নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জন্মসূত্রে মানব গোত্রভূক্ত; এজন্য প্রতিনিয়ত \'মানুষ\' হওয়ার প্রচেষ্টা। \'কাকতাড়ুয়ার ভাস্কর্য\', \'বায়স্কোপ\', \'পুতুলনাচ\' এবং অনুবাদ গল্পের \'নেকলেস\' বইয়ের কারিগর।

কাওসার চৌধুরী

প্রবন্ধ ও ফিচার লেখতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। পাশাপাশি গল্প, অনুবাদ, কবিতা ও রম্য লেখি। আমি আশাবাদী মানুষ।

কাওসার চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

একজন জ্যাক মা (ফিচার) "আলীবাবার প্রতিষ্ঠাতা"

০৭ ই মে, ২০১৮ রাত ২:১৫


কিছুদিন আগে ইউএনএইচসিআরের (UNHCR) একটি সেমিনারে হলিউড অভিনেত্রী এঞ্জোলিনা জোলির একটি বক্তব্য শুনেছিলাম। যদিও ছোটবেলা থেকে হলিউড, বলিউড, ঢালিউড কোন মুভির প্রতি আমার আগ্রহ নেই; এজন্য চলচ্চিত্র তারকাদের কেউ আমার আইডল নয়। কিন্তু এঞ্জোলিনা জোলিকে পছন্দ করতাম তার সামাজিক বিভিন্ন কর্মকাণ্ড, জাতিসংঘের বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ, পারিবারিক জীবন, শিশুদের জন্য মানবিকতা ও বলিষ্ঠ ব্যক্তিত্বের জন্য।

সেমিনারে তিনি বলেন, আমি অনেক ভাগ্যবতী এজন্য যে আমার সামর্থ্য আছে ভাল মানের খাবার কিনে খাওয়ার; আছে থাকার জন্য বিলাসবহুল একটি বাড়ি; নিজেরও সন্তানদের জন্য আছে নিরাপদ আবাস। আমি প্রতিনিয়ত নিশ্চিত করি আমার নিজেরও পরিবারের নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত জীবন। ইদানিং খুব অনুধাবন করি, অনেক বেশি সুযোগ-সুবিধা নিয়ে আমি বেঁচে আছি। আমরা এখানে যারা বসে আছি সবাই খুব ভাগ্যবান। আমি এখনো বুঝতে পারি না কেন পৃথিবীর কিছু মানুষ আমার মতো বাড়তি সুযোগ সুবিধা নিয়ে বেঁড়ে উঠে? অপরদিকে পৃথিবীতে হাজারো মহিলা আছেন যারা আমার মতো সমান দক্ষতা, সমান ইচ্ছাশক্তি নিয়ে বেড়ে উঠেন।

যাদের অনেকেই সুযোগ পেলে আমার চেয়ে ভাল অভিনেত্রী হওয়ার যোগ্যতা রাখেন, আমার চেয়ে ভাল বক্তা হওয়ার যোগ্যতা রাখেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে তাদের কেউ আজ রিফিউজি ক্যাম্পে, কেউ নির্যাতিত হচ্ছেন, কেউবা অনাহারে অর্ধাহারে জীবন কাটাচ্ছেন। আমি তাদের চেয়ে অনেক বেশী সুযোগ পেয়েছি নিজেক প্রমাণ করার, বিশ্বমঞ্চে অংশগ্রহণ করার। এটা আমাকে আঘাত করে, আমাকে ভীষণ রকম ভাবায়। আমার মা বলতেন, Nothing would mean anything, if you didn't have a life of use to others. অর্থাৎ "সুযোগ থাকার পরও তুমি যদি নিজের জীবনকে পরোপকারে বিলিয়ে দিতে না পার তাহলে এ জীবনের কোন মূল্য নেই"। আমি বাকী জীবনটা এভাবেই কাটাতে চাই।

প্রতিটি সফলতার পেছনে এক বা একাধিক ব্যর্থতার গল্প আছে। ব্যর্থ গল্পগুলো আমাদের সামনে আসে না গল্পের নায়ক সফল না হলে। কতশত স্বপ্ন প্রকৃতির মাঝে মিলিয়ে যায় আলোর মুখ দেখার আগে এই খবর কেউ রাখে না। এঞ্জোলিনা জলিও প্রথম জীবনে অনেক থিয়েটার ও ফিল্মের অডিশনে ব্যর্থ হয়েছিলেন। তিনি এসব ব্যর্থতায় দমে না থেকে সামনের দিকে এগিয়ে গেছেন, নিজের মেধা ও পরিশ্রম দিয়ে। তিনি আজ সফল, এজন্য তার ব্যর্থতার ইতিহাস, সফল হওয়ার অদম্য স্পৃহার কথা আমরা সবাই জানি।


গত কিছুদিন থেকে ভাবছিলাম নতুন একজন সফল তথ্যপ্রযুক্তি উদ্যোক্তা নিয়ে লেখব। তাদের সফলতা, ব্যর্থতার গল্পগোলো মানুষের সামনে তুলে ধরব। একটি সফলতার পেছনে একজন উদ্যোক্তার কত পরিশ্রম, স্বপ্ন ও কর্মঘন্টা খরছ হয় তার খবর কে রাখে। কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌছিতে না পারার ব্যর্থতায় তারাও অনেক সময় হতাশায় ভোগতেন, কিন্তু নিজের স্বপ্নকে কখনো মাটি চাঁপা দেন নাই; পরিশ্রম করে গেছেন শেষ পর্যন্ত নিজের স্বপ্নকে সার্থক করার জন্য। সবচেয়ে অবাকের বিষয় এতে বেশিরভাগ উদ্যোক্তারই মুখ্য উদ্দেশ্য ছিল না বড়লোক হওয়ার। একমাত্র চাওয়া ছিল নিজের স্বপ্নের বাস্তবায়ন।

২০০৮ সালে ইন্টারনেট জায়েন্ট ইয়াহু ফেইসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারবার্গকে তার আইডিয়াটি কেনার জন্য এক বিলিয়ন ডলারের প্রস্তাব দিয়েছিল। জবাবে তিনি বলেছিলেন আমি টাকার জন্য ফেইসবুক তৈরী করিনি, আমি এর শেষ দেখতে চাই।। এটা আমার স্বপ্ন, আমার সন্তান। টাকার বিনিময়ে কেউ কী তার সন্তানকে বিক্রি করতে পারে? অথচ তিনি জানতেন না ফেইসবুক আজকের অবস্থানে আসবে। মাত্র দশ বছরে তিনি আজ পৃথিবীর পাঁচজন সেরা ধনীর একজন।

তথ্য প্রযুক্তির উদ্যোক্তাদের তালিকা অনেক লম্বা। বিশেষ করে বলতে গেলে, মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস, এ্যাপোলের স্টিভ জব, গুগলের ল্যারি পেজ, ফেইসবুকের মার্ক জুকারবার্গ, আমাজনের জেফ বেজ্ ও আলীবাবার প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক মা উল্লেখযোগ্য। এসব উদ্যোক্তাদের মধ্যে সম্ভবত জ্যাক মা সবচের কম পরিচিত। তিনিই একমাত্র উদ্যোক্তা যার ব্যবসা আমেরিকার বাইরে। আমার আজকের লেখা সফল উদ্যোক্তা জ্যাক মা-কে নিয়ে।

