নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জন্মসূত্রে মানব গোত্রভূক্ত; এজন্য প্রতিনিয়ত \'মানুষ\' হওয়ার প্রচেষ্টা। \'কাকতাড়ুয়ার ভাস্কর্য\', \'বায়স্কোপ\', \'পুতুলনাচ\' এবং অনুবাদ গল্পের \'নেকলেস\' বইয়ের কারিগর।

কাওসার চৌধুরী

প্রবন্ধ ও ফিচার লেখতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। পাশাপাশি গল্প, অনুবাদ, কবিতা ও রম্য লেখি। আমি আশাবাদী মানুষ।

কাওসার চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

সৌর জগৎ - পৃথিবী, সূর্য, চাঁদ এবং অন্যান্য গ্রহ নক্ষত্র

২২ শে মে, ২০১৮ দুপুর ২:৫৬


সৌরজগৎ বলতে সূর্য এবং এর সাথে মহাকর্ষীয়ভাবে আবদ্ধ সকল জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক বস্তুকে বোঝায়। এর মধ্যে আছে: আটটি গ্রহ এবং ১৭৩টি জানা প্রাকৃতিক উপগ্রহ। পাশাপাশি কোটি কোটি ক্ষুদ্র বস্তু। ক্ষুদ্র বস্তুর মধ্যে গ্রহাণু, উল্কা, ধূমকেতু এবং আন্তঃগ্রহীয় ধূলি মেঘ অন্যতম। গ্রহ সূর্যকে কেন্দ্র করে নির্দিষ্ট কক্ষপথে ঘূর্ণায়মান এমন একটি বস্তু , (ক) যার নিজেকে গোলকীয় আকারে পরিণত করার মত যথেষ্ট পরিমাণ ভর রয়েছে এবং (খ) যা তার নিকটতম প্রতিবেশে অবস্থিত সব ক্ষুদ্র বস্তুকে অপসারণ করেছে।

সূর্য থেকে দূরত্বের দিক দিয়ে গ্রহগুলো হলো- (১) বুধ- Mercury (☿), (২) শুক্র- Venus (♀), (৩) পৃথিবী-Earth (⊕), (৪) মঙ্গল- Mars (♂), (৫) বৃহস্পতি- Jupiter (♃), (৬) শনি- Saturn (♄), (৭) ইউরেনাস- Uranus (♅), এবং (৮) নেপচুন- Neptun (♆)। আটটির মধ্যে ছয়টি গ্রহের নিজস্ব প্রাকৃতিক উপগ্রহ রয়েছে। গ্যাসীয় দানবের প্রত্যেকটির চারদিকে আবার গ্রহীয় বলয় রয়েছে। প্লুটো আবিস্কৃত হয় ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দে। বিজ্ঞানী ক্লাইড ডব্লিউ টমবাউ এটি আবিষ্কার করেন। প্লুটোতে প্রচুর পরিমাণে মিথেন গ্যাস রয়েছে। কয়েক বছর একে গ্রহ এর তালিকায় রাখা হলেও ২০০৯ সাল থেকে বামন গ্রহ (Dwarf planet) ধরা হয়ে থাকে।

সূর্য থেকে দূরত্ব অনুসারে পৃথিবী হলো সৌরজগতের তৃতীয় উপগ্রহ। আয়তনের দিক থেকে পৃথিবী সৌরজগতের পঞ্চম বৃহত্তম গ্রহ। পৃথিবী হচ্ছে সৌরজগতের একমাত্র উপগ্রহ যেখানে প্রাণের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। আনুমানিক ৪৫৪ কোটি বছর আগে পৃথিবী গঠিত হয়েছিল। আর প্রায় ১ বিলিয়ন বছরের মধ্যে পৃথিবীতে প্রাণীর আবির্ভাব ঘটে।

