নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রবন্ধ ও ফিচার লেখতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। পাশাপাশি গল্প, অনুবাদ, কবিতা ও রম্য লেখি। আমি আশাবাদী মানুষ।
প্রথমবার যখন বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট দেই তখন বয়সটা আনুমানিক ঊনিশ-কুড়ি হবে। মনে আছে ভোটের আগের রাতে এই উত্তেজনায় ঠিকমত ঘুমাতে পারি নাই। এক্কেবারে ভোরে ঘুম থেকে উঠে ভোটকেন্দ্রে হাজির হই, যদিও তখন পর্যন্ত ভোট গ্রহণ শুরু হয়নি। ভোট গ্রহণ যথাসময়ে শুরু হলো কিন্তু লক্ষ্য করলাম নিজের ভেতর থেকে তাড়াহুড়ো করে ভোট দেওয়ার ইচ্ছে নেই বা ইচ্ছা হচ্ছে না। কেন যেন মনে হতে লাগলো ভোট দিলেই তো সব আবেগ-উচ্ছ্বাস শেষ হয়ে যাবে। প্রায় তিন ঘন্টার পর ভোট দিলাম। এটা ছিল এক ভাল লাগার অনুভূতি যা বলে বোঝানো সম্ভব নয়। তখন পর্যন্ত শুধুমাত্র পার্লামেন্ট ইলেকশনে ভোট দেওয়াকে আমি 'গণতন্ত্র' মনে করতাম। তবে এখন জানি ভোট হলো গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ক্ষমতা পালাবদলের প্রাথমিক ধাপ মাত্র। আর এই ধাপ থেকেই শুরু হয় নতুন সরকার গঠনের প্রক্রিয়া, তথা গণতন্ত্রের যাত্রা।
এই ঊনিশ-কুড়ি বয়সে একটি ছেলে বা মেয়ের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করার হাতে খড়ি হয়। নির্বাচনে ভোট দেওয়ার সাথে সাথে নিজেও আনুষ্ঠানিক ভাবে দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার অংশ হয়ে যায়। ধীরে ধীরে যত বয়স বাড়ে ততো তার শেখার ও বোঝার পরিধিও বাড়ে। একটা সময় আসবে যখন নিজে থেকেই অনুধাবন করবে সক্রিয়ভাবে সে রাজনীতি করবে কী না। এটা নির্ভর করে দেশের রাজনীতি নিয়ে তার আগ্রহের উপর। এজন্য সক্রিয়ভাবে রাজনৈতিক দলের অংশীদার হতে হলে কী প্রক্রিয়ায় অগ্রসর হতে হবে, কি বিষয় নিয়ে গভীরভাবে জ্ঞান অর্জন করতে হবে তা অনুধাবন করবে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের প্রচলিত গণতান্ত্রীক মডেলগুলো নিয়ে গবেষণা করবে, নতুন নতুন পদ্ধতি উদ্ভাবন করবে। বিখ্যাত মণিষীদের জীবনী পড়বে।
একজন সংসদ সদস্যের দায়িত্ব, কর্তব্য ও ক্ষমতার ব্যপ্তি কতটুকু হবে তা নিয়ে পড়াশুনা করবে। আর এভাবেই গড়ে উঠবে টগবগে তরুণ এক নেতা ও নেতৃত্ব। আমরা পাব গণতান্ত্রীক প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার এক দক্ষ কান্ডারী। গণতান্ত্রীক প্রক্রিয়ায় ভোট প্রদান করা প্রাথমিক ধাপ হলেও নেতৃত্বগুণ অর্জন করা হলো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ।
আমাদের দেশে ছাত্ররা কী এ প্রক্রিয়ায় নেতৃত্বগুণ অর্জন করে? একজন নেতা হতে হলে কী রাজনৈতিক কর্মী থাকা আবশ্যক? আমরা দেখতে পাই সেকন্ডারী স্কুল থেকে অনেক ছেলে সক্রিয়ভাবে রাজনৈতিক দলগুলোর কর্মী হয়। কলেজে উঠার পর দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা হয়। এই তরুণ নেতার পেছনে থাকে অনেক কর্মী, থাকে বড় রাজনৈতিক নেতা ও গুরু। তবে সেকেন্ডারি স্কুলের গন্ডি না পেরোলেও রাজনীতিতে সক্রিয় হতে তার বেগ পেতে হয় না। ছেলেটি বয়স আঠারোর কোঠা পার হওয়ার পূর্বেই নেতা হয়ে যায় কিছুই না বুঝেই। অথচ স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় গণতন্ত্রের শিক্ষা শুরু হওয়ার কথাই ছিল এই বয়সে।
একটি ছেলে এতো অল্প বয়সে পড়াশুনা বাদ দিয়ে বড় নেতা হওয়ার স্বপ্ন দেখে, অথচ নেতা হওয়ার জন্য যে প্রক্রিয়া অনুসরণ করার কথা সেটির ধারে কাছেও যায় না সে। তার জুনিয়র ১০-১৫ টি ছেলে যখন তাকে বড় ভাই মানবে, সে যখন রাজনৈতিক দলগুলোর মিছিলে নেতৃত্ব দেবে, অন্য দলকে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া করবে, ইট পাটকেল ছুড়বে তখন নিজেকে অনেক বড় নেতা মনে হবে তার। ফলে সে কাউকে হুমকি ধামকি দিতে ভয় করবে না। ভাবখানা এমন; নেতা বলে কথা! কিসের ভয় আবার? বেশি সমস্যা দেখা দিলে লিডার তো আছেনই।
ধীরে ধীরে রাজনীতি নামক মরণ নেশায় হাত পাকে ছেলেটির। এইচএসসি পরীক্ষার পর যারা পাশ করতে পারে না, তারা পুরোদমে নিজ এলাকায় ছাত্র রাজনীতি শুরু করে। ওয়ার্ড/ইউনিয়ন কমিটিতে সক্রিয় হয়, কেউ কেউ আবার উপজেলা কমিটিতেও স্থান করে নেয়। আর যারা কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পায় তারা পূর্বের অভিজ্ঞতার আলোকে কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন করে পদায়য়িত হয়। নতুন কর্মীর পাশাপাশি নিজেও বড় নেতার সান্নিধ্য পায়। সন্ত্রাস, টেন্ডারবাজি ও খুন খারাবিতে হাত পাকিয়ে বড় নেতার বিশ্বস্ত ডান হাত হয়।
শহরের নামকরা রাজনৈতিক গ্রুপে নাম লেখিয়ে লিডারের স্নেহধন্য হয়ে পার্টির নির্দেশমত কাজ করে। মিছিল মিটিংয়ে নেতৃত্ব দেয়। নেতার আদেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করে। বাবা মায়ের স্বপ্ন পূরণ করার চেয়ে তার নেতা ও দলের চাওয়া পাওয়াটা তার কাছে অধিক গুরুত্ব বহন করে। এত এত ব্যস্ত শিডিউলের মাঝে আসল কাজটি অর্থাৎ পড়াশুনার জন্য প্রয়োজনীয় সময়টা বের করা হয়ে উঠে না ছেলেটির। তবে এজন্য তাকে দোষ দেওয়াটাও ঠিক হবে না। রাজনীতি নিয়ে সীমাহীন ব্যস্ততার মাঝে পড়াশুনার মত কঠিন জিনিসের বাড়তি লোড নেওয়া অনেক সময় নতুন এ নেতার পক্ষে সম্ভব হয় না!
