নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জন্মসূত্রে মানব গোত্রভূক্ত; এজন্য প্রতিনিয়ত \'মানুষ\' হওয়ার প্রচেষ্টা। \'কাকতাড়ুয়ার ভাস্কর্য\', \'বায়স্কোপ\', \'পুতুলনাচ\' এবং অনুবাদ গল্পের \'নেকলেস\' বইয়ের কারিগর।

কাওসার চৌধুরী

প্রবন্ধ ও ফিচার লেখতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। পাশাপাশি গল্প, অনুবাদ, কবিতা ও রম্য লেখি। আমি আশাবাদী মানুষ।

কাওসার চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ডাক্তার - ইংল্যান্ড ও বাংলাদেশের আলোকে (ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা)

০৯ ই মে, ২০১৮ রাত ২:৫০


ঘটনাটি কয়েক বছর আগের। তখন কলেজে পড়ি। একদিন ফুটবল খেলতে গিয়ে পড়ে গিয়ে বাম কানে প্রচন্ড আঘাত পেয়েছিলাম। পর্দা ফেটে গিয়েছিল। তখন ভাল ডাক্তার অর্থাৎ প্রাইভেট ডাক্তারের কাছে যাওয়ার আর্থিক সামর্থ্য ছিল না, তাই বাধ্য হয়ে সিলেট সরকারী ওসমানী মেডিকেলে চার টাকার বিনিময়ে টোকেন নিয়ে ভেতরে গেলাম। দেখলাম আমার মত হতভাগ্য অনেক লোক লাইন ধরে দাঁড়িয়ে আছেন। কিন্তু ডাক্তার মশাই এত ব্যস্ত যে, রোগী দেখার সময় পাচ্ছেন না। এদিকে আমার কানে প্রচন্ড ব্যথা করছে। কষ্ট করে একটু উকি ঝুঁকি দিতেই দেখি ভেতরে ডাক্তার মহাদেব ঔষধ কোম্পানীর দু'জন রিপ্রেজেন্টেটিভ নিয়ে মহা ব্যস্ত। ঘন্টা দেড়েক পর উনার দয়া হল। একে একে রোগীরা ভেতরে যাওয়া শুরু করলেন।

আমার যখন ডাক আসলো ভয়ে ভয়ে ভেতরে ঢুঁকলাম। না জানি ডাক্তার কী বলে? আমার সমস্যা বিস্তারিত শুনে পরীক্ষা করে জিজ্ঞেস করলেন, " তুমি কী পড়াশুনা করো? উত্তরে হ্যাঁ বলতেই একটা ভিলেন মার্কা হাসি দিয়ে বল্লেন, পড়ালেখা করে কী করবা, তুমি তো চাকরি পাবা না; এমনকি কেউ তোমাকে বউও দেবে না! তোমার কানের পর্দা আর ভাল হবে না। শুনে ভয়ে ও অপমানে চোখে পানি এসে গেল।

একজন ডাক্তার রুগীকে এভাবে তিরস্কার করতে পারে? অপমান করতে পারে? আমার অপরাধটা কী ছিল, তা আজও জানি না। হয়ত বিকেল বেলা উনার প্রাইভেট চেম্বারে গেলে অনেক ভাল কথা বলতেন, অভয় দিতেন। কোন ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য পাঠাতেন। সময় মতো অপারেশনও করতেন!!

ভয়ে অপমানে পরে আর কোন ডাক্তারের কাছে যাইনি। বাম কান দিয়ে কিছুই শুনতাম না। যখন এই ডাক্তারের চেহারা চোখের সামনে ভাসতো খুব ভয় লাগত, এখনো ভয় পাই। কয়েক বছর পর লন্ডনে যখন যাই তখন জিপিতে ভর্তি হই। জিপি (GP) হলো ইংল্যান্ডের স্থানীয় ডাক্তাখানা। প্রতিটি এলাকায় মাুনষের আনুপাতিক হারে একটি করে 'জিপি' আছে। বাধ্যতামূলকভাবে সবাইকে জিপিতে ভর্তি হতে হয়। এটা সম্পূর্ণ ফ্রী। সরকার দ্বারা পরিচালিত এনএইচএস (National Health Service) ইউকে-তে সকল স্বাস্থ্য সেবা দিয়ে থাকে। অসুখ-বিসুখ হলে প্রথমে এখানে আসতে হয়। জিপিতে সব রোগীর আলাদা আলাদা ফাইল থাকে। প্রয়োজন মনে করলে ডাক্তাররা বড় হাসপাতালে রোগীকে পাঠিয়ে দেন।

একদিন মনে মনে ভাবলাম, এখানে তো ডাক্তার দেখাতে পয়সা লাগে না। ডাক্তাররাও খুব ভদ্র ও ফ্রেন্ডলি। অনেক ভাবনার পর একদিন এপোয়েন্টমেন্ট নিয়ে জিপিতে গেলাম। ডাক্তার কান পরীক্ষা করে টেনশনে পড়ে গেলেন; সাথে সাথে একজন ইএনটি সার্জনের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বল্লেন। উভয় ডাক্তার মিলে সিদ্বান্ত নিলেন আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ টেস্ট করতে হাসপাতালে যেতে হবে। জিপি আমাকে বল্লেন, হাসপাতাল থেকে আমার ঠিকানায় চিঠি আসবে সার্জনের সাথে এপোয়েন্টমেন্টের জন্য। চিটিতে সময় ও তারিখ জানিয়ে দেওয়া হবে। আরো বল্লেন, এর মধ্য কানে কোন অসুবিধা দেখা দিলে অবশ্যই যেন উনাকে অবগত করি। জিপিতে যাই।


চিটি পাওয়ার পর উল্লেখিত তারিখ ও সময়ে হাসপাতালে হাজির হই। রিসিপসনিস্ট আমার চিটি এন্ট্রি করে সার্জনের কাছে পাঠিয়ে দিলেন। সার্জন আমার কথা মনযোগ দিয়ে শুনলেন এবং কিছু রিপোর্টের জন্য অন্য একটি কক্ষে চেকাপের জন্য পাঠালেন। কক্ষটি খুব পরিপাটি ও বিভিন্ন চিকিৎসা সরঞ্জামে পূর্ণ। একজন ভদ্র মহিলা প্রায় চল্লিশ মিনিট ধরে পরীক্ষা নিরীক্ষা করলেন। তিনি এত যত্ন সহকারে কাজটি করলেন মনে হল আমার চিকিৎসা করাটাই উনার আজকের একমাত্র কাজ। আজো শ্রদ্ধা ভরে স্বরণ করি এই ভদ্র মহিলাকে। যত দিন বাঁচবো এই কৃতজ্ঞতাবোধ থাকবে। পরে জেনেছি তিনিও ডাক্তার।

রিপোর্ট পেয়ে সার্জন ভয় পেয়ে গেলেন। বল্লেন, বাম কানে কোন পর্দা অবশিষ্ট নেই। এতদিন কেন ডাক্তার দেখালাম না? আমি লজ্জায় দেশের অভিজ্ঞতার কথা বলতে পারিনি। তিনি বল্লেন, আপনার জন্য দু'টি পথ খোলা আছে। প্রথমটি অপারেশন, আর অন্যটি কানে মেশিন লাগানো। তবে অপারেশন করলে সফলতার হার ২০% এর বেশি নয়। অনেক ভেবে চিন্তে অপারেশনের সিদ্ধান্তের কথা জানালাম। সার্জন কিছু দিক নির্দেশনা দিয়ে বল্লেন অপারেশনের তারিখ চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হবে।

অপারেশনের দিন একা একা হাসপাতালে গেলাম। কিছুক্ষণ পর যিনি অপারেশন করবেন সেই সার্জন আমার ফাইল নিয়ে এসে আবার কানের কিছু পরীক্ষা করলেন এবং বল্লেন, আজ আমি আপনার কানের অপারেশন করবো। কোন চিন্তা করবেন না। এটা খুব সহজ একটা অপারেশন। অল্প সময়ে আমার কান ভাল হয়ে যাবে এই অভয়ও দিলেন।

যথা সময়ে অপারেশন শেষ হল। আসলে এটা ছিল খুব বড় ও ব্যয়বহুল অপারেশন। যা পরে জানতে পেরেছি। আমার টাকা পয়সা লাগবে না বলে টেনশনটা কম ছিল। এক ঘন্টা আমাকে রেস্টরুমে রেখে নার্স প্রয়োজনীয় ঔষধ ও ডাক্তারের নির্দেশনা বুঝিয়ে দিলেন। আমি একা যেতে পারব কি না তাও জানতে চাইলেন। সার্জনের সাথে আবার কোনদিন দেখা করতে হবে তা জানিয়ে দিলেন। তবে কোন প্রেসক্রিপশন দিলেন না, বাড়তি কোন ঔষধও না।

ঠিক দুই সপ্তাহ পরে তারিখ মতো গেলাম আগের সেই সার্জনের কাছে। যে ভদ্র মহিলা (ডাক্তার) আগে চেকআপ করেছিলেন তিনি আবারো একই চেকআপ করে সার্জনের নিকট রপোর্ট জমা দিলেন। সার্জন রিপোর্ট পেয়ে মহা খুশি। বল্লেন, অপারেশন শতভাগ সফল। আমার বাম কানের অবস্থা ডান কানের সমান। খুশিতে ও শ্রদ্ধায় চোখে পানি চলে এল। মনে হলে সার্জনকে জড়িয়ে ধরি, কৃতজ্ঞতা জানাই। যথা সম্ভব আবেগ নিয়ন্ত্রণ করে উনাকে ধন্যবাদ জানালাম। তিনি প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দিলেন। আসার সময় বল্লেন, বেস্ট অব লাক।

যে দেশে জন্ম নিলাম, দেশের হাওয়া বাতাসে বড় হলাম, প্রতিনিয়ত যে দেশের দিন পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখি, যে দেশটাকে মায়ের মত ভালবাসি সে দেশের ডাক্তার আমার সাথে এমন আচরণ করলেন কেন? তিনি তো সরকারী মেডিকেলে পড়াশুনা করে গরীব মানুষের টাকায় ডাক্তার হয়েছেন। সরকার থেকে বড় অংকের বেতন পান, সরকারী বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা নেন, অবসর নিলে মোটা অংকের পেনশনও পাবেন। পাশাপাশি প্রাইভেট প্রেকটিসও করেন। হাপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এদের অনেকের মালিকানা আছে। নিজেরা বাড়ি-গাড়ি ও অঢেল টাকা-পয়সার মালিক। তারপরও কোথায় যেন একটা ঘাটতি আছে এদের আচরণে, মানসিকতায়।


Newham University Hospital, London. (এখানেই আমার কানের অপারেশন হয়)।

শুনা যায়, এদের অধিকাংশই বিভিন্ন ঔষধ কোম্পানী ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে বড় অংকের কমিশন খায়। তারপরও দায়িত্বের প্রতি এত অবহলা কেন? যাদের ট্যাক্সের পয়সায় ডাক্তার হলো তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতাবোধ নেই কেন? টাকার প্রতি এত লোভ কেন? নেশা কেন? বুঝতে পারি না। হয়তো লোভ আর অবৈধ অর্থ বিত্ত মনুষ্যত্ব নষ্ট করে দেয়। মানুষকে বিবেকহীন ও বেপরোয়া করে তোলে।

অপরদিকে আমি ভিনদেশী হওয়ার পরও কত মমতা দিয়ে ইংল্যান্ডের ডাক্তাররা আমার চিকিৎসা করলেন। এতে সরকারের অনেক টাকা খরছ হলো আমার চিকিৎসায়। ইংল্যান্ডের ডাক্তারদের আয় তো আমাদের বড় বড় ডাক্তারদের চেয়ে অনেক কম। তারা প্রাইভেট প্রেকটিস করেন না। কোন হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার খোলার অনুমতি ও তাদের নেই। তারপরও নির্দিষ্ট বেতনের উপর তাদের আস্থা আছে, দায়বদ্ধতা আছে, ডাক্তার হিসাবে নীতির মাপকাঠি আছে।

তারা নিজেদের জনগণের সেবক ভাবেন, প্রভু নয়। এমন নিবেদিতপ্রাণ মানুষদের দেখলে সম্মান করতে মন চায়। আমাদের দেশটা এমন কেন? মানুষের মধ্যে এতো লোভ কেন? অতি লোভী মন আর মানুষকে মানুষ হিসাবে সম্মান না দেওয়াটাই কী এজন্য দায়ী? না আমাদের ত্রুটিপূর্ণ সামাজিক কাঠামো? জানি না।

ইউকে-তে যদি প্রমাণ হয় ডাক্তারের খামখেয়ালি ও ভুল চিকিৎসায় রোগী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, কিংবা মারা গেছেন তাহলে ডাক্তারকে বড় অঙ্কের জরিমানা করা হয়। পাশাপাশি চাকরি থেকে বরখাস্ত হন তিনি। ডাক্তারী লাইসেন্স বাজেয়াপ্ত করা হয়। আর অন্যান্য চাকরির মতো একটা নির্দিষ্ট বয়স হলে অবসর নিতে হয়। যতই অভিজ্ঞতা থাক কোন কাজে আসবে না। কোন প্রাইভেট প্রেকটিসেরও সুযোগ নেই।

আসলে পার্থক্যটা হলো মানসিকতার। আমাদের দেশের বাবা-মা সন্তানদের ডাক্তার বানায় টাকা কামানোর নেশায়। সন্তানটিও পড়ালেখা শেষ করে পারিপার্শ্বিক অবস্থা আর বাবা মায়ের চাওয়ার প্রতিদান দিতে সত্যিকারের ডাক্তার হতে পারে না, হয় একজন লাইসেন্সধারী কসাই। কসাইদের তো ইথিক্স থাকতে নেই। কারণ, তাদের পশুর প্রতি প্রেম থাকলে আমরা মাংস খাওয়া থেকে বঞ্চিত হতাম। আর ইংল্যান্ডে এরা ডাক্তারী পড়ে মানব সেবার অভিপ্রায়ে; পাশাপাশি শেখে ডাক্তারদের দায়বদ্ধতা আর পেশার প্রতি একাগ্রতা। এজন্য পাশ করে তারা ডাক্তার হয়, কসাই নয়।

এত কিছুর পরও আশায় বুক বাঁধি একদিন আমরা সবাই দেশের প্রতি এবং নিজের দায়িত্বের প্রতি যত্নবান হবো। মানুষকে তার সম্পদ ও প্রভাব প্রতিপত্তির জন্য নয়, তার মানবিক গুণের জন্য সম্মান দেব। লোভ লালসার উর্ধ্বে উঠে কাজ করবো। হয়তো সে দিনটি আমি দেখে যেতে পারবো না, তারপরও আশাবাদী হই। আর আশা না করে যে উপায়ও নেই। কারণ দেশটাতো আমাদের, সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা আর দেশপ্রেম দেশটাকে এগিয়ে নিয়ে যাবে আরো উন্নত, সহনশীল, দারিদ্র্যমুক্ত একটা সুখি ও সমৃদ্ধ দেশের পথে।।



ফটো ক্রেডিট,
গুগল।

মন্তব্য ১৩৩ টি রেটিং +৩৩/-০

মন্তব্য (১৩৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই মে, ২০১৮ রাত ৩:০৯

রিফাত হোসেন বলেছেন: +

০৯ ই মে, ২০১৮ রাত ৩:১৪

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: রিফাত ভাই। আমার মতো আপনিও দেখি শেষ রাতের পাখি।

২| ০৯ ই মে, ২০১৮ রাত ৩:০৯

রিফাত হোসেন বলেছেন: এতও কিছুর পরেও আশায় বুক বাধিঁ...