জ্যাক মা (Jack Ma), যিনি চায়নাতে 'মা-য়ুন' নামে পরিচিত। ১৯৬৪ সালের ১০ সেপ্টেম্বর তিনি চিনের ছোট্ট শহর হ্যাংজুতে জন্মগ্রহণ করেন। ছোটবেলা থেকে ইংরেজি শেখার প্রতি তাঁর ঝোক ছিল। এজন্য প্রতিদিন ৭০ মিনিট বাইক চালিয়ে ইংলিশ স্পিকিং ক্লাবে যেতেন ইংরেজিতে আরো দক্ষতা বাড়ানোর জন্য। তিনি ক্লাসের পড়ায় তেমন মনোযোগী ছিলেন না, এজন্য ম্যাট্রিক পাশ করতে তাঁর চার বছর সময় লেগেছিল! ১৯৮৮ সালে তিনি হ্যাংজু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে স্নাতক ডিগ্রী লাভ করেন। আলীবাবার প্রতিষ্ঠাতা এ উদ্যোক্তা বর্তমানে চীন তথা এশিয়ার সবচেয়ে ধনী ব্যবসায়ী। পাশাপাশি তিনি বর্তমান পৃথিবীর নতুন উদ্যোক্তাদের আইকন হিসাবে পরিচিত। বিশেষ করে তার মোটিভেশনাল স্পীচ হাজার হাজার মানুষ আগ্রহ নিয়ে শুনে। প্রতিনিয়ত নতুন নতুন বিজনেস আইডিয়া দিয়ে মানুষকে উদ্ভুদ্ধ করেন তিনি।


জীবনের প্রথম যে ৩০ টি চাকরির জন্য তিনি আবেদন করেছিলেন দুর্ভাগ্যক্রমে সব কয়টিতেই বাদ পড়েন! তিনি বলেন, পুলিশের চাকরির ইন্টারভিউতে গেলে তাঁকে বলা হয়েছে এই চাকরির জন্য তুমি উপযুক্ত না। উল্লেখ্য যে, জ্যাক মা দেখতে মোটেও সুদর্শন নয়, যুবক বয়সে তিনি দেখতে খুব রোগা ও লিকলিকে ছিলেন। চায়নাতে যখন কেএফসি (KFC) প্রথম ব্যবসা শুরু করে সে সময় ইন্টারভিউ দিতে আসা ২৪ জনের মধ্যে তিনি ছাড়া বাকি ২৩ জনের চাকরি হয়েছিল! হাভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ১০ বার আবেদন করে প্রতিবারই বাদ পড়েছেন। ক্যারিয়ারের প্রথম দিকে তাঁর কোন সফলতা নেই, শুধুই ব্যার্থতার গ্লানি। কিন্তু দমে যান নাই। কারণ তিনি জানতেন, ব্যর্থতাই সফল হওয়ার প্রথম পাঠ।

১৯৯৪ সালে তিনি ইন্টারনেটের নাম শুনেন। এই আগ্রহ থেকে তিনি এ বিষয়ে পড়াশুনা করতে ১৯৯৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রে যান। একদিন কৌতুহল বশত তাঁর এক বন্ধুর কম্পিউটারে Beer (ভাল্লুক) সার্চ করলে বিভিন্ন দেশের ভাল্লুকের ছবি আসলেও চায়নিজ কোন ভাল্লুকের ছবি দেখতে পেলেন না। এবার চায়না লেখে সার্চ করলেন, কিন্তু না এবারও কোন তথ্য আসল না। ব্যাপারটি তাকে ব্যথিত করলো, পাশাপাশি বিষ্মিতও হলেন। চায়নার কোন বিষয়ে পৃথবীর মানুষ জানে না এটা তাকে ভাবিয়ে তুল্ল।

এই ভাবনা থেকেই মনে মনে প্রতিজ্ঞা করলেন, আর নয় আমেরিকা। দেশে ফিরে স্থানীয় সরকারি অফিসে 'ইন্টারনেট' নাম দিয়ে একটি 'ই-কমার্স' কোম্পানী রেজিস্টেশন করতে গেলে তাকে বলা হলো এই শব্দটি সরকার প্রদত্ত ডিকশনারিতে নেই! অতএব এই নামে কোন কোম্পানি রেজিস্ট্রি করা যাবে না।

একদিন তিনি ঘনিষ্ট কিছু বন্ধুকে তার বাসায় ডাকলেন ই-কমার্স ব্যবসা নিয়ে আলোচনা করার জন্য। উপস্থিত বন্ধুদের দশজনই তাঁর আইডিয়া নিয়ে হাসাহাসি করলে, বাকি সাতজনকে কোনমতে রাজি করালেন। সবাই মিলে একটি প্রডাক্ট বিক্রি করার জন্য ইন্টারনেটে দিয়ে পাঁচ দিন অপেক্ষা করলেন, না কেউ নক করল না। ত্রিশ দিন অপেক্ষার পরও কোন ক্রেতা না পাওয়ায় পণ্যটি নিজেদের মধ্যে কেনাবেচার সিদ্ধান্ত নিলেন তারা। তখন চায়নাতে ইন্টারনেট এত স্লো ছিল যে, কোন কোন পেইজ ওপেন হতে ২-৩ ঘন্টা লেগে যেত! তারপরও তিনি ধৈর্য হারাননি। তারা মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাদের পরিত্যক্ত জিনিসগুলো কিনে আনতেন। মানুষ অবাক হয়ে ভাবত এগুলোও বিক্রি করা সম্ভব!


ফলে প্রতিদিন অনেক মানুষ তাদের পরিত্যাক্ত জিনিস বিক্রির জন্য তাদের কাছে নিয়ে আসত। পরিত্যক্ত এসব জিনিসে বাড়ির আঙ্গিনা ভরে যেত। এভাবেই তিনি ই-কমার্সের প্রতি মানুষের আগ্রহ সৃষ্টি করে আজ সফলতার সর্বোচ্চ শিখরে আরোহন করেছন। প্রাথমিকভাবে তিনি তার স্ত্রী ও কাছের বন্ধুদের কাছ থেকে বিশ হাজার ডলারের সমপরিমান পুঁজি নিয়ে ব্যবসা শুরু করে আজ তার কোম্পানীর মূলধন প্রায় ৪৯ বিলিয়ন ডলার (২০১৭)। তিনি বর্তমানে আলীবাবা গ্রুপের চেয়ারম্যান। যার নয়টি বড় সহযোগী ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আছে। এগুলো হলোঃ Alibaba.com, Taobao Marketplace, Tmall, e Tao, Alibaba, Cloud Computing, Juhuasuan, 1688.com, Aliexpress.com & Alipay.

সফলতার গল্প বলতে গিয়ে তিনি বলেন, যখন চায়নাতে প্রথম ই-কমার্স ব্যবসা শুরু করি তখন চায়নার অবকাঠামো ও যোগাযোগ ব্যবস্থা খুব নাজুক ছিল। তাঁর মতে, যখন কোথাও সুযোগ সুবিধার অভাব সেখানেই ব্যবসার অপার সম্ভাবনা থাকে। কারণ এই ব্যবসাটি আগে এখানে কেউ করেনি। তিনি আর বলেন, তখন চায়নাতে প্রায় ৮০০ মিলিয়ন মানুষ গ্রামে বাস করতো, এদের মধ্যে প্রায় ২০০ মিলিয়ন মানুষের দৈনিক আয় এক ডলারেরও কম ছিল! আপেল চাষীরা ক্রেতার অভাবে নাম মাত্র মূল্যে ট্রাক হিসাবে আপেল বিক্রি করতেন, তারপরও প্রায় ৯০% আপেল ক্রেতার অভাবে পঁচে যেত! আলীবাবা প্রতিষ্ঠার পর কৃষকরা এখন আপেলের ন্যায্য মূল্য পায়, কোন আপেল ক্রেতার অভাবে নষ্ট হয় না।