সাড়ে ৪০০ কোটি বছর আগে দু'টি গ্রহের তীব্র সংঘর্ষ হয়েছিল। সংঘর্ষের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে, এ সময় গ্রহ দু'টি জুড়ে যায়। 'পৃথিবী' নামক গ্রহের সঙ্গে চরম সংঘর্ষ হয়েছিল 'থিয়া' নামের একটি গ্রহের। সংঘর্ষের সময় পৃথিবীর বয়স ছিল ১০ কোটি বছর। সংঘর্ষের জেরে থিয়া ও পৃথিবীর এক সাথে জুড়ে যায়, তৈরি হয় নতুন একটি গ্রহের। সেই গ্রহটিতেই আমরা বাস করছি।

পৃথিবীর মোট পৃষ্ঠতলের আয়তন হলো প্রায় ৫১০ মিলিয়ন কি.মি.। যার মধ্যে ৭০.৮% বা ৩৬১.১৩ মিলিয়ন কি.মি. হলো সমুদ্র পৃষ্ঠতলের নীচে যা সমুদ্রের পানি দ্বারা আচ্ছাদিত। সমুদ্র পৃষ্ঠতলের নীচেই রয়েছে অধিকাংশ মহীসোপান, পর্বতমালা, আগ্নেয়গিরি, সামুদ্রিক খাত, ডুবো গিরিখাত, সামুদ্রিক মালভূমি, গভীর সামুদ্রিক সমতল এবং সারা পৃথিবীব্যাপী বিসৃত মধ্য-সমুদ্র রিগ সিস্টেম।


আর বাকি ২৯.২% অংশ বা ১৪৮.৯৪ মিলিয়ন কি.মি. ভূখণ্ডটি স্থানে স্থানে পরিবর্তিত। এতে রয়েছে পাহাড়, পর্বত, মরুভূমি, সমতল, মালভূমি ও অন্যান্য ভূমিরূপ। অপসারণ ও অবক্ষেপণ, বিভিন্ন আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুত্পাত, বন্যা, মৃত্তিকা আবহবিকার, হিমবাহ ক্ষয়ীভবন, প্রবালপ্রাচীরের বৃদ্ধি এবং উল্কাপিন্ডের আঘাত ইত্যাদি হলো সেই সকল ক্রিয়াশীল প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে প্রতিনিয়ত পৃথিবীর ভূপৃষ্ঠের আকার পরিবর্তন ঘটছে ভূতাত্ত্বিক পরিবর্তনের সাথে সাথে।

পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ হলো চাঁদ। এটি সৌরজগতের পঞ্চম বৃহত্তম উপগ্রহ। পৃথিবীর কেন্দ্র থেকে চাঁদের মোঠ দূরত্ব ৩,৮৪,৪০৩ কিলোমিটার। চাঁদের আয়তন পৃথিবীর আয়তনের প্রায় ৫০ ভাগের ১ ভাগ। সূর্য চাঁদের তুলনায় প্রায় ৪০০ গুন বড়। ধারণা করা হয় ৪.৩৫ বিলিয়ন বছর আগে চাঁদ পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ শুরু করেছিল।

পৃথিবী থেকে সূর্যের গড় দূরত্ব আনুমানিক ১৪.৯৬ কোটি কি.মি.। যাকে ১ নভো-একক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তবে পৃথিবীর কক্ষপথ যেহেতু উপবৃত্তাকার সেহেতু সূর্য থেকে তার দূরত্ব পরিবর্তিত হয়। জানুয়ারি মাসে পৃথিবী সূর্যের সবচেয়ে কাছে আসে এবং জুলাইয়ে সবচেয়ে দূরে সরে যায়। গড় দূরত্বে সূর্য থেকে আলো পৃথিবীতে আসতে ৮ মিনিট ১৯ সেকেন্ড সময় নেয়। এই সূর্যালোকের শক্তি পৃথিবীর প্রায় সকল জীবকে বাঁচিয়ে রাখে। উদ্ভিদ সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় এই আলো থেকে খাদ্য উৎপাদন করে এবং প্রাণীরা খাদ্যের জন্য এসব উদ্ভিদ বা অন্য প্রাণীর উপর নির্ভর করে। পাশাপাশি জলবায়ু এবং আবহাওয়া নিয়ন্ত্রণেও সূর্যালোক প্রধান ভূমিকা রাখে।