রাজনৈতিক পারফর্মেন্স ভাল হলে ছাত্র নেতাটি তর তর করে উপরে উঠে। বড় নেতাদের সুনজরে পড়ে সে। একসময় নিজেও একটি মিনি গ্রুপ তৈরী করে, যা পরবর্তী সময়ে বড় গ্রুপে রূপান্তর হয়। ছেলেটি সার্ট প্যান্ট ছেড়ে দামী পাঞ্জাবী পায়জামা পরা শুরু করে। টেন্ডারবাজিতে হাত পাকায়। জেলা ও কেন্দ্রীয় কমিটিতে পদ পায়। এলাকার এমপি/মন্ত্রির স্নেহ ধন্য হয়। তাদের যে কোন রাজনৈতিক কর্মসূচীতে সফর সঙ্গী হয়। এমপি/মন্ত্রির নাম ভাঙ্গিয়ে ধান্দা শুরু করে। বিভিন্ন সরকারী নিয়োগে বড় অংকের টাকার কমিশন খায়। ধীরে ধীরে এলাকায় জনপ্রিয় নেতার তকমা পায়। পাশাপাশি নামে বেনামে অনেক সম্পদ হয়, ব্যাংক ব্যালেন্স হয়। নিজে চেয়ারম্যান/এমপি/মন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখা শুরু করে।
যে বয়সে পড়াশুনা করে জ্ঞান অর্জন করার কথা, দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াগুলো সম্বন্ধে জানার কথা, সরকার ও প্রশাসনের কাঠামো নিয়ে পড়াশুনা করার কথা সে বয়সে অপরাজনীতিতে ছাত্র নামধারী নেতাটি হাত পাকায়। নেতৃত্বগুণ অর্জন করার আগেই নেতা হয়ে উঠে। ফলে দেশকে সঠিক পথে নেতৃত্ব দেওয়ার যোগ্যতা অর্জিত হয় না তার। তবুও একটা সময় আসে যখন তার দল ত্যাগী এ নেতাকে মূল্যায়ন করে এমপি/মন্ত্রী বানায়, পরিণামে দেশ পায় আন্তঃসার শুণ্য একজন নেতা। যার না আছে মেধা, না আছে দেশ পরিচালনার যোগ্যতা, না আছে দেশকে নিয়ে নতুন কোন পরিকল্পনা।
দেশে তৈরী হয় মেধাশুণ্য নেতৃত্ব, যেটি এক বা একাধিক সিন্ডিকেট প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে নিয়ন্ত্রণ করে। অথচ যারা দীর্ঘ দিন কঠোর পরিশ্রম করে ভালভাবে পড়াশুনার মাধ্যমে নেতৃত্বগুণ অর্জন করলো, ইচ্ছা থাকলেও তারা রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় অংশীদার হওয়ার কোন সুযোগ পায় না। রাজনৈতিক দলগুলোর কাছেও এদের কোন গুরুত্ব নেই। ক্লাস এইট থেকে যারা সরাসরি নেতার তকমা পেয়ে গেছে তারাই দলগুলোর মহামূল্যবান রত্ন। রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে এদের অভিজ্ঞতা অনেক গুরুত্ব বহন করে।
আমাদের দেশে রাজনীতিতে কালো টাকার একটি বিশাল প্রভাব আছে। হাজার হাজার কোটি টাকা প্রতিবছর এ প্রক্রিয়ায় প্রবেশ করে। বড় নেতারা এসব কালো টাকার একটি বড় অংশ নিজেদের আখের গোছানোর জন্য, এমপি/মন্ত্রি হওয়ার জন্য ছাত্র নেতাদের পেছনে খরছ করেন। বিভিন্ন গ্রুপ লিডারকে ডোনেশন দেন যাতে প্রয়োজনের সময় তার সাপোর্ট পাওয়া যায়। যে ছাত্র নেতার পেছনে যত বেশি কর্মী থাকে রাজনীতির ময়দানে তার ফায়দা ততো বেশি হয়। শুনা যায় অনেক সিনিয়র নেতা নিজ এলাকায় পছন্দের ছাত্র নেতাকে পদায়ন করতে প্রয়োজনে লাখ লাখ টাকা খরছ করেন। মোটর সাইকেল/কার কিনে গিফট করেন। টেন্ডারবাজি, নিয়োগ বাণিজ্য ও বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠা করতে সহায়তা করেন। মামলা-হামলা থেকে রক্ষা করেন।
ইদানিং দেখা যায় কোন ছাত্র নেতার বাড়িতে পুলিশ হানা দিলেও তা ফলাও করে প্রচার করেন তারা। এতে দলের কাছে কদর বাড়ে। অনেকে আছেন মিছিল/পিকেটিংয়ের ফটোসেশন করে সোসাল মিডিয়ায় ছেড়ে দেন পাবলিসিটির আশায়। কেউ কেই পকেটের টাকা খরছ করে অনলাইন পত্রিকা ও সংবাদপত্রেও নিজেদের বীরত্বের খবর প্রচার করেন। রাজনীতিতে কালো টাকার আধিক্যের ফলে সরকারদলীয় ছাত্র নেতারা রাতারাতি বড় নেতা হতে চান। আর বিরোধী ছাত্র নেতারা রাগে, দুঃখে নিজের চুল ছিড়েন আর স্বপ্ন দেখেন শীঘ্রই নিজের দলের বিজয় ও ক্ষমতার পুনর্বহাল।
আমাদের ছাত্র সমাজ ও তরুণ প্রজন্মের কাছে কয়েকটি প্রশ্ন --
(১) গ্রামের/পাড়ার সবচেয়ে মেধাবী ছাত্রটি কী রাজনীতিতে সক্রিয়?
(২) নিরিবিলি, ভদ্র ও এলাকায় ভাল ছেলে হিসাবে পরিচিত ছেলেটি কী সক্রিয় রাজনীতি করে?