জ্যাক মা বলেন, বিশ বছর বয়স পর্যন্ত ভালভাবে পড়াশুনা করতে হবে। পারিপার্শ্বিক অবস্থা জানতে হবে এবং চোখ কান খোলা রেখে বুঝার চেষ্টা করতে হবে। ত্রিশ বছরের মধ্যে সমাজের এক বা একাধিক সফল মানুষকে ফলো করতে হবে। এসময় কোন কোম্পানীতে জয়েন করে শেখার চেষ্টা করলে ভাল হয়। এক্ষেত্রে ছোট কোম্পানী হলে ভাল হয়, এতে সহজে ব্যবসার পলিসিটা বুঝতে পারা যায়। এসময় একজন দক্ষ বসের অধীনে কাজ করলে ব্যবসার অনেক খুটিনাটি জিনিস শেখা সম্ভব। যদি কেউ উদ্যোক্তা হতে চান তাহলে ত্রিশ থেকে চল্লিশ বছর বয়স হলো সবচেয়ে উপযুক্ত সময়। চল্লিশ পরবর্তী সময়ে এমন কিছুর উদ্যোক্তা হতে হবে যা আপনি ভালভাবে জানেনও বুঝেন। এই বয়সে বাড়তি ঝুঁকি নেওয়া যাবে না, এতে সফলতা নাও আসতে পারে।


তিনি আরো বলেন, আপনি যদি আগামীকাল সফল হতে চান তা অসম্ভব। এমনকি যদি এক বছর পরও সফল হতে চান তাও সম্ভব নয়। কিন্তু আপনি যদি দশ বছর পর জয়ী হতে চান তাহলে ভাল সম্ভাবনা আছে। আমি মনে করি আগামী ত্রিশ বছরে পৃথিবীতে অনেক পরিবর্তন আসবে। যদি কোন তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ হয় তাহলে তা হওয়া উচিৎ বিভিন্ন মহামারি অসুখের বিরুদ্ধে, জলবায়ু দূষণের বিরুদ্ধে, সম্মিলিত ভাবে দারিদ্র দুরীকরণের বিরুদ্ধে। তবে কখনোই তা মানুষের বিরুদ্ধে নয়। তবে যদি যৌথভাবে সারা পৃথিবীর মানুষ এই টেকনোলজির সুবিধা না পায় তালে আবার পৃথবীতে অসমতা দেখা দেবে। এতে কেউ বেশি সুবিধা পাবে আবার কেউ এসব সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবে। এটি হতে দেওয়া যাবে না।

এক্ষেত্রে নারীর ক্ষমতায়ন খুব জরুরী। যত বেশি সম্ভব মহিলাদেরকে ব্যবসা ও সার্ভিসে যুক্ত করতে হবে। কারণ পুরুষের চেয়ে মহিলারা বেশি কেয়ারিং ও গোছানো। বিশ্বায়নের যুগে ব্যবসা হবে বিশ্বব্যাপী, এটা বন্ধ করার কোন সুযোগ নেই। যদি ব্যবসা বন্ধ হয়ে যায় তাহলে যুদ্ধ শুরু হয়ে যাবে। আগেকার দিনে বিশ্বব্যাপী ব্যবসাগুলো নিয়ন্ত্রণ করতো কিছু প্রভাবশালী রাজপরিবার ও সম্রাজ্য। গত ত্রিশ বছর তা নিয়ন্ত্রণ করেছে ষাট হাজার বড় কোম্পানী। যদি আপনি এসব ক্ষমতাবান কোম্পানীর কেউ না হন অথবা ধনী ও প্রভাবশালী কোন দেশের নাগরিক না হন তাহলে আপনার সুযোগ ছিল সীমিত। তবে আমি নিশ্চত ভাবে বলতে পারি আগামী ত্রিশ বছর হবে কমপক্ষে ষোল মিলিয়ন কোম্পানীর পৃথিবী। এখানে সবার সমান সুযোগ থাকবে।

সফল এই উদ্যোক্তা বলেন, আমি প্রতিটি ভূল থেকে শিক্ষা নিয়েছি। অসংখ্যবার রিফিউজ হয়েছি, অপমানিত হয়েছি কিন্তু কখনো দমে যাইনি। যদি থেমে যেতাম তাহলে আলীবাবার জন্ম হতো না। আমি মনে করি মানুষের দ্বারা রিজেক্ট হওয়াটা খুব স্বাভাবিক। যতক্ষণ না আপনি নিজেকে প্রমাণ করবেন, ততক্ষণ কেউ আপনাকে সাহায্য করবে না। সবাই সফলতার গল্প শুনতে চায়, কিন্তু কেউ জানে না কোনো এক ভূল থেকেই সফলতার শুরু হয়।

এজন্য সফলতার নির্দিষ্ট কোন সংজ্ঞা নেই। তবে সফলতার প্রথম ধাপ হলো আপনাকে স্বপ্নবাজ হতে হবে। নিজেদের কৃষ্টি কালচারের প্রতি যত্নবান হতে হবে। মানুষ কি বল্ল তা না ভেবে নিজের স্বপটাকে বাস্তবায়নের পথে নিয়ে যেতে হবে। প্রতিষ্ঠানের একটি ভাল নাম দিতে হবে। তিনি বলেন, আলীবাবা নামটি আমার মনে যখন আসে তখন আমেরিকার সানফ্রান্সিসকোর একটি রেস্টুরেন্টে বসেছিলেন। এ সময় দশজন মানুষকে নামটি সম্বন্ধে জানতে চাইলে সবাই বলেন নামটি তারা শুনেছেন। তখনই তিনি তাঁর কোম্পানীর জন্য নামটি চূড়ান্ত করে ফেলেন।

অনেকে হয়তো ভাবছেন জ্যাক মা-কে নিয়ে লেখতে গিয়ে হলিউড অভিনেত্রী এঞ্জোলিনা জোলিকে টেনে আনলাম কেন? কারণ, জোলির কথায় পৃথিবীর আনাচে কানাচে এমন কিছু রত্ন লুকিয়ে আছেন; যাদের অনেকেই সুযোগ পেলে আমার চেয়ে ভাল অভিনেত্রী হওয়ার যোগ্যতা রাখেন, আমার চেয়ে ভাল বক্তা হওয়ার যোগ্যতা রাখেন, ভাল উদ্যোক্তা হওয়ার যোগ্যতা রাখেন। জ্যাক মা এই 'তাদেরই' একজন। যিনি চিনের অজোপাড়াগায়ে জন্মে নিয়ে কারো মুখোপেক্ষি না হয়ে সম্পূর্ণ নিজের প্রচেষ্টায় আজ সফল। পৃথিবীর অন্যতম ই-কমার্স উদ্যোক্ত।।



ফটো ক্রেডিট,
গুগল।

মন্তব্য ৭৪ টি রেটিং +১১/-০

মন্তব্য (৭৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই মে, ২০১৮ ভোর ৪:০৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


এই লোকটাকে ও তার ব্যবসাকে অশুভ, অসৎ, অপ্রয়োজনীয় ও ক্ষতিকর বলে মনে হচ্ছে!

০৭ ই মে, ২০১৮ ভোর ৪:১৫

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: : হা হা হা..............
হাঁসালেন, স্যার। আমি জ্যাক মা-কে খুব পছন্দ করি। খুবই টেলেন্টেড ও বাস্তববাদী মানুষ। ব্যবসাটা খুব ভাল বুঝেন বলেই এত তাড়াতাড়ি সফল হতে পেরেছেন। তিনি আমেরিকার বাইরে ব্যবসা করা এ শতাব্দীর পৃথিবীর সবচেয়ে সফল উদ্যোক্তা। একজন দার্শনিকও বটে।

২| ০৭ ই মে, ২০১৮ ভোর ৪:৩৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনি বলেছেন, "তিনি আমেরিকার বাইরে ব্যবসা করা এ শতাব্দীর পৃথিবীর সবচেয়ে সফল উদ্যোক্তা। একজন দার্শনিকও বটে। "

-উনি কিভাবে দার্শনিক? উনার দর্শন কি?