পৃথিবীর উপর সূর্যের বিশাল প্রভাব সেই প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকেই মানুষ অনুধাবন করে আসছে। অনেক সংস্কৃতিতে সূর্যকে তাই দেবতা মনে করা হতো। তবে সূর্যের প্রকৃত কাঠামো সম্পর্কে বৈজ্ঞানিক ধারণা গড়ে উঠতে অনেক সময় লেগেছে। ঊনবিংশ শতাব্দীর প্রখ্যাত বিজ্ঞানীরাও সূর্যের গাঠনিক উপাদান এবং শক্তির উৎস সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানতেন না। এখনো সূর্য নিয়ে গবেষণা চলছে কারণ তার কিছু ব্যবহর এখনও পুরোপুরি ব্যাখ্যা করা যায়নি।


পৃথিবী হতে সবচেয়ে কাছের তারা হচ্ছে সূর্য। তারা জ্বলজ্বল করার কারণ হচ্ছে, এর কেন্দ্রে নিউক্লীয় সংযোজন বিক্রিয়ার মাধ্যমে যে শক্তি উৎপন্ন হয় তা তারার পুরো অভ্যন্তরভাগ পার হয়ে বহিঃপৃষ্ঠ থেকে বিকিরিত হয়। ইউ ওয়াই স্কিউটি (UY Scuti) মহাবিশ্বের বৃহত্তম তারকা। এটি আমাদের সূর্যের চেয়ে ১,০০০ গুণের চেয়েও বেশি প্রশস্ত। এটি একটি লাল মহাদানব (Red Supergiant)।

অধিকাংশ তারার বয়স ১০০ কোটি থেকে ১০০০ কোটির মধ্যে। কিছু তারার বয়স ১৩,৭০ কোটির কাছাকাছি, যা আমাদের দৃশ্যমান মহাবিশ্বের বয়সের সমান। এখন পর্যন্ত আবিস্কৃত পুরাতন তারা HE1523-0901 এর গননাকৃত বয়স ১,৩২০ কোটি বছর। তারার আকার যত বড় হয় এর আয়ূকাল ততই কমে যায়। কেননা বৃহদকার তারার কেন্দ্রের চাপ বেশি থাকে এবং এই চাপের সমতার জন্য এর হাইড্রোজেন দ্রুত পুড়ে নিঃশেষ হয়। আধিকাংশ বৃহদকার তারার আয়ূকাল গড়ে প্রায় ১০ লক্ষ বছর হয়। আপেক্ষাকৃত কম ভরের তারার (যেমন লাল বামন নক্ষত্র) জ্বালানি ধীরে ধীরে নিঃশেষ হয় এবং এদের আয়ূকাল ১,০০০ কোটি থেকে লক্ষ কোটি বছর হয়।

ধুমকেতু (ইংরেজি: Comet কমেট্‌) হল ধুলো, বরফ ও গ্যাসের তৈরি এক ধরনের মহাজাগতিক বস্তু। ধূমকেতু একটি ক্ষুদ্র বরফাবৃত সৌরজাগতিক বস্তু যা সূর্যের খুব নিকট দিয়ে পরিভ্রমণ করার সময় দর্শনীয় কমা (একটি পাতলা, ক্ষণস্থায়ী বায়ুমন্ডল) এবং কখনও লেজও প্রদর্শন করে । ধূমকেতুর নিউক্লিয়াসের ওপর সূর্যের বিকিরণ ও সৌরবায়ুর প্রভাবের কারণে এমনটি ঘটে। ধূমকেতুর নিউক্লিয়াস বরফ, ধূলা ও ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পাথুরে কণিকার একটি দুর্বল সংকলনে গঠিত। প্রস্থে কয়েকশ মিটার থেকে দশ কি.মি. এবং লেজ দৈর্ঘ্যে কয়েকশ কোটি কি.মি. পর্যন্ত হতে পারে । মানুষ সুপ্রাচীন কাল থেকে ধূমকেতু পর্যবেক্ষণ করছে।