(৩) রাজনীতি নিয়ে এসব ছেলেদের মূল্যায়ন কী পজেটিভ?
(৪) রাজনীতি করলে বাবা-মায়েরা কী ছেলে-মেয়েদের উপর সন্তুষ্ট হন?
(৫) কোন বাবা-মা কী চান তার ছেলে বড় হয়ে রাজনীতিবিদ হোক?
(৬) রাজনীতিকে সমাজের সাধারণ মানুষ ভাল চোখে দেখে?
(৭) রাজনৈতিক দলগুলোর বিভিন্ন কমিটিতে যারা স্থান পায় তাদেরকে কি সমাজের মানুষ ভাল ছেলে, ভাল ছাত্র হিসাবে মনে করে?
(৮) বড় রাজনৈতিক নেতাদেরকে কী মানুষ সত্যি সত্যি মন থেকে সম্মান করে?
(৯) রাজনীতির নামে সন্ত্রাস, পিকেটিং ও টেন্ডারবাজিকে মানুষ পছন্দ করে?
(১০) অন্য রাজনৈতিক দলের নেতা/নেত্রীকে উদ্দেশ্য করে গালিগালাজ করা, অপমান করা কী ভাল কাজ?
সবকয়টি প্রশ্নের উত্তর যদি 'না' হয় তাহলে নিজেকে প্রশ্ন করুন ছাত্র রাজনীতি করবেন কী না? আর উত্তরে 'হ্যা' হলে রাজনীতি আপনার জন্য। এখন ডিসিশন আপনি নেবেন। ভালমন্দ যাচাই করার ভারও আপনার উপর।
আমাদের দেশের তরুণরা পাওয়ার পলিটিক্সের স্বীকার। অনেক সময় নিজের অজান্তে, মিথ্যা আবেগের বশবর্তী হয়ে পলিটিক্সে জড়িয়ে পড়ে। পড়াশুনা বাদ দিয়ে রাজনীতিকে ধ্যান-জ্ঞান মনে করে। অথচ রাজনৈতিক দলগুলোর নেতৃবৃন্দের উচিৎ ছিল এসব তরুনদের আগলে রাখা, রাজনীতির ময়দান থেকে দূরে রাখা। ভবিষ্যতে কিভাবে দেশকে দক্ষ হাতে নেতৃত্ব দেওয়া যায় তা নিয়ে দিকনির্দেশনা দেওয়া। একজন ছাত্রের নেতৃত্বগুণ অর্জন করার জন্য পড়াশুনার কোন বিকল্প নেই এই ধারণা তাদের মনে গেঁথে দেওয়া। কিন্তু আমরা কী এমন নেতা দেখতে পাই?
আসলে বড় নেতাদেরই বা দোষ দিয়ে লাভ কী? তারাও তো একই প্রক্রিয়ায় নেতা হয়েছেন। নতুন প্রজন্মের নেতৃত্বগুণ অর্জনের তালিম দেওয়ার জন্য যে গুণাবলী নেতাদের মধ্যে থাকার কথা তা অধিকাংশ নেতার মধ্যেই অনুপস্থিত।
ছাত্ররা রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হলো বেকারত্ব। বিশেষ করে একটি ছেলের বয়স যখন সতের-আঠারো বছর হয় তখন তার চলাফেরা করার ক্ষেত্রটি আগের চেয়ে বড় হয়, নিজস্ব একটি জগৎ গড়ে উঠে তার। শারিরিক ও মানসিক পরিবর্তন দেখা দেয়। বন্ধু-বান্ধবের সাথে মেলামেশা করার অবারিত সুযোগ পায়। ধীরে ধীরে পরিবারের গন্ডি পেরিয়ে বেরিয়ে আসতে থাকে ছেলেটি। চোখে নতুন স্বপ্ন, নতুন উদ্দীপনা দেখা দেয়। এ সময় তার পকেট মানি আগের চেয়ে বেশি প্রয়োজন পড়ে। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে পরিবারও তাকে পূর্ণ সাপোর্ট দিতে পারে না। একরাশ হতাশা ছেলেটিকে ঘিরে রাখে। এসময় অনেক ছেলে পলিটিক্সে নাম লেখায়, নেতার শুভদৃষ্টি পাওয়ার চেষ্টা করে। অনেকে আবার মাদক চোরাচালানীতে জড়িয়ে পড়ে, কেউ কেউ নিজেও ইয়াবা/ফেন্সিডিলে আসক্ত হয়।
উন্নত দেশগুলোতে দেখেছি ষোল বছর বয়স হলেই ছেলে-মেয়েরা পার্ট টাইম কাজ করে। আবার কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে যখন হলিডে থাকে তখন ফুলটাইম কাজের সুযোগ পায়। পকেট মানির জন্য তাদেরকে বাবা-মায়ের উপর নির্ভর করতে হয় না। প্রয়োজনে বাবা-মাকেও সহযোগিতা করে তারা। সরকারও দেশের অর্থনৈতিক ক্ষেত্রগুলো এমনভাবে সুষ্ঠু পরিকল্পনায় গড়ে তুলেছে যাতে তরুণ সমাজ কাজের সুন্দর পরিবেশ পায়, দক্ষতা বাড়ানোর সুযোগ পায়। ফলে তাদের শিক্ষা অর্জনটি হয় আনন্দময়। সরকার তরুণদের মানসিকভাবে চাঙা রাখতে অনেক সুযোগ-সুবিধাও গড়ে তুলেছে। এসব দেশগুলোর তরুণরা রাজনীতি নিয়ে মাথা ঘামায় না, রাষ্ট্রকে নিয়েও তাদের হতাশা নেই।
সময় পেলে তরুণ ও যুবকরা পছন্দমতো খেলাধুলা করে, স্টেডিয়ামে গিয়ে খেলা দেখে। বিভিন্ন বিনোদনমূলক ইভেন্টে অংশ গ্রহণ করে। হলিডেতে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ঘুরে বেড়ায়। সমাজ ও রাষ্ট্র তাদের ইচ্ছার উপর জোর করে কিছু চাপিয়ে দেয় না। সে নিজেই বেছে নেয় কী করতে চায়? কিভাবে জীবন পরিচালনা করবে? এসব তরুণ ও যুবকরা কখনো রাষ্ট্র বিরোধী কোন কাজে জড়ায় না। এজন্য রাষ্ট্র ও তাদের ইচ্ছাকে, ভাললাগাকে মূল্যায়ন করে।
একটি দেশের তরুণ সমাজের উপর দেশের ভবিষ্যৎ উন্নতি ও অগ্রগতি নির্ভর করে। তরুণরাই পারে নতুন নতুন আইডিয়া ও পরিকল্পনা দিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে। তরুণরা স্বপ্নবাজ, তরুণরা নির্ভীক, তরুণরা পরিবর্তনের হাতিয়ার, তরুণরা সুন্দরের প্রতীক। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক ভাবে আমাদের তরুণরা আজ দিশেহারা। তাদের নেই কোন স্বপ্ন, নেই কোন কান্ডারী, নেই কোন পরামর্শক। এমনিতেই ধর্মের বেড়াজালে আমাদের সমাজটা বিভক্ত। তার উপর তরুণ প্রজন্ম এখন রাজনৈতিক দু'টি ধরায় ভাগ হয়ে গেছে। তারা এখন মানুষকে মূল্যায়ন করে দল ও আদর্শের ভিত্তিতে। সহজেই বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে তারা অন্যকে অপমান করে। নেই পারস্পরিক সম্মান ও শ্রদ্ধাবোধ।
আছে সীমাহীন বেকারত্ব, হতাশা আর রাজনৈতিক হামলা-মামলা, পারিবারিক অসচ্ছলতা, নিজের ও পরিবারের জন্য ভাল কিছু করতে না পারার বেদনা। জানি না এ অসুস্থ ধারা থেকে তরুণ ও যুবক সমাজ কবে বেরিয়ে আসবে। যত দ্রুত তরুণরা কর্মক্ষেত্রে নিজেদের মেধা ও শ্রম ঢেলে দিতে পারবে দেশের মঙ্গল ততো ত্বরান্বিত হবে। সরকারকে এ বিষয়ে সবচেয়ে বেশি কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে হবে। পৃথিবীব্যাপী এই তরুণরাই দেশের নেতৃত্ব দিচ্ছে, এরা দেশের হৃৎপিন্ড।।
ফটো ক্রেডিট,
গুগল।
১২ ই মে, ২০১৮ রাত ৩:৪৮
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: শহীদ ভাই, কেমন আছেন?...........