০৯ ই মে, ২০১৮ রাত ৩:১৩

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: হাসালেন...............
জানি এ জন্মে হবে না। তারপরও মনকে শান্তনা দেই।

৩| ০৯ ই মে, ২০১৮ রাত ৩:৩০

চাঁদগাজী বলেছেন:


ইংল্যান্ড বনাম বাংলাদেশ: ওরা আমাদেরকে ২০০ বছর কলোনিয়েল সিষ্টেমে ( রাজতন্ত্র থেকে ভালো) শাসন করেছে; আমাদের দেশের সব ব্যারিষ্টার ওখান থেকে পড়ালেখা করে আসে, একাংশ বিচারক হয়ে খারাপ বিচার করে; ওখান থেকে পিএইচডি করে এসে খারাপ পড়ায়!

০৯ ই মে, ২০১৮ রাত ৩:৪৫

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: "আমাদের দেশের সব ব্যারিষ্টার ওখান থেকে পড়ালেখা করে আসে, একাংশ বিচারক হয়ে খারাপ বিচার করে; ওখান থেকে পিএইচডি করে এসে খারাপ পড়ায়!"
......... একদম হক কথা। আসলে সমস্যা মনে হয় আমাদের রক্তে। আমরা বিভিন্ন দেশ থেকে ডাক্তারি, ব্যারিস্টারি ও পিএইচডি করেও তাদের মতো হতে পারিনা।

৪| ০৯ ই মে, ২০১৮ রাত ৩:৩১

প্রামানিক বলেছেন: বাংলাদেশে আমার এরকম অনেক অভিজ্ঞতা আছে কিন্তু করার কিছুই নাই, বিচার দেয়ার জায়গা নাই। কার কাছে যাবো-- নিচ থেকে উপর পর্যন্ত সবই দুর্নীতিবাজ। কোনদিন যদি আল্লাহর তরফ থেকে গজবের ঠাঠা পড়ে তখন হয়তো দেশটা ভালো হবে তার আগে নয়।

০৯ ই মে, ২০১৮ রাত ৩:৪৭

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: আসলে কাকে বলবেন? বিচার দেওয়ার জায়গা নেই। অভিযোগ করলে তো মহা বেয়াদবী হবে। এতো বড় বড় মালদার কসাইরা এতে গোস্সা হয়। তাই মনের খেয়ালে লেখে কিছুটা শান্তি পাওয়ার চেষ্টা করি।

৫| ০৯ ই মে, ২০১৮ রাত ৩:৩৫

সোহাগ তানভীর সাকিব বলেছেন: আমাদের দেশে ডাক্তারী এখন আর মানবসেবা নয়, ব্যবসা।

০৯ ই মে, ২০১৮ রাত ৩:৪২

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: ব্যবসা হলে তো তেমন সমস্যা ছিল না। এরা হলো হারামী, এক কথায় অকৃতজ্ঞ। পাবলিকের পকেটের টাকায় ডাক্তার হয়ে পাবলিকের গলা কাটে। এরা সাক্ষাৎ লাইসেন্সধারী কসাই।

৬| ০৯ ই মে, ২০১৮ রাত ৩:৪১

শহীদ আম্মার বলেছেন: শুকরিয়া যে আপনি কান ফেরত পেয়েছেন। যদি কানে মেশিন লাগানে লাগতো তাহলে বড় ফ্যাসাদে পড়তেন। কারণ আপনার চশমার ডান্ডা দুইটা কানের জায়গা-জমি যেভাবে জবর দখল করে বসে আছে তাতে কানে মেশিন বসানোর কোন সুযোগেই নেই।

আর ডাক্তার মশাইয়ের ঐ সামান্য টিটকারী আপনার এত খারাপ লেগেছে! কিন্তু উনি যে কোন চিকিৎসা না করে আপনার কত বড় উপকার করেছে সেটা আপনি জানেন? উনি চিকিৎসা করলে হয়তো আপনার আম ও যেত চালা ও যেত । তখন বিলাতী ডাক্তারের বাপের ও সাধ্য নেই আপনার এই ড্যামেজড কান ভাল করবে। কারণ বাংলাদেশের অধিকাংশ ডাক্তারের বিদ্যার দৌড় ঐ সিলেবাসী সংজ্ঞা আর ব্যাখ্যার মধ্যেই সীমাবদ্ধ। প্র্যাকটিক্যালী এদের রোগ নির্ণয় এবং মেডিসিন প্রয়োগের যোগ্যতা একট বাচ্চা ছেলের বাথরুম আর বিছানার পার্থক্যজ্ঞানের সমপর্যায়ের।

০৯ ই মে, ২০১৮ রাত ৩:৫০

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: "কিন্তু উনি যে কোন চিকিৎসা না করে আপনার কত বড় উপকার করেছে সেটা আপনি জানেন? উনি চিকিৎসা করলে হয়তো আপনার আম ও যেত চালা ও যেত । তখন বিলাতী ডাক্তারের বাপের ও সাধ্য নেই আপনার এই ড্যামেজড কান ভাল করবে। কারণ বাংলাদেশের অধিকাংশ ডাক্তারের বিদ্যার দৌড় ঐ সিলেবাসী সংজ্ঞা আর ব্যাখ্যার মধ্যেই সীমাবদ্ধ। প্র্যাকটিক্যালী এদের রোগ নির্ণয় এবং মেডিসিন প্রয়োগের যোগ্যতা একট বাচ্চা ছেলের বাথরুম আর বিছানার পার্থক্যজ্ঞানের সমপর্যায়ের।"......

শহীদ ভাই চমৎকার একটি কথা বলেছেন। বিশ্বাস করেন, কথাটি আমারও মনে হয়েছে। চিকিৎসা করালে হয়তো চিরদিনের মতো ড্যামেজ করে দিত।

৭| ০৯ ই মে, ২০১৮ ভোর ৫:২৮

যুক্তি না নিলে যুক্তি দাও বলেছেন: আসলে ওরা ডাক্তার হয় মানুষ হয়না।

০৯ ই মে, ২০১৮ ভোর ৬:৩২

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: ঠিক বলেছেন।

৮| ০৯ ই মে, ২০১৮ ভোর ৬:১৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভ সকাল কাওসার ভাই। আশাকরি আপনি ভাল আছেন। কানের অবস্থা শুনে কষ্ট পেলাম, পাশাপাশি ভালো লাগলো যে শেষ পর্যন্ত সব ঠিক হয়ে গেছে। আর ডাক্তারদের অবক্ষয়ের যে চিত্র তুলে ধরলেন সে আর বলার নয়। আমাদের রাজ্যেও ঠিক একই ভাবে চিকিৎসা পরিসেবা চলে। যে কারনে দিনে হাজার হাজার রোগী চেন্নাইতে যায়। করমন্ডল এক্সপ্রেসের নামই হয়ে গেছে অ্যাম্বুলেন্স এক্সপ্রেস । একই পরীক্ষায় পাস করে শুধু ব্যবহার গুনে চেন্নাই এখন গোটা ভারতের চিকিৎসার প্রানকেন্দ্রতে পরিনত হয়েছে।

অনেক ভাল লাগা প্রিয় কাওসার ভাইকে।

০৯ ই মে, ২০১৮ ভোর ৬:৩১

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: শুভ সকাল, পদাতিক চৌধুরী ভাই। তবে আমাদের ঢাকার চেয়ে কলকাতার অবস্থা ভাল। আর চেন্নাইতে মনে হয় কলকাতার চেয়ে ঢাকার রোগী বেশি। ঢাকায় বিশাল বড় বড় প্রাইভেট হাপসতাল আছে। এদের সাইজ যেমন বড়, পেটও তেমন মোটা। এটা কসাই ব্যবসা। বাংলাদেশে শিক্ষা আর চিকিৎসা ব্যবসা সবচেয়ে লাভজনক।

এরা আইসিইউতে মরা রেগীকে দিনের পর দিন বাঁচিয়ে রাখে টাকার জন্য। আর মহিলাদের নরমাল ডেলিভারী এদেশে নেই। সিজার করতেই হয়!!

যতসব কসাইয়ের গোষ্ঠী।

৯| ০৯ ই মে, ২০১৮ সকাল ৮:৩৩

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: দারুণ লিখছেন কাওসার ভাই
আমার প্রথম বেবির সময় ঢাকার একজন নামকরা গাইনি প্রফেসরের কাছে যাই। তার আগে একজন জুনিয়র ডাক্তারের কাছে নিয়মিত চেকআপ করাতাম, সেই জুনিয়র ডাক্তার আমাকে বলেছিলেন নরমাল ডেলিভারি সম্ভব। কিন্তু যখন সেই সিনিয়র ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলাম উনি একদিনও দেরি করলেন না সাথে সাথেই সিজার করলেন।

০৯ ই মে, ২০১৮ সকাল ১১:৪১

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: তারেক ভাই, এটাই বাস্তবতা। এজন্য আমি এদেরকে লাইসেন্সধারী কসাই বলি। একজন ডাক্তারের ইথিক্স না থাকলে সে ডাক্তার নামধারী হয়, প্রকৃত ডাক্তার নয়।

১০| ০৯ ই মে, ২০১৮ সকাল ৮:৩৪

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: আমার এখনো এতোটা অভিজ্ঞতা হয়নি, তবে ভালো খারাপ দুই ধরনের ডাক্তারই আমাদের দেশে আছে।

০৯ ই মে, ২০১৮ সকাল ১১:৩৮

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: হ্যা, ভাল ডাক্তার যে নেই তা কিন্তু না। তবে তা সংখ্যায় এতো অল্প যে, খালি চোখে দেখা যায় না।

১১| ০৯ ই মে, ২০১৮ সকাল ৮:৩৫

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আপনার অ‌ভিজ্ঞতা প‌ড়ে ম‌নে হ‌লো কেঁ‌দে ফেলব। আমরা কত বড় অভাগা। কত বড় খারাপ কপাল নিয়ে জ‌ন্মে‌ছি। আমা‌দের কোন একটা দিক নাই যেটা নি‌য়ে সুখী হ‌তে পা‌রি। জন্ম যখন নিলাম তো এই পচা প‌রি‌বে‌শের দে‌শে কেন? বি‌দে‌শের ডাক্তার‌দের ব্যবহার শু‌নে আফ‌সোস করা ছাড়া উপায় নাই। বিধাতার কা‌ছে বিচার চাওয়া ছাড়া আর কিছু করার নেই।

০৯ ই মে, ২০১৮ সকাল ১১:৩৬

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: সাজ্জাদ ভাই, আপনি লেখাটি পড়ে কষ্ট পেয়েছেন জেনে খারাপ লাগছে। আপনার কথাই ঠিক। "জন্ম যখন নিলাম তো এই পচা প‌রি‌বে‌শের দে‌শে কেন?" এই কথাটি আমার আপনার মতো লক্ষ-কোটি মানুষের আর্তনাদ।

১২| ০৯ ই মে, ২০১৮ সকাল ৮:৫২

সোহানী বলেছেন: এখন বলেন দেশের কোন এরিয়ায় হাত দিবেন !!!!!!!!! আমরা এখন চরম অবস্থার মধ্যে আছি, এর থেকে পরিত্রানের জন্য বিধাতা যদি কাউকে পাঠান.......... এই প্রত্যাশায় দিন গুনি।

০৯ ই মে, ২০১৮ সকাল ১১:৩৩

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: কী করবো, বলুন? চোখ বুজে থাকতে পারি না, তাই লেখি। লেখাটি যাদের চোখে পড়ার কথা তারা হয়তো এগুলো পড়বে না। তারপরও মনের সান্তনার জন্য লেখছি। একটু হলেও দেশের যদি কোন উপকার হয়, এই সামান্যটুকু চাওয়া।

১৩| ০৯ ই মে, ২০১৮ সকাল ৯:১০

নতুন নকিব বলেছেন:



আমার সমস্যা বিস্তারিত শুনে পরীক্ষা করে জিজ্ঞেস করলেন, " তুমি কী পড়াশুনা করো? উত্তরে হ্যাঁ বলতেই একটা ভিলেন মার্কা হাসি দিয়ে বল্লেন, পড়ালেখা করে কী করবা, তুমি তো চাকরি পাবা না; এমনকি কেউ তোমাকে বউও দেবে না! তোমার কানের পর্দা আর ভাল হবে না। শুনে ভয়ে ও অপমানে চোখে পানি এসে গেল।

- ফন্দিটা আপনার বেলায় হয়তো সফল হয়নি। অনেকে ফাঁদে পড়ে যান। না পড়ে উপায়ও থাকে না। কারন, সুস্থ হওয়ার তাগিদে, বাঁচার আশায় মানুষকে ডাক্তারের কথা মানতেই হয়। প্রথম সাক্ষাতেই এই ধরনের ধমক-ধামকে রোগীর মানসিক যন্ত্রনা, ভয় এবং অস্থিরতাটা চরমে উঠিয়ে দেয়ার চেষ্টা। অত:পর সমাধানের পথ দেখিয়ে দেয়ার পদ্ধতি এভাবে-

'আচ্ছা, সর্বনাশ যা করার তা তো করেই ফেলেছেন, তবে ভয় নেই, উপযুক্ত ব্যবস্থা নিলে সব ঠিক হয়ে যাবে। এজন্য আপনাকে আমার প্রাইভেট চেম্বারে যেতে হবে।'

তারপরে শুরু হয় পকেট কাটার আসল কাজটি।

সার্জন রিপোর্ট পেয়ে মহা খুশি। বল্লেন, অপারেশন শতভাগ সফল। আমার বাম কানের অবস্থা ডান কানের সমান। খুশিতে ও শ্রদ্ধায় চোখে পানি চলে এল। মনে হলে সার্জনকে জড়িয়ে ধরি, কৃতজ্ঞতা জানাই। যথা সম্ভব আবেগ নিয়ন্ত্রণ করে উনাকে ধন্যবাদ জানালাম। তিনি প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দিলেন। আসার সময় বল্লেন, বেস্ট অব লাক।

-অনবদ্য। পড়ে আনন্দিত হলাম।

যে দেশে জন্ম নিলাম, দেশের হাওয়া বাতাসে বড় হলাম, প্রতিনিয়ত যে দেশের দিন পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখি, যে দেশটাকে মায়ের মত ভালবাসি সে দেশের ডাক্তার আমার সাথে এমন আচরণ করলেন কেন? তিনি তো সরকারী মেডিকেলে পড়াশুনা করে গরীব মানুষের টাকায় ডাক্তার হয়েছেন। সরকার থেকে বড় অংকের বেতন পান, সরকারী বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা নেন, অবসর নিলে মোটা অংকের পেনশনও পাবেন। পাশাপাশি প্রাইভেট প্রেকটিসও করেন। হাপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এদের অনেকের মালিকানা আছে। নিজেরা বাড়ি-গাড়ি ও অঢেল টাকা-পয়সার মালিক। তারপরও কোথায় যেন একটা ঘাটতি আছে এদের আচরণে, মানসিকতায়।

শুনা যায়, এদের অধিকাংশই বিভিন্ন ঔষধ কোম্পানী ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে বড় অংকের কমিশন খায়। তারপরও দায়িত্বের প্রতি এত অবহলা কেন? যাদের ট্যাক্সের পয়সায় ডাক্তার হলো তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতাবোধ নেই কেন? টাকার প্রতি এত লোভ কেন? নেশা কেন? বুঝতে পারি না। হয়তো লোভ আর অবৈধ অর্থ বিত্ত মনুষ্যত্ব নষ্ট করে দেয়। মানুষকে বিবেকহীন ও বেপরোয়া করে তোলে।


- এই দু:খগুলো আপনার একার নয়। আমাদের সবার। এদেশের প্রতিটি সাধারন মানুষের। জানি না, এই দু:খ বুকে ধারন করে আরও কতকাল আমাদের পথ চলতে হবে!

