা সামরিক বাহিনীতে কর্মরত ছিলেন।"
........ প্রশ্নটা কী ঠিক আছে?

৪| ০৬ ই মে, ২০১৮ রাত ২:৪৮

মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: আমি রাজনৈতিক পরিবারের ছেলে। এসব বিষয় টুকটাক বুঝি। অধিকাংশ সাধারণ জনগনের এখন প্রচলিত রাজনীতিকে ঘৃণা করে। মনে হচ্ছে, কয়েক বছর পরে দেশের রাজনীতিতে একটা পরিবর্তন আসবে।।

ভালো কিছুর প্রত্যাশা করছি....

০৬ ই মে, ২০১৮ রাত ২:৫২

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: আমারও মনে হয়। তবে এটা পরিবর্তন সহজে হবে যদি তরুণরা কাজের মধ্যে ডুবে থাকে। বেকারত্ব কমে, ন্যায্য মজুরী নিশ্চিত হয়।

৫| ০৬ ই মে, ২০১৮ রাত ২:৫৩

মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: প্রশ্ন ঠিক আছে। আসলে ওটা নিয়ে আমারও দ্বিমত ছিল। ক্যাম্পাসে থাকতে আমাদের প্রায়ই এসব নিয়ে বিতর্ক হত।।

বেশীরভাগ যোদ্ধাই ছিল ছাত্র/তরুন। তারা জীবন দিয়ে গেরিলা আক্রমন করেছে। কিন্তু সেই অনুযায়ী স্বীকৃতি পায় নি।:(



আমার কাছে আসল বীরশ্রেষ্ঠ তারাই।।

০৬ ই মে, ২০১৮ রাত ২:৫৯

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: এটাই আসল কথা। সামরিক বাহিনীর দায়িত্বই হলো দেশকে শত্রুমুক্ত করা, যুদ্ধ করা। কিন্তু যাদের দায়িত্ব নয় অথচ দেশের স্বার্থে নিজেদের জীবনকে বিসর্জন দিল তারা তো অনেক বড় মাপের যোদ্ধা।এরা সবাই বীর শ্রেষ্ঠ।
মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে এতো ভাগ থাকবে কেন? যে মানুষটা দেশের জন্য আত্মহুতি দিল, তারচেয়ে বড় মুক্তিযোদ্ধা পৃথিবীতে একজনও নেই।

৬| ০৬ ই মে, ২০১৮ রাত ৩:০১

মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: স্বাধীনতার পরে অনেক কাজ করার ছিলঃ



* পাকিদের থেকে ক্ষতিপূরণ আদায় করা।
* মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদদের তালিকা তৈরী করা।
** রাজাকারদের তালিকা তৈরী করে শাস্তি দেয়া।
** সুস্থ রাজনৈতিক ধারার প্রচলন করা।
* ভেদাভেদ ভুলে সবাই মিলে দেশকে গড়ে তোলা।



আফসোসের বিষয়, এখন পর্যন্ত কোনটাই কাজের মত হয়নি।

০৬ ই মে, ২০১৮ রাত ৩:১০

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: আর এটাই হলো, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রাথমিক ধাপ।

......."আমরা যাদেরকে সংখ্যালঘু ও উপজাতি বলি তারা কি আমাদের মুক্তিযুদ্ধের পরে রিফিউজি হিসাবে আমাদের দেশে এসেছে? বাঙালি বলতে কী আমরা শুধুই সংখ্যাগুরুদের বুঝি? নাকি, এই বাংলায় শত শত বছর থেকে বসবাসরত হিন্দু-মুসলিম-পাহাড়ী সবাইকে বুঝি? মুক্তিযুদ্ধে কী কোন হিন্দু-পাহাড়ী মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না? কোন হিন্দু-পাহাড়ী কী মুক্তিযুদ্ধে মারা যান নাই? কোন সংখ্যালঘু বীরাঙ্গনা ছিলেন না?

উত্তর যদি হ্যাঁ হয় তাহলে তাদের সংখ্যালঘু বলি কেন? আচ্ছা, আমরা কি পাকিস্তান থেকে স্বাধীন হইনি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে? আপনাদের কি মনে হয় না আইন করে সংখ্যালঘু শব্দটি বাদ দেওয়া হোক? এছাড়া উপজাতিরা কি শত শত বছর থেকে আমাদের দেশে বসবাস করছে না? আসুন আমরা জোর গলায় বলি আমাদের স্বাধীন বাংলায় কেউ সংখ্যালঘু নয়, কেউ উপজাতি নয়। সবাই আমরা সংখ্যাগুরু। সবাই সম মর্যাদায়, সম অধিকারে এক সাথে বসবাস করবো। এটাই হোক সবার প্রতিজ্ঞা।".........

এই ব্যাপারে মন্তব্য কী?

৭| ০৬ ই মে, ২০১৮ রাত ৩:০৭

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধ - মুক্তিযুদ্ধ করে ভুল হয়নি। কপাল খারাপ যে, প্রথম দুই প্রেসিডেন্টের অস্বাভাবিক মৃত্যু। বাংলাদেশের ভেজাল শুরু এই দুইজনের অকাল মৃত্যুতেই...

সংখ্যালঘু/পাহাড়ি - পুরাই রাজনীতি করা হয়েছে এদের নিয়ে। এদের লাই দিয়েছে আমাদের কিছু বুদ্ধিবেশ্যা। পাহাড়ীদের অবশ্যই বাংলাদেশের আইন মানতে হবে। তাদের জন্য আলাদা আইন দিয়ে তাদের পিছিয়ে পড়া জাতি হিসেবে দেখানো হচ্ছে। তারা বাংলাদেশী হলেই তো ঝামেলা চুকে যায়। সংখ্যালঘুরাও যে কোন ইস্যুতে বাড়তি খাতির পেতে চায়। অথচ আইন সবার জন্যই সমান...

বর্তমান রাজনীতি/পররাষ্ট্রনীতি - দুই পরিবারের পতন না হওয়া পর্যন্ত আর ভালো কিছু আশা না করাই ভাল...