আসলে এই কথাগুলো কেউ না কেউ বলতে হত। তাই আমি বলি। এখনকার তরুণ প্রজন্ম নিয়ে খুব ভয় হয়। বেশিরভাগই লাইনচ্যুত। ফেইসবুক থেকে এরা ভাল কিছু শিখতে পেরেছে বলে আমার মনে হয় না।..........
দুইদিন আগে ইন্টারে পড়া একটি ছেলে আমাকে ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট পাঠিয়েছে। তার স্ট্যাটাসে লেখা....... বিশিষ্ট সাংবাদিক ও কলামিস্ট, কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব, ছাত্র নেতা, বিশিষ্ট সংগঠন, কবি ও সাহিত্যিক!!!......... এদের মধ্যে খুব তাড়াহুড়ো। রাতারাতি খ্যাতি অর্জন করতে চায়, কিছুই না করে।
২| ১২ ই মে, ২০১৮ রাত ৩:৫৭
শহীদ আম্মার বলেছেন: বাহ চমৎকার! মাহাথির ৯২ বছর বয়সে যত যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি তা আমরা ইন্টারে-ই হাতিয়ে নিয়েছি! তাইলতো এবার আমাদের এগিয়ে যাওয়ার পালা। একেবারে বোরাক গতিতে! তাই হোক।
১২ ই মে, ২০১৮ ভোর ৪:১২
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: হ্যা, মাহাথির ৯২ বছর বয়সেও এতো দক্ষ হতে পারেনি নাই। আমাদের সোনার ছেলেরা অনেক এগিয়ে গেছে।
৩| ১২ ই মে, ২০১৮ রাত ৩:৫৮
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: সরকারের উচিত ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করা নূন্যতম পক্ষে ক্যাম্পাসে রাজনীতি বন্ধ করা। কিন্তু দুই দলই এটা করতে নারাজ। অথচ এরা ভোটের তেমন নিয়ামক নয়। তবুও দুই দল এদের পালে মনে করে মাঠ দখলে থাকবে। বুদ্ধিবেশ্যারাও এ ব্যপারে চুপ থাকেন। অথচ তারা সহ সবাই যদি ছাত্র রাজনীতি বন্ধের কথা তোলেন সরকার এটা বন্ধ না করে পারবে না। আপনি বা অন্য কেউ আবার মন্তব্য করে বসবে, "মাথা ব্যথার জন্য কি মাথা কেটে ফেলতে হবে? ছাত্র রাজনীতির অতীত ঐতিহ্য আছে, ছাত্র রাজনীতি না থাকলে নেতা তৈরি হবে না - টা্ইপের চর্বিত চর্বন। আর আমি সব চেয়ে বেশী দোষ দেই উপাচার্যগুলোকে। তেনারা নিজেদের চাকুরি ঠিক রাখার জন্য ছাত্র নেতাদের ধমক খেতেও রাজি তবুও বন্ধ করতে বলেন না...
১২ ই মে, ২০১৮ ভোর ৪:১১
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: "দুই দল এদের পালে মনে করে মাঠ দখলে থাকবে। বুদ্ধিবেশ্যারাও এ ব্যপারে চুপ থাকেন। অথচ তারা সহ সবাই যদি ছাত্র রাজনীতি বন্ধের কথা তোলেন সরকার এটা বন্ধ না করে পারবে না। "............ চমৎকার বলেছেন।
ছাত্ররা রাজনীতি সচেতন হবে, সক্রিয় রাজনীতি নয়। এসময় সে রাজনীতি নিয়ে পড়াশুনা করবে। একজন আদর্শ নাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করবে। দেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার যোগ্যতা অর্জন করবে।.........