অনেক সুন্দর একটি পোস্ট পড়লাম। আপনার লেখার হাত মা- শাআল্লাহ চমকপ্রদ। লিখতে থাকুন। অনেক ভাল থাকুন।

০৯ ই মে, ২০১৮ সকাল ১১:২৩

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: নকীব ভাই, এত লম্বা একটা কমেন্ট করেছেন। এজন্য কৃতজ্ঞতা রইল। আসলে তখন চার টাকা দিয়ে ডাক্তার দেখানো ছাড়া কোন উপায় ছিল না। কিন্তু ডাক্তারের কথাগুলো শুনে অসহায় হয়ে গিয়েছিলাম। তখন একটা বাসায় লজিং থাকতাম। বাসায় ফিরে দরজা বন্ধ করে কয়েক ঘন্টা কান্নাকাটি করেছি। এই কান্নার আওয়াজ কেউ শুনেনি।

"আমার সমস্যা বিস্তারিত শুনে পরীক্ষা করে জিজ্ঞেস করলেন, " তুমি কী পড়াশুনা করো? উত্তরে হ্যাঁ বলতেই একটা ভিলেন মার্কা হাসি দিয়ে বল্লেন, পড়ালেখা করে কী করবা, তুমি তো চাকরি পাবা না; এমনকি কেউ তোমাকে বউও দেবে না! তোমার কানের পর্দা আর ভাল হবে না। শুনে ভয়ে ও অপমানে চোখে পানি এসে গেল।"........ কথাগুলো এখনো কানে বাজে।

১৪| ০৯ ই মে, ২০১৮ সকাল ৯:১৬

এলিয়ানা সিম্পসন বলেছেন: GP মানে General Practitioner.

০৯ ই মে, ২০১৮ সকাল ১১:২৮

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: general (medical) practitioners. ঠি বলেছেন। ধন্যবাদ, আপনাকে।

১৫| ০৯ ই মে, ২০১৮ সকাল ৯:৪০

রাজীব নুর বলেছেন: ১। ছোটবেলা আমি খুব ভালো ফুটবল খেলতাম।
২। বাংলাদেশে চিকিৎসার মান খুব খারাপ। সরকারি হাসপাতাল গুলোর ভয়াবহ অবস্থা। কোনো সরকার আজ পর্যন্ত হাসপাতাল থেকে দালাল দূর করতে পারলো না। দামী হাসপাতাল গুলোতে খরচ খুব-খুব বেশি। কোনো অসুক নিয়ে বেসরকারি হাসপাতালে তিন দিন থাকলে এক লাখ টাকার উপরে বিল হয়। যদি তাদের জিজ্ঞেস করেন, আপনার হাসপাতালে চিকিৎসা কেমন- তারা বলবে, আমাদের কেবিনে এসি আছে, টিভি আছে , ফ্রিজ। চিকিৎসার মান কেমন তা আর বলে না।
৩। আপনার মতো আমিও এই দেশটাকে অনেক ভালোবাসি। একদিন সব ঠিক হয়ে যাবে- এই স্বপ্ন নিয়ে এখনও বেঁচে আছি।

০৯ ই মে, ২০১৮ সকাল ১১:১৬

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: "কোনো অসুক নিয়ে বেসরকারি হাসপাতালে তিন দিন থাকলে এক লাখ টাকার উপরে বিল হয়। যদি তাদের জিজ্ঞেস করেন, আপনার হাসপাতালে চিকিৎসা কেমন- তারা বলবে, আমাদের কেবিনে এসি আছে, টিভি আছে , ফ্রিজ। চিকিৎসার মান কেমন তা আর বলে না।"
.......... বাহ!!! এসি আছে, টিভি আছে, ফ্রিজ আছে!!!! আহেন ভাই আহেন একটু পরে আর সিট পাবেন নন!!! এগুলো হাসপাতাল নাকি ঢাকার ছাল বাকল হীন বাস? হাসপাতালে চিকিৎসা কী হবে তা মুখ্য নয়, আসল কথা চাকচিক্য। আমরা আসলে জিম্মি হয়ে গেছি কিছু সিন্ডকেটের কাছে। এ থেকে বেরিয়ে আসার কোন সুযোগ নেই।

রাজীব ভাই অনেক ভাল লাগা ও শুভ কামনা আপনার জন্য।

১৬| ০৯ ই মে, ২০১৮ সকাল ৯:৪৫

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: কাওসার ভাই বরাবরের মতই সুন্দর আরেকটি লেখনি।
আমিতো কোন ডাক্তারের কাছে যেতে খুবই ভয় পায়।ডাক্তারের কাছে যাওয়ার খারাপ একটা অভিজ্ঞতা আমারও আছে।
এ দেশের বেশির ভাগ ডাক্তারই ভাল মনের মানুষ নন।সবাই অর্থের পেছনেই ছুটছেন।
আর বিনা সার্টিফিকেট বা ভুয়া সার্টিফিকেটের ডাক্তার কত আছে তা একমাত্র আল্লাহই ভাল জানেন।এসব ব্যাপারে সরকারের যেন কোন দায়বদ্ধতায় দেখি না।মানুষ সেবার নামে যারা ভন্ডামি করে তাদের সর্বচ্চ শাস্তি মৃত্যু দন্ড করা উচিত।

০৯ ই মে, ২০১৮ সকাল ১১:০৯

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: "আমিতো কোন ডাক্তারের কাছে যেতে খুবই ভয় পায়।ডাক্তারের কাছে যাওয়ার খারাপ একটা অভিজ্ঞতা আমারও আছে।"..........
সোহেল ভাই আমার মনের কথাটি বলেছেন। এখনো আমার ভয়টা কাটেনি। এদেশের কোন ডাক্তারের প্রতি আমার কোন আস্থা নেই। ভুল চিকিৎসার পাশাপাশি এরা এমন কিছু কথা শুনাবে যাতে বাকি জিন্দেগী আধমরা হয়ে কাঁটাতে হয়। আপনার জন্য আশীর্বাদ করি যাতে কোন অসুখ না হয়।

১৭| ০৯ ই মে, ২০১৮ সকাল ৯:৫৩

করুণাধারা বলেছেন: অসুখ বিসুখে আল্লাহ ভরসা করা ছাড়া আমাদের আর কোন উপায় নেই। আমি ঢাকা মেডিকেল কলেজের একজন অধ্যাপকের কাছে গিয়েছিলাম। তিনি এক কানে মোবাইল কাধ দিয়ে চেপে ধরে কারো কথা শুনছিলেন, আরেক কান দিয়ে আমার কথা শুনছিলেন ,একহাত দিয়ে ড্রয়ারে কিছু খুজছিলেন, আরেক হাত দিয়ে আমার প্রেসক্রিপশন লিখছিলেন। ফলাফল সহজেই অনুমেয়।

ভালো লাগলো আপনার অভিজ্ঞতা।

০৯ ই মে, ২০১৮ সকাল ১১:০৪

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: শুভেচ্ছা নেবেন। আপনার অভিজ্ঞতাও আমার চেয়ে কম নয়। একজন অধ্যাপক এভাবে রোগী দেখেন!!! এগুলো চরম অপমানজনক একজন রোগীর জন্য। হতাশার। কমেন্ট করে নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।

১৮| ০৯ ই মে, ২০১৮ সকাল ১১:১০

মোগল সম্রাট বলেছেন: আমাদের ডাক্তাররা আমাদের খদ্দের হিসাবে দেখে, আমাদের গিনিপিগ মনেকরে।রোগী এদের কাছে মূখ্য নয়। গরিব মানুষদের চিকিৎসা দেবার জন্য তারা গ্রামে যেতে চান না। বেশি লাভের আশায় শহরে থাকেন। কে কত টাকা উপার্জন করতে পারবেন শর্ট টাইমে সেই প্রতিযোগিতাতে বর্তমানের ডাক্তাররা মেতে উঠেছেন। দিনকে দিন ডাক্তারদের চেহারা রাক্ষসদের মতো হয়ে যাচ্ছে।

০৯ ই মে, ২০১৮ সকাল ১১:৪৮

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: "আমাদের ডাক্তাররা আমাদের খদ্দের হিসাবে দেখে, আমাদের গিনিপিগ মনেকরে।"....... একদম ঠিক বলেছেন। আমরা তাদের কাছে পেশেন্ট নয়, কাস্টমার। এখন সময় এসেছে, আমাদের দেশের ডাক্তারী পেশাকে, সেবাখাত না বলে বহুজাতিক লাভজনক কোম্পানি হিসাবে ঘোষণা করা। পাশাপাশি উকিল ও শিক্ষকদের পেশাকেও।

........... কমেন্ট করার জন্য ধন্যবাদ, আপনাকে। ভাল থাকবেন, সব সময়।

১৯| ০৯ ই মে, ২০১৮ সকাল ১১:১৬

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমাদের দেশের ডাক্তার রা আসলে রোগীদেরকে পন্য মনে করে, মানুষ না। এটা হলো তাদের টাকা কামানোর একটা মাধ্যম, মানব সেবা নয়। আল্পকিছু ব্যতিক্রম অবশ্যই আছে, তবে তা ব্যতিক্রম-ই। বাকী অবস্থা ভয়াবহ। এদের আরেকটা স্বভাব দেখেছি, তা হলো, এরা সবাইকে অশিক্ষিত মনে করে, আর নিজেদের উচ্চ-শিক্ষিত! ছাগলগুলা নিজেরাও জানে না, তারা আসলে কি! X((

০৯ ই মে, ২০১৮ সকাল ১১:৫৩

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: "আল্পকিছু ব্যতিক্রম অবশ্যই আছে, তবে তা ব্যতিক্রম-ই। বাকী অবস্থা ভয়াবহ। এদের আরেকটা স্বভাব দেখেছি, তা হলো, এরা সবাইকে অশিক্ষিত মনে করে, আর নিজেদের উচ্চ-শিক্ষিত! ছাগলগুলা নিজেরাও জানে না, তারা আসলে কি! X((
............ মফিজ ভাই, সঠিক মূল্যায়ন করেছেন। ব্যতিক্রম, ব্যতিক্রম-ই। আর এরা নিজেদের একটা বনেদী কিসিমের একটা জাতি ভাবে। রোগিদের (কাস্টমার) এরা মূর্খ ও ছাগল ভাবে বলেই দিন দুপুরে গলা কাটে। এরা ডাকাতের চেয়েও হিংস্র।

২০| ০৯ ই মে, ২০১৮ সকাল ১১:২৮

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:

সব পেশার লোকের ক্ষিদে আছে কিন্তু ডাক্তারদের ক্ষিদে একটু বেশি....

মনবতার সেবা নয়... ওদের লক্ষ্য যখন ব্যবসা ।


বাংলাদেশী বেশির ভাগ ডাক্তাররা ব্যবসায়ী..... X(

০৯ ই মে, ২০১৮ সকাল ১১:৫৫

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: আসলে পার্থক্যটা হলো মানসিকতার। আমাদের দেশের বাবা-মা সন্তানদের ডাক্তার বানায় টাকা কামানোর নেশায়। সন্তানটিও পড়ালেখা শেষ করে পারিপার্শ্বিক অবস্থা আর বাবা মায়ের চাওয়ার প্রতিদান দিতে সত্যিকারের ডাক্তার হতে পারে না, হয় একজন লাইসেন্সধারী কসাই। কসাইদের তো ইথিক্স থাকতে নেই। কারণ, তাদের পশুর প্রতি প্রেম থাকলে আমরা মাংস খাওয়া থেকে বঞ্চিত হতাম। আর ইংল্যান্ডে এরা ডাক্তারী পড়ে মানব সেবার অভিপ্রায়ে; পাশাপাশি শেখে ডাক্তারদের দায়বদ্ধতা আর পেশার প্রতি একাগ্রতা। এজন্য পাশ করে তারা ডাক্তার হয়, কসাই নয়।

২১| ০৯ ই মে, ২০১৮ সকাল ১১:৩৫

জাতির বোঝা বলেছেন: বাংলাদেশে ভালো সেবা পাওয়া যায় এমন একটি উদারণ তুলে ধরতে পারলে আমি তাকে নোবেল পুরস্কার দেব। কোন কিছুই ভালো পাবেন না। সবাই খারাপ। সব কিছু পচে গেছে। জাতির সামনে কি যে ভয়াবহ সময় অপেক্ষা করছে বিধাতা জানেন।

০৯ ই মে, ২০১৮ সকাল ১১:৫৭

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: ঠিক বলেছেন, ভাই। দেশের মানুষ চরম অসহায়, না পারছে কিছু বলতে না পারছে দেশত্যাগী হতে।

২২| ০৯ ই মে, ২০১৮ সকাল ১১:৪৫

টারজান০০০০৭ বলেছেন: এক নিকটাত্মীয়ের মুখ বাঁকা হইয়া গিয়াছিল ! বড় বড় বিশেষজ্ঞদের দ্বারস্থ হওয়ার পরে কেহ বলিলেন ফেসিয়াল পালসি, কেহ বলিলেন স্ট্রোক ! ৬ মাস চিকিৎসার পরে একজন জুনিয়র কনসালটেন্ট ধরিতে পারিলেন তাহার টন্সিল গ্ল্যান্ডে টিউমার হইয়া ক্যান্সার হইয়া গিয়াছে ! এক নামকরা হাসপাতালের ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ কহিলেন, 'আপনাদের দোষ নহে, ইহা ডাক্তারদেরই দোষ ! একজন ডাক্তারের চাহিদা মিটিয়ে চিকিৎসা নিশ্চিত করিতে হইলে তাহার ভিজিট হওয়া উচিত ৫০০০ টাকা ! তাহা হইলে তিনি দীর্ঘ সময় নিয়া ডায়াগনোসিস করিবেন !'