একটি ধূমকেতুর পর্যায়কাল কয়েক বছর থেকে শুরু করে কয়েকশ’ হাজার বছর পর্যন্ত হতে পারে। ধুমকেতু উল্কা বা গ্রহাণু থেকে পৃথক কারণ এর কমা ও লেজের উপস্থিতি। কিছু বিরল ধূমকেতু সূর্যের খুব নিকট দিয়ে বারবার পরিভ্রমণ করার কারণে উদ্বায়ী বরফ ও ধুলা হারিয়ে ছোট গ্রহাণুর মত বস্তুতে পরিণত হয়। এপ্রিল ২০১৫ এর পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী ৫৩৮৪ টি ধূমকেতু আমাদের জানা। এ সংখ্যা ক্রমবর্ধমান কারণ মোট ধূমকেতুর (যা ধারণা করা হয় শত কোটি) একটি নগণ্য অংশ। খালি চোখে দেখা যাওয়া উজ্জ্বল ধূমকেতুকে বৃহৎ ধূমকেতু বলা হয়। কিছু ধুমকেতু নির্দিষ্ট সময় পরপর একই স্থানে ফিরে আসে। যেমন হ্যালীর ধুমকেতু।।



ফটো ক্রেডিট,
গুগল।

মন্তব্য ৫৪ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৫৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৩:০০

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: পড়ার আগেই প্রিয়তে B-)

২২ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৩:০২

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, তোমাকে। আমার আগের পোস্টে তুমি চমৎকার একটি কমেন্ট করেছ। অনেক শুভ কামনা তোমার জন্য।

২| ২২ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৩:০৩

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: গ্রহগুলোর সিম্বল দেয়ায় আর সাবলীল ভাবে তথ্যবহুল পোষ্ট দেওয়ায়, লেখাটি খুব ভালো হয়েছে।
বিশেষ করে পৃথিবীর সঙ্গে থিয়ার সংঘর্ষের কথা এই প্রথম জানলাম।
উপকারী পোষ্ট।

২২ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৩:০৯

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: হ্যা, ঠিক বলেছ। এই থিয়া গ্রহ সম্বন্ধে পৃথিবীর খুব কম মানুষ জানে।

৩| ২২ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৩:০৪

রাজীব নুর বলেছেন: ছোটবেলা এইসব বিষয় খুব আগ্রহ নিয়ে পড়লাম। আর খুব অবাক হতাম।

২২ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৩:১০

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: হ্যা, ঠিক বলেছেন রাজীব ভাই। তবে সৌরজগতের রহস্য পড়তে আমার এখনো খুব ভাল লাগে।

৪| ২২ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: স্যর আজ বহুদিন পরে আবার সৌরজগতের পাঠ নিলাম। প্রান্তের কথায় প্রিয়তে রাখলাম।

অনেক অনেক ভাল লাগা প্রিয় কাওসার ভাই।

২২ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৯

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: পদাতিক চৌধুরী ভাই, সৌরমণ্ডল নিয়ে আমার বরাবরই খুব আগ্রহ। একটা সময় ভূগোল নিয়ে পড়াশুনা করার খুব ইচ্ছা ছিল। পরে আর হয়ে উঠেনি। তবে সময় সুযোগে এখনো এ বিষয়ে পড়াশুনা করি।