তা না করে আমরা কী শেখাচ্ছি তাদের?........ নেতা হতে হলে নেতৃত্বগুণ অর্জন করার শিক্ষা নিতে হয়, রাজনীতির নয়।
৪| ১২ ই মে, ২০১৮ রাত ৩:৫৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
বাংলাদেশের ছেলেমেয়েরা রাজনীতি করে না, ওরা দল করে; রাজনীতি একটা কঠিন ও কমপ্লক্স সাবজেক্ট।
১২ ই মে, ২০১৮ ভোর ৪:০৪
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: আপনার কথা ঠিক। এরা রাজনীতি কী? তা বোঝার আগেই নিজেদের রাজনীতিবিদ হিসাবে ভাবতে শেখে। মিছিল, মিটিং, পিকেটিং, মারামারি, নেতার লেজুড়বৃত্তি করা, গ্রুপ করা, মহড়া দেওয়া ইত্যাদিকে তারা রাজনীতি মনে করে।
৫| ১২ ই মে, ২০১৮ ভোর ৪:০৮
শহীদ আম্মার বলেছেন: বাংলাদেশে রাজনীতি আর দল সমার্থক। সুতরাং কেউ দল করলে সেটা রাজনীতি বললে অতবেশি ভূল হবেনা। আর হ্যাঁ দলেও প্রশ্ন ফাঁস আছে জানেন? মানে কে সভাপতি কে সেক্রেটারী এগুলো আগেই জানা থাকে। (যদিও বা গোপন ব্যালটের মাধ্যমে সিলেক্ট করার অভিনয় করা হয়।)
১২ ই মে, ২০১৮ ভোর ৪:১৭
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: হ্যা। দলগুলোও সিন্ডিকেটে চলে। পদগুলোও। কোন গ্রুপ কোন পদ পাবে, তা আগে থেকে সিলেক্ট করা হয়। না হলে 'সম্মেলন' বন্ডুল হবে নিশ্চিত। আসলে এগুলো হল গুণ্ডা বানানোর কারখানা। কিসের রাজনীতি শিখবে এরা।
গুণ্ডা নেতার কী যোগ্যতা আছে কর্মীদের নেতৃত্বগুণ শেখাবে?
৬| ১২ ই মে, ২০১৮ ভোর ৪:২৪
শহীদ আম্মার বলেছেন: একদম উপযুক্ত শব্দ বলেছেন। গুন্ডা! এরা আসলেই গুন্ডা!!!
১২ ই মে, ২০১৮ ভোর ৪:৩৫
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: এটা অনেকটা ডাক্তারী না পড়েও সার্জন হওয়ার মতো। এতে রোগীর মৃত্যুর সম্ভাবনা শতভাগ। দেশ পরিচালনা করতেও লাগে নেতৃত্বগুণ অর্জন। এটা সহজে আসে না। লাগে কঠোর অনুশীলন।
যার জন্য আমরা একজন মাহাতির পাই না। পাই ব্যাংক ডাকাত, রেমিটেন্স পাচারকারী, গলাবাজ, বেয়াদব, মুর্খ আর অযোগ্য পরিচালক তথা রাজনৈতিক নেতা।
৭| ১২ ই মে, ২০১৮ ভোর ৪:৩৮
শহীদ আম্মার বলেছেন: এবং এদের থেকে মুক্তির উপায়ও নেই।
১২ ই মে, ২০১৮ ভোর ৪:৪৯
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: মুক্তি মিলবে যদি এই দুই দলের সিন্ডিকেটের বাইরে থেকে মাহাথিরের মত কোন নেতা দেশের নেতৃত্বে আসেন। পাশাপাশি দেশে ব্যাপক কর্মসংস্থান হলে এবং মানুষ সচেতন হলে।
৮| ১২ ই মে, ২০১৮ ভোর ৪:৫১
শহীদ আম্মার বলেছেন: ঐ "যদি" টায়তো আমাদের বাড়া ভাতে ছায় দিলো
১২ ই মে, ২০১৮ ভোর ৪:৫৭
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: বিশ্বাস করেন, এমন নেতা হওয়ার যোগ্যতা রাখেন এমন মানুষ এদেশের অনেক আছেন। কিন্তু ভুলেও রাজনীতির নাম মুখে আনেন না তারা। দুইটা ডাকাত চক্রের কাছে সবাই জিম্মি। এ চক্র ভাঙা কারো পক্ষে আপাতত ভাঙা সম্ভব নয়। অদূর ভবিষ্যতে হবে সে সম্ভাবনাও দেখছি না।
৯| ১২ ই মে, ২০১৮ ভোর ৫:৫৩
শহীদ আম্মার বলেছেন: আপনার কষ্ট নাহলে আমার এখানে একটু ঢু মারেন।
স্বপ্ন হলো সত্যি, মহাকাশে বাংলাদেশ
১২ ই মে, ২০১৮ সকাল ১০:২৭
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: হ্যা, দেখছি।
১০| ১২ ই মে, ২০১৮ ভোর ৬:৩৪
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সুপ্রভাত কাওসার ভাই। আশাকরি ভাল আছেন। সত্যি এখন কলেজ মানে উদ্যামতা , উৎশৃঙ্খলতা মারামারি হানাহানি। সামান্যতেই ভাঙচুর, অবরোধ অর্থাৎ একটা ছোট খাটো নৈরাজ্যের প্রতিচ্ছবি প্রতিটি মুহূর্তে কলেজেপড়ার অংশ হয়ে দাঁড়িযেছে। আমাদের বড় নেতা দাদারা পিছন থেকে মুচকি হাসি নিয়ে প্রত্যক্ষ করেন, ছেলেদের উন্নতি দেখেন, পিঠ চাপড়ে দেন, সাবাস! সাবাস বলে বহবা দেন। আর ততই কলেজ পড়ুয়ারা মাতে উদ্দামতায়। যৌবনের শুরুতে হঠাৎ রাজনীতির স্বাদ জেনারেশনকে বোধহয় আরও বিপদগ্রস্ত করছে।
অনেক শুভ কামনা আমার প্রিয় ভাইকে।
১২ ই মে, ২০১৮ সকাল ১০:২৯
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: শুভ সকাল, প্রিয় পদাতিক চৌধুরী ভাই।
"যৌবনের শুরুতে হঠাৎ রাজনীতির স্বাদ জেনারেশনকে বোধহয় আরও বিপদগ্রস্ত করছে।"......... সত্যি কথা।
১১| ১২ ই মে, ২০১৮ সকাল ৭:২১
সোহানী বলেছেন: ক্লাসের সেরা ছাত্রটি কোটা বিরোধী আন্দোলনের সামনের সারিতে থাকে আর ক্লাসের সবচেয়ে বাজে ছাত্রটি যে কোটার সাহায্যে ভর্তি হয়েছে তাকে পিটাতে যায়।
কোন লাভ নাই ভাই, দেশের যা অবস্থা ছোট থেকে রাজনীতিতে হাতে খড়ি না দিলে এ দেশে সে টিকতে পারবে না, মাস্তানী না করলে পেটে ভাত জুটবে না............. সহজভাবে জীবন চালানোর কোন সুযোগই নেই দেশে!!!!
১২ ই মে, ২০১৮ সকাল ১০:৩২
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: "ক্লাসের সেরা ছাত্রটি কোটা বিরোধী আন্দোলনের সামনের সারিতে থাকে আর ক্লাসের সবচেয়ে বাজে ছাত্রটি যে কোটার সাহায্যে ভর্তি হয়েছে তাকে পিটাতে যায়।"..............
