নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জন্মসূত্রে মানব গোত্রভূক্ত; এজন্য প্রতিনিয়ত \'মানুষ\' হওয়ার প্রচেষ্টা। \'কাকতাড়ুয়ার ভাস্কর্য\', \'বায়স্কোপ\', \'পুতুলনাচ\' এবং অনুবাদ গল্পের \'নেকলেস\' বইয়ের কারিগর।

কাওসার চৌধুরী

প্রবন্ধ ও ফিচার লেখতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। পাশাপাশি গল্প, অনুবাদ, কবিতা ও রম্য লেখি। আমি আশাবাদী মানুষ।

কাওসার চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুক্তিযুদ্ধের চেতনা (প্রবন্ধ)

১৩ ই মে, ২০১৮ রাত ২:৪৪


গত কিছুদিন থেকে ভাবছি বহুল প্রচলিত "চেতনা" শব্দটি নিয়ে কিছু লেখব। পাঠক মহলে বেশ পরিচিত এ শব্দটির প্রচার ও প্রসারের ব্যাপকতা দিনকে দিন বাড়ছে। বিশেষ করে "একাত্তরের চেতনা'', ''মুক্তিযুদ্ধের চেতনা'' এবং ''স্বাধীনতার চেতনা'' নিয়ে ইদানিং অনেক তর্ক-বিতর্ক ও আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে। একাত্তরের চেতনা বিষয়টা কী? এই চেতনা কী নির্দিষ্ট কোন দল বা মতের মানুষের চিন্তা ও ইচ্ছার বহিঃপ্রকাশ? নাকি একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ ও জাতির চিন্তা-চেতনা ও আশা-আকাংখার প্রতীক?

কেউ কেউ মনে করেন যারা মুক্তিযুদ্ধের মালিকানা ও একক কৃতিত্বের দাবি করেন তারা যা বলবেন, যা করবেন তা-ই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা। এতে তা চেতনার বিপরীত হলেও কোন সমস্যা নেই! যারা এর বিরোধিতা করবেন এবং তাদের চেতনা নিয়ে প্রশ্ন তুলবেন তারা ''রাজাকার'' অথবা "স্বাধীনতার বিপক্ষের শক্তি"।

চেতনা (conciousness/sensibility) হলো মনের একটি ধর্ম বা বৈশিষ্ট্য যাকে আরো অনেকগুলো মানসিক বৈশিষ্টের সমষ্টি হিসেবে গণ্য করা হয়। যেমন- আত্মমাত্রিকতা, আত্মচেতনা, অনুভূতিশীলতা, পৃথকীকরণ ক্ষমতা এবং নিজের সত্তা ও আশেপাশের পরিবেশের মধ্যকার সম্পর্ক অনুধাবনের ক্ষমতা। এক কথায় বলতে গেলে চেতনা মানে চৈতন্য, সংজ্ঞা, হুস ও অনুভূতি।

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের অনকেগুলো গুরুত্বপূর্ণ উদ্দেশ্যের মধ্যে অন্যতম ছিল বৈষম্যের অবসান করা। চাকরির ক্ষেত্রে বাঙালিদের প্রতি পশ্চিম পাকিস্তানীদের বৈষম্য ছিল চোখে পড়ার মতো। বাঙালিদের সব রকম যোগ্যতা থাকার পরও পদোন্নতি ও মর্যাদার ক্ষেত্রে সীমাহীন বৈষম্য করা হত। অপেক্ষাকৃত কম যোগ্যতা নিয়ে পশ্চিম পাকিস্তানীরা সহজে পদোন্নতি পেত এবং বাঙালিদের তুলনায় অধিক সুযোগ সুবিধা পেত। এটা ছিল বাঙালি জাতির জন্য চরম অপমানের ও কষ্টের।

পাকিস্তানীদের অন্যায় আচরণ, বৈষম্য, নির্যাতন, শোষণ ও বঞ্চনার ফলে বাঙালিরা নিজেদের দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক মনে করতেন। বিশেষ করে পূর্ব পাকিস্তানের হিন্দুরা সবচেয়ে বেশী বৈষম্যের স্বীকার হতেন। এজন্য পূর্ব পাকিস্তানের মানুষ নিজেদের অধিকার ও মর্যাদা আদায়ের জন্য প্রথমত স্বায়ত্তশাসনের দাবী উত্থাপন করেছিল। যা পরবর্তী সময়ে মুক্তিযুদ্ধে রূপ নেয়।


একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে ত্রিশ লক্ষ তাজা প্রাণ ঝরে গেল। তাদের রক্তের বন্যায় সাতরিয়ে অর্জিত হলো বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ অর্জন স্বাধীনতা। আমরা কী পেরেছি তাদের স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ে তুলতে? একটি অন্যায় অত্যাচার ও শোষণমুক্ত সোনার বাংলা গড়তে? তারা স্বপ্ন দেখেছিলেন ক্ষুধামুক্ত, বৈষম্যমুক্ত একটি সমাজ, একটি রাষ্ট্রের। এটাই ছিল তাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা। আমরা স্বাধীনতার এত বছর পরও কী পেরেছি ত্রিশ লক্ষ শহীদের তালিকা করতে? তাদের নাম ঠিকানা জাতির সামনে তুলে ধরতে? না, পারিনি। তাহলে এটা কী মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থী নয়?

স্বাধীনতার পর মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে দেশটির নাম দেওয়া হয় ''গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ''। অর্থাৎ বাংলাদেশের জনগনের নিজেদের শাসন করার অধিকার সহ একটি সার্বভৌম ভূমি, যেখানে বাঙালিরা নিজেদের বৈশিষ্ট্য ও স্বকীয়তা নিয়ে সব ধরনের বৈষম্য ও সামাজিক ন্যায়বিচার পরিপন্থী কর্মকাণ্ড থেকে মুক্ত থাকবে।

মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সাথে ''চেতনা'' শব্দটির বৈশিষ্ট্যগত কিছু পার্থক্য আছে। কেননা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা কিছু নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য ও চিন্তা-ধারার উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছিল। এজন্য মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বুঝতে হলে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের পটভুমি জানাটা জরুরী। আমরা জানি, বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন হয়েছিল নিজের মাতৃভাষায় কথা বলা, নিজেদের অনুভূতি প্রকাশ করা ও লেখার অধিকারের চেতনা নিয়ে। আর সেই চেতনাকে ভিত্তি করে সমগ্র জাতি স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলন করে ভাষার অধিকার আদায় করেছিল।

মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বুঝতে হলে যুদ্ধের পূর্ববর্তী দেওয়া ঘোষণাগুলো এবং ৩রা মার্চ, ১৯৭১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের দেওয়া বিভিন্ন দফাগুলো পর্যালোচনা করতে হবে। তাদের ঘোষিত ৬ দফা, ১১ দফা ও স্বাধীনতার ইশতেহার জানতে হবে। শুনতে হবে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষনটি, বুঝতে হবে এর মর্মবাণী।


ছয় দফায় যে বিষয়ে দাবি জানানো হয়েছিল সেগুলো হলো-

(১) শাসনতান্ত্রিক কাঠামো ও রাষ্ট্রের প্রকৃতি।
(২) কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতা।
(৩) মুদ্রা ও অর্থ বিষয়ক ক্ষমতা।
(৪) রাজস্ব কর ও শুল্ক বিষয়ক ক্ষমতা।
(৫) বৈদেশিক বাণিজ্য বিষয়ক ক্ষমতা।
(৬) আঞ্চলিক সেনাবাহিনী গঠনের ক্ষমতা।