০৬ ই মে, ২০১৮ রাত ৩:১৪

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: আপনার সুচিন্তিত মতামতের জন্য ধন্যবাদ। কিন্তু কেউ পাহাড়ী, কেউ বাঙালি, কেউ উপজাতি এভাবে ভাগ করলে সমাজে অবিশ্বাস আর ঘৃণা ছড়ায়। আমরা সবার একটা পরিচয় হতে হবে- জাতি হিসাবে বাঙালি, দেশ হিসাবে বাংলাদেশী।

৮| ০৬ ই মে, ২০১৮ রাত ৩:০৭

মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন:

স্বাধীনতার প্রাপ্তি, অপ্রাপ্তির তালিকাটা অনেক লম্বা। এক প্রজন্ম স্বাধীনতা এনেছে, পরের প্রজন্মগুলো দেশটাকে গড়বে। এটাই হবার কথা ছিল। কিন্তু বাস্তবে মনমত হচ্ছে না।।:(



সরকারের/বিরাধীদলের সমালোচনা করলে অনেক কথাই চলে আসবে। আজকে ওসব থাক। একটু কাজ পড়েছে। আজকের মত আসি.......

০৬ ই মে, ২০১৮ রাত ৩:১৫

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: হুম ঠিক কথা। শুভ রাত্রী, নিজাম ভাই।

৯| ০৬ ই মে, ২০১৮ রাত ৩:২০

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: এই যে, আপনি বললেন, জাতি হিসেবে বাঙালী, দেশ হিসাবে বাংলাদেশী - এটাই বিভাজন। জাতি বলতে কিছু নাই। বাংলাদেশ স্বাধীন না হলে আমরা ভারতীয় বা পাকিস্তানী নাগরিকই থাকতাম। তখন কোথায় যেত চেতনা ব্যবসা? আসল কথা হচ্ছে জিয়াউর রহমান যেহেতু বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ শুরু করেছেন সেহেতু এটাকে গ্রহণ করা আওয়ামী লীগ তথা চেতনা ব্যবসায়ীদের ইজ্জতে লেগে যায়। বিদেশে 'বাঙালী' ডাক মানে অনেকটা ছোট করা বা গালি হিসেবে। অবশ্য লন্ডনে হয়তো বা নয়। মধ্যপ্রাচ্যে...

০৬ ই মে, ২০১৮ রাত ৩:৩১

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: তবে জাতি হিসাবে পৃথিবীতে সব মানুষ ঠিকে আছে। দেশতো মানুষ যে কোন সময় বদলাতে পারে। কিন্তু জাতীয়তা পরিবর্তন হয় না। যেমন, দক্ষিণ আফ্রিকায় বসবাসকরী ডাচরা নিজেদের জাতি হিসাবে ডাচ বলে, সেখানকার ব্রিটিশরা নিজেদের ব্রিটিশ বলে। কিন্তু দেশের কথা আসলে সবাই সাউথ আফ্রিকান।
এ কথাটি অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের বেলায়ও প্রযোজ্য। এছাড়া ভারতের বাঙালিরা যে প্রদেশে থাকুক না কেন, জাতি হিসাবে বাঙালি। ঠিক বাংলাদেশীরা পৃথিবীর যে দেশের সিটিজেন হোক না কেন, পরিচয় বাঙালি। এজন্য দেশের পাশাপাশি জাতির পরিচয়টা অনেক অর্থবহ।

১০| ০৬ ই মে, ২০১৮ রাত ৩:৩৫

কাছের-মানুষ বলেছেন: জাতি হিসেবে আমাদের সমস্যা আমরা আবেগের সাথে বিবেকের ইস্তেমাল করতে জানি না।
অনেক বেশী হুজুগে, অতীত থেকে কিঁছু শিখি না। কোন এক সমাজ বিজ্ঞানী বলেছিল যেই দেশের
মানুষ যেমন তার শাসক ও তেমন। আমরা যেমন আমাদের রাজনৈতিক প্রতিনিধিরাও তেমন, কারন প্রতিনিধিরাতো বাহিরের কেউ না আমাদের মানুষই তারা।
যে কোন দেশের বড় পরিবর্তন আসে রাজনৈতিক পরিবর্তনের মাধম্যে। আমাদের রাজনৈতিক ব্যাবস্থায় কোন নিতি নেই, নৈতিক কাঠামো অনেক দূর্বল। আমরা নিজেরা ভাল না হলে কিছুরই পরিবর্তন হবে না!

সুন্দর পোস্টের জন্য ধন্যবাদ।

০৬ ই মে, ২০১৮ রাত ৩:৪১

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: "মানুষ যেমন তার শাসক ও তেমন। আমরা যেমন আমাদের রাজনৈতিক প্রতিনিধিরাও তেমন, কারন প্রতিনিধিরাতো বাহিরের কেউ না আমাদের মানুষই তারা।"..............
চমৎকার কথা বলেছেন। এসব জনপ্রতিনিধি তো আমরাই ভোট দিয়ে বানাই, তাহলে দোষটা তো গোড়াতেই। এজন্য আগে আমাদের মানসিকতার পরিবর্তন করাটা জরুরী। মানুষকে সচেতন হওয়া জরুরী। না হলে পরিবর্তন কখনো আসবে না।

কমেন্ট করার জন্য ধন্যবাদ,পাশাপাশি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।

১১| ০৬ ই মে, ২০১৮ ভোর ৫:৪৪

শাহ আজিজ বলেছেন: সমুচিত ও সময়োপযোগী পোস্ট ।

প্রায় ৯০হাজার মুক্তিযোদ্ধার মধ্যে ১৮৭ জন ছিল পাক বাহিনী পরিত্যাগ করা বাঙ্গালী সেনা । বাকি ২৭০০ সেনা ও অফিসার স্বেচ্ছায় মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেয়নি । বীর শ্রেষ্ঠ , বীরউত্তম, বীর প্রতীক প্রায় সবই সেনাদের দখলে । ৭৩ /৭৪ সালে ব্লাডি সিভিলিয়ান মুক্তিযোদ্ধাদের কাছ থেকে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের নামে যে নির্মম শারীরিক অত্যাচার সেনাবাহিনী করেছে তার প্রত্যক্ষ সাক্ষী আমি। ৯ টি সেক্টরে ৩৬ টি মতবাদের কম্যান্ডার !! একজন সেক্টর কম্যান্ডার জলিলকে বেধে নিয়ে গেল আরেক কম্যান্ডার মঞ্জুর আর বাটপার কামাল সিদ্দিকি । বিভেদের মুলমন্ত্র নিহিত ছিল শেখের পকেটে । না হলে বাকশালে অসম্মতি জ্ঞাপনে রক্ষী বাহিনী দিয়ে মেরুদণ্ডে এস এল আর এর আঘাতে জর্জরিত করা হয়েছে আওয়ামী লীগের পরিক্ষিত নেতাদের।
এই ভোর বেলায় কাপালিকদের আলাপ পেড়ে সুবহে সাদিকের স্নিগ্ধতা নষ্ট করতে চাই না।
আপনার আলাপ আমারও আলাপ কারন আমি মুক্তিযুদ্ধের একজন তরুন সহযোগী কিন্তু যোদ্ধা নই।