০৭ ই মে, ২০১৮ ভোর ৫:৩৩

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: ই-কমার্সের উপর উনার অনেক নতুন নতুন আইডিয়া আছে। যা সচরাচর দেখা যায় না। ব্যবসায়ে সফলতার জন্য, ভাল উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য তিনি এমন কিছু কথা বলেন, যা আমরা সবাই জানি, বুঝি কিন্তু উনার মতো করে ভাবি না। এটাই উনার দর্শন। সফলতার অন্যতম কারণ।

এগুলো অনেকটা খৃষ্টপূর্বে গ্রীসে জন্ম নেওয়া পৃথিবী বিখ্যাত দার্শনিক সক্রেটিস, এরিস্টটল ও প্লেটোর কথা মনে করিয়ে দেয়। উনারা মানুষের জীবন দর্শন, শিক্ষা, মানবিকতা, সমাজ ও রাষ্ট্র ব্যবস্থা নিয়ে এভাবেই বলতেন। বিষয়গুলো মানুষের খুব কমন কিন্তু উনাদের ভাবনার সাথে সাধারন মানুষের ভাবনার পার্থক্য ছিল।

সময়ের পরিবর্তে সমাজ, রাষ্ট্র ও ব্যবসায়ও পরিবর্তন এসেছে। গণতান্ত্রীক রাষ্ট্র ব্যবস্থায় যেমন ব্রিটেনের ১৮শ শতাব্দীর প্রথম দিকের ফর্মুলাকে বিশ্বের গণতন্ত্রের মডেল মনে করা হয়। ঠিক তেমনি এ যুগের ই-কমার্স ব্যবসায় জ্যাক মা-র ফর্মুলা, চিন্তাভাবনা এখন বিশ্বব্যাপী সমাদৃত।

আর এটাই হচ্ছে উনার ই-কমার্স দর্শন।

৩| ০৭ ই মে, ২০১৮ ভোর ৫:১৩

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আমাদের দেশের উপর উনার প্রভাব কত টুকু? আমাদের তরুণরা কি তাকে অনুপ্রেরণার উৎস মনে করছে?

০৭ ই মে, ২০১৮ ভোর ৫:৩০

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: সাজ্জাদ ভাই, এখনো জেগে আছেন?
সমস্যা হলো আমরা মনে প্রাণে পশ্চিমামুখী। এজন্য পূর্বের অনেক বিখ্যাত মানুষদের চেয়ে পশ্চিমা অনেক অখ্যাত মানুষকে আমরা চিনি, মূল্যায়ন করি। আমি জানি না, আপনি উনার সম্বন্ধে জানেন কী না। আমি তার প্রচুর বক্তব্য শুনেছি। উনি এমন কিছু কথা বলেন, শুনলে আপনি অবাক হয়ে যাবেন। কথাগুলো খুবই কমন, কিন্তু উনার ভাবনা আর আমাদের ভাবনায় বিস্তর ফারাক।

মাত্র বিশ বছরে উনি এশিয়ার সবচেয়ে ধনী মানুষ!!! ভাবা যায়? শুধু নিজের পরিশ্রম আর আইডিয়া দিয়ে তা করেছেন। তিনি এখন ই-কমার্সের সবচেয়ে বড় উদ্যোক্তা ও বাজার বিশ্লেষক। ইউটিউবে উনার অনেক ভিডিও আছে। সময় সুযোগে শুনলে আপনার ভাল লাগবে।

বাংলাদেশী তরুণদের উনার কথাগুলো শুনা খুবই প্রয়োজন।

৪| ০৭ ই মে, ২০১৮ ভোর ৫:৩৪

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আমাদের তরুণদের একটা বিরাট অংশ প্রশ্নফাস প্রজন্ম ( জনাব চাঁদগাজীর ভাষ্য) আরেক অংশ ইয়াবা প্রজন্ম। তাদের উন্নত জ্ঞান বিজ্ঞান নিয়ে আগ্রহ কম। তরুণদের সামান্য অংশ জ্ঞান বিজ্ঞান চর্চা করে। তারা হয়তো জানেন।

তবে আমি উনাকে নিয়ে সময় পেলেই পড়াশোনা করবো।

আপনাকে ধন্যবাদ, ভাই।

০৭ ই মে, ২০১৮ ভোর ৫:৪১

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: "আমাদের তরুণদের একটা বিরাট অংশ প্রশ্নফাস প্রজন্ম ( জনাব চাঁদগাজীর ভাষ্য) আরেক অংশ ইয়াবা প্রজন্ম। তাদের উন্নত জ্ঞান বিজ্ঞান নিয়ে আগ্রহ কম। তরুণদের সামান্য অংশ জ্ঞান বিজ্ঞান চর্চা করে। তারা হয়তো জানেন।"
.........কথাগুলো পড়ে হাঁসি আটকে রাখতে পারলাম না।

তবে একটা আশার কথা, এখন যাদের পকেট একটু ভারী উনাদের আদুরের সন্তানরা তো আংলিশ মিডিয়ায় (English Medium) পড়াশুনা করে। অতএব, জ্যাক মা-র ইংলিশ স্পীচগুলো বুঝতে তো সমস্যা হওয়ার কথা না!! তিনি চায়নিজ হলেও চমৎকার ইংরেজি জানেন।।

৫| ০৭ ই মে, ২০১৮ ভোর ৫:৩৭

বিদেশে কামলা খাটি বলেছেন: এমন মানুষ হোক তরুণদের আদর্শ। সুন্দর লেখা।

০৭ ই মে, ২০১৮ ভোর ৫:৫০

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: শুভ সকাল, ভাই। আপনি ঠিকই বলেছেন এমন মানুষ তরুণদের আদর্শ হওয়া উচিৎ; তামিল/হিন্দি ছবির ভাড়ুয়ারা নয়। আমার এ পরিশ্রম শুধু তরুণদের কথা মাথায় রেখেই করা। তরুণরা এখন ইয়াবা, ফেইসবুক আর তামিল সিনেনা নিয়ে বিজি। আমি চাই জ্যাক মা-র কথাগুলো সবাই শুনুক। এতে তারা অনেক উপকৃত হবে।

৬| ০৭ ই মে, ২০১৮ ভোর ৬:২৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনি লিখেছেন, "লেখক বলেছেন: ই-কমার্সের উপর উনার অনেক নতুন নতুন আইডিয়া আছে। যা সচরাচর দেখা যায় না। ব্যবসায়ে সফলতার জন্য, ভাল উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য তিনি এমন কিছু কথা বলেন, যা আমরা সবাই জানি, বুঝি কিন্তু উনার মতো করে ভাবি না। এটাই উনার দর্শন। সফলতার অন্যতম কারণ। "

-ই-কমার্সের উপর কোন আইডিয়া দর্শনের বিষয় নয়।

০৭ ই মে, ২০১৮ ভোর ৬:৪৩

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: তবে, আমি মনে করি সময়ের সাথে সাথে জীবনের যেমন পার্থক্য হয়, তেমনি জীবন দর্শনেরও পার্থক্য হয়। এটা একান্ত আমার ব্যক্তিগত ভাবনা। এজন্য হয়তো আপনার সাথে না মিলতে পারে।

তবে কমেন্ট করার জন্য ধন্যবাদ, স্যার।

৭| ০৭ ই মে, ২০১৮ ভোর ৬:৪৬

তালাচাবি বলেছেন:
শুভ সকাল, স্যার। এক কাপ গরম কফির শুভেচ্ছা। জ্যাক মা আলীবাবার প্রতিষ্ঠাতা, ব্যাস এটুকুই জানতাম। কিন্তু আপনার ফিচারটি পড়ে আমি বিষ্মিত হয়েছি। উনার লেখাপড়া, চাকরি না পাওয়ার ইতিহাস, বন্ধুদের রিজেক্ট করার কথাগুলো শুনে অবাক হয়ে গেলাম। ত্রিশটি ইন্টারভিউ দিয়েছেন, কিন্তু কোন চাকরি জোটেনি! ভাবা যায়?