এখন ক্লাসের শেষ বেঞ্চের ছেলেদের পোয়া বারো। রাজনীতির মধ্যমণি তারা, দেশের মালিকানাও তাদের হাতে।
১২| ১২ ই মে, ২০১৮ সকাল ৮:৪৫
সোহাগ তানভীর সাকিব বলেছেন: প্রচলিত বাংলাদেশের নোংরা রাজনীতির প্রেক্ষাপটে ছাত্র সমাজ এবং তরুণ প্রজন্মের কাছে আপনার করা ১০ টি প্রশ্নের উত্তর নেতিবাচক।
১২ ই মে, ২০১৮ সকাল ১০:৩৪
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: এটা ছাত্ররাও জানে কিন্তু কী এক মোহে আটকে থাকে বলে বেরিয়ে আসতে পারে না।
১৩| ১২ ই মে, ২০১৮ সকাল ৯:৩০
রাজীব নুর বলেছেন: ছাত্র সমাজ ও তরুন প্রজন্মের কাছে ১০ দামী প্রশ্ন করেছেন।
১২ ই মে, ২০১৮ সকাল ১০:৩৫
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: হ্যা, মাত্র ১০টি প্রশ্ন!!
১৪| ১২ ই মে, ২০১৮ সকাল ৯:৪৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনার প্রশ্ন গুলোর ব্যাপারে কিছু প্রশ্ন:
আপনার মতে, ৬নং প্রশ্নের সঠিক জবাব কি হওয়া উচিত?
১২ ই মে, ২০১৮ সকাল ১০:৪০
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: রাজনীতিকে সমাজের সাধারন মানুষ ভাল চোখে দেখে না। বিশেষ করে ছাত্র ও তরুণরা রাজনীতিতে সক্রিয় হোক তা তারা চায় না। আর যারা পড়াশুনা বাদ দিয়ে রাজনীতি করে তাদের প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস থাকে না। সমাজের একটা বাজে/নষ্ট হয়ে যাওয়া ছেলে হিসাবে তাদের দেখা হয়।
১৫| ১২ ই মে, ২০১৮ সকাল ৯:৫০
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনার ৯ নং প্রশ্নে:
সন্ত্রাস, পিকেটিং ও টেন্ডারবাজী, এই ৩ টি প্রক্রিয়া কি সমর্থক, বা প্রায় সমর্থক? এবং খারাপ প্রক্রিয়া গ্রুপের?
১২ ই মে, ২০১৮ সকাল ১০:৪৬
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: এই তিন প্রক্রিয়া খালি চোখে তাকালে সমার্থক মনে হয়। তবে এদের মধ্যে সুক্ষ পার্থক্য আছে। অনেকে পিকেটিং করলেও বড় ধরনের সন্ত্রাসে যুক্ত হয় না। আবার সব সন্ত্রাসী ও পিকেটার টেন্ডারবাজি করে না। টেন্ডারবাজরা সংখ্যায় অল্প হয়। তবে এদের পলিটিকাল কানেকশন অনেক গভীরে থাকে।
১৬| ১২ ই মে, ২০১৮ সকাল ১০:৪৯
মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: চৌধুরী ভাই আগে মিষ্টি পরে কথা,
১২ ই মে, ২০১৮ সকাল ১০:৫১
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: শুভ সকাল, মন্ডল ভাই। এই মিষ্টি আমার খুব প্রিয়।
১৭| ১২ ই মে, ২০১৮ সকাল ১১:১৬
খালেদা শাম্মী বলেছেন: প্রশ্নগুলো যুক্তিসঙ্গত। যত দিন যাচ্ছে, তরুণ সমাজ পথ হারাচ্ছে।
১২ ই মে, ২০১৮ সকাল ১১:২১
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ, আপা। হ্যা, তরুণদের দিক নির্দেশনা দেওয়ার কেউ নেই। নেই চাকরি, নেই অর্থ। এই সুযোগে রাজনীতিবিদরা তাদের ব্যবহার করছে।
১৮| ১২ ই মে, ২০১৮ সকাল ১১:২৫
নীল মনি বলেছেন: রাজনীতি সংক্রান্ত কিছু দেখলে ওদিকে আর তাকায় না।ওসব বড়দের ভাবনা। আমার না
।তবুও কাওসার ভাইয়ের পোস্ট বলে কথা।বহুত কষ্টে লেখাটা পড়েছি।রাজনীতির সাথে জড়িত অনেক বিষয় এসেছে।
আপনার জন্য শুভ কামনা রইল।
১২ ই মে, ২০১৮ সকাল ১১:৩১
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: শুভ সকাল। আসলে আমি সমস্যা নিয়েই বেশি লেখি। এজন্য পড়তে খারাপ লাগে। দেখুন, কেউ না কেউ তো কথাগুলো বলতে হবে। তাই আমি লেখি। লেখার আকার একটু বড় হয় ডিটেলে লেখতে গিয়ে।
কষ্ট করে পড়ার জন্য ধন্যবাদ। অনেক শুভ কামনা আপনার জন্য।
১৯| ১২ ই মে, ২০১৮ সকাল ১১:৩৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
লেখক বলেছেন, " এই তিন প্রক্রিয়া খালি চোখে তাকালে সমার্থক মনে হয়। তবে এদের মধ্যে সুক্ষ পার্থক্য আছে। অনেকে পিকেটিং করলেও বড় ধরনের সন্ত্রাসে যুক্ত হয় না। আবার সব সন্ত্রাসী ও পিকেটার টেন্ডারবাজি করে না। টেন্ডারবাজরা সংখ্যায় অল্প হয়। তবে এদের পলিটিকাল কানেকশন অনেক গভীরে থাকে। "
-আপনি ৩ টাকে সমার্থক বা প্রায় সমার্থক হিসেবে ভেবেছেন; আসলে, "পিকেটিং হলো ওয়ার্কার্স ইউনিয়নগুলোর জন্য একটা "আইনের আওতায় লিগ্যাল একটিভিটি", বাকী ২টি ( সন্ত্রাস ও টেন্ডারবাজী) ক্রিমিনাল একটিভিটি।
১২ ই মে, ২০১৮ সকাল ১১:৩৭
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: তবে পিকেটংটা এখন রাজনীতিতে সন্ত্রাসী কার্যক্রম হিসাবে প্রচলিত।
২০| ১২ ই মে, ২০১৮ সকাল ১১:৩৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
৬ নং সমস্যা আছে: মানুষ যদি রাজনীতি, বা রাজনীতিবিদদের অপছন্দ করে, সেই মানুষগুলো পেছনে-পড়ে-থাকা মানুষ।
আপনি হয়তো, "অপ-রাজনীতি" শব্দটা ব্যবহার করলে ৬ নং আপনার উত্তের সাথে মিলতো। আশাকরি, আপনি লজিক্যাল পার্থক্যটা বুঝতে পারবেন।