আসুন দেখি ১১ দফা কর্মসূচীতে কী ছিল-

(১) শিক্ষা সমস্যার আশু সমাধান। অর্থাৎ হামুদুর রহমান শিক্ষা কমিশন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল আইন বাতিল করা এবং ছাত্রদের সকল মাসিক ফি কমিয়ে আনা।
(২) প্রাপ্তবয়স্ক ভোটে প্রত্যক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে সংসদীয় গনতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্টা করা। পত্রিকাগুলোর স্বাধীনতা দেওয়া এবং দৈনিক ইত্তেফাকের প্রকাশনার নিষেধাজ্ঞা তুলে ফেলা।
(৩) ছয় দফা দাবির প্রেক্ষিতে পূর্ব পাকিস্তানে পুনঃ স্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠা করা।
(৪) পশ্চিম পাকিস্তানের সকল প্রদেশগুলোকে স্বায়ত্তশাসন দিয়ে একটি ফেডারেল সরকার গঠন করা।
(৫) ব্যাংক, বীমা, পাটকল সহ সকল বৃহৎ শিল্প জাতীয়করণ করা।
(৬) কৃষকদের উপর থেকে কর ও খাজনা হ্রাস এবং পাটের সর্বনিম্ন মূল্য ৪০ টাকা ধার্য করা।
(৭) শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরী, চিকিৎসা, শিক্ষা ও বাসস্থানের ব্যবস্থা করা এবং শ্রমিক আন্দোলনের অধিকার দেওয়া।
(৮) পূর্ব পাকিস্তানের বণ্যা নিয়ন্ত্রণ ও জল সম্পদের সার্বিক ব্যবহারের ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
(৯) জরুরী আইন, নিরাপত্তা আইন ও অন্যান্য নির্যাতনমূলক আইন প্রত্যাহার করা।
(১০) সিয়াটো (seato), সেন্ট্রো (centro)-সহ সকল পাক-মার্কিন সামরিক চুক্তি বাতিল এবং জোট বহির্ভূত নিরপেক্ষ পররাষ্ট্রনীতি গ্রহণ করা।
(১১) আগরতলা মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তি সহ দেশের বিভিন্ন কারাগারে আটক ছাত্র, শ্রমিক, কৃষক ও রাজনৈতিক কর্মীদের মুক্তি এবং অন্যান্যদের উপর থেকে গ্রেফতারি পরোয়ানা প্রত্যাহার করা।

এবার দেখি স্বাধীনতার ইশতেহারে কী ছিল-

(১) স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ গঠন করে পৃথিবীর বুকে একটি বলিষ্ঠ বাঙালি জাতি সৃষ্টি ও বাঙালির ভাষা, সাহিত্য, কৃষ্টি ও সংস্কৃতি বিকাশের ব্যবস্থা করা।
(২) স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ গঠন করে অঞ্চলে অঞ্চলে, ব্যক্তিতে ব্যক্তিতে বৈষম্য নিরসন কল্পে সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতি চালুর জন্য কৃষক শ্রমিক রাজনীতি চালু করা।
(৩) স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ গঠন করে ব্যক্তি, বাক ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা সহ নির্ভেজাল গনতন্ত্র কায়েম করা।


এই তিনটি ধারা বিশ্লেষণ করলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়। যেমন-

(১) সবার জন্য শিক্ষা নিশ্চিত করা। যেখানে ধনী গরীবের কোন বৈষম্য থাকবে না।
(২) প্রত্যক্ষ ও নিরপেক্ষ ভোটের মাধ্যমে সংসদীয় গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা।
(৩) সংবাদপত্রের অবাধ স্বাধীনতা।
(৪) কৃষক ও শ্রমিকদের অধিকার আদায় এবং তাদের রাজনীতিতে অংশগ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি করা। শ্রমিকদের উপযুক্ত মজুরী, শিক্ষা, চিকিৎসা ও বাসস্থানের ব্যবস্থা করা এবং তাদের অধিকার আদায়ের আন্দোলন গুলোকে অনুমতি দেওয়া।
(৫) নির্যাতনমূলক যাবতীয় আইন প্রত্যাহার করা সহ দেশের স্বার্থ বিরোধী যে কোন আইন বাতিল করা।
(৬) স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ গঠনের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী নিজেদর ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতির বিকাশ করা।
(৭) মানুষের মধ্যে অর্থনৈতিক ও সামাজিক বৈষম্য দূর করে একটি ন্যায় ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করা।
(৮) আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা।
(৯) মানুষের বাক স্বাধীনতার পূর্ণ অধিকার নিশ্চিত করা।
(১০) অসাম্প্রদায়িক চেতনায় একটি দেশ গড়ে তোলা, যেখানে সবাই সমমর্যাদায় বসবাস করবে।

এক কথায় বলতে গেলে একটি মর্যাদাবান বাঙালি জাতি, বৈষম্যহীন সমাজ ব্যবস্থা ও সকল মানুষের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণে গনতান্ত্রীক রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করাই হচ্ছে ''মুক্তিযুদ্ধের চেতনা''। এই চেতনা কোন নির্দিষ্ট দল বা গোষ্ঠীর ইচ্ছার বহিঃপ্রকাশ নয় বা এর মালিকানার কৃতিত্ব কারো নেই। যারা মুক্তিযুদ্ধের উল্লেখিত চেতনা পুরোপুরি অনুধাবন করে নিজেদের মধ্যে ধারণ করবেন তারাই এই চেতনার বাহক। এই চেতনা দেখা যায় না, ছোয়া যায় না। শুধু অনুভব করা যায় হৃদয়ের গভীর বদ্ধ কুটিরে। একে লালন করতে হয় গভীর ভালবাসা ও মমতা দিয়ে, একান্ত আপন মনে।


মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তের মূল্য দেশ গঠনে অবদান রেখে পরিশোধ করাই হলো চেতনা; কয়েক লক্ষ মুক্তিযোদ্ধার আত্মত্যাগের মর্মবাণী অনুধাবন করাই হলো চেতনা; মুক্তিযুদ্ধে নিহত মানুষদের নির্ভুল তালিকা করাই হচ্ছে চেতনা; মুক্তিযুদ্ধে সকল মুক্তিযোদ্ধার অবদান স্বীকার করা হলো চেতনা; বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর অবদান স্বীকার করাই হলো চেতনা; মুক্তিযুদ্ধের আগে ও পরে যারা দেশ গঠনে ও জনমত তৈরীতে অবদান রেখেছেন তাদের কথা স্বরণ রাখাই হলো চেতনা। দেশকে ঐক্যবদ্ধ রাখাই হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা। পাশাপাশি, ভূয়া মুক্তিযোদ্ধাদের খুঁজে বের করে তাদের বিচারের আওতায় আানাও চেতনা; যারা ভূয়া মুক্তিযোদ্ধাদের টাকার বিনিময়ে তালিকাভূক্ত করতে সহযোগিতা করেছে তাদের চিহ্নিত করে শাস্তি দেওয়াই হচ্ছে চেতনা। আর চেতনার নামে যারা দেশকে বিভক্ত করছে, নতুন প্রজন্মকে বিভ্রান্ত করছে তাদের পরিত্যাগ করাও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা।

এছাড়া যারা দেশপ্রেমের নামে, চেতনার নামে ক্ষমতায় থেকে দেশ বিক্রি করে, ব্যাংকের টাকা মারে, শেয়ারবাজার হরিলুট করে, বিদেশে রেমিটেন্স পাচার করে, অবৈধভাবে নামে বেনামে কোটি কোটি টাকার সম্পদের পাহাড় গড়ে, ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে বিদেশে সেকেন্ড হোম/বেগম পাড়ার বাসিন্দা হয় এরাই হচ্ছে আসল স্বাধীনতার চেতনা বিরোধী, মুখোশধারী নব্য রাজাকার ও দেশদ্রোহী।