এগুলোতে তিনি দমে যান নাই নতুন উদ্যমে শুরু করেছেন। উনার ই-কমার্স ফর্মুলাটা আমার কাছে চমৎকার মনে হয়েছে। আগামী দিনগুলোতে তিনি ই-কমার্সের একজন শ্রেষ্ঠ বিশ্লেষক হবেন। চারবারে ম্যাট্রিক পাশ করা একজন মানুষ পরবর্তী বিশ বছরে সম্পূর্ণ নিজের প্রচেষ্টায় পৃথিবীর অন্যতম বড় ব্যবসায়ী, টাইকুন, বিলিওনিয়ার! ভাবা যায়!!

সময় করে ইউটিউবে উনার স্পীচগুলো শুনবো। স্যার, আপনি অনেক পরিশ্রম করে লেখেন। এজন্য ধন্যবাদ আপনাকে। আপনি নতুন হলেও এ ব্লগের নিউক্লিয়াস এখন। শুভ কামনা আপনার জন্য। ভাল থাকবেন।

০৭ ই মে, ২০১৮ সকাল ৭:০০

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: আপনাকেও সকালের চায়ের আমন্ত্রণ। আপনার চমৎকার কমেন্ট পড়ে অনুপ্রাণিত হয়েছি। আমি চাই নতুন প্রজন্ম 'জ্যাক মা' সম্বন্ধে জানুক, উনার আইডিয়াগুলো নিয়ে কাজ করুক। এতে তরুণ প্রজন্ম উপকৃত হবে।

আর হ্যা, লেখাগুলো অনেক সময় নিয়ে ভাবনা চিন্তা করে লিখি যাতে লেখার মান ভাল হয়, তথ্যগুলো সঠিক হয় এবং বিশ্লেষণগুলো ধারালো হয়। এজন্য গতানুগতিক কিছু আমি লেখি না। মানুষ যদি আমার লেখা পড়ে সামান্যতম উপকৃত হয় তবেই আমার পরিশ্রম স্বার্থক।

শুভ কামনা আপনার জন্য।

৮| ০৭ ই মে, ২০১৮ সকাল ৭:৫০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: উনার কথা হালকা জানা ছিল। আপনার মাধ্যমে বিস্তারিত জেনে ভাল লাগছে।

সত্যিই অনুস্মরনীয় ব্যক্তিত্ব!

স্যালুট টু জ্যাক-মা

আপনাকে অনেক ধণ্যবাদ শেয়ার করায়

++++++

০৭ ই মে, ২০১৮ সকাল ৭:৫৮

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: শুভ সকাল, ভাই। আপনি চমৎকার কবিতা লেখেন। কিন্তু কবিতা পাঠক হিসাবে আমি খুবই খারাপ। বেশিরভাগ কবিতার ভাব বুঝি না। তবে আপনার কবিতাগুলো পড়ি, সত্যি ভাল লাগে। আপনি গুণী মানুষ মাঝে মাঝে ব্লগে আসলে অনুপ্রাণিত হব।

অনেক ভাল লাগা ও শুভ কামনা আপনার জন্য।

৯| ০৭ ই মে, ২০১৮ সকাল ৭:৫৬

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: আপনার পোস্ট মানুষের জন্য প্রেরণা হয়ে থাক। ভালো কিছু করার। পোস্টে+++

০৭ ই মে, ২০১৮ সকাল ৮:০০

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: শ্রদ্ধেয় সেলিম আনোয়ার, সত্যি অনেক খুশি হলাম। সাথে অনুপ্রেরণা। আপনার সুস্বাস্থ্য ও সুন্দর জীবন কামনা করছি।

১০| ০৭ ই মে, ২০১৮ সকাল ৭:৫৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভ সকাক, কাওসার ভাই। অন্যান্য দিনের মত আজও আপনার পোষ্ট চমৎকার হয়েছে। সত্যিই তো ডিজিটালাইজেশনের যুগে আর পথে ঘাটে কেন? ব্যবস্থাও এভাবে হওয়াটা কাম্য। তবে উনি যেভাবে প্রথম জীবন থেকে টার্ন অফ করলেন, তা অনুকরণীয় বললে কম বলা হয়। উনি যুগের পাইওনিয়ার, ওনাকে স্যালুট । আর ওনাকে পরিচয় করানোর নেপথ্যে যিনি আছেন, জানাই অনন্ত কৃতজ্ঞতা।

অনেক অনেক ভাল লাগা আপনাকে।

০৭ ই মে, ২০১৮ সকাল ৮:০৫

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: "এগুলোতে তিনি দমে যান নাই নতুন উদ্যমে শুরু করেছেন। উনার ই-কমার্স ফর্মুলাটা আমার কাছে চমৎকার মনে হয়েছে। আগামী দিনগুলোতে তিনি ই-কমার্সের একজন শ্রেষ্ঠ বিশ্লেষক হবেন। চারবারে ম্যাট্রিক পাশ করা একজন মানুষ পরবর্তী বিশ বছরে সম্পূর্ণ নিজের প্রচেষ্টায় পৃথিবীর অন্যতম বড় ব্যবসায়ী, টাইকুন, বিলিওনিয়ার! ভাবা যায়!!

........ তালাচাবি নামক এক ব্লগার সুন্দর এ কমেন্ট করেছেন। আপনার জন্য আমি এই কমেন্ট দিলাম। কমেন্টটি আমার খুব ভাল লেগেছে।
.......... দিনটি ভাল কাটুক, এই প্রত্যাশা রইলো।..............

১১| ০৭ ই মে, ২০১৮ সকাল ৮:১০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হ্যাঁ, ভাই আমি দেখেছি তালাচাবি ভায়ের কমেন্টটি। খুব ভালো মন্তব্য করেছেন। সঙ্গে চা যোগের ব্যবস্থা । আমাকেও চা পাঠিয়েছেন।

অনেক শুভ কামনা আপনার সঙ্গে তালাচাবি ভাইকেও।

০৭ ই মে, ২০১৮ সকাল ৮:১৪

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: আপনাকেও চা দিয়েছেন! দেখলাম দুইদিন হয়েছে ব্লগে এসেছেন। কোন পোস্ট নেই। হয়তো লেখতে নয়, পাঠক হিসাবে সামুতে সাইন ইন করেছেন। শুভ কামনা উনার জন্য।

১২| ০৭ ই মে, ২০১৮ সকাল ৮:৫০

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: শুভ সকাল কাউসার ভাই,জ্যাক মা সম্পর্কে অল্পবিস্তর জানা ছিল আপনার থেকে বিস্তারিত জানতে পারলাম। পাশাপাশি এঞ্জেলিনা জোলির কথাগুলো খুবই অনুপ্রেরণা দায়ক। আসলেইতো সুযোগের অভাবে কত প্রতিভা অঙ্কুরেই বিনষ্ট হয়ে যাচ্ছে তাদের খবর কে রাখে। পোষ্ট বরাবরের মতই সুন্দর। +++

০৭ ই মে, ২০১৮ সকাল ৯:০৮

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: শুভ সকাল, তারেক ভাই। হ্যা, এঞ্জোলিনা জোলির কথাগুলো সত্যি অনেক প্রেরণাদায়ক ও চরম সত্যি। আর জ্যাক মা-র প্রতিটি বক্তব্য আমি শুনি। খুব ভাল লাগে। চায়নিজ হলেও চমৎকার ইংরেজি বলতে পারেন।

আপনার দিনটি ভালো কাটুক, এই কামনা রইলো।

১৩| ০৭ ই মে, ২০১৮ সকাল ৯:১০

রাজীব নুর বলেছেন: সলেই মানব জীবনের আসল উদ্দ্যশ হইওয়া উচিত- মানবের কল্যানের জন্য কিছু করা। তবেই জীবনের সার্থকতা খুঁজে পাওয়া যায়।

তবে সাফল্য সবাই পায় না। যারা পায় তারা ভাগ্যবান।

০৭ ই মে, ২০১৮ সকাল ৯:১৫

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: "সাফল্য সবাই পায় না। যারা পায় তারা ভাগ্যবান।"

শুভ সকাল রাজীব ভাই, আমি আপনার এ কথাটির সাথে একমত। সফল হওয়ার পেছনে, সুযোগ সুবিধা, মেধা ও পরিশ্রমের পাশাপাশি ভাগ্যের ছোয়া থাকতে হয়।