১২ ই মে, ২০১৮ সকাল ১১:৪৩
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: আসলে রাজনীতি শব্দটাই আমাদের দেশে নেতিবাচক। কারণ, এই নামটি শুনলে মানুষের মনে ভীতি জাগে। রাজনীতিবিদের এদেশের সাধারন মানুষ বিশ্বাস করে না, ভাল মনে করে না। যে দুই চারজন আছেন তারা হাতে গোনা। এজন্য বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে 'অপ' শব্দটি ব্যবহারের প্রয়োজন নেই। পুরো প্রক্রিয়াটাই খারাপ।
২১| ১২ ই মে, ২০১৮ সকাল ১১:৪১
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: শুভ সকাল সুপ্রিয় ব্লগার।। ভালো লেগেছে আপনার পোস্ট খানা পাঠ করে। একজন মাহাথির মোহাম্মদ ৯২বছর বয়সে বসে থাকতে পারলেন না দেশের মঙ্গলের জন্য। দেশের জন্য দলত্যাগ করলেন। আবারো জিতলেন তার মতন তরুণ (!) পৃথিবীতে আর একটাও নেই। তার মাঝে হতভাগা বাঙালির মুক্তি লাভের উপায় নিহিত আছে। ছোট বেলায় পড়েছিলাম উপদেশ অপেক্ষা দৃষ্টান্ত ভালো। তাকে নিয়ে একটি পোস্ট দিতে পারেন।যেটি আমাদের জন্য দৃষ্টান্ত হতে পারে।
এই লও কলম।
১২ ই মে, ২০১৮ সকাল ১১:৪৭
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: শুভ সকাল, স্যার। আপনি লেখাটি পড়েছেন জেনে ভাল লাগল। মাহাথির যা করে দেখালেন তা সত্যি প্রেরণার। আপনি যেহেতু বলেছেন, চেষ্টা করবো উনাকে নিয়ে একটি ফিচার লেখতে।
শুভ কামনা আপনার জন্য।
২২| ১২ ই মে, ২০১৮ সকাল ১১:৪৫
নীল মনি বলেছেন: আপনি লিখুন।আপনার লেখা ভালো। আপনি লিখতে থাকুন।এসব কিছু কম ববুঝি তাই লিখি ননা।শুভ সকাল।
১২ ই মে, ২০১৮ সকাল ১১:৫১
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: আপনার কথায় অনুপ্রাণিত হলাম। অনেক শুভ কামনা আপনার জন্য। দিনটি ভাল কাটুক, পথ চলা নিরাপদ হোক এই কামনা করি।
২৩| ১২ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৪
ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: তরুণ সমাজের একাংশের হয়ে আমি মনে করি, বাংলাদেশে গনতন্ত্র নেই আজ ২৭১ বছর, এটাই ফ্যাসিবাদ। আমি কোন দিন ভোটই দিবো না। শুধু NID কার্ড লাগে বলে তা নিবো...ধন্যবাদ ভাই।
১২ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১:১৩
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: "আমি কোন দিন ভোটই দিবো না। শুধু NID কার্ড লাগে বলে তা নিবো"......
এই বয়সে তোমার এ উপলব্ধি!! আমার মনের কথাটি বলেছো। NID লাগবে তাই রাখি। বাকী জীবনে সম্ভবত এই কার্ড দিয়ে ভোট দেব না।
২৪| ১২ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১:২১
আহমেদ জী এস বলেছেন: কাওসার চৌধুরী ,
বসবাসযোগ্য একটি বাংলাদেশের স্বপ্নে আপনি বিভোর । কিন্তু বাস্তব এর সম্পূর্ণ ১৮০ ডিগ্রী বিপরীতে ।
মন্তব্য আর তার প্রতিমন্তব্যই তার প্রমান ------
যে গুনগত রাজনীতির কথা বলেছেন তা অন্তত বাংলাদেশে কেয়ামতের আগে আর সম্ভব নয়।
দুইদিন আগে ইন্টারে পড়া একটি ছেলে আমাকে ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট পাঠিয়েছে। তার স্ট্যাটাসে লেখা....... বিশিষ্ট সাংবাদিক ও কলামিস্ট, কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব, ছাত্র নেতা, বিশিষ্ট সংগঠন, কবি ও সাহিত্যিক!!!..
মাহাথির ৯২ বছর বয়সে যত যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি তা আমরা ইন্টারে-ই হাতিয়ে নিয়েছি!
ছাত্ররা রাজনীতি সচেতন হবে, সক্রিয় রাজনীতি নয়। এসময় সে রাজনীতি নিয়ে পড়াশুনা করবে। একজন আদর্শ নাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করবে। দেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার যোগ্যতা অর্জন করবে।.........
তা না করে আমরা কী শেখাচ্ছি তাদের?........ নেতা হতে হলে নেতৃত্বগুণ অর্জন করার শিক্ষা নিতে হয়, রাজনীতির নয়।
বাংলাদেশের ছেলেমেয়েরা রাজনীতি করে না, ওরা দল করে; রাজনীতি একটা কঠিন ও কমপ্লক্স সাবজেক্ট।
আমরা একজন মাহাতির পাই না। পাই ব্যাংক ডাকাত, রেমিটেন্স পাচারকারী, গলাবাজ, বেয়াদব, মুর্খ আর অযোগ্য পরিচালক তথা রাজনৈতিক নেতা।
এরা রাজনীতি কী তা বোঝার আগেই নিজেদের রাজনীতিবিদ হিসাবে ভাবতে শেখে। মিছিল, মিটিং, পিকেটিং, মারামারি, নেতার লেজুড়বৃত্তি করা, গ্রুপ করা, মহড়া দেওয়া ইত্যাদিকে তারা রাজনীতি মনে করে।
দুইটা ডাকাত চক্রের কাছে সবাই জিম্মি। এ চক্র ভাঙা কারো পক্ষে আপাতত ভাঙা সম্ভব নয়। অদূর ভবিষ্যতে হবে সে সম্ভাবনাও দেখছি না।
কোন লাভ নাই ভাই, দেশের যা অবস্থা ছোট থেকে রাজনীতিতে হাতে খড়ি না দিলে এ দেশে সে টিকতে পারবে না, মাস্তানী না করলে পেটে ভাত জুটবে না............. সহজভাবে জীবন চালানোর কোন সুযোগই নেই দেশে!!!!