চেতনার বিপরীত শব্দ হলো- অচৈতন্য বা অজ্ঞতা। আরেকটু খোলাসা করে বল্লে মূর্খতা। এজন্য যত্র-তত্র প্রয়োজনে কিংবা অপ্রয়োজনে চেতনা শব্দটির ব্যবহার দেশ ও জাতির জন্য ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনে। বিশেষ করে কোন বিশেষ উদ্দেশ্যে অথবা কোন বিশেষ দল বা শ্রেণীর মানুষকে উপযুক্ত কারণ ছাড়া জাতীয় চেতনা বিরোধী বলে আখ্যায়িত করলে জাতির মধ্যে বিভক্তি ও ঘৃণা আগ্নেয়গিরির লাভার মতো ছড়িয়ে পড়ে। মানুষকে আক্রমন করে, অপমান করে চেতনার বাণী প্রচার করা যায় না। এজন্য আগে যিনি চেতনার কথা বলবেন তাকে জাতীয় চেতনার ধারক ও বাহক হতে হবে। আর তা প্রচার করতে হবে সুন্দর করে নিজের কর্ম ও চিন্তা-চেতনা দিয়ে। কাউকে চেতনার নামে অপমান করাকে বলে মূর্খতা, আর নিজে প্রথমে চেতনা ধারণ করে তা দেশব্যাপী ছড়িয়ে দেওয়া হলো চৈতন্য।

একটি ঘটনার বিবরণ দিয়ে লেখাটি শেষ করবো, কিছুদিন আগে আমার পরিচিত এক ভদ্রলোক বলেন, উনাদের গ্রামে একজন মহা প্রতাপশালী ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা আছেন। রাজনৈতিক হাত বেশ লম্বা হওয়ায় তিনি মুক্তিযোদ্ধা বাছাই কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন। কয়েকদিন আগে, একটি জেলায় প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা বাছাই করে ফিরে এসে ছেলেকে ৮৩,০০০ টাকা দামের আইফোন কিনে দিয়েছেন!! এজন্য বলি কী সরষের মধ্যে গুপটি মেরে বসে থাকা ভূতটি তাড়াতে হবে সবার আগে। না হলে চেতনা চেতনা বলে গলা ফাটালেও চেতনার দেখা মিলবে না।।



ফটো ক্রেডিট,
গুগল।

মন্তব্য ৬১ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৬১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই মে, ২০১৮ রাত ৩:৩৪

শহীদ আম্মার বলেছেন: মুক্তিযোদ্ধের ইতিহাস লিখা বা বলার জন্য আপনি কি সরকার থেকে অনুমতি নিছেন? এটা সরকার অনুমোদিত ব্যক্তি, টিভি চ্যানেল এবং পত্রিকা ছাড়া অন্য কারো জন্য করা উচিত।

১৩ ই মে, ২০১৮ রাত ৩:৩৯

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: হাসালেন।
রাত্রি নিশিতে চুপি চুপি লেখলাম। সরকার এখন চেতনাহীনভাবে ঘুমিয়ে আছে।

২| ১৩ ই মে, ২০১৮ রাত ৩:৩৫

শহীদ আম্মার বলেছেন: নয়।

১৩ ই মে, ২০১৮ রাত ৩:৪৫

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: "এটা সরকার অনুমোদিত ব্যক্তি, টিভি চ্যানেল এবং পত্রিকা ছাড়া অন্য কারো জন্য করা উচিত নয়।"...........
আমি কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের একজন তরুণ চেতনার কারবারি। আশা করি সরকার বিষয়টি বিবেচনা করবেন। বলতে পারেন, আমিও একজন মুক্তিযোদ্ধা!! কেউ যুদ্ধ না করে যদি মুক্তিযোদ্ধা হতে পারে, তাহলে আমি মুক্তিযুদ্ধের গল্প শুনে মুক্তিযোদ্ধা হব না কেন?

৩| ১৩ ই মে, ২০১৮ রাত ৩:৫২

শহীদ আম্মার বলেছেন: সরকার চেতনাহীনভাবে ঘুমিয়ে নেই বরং কখন আপনারে চেতনাহীন করে গুম করে ফেলে এ ভয়ে আছি।
আপনি যা লিখছেন তাতে বুঝায় যাচ্ছে সরকারের সফলতা আর অর্জন দেখে আপনার চুলকানি শুরু হয়েছে। চুলকানিটা জেনেটিক কারণে হয়েছে কিনা ডাক্তার দেখাতে পারেন। আপনার সৎ মা টা কেউ রাজাকার ছিলো হয়তো।

১৩ ই মে, ২০১৮ ভোর ৪:০০

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: "সরকার চেতনাহীনভাবে ঘুমিয়ে নেই বরং কখন আপনারে চেতনাহীন করে গুম করে ফেলে এ ভয়ে আছি। আপনি যা লিখছেন তাতে বুঝায় যাচ্ছে সরকারের সফলতা আর অর্জন দেখে আপনার চুলকানি শুরু হয়েছে। চুলকানিটা জেনেটিক কারণে হয়েছে কিনা ডাক্তার দেখাতে পারেন। আপনার সৎ মা টা কেউ রাজাকার ছিলো হয়তো।".......

সরকার আমাকে "চেতনা মন্ত্রী'' বানিয়ে দিলে আর লেখালেখি করবো না। চেতনার কথা বলে কতশত মানুষ গত ১০ বছরে আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়েছে। আমি তো কিছুই পাইলাম না! তাই মনের জ্বালা মেটাতে লিখি।

৪| ১৩ ই মে, ২০১৮ ভোর ৪:০১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার চেতনা ১৯৭৫ পর্যন্ত বিপন্ন ছিলনা।

৭৫ এর পর পরাজিত পক্ষ খুনখারাপি করে ক্ষমতা দখল করে যুদ্ধাপরাধীদের পাকিস্তান থেকে ফিরিয়ে এনে প্রশাসনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে রোপন করে।
দির্ঘ ২১ বছর মিডিয়াতে জয়বাংলা বা বংগবন্ধু সব্দটি উচ্চারিত হতে পারে নাই।

স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ পক্ষ ক্ষমতায় এসে বিপন্ন স্বাধীনতার চেতনা ফিরিয়ে ফিরিয়ে আনতেও রাজাকার সমর্থকদের বিরামহীন বিদ্রুপের সম্মুখীন হতে হচ্ছে।

১৩ ই মে, ২০১৮ ভোর ৪:০৯

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: আপনার কথাটি যুক্তিসংগত। কিন্তু ইদানিং চেতনার কথা বলে ব্যাংক লুটপাট হয়, বিদেশে টাকা পাচার হয়, বিরোধী মতকে হামলা মামলা দিয়ে নাজেহাল করা হয়। আপনি একটি নির্দিষ্ট দলের সমর্থক না হলে আপনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী!! এমনকী ৭১ এর পরে জন্ম নিলেও!! এই কথাটি এখন জাতীয় চেতনায় নেই। তা হয়ে গেছে একটি স্বার্থপর গোষ্ঠীর আখের গোছানোর স্লোগান।

নামে স্বাধীনতার চেতনার প্রচার করা আর নিজের মধ্যে তা ধারণ করার মধ্যে বিস্তর ফারাক। এরা সুকৌশলে শুধুমাত্র রাজনৈতিক ফায়দা লুটের জন্য চেতনার কথা বলে জাতিকে বিভক্ত করছে। চেতনার কথা মুখে বলতে হয় না, মানুষের কর্মেই তা প্রকাশ পায়।

৫| ১৩ ই মে, ২০১৮ ভোর ৪:১৫

শহীদ আম্মার বলেছেন: কাওসার ভাই, আমার ৫নং মন্তব্য টা ডিলিট করে দেন । উটা কপি পেস্ট এ ভূল হয়েছে। আমি আবার লিখবো।

১৩ ই মে, ২০১৮ ভোর ৪:১৯

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: ডিলেট করছি।

৬| ১৩ ই মে, ২০১৮ ভোর ৪:১৮

মিথী_মারজান বলেছেন: দফাগুলো আগেও পড়েছিলাম।
আজ আবার পড়ে ভালোলাগলো।
এখন আমরা শুধু দফাগুলোর রফা দেখছি।

আপনি যে ভালো লিখেন তা বলার অপেক্ষা রাখেনা।
চৈতন্যবোধের উদয় হোক সবার।

১৩ ই মে, ২০১৮ ভোর ৪:৩০

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: আপা, শুভেচ্ছা নেবেন। আসলে দেশের অরাজকতা দেখে খুব কষ্ট পাই তাই লেখি। যানি না কতটুকু বিষয়ের গভীরে গিয়ে লেখতে পারি। তবে প্রতিটি বিষয়ে অনেক যত্ন করে লেখি যাতে পাঠকরা একটি সুন্দর উপসংহার পান।

গতকাল প্রথম আলোর বার্তা বিভাগে ফোন দিয়ে বলেছিলাম, আমি আপনাদের পত্রিকার একজন "একনিষ্ঠ" পাঠক। আমাকে যদি সম্পাদকীয় পাতায় লেখতে অনুমতি দিতেন? ............