শুভ সকাল।

০৬ ই মে, ২০১৮ ভোর ৫:৫৮

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: শুভ সকাল, স্যার।
.........."প্রায় ৯০হাজার মুক্তিযোদ্ধার মধ্যে ১৮৭ জন ছিল পাক বাহিনী পরিত্যাগ করা বাঙ্গালী সেনা । বাকি ২৭০০ সেনা ও অফিসার স্বেচ্ছায় মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেয়নি । বীর শ্রেষ্ঠ , বীরউত্তম, বীর প্রতীক প্রায় সবই সেনাদের দখলে । ৭৩ /৭৪ সালে ব্লাডি সিভিলিয়ান মুক্তিযোদ্ধাদের কাছ থেকে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের নামে যে নির্মম শারীরিক অত্যাচার সেনাবাহিনী করেছে তার প্রত্যক্ষ সাক্ষী আমি। ৯ টি সেক্টরে ৩৬ টি মতবাদের কম্যান্ডার !! একজন সেক্টর কম্যান্ডার জলিলকে বেধে নিয়ে গেল আরেক কম্যান্ডার মঞ্জুর আর বাটপার কামাল সিদ্দিকি।"........

এই গুরুত্বপূর্ণ তথ্যটি জানতাম না। তাহলে এটাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা? আপনি কী মনে করেন বাকশাল করেই চেতনাটি মাটি চাঁপা দেওয়া হয়েছে? প্লীজ আপনার সুচিন্তিত মতামতটা খুব দরকার।

১২| ০৬ ই মে, ২০১৮ ভোর ৫:৪৫

তালাচাবি বলেছেন:

স্যার, শুভ সকাল। ঘুম ভেঙেই আপনার প্রবন্ধটি এক নিশ্বাসে পড়লাম। লেখাটিতে এমন কিছু বিষয় সংযোজন করেছেন তা সত্যি মুগ্ধ করেছে। এমন বিশ্লেষণধর্মী লেখা ও যুক্তিপূর্ণ কথা বলেছেন তা নতুন প্রজন্মের চক্ষু খোলে দিতে যথেষ্ট। আমি লেখতে পারি না, তাই ভাল লেখকদের লেখাগুলো মনযোগ দিয়ে পড়ি। এতে আমার জানার পরিধি, বাড়ে, বোঝার পরিধি বাড়ে।

স্যার নিয়মিত লেখেন, যাতে আমরা নতুন প্রজন্ম আপনার চিন্তা ও দর্শন পড়ে জ্ঞান আহরণ করতে পারি। আপনার জন্য অনেক ভাল লাগা, স্যার। ভাল থাকবেন।

০৬ ই মে, ২০১৮ ভোর ৫:৫১

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ, আপনাকে। সকালে ঘুম ভাঙার পরই আমার লেখাটি পড়ছেন এজন্য প্রীত হলাম। আমি লেখক নই, লেখার চেষ্টায় আছি বলতে পারেন। জানি না লেখাগুলো কতটুকু মান সম্মত হয়। তবে চেষ্টার কোন ত্রুটি নেই। আশীর্বাদ করবেন, যাতে আরো ভাল লেখতে পারি।

আপনাকেও সকালের গরম গরম কফির শুভেচ্ছা। ভাল থাকবেন।

১৩| ০৬ ই মে, ২০১৮ ভোর ৬:৫২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভ সকাল, কাওসারভাই। কী দারুণ বিশ্লেষণ করেছেন। আর যে বিষয়টি নিয়ে শুধু শুনবো কিছু বলবো না। নিজাম ভাই বা অন্যান্য শ্রদ্ধেয় ব্লগারদের সুচিন্তিত মন্তব্যও দেখলাম। আলোচনা চলুক। প্রকৃত পরিবারগুলি সুফল পাক ।

পাশাপাশি আমি বেশ সমস্যায় পড়েছি। আমার ব্লগটি আর আসছে না। বারবার লগ ইন করছি। কেমন একটি ব্লগ আসছে, যেখানে আমার স্ট্যাটাস, ব্লগিং এর বয়স, পোষ্টের সংখ্যা , ক্রমানুসারে পোষ্ট, অন্যের মন্তব্য, আপনার মন্তব্য সহ মূল পেজটাই আসছে না।।হেল্পিং এ গেলাম, যেভাবে নির্দেশ দিচ্ছে, সেভাবে ফিড করছি,বলছে error . জানিনা ব্লগটি হ্যাকিং হয়েছে কিনা।আর সেফ হতে যে ভাবে অপেক্ষা করতে হলো তাতে আর নুতন করে ব্লগ খোলার মত উদ্যোম নেই।কাজেকাজেই আমার ব্লগ জীবন বোধহয় ইতি হতে চলেছে।

০৬ ই মে, ২০১৮ ভোর ৬:৫৮

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: শুভ সকাল, পদাতিক চৌধুরী ভাই। বাজে খবরটি শুনে কষ্ট পেলাম। আপনি মোবাইল/ট্যাব/ল্যাপটপ/ডেস্কটপ কোনটা থেকে লগ ইন করছেন? কোন ব্রাউজার? মোবাইল/ট্যাব হলে ব্যাউজার চেঞ্জ করুণ। আর রিস্টার্ট দেনে। বিষয়টি জানান, খারাপ লাগছে।

০৬ ই মে, ২০১৮ ভোর ৬:৫৯

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: কমেন্ট করলেন, কেমনে?