আপনার প্রতিমন্তব্য দিয়েই শেষ করি, এদেশকে বাসযোগ্য করে তোলার বাস্তবতা - আসলে রাজনীতি শব্দটাই আমাদের দেশে নেতিবাচক। কারণ, এই নামটি শুনলে মানুষের মনে ভীতি জাগে। রাজনীতিবিদের এদেশের সাধারন মানুষ বিশ্বাস করে না, ভাল মনে করে না।
১২ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১:৩৩
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: বাহ! আপনি মন্তব্যের চমৎকার কিছু কোর পয়েন্ট তুলে ধরেছেন। এটাই বর্তমান বাংলাদেশের বাস্তবতা।.............
লেখাটি পড়ার জন্য কৃতজ্ঞতা রইল।
২৫| ১২ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৫
প্রামানিক বলেছেন: বর্তমান তরুণ প্রজন্ম যারা রাজনীতি করে তাদের অনেকেই গণতন্ত্রই বোঝে না, বুঝবে কোথা থেকে এরা হকিস্টিক নিয়ে হৈ হুল্লোড় করে বেরায় ঠিকই কিন্তু রাজনীতি নিয়ে এক পাতা লেখা পড়াও করে না।
১২ ই মে, ২০১৮ রাত ১০:৫০
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: আসলে গণতন্ত্র বোঝার আগেই এরা রাজনীতিবিদ হয়ে যায়।
২৬| ১২ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫০
শামচুল হক বলেছেন: সুন্দর একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন। ধন্যবাদ
১২ ই মে, ২০১৮ রাত ১০:৫১
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: শামচুল ভাই, ধন্যবাদ।
২৭| ১২ ই মে, ২০১৮ রাত ১১:০৭
মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: চৌধুরী ভাই! লাইনে আছেন??
@"(১-১০)সবকয়টি প্রশ্নের উত্তর যদি 'না' হয় তাহলে নিজেকে প্রশ্ন করুন ছাত্র রাজনীতি করবেন কী না?"
-- এই জন্যই আমি রাজনীতি ছেড়েছিলাম।।
১২ ই মে, ২০১৮ রাত ১১:২৮
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ, নিজাম ভাই। আমি বিষয়টির গভীরে গিয়ে লেখার চেষ্টা করেছি। এজন্য কাউকে তিরস্কার না করে, তার কাছে প্রশ্ন রাখলে নিজে থেকেই বুঝতে পারে তার পদক্ষেপ ভুল না শুদ্ধ। এটা সক্রেটিস করতেন। তাই আমি এ প্রশ্নগুলো করেছি।
২৮| ১২ ই মে, ২০১৮ রাত ১১:০৯
মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: কাওসার ভাই,
আহমেদ জী এস, উনি একজন মাষ্টার মাইন্ড লেখক। তুখোড়......
১২ ই মে, ২০১৮ রাত ১১:৩১
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: হ্যা, উনার কিছু লেখা পড়ে বুঝতে পেরেছি। তবে উনার সম্বন্ধে বিস্তারিত তেমন কিছু জানি না। খুব টেলেন্টেড লেখক।
২৯| ১৩ ই মে, ২০১৮ রাত ১২:১৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
লেখক বলেছেন, " তবে পিকেটংটা এখন রাজনীতিতে সন্ত্রাসী কার্যক্রম হিসাবে প্রচলিত। "
-আপনি যখন বিষয় নিয়ে কথা বলবেন, সেটার সঠিক ডেফিনেশনকে সঠিক রাখতে হবে।
১৩ ই মে, ২০১৮ রাত ১২:৪০
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: পরামর্শের জন্য ধন্যবান। বিষয়টি মাথায় রাখবো।
৩০| ১৩ ই মে, ২০১৮ রাত ১:০৩
মাআইপা বলেছেন: সাধারণ মানুষ প্রতিনিয়ত যা দেখছে তার চমৎকার বিশ্লেষণ করেছেন।
শুভকামনা রইল
১৩ ই মে, ২০১৮ রাত ১:৩৫
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ, ভাই।
৩১| ১৩ ই মে, ২০১৮ রাত ১:৪৮
তালাচাবি বলেছেন: "আমাদের দেশের তরুণরা পাওয়ার পলিটিক্সের স্বীকার। অনেক সময় নিজের অজান্তে, মিথ্যা আবেগের বশবর্তী হয়ে পলিটিক্সে জড়িয়ে পড়ে। পড়াশুনা বাদ দিয়ে রাজনীতিকে ধ্যান-জ্ঞান মনে করে। অথচ রাজনৈতিক দলগুলোর নেতৃবৃন্দের উচিৎ ছিল এসব তরুনদের আগলে রাখা, রাজনীতির ময়দান থেকে দূরে রাখা। ভবিষ্যতে কিভাবে দেশকে দক্ষ হাতে নেতৃত্ব দেওয়া যায় তা নিয়ে দিকনির্দেশনা দেওয়া। একজন ছাত্রের নেতৃত্বগুণ অর্জন করার জন্য পড়াশুনার কোন বিকল্প নেই এই ধারণা তাদের মনে গেঁথে দেওয়া। কিন্তু আমরা কী এমন নেতা দেখতে পাই?
আসলে বড় নেতাদেরই বা দোষ দিয়ে লাভ কী? তারাও তো একই প্রক্রিয়ায় নেতা হয়েছেন। নতুন প্রজন্মের নেতৃত্বগুণ অর্জনের তালিম দেওয়ার জন্য যে গুণাবলী নেতাদের মধ্যে থাকার কথা তা অধিকাংশ নেতার মধ্যেই অনুপস্থিত।"..........
আপনার প্রতিটি লেখা এদেশের তরুণ প্রজন্মের জন্য আশীর্বাদ স্বরূপ। বরাবরের মতো চমৎকার যুগোপযোগী আরেকটি লেখা। ভালো থাকবেন, স্যার।
১৩ ই মে, ২০১৮ রাত ১:৫১
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: আপনি সব সময় আমার লেখা পড়ে অনুপ্রাণিত করেন, এজন্য ধন্যবাদ। আপনাদের অনুপ্রেরণা ও আশীর্বাদ আমাকে ভাল লেখতে দায়িত্ববান করে।
©somewhere in net ltd.
১| ১২ ই মে, ২০১৮ রাত ৩:৪০
শহীদ আম্মার বলেছেন: ছাত্রসমাজ আর তরুণ প্রজন্মের কাছে করা প্রশ্নগুলোর উত্তর এই প্রশ্নফাঁস প্রজন্মের পক্ষে দেওয়া সম্ভব নয়, এসবের উত্তর চাঁদগাজীই ভাল দিতে পারবেন। আশাকরি উনি দিবেন।
এছাড়া আপনি যে গুনগত রাজনীতির কথা বলেছেন তা অন্তত বাংলাদেশে কেয়ামতের আগে আর সম্ভব নয়। তাই দুঃখিত!