উত্তরে তিনি বল্লেন, দেশের সব বিশিষ্টজনেরা এ পাতায় লেখেন। তাই আপনার লেখা ছাপানো যাবে না। আমি জানতে চাইলাম, বিশিষ্ট জন হতে আমাকে কী করতে হবে তা যদি বলতেন তাহলে বিশিষ্ট জন হয়ে তারপর ফোন দিতাম। কথাটি শুনেই ভদ্রলোক "ঘটাশ" করে ফোনটি রেখে দিলেন।........

বুঝতে পারলাম, একটা বড় বেয়াদবি 'স্যারের' সাথে করে ফেলেছি!!

৭| ১৩ ই মে, ২০১৮ ভোর ৪:২২

শহীদ আম্মার বলেছেন: বিপন্ন স্বাধীনতার চেতনা ফিরিয়ে আনতে ইনু-মতিয়ারা আজকে বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশের মন্ত্রী!!!

১৩ ই মে, ২০১৮ ভোর ৪:৩২

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: যাক মানুষ তো ভুল থেকে শিক্ষা নেয়। উনারা হয়তো এখন সাচ্ছা চেতনাবাজ। তাই এটা বল্লে এখন আপনি রাজাকার হয়ে যাবেন।

৮| ১৩ ই মে, ২০১৮ ভোর ৪:৪৩

মিথী_মারজান বলেছেন: প্রতিমন্তব্যের শেষের লাইনগুলো পড়ে আমি হাসি থামাতে পারছিনা।
থাক্ ভাইয়া, বিশিষ্ট মানুষদের নামীদামী কাতারে গিয়ে কাজ নেই আপনার।
তারজন্য লেখা থামানো চলবেনা।
আপনি লিখুন এবং লেখা পাঠান।
সম্পাদকীয় পাতায় না হোক, অন্য পাতাতেই নাহয় জায়গা দখল করা শুরু করুন।
বিশিষ্ট জন হয়ে উঠতে পারবেন কিনা জানিনা তবে পাঠকের মনে অবশ্যই বিশেষ জায়গা পাবেন অচিরেই।

আপনার সিরিয়াস রিপ্লাইতে হেসেছি জন্য দুঃখিত।
ভাল থাকুন।
আর লিখুন।:)

১৩ ই মে, ২০১৮ ভোর ৫:০০

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: আপনি, হাসলেন!!
যাক কী আর করা, বিশিষ্ট জন হওয়ার লাইনে তো আমি নেই, তাই প্রথম আলোর পাঠকরা আমাকে খুঁজে পাবেন বলে মনে হয় না।.........

পরে আবশ্য, বাংলাদেশ প্রতিদিনে ফোন দিয়েছিলাম। উনাকে, বিনয়ের সাথে স্যার বলায়, একটু সময় দিলেন কথা বলতে। পরে ঐ একই সূর। তবে আমার পড়ালেখার কথা বলতে সূরটা একটু নমনীয় হলো। ই-মেইল নাম্বার দিয়ে বল্লেন দুই একটি লেখা পাঠান, সম্ভব হলে ছাপাতে পারি।........

জবাবে বল্লাম। স্যার এই কথাটি বলেেছেন এজন্য অনেক কৃতজ্ঞ আপনার প্রতি। স্যার গো প্লীজ একখান লেখা ছাপান (কথাটি মনে মনে বলা)। পরে মেইল করে একটা লেখা পাঠিয়েছি। দেখা যাক, গোবরে পদ্ম ফুটে কী না।

এই বান্দার জন্য সহিহ আশীর্বাদ করবেন, প্লীজ।

৯| ১৩ ই মে, ২০১৮ ভোর ৪:৪৬

শহীদ আম্মার বলেছেন: ঐ যে বলেছিলাম না? এখন সরকারের অনুমোদনের গুরুত্ব বুঝলেন? আপনি নিজেকে খাঁটি মুক্তিযোদ্ধা বা মুক্তিযোদ্ধের পক্ষের লোক প্রমাণ করতে না পারলে আপনার কপালে অন্ধকার ছাড়া আলোর ভূবনে প্রবেশাধিকার নেই। তাই পানি পড়া আর ঝাড়ফুঁক করে আগে রাজাকারি ভূত তাড়ান।

১৩ ই মে, ২০১৮ ভোর ৫:০৫

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: পানি পড়া আর ঝাড়ফুঁক করে
আগে রাজাকারি ভূত তাড়ান।......

পানি পড়া আর ঝাঁড়ফুকেও এখন ভেজাল। ভাবছি সহীহ্ তরিকার দেওয়ানবাগী হুজুরের কাছ থেকে তেল পড়া, পানি পড়া আনবো। শুনেছি তিনি নাকি মুক্তিযোদ্ধা। খাঁটি ইসলামী চেতনাবাজ।

আপনি কী বলেন, যাব?

১০| ১৩ ই মে, ২০১৮ ভোর ৫:০৫

এমজেডএফ বলেছেন: "মুক্তিযুদ্ধের চেতনা"-কে আওয়ামী লীগের দলীয়করনের জন্য চেয়ে জিয়া ও বিএনপি বেশি দায়ী। কারণ তারাই ক্ষমতায় আসার পর আওয়ামী লীগের বিরোধীতা করতে গিয়ে স্বাধীনতা যুদ্ধের সব গান, শ্লোগান, বক্তৃতা প্রচার সম্পূর্ণ বন্ধ করে দিয়েছিল। শুধু তাই নয়, বিএনপি স্বাধীনতা বিরোধীদের দলে বিড়িয়েছিল। অথচ জিয়া নিজেও একজন মুক্তিযোদ্ধা! ফলাফল "মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষে ও বিপক্ষে দুই মেরুকরন"।

১৩ ই মে, ২০১৮ ভোর ৫:১০

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: "তারাই ক্ষমতায় আসার পর আওয়ামী লীগের বিরোধীতা করতে গিয়ে স্বাধীনতা যুদ্ধের সব গান, শ্লোগান, বক্তৃতা প্রচার সম্পূর্ণ বন্ধ করে দিয়েছিল। শুধু তাই নয়, বিএনপি স্বাধীনতা বিরোধীদের দলে বিড়িয়েছিল। অথচ জিয়া নিজেও একজন মুক্তিযোদ্ধা! ফলাফল "মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষে ও বিপক্ষে দুই মেরুকরন"।.................