১৪| ০৬ ই মে, ২০১৮ সকাল ৭:১২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আমি মোবাইল থেকেই প্রয়োজনীয় কাজ সারি। ক্রোম /গুগুল সবগুলিই একই দেখাচ্ছে। অন্যের ব্লগে যেতে পারছি,কমেন্ট দিতে পারছি কিমবা নুতন ব্লগ লেখার অপশনও আসছে। আসছে না কেবল নিজের পেজটি।

০৬ ই মে, ২০১৮ সকাল ৭:২৭

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: আপনার নামের এক্কেবারে নীচে গিয়ে দেখবেন, আছে full version এটাতে ক্লীক করলে হয়তো হবে। অথবা, ক্রোম ডিলেট দিয়ে রিইন্সটল দেন। অথবা নতুন সার্চ ইঞ্জিন ডাউনলোড দিতে পারেন। আমি 'ডলফিন' ইউজ করি। এছাড়া firefox, UC browser ও ডাউনলোড দিতে পারেন। 'ক্রমে' মাঝে মাঝে সমস্যা করে। হোপ, আর সমস্যা হবে না। একাউন্ট ঠিক আছে, একাউন্টে কোন সমস্যা হলে কমেন্ট করতে পারতেন না।

১৫| ০৬ ই মে, ২০১৮ সকাল ৭:১৭

সোহাগ তানভীর সাকিব বলেছেন: চৌধুরি ভাই, লেখাটি খুবই ভালো লেগেছে। লেখায় যথার্থ যুক্তি আছে। প্রথম অংশটি বেশি ভালো লেগেছে। খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের কথা বলেছেন। আসলেই তো, বেসামরিক বা সাধারণ মানুষ যে খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযুদ্ধাদের তালিকায় নেই সেটা তো আগে কখনও ভেবে দেখে নি।
যাই হোক, ভুয়া মুক্তিযুদ্ধা এবং মুক্তিযুদ্ধা কোটা নিয়ে কিছু একটা লেখুন ভাই।

০৬ ই মে, ২০১৮ সকাল ৭:৩২

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: সোহাগ ভাই, শুভ সকাল। ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা নিয়ে আমার একটি লেখা আছে তা থেকে কিছু অংশ আপনার জন্য দিচ্ছি।

"একাত্তরে যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা করা না হওয়ায় গত দুই দশকে হাজার হাজার ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা তালিকাভূক্ত হয়েছে। রাজনৈতিক যোগসাজশে, মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় এবং মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের ইউনিটগুলোর দূর্ণীতি ও স্বজনপ্রীতির ফলে এমনটি হয়েছে বলে বিজ্ঞজনের মত। বিষয়টিতে সরকার টিকমত গুরুত্ব না দেওয়ায় দেশ এখন ভূয়া মুক্তিযোদ্ধায় সয়লাভ। এটা অত্যন্ত নিন্দনীয় ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এই কারসাজিতে যারা জড়িত তাদেরকে চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। দেশে যদি একজনও ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা থাকে তাহলে জাতির শ্রেষ্ট সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য তা অমর্যাদাকর ও অপমানের।

কিছুদিন আগে পত্রিকার একটি সংবাদ দেখে আৎকে উঠলাম। বীর শ্রেষ্ঠ রুহুল আমীনের ছেলে ফেরিওয়ালা! স্বপ্নের ফেরিওয়ালা নয়, বাস্তবে। তিনি নাকি গ্রামে গ্রামে, হাটে বাজারে ফেরি করে জীবিকা নির্বাহ করেন। সংবাদটি কতটুকু সত্য জানি না। যদি সত্য হয় তাহলে পুরো জাতি উনার কাছে হাতজোড় করে ক্ষমা চাওয়া উচিৎ।

তিনি কী কোন কোটার মধ্যে পড়েন না?

১৯৮৬-৮৭ সালের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রণীত তালিকায় মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ছিল ১ লক্ষ ২ হাজার ৪৫৮ জন। ১৯৯৭-২০০১ সালে সংখ্যাটি বেড়ে দাঁড়ায় ১ লক্ষ ৮৬ হাজার ৭৯০ জন! ২০০১-২০০৬ সাল পর্যন্ত আরেকদফা তা বেড়ে দাঁড়ায় ২ লক্ষ ১০ হাজার ৪৮১ জনে!! বিগত দশ-বারো বছরে সংখ্যটি যে আরো বেড়েছে তাতে কোন সন্দেহ নেই!!!

এই হচ্ছে মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকার বেহাল দশা।

হিসাব করলে দেখা যায় দেশের মাত্র.......... ০.১১% ভাগ (শুণ্য দশমিক এগার) !!! ......... (মোট জনসংখ্যার ১% এর নয়ভাগের এক ভাগ...........!!!! সত্যি বিষ্ময়কর) মানুষের জন্য সরকারি চাকরিতে ৩০% কোটা সংরক্ষিত!!!!!

১৬| ০৬ ই মে, ২০১৮ সকাল ৭:৩৯

সোহাগ তানভীর সাকিব বলেছেন: শুভ সকাল ভাই।
আপনার লেখা থেকে বেশ কিছু তথ্য জানতে পারলাম। ধন্যবাদ। সব সময় ভালো থাকবেন এটাই প্রত্যাশা।

০৬ ই মে, ২০১৮ সকাল ৭:৪২

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: বৃষ্টির দিনে অনেক শুভ কামনা আপনার জন্য। দিনটি ভাল কাটুক এই প্রত্যাশায়।

১৭| ০৬ ই মে, ২০১৮ সকাল ৮:৪৫

ওসেল মাহমুদ বলেছেন: লেখককে ধন্যবাদ মুক্তিযুদ্ধের বিষয়ে বিশ্লেষণী লেখাটির জন্যে ! প্রায় ৯০হাজার মুক্তিযোদ্ধার মধ্যে ১৮৭ জন ছিল পাক বাহিনী পরিত্যাগ করা বাঙ্গালী সেনা ,বাদবাকি সবাই সিভিলিয়ান মুক্তিযোদ্ধা । বাকি ২৭০০ সেনা ও অফিসার স্বেচ্ছায় মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেয়নি ,তাদের নাম গুলো জানতে চাই ! বীর শ্রেষ্ঠ , বীরউত্তম, বীর প্রতীক প্রায় সবই সেনাদের দখলে কেনো? আজিজ ভাইয়ের কাছে আরো জানতে চাই এ বিষয়ে ! আশা করি জানতে পাবো !
আমিও মুক্তিযুদ্ধের একজন সহযোগী শিশু যোদ্ধা !
তাই আবেগ টা বেশী কাজ করে বুকের ভেতর আর চোখের কোণায় !