প্রিয় ভাই, অনেক ভাললাগা আপনার জন্য।

৫| ২২ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৩:৫০

কথার ফুলঝুরি! বলেছেন: সৌরজগৎ সম্পর্কে জানতে ভালো লাগে, সেই হিসেবে এটি প্রিয় পোস্ট। :D ছোট বেলায় খুব মজা নিয়ে পড়তাম এই চ্যাপ্টার :P

২২ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:০১

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: হ্যা, ছোটবেলা সৌরজগতকে খুব রহস্যময় মনে হতো। আমার প্রিয় বিষয় ছিল ভূগোল।

৬| ২২ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৩১

অদৃশ্য বালক বলেছেন: অনেক জানলাম। এখন দেখি সৌরজগতের মতো আমার মাথাও ঘুরতাছে!!! B:-) B:-) B:-)

২২ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৫:০২

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: সৌরজগৎ তো বিশাল। পৃথিবীর চেয়ে হাজার হাজার গুন বড়। যার প্রায় পুরোটাই এখনো জানা হয়নি, এজন্য রহস্যময়। মাথা তো ঘোরানোর কথা।

৭| ২২ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৪

সনেট কবি বলেছেন: অনেক ভাল লাগা

২২ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৫:০২

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ, আপনাকে।

৮| ২২ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


পৃথিবী হতে মানুষ প্রজাতি বিলুপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা আছে? তারা কি পৃথিবী ধ্বংসের দিন দেখবে?

২২ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৭

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: এটা আমারও মনে হয়। সৌরজগতের তুলনায় পৃথিবীটা একটি ক্ষুদ্র দ্বীপ মাত্র। আমরা হয়তো পৃথিবী ধ্বংসটা দেখবো না। আগামী কোন প্রজন্মের হয়তো এমন কোন অভিজ্ঞতা হতে পারে।

৯| ২২ শে মে, ২০১৮ রাত ১১:২৭

প্রামানিক বলেছেন: সৌরজগত নিয়ে অনেক দিন হলো কোন কিছু পাঠ করা হয় না, আপনার পোষ্ট পড়ে খুব ভালো লাগল।

২২ শে মে, ২০১৮ রাত ১১:৫৭

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: লেখাটি পড়ার জন্য কৃতজ্ঞতা রইলো। শুভ কামনা আপনার জন্য।

১০| ২৩ শে মে, ২০১৮ রাত ২:২৩

উদাস মাঝি বলেছেন: ভাই সাহেব আপনার সাথে পরিচিত হতে আসলাম :)

২৩ শে মে, ২০১৮ রাত ৩:৫৭

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: আমারও আপনার সাথে পরিচিত হতে পেরে ভাল লাগলো। শুভ কামনা আপনার জন্য।

১১| ২৩ শে মে, ২০১৮ রাত ২:৪৪

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: তথ্য বিহীন বিতর্কে জড়াতে পারি কি ?

তথ্য বিহীন এই কারণে বলছি চাঁদে অবতরণ করেছেন সেই আমলে কয়েকজন তার যথেষ্ট প্রমাণ আছে, কেউ যা্য় নি তার যথেষ্ট কোনো প্রমাণ নেই, যাই হোক প্রশ্ন হচ্ছে পৃথিবী এতো উন্নত হয়েছে 7​" X 4" X 1" সাইজের একটা ক্যাসেটে একটা সিনেমা ধারণ হতো আর এখন একটা মাইক্রো চিপসে যা সেল ফোনের সিমের সমান সেখানে 32 GB = ৩০-৩২ টা সিনেমা ধারণ করার কথা, এতো উন্নত পৃথিবী এই সামান্য চিপস আর ক্যাসেট দিয়ে উদাহরণ দিচ্ছি - তাহলে এখন আর কেউ চাঁদে যাচ্ছে না কেনো ? না কি ভয় পাচ্ছে সবাই প্রশ্ন করবে ডি এস এল আর ক্যামেরায় ছবি নাই কেনো ? চাঁদে অবতরনের পরিস্কার ডি এস এল আর এ রঙিণ ছবি চাই, সেই ছবি দিন ? সত্যি কি এই ভয় ? উত্তর জানা থাকলে দিবেন আর না জানা থাকলে আমি নিজেও জানি না প্রথমেই বলেছি তথ্য বিহীন বিতর্ক - তবে আমার মনে হয় এখন আপনি বুঝতে পারবেন আমি কি বলতে চাচ্ছি!!!