আপনার কথাটিও ঠিক। জিয়া নিজেও একজন মুক্তিযোদ্ধা হয়ে এটা করা ঠিক হয়নি। ফলাফলে আজ জাতি বিভক্ত। এরা শুধু ক্ষমতায় ঠিকে থাকার জন্য, ভোটের হিসাব নিজেদের পক্ষে নেওয়ার জন্য স্বাধীনতার চেতনাকে মাটি চাঁপা দিয়েছেন।

১১| ১৩ ই মে, ২০১৮ ভোর ৫:০৯

হাফিজ বিন শামসী বলেছেন:



চেতনার মূল উদ্দেশ্য যখন ক্ষমতায় আঁকড়ে থাকা চেতনার সংজ্ঞা তখন ক্ষমতার আসনকে কেন্দ্র করে
সংজ্ঞায়িত হয়।

১৩ ই মে, ২০১৮ ভোর ৫:১২

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: হ্যা, এটাই হচ্ছে এখন। ফলাফল জাতি বিভক্ত।

১২| ১৩ ই মে, ২০১৮ ভোর ৫:১০

শহীদ আম্মার বলেছেন: ওখানে গেলে রাজাকারি আর ঈমানদারী দুটাই যাবে। এরচেয়ে কামরুলের পানি পড়া অনেক ভাল। শুনেছি উনার পরিবার শান্তি বাহিনীর আখড়া ছিল। উনি এখন খাঁটি মুুক্তিযোদ্ধা । আশা করি পানি পড়াও খাঁটি হবে।

১৩ ই মে, ২০১৮ ভোর ৫:১৫

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: তবে, ফরিদপুরী বিয়াইয়ের বাড়িও যাওয়া যায়। শুনেছি তিনি বড় দিল দরিয়া মানুষ। হাদিয়া ছাড়াই পানি পড়া দেবেন। ৭১-এ নাকি উদার হস্তে পাকিস্তানীদের "হুর" সাপ্লাই করতেন তিনি।.......

১৩| ১৩ ই মে, ২০১৮ ভোর ৫:১৫

শহীদ আম্মার বলেছেন: @এমজেডএফঃ
"মুক্তিযুদ্ধের চেতনা"-কে আওয়ামী লীগের দলীয়করনের জন্য চেয়ে জিয়া ও বিএনপি বেশি দায়ী। কারণ তারাই ক্ষমতায় আসার পর আওয়ামী লীগের বিরোধীতা করতে গিয়ে স্বাধীনতা যুদ্ধের সব গান, শ্লোগান, বক্তৃতা প্রচার সম্পূর্ণ বন্ধ করে দিয়েছিল। শুধু তাই নয়, বিএনপি স্বাধীনতা বিরোধীদের দলে বিড়িয়েছিল। অথচ জিয়া নিজেও একজন মুক্তিযোদ্ধা! ফলাফল "মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষে ও বিপক্ষে দুই মেরুকরন"।

ভাই একদম মনের কথা বলছেন। আমি আর একটু যোগ করি; এরপর আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধুর চেয়ে জিয়াকে বেশি অনুসরণ করেছে।

১৩ ই মে, ২০১৮ ভোর ৫:১৮

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: ঠিক বলেছেন। আগের অপকর্ম আর অপপ্রচারকে টেক্কা দিতে আওয়ামী লীগ সুপারসনিক গতিতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে পঁচিয়েছে।

১৪| ১৩ ই মে, ২০১৮ ভোর ৫:২৯

কাওছার আজাদ বলেছেন: মুক্তি যুদ্ধের চেতনা নিয়ে বর্তমান ব্যাবসা চলতেছে। যুদ্ধ না করেও বীর মুক্তিযোদ্ধা। কিন্তু আসল যোদ্ধাদের কোনো খোঁজ খবর নেই। এটাই তো বাংলাদেশ। এখানে সব সম্ভব।

১৩ ই মে, ২০১৮ ভোর ৫:৩৩

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: "মুক্তি যুদ্ধের চেতনা নিয়ে বর্তমান ব্যাবসা চলতেছে। যুদ্ধ না করেও বীর মুক্তিযোদ্ধা। কিন্তু আসল যোদ্ধাদের কোনো খোঁজ খবর নেই। এটাই তো বাংলাদেশ।".........

বাংলাদেশে, এক লাখের বেশি ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা।..... এতে চেতনায় কোন ভাটা পড়ে না। কারণ, এদের বেশিরভাগই চেতনাবাজরা তালিকাভূক্ত করেছে।

১৫| ১৩ ই মে, ২০১৮ ভোর ৫:৩০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: বাপরে বাপ! এতক্ষণ দমবন্ধ করে চেতনার বিপ্লব পড়লাম। আমারা এপারে অবশ্য চেতনার ভাই বিবেককে বেশি ডাকাডাকি করি। সেক্ষেত্রে বলা হয় বিবেকানন্দের মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গ তারও অপমৃত্যু ঘটেছে। যেকারনে তার অশরীয় আত্মাাকে নিয়ে আমরা আর টানাটানি করিনা। আপনাকেও একই পরামর্শ দেবো ভাই প্লীজ এই দুই ভাইকে ছেড়ে দিন। আমরা বরং তাদের আত্মার শান্তিকামনায় এক মিনিট নিরাবতা পালন করি।

বরাবরের মত আজও অসাধারন লিখেছেন। এলেখা একটা বিশেষ জায়গায় গেলে তবেই সম্ভব। এর জন্য আলাদা কোয়ালিটি দরকার। আর ঐ যে বললাম, ভোরের আলো , যার সারাক্ষণ অন্ধকার আলোর পথযাত্রী নয়, বরং অন্ধকারে বেশি নিরাপদ সে আপনাকে সুযোগ দিয়ে নির্বুদ্ধিতাা কাজ করবে না, পাছে যদি আপনার হাত দিয়ে প্রকৃত ভোর আসে।

শুভ সকাল প্রিয় কাওসার ভাই। অনেক অনেক ভাল লাগা আপনাকে।

১৩ ই মে, ২০১৮ ভোর ৫:৩৮

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: শুভ সকাল, প্রিয় পদাতিক চৌধুরী ভাই।..........
কখন রওয়ানা দেবেন?.......
আর আপনি তো দেখছি আমার কমেন্টগুলোও পড়েছেন!! যাক, লেখে যাই, আশা করি একদিন হয়তো মূল্য পেলেও পেতে পারি।

আরেকটি কথা, পঞ্চায়েত নির্বাচন কী? যদি একটু বলতেন............ কিছুই জানা নেই, তবে জানার কৌতুহল অনেক দিন থেকে।

১৬| ১৩ ই মে, ২০১৮ ভোর ৬:০২

শহীদ আম্মার বলেছেন: @পদাতিক চৌধুরি
"আর ঐ যে বললাম, ভোরের আলো , যার সারাক্ষণ অন্ধকার আলোর পথযাত্রী নয়, বরং অন্ধকারে বেশি নিরাপদ সে আপনাকে সুযোগ দিয়ে নির্বুদ্ধিতাা কাজ করবে না, পাছে যদি আপনার হাত দিয়ে প্রকৃত ভোর আসে।"

আপনার এ ঝালের সাথে আরেকটু টক মিশায়। আর তাহলো, গ্রামে কিছু লোক দেখবেন যারা অন্ধকারে বসে অন্যের উপর টর্চের আলো ফেলে অন্ধকারে কে-কোথায়-কি করে গোয়েন্দাগিরি করে অথচ ঐ ক্রিমিনালের খবর নাই সে যে নিজেই অন্ধকারে বসে আছে। বদমাশ!

১৩ ই মে, ২০১৮ ভোর ৬:০৯

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: "আপনার এ ঝালের সাথে আরেকটু টক মিশায়। আর তাহলো, গ্রামে কিছু লোক দেখবেন যারা অন্ধকারে বসে অন্যের উপর টর্চের আলো ফেলে অন্ধকারে কে-কোথায়-কি করে গোয়েন্দাগিরি করে অথচ ঐ ক্রিমিনালের খবর নাই সে যে নিজেই অন্ধকারে বসে আছে। বদমাশ!"........