আমি তাহাতেও রাজি। তবুও সঠিক ডায়াগনোসিস হউক, চিকিৎসা হউক। বাহিরের দেশে স্বাস্থ্যবীমা থাকার কারণে ডাক্তারের যেমন টাকার চিন্তা করিতে হয় না, পর্যাপ্ত ডাক্তার থাকার কারণে রোগীরও হয়রানি হয় না। ভালো ডাক্তারের কাছে বা সরকারি হাসপাতালে এই পরিমান ভিড় হয় যে ডাক্তার বেচারার নিজের মেজাজ ঠিক রাখিয়া দক্ষতার সাথে ডায়াগনোসিস করা , চিকিৎসা করা খুব কঠিন। ভালো মন্দ দুই অভিজ্ঞতাই আছে। ডাক্তার নেতা, রোগীর স্বজনদের মাস্তানি, ডাক্তারের অবহেলা, না বুঝিতে পারিয়া ডাক্তারকে দায়ী করা দুইই আছে। আরো আছে দেশে টাকা খরচ করিতে না চাওয়া, দেশি ঠাকুর ছাড়ি বিদেশী কুকুর ধরার মানসিকতাও ! অযথা টেস্ট দেওয়ার প্রবণতা যেমন আছে, তেমনি আছে প্রয়োজনীয় টেস্ট দিলেও ডাক্তারকে দায়ী করার মানসিকতা, অথচ পাশের দেশে ইন্ডিয়াতে গেলেও এর তিনগুন টেস্ট ধরাইয়া দিবে যতক্ষণ পর্যন্ত না রোগ ধরা পরে। দোষ ডাক্তার-রোগী উভয় সম্প্রদায়েরই আছে।

আমাদের মিডিয়ার অদক্ষতাও কম দায়ী নহে। না বুঝিয়াই পুরো চিকিৎসক সমাজকে অপরাধী বানাইয়া দেওয়ার সিংহভাগ কৃতিত্ব তাঁহাদেরকেই দিতে হইবে ! পুরো চিকিৎসক সমাজের প্রতি খারাপ ধারণা, কটু মন্তব্য ভালো চিকিৎসকদেরও নিরুৎসাহিত করে। ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধি, বেসরকারি হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মাসোহারা খাওয়া, ফ্ল্যাটের ইনস্টলমেন্ট আদায় করা, বিদেশে মৌজ করার পয়সা আদায় করার ডাক্তার যেমন আছে, তেমনি দরিদ্র রোগীদের বিনা পয়সায় চিকিৎসা, ওষুধ দেওয়া এমনকি বাড়ি ফেরার টাকা দেওয়ারও ডাক্তার আছে ভুরি ভুরি ! আমার ধারণা , পর্যাপ্ত সংখ্যক ডাক্তার সরকারি হাসপাতালে নিয়োগ দিলে ডাক্তাররা সময় নিয়ে রোগী দেখিতে পারিবে। একই সাথে সরকারি ডাক্তারদের প্রাইভেট প্র্যাক্টিস বন্ধ করিয়া হাসপাতালেই রোগী দেখার ব্যবস্থা করা উচিত। সরকার স্বাস্থ্য বিষয়ে ট্যাক্স আদায় করিয়া চিকিৎসা বিনামূল্যে করিলে জাতির উন্নয়নে এক বিরাট বিনিয়োগ হইত।

আর ডাক্তার আপনার সাথে যে ব্যবহার করিয়াছে ইহা আমাদের জাতিগত সমস্যা। কাস্টমার রিলেটেড সার্ভিস গুলোতে কাস্টমার কেয়ার, স্ট্রেস মানাজেমেন্ট, প্রফেশনালিজমের বড় অভাব রহিয়াছে, পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণেরও বড় অভাব রহিয়াছে।

দীর্ঘকালের পরাধীনতায় ময়ূরের রং হারাইয়া সেই যে কাক হইয়াছি, নিজস্ব আখলাক, একরাম ভুলিয়া অন্যের অনুকরণ করিয়া ময়ূর হইতে গিয়া না ময়ূর হইয়াছি , না কাক রহিয়াছি ! এই অবস্থা হইতে উত্তরণের জন্য একরামের সিফত, আখলাক অর্জনের বিকল্প নাই !

০৯ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১২:০১

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: "দীর্ঘকালের পরাধীনতায় ময়ূরের রং হারাইয়া সেই যে কাক হইয়াছি, নিজস্ব আখলাক, একরাম ভুলিয়া অন্যের অনুকরণ করিয়া ময়ূর হইতে গিয়া না ময়ূর হইয়াছি , না কাক রহিয়াছি ! এই অবস্থা হইতে উত্তরণের জন্য একরামের সিফত, আখলাক অর্জনের বিকল্প নাই! "..............

চমৎকার শিক্ষনীয় একটা কথা বলেছেন। আপনার আগের কথাগুলোও খুব সুন্দর। দিকনির্দেশনামূলক। এতো সুন্দর একটা কমেন্ট করার জন্য ধন্যবাদ, আপনাকে। আপনার সুস্থতা কামনা করছি।

২৩| ০৯ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৮

কথার ফুলঝুরি! বলেছেন: ডাক্তার দের মূল ধর্ম হওয়া উচিত মানুষের সেবা করা কিন্তু আমাদের দেশে সেটা এখন হয়ে গিয়েছে Business.
ছোট বেলায় যখন জীবনের লক্ষ্য রচনা পড়তাম তখন ডাক্তার আর ইঞ্জিনিয়ার ছাড়া আর কিছু ছিলনা। সবার জীবনের একটাই লক্ষ্য। হাহা!
সন্তান কিছুটা মেধাবী হলেই তাকে ডাক্তার বানাতে হবে অথবা ইঞ্জিনিয়ার। বাবা মা রা যদি তাদের ছেলে মেয়েদের ডাক্তার বানানোর পাশাপাশি একটা ভাল মানুষ বানাতেন তাহলে দৃশ্যপট এমনটা হতনা।

০৯ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১:৩০

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: "ছোট বেলায় যখন জীবনের লক্ষ্য রচনা পড়তাম তখন ডাক্তার আর ইঞ্জিনিয়ার ছাড়া আর কিছু ছিলনা। সবার জীবনের একটাই লক্ষ্য। হাহা!
সন্তান কিছুটা মেধাবী হলেই তাকে ডাক্তার বানাতে হবে অথবা ইঞ্জিনিয়ার। বাবা মা রা যদি তাদের ছেলে মেয়েদের ডাক্তার বানানোর পাশাপাশি একটা ভাল মানুষ বানাতেন তাহলে দৃশ্যপট এমনটা হতনা।"................ বাহ, চমৎকার মূল্যায়ন। হ্যা, পরিবার থেকে মানুষ হওয়ার শিক্ষা দিতে হবে আগে, পরে ডাক্তার.....ইঞ্জিনিয়ার...... ব্যারিস্টার......... মানুষ হওয়ার শিক্ষাটা বড়ই প্রয়োজন এ দেশে।

আসলে পার্থক্যটা হলো মানসিকতার। আমাদের দেশের বাবা-মা সন্তানদের ডাক্তার বানায় টাকা কামানোর নেশায়। সন্তানটিও পড়ালেখা শেষ করে পারিপার্শ্বিক অবস্থা আর বাবা মায়ের চাওয়ার প্রতিদান দিতে সত্যিকারের ডাক্তার হতে পারে না, হয় একজন লাইসেন্সধারী কসাই। কসাইদের তো ইথিক্স থাকতে নেই। কারণ, তাদের পশুর প্রতি প্রেম থাকলে আমরা মাংস খাওয়া থেকে বঞ্চিত হতাম। আর ইংল্যান্ডে এরা ডাক্তারী পড়ে মানব সেবার অভিপ্রায়ে; পাশাপাশি শেখে ডাক্তারদের দায়বদ্ধতা আর পেশার প্রতি একাগ্রতা। এজন্য পাশ করে তারা ডাক্তার হয়, কসাই নয়।

২৪| ০৯ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৮

শাহারিয়ার ইমন বলেছেন: একজন যদি এদেশে ডাক্তার হয় ,সে মনে করে আকাশের চাঁদ ধরে ফেলেছে ।রোগীকে তখন টাকার মেশীন মনে করে

০৯ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১:৩৩

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: ইমন ভাই, ঠিক বলেছেন। এরা ডাক্তার হয়ে মানবিক বোধসম্পন্ন হওয়ার পরিবর্তে আর "এ্যারোগেন্ট" হয়। অমানুষ হয়।

২৫| ০৯ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১২:৪১

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আমাদের ডাক্তারী কোর্সের শেষদিকে একটা মানবিকতার কোর্স বাধ্যতামূলক করার সময় এসেছে।
নইলৈ কসাই উপাধী আরও বিকৃত রুপ লাভ করবে।
অবশ্য সরকারই যেখানে দায়হীন সেখানে কর্মচারী কিভাবে দায়িত্ব বান হবে!!!
যেখানে চামচামী লেজুর বৃত্তির সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠিত সেখানে সেবা দেয়ার মানসিকতার বিকাশ ঘটেনা!

মুগ্ধ পাঠ।

বদল আসকু চেতনায় সর্বস্তরে।

+++

০৯ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১:৩৬

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: "আমাদের ডাক্তারী কোর্সের শেষদিকে একটা মানবিকতার কোর্স বাধ্যতামূলক করার সময় এসেছে। নইলৈ কসাই উপাধী আরও বিকৃত রুপ লাভ করবে।"............
চমৎকার বলেছেন। ডাক্তারী একটি মহান সেবামূলক পেশা। এ পেশায় কসাই হওয়া চলবে না। এজন্য এদেরকে ইন্টার্ণীর পাশাপাশি এ শিক্ষার জন্য আরো একটা বছর কোর্স করাতে হবে।

২৬| ০৯ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১২:৫২

মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: ডাক্তার, পুলিশ ও নেতা জনগণ এদের বেশী অপছন্দ করে।



@" তখন ভাল ডাক্তার অর্থাৎ প্রাইভেট ডাক্তারের কাছে যাওয়ার আর্থিক সামর্থ্য ছিল না।"
--- ♺⚑⚐♺⚑ ⚐♺⚑⚐♺⚑⚐ ♺⚑⚐ ♺⚑⚐♺⚑. ⚐♺⚑⚐ ♺⚑ ⚐ ♺⚑⚐♺⚑⚐/⚑⚐♺⚑⚐♺ ⚑⚐♺⚑⚐.....:P:P

০৯ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১:৪৩

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: শেষ পর্যন্ত নিজাম ভাইকে পাওয়া গেল। ভাল ডাক্তার মানে...... যে ডাক্তারের চেম্বারে রোগী টাসা থাকে, ঔষধ কোম্পানীর দালালরা হুমড়ি খেয়ে পড়ে, জ্বর হলেও অন্তত পাঁচটি মেডিক্যাল টেস্ট দেন, প্রেসক্রিপশনে অনন্তত দশটা কোম্পানির ঔষধ লিখে দেন, ঘন্টায় ৬০ জন রোগী দেখেন.......... তিনিই সেরা কসাই থুক্কু ডাক্তার।

তখন সামর্থ্য ছিল না বলে উনাদের স্বরণাপহ্ন হতে পারিনি।

২৭| ০৯ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৬

মামুনুর রহমান খাঁন বলেছেন: এসএসসি-র প্রশ্নপত্রে একজন খারাপ ডাক্তারের উদাহরণ দেওয়ায় ডাক্তার সমাজ কয়েকদিন চিকিৎসা বন্ধ করে মানববন্ধন করেছিল বছর খানেক আগে। এদের কাছ থেকে আপনি কি করে ভালো ব্যবহার কিংবা চিকিৎসা আশা করবেন?
আমি বছর দশেক আগে হাইপো থাইরয়েডিজমে আক্রান্ত হয়ে ডাক্তারের পা ডাক্তার দেখিয়েও কোন চিকিৎসা পাইনি। চিকিৎসা তো দূরের কথা কেউ রোগটাই ধরতে পারলোনা। কেবল টেস্টের পর টেস্ট করে গেল। টানা দুই বছর কষ্ট ভোগ করার পর আমার এক বন্ধুর আত্মীয় ডাক্তারকে দেখালে তিনি কেবল একটি টেস্টই দিলেন এবং রোগ ধরা পড়ল। যখন ধরা পড়ল তখন রোগটা এক্সট্রিম পর্যায়ে চলে গিয়েছিল। স্বাভাবিক অবস্থায় রক্তে TSH এর পরিমান থাকে ৩.৫ - ৫.০। কিন্তু আমার যখন রোগ ধরা পড়ল তখন রক্তে TSH এর পরিমান ছিল ২০০। আল্লাহর রহমতে আমি সুস্থ্ হয়েছি। পরে জানতে পারলাম ওই ডাক্তার পড়াশোনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রে।
কছিুদিন আগে আরেক ডাক্তারকে আমার রোগের ইতিহাস বললে তিনি বিস্ময় ভরে জিজ্ঞেস করলেন — আপনি বেঁচে আছেন কিভাবে?
ভালো এবং খারাপ সব পেশাতেই আছে। কিন্তু ডাক্তারির মত জীবন-মৃত্যুর ব্যবধান করে দেওয়া পেশা কম আছে। তাই এই পেশায় ভালো মানুষ না হলে একটি জাতির কপালে দুঃখ ছাড়া আর কিছু নেই।

০৯ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১:৪৮

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: "এসএসসি-র প্রশ্নপত্রে একজন খারাপ ডাক্তারের উদাহরণ দেওয়ায় ডাক্তার সমাজ কয়েকদিন চিকিৎসা বন্ধ করে মানববন্ধন করেছিল বছর খানেক আগে। এদের কাছ থেকে আপনি কি করে ভালো ব্যবহার কিংবা চিকিৎসা আশা করবেন?............