২৩ শে মে, ২০১৮ রাত ৩:৫৫

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: ঠাকুর মাহমুদ ভাই, শুভেচ্ছা নেবেন।.......

"তাহলে এখন আর কেউ চাঁদে যাচ্ছে না কেনো ? না কি ভয় পাচ্ছে সবাই প্রশ্ন করবে ডি এস এল আর ক্যামেরায় ছবি নাই কেনো ? চাঁদে অবতরনের পরিস্কার ডি এস এল আর এ রঙিণ ছবি চাই, সেই ছবি দিন ? সত্যি কি এই ভয়?.............

প্রশ্নটি আমারও। ৩,৮৪,৪০৩ বর্গ কি.মি. পাড়ি দিয়ে চাঁদে যাওয়া তো এখন আরো সহজ। জানি না কোন রহস্য লুকিয়ে আছে এতে?

১২| ২৩ শে মে, ২০১৮ ভোর ৫:২৪

চাঁদগাজী বলেছেন:

লেখক বলেছেন, "প্রশ্নটি আমারও। ৩,৮৪,৪০৩ বর্গ কি.মি. পাড়ি দিয়ে চাঁদে যাওয়া তো এখন আরো সহজ। জানি না কোন রহস্য লুকিয়ে আছে এতে? "

-চাঁদে যেতে মানুষ বর্গ কি.মি. পাড়ি দেয়?

২৩ শে মে, ২০১৮ সকাল ১০:৩৩

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: ৩,৮৪,৪০৩ বর্গ কি.মি. চাঁদের দূরত্ব।

১৩| ২৩ শে মে, ২০১৮ সকাল ৯:৪২

নীল মনি বলেছেন: নিত্য নতুন দারুণ সব পোস্ট। লেখা পড়েছি।তথ্য সমৃদ্ধ। আমার কোন তথ্য পড়লেও মনে থাকে। তবে জানলাম অনেক কিছু। একটা আবদার রইল একদিন একটা গল্প পড়তে চাই।

২৩ শে মে, ২০১৮ সকাল ১০:৩৬

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: গল্প পড়তে চান? হ্যা, আমিও ভাবছি নতুন কিছু গল্প লেখবো। তবে চাইলে ব্লগ থেকে আগের গল্পগুলো পড়তে পারেন। অনেক শুভ কামনা আপনার জন্য।

১৪| ২৩ শে মে, ২০১৮ সকাল ১০:৫০

নীল মনি বলেছেন: ইন শা আল্লাহ আমি খুঁজে নেব।

২৩ শে মে, ২০১৮ সকাল ১০:৫৩

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: অনেক ভাললাগা ও কৃতজ্ঞতা আপনার জন্য।

১৫| ২৩ শে মে, ২০১৮ সকাল ১১:৩৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ঠাকুরমাহমুদভাই এর প্রশ্নে মজা পেলাম :)

বিষয়টি ভাবনার বটে! স্পেস ষ্টেশনে যখন থাকতে পারছে নিয়মিত। তবে ওখানে যাওটা আর এমন কি?
রহস্য উন্মোচিত হোক।

২৩ শে মে, ২০১৮ সকাল ১১:৩৭

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: ঠিকই বলেছেন। বিষয়টি ভাবনার।