০৬ ই মে, ২০১৮ সকাল ৮:৫০

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: শুভ সকাল, মাহমুদ ভাই। হ্যা, শ্রদ্ধেয় শাহ আজিজ ভাইয়ের কাছ থেকে হয়তো আরো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আমরা পাব। তিনি যেহতু অনেক ঘটনার প্রত্যক্ষ সাক্ষী। আশা করি তিনি বলবেন।

০৬ ই মে, ২০১৮ সকাল ৮:৫৬

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: তথ্যগুলো আপনার প্রফাইল থেকে পেলাম। আপনি আমার অনেক সিনিওর কিন্তু না চেনে কমেন্টে ভাই বলে সম্ভোধন করেছি। আশা করি মাইন্ড করবেন না।

"অামি সিনিয়র চিকিৎসক ,আই সি ইউ, মূমুর্ষু রোগীদের চিকিৎসা করে থাকি। ভালবাসি দেশকে ,স্বাধীনতা সংগ্রামে সহযোগী শিশু যোদ্ধা। মুক্তমনা কিন্তু ধর্ম ভীরু।"

১৮| ০৬ ই মে, ২০১৮ সকাল ৯:৪১

রাজীব নুর বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধ আমাদের অনেক বড় সম্পদ।
আমি একজনকে চিনি ভন্ডলোক। সে নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা দাবী করে। সরকার থেকে তেল পায়। আরও কি কি যেন ভাতা পায়।
কয়েকমাস আগে দেখলাম- সে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই করতে গ্রামে গেছে। ফিরে এসে তার ছেলেকে একটা আই ফোন কিনে দিয়েছে।

০৬ ই মে, ২০১৮ সকাল ৯:৫০

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: রাজীব ভাই, শুভ সকাল। সঠিক তথ্য হলো, তালিকাভূক্ত মুক্তিযোদ্ধাদের প্রায় অর্ধেকের বেশি ভূয়া। আমার এলাকায় তিন গ্রামে পাঁচজন মুক্তিযোদ্ধাদের সবাই ভূয়া। এলাকার এক নেতা টাকা খেয়ে তালিকায় নাম দিয়েছে। এটা হচ্ছে চেতনার ব্যবসা!!!

"কয়েকমাস আগে দেখলাম- সে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই করতে গ্রামে গেছে। ফিরে এসে তার ছেলেকে একটা আই ফোন কিনে দিয়েছে।"......... চমৎকার একটি তথ্য। জয় হোক চেতনার, জয় হোক চেতনা ব্যবসায়ীদের।

১৯| ০৬ ই মে, ২০১৮ সকাল ৯:৪২

এভো বলেছেন: ভাই কাইন্ডলিং নীচের লিংকে ক্লিক করে এই লেখাটি পড়ুন এবং আপনার মূল্যবান মতামত দিন । আমি ৭ মাসের উপর এই ব্লগে। আমার লেখা প্রথম পাতায় স্থান পাচ্ছে না , তাই দয়া করে আপনারা যদি একটু সাহায্য করেন তাহোলে বাধিত হব । ধন্যবাদ

লিখন মাধ্যমে পশ্চিম বাংলার নাম বিকৃতির অপসংস্কৃতি যার মধ্য লুকিয়ে আছে এক চরম প্রাদেশিকতা ও সাম্প্রদায়িকতার ছাপ
Link

০৬ ই মে, ২০১৮ সকাল ৯:৫২

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: সাত মাস হয়ে গেছে কিন্তু সেভ হতে পারেন নাই!!! শুনে কষ্ট পেলাম। এখনই আপনার লেখাটি পড়ছি।

২০| ০৬ ই মে, ২০১৮ সকাল ১০:৩০

করুণাধারা বলেছেন: মাঝে মাঝে মনে হয় মুক্তিযুদ্ধ করে লাভটা কি হল? কথাটা আমিও সবসময় ভাবি কি করে আমার মনের কথাটাই আপনি লিখে দিলেন!

পোস্টটি অত্যন্ত সুলিখিত, যুক্তিসঙ্গত কথা বলেছেন। যে কথাটি কেউ কখনো উচ্চারণের সাহস করেন নি আপনি এই কথাটি বলেছেন- বীরশ্রেষ্ঠ, বীর উত্তম ইত্যাদি কেন শুধু সেনাবাহিনীর লোকেরাই হল? অবশ্য বেসামরিক বীরউত্তম একজন আছেন, কমল সিদ্দিকী। তিনি মুক্তিযুদ্ধে একটি চোখ হারিয়েছেন, কিন্তু মুক্তিযুদ্ধে অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধার অঙ্গহানি হয়েছে। তাদের কাউকে কেন খেতাব দেওয়া হয়নি? সামরিক বাহিনীর কাজ যুদ্ধ করা, তারা তাদের কাজ করেছে। কিন্তু বেসামরিক লোকের কোন কাজ ছিলনা নিজের জীবন দিয়ে যুদ্ধ করা- তাও তারা করেছে। তাদের জন্য কেন কোন সম্মাননা নেই, এই প্রশ্নটা আমাকে সবসময় তাড়িত করে।

চমৎকার লেখার জন্য অভিনন্দন।

০৬ ই মে, ২০১৮ সকাল ১০:৫৪

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: শুভ সকাল। লেখাটি পড়ে ভাল লেগেছে জেনে খুশি হলাম। বীরশ্রেষ্ঠ বাদে বাকী সব ক্যাটাগরিতে অসামরিক মুক্তিযোদ্ধাও আছেন। তবে তা হাতে গোনা। এটা চরম বৈষম্যমূলক। যাদেরকে বীরশ্রেষ্ঠ উপাধী দেওয়া হলো তা কোন মাপকাঠিতে করা হলো কেউ জানে না। বেসামরিক আরো চার পাঁচজনকে কী এই খেতাব দেওয়া যেত না?

আর মুক্তিযোদ্ধাদের এতো শ্রেণীভেদ কেন? সব নিহত মুক্তিযোদ্ধাই তো বীরশ্রেষ্ঠ, তাই নয় কী?

২১| ০৬ ই মে, ২০১৮ সকাল ১১:০৫

এক হতভাগা বলেছেন: আমি মুক্তি যুদ্ধকে খাটো করে দেখি না অবশ্যই এটা আমাদের গর্বের ব্যাপার কিন্তু প্রায় শুনি মুক্তি যুদ্ধে ৩০ লক্ষ মানুষ শহীদ হয়েছে , মুক্তিযুদ্ধ চলেছে ৯ মাস বা ২৬০ দিন (২৬শে মার্চ - ১৬ই ডিসেম্বর) গড়ে প্রতিদিন তাহলে শহীদ হয়েছিলো ১১ হাজার ৫০০ এর অধিক !!! এই প্রজন্মের একজন নাগরিক হিসেবে জানতে চাই আসলে কি প্রতিদিন এত হাজার মানুষ শহীদ হয়েছিলো নাকি সংখ্যাটা ৩ লক্ষ হবে ?