মামুন ভাই, বিষয়টি জানা ছিল না। গিনেজ বুক কতৃপক্ষ জানলে তো এদের দৌড়ে এসে মেডেল দিত। যাক আফসুস নেই, নেক্সট টাইম হবে।

আর আপনার পার্সনাল সমস্যাটা শুনে কষ্ট পেলাম। আপনি তো আমার চেয়েও বেশি ভূগছেন। এটা সত্যি হতাশার, অপমানের। আর কবে আমরা মানুষ হবো।

২৮| ০৯ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৭

মামুনুর রহমান খাঁন বলেছেন: ডাক্তারের পর ডাক্তার

০৯ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১:৪৯

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: হ্যা, শুধুই ডাক্তার। নেই কোন নীতিবোধ।

২৯| ০৯ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১:৪৯

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হাঁ, পার্থক্যটা অবশ্যই মানসিকতার। সিভিলাইজড ও আনসিভিলাইজড কালচার থেকে এই ধরণের ইতিবাচক ও নেতিবাচক মানসিকতার উদ্ভব হয়। লন্ডনের ফিঙ্কলে মেমোরিয়াল হসপিটালে আমার ছোটবেলার এক বন্ধু ডাক্তারি করে। সে বিগত ৩৫ বছর যাবত লন্ডনে আছে। তার কাছ থেকে লন্ডনের চিকিৎসা ব্যবস্থা সম্পর্কে অনেক কিছু শুনেছি। মাসে দু'চারবার ওর সাথে কথা হয়। আপনার কথার সাথে ওর কথাবার্তার মিল আছে।

ধন্যবাদ ভাই কাওসার চৌধুরী।

০৯ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১:৫২

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: হ্যা, স্যার। পার্থক্যটা মানসিকতার। পাশাপাশি কঠোর আইনের প্রয়োগ থাকতে হয়।

৩০| ০৯ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১:৫৭

বিষাদ সময় বলেছেন: বাংলাদেশের ডাক্তারদের বিষয়ে কথা বলতে গেলে এক মহকাব্য রচনা করতে হবে, সেটা তো সম্ভব না, তাই দুচারটি কথা বলছি।
প্রথমে আসি আমার বর্তমান অবস্থার কথা দিয়ে। গত ২ বছর যাবত রক্তশুন্যতায় ভুগছি, ৪-৫ জন বড় বড় ডাক্তার দেখিয়ে এবং টেস্টের পর টেস্ট করেও এর কোন সূরাহা হয়নি। একজন ডাক্তার এর সাথে আরেকজন ডাক্তার এর মতের মিল হয় না। একই ডক্তার আগের দিন যা বলেন পরের দিন বলেন সম্পূর্ণ অন্য কথা। তবে এ কথা অস্বীকার করা যাবে না যে এদের অনেকের কাছ থেকে আন্তরিক ব্যবহার পেয়েছি। তবে যেটা বুঝেছি বড় ডাক্তার হলেও এদের প্রায় সবারই দক্ষতা এবং সময়ের বড় অভাব। এখন আর বড় ডাক্তার দেখাই না, আল্লাহ ভরসা বলে স্থানীয় ডাক্তার এর পরমর্শে কোন রকমে দিন পার করছি। যত নিকট জনের কাছে এ বিষয়ে পরামর্শ চেয়েছি সবাই বলেছে দেশে পয়সা নষ্ট না করে দেশের বাইরে যেতে, এখন সে চেষ্টাই করছি।

সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো পরিবহন শ্রমিকদের সংগঠনের পর সবচেয়ে শক্তিশালী সংগঠন হচ্ছে বিএমএ। ডাক্তারদের রুজি রুজগার বা আরাম আয়েসের সামান্য ঘাটতি হবে এমন কোন আইন বা নিয়ম হলে ডাক্তাররা সারা দেশ অচল করে দিবেন। ফলে এ সেক্টরে সহসা উন্নতির কোন আশা দেখতে পাচ্ছি না।

পরিশেষে অসংখ্য ধন্যবাদ এমন একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করার জন্য।

০৯ ই মে, ২০১৮ দুপুর ২:০৮

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: ইউকে-তে যদি প্রমাণ হয় ডাক্তারের খামখেয়ালি ও ভুল চিকিৎসায় রোগী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, কিংবা মারা গেছেন তাহলে ডাক্তারকে বড় অঙ্কের জরিমানা করা হয়। পাশাপাশি চাকরি থেকে বরখাস্ত হন তিনি। ডাক্তারী লাইসেন্স বাজেয়াপ্ত করা হয়। আর অন্যান্য চাকরির মতো একটা নির্দিষ্ট বয়স হলে অবসর নিতে হয়। যতই অভিজ্ঞতা থাক কোন কাজে আসবে না। কোন প্রাইভেট প্রেকটিসেরও সুযোগ নেই।

........ চমৎকার একটি কমেন্ট করার জন্য ধন্যবাদ, আপনাকে।

"সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো পরিবহন শ্রমিকদের সংগঠনের পর সবচেয়ে শক্তিশালী সংগঠন হচ্ছে বিএমএ। ডাক্তারদের রুজি রুজগার বা আরাম আয়েসের সামান্য ঘাটতি হবে এমন কোন আইন বা নিয়ম হলে ডাক্তাররা সারা দেশ অচল করে দিবেন। ফলে এ সেক্টরে সহসা উন্নতির কোন আশা দেখতে পাচ্ছি না।"......... একদম ঠিক বলেছেন।

৩১| ০৯ ই মে, ২০১৮ দুপুর ২:০৮

শামচুল হক বলেছেন: বাংলাদেশে মানুষের সেবা করে এরকম ডাক্তার চোখেই পড়ে না। কসাই ডাক্তারের পরিমাণটাই বেশি।

০৯ ই মে, ২০১৮ দুপুর ২:০৯

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: শামচুল ভাই, ঠিক বলেছেন।

৩২| ০৯ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৪:১৬

জাতির বোঝা বলেছেন: আপনি কি জানেন, ওষুধ কোম্পানীগুলো এখন ডাক্তারদেরকে বিদেশে ঘুরতে পাঠায় । এই মালয়েশিয়াতেও তারা আসে। ঘুরাঘুরি আর কেনাকাটা করে দেশে যায়। তাদের নিজেদের কোন খরচ করতে হয় না। কোম্পানী সব বহন করে।

০৯ ই মে, ২০১৮ রাত ৯:১৯

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: ব্যাপারটা তো জানতাম না!!! আমরা বাসার সাথে লাগানো একটি ঔষধ কোম্পানীর আঞ্চলিক অফিস আছে। আট তলা বিশাল এ অফিসটি তাদের নিজস্ব। তৈরী করতে কয়েক কোটি টাকা খরছ হয়েছে। এদের কত গাড়ি, আর কত সেলসম্যান, বলে শেষ করা যাবে না।

৩৩| ০৯ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৪:২৪

তারেক ফাহিম বলেছেন:
সার্জন রিপোর্ট পেয়ে মহা খুশি। বল্লেন, অপারেশন শতভাগ সফল। আমার বাম কানের অবস্থা ডান কানের সমান। খুশিতে ও শ্রদ্ধায় চোখে পানি চলে এল। মনে হলে সার্জনকে জড়িয়ে ধরি, কৃতজ্ঞতা জানাই। যথা সম্ভব আবেগ নিয়ন্ত্রণ করে উনাকে ধন্যবাদ জানালাম। তিনি প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দিলেন। আসার সময় বল্লেন, বেস্ট অব লাক।

পড়ে এত এত আনন্দ লাগলো বোঝানো যাবে না ভাইয়া।

আসলে আমাদের রক্তেরই দোষ :(

আমাদের দেশের ফার্মাগুলো নিয়ে যদি কিছু লিখতেন, আপনার লিখা পড়তে ভালো লাগে ক্লান্তিতো আসেই না, পাঠে আনন্দ পাই, তাই বললাম।

০৯ ই মে, ২০১৮ রাত ৯:২৩

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: ফাহিম ভাই, লেখাটি আপনার সুখপাঠ হয়েছে জেনে ভাল লাগলো। হ্যা, দেশের ফার্মাগুলো নিয়ে, এদের রিপ্রেজেন্টিভদের দালালি নিয়ে লেখবো। অনেক ধন্যবাদ, আপনাকে।

৩৪| ০৯ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৪:২৫

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: "কোনো অসুক নিয়ে বেসরকারি হাসপাতালে তিন দিন থাকলে এক লাখ টাকার উপরে বিল হয়। যদি তাদের জিজ্ঞেস করেন, আপনার হাসপাতালে চিকিৎসা কেমন- তারা বলবে, আমাদের কেবিনে এসি আছে, টিভি আছে , ফ্রিজ। চিকিৎসার মান কেমন তা আর বলে না।"
.......... বাহ!!! এসি আছে, টিভি আছে, ফ্রিজ আছে!!!! আহেন ভাই আহেন একটু পরে আর সিট পাবেন নন!!! এগুলো হাসপাতাল নাকি ঢাকার ছাল বাকল হীন বাস? হাসপাতালে চিকিৎসা কী হবে তা মুখ্য নয়, আসল কথা চাকচিক্য। আমরা আসলে জিম্মি হয়ে গেছি কিছু সিন্ডকেটের কাছে। এ থেকে বেরিয়ে আসার কোন সুযোগ নেই।

রাজীব ভাই অনেক ভাল লাগা ও শুভ কামনা আপনার জন্য।

এক কথায় বলি, বাংলাদেশের প্রতিটা হাসপাতাল শুধু টাকার খেলা।

০৯ ই মে, ২০১৮ রাত ৯:২৪

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: হা হা............
রাজিব ভাই, বরাবরের মত ইউনিক কমেন্ট!!

৩৫| ০৯ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৯

ব্লু হোয়েল বলেছেন: ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালের এক জরীপে বাংলাদেশে রোগী প্রতি গড়ে মোট ৪৮ সেকেন্ড সময় দেয়া হয়।
যেখানে সুইডেনে রোগী প্রতি গড় সময় সাড়ে বাইশ মিনিট ।

০৯ ই মে, ২০১৮ রাত ৯:২৭

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: ঠিক বলেছেন। এই ৪৮ সেকেন্ড ব্যয় হয় শুধু প্রেসক্রিপশন লেখতে, আর মেডিক্যাল টেস্টের তালিকা করতে। এরা রোগী দেখা মাত্রই ঔষধের নাম লেখা শুরু করে।

৩৬| ০৯ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৪২

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: ব্লু হোয়েল বলেছেন: ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালের এক জরীপে বাংলাদেশে রোগী প্রতি গড়ে মোট ৪৮ সেকেন্ড সময় দেয়া হয়।
যেখানে সুইডেনে রোগী প্রতি গড় সময় সাড়ে বাইশ মিনিট ।


আমাদের মহাবিজ্ঞানী ডাক্তাদের কি ভয়াবহ দক্ষতা! মাত্র ৪৮ সেকেন্ড সময় নিয়ে তারা সব করতে পারেন।

০৯ ই মে, ২০১৮ রাত ৯:৩০

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: সাজ্জাদ ভাই আমাদের ডাক্তাররা এতো দক্ষ যে, রোগীর সাথে চোখাচোখি হতেই রোগটা চিনি ফেলে!! এজন্য অযথা সময় ব্যয় করতে হয় না।

৩৭| ০৯ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৭

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:


শুধুই কি মানুষ বলে ডাক্তাররা এখন কসাই হয়ে গেছে।

কোন ডাক্তার এমন বলতে পারে ভাবাই যায়না।

০৯ ই মে, ২০১৮ রাত ৯:৩৩

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: হ্যা, এরা নাম সর্বস্ব মানুষ। মনুষত্ব নেই তাদের। এজন্য প্রকৃত মানুষ হতে পারেনি।

৩৮| ০৯ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০১

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: আমাদের দেশের মানুষ ডাক্তার হয় টাকা কামানোর জন্য। যে কারণে প্রাইভেট মেডিক্যাল কলেজ আছে আমাদের দেশে। আর সে কারণে জমি-জমা বিক্রি করেও ডাক্তার হতে দেখা যায়। বহুমুখী আয় তাদের- যা অন্য কোনো পেশায় নাই। তারা তাই মানবিক না হয়ে কসাই হয়ে যায়।

০৯ ই মে, ২০১৮ রাত ৯:৩৪

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: আসলে পার্থক্যটা হলো মানসিকতার। আমাদের দেশের বাবা-মা সন্তানদের ডাক্তার বানায় টাকা কামানোর নেশায়। সন্তানটিও পড়ালেখা শেষ করে পারিপার্শ্বিক অবস্থা আর বাবা মায়ের চাওয়ার প্রতিদান দিতে সত্যিকারের ডাক্তার হতে পারে না, হয় একজন লাইসেন্সধারী কসাই। কসাইদের তো ইথিক্স থাকতে নেই। কারণ, তাদের পশুর প্রতি প্রেম থাকলে আমরা মাংস খাওয়া থেকে বঞ্চিত হতাম। আর ইংল্যান্ডে এরা ডাক্তারী পড়ে মানব সেবার অভিপ্রায়ে; পাশাপাশি শেখে ডাক্তারদের দায়বদ্ধতা আর পেশার প্রতি একাগ্রতা। এজন্য পাশ করে তারা ডাক্তার হয়, কসাই নয়।

৩৯| ০৯ ই মে, ২০১৮ রাত ৮:৪৯

জগতারন বলেছেন:
প্রিয় ব্লগার কাওসার চৌধুরী আপনার হৃয়বান ও আবেগ দিয়ে লিখা পোষ্টটি পড়লাম।
কী ভাবে যে মন্তব্য লিখি (!)
আপনি ভদ্র মানুষ;
ভদ্র মানুষের ব্লগে ভদ্র ভাষায় মন্তব্য করা উচি। কিন্তু তা আমার করতে মনে চায় না।

আপনি যে দেশের কথা লিখেছেন' সে দেশের দেখতে ভদ্র (!) সাদা শূয়ারদের পূর্ব পুরুষরা ২০০ শত বছর আমাদের দেশটা শোষন করেছে। আমাদের পূর্ব পুরুষদের শিক্ষিত করার জন্য কিচ্ছু করে নাই, যা করেছে তাদের দেশে করেছে আমাদের দেশের থেকে নিয়া।

০৯ ই মে, ২০১৮ রাত ৯:৩৯

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: আপনার কথায় যুক্তি আছে। তবে আরেকটি কথা বলি, ইংরেজদের শাসনামলে মুসলিমরা ইংরেজি শিক্ষা গ্রহণে আগ্রহী ছিলেন না। আর উচ্চশিক্ষা অর্জন করতে পরিবার ও সমাজ থেকে নিরুৎসাহিত করা হতো। এজন্য ব্রিটিশদের পুরোপুরি দোষ দেওয়া ঠিক হবে না


...........লেখাটি পড়ার জন্য আর কমেন্ট করার জন্য কৃতজ্ঞতা রইলো।

৪০| ০৯ ই মে, ২০১৮ রাত ৮:৪৯

পুলক ঢালী বলেছেন: কাওসার চৌধুরী ভাই
খুব সুন্দর লিখেছেন এক নিঃশ্বাসে পড়ে ফেললাম একশত ভাগ সহমত। মন্তব্যকারীদের মন্তব্য থেকেও বাস্তব চিত্র ফুটে উঠেছে। একটা উদাহরন দেওয়ার লোভ সামলাতে পারছিনা।
আমার আম্মার খুব বুকে ব্যথা হত। কয়েকজন ডাক্তার দেখালাম কাজ হলোনা। সর্বশেষ একজন হার্টের ডাক্তারকে দেখালাম তিনি দেখে বললেন, 'হার্টের নীচের অংশে ইনফেকশন হয়ে পঁচন ধরেছে অপারেশন করতে হবে' আমরা ভয় পেয়ে গেলাম, ভাবলাম অপারেশন যদি করাতে হয় তাহলে ভারতে নিয়ে গিয়ে করাবো তাই কলকাতায় নিয়ে গেলাম। কলকাতার রবীন্দ্র টেগোর হার্ট ফাউন্ডেশনে আম্মাকে পরীক্ষা করে জানা গেল আম্মার হার্ট খুব ভাল আছে হার্টে কোন সমস্যা নেই। তারপর উডল্যান্ড হাসপাতালে নেওয়া হলো ওনারা পরীক্ষা করে বললেন পেটে বেশ বড় একটা টিউমার আছে ওটা হার্টকে চেপে রাখার কারনে বুকে ব্যথা হচ্ছে। তারপর ওনারা অপারেশন করে টিউমার রিমুভ করলেন আর পাঁচদিনেই আম্মা পুরোপুরি সুস্থ্য হয়ে আমাদের মাঝে ফিরে এলেন। এখন বুঝুন যদি বাংলাদেশে অপারেশন করে আম্মার হার্টের কিয়দংশ ফেলে দেওয় হত আর টিউমারটা থেকে যেতো তাহলে কি হতো!!!!?? X(( ভাবলেই গা শিউরে উঠে। :(
ভাল থাকুন।