১৪| ০৭ ই মে, ২০১৮ সকাল ৯:৫২

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: কাওসার ভাই,আপনার ফিচার লেখার স্টাইলটা আমার খুব ভাল লাগে।পড়তে গিয়ে কখনও বিরক্তি আসেনা।কি সাবলীল ভাবে বলে যান যত সব কথা!
এভাবেই আমাদের কে আরও ভাল ভাল লেখা উপহার দিবেন এটাই আশা করছি।
আর হ্যা প্রয়োজন ছাড়া লেখায় বেশি ছবি ব্যবহার আমার কাছে ভাল লাগেনা।উপরে একটা ছবিই দিতে পারতেন।

০৭ ই মে, ২০১৮ সকাল ১০:০৮

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ, সোহেল ভাই। আপনার আশীর্বাদ আমার ভাল লেখার অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে। আর ফিচারগুলো বড় হয় বিধায় ভেতরে ছবিগুলো দেই যাতে পাঠকরা একটু দম নিয়ে পড়তে পারেন। না হলে হয়তো পড়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলতে পারেন।

দিনটা শুভ হোক, এই কামনা করি।

১৫| ০৭ ই মে, ২০১৮ সকাল ১০:২২

তারেক ফাহিম বলেছেন: আবারও সুন্দর লেখা উপহারের জন্য ধন্যবাদ।

পড়তে ক্লন্তি আসে না।

০৭ ই মে, ২০১৮ সকাল ১০:৩১

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: ফাহিম ভাই, শুভ সকাল। আমার লেখাগুলো একটু বড় হয়। তারপরও মনযোগ দিয়ে পড়েন এজন্য কৃতজ্ঞ।

১৬| ০৭ ই মে, ২০১৮ সকাল ১০:৩৯

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: জ্যাক মা-এর ব্যবসায়িক সাফল্য আলাদিনের যাদুর চেরাগের মতো। তবে তা' কখনোই কোন ম্যানিপুলেশনের দ্বারা অর্জিত নয়, বরং ক্লান্তিহীন শ্রম ও অধ্যাবসায়ের দ্বারা অর্জিত। আমি এই ভদ্রলোককে সম্মান করি।

ধন্যবাদ ভাই কাওসার চৌধুরী।

০৭ ই মে, ২০১৮ সকাল ১১:০১

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:


"তবে তা' কখনোই কোন ম্যানিপুলেশনের দ্বারা অর্জিত নয়, বরং ক্লান্তিহীন শ্রম ও অধ্যাবসায়ের দ্বারা অর্জিত। আমি এই ভদ্রলোককে সম্মান করি।"
একদম আমার মনের কথাগুলো বলেছেন, স্যার। লেখাটি পড়ে কমেন্ট করার জন্য কৃতজ্ঞ।

১৭| ০৭ ই মে, ২০১৮ সকাল ১০:৪৮

কানিজ রিনা বলেছেন: আপনার লেখাগুল এত সময় উপযোগী
অসাধারন লেখাগুল মন্তব্য করতে এই ছোট
বুদ্ধিতে কিছু আসেনা। তবুও পড়ি এততারা
তারি ব্লগ আলোকিত লেখাগুলর জন্য
শুভকামনা।
আসলে সততা বিশ্বাসে এগিয়ে থাকা মানুষ
জয়ী হয়ই হয়। প্রকৃতির নিয়মে কিছু উৎকৃষ্ট
মানুষ জম্ম প্রকৃতির ভারসাম্যতা রক্ষার
জন্য। যদিও পৃথিবী ব্যাপী নিকৃষ্ট জনম কম
নয়। তথাপি উৎকৃষ্ট মানুষ আছে বলেই আজও
পৃথিবী সুন্দর।
অসংখ্য জ্যাক মা জম্ম হোক ধৈর্য ক্ষমতা
সম্পন্নতা দিয়ে পৃথিবী আলোকিত করুক
এই কামনা, আপনার অসম্ভব সুন্দর পোষ্ট
গুলর জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।

০৭ ই মে, ২০১৮ সকাল ১১:১৫

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: শুভ সকাল। ব্লগে আজ বারো দিন হলো সেইফ হয়েছি। লেখালেখির অভ্যাসটা আগে থেকে থাকলেও উচ্চশিক্ষার জন্য বেশ কয়েক বছর লন্ডনে থাকায় বাংলা পড়া ও লেখার চর্চাটা হয়নি। এজন্য নতুন করে লেখালেখি শুরু করাটা অনেক কঠিন ছিল। লেখতে গেলেই বানান ভুল হতো, উপযুক্ত শব্দ খুঁজে পেতাম না, বাক্য গঠনে অনেক সমস্যা হতো। এগুলো ঠিকঠাক করতে বেশ কয়েক মাস পরিশ্রম করেছি। তারপরও অনেক লেখায় অনিচ্ছাকৃত ভাবে ইংরেজি শব্দ চলে আসে। তবে এগুলো ওভারকাম করার নিরন্তর প্রচেষ্টা প্রতিনিয়ত করছি।

আর ছোট বেলা থেকেই আমি প্রতিটি কাজ খুব গোছিয়ে করতাম। এই অভ্যাসটা লেখালেখিতেও আছে। কোন বিষয়ে লেখার আগে অনেক সময় নেই, ভাবি ও নোট করি। লেখার পর অন্তত এক সপ্তাহ এগুলো সংযোজন, বিয়োজন করি। তারপর ফাইনাল করি।

আমার জন্য আশীর্বাদ করবেন। আপনার সাথে পরিচিত হতে পেরে ভাল লাগলো। অনেক শুভ কামনা আপনার জন্য।

১৮| ০৭ ই মে, ২০১৮ সকাল ১১:২৪

জুন বলেছেন: অত্যন্ত উৎসাহমুলক একটি লেখা যারা বিজনেস করতে আগ্রহী তাদের জন্য তো বটেই আমাদের ও কাছেও আকর্ষনীয় বিষয়। কি করে সাধারন একজন এত সফল হন । এক্ষেত্রে আমাদের দেশের আজাদ প্রোডাক্টের মালিক জনাব আজাদের কথা উল্লেখ্য। বায়তুল মোকাররমের ফুটপাথে ভিউকার্ড বিক্রি করে আজ এ অবস্থায় এসেছেন ।
আলীবাবার জ্যাক মা সম্পর্কে সেদিন ব্যংকক পোষ্টে পড়লাম কিছুদিন আগে থাইল্যান্ড এসেছিলেন থাই সরকারের সাথে তিন বিলিয়ন ইয়ুয়ানের খাদ্যদ্রব্য চুক্তি করতে। সে সময় দুই সেকেন্ডে দুই লাখ কেজির আশি হাজার দুরিয়ান ফল অনলাইনে থাইল্যান্ড থেকে চায়নায় ক্রেতাদের কাছে বিক্রী করেছেন । থাই রাজা ভুমিবলের নীতি সাফিসিয়েন্সী ইকোনমির ধারা অব্যাহত থাকায় সেখানে প্রচুর খাদ্যদ্রব্য উৎপাদিত হয়ে থাকে
কিন্ত বর্তমানে আর্মি শাসনে বিভিন্ন দেশের এমবার্গো থাকায় থাইদের উৎপাদিত উন্নতানের প্রচুর খাদ্যদ্রব্য নষ্ট হতো । এখন জ্যাক মার ই কমার্সের কল্যানে দুটি দেশই উপকৃত হবে।
ভালোলাগা রইলো এন্জেলিনা জোলির কথাগুলো উল্লেখ করার জন্য । হাইয়েষ্ট পেইড অভিনেত্রী হয়েও এমন মানব দরদী খুব কমই দেখা যায়।
অনেক ভালোলাগা রইলো লেখায় কাউসার চৌধুরী। ফোনে লেখা মন্তব্য ভুল থাকতে পারে হয়তো :)
+