০৬ ই মে, ২০১৮ সকাল ১১:১৭

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: শুভ সকাল। ৩০ লক্ষের কাহিনীটা অনুমান নির্ভর। যেমন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে (হলোকাস্ট) হিটলার কতজন মানুষ খুণ করেছিল তার সঠিক কোন পরিসংখ্যান নেই। কারো মতে তা ১ কোটি ৩০ লক্ষ হবে। আবার কেউ বলেন ১ কোটি ৭০ লক্ষ। তফাৎ ৪০ লক্ষ!! এটা সব যুদ্ধে হয়। তবে অনুমানটা কাছাকাছি থাকে।

বাংলাদেশ যতই ৩০ লক্ষ শহীদের কথা বলুক না কেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে তা বিশ্বাসযোগ্য নয়। তাদের মতে সংখ্যাটি দুই থেকে আড়াই লক্ষ হবে। বড়জোর ৩ লক্ষ। এখানে ব্যবধান, ২৭ লক্ষের। এজন্য এ সংখ্যাটি বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।

২২| ০৬ ই মে, ২০১৮ সকাল ১১:৩৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


মুক্তিকামী জনতা, ও মুক্তিযোদ্ধা দুইটি আলাদা শব্দ; যাঁরা স্বাধীনতা চেয়েছিলেন, তাঁরা মুক্তিকামী জনততা; যাঁরা পাকিস্তানের সেনা বাহিনীর বিপক্ষে অস্ত্রহাতে যুদ্ধ করেছেন, তাঁরা মুক্তিযোদ্ধা

০৬ ই মে, ২০১৮ সকাল ১১:৪৩

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: সহমত আপনার সাথে।

২৩| ০৬ ই মে, ২০১৮ সকাল ১১:৪৫

এক হতভাগা বলেছেন: যুদ্ধ শেষে পাকিস্তান কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে শেখ মজিব লন্ডন হয়ে বাংলাদেশে এসেছিলেন । তিনি জানতে পারেন প্রায় ৩ লক্ষ মানুষ শহীদ হয়েছে কিন্তু ইংরেজি সংবাদ সম্মেলনে তিনি ভুলে ৩ মিলিয়ান (৩০ লক্ষ) বলে ফেলেছিলেন ব্যাস, এই ভুলটাই আমাদের অপরিবর্তনীয় কোরআনের আয়াত হয়ে গেলো !!! এখনত ৩০ লক্ষকে কেউ ৩ লক্ষ বললে রীতিমত মুক্তিযুদ্ধকে অবমূল্যায়ন বা অপরাধের পর্যায়ে পরে যায় । তবে সংখ্যা যেটাই হোক তারাই আমাদের প্রকৃত বীর । এদেশে শহীদ মুক্তিযোদ্ধার চেয়ে বেঁচে যাওয়া মুক্তি যোদ্ধার মূল্যায়ন বেশি ।

০৬ ই মে, ২০১৮ সকাল ১১:৫৪

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: "এই ভুলটাই আমাদের অপরিবর্তনীয় কোরআনের আয়াত হয়ে গেলো !!! এখনত ৩০ লক্ষকে কেউ ৩ লক্ষ বললে রীতিমত মুক্তিযুদ্ধকে অবমূল্যায়ন বা অপরাধের পর্যায়ে পরে যায়।"

.....বিষয়টি নিয়ে আমার একটি গবেষণাধর্মী লেখা আছে, কিন্তু ভয়ে এখনো প্রকাশ করি নাই। জেল জুলুম, আর চেতনার রক্ষক পুলিশকে বড়ই ভয় এই অধমের। আবার রাজাকার খেতাবও জুটতে পারে। যদিও যুদ্ধের অনেক অনেক বছর পর আমার জন্ম। তাই যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলছি।

২৪| ০৬ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১২:১৭

প্রামানিক বলেছেন: পুরো লেখাটাই পড়লাম, আপনার করা সব প্রশ্নই যেন আমার মনের ভিতর চেপে রাখা প্রশ্ন। চমৎকার লিখেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।

০৬ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১২:২২

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: আমি অপেক্ষা করছি কখন আপনার সকাল হবে। আপনি গুণীজন, আমার লেখা পড়ে ভাল লেগেছে জেনে প্রীত হলাম। এগুলো আসলে দেশের সব মানুষের প্রশ্ন। কেউ বলতে পারে না ভয়ে, আবার কেউ লেখতে পারে না ভয়ে। আমার ডর ভয় একটু কম তাই সাদা কালোর পার্থক্যটা তুলে ধরি।

অনেক শুভ কামনা আপনার জন্য।

২৫| ০৬ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১:০৩

ভুয়া মফিজ বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন। আসলে ৩০ লক্ষ শহীদেরই বীরশ্রেষ্ঠ হওয়া উচিত ছিল। দেশের জন্য নিজের জীবন দেয়ার চাইতে বড় আত্মত্যাগ আর কি হতে পারে?

০৬ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১:১৩

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: এটা করে বীর শহীদদের অপমান করা হয়েছে। এখন সময় এসেছে এগুলো নিয়ে নতুন করে ভাবনা করার।

২৬| ০৬ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০১

মনিরা সুলতানা বলেছেন: প্রশ্ন গুলো সহজ আর উত্তর ও সব জানা।
কিন্তু এভাবেই চলছে :(

০৬ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৭

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: হ্যা, ঠিক বলেছেন। আপনার জন্য অনেক শুভ কামনা আপা।

২৭| ০৬ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৮

সনেট কবি বলেছেন: তাদের কথা হলো, তোরা যে যা বলিস ভাই, আমার সোনার হরিণ চাই। কাজেই কারো কোন নছিহত উহাদের কর্ণ কুহরে প্রবেশ করে না। আপনি অনেক কষ্ট করে লিখেছেন। হতভাগা জনগণ পড়ে মন্তব্য করছে। কিন্তু এটা যাদের পড়া দরকার তাদের হয়ত এটা পড়ার সময় নেই।

০৬ ই মে, ২০১৮ রাত ৮:৪০

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ, স্যার। আমরা লেখে যাই, জাতির কাছে প্রশ্নগুলো রেখে যাই। হয়তো নতুন প্রজন্ম এগুলো থেকে উদ্ভোধ্য হবে। প্রশ্নগুলোর সমাধান খোঁজার চেষ্টা করবে। আর সমাজকে জাগ্রত করাই তো আমাদের কাজ। এজন্য শুরু করাটাই আসল।

অনেক শুভ কামনা আপনার জন্য।

২৮| ০৬ ই মে, ২০১৮ রাত ৯:০০

পবন সরকার বলেছেন: চাঁদগাজী ভাইয়ের ব্যাখাটা ভালই লাগল, তবে প্রশ্ন হলো যারা যুদ্ধের সময় পাক সেনাদের হাতে মারা গেল তারা কোন দলে?