০৯ ই মে, ২০১৮ রাত ৯:৪৪

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: কি ভয়ানক ডাক্তার। কোথায় হার্ট, আর কোথায় টিউমার। এই কসাইয়ের দল জানে না একজন মা তার সন্তানের কাছে কতটুক আবেগের, ভালবাসার। এরা এভাবে কতশত মা খুণ করেছে এদেশে গুনে শেষ করা যাবে না। যাক, আপনার ভাগ্য ভাল। মায়ের কোন ক্ষতি হয়নি।

৪১| ০৯ ই মে, ২০১৮ রাত ৯:২২

আহমেদ জী এস বলেছেন: কাওসার চৌধুরী ,




আপনার সুলিখিত পোস্টে দেশের সামগ্রিক চিকিৎসা ব্যবস্থার যে করুণ চিত্র তুলে ধরেছেন, সাথে মন্তব্যকারীদের অভিজ্ঞতা আর চিকিৎসা ব্যবস্থার হতদারিদ্রতা নিয়ে যে আক্ষেপ তাতে নতুন করে বলার কিছু নেই । আপনি প্রশ্ন রেখেছেন - আমাদের ত্রুটিপূর্ণ সামাজিক কাঠামো এর জন্যে দায়ী কিনা ।
কে বা কারা দায়ী, কতোটুকু দায়ী তা মনে হয় সাথের লিংকটি থেকে বুঝে নিতে পারবেন -----।।চিকিৎসক- রোগী: একটি জটিল মনঃস্তত্ব ।।
।।চিকিৎসক- রোগী: একটি জটিল মনঃস্তত্ব ।। শেষ পর্ব

শুভেচ্ছান্তে ।

০৯ ই মে, ২০১৮ রাত ৯:৪৭

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, আপনি লেখাটি পড়ার জন্য। নিচর লিঙ্কটি অবশ্যই পড়বো।

৪২| ০৯ ই মে, ২০১৮ রাত ৯:৪৮

বিষাদ সময় বলেছেন: আর অন্যান্য চাকরির মতো একটা নির্দিষ্ট বয়স হলে অবসর নিতে হয়। যতই অভিজ্ঞতা থাক কোন কাজে আসবে না। কোন প্রাইভেট প্রেকটিসেরও সুযোগ নেই।

আপনার এ মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে ডাক্তার নিয়ে আরেকটি অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করার লোভ সামলাতে পারছি না।
একবার আম্মার বুকের সমস্যার জন্য এন্টারনেট ঘেঁটে এক বহু বহু বিদেশী ডিগ্রিধারী ডাক্তারের কাছে গেলাম। ডাক্তারেরর বয়স ৭০ এর কাছাকাছি হবে, বাম পাশ প্রায় প‌্যারালাইজড এবং বিস্ময়ের সাথে লক্ষ করলাম তাঁর মাথাও ঠিক মত কাজ করছে না। কারণ একই কথা আমাকে দু-তিনবার বলতে হচ্ছে। রুগী দেখা শেষ হলে তাঁকে ৯০০ টাকা ভিজিট দিলাম এবং বাসায় এসে প্রেসক্রিপশনটা ফেলে দিলাম কারণ ঐরকম অসুস্থ ্্একজন ডাক্তারের লেখা ওষুধ খাওয়াতে সাহস পেলাম না।

০৯ ই মে, ২০১৮ রাত ৯:৫৩

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: এই অভিজ্ঞতা আমারও হয়েছে। ডাক্তার ছিল বদ্ধ পাগল। সরকারী চাকরি থেকে রিটায়ার্ড। প্রেসক্রিপশনে একই ঔষধ দুইবার লেখেছে। কথা বোঝা যাচ্ছিল না।

৪৩| ০৯ ই মে, ২০১৮ রাত ১০:৩২

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: আমাদের দেশে এসব দুর্নীতি বন্ধ হবে না, যতদিন না ক্ষমতার অপব্যবহার, দুর্নীতির মূল উৎপাটন না হবে।
দেশের নীতিনির্ধারক ব্যক্তিদের চিন্তাভাবনা পর্যবেক্ষণ করলে হতাশ হওয়া ছাড়া কিছু বলার বা করার থাকেনা। নিজেকে খুব অসহায় মনে হয়।
দেশটা দোজখ থেকে টেনে তুলবার একমাত্র ওয়ে, সৎ-যোগ্য, মেধাবীদের রাজনীতিতে অংশ নিতে উদ্বুদ্ধ করা। এবং চোখের সামনে ঘটা দুর্নীতির বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলা।

০৯ ই মে, ২০১৮ রাত ১০:৪২

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: "আমাদের দেশে এসব দুর্নীতি বন্ধ হবে না, যতদিন না ক্ষমতার অপব্যবহার, দুর্নীতির মূল উৎপাটন না হবে।"........ চমৎকার বলেছেন, ভাই। সবার আগে এটাই করতে হবে।

৪৪| ০৯ ই মে, ২০১৮ রাত ১০:৪১

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: পনেরতম লাইক দিতে পেরে খুবই ভালো লাগছে,
ভাই আপনি নিয়মিত লিখুন.....ব্লগে আপনার চাহিদা স্পষ্ট হচ্ছে

০৯ ই মে, ২০১৮ রাত ১০:৪৪

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: পনেরোতম লাইন!!!! হাসালে তুমি। তুমি এই বয়সে যা লেখ, সত্যি অনেক আশাবাদী আমি তোমাকে নিয়ে। লেখালেখি চালিও যাও থামিও না।

৪৫| ০৯ ই মে, ২০১৮ রাত ১১:০১

সাাজ্জাাদ বলেছেন: আপনি এতো এতো কমেন্ট কেন পেলেন জানেন? সবাই অসহায় হয়ে আপনার এখানে রাগ ঝাড়ছে। সবাই-ই মোটামুটি বাংলাদেশের চিকিৎসার উপর ক্ষিপ্ত।
ইন্ডিয়ার ভেল্লুরে চিকিৎসার জন্য গিয়ে পরিচিত লোক পেলাম যে কিনা চট্টগ্রামের একটি বড় ডায়গনেসটিক সেন্টারে কাজ করে। সব ডাক্তার-ই তার হাতের মুঠোই। দেশে বলেছে সে ক্যান্সারের রোগী। জলদি চিকিৎসা করতে হবে নইত রক্ষা নাই।বিশ্বাস করবেন না, পুরো ফ্যামিলির উপর কি পরিমান প্রেশার গেছে। পরে জায়গা বিক্রি করে ইন্ডিয়াতে চিকিৎসা করতে এসেছে। ইন্ডিয়ার ডাক্তাররা বলেছেন ক্যান্সার-ত্যান্সার কিছু না। দীর্ঘদিন থাকা যায় মতো সময় নিয়ে আসতে। উনারা চিকিৎসা করে দিবেন।
সেই পরিচিত লোকের কি যে গালাগালি বাংলাদেশের ডাক্তারদের।

০৯ ই মে, ২০১৮ রাত ১১:১৪

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: একই ঘটনা আমার এক মামার বেলায়ও ঘটেছে। ডাক্তার বলে দিয়েছে ক্যান্সার, রক্ষা নেই। ভারতে গিয়ে ধরা পড়লো টিউমার!!! যাক কসাইদের কাছ থেকে এ যাত্রায় মুক্তি মিললো।

৪৬| ০৯ ই মে, ২০১৮ রাত ১১:৪৭

পিকো মাইন্ড বলেছেন: সরকার যেমন যত্ন নিয়েছে, সরকারী হাসপিতাল আর ডাক্তাররা তেমনই হয়েছে। এককভাবে ডাক্তারদের দোষারোপ করে লাভ নেই। যেই দেশের রোগীরা মন চাইলেই যখন তখন নাপা তথা প্যারাসিটামল খায়, সেই দেশের ডাক্তাররা আর কতই বা সেবা করতে পারবে।

০৯ ই মে, ২০১৮ রাত ১১:৫১

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: কথাটি ঠিক। আমরা একটু জ্বর উঠলেই ডাক্তারের কাছে দৌড় দেই। প্রেসক্রিপশনে কম ঔষধ লেখলে মাইন্ড করি। আমরা ঔষধ খাওয়ার জন্য খাবার খাই, বাঁচার জন্য নয়।

৪৭| ১০ ই মে, ২০১৮ রাত ১২:৩৮

মাআইপা বলেছেন: বর্তমান বাস্তব অবস্থা!!!!!!
আপনার সুযোগ ছিল লন্ডনে ট্রিটমেন্ট করেছেন কিন্তু আমজনতা জিম্মি।

শুভকামনা রইল

১০ ই মে, ২০১৮ রাত ১২:৪০

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: হ্যা, ঠিক বলেছেন। আমজনতা একটা সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি।

৪৮| ১০ ই মে, ২০১৮ রাত ১:০১

সুমন কর বলেছেন: লেখাটি পড়ে খুব ভালো লাগল। শেষ পর্যন্ত অপারেশন সফল হয়েছে জেনে স্বস্তি পেলাম।

আর ওসব কসাইদের সম্পর্কে কি আর বলব !! ব্যক্তিগত একটি কথাই বলি, বংশে একজন ডাক্তার হবার পর সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আমি বেঁচে থাকতে আর কাউকে না.........!!!

১০ ই মে, ২০১৮ রাত ১:১৬

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: সুমন ভাই, লেখাটি পড়েছেন জেনে ভাল লাগলো। এখন সুস্থ আছি, বলে লেখতে পারছি। এজন্য ব্রিটিশ শ্রদ্ধেয় সার্জনের প্রতি চির কৃতজ্ঞ।

৪৯| ১০ ই মে, ২০১৮ রাত ১:১১

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: খুব ভালো লাগল। আপনার জীবনে ঘটে যাওয়া এই ঘটনার দ্বারা অনেককিছুই জানা ও শেখা হল। আমাদের দেশের চিকিৎসাব্যবস্থা আর বাইরের দেশের চিকিৎসাব্যবস্থার ফারাকটা খুব ভালোভাবে ফুটে উঠেছে।

১০ ই মে, ২০১৮ রাত ১:১৮

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: সম্রাট ভাই। আমার জন্য আশীর্বাদ করবেন। আপনার জন্যও শুভ কামনা রইলো।

৫০| ১০ ই মে, ২০১৮ রাত ১:৫৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


বাংলাদেশের ডাক্তারেরা যাতে রোগীকে মনযোগ দিয়ে দেখেন, ও সুচিকিৎসা করেন, তার জন্য কোন ব্যবস্হা নেয়া সম্ভব?

১০ ই মে, ২০১৮ রাত ২:১৮

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: সম্ভব,............ ডাক্তারদেরকে পেশাটি যে সেবামূলক তা শিক্ষা দিতে হবে। সাধারন মানুষকে আরো সচেতন হতে হবে। ডাক্তারদের কঠোর হাতে পরিচালনা করতে হবে। প্রাইভেট প্রেকটিস বন্ধ করতে হবে, প্রাইভেট হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করতে হবে। এ খাত শতভাগ সরকার নিয়ন্ত্রণ করবে। সব নাগরিকের জন্য সমান চিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে সরকারকে। তবেই এগুলো সিস্টেমের মধ্যে আনা সম্ভব।

৫১| ১০ ই মে, ২০১৮ ভোর ৬:৪৯

বিলুনী বলেছেন: পোষ্টটি পাঠে ও সন্মানীত সহব্লগারদের মন্তব্যগুলি দেখে এ বিষয়ে একটু বিষদভাবে কথা বলার প্রয়োজনীয়তা বোধ করছি । প্রথমেই বলতে হয় ডাক্তারদের পড়াশুনা নিয়ে । বাংলাদেশে ডাক্তারদের স্নাতক ডিগ্রী পাঁচ বছরের। এম.বি.বি.এস. পরীক্ষায় পাশ করলেই একজন ছাত্র চিকিৎসা দেয়ার সার্বিক লাইসেন্স পেয়ে যায় না। তাকে এক বছর ইন্টার্ণশিপ শেষ করতে হয় (মেডিসিনে,সার্জারি ও গাইনি প্রত্যেকটিতে চারমাস করে)। ইন্টার্ণশিপ শেষ করার পরে মূলত আসল পড়া শুরু হয়। একজন ইচ্ছে করলে এম.বি.বি.এস ডিগ্রী নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে পারে।বর্তমানে একজন অনার্সের ছাত্রের চারবছরে স্নাতক শেষ হচ্ছে। আর একজন ডাক্তারের চিকিৎসা দেয়া লাইসেন্স পেতেই সময় লাগছে ছয় বছর।

বাংলাদেশে ডাক্তাররা প্রধানত দুধরনের পোস্ট-গ্র্যাড ডিগ্রী নিতে পারেন। Fellow of Physicians and Surgeons (সংক্ষেপে এফসিপিএস),আরেকটি হলো Doctor of Medicine (এমডি) অথবা Master of Surgeon (এমএস)। এমডি বা এমএস ডিগ্রীদুটোর সময়সীমা পাঁচ বছর। ডিগ্রীগুলো করাকালীন একজন বেসরকারী ডাক্তারের হাসপাতালে সেবা দিতে হয়, এর বিনিময়ে সে কোন সম্মানী পায় না। বরং ভর্তির সময় ও পরীক্ষার সময় মোটা অংকের টাকা তাকেই দিতে হয়। একজন ডাক্তারের স্নাতক ও স্নাতকত্তোর ডিগ্রী অর্জন করতে লাগছে প্রায় ১০ বছর ।

একজন এমবিবিএস ডাক্তার তার ইন্টার্ণশিপ শেষে মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে ট্রেনিং-এ ঢুকতে পারবে। এই যে ট্রেনিং যারা করছে, এরাই সেই নটোরিয়াস ‘অনারারী’ মেডিকেল অফিসার তথা অবৈতনিক মেডিকেল অফিসার। ‘বৈতনিক’ ট্রেনিং তারাই করতে পারে যারা সরকারী চাকুরী করছে এবং উপজেলায় দু-বছর পার করে এসেছে। সুতরাং, এভাবে একজন ডাক্তারের ভাগ্য ভালো থাকলে জীবনের ন্যূনতম ১০ বছর পার হচ্ছে। এমফিল বা ডিপ্লোমা করলেও লাগছে যথাক্রমে ১০ বছর । সুতরাং এই যে একজন ব্যক্তি যাকে অনেকে কসাই বলে উপাধি দিচ্ছেন, স্নাতক-লেভেলে প্রবেশের পর থেকে প্রায় ৯ থেকে ১৪ বছর ধরে তার শুধুমাত্র কর্মজীবনের জন্য নিজেকে যোগ্য করে তুলতে হয়।

স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জনের সময় একজন বেসরকারী ডাক্তারকে (মনে রাখা দরকার অধিকাংশ ডাক্তারই বেসরকারী) ৩
থেকে ৬ বছর বিনা বেতনে খাঁটতে হয়। কিন্তু নিজের জীবনতো চালাতে হবে, সে সাথে নিজের পরিবারকেও সাপোর্ট দিতে হয়। এ সময়ে অনেকেই হাসপাতালে সপ্তাহে ন্যূনতম ৩৬ থেকে ৪৮ ঘন্টা সময় দেবার পাশাপাশি বাইরে কোন ক্লিনিকে বা হাসপাতালে ৪৮ ঘন্টা সময় দেন। অর্থাৎ এ সময় তার সপ্তাহে প্রায় ৯৬ ঘন্টা ঘরের বাইরে সেবা দিয়ে যেতে হয়। অথচ এ
সময় তার বেতন সর্বনিম্ন ১২ হাজার থেকে সর্বচ্চো ৩০ হাজার (হাসপাতাল ও যোগ্যতা ভেদে)। গড়ে ২০ হাজার
সাথে থাকছে প্রচণ্ড মানসিক ও শারিরীক পরিশ্রম।