বাহ! চমৎকার কথা বলেছেন।

১৭| ১৩ ই মে, ২০১৮ সকাল ৮:১৫

রুদ্র নাহিদ বলেছেন: চেতনা, মূর্খতা, পারষ্পরিকক হিংসা-প্রতিহিংসায় আমরা সাধারণ মানুষ পুতুল হয়ে আছি। দুই দল নিজেদের নোংরা রাজনীতিতে দেশের আজ করুন অবস্থা। দুই দলের এই প্রতি হিংসার রাজনীতি থেকে বের হতে হবে। আগে কে কি করসে সব বাদ। তা না হলে জাতির জন্য সামনে ঘোর অন্ধকার।

১৩ ই মে, ২০১৮ সকাল ৮:২৫

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: শুভ সকাল, নাহিদ ভাই।
"চেতনা, মূর্খতা, পারষ্পরিকক হিংসা-প্রতিহিংসায় আমরা সাধারণ মানুষ পুতুল হয়ে আছি। দুই দল নিজেদের নোংরা রাজনীতিতে দেশের আজ করুন অবস্থা। দুই দলের এই প্রতি হিংসার রাজনীতি থেকে বের হতে হবে। আগে কে কি করসে সব বাদ। তা না হলে জাতির জন্য সামনে ঘোর অন্ধকার।"........

আপনি চমৎকার বলেছেন। এগুলো থেকে বেরিয়ে আসতে না পারলে, নতুন প্রজন্ম বিভক্ত হয়ে যাবে। যা দেশের অগ্রগতির জন্য মোটেও কাম্য নয়।

১৮| ১৩ ই মে, ২০১৮ সকাল ৮:১৮

শাহ আজিজ বলেছেন: ২৫ মার্চের পর আমাদের মতো অসহায় মানুষের পাশে কেউই ছিলনা । কি হবে বা ঠিক কি হতে যাচ্ছে আমরা অনুমান করতে পারিনি । একজন জিয়া চট্টগ্রামে রেডিও স্টেশন দখলে রাখতে ব্যাপক যুদ্ধ করেছিলেন । তাবৎ ঘটনা শামসের মবিন চৌধুরীর মুখে প্রবাসে শুনেছি । সেই জিয়া ৭৫ এ ভিন্ন বেশ ধরে এমজেডএফঃ যা বলেছে সেই কুখ্যাত কাজে লিপ্ত হয়েছিলো । আমি ঢা বির হলে মাঝরাতে দলের রক্তাক্ত আক্রমনের শিকার হলাম ১৪ জন সহ , সেই দাগ বয়ে বেড়াই এখনও । যারা যেসব বিষয়ে অভ্যস্ত নন তারা সেসব বিষয় নিয়ে নাড়াচাড়া করেছেন এবং রক্ষকবচ হিসাবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে আঁকড়ে থেকেছেন কিন্তু দুঃখের বিষয় এরা কেউই মাঠের যুদ্ধে ছিলেন না , জিয়া ছাড়া, কিন্তু জিয়ার ইমেজ নিজেই শেষ করেছে পতেঙ্গার পানিতে। মুক্তিযুদ্ধের তাবৎ কৃতিত্ব রনাঙ্গনের যোদ্ধাদের । তাদেরি চেতনার কথা বললে সাজে , যারা পাক মিলিটারির ক্যাম্পে স্বেচ্ছায় রেশন খেয়েছেন তাদের থুক ! ধিক তোমাদের ।

১৩ ই মে, ২০১৮ সকাল ৮:৩০

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: শুভ সকাল, স্যার।
"যারা যেসব বিষয়ে অভ্যস্ত নন তারা সেসব বিষয় নিয়ে নাড়াচাড়া করেছেন এবং রক্ষকবচ হিসাবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে আঁকড়ে থেকেছেন কিন্তু দুঃখের বিষয় এরা কেউই মাঠের যুদ্ধে ছিলেন না জিয়া ছাড়া, কিন্তু জিয়া ইমেজ নিজেই শেষ করেছে পতেঙ্গার পানিতে। মুক্তিযুদ্ধের তাবৎ কৃতিত্ব রনাঙ্গনের যোদ্ধাদের। তাদেরই চেতনার কথা বললে সাজে , যারা পাক মিলিটারির ক্যাম্পে স্বেচ্ছায় রেশন খেয়েছেন তাদের থুক! ধিক তোমাদের।

অতি হক কথা বলেছেন। আরো কিছুদিন গেলে 'চেতনা' শব্দটি 'মীরজাফরের' মতো গালি হিসাবে মানুষ ব্যবহার করবে।

১৯| ১৩ ই মে, ২০১৮ সকাল ৮:৫৫

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এটা একটি বিশেষ দলের রাজনীতির মুল হাতিয়ার। আর অন্য দলটির এ বিষয়টি নিয়ে খুব বেশি মাথাব্যথা নেই, শুধুমাত্র তাদের নেতাকে কোনভাবে স্বাধীনতার ঘোষক বানাতে পারলেই তারা খুশি। যে চেতনার অন্যকোন দাবীদার নেই সেটি একটি দলের সম্পতিতে পরিণত হবে সেটাই স্বাভাবিক।

ভাল লিখেছেন ধন্যবাদ।

১৩ ই মে, ২০১৮ সকাল ৯:০০

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: "আর অন্য দলটির এ বিষয়টি নিয়ে খুব বেশি মাথাব্যথা নেই, শুধুমাত্র তাদের নেতাকে কোনভাবে স্বাধীনতার ঘোষক বানাতে পারলেই তারা খুশি।".....
চরম সত্য কথা বলেছেন, তারেক ভাই।

২০| ১৩ ই মে, ২০১৮ সকাল ৯:২২

রাজীব নুর বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধ আমাদের অনেক বড় পাওয়া।
তবে আজ মুক্তিযুদ্ধের চেত্না কারো মধ্যে দেখি না। সবাই ভাগ হয়ে গেছে।

আপনার লেখাটি খুব মন দিয়ে পড়লাম। খুব সুন্দর করে গুছিয়ে লিখেছেন।

১৩ ই মে, ২০১৮ সকাল ৯:২৯

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ, রাজীব ভাই।

২১| ১৩ ই মে, ২০১৮ সকাল ৯:২৬

তালাচাবি বলেছেন:
"চেতনার বিপরীত শব্দ হলো- অচৈতন্য বা অজ্ঞতা। আরেকটু খোলাসা করে বল্লে মূর্খতা। এজন্য যত্র-তত্র প্রয়োজনে কিংবা অপ্রয়োজনে চেতনা শব্দটির ব্যবহার দেশ ও জাতির জন্য ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনে। বিশেষ করে কোন বিশেষ উদ্দেশ্যে অথবা কোন বিশেষ দল বা শ্রেণীর মানুষকে উপযুক্ত কারণ ছাড়া জাতীয় চেতনা বিরোধী বলে আখ্যায়িত করলে জাতির মধ্যে বিভক্তি ও ঘৃণা আগ্নেয়গিরির লাভার মতো ছড়িয়ে পড়ে। মানুষকে আক্রমন করে, অপমান করে চেতনার বাণী প্রচার করা যায় না। এজন্য আগে যিনি চেতনার কথা বলবেন তাকে জাতীয় চেতনার ধারক ও বাহক হতে হবে। আর তা প্রচার করতে হবে সুন্দর করে নিজের কর্ম ও চিন্তা-চেতনা দিয়ে। কাউকে চেতনার নামে অপমান করাকে বলে মূর্খতা, আর নিজে প্রথমে চেতনা ধারণ করে তা দেশব্যাপী ছড়িয়ে দেওয়া হলো চৈতন্য।"...........