০৭ ই মে, ২০১৮ সকাল ১১:৩৪

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: শুভ অপরাহ্ণ!! আপনার লেখা পড়ে ধারণা করছি আপনি থাইল্যন্ড প্রবাসী। ভুল হলে ক্ষমা করবেন। আপনি আজাদ প্রডাক্টসের আজাদ সাহেব সম্বন্ধে যা বলেছেন তা আমিও পত্রিকা মারফত জানি। আর জ্যাক মা সম্বন্ধে আরো নতুন কিছু তথ্য পেলাম, জানার পরিধিটা বাড়লো।

আপনার লেখায় ভুল থাকবে কেন? আপনি কষ্ট করে পড়ে এতো সুন্দর একটা কমেন্ট করেছেন। আর আমি ভুল ধরবো? নাহ, এতো খারাপ হইনি এখনো। আপনার জন্য অনেক ভাল লাগা ও শুভ কামনা রইলো।

১৯| ০৭ ই মে, ২০১৮ সকাল ১১:৪৯

জুন বলেছেন: না কাউসার আহমেদ আমি সত্যিকার অর্থে থাইল্যান্ড প্রবাসী নই। তবে যখন মনে হয় যাই , যতদিন ভালোলাগে থাকি। সেটা দুমাস থেকে ছ সাত মাস হতে পারে। সবই নির্ভর করে আমার ভালোলাগার উপর :) যখনই দেশের কথা মনে হয় দৌড়ে চলে আসি। বলতে পারেন একজন ট্রান্জিট নাগরিক ;)

০৭ ই মে, ২০১৮ রাত ৮:২৫

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: সরি, মনে কিছু নেবেন না। আপনি যে ভ্রমণ পিপাসু তা বুঝতে পেরেছি। আসলে যাদের সামর্থ্য আছে তাদের বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করা উচিৎ। এতে নতুন নতুন দেশে, মানুষ, কালচার ও মানুষের সম্পর্ক জোরদার হয়। এতে জানার পরিধি বাড়ে, অভিজ্ঞতা বাড়ে। আপনার জন্য অনেক শুভ কামনা রইল।

মাঝে মাঝে সময় সুযোগে ব্লগে আসলে খুশি হব। অনেক শুভ কামনা আপনার জন্য।

২০| ০৭ ই মে, ২০১৮ সকাল ১১:৫০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আপনার প্রবাস জীবনের (লন্ডন) কিছু স্মৃতিচারণ লিখুন। আমরা কিছু শিখতে পারবো। অনেকদিন পরে বাংলা ভাষার চর্চা করলেও আপনার লেখার হাত ভালো। তেমন কোন বিচ্যুতি আমার চোখে পড়েনি। দীর্ঘদিন ধরে বাংলায় লেখালেখি করছেন, এমন অনেকের লেখায় আপনার চেয়ে অনেক বেশি ত্রুটি বিচ্যুতি চোখে পড়ে।

ধন্যবাদ ভাই কাওসার চৌধুরী।

০৭ ই মে, ২০১৮ রাত ৮:৩০

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: উত্তর দিতে দেরী হয়ে গেল। এজন্য দুঃখিত। হ্যা, আমি ধীরে ধীরে লেখব ইংল্যান্ডের স্মৃতি নিয়ে। আমার জন্য আশীর্বাদ করবেন, যাতে লেখার মান আরো বাড়াতে পারি।

ইংলেন্ডে বাংলাদেশি রাজনীতি নিয়ে একটি লেখা আছে। লেখাটি নিচে লিঙ্কে দেব। আপনার জন্য অনেক শুভ কামনা স্যার।

০৭ ই মে, ২০১৮ রাত ৮:৩১

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: Click This Link

২১| ০৭ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১:১১

অনন্য দায়িত্বশীল আমি বলেছেন: জ্যাক মা একটি উদ্দিপনার নাম।

০৭ ই মে, ২০১৮ রাত ৮:৩২

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: হ্যা, সত্যি একটি উদ্দীপনার না। তরুণ উদ্যোক্তাদের আইডল।

২২| ০৭ ই মে, ২০১৮ দুপুর ২:০৬

শামচুল হক বলেছেন: এই লোকের মত আমাদের দেশেও কিছু লোক আছে যারা জিরো থেকে হিরো হয়েছে। তারা হলো আজাদ প্রডাক্টের মালিক, কারিকর বিড়ির মালিক, আজিজ বিড়ির মালিক, কেয়া কসমেটিকসের মালিক। এরা এখন হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক অথচ তারা একসময় খুবই আর্থিক অনটনে দিন কাটাতো।

০৭ ই মে, ২০১৮ রাত ৮:৩৫

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: শামচুল ভাই, শুভেচ্ছা নেবেন। হ্যা, ঠিক বলেছেন। তবে কেয়া কসমেটিক্সের মালিক সম্বন্ধে জানতাম না।

২৩| ০৭ ই মে, ২০১৮ দুপুর ২:০৯

মনিরা সুলতানা বলেছেন: সুযোগ থাকার পরও তুমি যদি নিজের জীবনকে পরোপকারে বিলিয়ে দিতে না পার তাহলে এ জীবনের কোন মূল্য নেই"।
এই কথাগুলো আমাকে বেশ তাড়িত করে সব সময়।
চমৎকার উদ্দীপনা মূলক লেখা ভাইয়া!!!
আপনার লেখা গুলো সামুর সম্পদ হচ্ছে।
আমি জ্যাক মা নিয়ে অতটা আজই জানলাম; ধন্যবাদ :)

০৭ ই মে, ২০১৮ রাত ৮:৩৯

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: "সুযোগ থাকার পরও তুমি যদি নিজের জীবনকে পরোপকারে বিলিয়ে দিতে না পার তাহলে এ জীবনের কোন মূল্য নেই"।
সত্যি এ কথাটি আমাকে খুব অনুপ্রাণিত করেছে। কথাটির মর্মার্থ অনেক গভীর, শেখার অনেক কিছু আছে।
উত্তর দিতে দেরী হওয়ার জন্য দুঃখিত। আপনি এ ব্লগের অনেক সম্মানী একজন লেখক। আপনার লেখা আমি নিয়মিত পড়ি। অনেক শুভ কামনা আপনার জন্য।

২৪| ০৭ ই মে, ২০১৮ দুপুর ২:২৯

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: চমৎকার মোটিভেশনাল আর্টিকেল।

অ্যাঞ্জেলিনা জোলি আমার প্রিয় অভিনেত্রীদের একজন। তাঁর ভালো কথাগুলো শুনে ভালো লাগছে।

০৭ ই মে, ২০১৮ রাত ৮:৪১

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: শুভেচ্ছা নেবেন। আপনি গুরুজন। লেখাটি পড়েছেন বলে খুশি হয়েছি। অনেক শুভ কামনা আপনার জন্য।

২৫| ০৭ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৩:০৬

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: পৃথিবীতে যারা সফল হতে চায়, ও পরিশ্রমী তাদের উজ্জ্বল আদর্শ জ্যাক মা। +++
সুন্দর পোষ্ট

০৭ ই মে, ২০১৮ রাত ৮:৪৩

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ, ভাই @ প্রান্তর পাতা। তোমার জন্য অনেক ভালবাসা ও শুভ কামনা।

২৬| ০৭ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৪

সনেট কবি বলেছেন: জ্যাক মা ও জলির কথা জেনে মুগ্ধ হয়েছি। সাফল্যের অনুপ্রেরণার জন্য এরা যথেষ্ট রকমের আদর্শ। আগে ডঃ এম এ আলী এমন পোষ্ট লিখতেন। যাক তিনি বিরতি দিলেও আপনার মাধ্যমে তাঁর ঘাটতি পূরণ হচ্ছে।

০৭ ই মে, ২০১৮ রাত ৮:৪৫

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ, স্যার। আশীর্বাদ করবেন যাতে নিয়মিত লেখতে পারি। আপনারা আমার গুরুজন। আপনাদের প্রেরণা আমাকে ভাল লেখতে অনুপ্রাণিত করবে।