লক্ষ্য করলে দেখা যাবে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একজন ছাত্র অন্য অনেক বিষয়ে অনার্স ও মাস্টার্স করে বেরিয়ে বেসরকারী ইউনিভার্সিটিতে লেকচারার হিসেবে জয়েন করলে তার বেতন ৩৫০০০ থেকে ৫০০০০ হাজার টাকায় শুরু হয়। অথচ একজন ডাক্তার তার কোর্স শেষ করে বেরিয়ে বেসরকারী মেডিকেলে গড়ে ২৫০০০ টাকার মত বেতনে শিক্ষক হিসেবে জয়েন করতে পারেন। এটাকে কি হিসাবে দেখা হবে । হাজার হোক ডাক্তারদেরও বেঁচে থাকার জন্য সংগ্রাম করতে হয়।

ইউকের ডাক্তারদের সাথে বাংলাদেশী ডাক্তারদের যেহেতু তুলনা দেয়া হয়েছে সেহেতু এ বিষয়েও দুটু কথা বলতে হয় । ইউকেতে ৫ বছর মেয়াদী এম বি বিএস কোর্সে পড়াশুনা শেষে পাশ করে বের হওয়ার সাথে সাথেই ট্রেনী/জুনিয়র ডাক্তার হিসাবে তারা নিয়োগ পায় , আর Foundation Doctor Year 1 এ তাদের বার্ষিক বেতন ২৬০০০ হতে ২৮০০০ পাউন্ড সাথে বেসিক আওয়ার এর পরে (যথা রাতে ) কাজ করলে ঘন্টা প্রতি দেরগুন হারে অতিরিক্ত সময়ের কাজের পারিশ্রমিক পেয়ে থাকেন ।
Sourse Click This Link

দেখা যায় যুক্তরাজ্যে সদ্য পাশ করা একজন জুনিয়র ট্রেনী ডাক্তারের বার্ষিক বেতন ২৬ থেকে ২৮ হাজার পাউন্ড যা বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ৩০ হতে ৩৩ লক্ষ টাকা (মাসে গড়ে প্রায় আড়াই লক্ষ টাকার উপর) যা বাংলাদেশী একজন জুনিয়র ডাক্তারের তুলনায় প্রায় ১০ গুন বেশী । সেখানকার সিনিয়র ডাক্তারদের বেতনের কথা আর নাই বা বলা হল , একজন সিনিয়র জিপির বার্ষিক বেতন গড়ে ৬০ হতে ৭০ হাজার পাউন্ড , বিভিন্ন জায়গায় এর পরিমান ক্ষেত্র বিশেষে লক্ষাধিক পাউন্ড পর্যন্ত হয়ে থাকে ।

তবে এ কথা ঠিক যে বাংলাদেশে অনেক ডাক্তার যথেষ্ট মনযোগ দিয়ে রুগী দেখেন না , এর পিছনে একদিকে কারণ রয়েছে, একদিকে প্রয়োজনীয় ডাক্তারের তুলনায় রোগী সংখ্যা বেশী থাকায় মাত্রাতিরিক্ত কাজের চাপ, আর দিকে রয়েছে রোগিকে সরকারী স্বাস্থ সেবার বদলে নীজ নীজ পছন্দের ও স্বার্থ সংস্লিষ্ট জায়গায় চিকিতসা সেবা নেয়ার জন্য বাধ্য বাধকতার দিকে ঠেলে দেয়ার প্রবনতা । তার পরেও ডাক্তারগন দিন রাত আর্ত পিড়ীত মানবতার সেবা করে যাচ্ছেন নিরলসভাবে । যারা রোগীদের সাথে ভাল ব্যবহার করছেন না কিংবা চরম পর্যায়ের ব্যবসায়িক কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্চেন তাদের সংখ্যা নেহায়েত হাতে গুনা কয়েকজন, তারা অবশ্যই সমালোচনার উর্ধে নন । তাই বলে মাত্র গুটি কয়েক স্বার্থান্বেষী ডাক্তারের জন্য দেশের কোটি কোটি আর্ত পিড়িত মানুষের সেবার কাজে নিয়োজিত ডাক্তার সম্প্রদায়টিকেই চরমভাবে দায়ী করাটা কতটুকু যুক্তিপুর্ণ তা একটু গভীরভাবে ভেবে দেখার অবকাশ অআছে । তার পরেও ব্যক্তিগত অনাকাংখিত অভিজ্ঞতার অআলোকে কেও যদি ডালাও ভাবে ডাক্তারদেরকে গালমন্দ করতে পছন্দ করেন তবে তা তারা করতেই পানেন , নীজের ভালমন্দ মত প্রকাশের স্বাধিনতাতো সকলেরই আছে । তবে যতই গাল মন্দ করা হোক না কেন তাদের কাছে প্রয়োজনে যেতেই হবে , সবাইতো আর বিদেশে উন্নতমানের চিকিতসা নেয়ার সুযোগ পাবেনা । তবে ভাল হয় কায়িক পরিশ্রম বিহীন বিলাসী জীবন যাপন না করে , ঘুষ ও দুর্ণিতির টাকায় অতিরিক্ত তেল চর্বী ও ভেজাল খাদ্য না খেয়ে , বিষাক্ত বায়ু ও দুষিত পরিবেসে বসবাস না করে নীজে নীজে রোগ না বাধিয়ে ডাক্তারের কাছে না যাওয়া । এই নীজে নীজে রোগ বাধিয়ে, নীজেদের স্বাস্থের প্রতি অমনোযোগী হয়ে ডাক্তারের কাছে গিয়ে যারা কেবল ডাক্তারের মনযোগ ও সেবা কামনা করছেন, সর্বোপরী দেশের পরিবেশ দুষন করে ও খাদ্য দ্রব্য বেজাল করে মানুষকে ডাক্তারের কাছে যাওয়ার জন্য বাধ্য করছে তাদেরকে কিছুটা গালমন্দের ভাগীদার করলে নেহায়েত মন্দ হয়না !!! শুধু এককভাবে ডাক্তারদেরকে গালমন্দ করলে বিষয়টাকি নিছক একপেশে হয়ে যায় না !!! দেশে মানসন্মত স্বাস্থ্য সেবার জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো ও সুযোগ সুবিধা সৃজন সকলের দায়ীত্ব । এটা সকলে নিষ্ঠার সাথে পালন করলে কাওকে সম্ভবত ডাক্তারের কাছে যেতে হবেনা, ডাক্তারগন ও বেচে যাবে গালমন্দের হাত থেকে । কামনা করি সবাই সুস্থ থাকুক , ডাক্তারের প্রয়োজনীয়তা দেশ থেকে অনেকাংশে কমে যাক ।

১০ ই মে, ২০১৮ সকাল ৮:০৭

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: এতো লম্বা একটা কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে। আপনি কমেন্টে আমার অভিযোগগুলোর একটিও খন্ডাতে পারেন নাই, কিংবা আমার অভিযোগ যে মিথ্যা তা বলেন নাই। একজন ডাক্তার হতে গেলে বিষয়ভিত্তিক যে জ্ঞান অর্জন করতে হয় তাই আপনি ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বলেছেন। একজন ডাক্তার হতে হলে এসব বিষয়ে পড়াশুনা করতে হয় তা আমরা জানি।

তাই বলে আমি যে অভিযোগগুলোর কথা বলেছি, তা একজন ডাক্তার করতে পারে? বা এটা ডাক্তারী ইথিক্সের মধ্যে পড়ে? খুশি হতাম যদি আমার অভিযোগগুলো ভুল প্রমাণ করতে পারতেন।

মিষ্টার @ এলিয়ানা সিস্পসন যথার্তই বলেছেন..................
"নিজে নিজে রোগ বাধিয়ে" এই ধরণের ফালতু মানসিকতা আপনারা ধারণ করেন দেখেই লেখকের মত ব্যক্তিদের ফালতু ডক্টরদের সম্মুখীন হতে হয়। রোগ নিজে বাধাক আর জেনেটিক হোক whatever, ডক্টরের দায়িত্ব সেটা ঠিক করা। নট আপনার মত রোগের দোষ পেশেন্টের উপর চাপিয়ে নিজের দায়িত্ব কমিয়ে নেয়া! আমেরিকায় হাজার হাজার মানুষ obese, এজন্য ডক্টররা তাদেরকে ডিফ্রেন্টলি ট্রিট করেনা আর করলে সেটাকে বলে ডিসক্রিমিনেশান!"..............

ভুল অস্বীকার করলে, ভুল থেকে শিক্ষা নেওয়া যায় না। এতে ভুলের হার গাণিতিক হারে বাড়তে থাকে।

৫২| ১০ ই মে, ২০১৮ সকাল ৭:৩৫

এলিয়ানা সিম্পসন বলেছেন: বিলুনী,

আমেরিকাতে মেডিক্যালে পড়ার জন্য ৪ বছরের আন্ডারগ্র্যাজুয়েট করতে হয়। দেন, ৪ বছরের মেডিক্যাল স্কুল, ৩+ বছর ইন্টার্নশীপ, ২+ বছর ফেলোশীপ। ইন্টার্নশীপের সময় স্টুডেন্টদের সপ্তাহে ৮০ ঘণ্টা কাজ করতে হয় আর বেতন থাকে একজন ব্যাচেলর পাশ করা ব্যক্তির চেয়ে কম। এজন্য কিন্তু রোগীর সাথে ডিসরেস্পেক্ট করা, রোগী মেরে ফেলাকে ছাড় দেয়া হয় না।

"নিজে নিজে রোগ বাধিয়ে" এই ধরণের ফালতু মানসিকতা আপনারা ধারণ করেন দেখেই লেখকের মত ব্যক্তিদের ফালতু ডক্টরদের সম্মুখীন হতে হয়। রোগ নিজে বাধাক আর জেনেটিক হোক whatever, ডক্টরের দায়িত্ব সেটা ঠিক করা। নট আপনার মত রোগের দোষ পেশেন্টের উপর চাপিয়ে নিজের দায়িত্ব কমিয়ে নেয়া! আমেরিকায় হাজার হাজার মানুষ obese, এজন্য ডক্টররা তাদেরকে ডিফ্রেন্টলি ট্রিট করেনা আর করলে সেটাকে বলে ডিসক্রিমিনেশান!

১০ ই মে, ২০১৮ সকাল ৮:১০

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। চমৎকার যুক্তি দিয়েছেন। @বিলুনী আশা করি এবার বুঝতে পারবেন।

৫৩| ১০ ই মে, ২০১৮ সকাল ১০:৫১

অনন্য দায়িত্বশীল আমি বলেছেন: ডাক্তাররা এতো ব্যস্ত যে চেম্বারে ঢোকার আগেই পারলে দুটো মেডিসিনের নাম লিখে দেয়। :(

১০ ই মে, ২০১৮ সকাল ১০:৫৬

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: আপনার নামটি তো চমৎকার!!! হ্যা, একদম ঠিক বলেছেন।

৫৪| ১০ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৪:১৯

দিলের্‌ আড্ডা বলেছেন: দেশে চিকিৎসা খাতের অবস্থা ভয়াবহ রকমের খারাপ।
আমাদের দেশের শিক্ষার্থিদের সর্বপ্রথম মানুষকে ভালোসার এবং শ্রদ্ধা করার শিক্ষা দেয়া উচিত।

১০ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৩১

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: সহমত আপনার সাথে।

৫৫| ১০ ই মে, ২০১৮ রাত ৮:৪১

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: আমাদের দেশের বেশিরভাগ ডাক্তার হৃদয়হীন, টাকা ছাড়া তারা কিছু চিনে না বুঝেনা। অনেক ডাক্তার দেখলে রুগীর অসুস্থতা বেড়ে যায়, তাদের কথাবার্তায় আচরনে।

১৩ ই মে, ২০১৮ রাত ১২:১৫

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: "অনেক ডাক্তার দেখলে রুগীর অসুস্থতা বেড়ে যায়, তাদের কথাবার্তায় আচরনে।".....

কারণ, এরা ডাক্তার নামধারী কসাই।

৫৬| ১২ ই মে, ২০১৮ রাত ১১:৪৬

ফাহমিদা বারী বলেছেন: কে কী বলবে জানি না, তবে আমি বলবো আমার অভিজ্ঞতাও একশো ভাগ আপনার সাথে মিলে যায়।
বাবা-মা'র থাকার কারণে পারিবারিক সূত্রে অল্প বয়সে ডায়াবেটিস বাধিয়ে বসে ছিলাম। এর চিকিতসা সারাজীবনই করে যেতে হবে। দেশেও গিয়েছি ডাক্তারের কাছে। সেই অভিজ্ঞতার গল্প বলতে ইচ্ছে করে না।
কিন্তু ইংল্যাণ্ডে পড়তে এসে এখানের জিপির কাছে যেদিন গেলাম, আমার বিশ্বাস হতে চায়নি উনি ডাক্তার। এত মিষ্টি এত অমায়িক ব্যবহার! আজ প্রায় দু'বছর যাবত এখানে আছি। আমার মনে হয় আমার বুঝি অভ্যাসটাই খারাপ হয়ে গেল। না জানি দেশে গিয়ে কীভাবে আবার সেই ব্যবহার সামাল দেব!
ইংল্যাণ্ডের দিনলিপি নিয়ে একটা বড় লেখা লেখার ইচ্ছে আছে ইনশাল্লাহ। সেখানে শ্রদ্ধার সাথে এই ডাক্তারদের কথা স্মরণ করবো আমি।

১৩ ই মে, ২০১৮ রাত ১২:১৪

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: আপা, আপনার এমন অভিজ্ঞতা হয়েছে জেনে খারাপ লাগলো। দোয়া করি, ডায়াবেটিস যাতে কন্ট্রোল থাকে। লন্ডনে যাওয়ার পর ডাক্তারদের ব্যবহারে আমিও অবাক হয়েছিলাম। কোথায় আমরা আর কোথায় ওরা। দেশে ফিরে লন্ডনের অভিজ্ঞতা নিয়ে লেখবেন। সবাই জানতে পারবে। লন্ডনে কোন এলাকায় আছেন?

৫৭| ১৩ ই মে, ২০১৮ দুপুর ২:৪৭

কামরুননাহার কলি বলেছেন: আমার কিছু অভিজ্ঞতা আছে । এবং ভয়বাহ কিছু অভিজ্ঞতা তবে একদিন সময় করে লিখবো।
আর আপনি সব সময় ভালো একজন লেখিনি।
আপনার প্রতিটি প্রশ্ন আমারও জানতে ইচ্ছে করে। আপনি যে প্রশ্ন গুলো লেখার মধ্যে করেছেন সেই একই প্রশ্ন আমার মনে সব সময় দানা বেধে আছে। কিন্তু এর উত্তর কোথাও কারো কাছে খুজে পাই না।

১৩ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৩:০২

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: শুভেচ্ছা নেবেন। লেখাটি পড়েছেন জেনে খুশি হলাম। দেশের প্রতিটা মানুষের এ বিষয়ে কমিবেশি অভিজ্ঞতা আছে। আপনার কথা শুনে মমে হচ্ছে আমার মতই কোন বাজে অভিজ্ঞতা হবে।...........