শুভ সকাল, স্যার। চেতনার বিষয়টি নিয়ে চমৎকার একটি লেখা পড়লাম। আশা করি পাঠকরা আপনার জ্ঞাগর্ব বিশ্লেষণ থেকে অনেক কিছু জানতে পারবেন। ভাল থাকবেন।

১৩ ই মে, ২০১৮ সকাল ৯:২৮

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: শুভ সকাল। আপনাকে ধন্যবাদ।

২২| ১৩ ই মে, ২০১৮ সকাল ৯:৩১

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর পোস্ট।
একটা কথা কলমের দোষ নেই। আসলে কলম ধরলেই দেখবেন একটা দলের উপর রূপ চলছে। সময়ের দোষ।
সময়ের রোষানলে পড়লে পাপ সীমা অতিক্রম করলে যা লিখবেন তাই খড়গ হবে হাশরের ময়দানে বিচার দিনের মতো সন্তান তো যেন তেন নিজের অঙ্গ প্রত্যঙ্গ ও বিপক্ষে স্বাক্ষ দিবে। বিশ্বাস না হলে বঙ্গবন্ধু র ৭ মার্চের ভাষণ বিষয়ে পোস্ট দেন একই অবস্থা হবে যদি আলোচনা না করে ভাষণ টা পোস্ট তবু হবে। এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সঙগ্রাম ।

১৩ ই মে, ২০১৮ সকাল ৯:৩৮

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: শুভ সকাল। হ্যা, ঠিক বলেছেন আপনি। আশীর্বাদ করবেন কলমটা যেন কারো তাবেদারী না করে নিজ কক্ষপথে আবর্তিত হয়। কাউকে খুশি করা কলমের কাজ নয়। সমাজকে জাগিয়ে তোলতে পারাই কলমের স্বার্থকতা।

দিনটি ভাল কাটুক, এই কামনা রইলো।

২৩| ১৩ ই মে, ২০১৮ সকাল ৯:৪০

কানিজ রিনা বলেছেন: এখনও যদি মুক্তি যোদ্ধার চেতনায় কাজ
করার জন্য এগিয়ে আসা যায় তাহলে আগে
গ্রাম গঞ্জে আসলে কারা মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন
স্বাধীনতা যুদ্ধে কারা প্রান দিয়েছিল কোন মা
সন্তান হাড়িয়েছিল স্বাধীনতা যুদ্ধে তার একটা
তালিকা তৈরি করা তারা কেমন আছে সরকার
গুল তাদের কতটুকু সহায়তা দিয়েছে। সেই
সাথে রাজাকার কারা ছিল তাদের সন্তানেরা
কিকরছে তা খতিয়ে দেখা।
আসলে মুক্তিযোদ্ধার ছেলে মেয়েরা কি মুক্ত
মনা স্বাধীন দেশের জন্য কাজে মনযোগী
হয়েছে কিনা। রাজাকারের সন্তান রাজাকারের
মনমানুষীতায় গড়ে উঠেছে নাকি খতিয়ে
দেখা জরুরী।
তানা হলে আরও বিশ বছর পর মুক্তি যুদ্ধর
চেতনা হাড়িয়ে যাবে। যেমন হাড়িয়েছে
বৃটিস স্বাধীনতা, এদেশের মানুষ জানেনা
বৃটিশদের থেকে এদেশ কবে স্বাধীনতা
পেয়েছিল নুনতম ভাবে এদেশে বৃটিশদের
থেকে স্বাধীনতার দিনটি পালনও করেনা।
অথচ এপার বাংলার কত সুর্য সেনারা বৃটিশ-
দের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছেন।
ঠিক তেমনই ভাবে ১৯৭১রের মুক্তযুদ্ধের চেতনা
হাড়িয়ে যাবে। নতুন প্রজম্ম স্বাধীনতার ইতিহাস
বইতে পড়া বা মুখস্ত করা পর্যন্তই পরিলক্ষিত।
তারপর একানে দিয়ে ওকানে বেড়িয়ে যাবে।
চিরুনী তল্লাশী হতে হবে কারা মুক্তি যুদ্ধে
অংশ গ্রহন করেছিলেন তারা বা তাদের
পরিবার কেমন আছেন। জেলে কুমার চাষী
তাঁতী যাদের গন্য করা হয়না।
তবেই ভূয়া মুক্তি যুদ্ধা বেড়িয়ে আসবে।
আর এসব ভূয়া মুক্তিযুদ্ধার সনদ নিয়ে যারা
বীর দর্পে ঘুরে তারা আসলে ত্রুপের তাস।
আপনার লেখা মনদিয়ে পড়ি আশ্চর্য হই এত
সত্যটা তুলে ধরেন বলে। অভিনন্দন থাকবে
সব সময়। অসংখ্য ধন্যবাদ।

১৩ ই মে, ২০১৮ সকাল ৯:৪৮

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: শুভ সকাল। আপনার প্রতিটি কথায় আমার মনের আকুতিগুলোর প্রতিধ্বনি হয়েছে। এত চমৎকারভাবে সময় নিয় একটি কমেন্ট করেছেন, এজন্য কৃতজ্ঞতা রইলো। বিশেষ করে আপনার একটি কথা আমাকে বেশ নাড়া দিয়েছে,.......

"আসলে মুক্তিযোদ্ধার ছেলে মেয়েরা কি মুক্ত
মনা স্বাধীন দেশের জন্য কাজে মনযোগী
হয়েছে কিনা। রাজাকারের সন্তান রাজাকারের
মনমানুষীতায় গড়ে উঠেছে নাকি খতিয়ে
দেখা জরুরী।"...........

সত্যি কথাটি আমার জানার ও বোঝার পরিধিটা অনেকাংশে বাড়িয়ে দিয়েছে। অনেক শুভ কামনা আপনার জন্য। দিনটি সুন্দর ও নিরাপদ হোক এই আশীর্বাদ রইলো।

২৪| ১৩ ই মে, ২০১৮ সকাল ১০:৫৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: চেতনাবাজদের লেজ নিয়া টান দিছেন!!!

সত্য কথা কেউ বলে না! অবাক হয়ে দেখি
মিথ্যা শুনেও রা করে না- চুপটি করে দেখি!


আজ যেভাবে গণতন্ত্র মৃত, ভিন্নমতের গলা চেপে ধরা, গুম, খুন, এদিনর পর পরিবর্তন এলে তার প্রতিক্রিয়াটাও হবে ভয়াবহ
সেখঅনে চলমান নীতিবোধ ঠিক রাখা সত্যিই কঠিন হয়ে পড়ে!
৭২-৭৫ দু:শাসনের ইতিহাস যারা দেখেনাই- ডিজিটারী তারা প্রুফ সহ স্বাক্ষ্য হয়ে রইছে!
সেই রক্ষি বাহিনীর নির্মমতা, ভিন্নমত দমন, গুম, খুন, চারটা পত্রিকা ছাড়া সকল পত্রিকা বন্ধ
নাভীশ্বাস ওটা ক্ষনে ৭৫ এর দু:খজনক ঘটনা ঘটে। যার বেনিফিসয়ারীও আওয়ামীলীগই। কারণ তখন বিএনিপর জন্মই হয় নি।

অথচ সকল দোষ নন্দঘোষ! দিয়ে চেতনার মিথ্যা চাদর গায়ে আজি পাকিদের চেয়ে ভয়াবহ জুলুম চালাচ্ছে দেশী স্বৈরাচার!
গণতন্ত্র মৃত। তারা ছাড়া আর কেউ কিছু বলতে পারবে না। বললেই ট্যাগিংবাজি, গুম, খুন সন্ত্রস্ত জনপদ বাংলাদেশ।

আমজনতার ভেতের থেকে জেগে উঠূক একজন মাহাথির। একজন বীর। একজন সমাজ সংষ্কারক।
প্রকৃত দেশকে ভালবেসে, স্বাধীনতা প্রকৃত চেতনা আমজনতার জীবন যাপনে প্রতিফলিত হোক।