০৬ ই মে, ২০১৮ রাত ৯:১১

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: চমৎকার প্রশ্ন। আশা করি শ্রদ্ধেয় চাঁদগাজী উত্তর দেবেন। তবে এখন মুক্তিযুদ্ধকে যেভাবে দলীয়করণ করা হচ্ছে তাতে মনে হয় পাক বাহিনীর হাতে মারা যাওয়া সবাই একটি নির্দিষ্ট দলের ঘোর সমর্থকক ছিলেন!!!

২৯| ০৬ ই মে, ২০১৮ রাত ৯:০৬

তালাচাবি বলেছেন: বিজ্ঞ ব্লগারদের গুরুত্বপূর্ণ কমেন্টগুলো পড়লাম। আমার বেশ ভাল লেগেছে। অনেক কিছু জানতেও পেরেছি। একটি অনুরোধ স্যার, মুক্তিযোদ্ধাদের প্রকৃত সংখ্যা, যুদ্ধে দেশত্যাগী মানুষদের প্রকৃত সংখ্যা, মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রকৃত সংখ্যা এবং ১৬ই ডিসেম্বর ও ২৬শে মার্চ নিয়ে লেখুন। কারণ, একটা জাতির দুইটা স্বাধীনতা/বিজয় দিবস থাকতে পারে না। আপনার বিশ্লেষণ আমার খুব ভাল লাগে। লেখায় যুক্তিগুলো খুব ধারালো। আর দর্শন অসাধারণ।

প্লীজ, বিষয়টি নিয়ে লিখুন স্যার। ধন্যবাদ।

০৬ ই মে, ২০১৮ রাত ৯:১৪

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: হ্যা, আমি এগুলো নিয়ে লেখবো। বিশেষ করে ১৬ই ডিসেম্বর ও ২৬শে মার্চ নিয়ে। সুচিন্তিত মতামত দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ, আপনাকে।

আপনার জন্য শুভ কামনা।

৩০| ০৬ ই মে, ২০১৮ রাত ৯:১৮

তালাচাবি বলেছেন: খুশি হলাম, স্যার। আপনার লেখাটি পড়ার অপেক্ষায় রইলাম।

০৬ ই মে, ২০১৮ রাত ৯:১৯

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ।

৩১| ০৬ ই মে, ২০১৮ রাত ১০:৩৮

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: পড়ার আগেই লাইক দিলাম, কারণ জানি পরে এমনিতেও দেওয়া লাগবে =p~

০৭ ই মে, ২০১৮ রাত ১২:০৪

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: তুমি তো খুব ভাল লেখ। এই বয়সে এতো পড়াশুনা কর, এজন্য তোমাকে নিয়ে আমি বেশ আশাবাদী। পড়াশুনার পাশাপাশি লেখালেখিটা চালিয়ে যাও। লেখায় ভুল হোক, শুদ্ধা হোক এটা দেখবে না। কেউ খারাপ মন্তব্য করলে এড়িয়ে যাবে।

ইউ আর ইন রাইট ট্রাক। বেস্ট অফ লাক।

৩২| ০৭ ই মে, ২০১৮ রাত ১২:৩৭

মিথী_মারজান বলেছেন: প্রান্তর পাতা ভাইয়ার মত আমিও আগে লাইক দিয়ে পড়া শুরু করতে চেয়েছিলাম।
তারপর আবার লেখাতে চোখ পড়তেই মনের অজান্তে পড়া শুরু করে দিলাম।
অনেক অনেক সুন্দর একটা পোস্ট।
সবচেয়ে ভালো লেগেছে সামরিক আর বেসামরিক মুক্তিযোদ্ধাদের খেতাব নিয়ে যে বৈষম্যটা তুলে ধরেছেন।
সকল বীর শহীদ এবং মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহনকারী সকলের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলছি, এই ভাবনাটা আমার কাছেও খোঁচার মত লাগে।
আমার হিসাবে সামরিক বাহিনীর সকল অংশগ্রহনকারীর কাজই হচ্ছে দেশের শান্তি শৃঙ্খলায় নিয়োজিত থাকা। ট্রেইনিং আছে, যোগ্যতাসম্পন্ন, সব দিক থেকে তারা এগিয়ে এটাও মানি তবে যুদ্ধ থেকে দেশকে রক্ষা করাটাই তার আল্টিমেট ডিউটি ছিলো।
আর অন্যদিকে, বেসামরিক মুক্তিযোদ্ধারা উপযুক্ত ট্রেইনিং, শিক্ষা, সরকারী বেতন কিম্বা ভয় ভীতির তোয়াক্কা না করে যে কঠিন মনোবল আর সাহসিকতার সাথে দেশের জন্য এগিয়ে এসেছিলো তা অবশ্যই অনন্য সাহসিকতার প্রমাণ। এবং ইতিহাসে এমন অনেক উদাহরন বা প্রমানও কিন্তু আছে। তাদের প্রতি অবশ্যই এক্ষেত্রে অন্যায় করা হয়েছে।

যাইহোক ভাইয়া, মনেহয় একটু বেশি কথা বলে ফেললাম।
আপাতত লাইক দিয়ে প্রস্হান করলেও সহব্লগার হিসাবে সবসময় আপনার পাশেই আছি।:)

০৭ ই মে, ২০১৮ রাত ১২:৫৫

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: "বেসামরিক মুক্তিযোদ্ধারা উপযুক্ত ট্রেইনিং, শিক্ষা, সরকারী বেতন কিম্বা ভয় ভীতির তোয়াক্কা না করে যে কঠিন মনোবল আর সাহসিকতার সাথে দেশের জন্য এগিয়ে এসেছিলো তা অবশ্যই অনন্য সাহসিকতার প্রমাণ। এবং ইতিহাসে এমন অনেক উদাহরন বা প্রমানও কিন্তু আছে। তাদের প্রতি অবশ্যই এক্ষেত্রে অন্যায় করা হয়েছে।"
......... হ্যা, এটা চরম সত্য কথা। আপনি এতো বড় একটি সুন্দর কমেন্ট করে আমাকে অনুপ্রাণিত করেছেন, এজন্য কৃতজ্ঞতা রইল। আপনার শেষ কথাটি খুব ভাল লেগেছে। আমি আপনার পাশে সব সময় থাকবো, কথা দিলাম।