২৭| ০৭ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৪:০৩

কাছের-মানুষ বলেছেন: তার জীবন কাহিনী শুনেছিলাম তার এক ভিডিওতে, সত্যিই প্ররিশ্রমি ব্যাক্তি তিনি।

আপনার তথ্যসমৃদ্ধ পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ।

০৭ ই মে, ২০১৮ রাত ৮:৪৬

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ। আশীর্বাদ করবেন। আপনার জন্য অনেক শুভ কামনা।

২৮| ০৭ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৪:১৯

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন:
শুভ সকাল রাজীব ভাই, আমি আপনার এ কথাটির সাথে একমত। সফল হওয়ার পেছনে, সুযোগ সুবিধা, মেধা ও পরিশ্রমের পাশাপাশি ভাগ্যের ছোয়া থাকতে হয়।

অনেক ধন্যবাদ।

০৭ ই মে, ২০১৮ রাত ৮:৪৮

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: হা হা হা,
রাজীব ভাই। চমৎকার কমেন্ট!!!
ভাল লাগলো। আপনার জন্য অনেক শুভ কামনা।

২৯| ০৭ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:১৩

বিদেশে কামলা খাটি বলেছেন: তবে কিছু সুযোগ থাকা দরকার। আমরা নিজের দেশে কাজ না পেয়ে পরদেশে কামলা দিচ্ছি। আমরা তো জীবনে সামান্যতম সুযোগও পাইনি।

০৭ ই মে, ২০১৮ রাত ৮:৫০

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: একমত আপনার সাথে, সুযোগ পাওয়াটা একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। বিদেশের দিনগুলো সুন্দর হোক এই কামনা করি।

৩০| ০৭ ই মে, ২০১৮ রাত ৮:৩৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: কাওসার চৌধুরী ,




আপনার অন্য সব পোস্ট এর মতোই অনুপ্রেরণামূলক ।

হায়; এ্যাঞ্জেলিনার মতো যদি আমাদের নেতারাও ভাবতে পারতেন !

০৭ ই মে, ২০১৮ রাত ৮:৫২

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: আপনি আমার লেখা পড়েন, এতেই আমি ভীষণ অনুপ্রেরণা পাই। আপনি আমার অগ্রজ। আপনাদের স্নেহ ও আশীর্বাদ আমাকে অনুপ্রাণিত করে। অনেক শুভ কামনা আপনার জন্য।

৩১| ০৭ ই মে, ২০১৮ রাত ১০:২৮

শামচুল হক বলেছেন: কেয়া কসমেটিকসের মালিক একসময় ট্রাকের ড্রাইভার ছিলেন। উনিও খুব স্বল্প পুঁজি থেকে উঠে এসেছেন।

০৭ ই মে, ২০১৮ রাত ১০:৩০

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: বাহ, চমৎকার। শুনে ভাল লাগলো।

৩২| ০৭ ই মে, ২০১৮ রাত ১০:৪০

ইমরান আশফাক বলেছেন: চীনারা আরব্য রজনীর আলিবাবা আর চল্লিশ চোরের কাহিনী পড়ে বলে যে আলিবাবা তো একটা চোর। কারন সে ডাকাতদের গুহা থেকে ধনরত্ন চুরি করে নিয়ে আসে। এইজন্য কোন চীনাকে আলিবাবা বললে সে ক্ষেপে উঠে।

কিন্তু তারা খুবই বাস্তববাদী ও ব্যবসায়ীক মনোভাবসম্পন্ন জাতী। তারা দেখলো যে আলিবাবা নামটি পৃথিবীর অধীকাংশ মানুষই জানে। সুতরং এই নামটি রাখলে কোম্পানীর পরিচিতিটা খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়বে। কিন্তু অন্য নাম রাখলে সেটির পরিচিতির জন্যে অনেক শ্রম, অর্থ ও সময় নষ্ট হবে। এই জন্য রাখো নাম আলিবাবা। জয় বাবা আলিবাবা।

০৭ ই মে, ২০১৮ রাত ১০:৪৬

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: "কিন্তু তারা খুবই বাস্তববাদী ও ব্যবসায়ীক মনোভাবসম্পন্ন জাতী। তারা দেখলো যে আলিবাবা নামটি পৃথিবীর অধীকাংশ মানুষই জানে। সুতরং এই নামটি রাখলে কোম্পানীর পরিচিতিটা খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়বে। কিন্তু অন্য নাম রাখলে সেটির পরিচিতির জন্যে অনেক শ্রম, অর্থ ও সময় নষ্ট হবে। এই জন্য রাখো নাম আলিবাবা। জয় বাবা আলিবাবা।"
........... ইমরান ভাই, কথাটি একদম ঠিক। জ্যাক মা এজন্য নামটি রেখেছেন।

৩৩| ০৭ ই মে, ২০১৮ রাত ১১:১৪

যুক্তি না নিলে যুক্তি দাও বলেছেন: জ্যাক মা সম্পর্কে বহুত জানলাম , ব্যবসা যারা করবে তাদের জন্য বহুত ফায়দা বয়ে আনবে আপনার এই পোস্ট। অনেক ধন্যবাদ জানবেন।

০৭ ই মে, ২০১৮ রাত ১১:৪৭

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: লেখাটি পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ। শুভ কামনা আপনার জন্য।

৩৪| ০৭ ই মে, ২০১৮ রাত ১১:১৪

মাআইপা বলেছেন: প্রতিটা লেখার ক্ষেত্রে আপনার ভূমিকাটা হয় অসাধারণ।
বেশকিছু দিন আগে জেনেছি জ্যাক মা সম্পর্কে। আজ আরো জানা হলো।

শুভ কামনা রইল

০৭ ই মে, ২০১৮ রাত ১১:৪৯

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: হ্যা, ভূমিকাটা আমার একটু ব্যতিক্রমী হয়। এভাবেই লেখতে পছন্দ করি। আমি জানি না এভাবে কেউ লেখেন কি না।
ভাল থাকবেন। শুভ কামনা আপনার জন্য।

৩৫| ০৮ ই মে, ২০১৮ রাত ১২:১৮

মিথী_মারজান বলেছেন: বাহ্!
খুব ভালো লাগলো।
যথেষ্ট মোটিভেশনাল পোস্ট।
অনেকেই উপকৃত হবে।
আপনার প্রতিটা পোস্টের জন্য আপনার ধৈর্য, আন্তরিকতা ও পরিশ্রম আমাকে সত্যিই মুগ্ধ করে।:)

০৮ ই মে, ২০১৮ রাত ১:০৪

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: "আপনার প্রতিটা পোস্টের জন্য আপনার ধৈর্য, আন্তরিকতা ও পরিশ্রম আমাকে সত্যিই মুগ্ধ করে।:)

আপনার এ কথাটি কিন্তু মটিভেশনাল। একজন অতি সাধারন মানুষের জন্য তা অনেক অনুপ্রেরণা ও ভাল লাগার। আপনি খুব ভাল লেখেন। বলতে পারেন, আপনার লেখার বড় একজন ফ্যান আমি। অনেক শুভ কামনা আপনার জন্য।

৩৬| ০৮ ই মে, ২০১৮ রাত ১০:২৩

সোহানী বলেছেন: একটা সাক্ষাতকার দেখেছিলাম একবার, দারুন স্মার্ট আনসার করে। জাস্টিন ট্রুডোর চীন সাক্ষাতকার নিয়েছিল সে..........

০৮ ই মে, ২০১৮ রাত ১১:৫৬

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: ইয়েস, ভেরি স্মার্ট গাই। আই লাইক হিজ পার্সোনালিট, অলসো টেলেন্ট এন্ড প্রেজেন্টেশন। হি ইজ 'ই-কমার্স' টাইকুন ফর নাও এন্ড কামিং ইয়ার্স।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.