১৩ ই মে, ২০১৮ সকাল ১১:১৫

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: শুভ সকাল, ভাই।
"৭২-৭৫ দু:শাসনের ইতিহাস যারা দেখেনাই- ডিজিটারী তারা প্রুফ সহ স্বাক্ষ্য হয়ে রইছে!
সেই রক্ষি বাহিনীর নির্মমতা, ভিন্নমত দমন, গুম, খুন, চারটা পত্রিকা ছাড়া সকল পত্রিকা বন্ধ।"..... এ বিষয়টা নিয়ে আমার অনেক কৌতুহল। তখনকার সঠিক ইতিহাসটা জানার খুব ইচ্ছা।

"আমজনতার ভেতের থেকে জেগে উঠূক একজন মাহাথির। একজন বীর। একজন সমাজ সংষ্কারক। প্রকৃত দেশকে ভালবেসে, স্বাধীনতা প্রকৃত চেতনা আমজনতার জীবন যাপনে প্রতিফলিত হোক।"......... আমার মনের কথাটি বলেছেন।
আপনার মন্তব্য লিখুন

২৫| ১৩ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১:৪৩

রাফা বলেছেন: ব্লাডি সিভিলিয়ান....।আসসালামুলাইকুম ঝাতির(জাতির) ক্রান্তিলগ্নে দেশ ও দেশের মানুষকে বুটের লাথি দিয়ে উদ্ধার করার অভিপ্রায়ে ডান্ডা মেরে ঠান্ডা করার জন্য ক্ষমতা গ্রহণ করলাম ।যথা সময়ে নির্বাচন নামক প্রহসন করে চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত নেওয়ার অভিপ্রায় রহিল(গোপনে)।তারপরের টুকু শুধুই পাতিহাস..।দিনের পর দিন কারফিউ দিয়ে দেশ'কে অপ-পাকিস্তান বানানোর মিশনে ঝাপিয়ে পরাই কি চেতনা ??? প্রশ্ন শুধু একটাই উত্তর কিন্তু একটাই চাই।তবে ,কিন্তু ,যদি'তে আমি নাই।

দোষটা হলো এটাই শুধুমাত্র একটি দলের সমর্থক দিনের পর দিন নির্যাতন,নীড়ন,জুলুম,হত্যার স্বিকার হয়েও আকড়ে ধরে রাখলো সকল শ্লোগান ও মূল মন্ত্রগুলো।এটাই হয়ে গেলো তাদের পাপ।কারন সব কিছু স্বমহিমায় ফিরিয়ে আনলো হাজার হাজার কর্মির বলিদানে।আজ তারাই হলো চেতনার দালাল বা ব্যবসায়ী।আসলেই বড় বিচিত্র বাংলার সেলুকাস।আরো কত কিছু যে শিখতে হবে কুলাঙ্গারদের কাছ থেকে সেই অপেক্ষায় আছি সদা জাগ্রত।

জয় বাংলা,
জয় বঙ্গবন্ধু।

১৩ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১:৪৮

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: শুভেচ্ছা নেবেব। চমৎকার সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

২৬| ১৩ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৯

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ, রাজীব ভাই।


ভালোবাসা নিরন্তর।

১৩ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫০

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: হা হা হা,...........

২৭| ১৩ ই মে, ২০১৮ রাত ১১:০৯

মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: পোস্ট পড়িয়া কি আর বলিব,


শুধু একটা দীর্ঘশ্বাসই বাহির হইল!!!:(

১৪ ই মে, ২০১৮ রাত ১২:৫৫

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: এটা কী চেতনার দীর্ঘশ্বাস!!!...........

২৮| ১৩ ই মে, ২০১৮ রাত ১১:১৫

মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: ৬ ও ৮ নং প্রতিউত্তর পড়িয়া হাসিতেছি। উক্ত ঘটনা আমার ক্ষেত্রেও ঘটিয়া ছিল। পত্রিকার কেরানি আমাকে ৫৭ধারা বোঝায়!!!! পরে আর ওমুখো হইনি।X(


বিবিসি প্রবাহের ফোনিন শোনেন??
শাকিল আনোয়ারকে চেনা আছে? দারুন লোক! আমি তাহার সাথেও টক্কর দিয়াছি;)

১৪ ই মে, ২০১৮ রাত ১২:৫৭

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: "৬ ও ৮ নং প্রতিউত্তর পড়িয়া হাসিতেছি। উক্ত ঘটনা আমার ক্ষেত্রেও ঘটিয়া ছিল। পত্রিকার কেরানি আমাকে ৫৭ধারা বোঝায়!!!! পরে আর ওমুখো হইনি।X(

আমি কিন্তু হাল ছাড়ার পাত্র নয়। প্রথম আলোয় লেখবো এবং তা এ বছরেই।

২৯| ১৪ ই মে, ২০১৮ রাত ৩:৪৩

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: অনেক সুন্দর গোছানো প্রয়োজনীয় বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা। ভালো লাগলো আমার।

বৈষম্যবিহীন সমাজ ব্যবস্থা ও দুর্নীতিমুক্ত দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে আবারো বাঙালি জাতির ঐক্যবদ্ধ হওয়া দরকার।

১৪ ই মে, ২০১৮ সকাল ৭:২১

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: নয়ন ভাই, লেখাটি পড়ে ভাল লেগেছে জেনে খুশি হলাম। অনেক শুভ কামনা আপনার জন্য।

৩০| ১৪ ই মে, ২০১৮ রাত ৩:৫৭

অর্থনীতিবিদ বলেছেন: কাওসার ভাই, দারুন লিখেছেন। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে অনেক দিন পর একটা বস্তুনিষ্ঠ লেখা পড়লাম। এখন তো মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কোনো লেখা দেখলেই ভয় লাগে আবার কী ইতিহাস বিকৃতি ঘটলো, আবার কোন দলের সাফাই গাইলো, আবার কে স্বাধীনতার ঘোষক-পাঠক হলো। আর মুক্তিযোদ্ধাদের কথা কী বলবো! এখন তো ঠগ বাছতে গাঁ উজাড় অবস্থা। কে যে আসল মুক্তিযোদ্ধা আর কে যে নয় তা এখন একমাত্র আল্লাহ মাবুদই ভালো জানে। বর্তমানে তালিকাভুক্ত মুক্তিযোদ্ধাদের সংখ্যা দুই লাখেরও বেশি। দুই লাখ মুক্তিযোদ্ধা! ভাবতে পারেন? পাকিস্তানী আর্মির দ্বিগুণ। পাকিস্তান আর্মিরা এজন্যই মনে হয় দৌড়ে গিয়ে ইন্ডিয়ার কাছে আত্মসমর্পণ করলো। আর মুক্তিযোদ্ধাদের সংখ্যা যেভাবে বাড়ছে আমি তো চিন্তা করি কবে না জানি সংখ্যাটা পাঁচ-ছয় লাখে চলে যায়।

১৪ ই মে, ২০১৮ সকাল ৭:২৭

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: "আর মুক্তিযোদ্ধাদের কথা কী বলবো! এখন তো ঠগ বাছতে গাঁ উজাড় অবস্থা। কে যে আসল মুক্তিযোদ্ধা আর কে যে নয় তা এখন একমাত্র আল্লাহ মাবুদই ভালো জানে। বর্তমানে তালিকাভুক্ত মুক্তিযোদ্ধাদের সংখ্যা দুই লাখেরও বেশি। দুই লাখ মুক্তিযোদ্ধা! ভাবতে পারেন? পাকিস্তানী আর্মির দ্বিগুণ।"...............

আমার মনের কথাটি বলেছেন, ভাই। আমার মনে হয় মুক্তিযুদ্ধে জীবিত মুক্তিযোদ্ধা কোন অবস্থাতে ৫০ হাজার এর অধিক নয়। অর্থাৎ পাঁচভাগের চারভাগই ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.