অনেক শুভ কামনা আপনার জন্য। শুভ রাত্রি।

৩৩| ০৭ ই মে, ২০১৮ সকাল ১০:৩৮

এস এম আহসানউল্লাহ বলেছেন: অামাদের প্রধান সমস্যা হল,আমরা ভেজাল জাতি।জাতিগত ঐক্য ছিল বলেই জার্মান, জাপান একেবারে ভেঙ্গে পড়ার পরেও আবার উঠে দাড়িয়েছে! আমরা একই সাথে বাঙ্গালী আবার মুসলমান! নিজেদের ভিতরে এই যুদ্ধের অবসান এখনো আমরা ঘটাতে পারিনি! যেদিন জাতিগত ঐক্যতা ফিরে অাসবে, সেদিন সবকিছু সাজিয়ে মাথা উচু করে দাড়াতে আমাদের খুব বেশি কষ্ট করতে হবে না!

০৭ ই মে, ২০১৮ সকাল ১১:২১

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: শুভ সকাল, আহসানউল্লাহ ভাই।
"অামাদের প্রধান সমস্যা হল,আমরা ভেজাল জাতি।জাতিগত ঐক্য ছিল বলেই জার্মান, জাপান একেবারে ভেঙ্গে পড়ার পরেও আবার উঠে দাড়িয়েছে! আমরা একই সাথে বাঙ্গালী আবার মুসলমান!"
আমার মনের কথাগুলো বলেছেন। আমরা ঐক্যে নয়, বিভক্তিতে বিশ্বাস করি। এতে জাতীয়তা হোক, আর ধর্ম হোক। এজন্য আমাদের এত অধঃপতন।

৩৪| ০৮ ই মে, ২০১৮ রাত ১০:৩৪

সোহানী বলেছেন: দেশ নিয়ে অামি ছিলাম প্রচন্ড আশাবাদী একজন মানুষ আর এখন হয়েছি চরম নৈরাশ্যবাদী মানুষ। সব প্রশ্নের উত্তর যেমন আপনি জানেন তেমনি আমরাও জানি। কিন্তু কিছুই করার নেই, কিছুই বলার নেই। যদি সৎভাবে বাচঁতে চান তাহলে দেশ ছেড়ে চলে যান আর যদি অন্যায়ের স্রোতে গা ভাসিয়ে দিতে পারেন তাহলে দেশে থাকেন।

কালই একটা আড্ডায় বলছিলাম, বিদেশে এসে আমরা কি পরিমান কষ্ট করি। তারচেয়ে দেশে যাই, ২/৩ হাজার কোটি টাকা ব্যাংক লোন নিবো। অর্ধেক বা ওয়ান থার্ড ঘুষ দিবো বাকিটা দিয়ে কানাডায় বাড়ি গাড়ি করে বাকি টাকা ইনভেস্ট করে দিন পার করবো। আহ্ কি সুখ!!!!!!!!!!!!!!!!

০৮ ই মে, ২০১৮ রাত ১১:৫২

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: "দেশ নিয়ে অামি ছিলাম প্রচন্ড আশাবাদী একজন মানুষ আর এখন হয়েছি চরম নৈরাশ্যবাদী মানুষ। সব প্রশ্নের উত্তর যেমন আপনি জানেন তেমনি আমরাও জানি। কিন্তু কিছুই করার নেই, কিছুই বলার নেই। যদি সৎভাবে বাচঁতে চান তাহলে দেশ ছেড়ে চলে যান আর যদি অন্যায়ের স্রোতে গা ভাসিয়ে দিতে পারেন তাহলে দেশে থাকেন।

কালই একটা আড্ডায় বলছিলাম, বিদেশে এসে আমরা কি পরিমান কষ্ট করি। তারচেয়ে দেশে যাই, ২/৩ হাজার কোটি টাকা ব্যাংক লোন নিবো। অর্ধেক বা ওয়ান থার্ড ঘুষ দিবো বাকিটা দিয়ে কানাডায় বাড়ি গাড়ি করে বাকি টাকা ইনভেস্ট করে দিন পার করবো। আহ্ কি সুখ!!!!!!!!!!!!!!!!"
........ আমার মনের আকুতিটা আপনার কথায় প্রতিধ্বনি হয়েছে। যারা প্রবাসে থাকে তারা জানে, মাতৃভূমি ছেড়ে বিদেশ থাকা কত কষ্টের। যারা ব্যাংক মেরে "বেগম পাড়ার" বাসিন্দা হন এসব মুখোশধারী চোরেরা তা কখনো বুঝবে না। কারণ বুঝতে হলে যে মনুষত্ব দরকার তা তাদের নেই।

আপনি ঠিকই বলেছেন- কিসের দেশ, আর কিসের দেশপ্রেম। ভাবছি ভূটানের ইমিগ্রেন্ট হবো, এরা পৃথিবীর সবচেয়ে কম লোভী আর পিসফুল মানুষ।

আপনাকে ব্লগে পেয়ে অনেক ভাল লাগলো। অনেক শুভ কামনা আপনার জন্য।

৩৫| ০৯ ই মে, ২০১৮ সকাল ৮:৫৭

সোহানী বলেছেন: ভুটান !!!!! পৃথিবীর সবচেয়ে কম লোভী আর পিসফুল মানুষ!!!!!!! হাসবো নাকি কাঁদবো। আমার দেখা ব্রিটিশদের পর সবচেয়ে লোভী, নোংরা পলিটিশিয়ান, স্বার্থপর ভুটানীরা। অামাদের দেশে কতজন ভুটানী কাজ করে জানেন? কতজনের সাথে আপনার পরিচয় হয়েছে এবং তারা কি করে জানেন?............. হুম আসবো এদের নিয়ে শীঘ্রই।

০৯ ই মে, ২০১৮ সকাল ১০:৫৮

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: আসলে ভুটানের কথা বলেছিলাম, ভিসার ঝামেলা নেই বলে। ছোট দেশ, মানুষও কম। তাহলে একটা সাজেশন্স দেন!! এন্টার্কটিকা যাওয়া যায়, কিন্তু ভয় করে। একা থাকবো কেমনে? ওহ!!! পারবো, একটা মহিলা পেঙ্গুইনকে বিয়ে করা যায়। কী বলেন? আমার আবার আইডিয়া কিন্তু ভাল নয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.