চাই না এমন অভিজ্ঞতা সবার হোক। আপনার নতুন কোন লেখা পাচ্ছি না। আজ ব্লগে ভিজিট করে দেখেছি। অনেক শুভ কামনা আপনার জন্য।

৫৮| ১৪ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৭

নিশি মানব বলেছেন: আপনিতো ভাই চিকিৎসা করে বেচে গেলেন। এখন শুনতে পান অনেক কিছু। আর সেটা সম্ভব হয়েছে আপনার বিদেশ যাওয়ার সামর্থ ছিলো বলে। কিন্তু আমাকে বাচাবে কে? আমি অনেকটা কম শুনি। আর সেটা জন্ম থেকে। দেশের সিংহভাগ ডাক্তারকে দেখিয়েছি। অন্তরের অন্তস্হল থেকে সম্মান করার মত ডাক্তারদের পেয়েছি খুব কম সংখ্যাক।

ডাক্তারের চেয়ে বেশী ভয়ংকর পেয়েছি আশে পাশে মানুষদের। পাড়ার প্রতিবেশীদের। সম্মানিত শিক্ষকদের। ছাত্র জীবনে আমার গার্ডিয়ানদের যে কথা বেশী শুনতে হতো "পড়া লিখা করিয়ে কি লাভ, কানেই শুনেনা।কিছুতো করতে পারবেনা।শুধু শুধু টাকা নস্ট।"ছুটি হলেই ছেলেপেলেদের একটাই কাজ ছিলো ক্ষেপানো। আমার কথাগুলো নকল করা। দুর্বলতা নিয়ে মজা করা। যার ফলে অল্প বয়সেই পাঠশালার প্রতি ভয়ের কাজ করতে হতো।পড়া লিখার আগ্রহ ওখানেই থেমে গেছিলো। একটা কথা দুই তিন বার বলতে হয় বলে বেশীর ভাগ কেউ কথা বলতে চাইতোনা। এড়িয়ে যাইতো। যার কারনে কোন বন্ধু বান্ধব গড়ে উঠে নাই। বন্ধুত্বের কাতারে যারাই এসেছিলো তারাই সবচেয়ে বেশী আঘাত করেছে। যেখানেই গেছি অবহেলা অবজ্ঞার পাত্র হতে হয়েছে। যদি বিয়য়ে ভেঙ্গে যায়, সে কারনে বিয়ের পুর্বনুষ্ঠানে কৌশলে সরিয়ে দেওয়া হতো।কাজিনদের অনেকেরাই লজ্জা পেতো আমার সাথে মিশতে। দিনে দিনে এরকম দেখতে দেখতে এক প্রকার মানসিক রুগীতে পরিনত হয়েছি। যেখানেই যাই অস্বস্তিতে ভুগি।সেদিন একনাম করা হসপিটালে গিয়েছিলাম আম্মার রিপোর্ট নিয়ে আসতে। তারা বললো, নেক্ট টাইমে আপনি আর আসবেননা। একটা কথা বারবার বলতে পারবোনা। এইতো গত সপ্তাহে লালমাটিয়ায় গেছিলাম এস.এ পরিবহনে। আগে থেকে চিনতো। মুরগীকে দেখলে শিয়াল যেমন খুশী হয়, তাদের মনে হলো সেরকম খুশী হয়েছে। একজন আরেকজনকে চিৎকার দিয়ে গলা ফাটিয়ে বললো, জোরে বল! জোরে বল! কানে শুনেনা। এই বলে সবাই মিলে হাসাহাসি। যতবার সেখানে যাই এরকম পরিস্হিতিতে পড়তে হয়। অনুভুতিটা খুবই কস্টের। বুঝানোর মতনা। গত বছর একটা গ্রুপে ভলান্টিয়ার হিসাবে যোগ দিয়েছিলাম। তারা সারাদিন ইফতারী প্যাকেট করতো। বিকাল হলেই ইফতারী বিলি করতো। সেই ইফতারী প্যাকেট কালীন বেশীর ভাগ সময়ই ছিলো আমাকে নিয়ে মজা করা। হাসাহাসি করা। রাগে দুঃখে পরে সেখানে যাইনি।

প্রতিদিন প্রতিটা পদে পদে এটা নিয়ে ভুগতে হয় আমাকে। প্রতিটা মুহুর্তে মনে হয় মরে যাওয়াটাই ভাল।
রাস্তায় চলার পথে একটা অন্ধকে দেখলে মানুষজন যতটা সহানুভুতি দেখায়, ততটা একটা বধির বা বোবাকে দেখায়না। তারা কৌতুক অনুভব করে। আপনি ভাই লাকি।

১৪ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৬

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: সরি, ভাই। আপনার কথাগুলো শুনে আমার চোখে পানি এসে গেল। হ্যা, দোষটা শুধু ডাক্তারদের নয়। আমাদের চাপাশের পরিবেশটাই এমন। আমরা মানুষের দূর্বল জায়গায় আঘাত করে আনন্দ খুঁজি। অপমান করি, কষ্ট দেই।

মন খারাপ করবেন না। যতটুকু সম্ভব এগুলো এড়িয়ে চলবেন। দোয়া করি আপনার সমস্যাটি যাতে দ্রুত মিটে যায়, ভালভাবে কানে শুনতে পান।

৫৯| ০৯ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:১১

রাজীব নুর বলেছেন: আপনি আপনার শেষ পোষ্টে বেশ কয়েকটা লিঙ্ক দিয়েছেন বলেই পুতারন পোষ্ট গুলো আবার পড়তে পারলাম। ভালোই লেগেছে।

০৯ ই জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২২

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: অনেক ভাল লাগলো, প্রিয় রাজীব ভাই। যারা এ লেখাগুলো পড়েন নাই উনাদের জন্য দিয়েছি। আপনিও যে পড়েন নাই তা জানতাম না!! অনেক ভাল লাগা ও শুভ কামনা রাজীব ভাই। B-)

৬০| ১৬ ই জুন, ২০১৮ ভোর ৫:২৯

ইমরান আশফাক বলেছেন: বিলেতের মত রোগীবান্ধব চিকিৎসা-ব্যবস্হা আমাদের সপ্ন হলেও এটা আমাদের এখানে প্রয়োগ করার উপায় এখন আর নেই। আমাদের এখানে চিকিৎসার যে সিষ্টেম এখন দাড়িয়ে গেছে সেটা ইতিমধ্যে পয়েন্ট অব নো রিটার্ন পর্যায় পৌছে গেছে। আশ করি এখান থেকে উত্তরনের পথ ভবিষ্যত প্রজন্ম বের করে ফেলবে।

১৭ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:১৭

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: আমিও একমত আপনার সাথে। তবে, এ সিস্টেম থেকে বেরিয়ে আসতে না পারলে জাতির কপালে দুঃখ আছে।

৬১| ২৮ শে জুন, ২০১৮ রাত ৩:১১

রাকু হাসান বলেছেন: আমাদের মানসিকতার পরিবর্তন হয়নি যদিও বড় ডিগ্রি আছে । তাদের কাছে মানব সেবা টা মুখ্য আমাদের কাছে টাকা ,শুনতে খারাপ লাগে । এই রকম চিকিৎসকের খুব অভাব আমাদের । এই সিস্টেম টা বদলানোর দরকার । সরকারি নজরধারীও কম আমার মতে । চিকিৎসকের অবহেলায় অনেক রোগি মারা যায় শুনি পত্র পত্রিকায় কিন্ত সেই অনুপাতে বরখাস্ত ,জরিমানা একদম ই শুনি না । সরকাররেই প্রত্যক্ষ মদতে হয়তো পার হয়ে যায় । তবু আশাবাদী ........ভাল কিছু পরিবর্তন আসবে ।

২৮ শে জুন, ২০১৮ রাত ৩:৫৪

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: "চিকিৎসকের অবহেলায় অনেক রোগি মারা যায় শুনি পত্র পত্রিকায় কিন্ত সেই অনুপাতে বরখাস্ত ,জরিমানা একদম ই শুনি না । সরকাররেই প্রত্যক্ষ মদতে হয়তো পার হয়ে যায়।"........ রাকু হাসান ভাই, আপনি আসল জায়গায় আঘাত করেছেন। সমস্যা ও সমাধানের সূত্র এখানেই নিহীত।

৬২| ০৩ রা জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:৪২

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: আপনার কানের এখন কি অবস্থা ? ঠিম মতো শুনতে পান কি ?

লেখাটি খুব মনোযোগের সাথে পড়লাম । দু:খ হচ্ছে নিজের মাতৃভূমির জন্য কতো আগাছা বেড়ে উঠেছে তার বুকে সেই কথা ভেবে । অল দা বেস্ট ।

০৩ রা জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:২৭

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ সাখাওয়াত ভাই,


আমার কানের অবস্থা এখন পুরোপুরি ভাল। কৃতজ্ঞতা সব সময় ব্রিটিশ ডাক্তারদের জন্য।

৬৩| ০৭ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:১৫

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: ইউকেতে ডাক্তারের অবহেলার কারনে রোগী মারা গেলে বরখাস্ত হয় কিংবা লাইসেন্স বাজেয়াপ্ত হয়। আর আমেরিকাতে তা জেল পর্যন্ত গড়ায়। মাইকেল জ্যাকসনের ডাক্তারের তিন বছরের জেল হয়েছিল। বাকী শাস্তি তো রয়েছেই।

১২ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:০০

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। হ্যা, আপনি ঠিকই বলেছেন। লেখাটি পড়ার জন্য কৃতজ্ঞতা রইলো।

৬৪| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:১০

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার দুটো অভিজ্ঞতার বর্ণনা চিকিৎসা ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সাধারণ জনগণের দৈন্য দশা কতটা প্রকট, সেটা চোখে আঙুল দিইয়ে দেখিয়ে দিল।
আমার একজন পরিচিত রোগীকে একজন স্বনামধন্য ডাক্তার পরিষ্কার বলেই দিলেন, অমুক ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে এম আর আই করিয়ে আনেন। অন্য কোথা থেকে করালে আর আমার কাছে আসবেন না।
আপাততঃ পোস্টে প্লাস দিয়ে বিদায় নিচ্ছি। পুনরায় এ পোস্টে ফিরে আসার ইচ্ছে রইলো। + +

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১:০৪

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ স্যার। আসলে বয়সে ছোট হওয়ায় তখন খুব কষ্ট পেয়েছিলাম ডাক্তারের এমন আচরণে। আমাদের ডাক্তারদের ইথিকসের অনেক অভাব আছে। এজন্য নিজের সদিচ্ছার পাশাপাশি, আইনের কঠোর প্রয়োগ প্রয়োজন।

৬৫| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:১৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: বিদায়ের আগে হঠাৎ করেই নিশি মানব এর মন্তব্যটা (৬১ নম্বর) চোখে পড়লো। পড়ে ভীষণ ব্যথিত হ'লাম। তাকে শুধু এটুকুই বলবো, মুষড়ে পড়বেন না। বিদেশে এর সুচিকিৎসা আছে। ইন শা আল্লাহ, একদিন সম্ভব হবে।
আমার অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে সমবেদনা গ্রহণ করুন!

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১:০৯

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



নিশি মানব নিজের অভিজ্ঞতার করুণ বর্ণনা দিয়েছেন। এগুলো সত্যি দুঃখজনক। আমরা চাই দেশের ডাক্তাররা রোগীদের প্রতি আরো দায়িত্বশীল হবেন। দেশের মানুষের প্রতি, রোগীদের প্রতি সুন্দর আচরণ করবেন এবং কমিশন ব্যাবসা পরিত্যাগ করবেন।

৬৬| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১১:৫০

খায়রুল আহসান বলেছেন: একই পরীক্ষায় পাস করে শুধু ব্যবহার গুনে চেন্নাই এখন গোটা ভারতের চিকিৎসার প্রানকেন্দ্রতে পরিনত হয়েছে (৮ নং মন্তব্য) - ইস, আমাদের এমবিবিএস সিলেবাসেও যদি এমন ব্যবহারবিধি অন্তর্ভুক্ত থাকতো!
এই কান্নার আওয়াজ কেউ শুনেনি (১৩ নং প্রতিমন্তব্য) - শুনেছিলেন, একজন শুনেছিলেন, যিনি সকল প্রাণের কান্না শুনে থাকেন এবং তার প্রতিকার করে থাকেন। সে কারণেই পরবর্তীতে আপনার কান ভাল হয়ে গেছে।
টারজান০০০০৭ এর ২২ নং মন্তব্যটি ভাল লেগেছে।

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১:২৩

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



স্যার, আবারো মনোযোগ দিয়ে কমেন্টগুলো পড়েছেন জেনে খুব ভাল লাগছে। (১৩) নং প্রতি মন্তব্যে আমি নিজের প্রকৃত আর্থিক সঙ্গতির একটা ইঙ্গিত দিয়েছি মাত্র। ডাক্তার সাহেব জানতেন না আমার বেড়ে উঠা, স্কুল-কলেজে অধ্যয়ন করা, পরিবারকে সাপোর্ট দিয়ে ঠিকিয়ে রাখতে কত সংগ্রাম করতে হয়েছে। সম্পূর্ণ স্রোতের বিপরীতে গিয়ে আমার দিন বদলের সংগ্রাম ছিল। এ কাহিনী শুনলে আপনারও হয়তো বিশ্বাস হবে না।

এজন্য সামান্য 'কানের সমস্যা' এদেশের হাজারো সুবিধা বঞ্চিত তরুণের জন্য কিছুই না। আমার পড়াশুনা, গবেষণা ও লেখালেখিতে এত মনযোগী হওয়ার পেছেনে ছিল ঐ ডাক্তার সাহেবের মত সমাজের অসংখ্য সুবিধা প্রাপ্ত মানুষের অপমান ও অবেহেলা। আমি তখন বুঝেছিলাম নিজেকে পরিবর্তন না করলে, শিক্ষা-দীক্ষায় উন্নতি করতে না পারলে এদেশের মানুষের কাছ থেকে 'মানুষ' হিসেবে সম্মান আদায় করা যাবে না।

জানি না কতটুকু পেরেছি।

এজন্য এখন মানুষকে 'মানুষ' হিসেবে মূল্যায়ন করার আপ্রাণ চেষ্টা করি। কখনো দেখি না তার অর্থ, সম্পদ, বড় চাকরি, দামী বাড়ি-গাড়ি আর প্রভাব প্রতিপত্তি।

৬৭| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:৩৩

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: ভালো পোস্ট...
এদেশের প্রায় সব ডাক্তারই টাকার কাঙাল.....
সাথে যেসব ওষুধ দেয় তাও কোম্পানির সাথে চুক্তির ভিত্তিতে...

সরকারী হাসপাতালে তো ঠিকঠাক রোগীই দেখে না...
প্রাইভেট হাসপাতালে নকল ডাক্তারের আখড়া....

অসুখ চোখের দেয় এক্সরে ( এটা এমনি বলা B-)) )
টেস্ট করতে আরো টাকা যায়...

এমনিতেই তো ধনীরা সিঙ্গাপুরে যায় না.....

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.