১৬| ২৩ শে মে, ২০১৮ সকাল ১১:৫৬

ক্স বলেছেন: আপনার তথ্যে কিছু ভুল আছে, আশা করি সংশোধন করে নেবেন।

ভুল ১ঃ সূর্য চাঁদের চেয়ে ৪০ গুণ বড়। তাই হলে সূর্যকে পৃথিবী থেকে দেখাই যেতনা।
ভুল ২ঃ জানুয়ারি মাসে সূর্য পৃথিবীর সবচেয়ে কাছে আসে। তাহলে ঐ সময়ে সূর্যকে অন্তত ১০% বড় দেখাত।
ভুল ৩ঃ ইউ ওয়াই স্কিউটি মহাবিশ্বের সবচেয়ে বড় তারকা। প্রথমত, মহাবিশ্বের পুরোটা এখনও মানুষের সামনে উম্মোচিত হয়নি, যতদূর দেখা গেছে, তাতে ক্যানিস মেজরিস এ পর্যন্ত আবিষ্কৃত সবচেয়ে বড় তারকা।

২৩ শে মে, ২০১৮ সকাল ১১:৫৮

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ, আপনাকে। হ্যা, তথ্যগুলো আমি আবার যাচাই করে দেখবো।

২৩ শে মে, ২০১৮ দুপুর ১২:১৯

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: (১) টা সংশোধন করেছি। (২) টা ঠিকই আছে। (৩) টা কনফিউজ। কারণ উইকপেডিয়া বলছে, "ইউ ওয়াই স্কিউটি" এ পর্যন্ত আবিষ্কৃত মহাবিশ্বের সবচেয়েে বড় তারকা। তবে কোন কোন সোর্স বলছে "ক্যানিস মেজরিস" এ পর্যন্ত আবিষ্কৃত সবচেয়ে বড় তারকা। বিষয়টি ক্লিয়ার নয়।

১৭| ২৩ শে মে, ২০১৮ দুপুর ১২:১৪

মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: ওহে বিজ্ঞানী!
শিখা আপা আমাকে কানমলা দিয়েছে!:(
তার পেজে আর লড়াই করা যাবে না।
মনে থাকবে??X(

২৩ শে মে, ২০১৮ দুপুর ১২:২১

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: শিখা আপা আমাকে কানমলা দিয়েছে!:(
তার পেজে আর লড়াই করা যাবে না।
মনে থাকবে??X(


কেন!!! কি করেছিলেন?:(

১৮| ২৩ শে মে, ২০১৮ দুপুর ১২:৩১

মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: ওরে?
এমনি কি লেখকের নাম ষাড়গরু(কাও=গরু, সার=ষাড়)

জানেমান শিখা আপা মাস্টার মানুষ,
তার পেজে গন্ডগোল (@দিয়ে) করা যাবে না!
বুঝেছিস?X( পাগলু বন্ধু!;)

বন্ধু?
ফুলের পেজ থেকে ঘুরে আসুন:P

২৩ শে মে, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৭

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: এমনি কি লেখকের নাম ষাড়গরু(কাও=গরু, সার=ষাড়)


অনেক দিন পর এতো হাসলাম। আমার এক (বান্ধবী)!! এটা বলে খেপাতো সব সময়।

১৯| ২৩ শে মে, ২০১৮ দুপুর ২:৩২

শিমুল_মাহমুদ বলেছেন: সৌরজগৎ সম্পর্কে আবারো জানা হল। সুন্দর পোষ্ট।

২৩ শে মে, ২০১৮ দুপুর ২:৫৫

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ, আপনাকে।

২০| ২৩ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৩:১৫

নূর আলম হিরণ বলেছেন: 'পৃথিবী' নামক গ্রহের সঙ্গে চরম সংঘর্ষ হয়েছিল 'থিয়া' নামের একটি গ্রহের। সংঘর্ষের সময় পৃথিবীর বয়স ছিল ১০ কোটি বছর। সংঘর্ষের জেরে থিয়া ও পৃথিবীর এক সাথে জুড়ে যায়, তৈরি হয় নতুন একটি গ্রহের। সেই গ্রহটিতেই আমরা বাস করছি।
থিয়ার অস্তিত্ব আমাদের মাঝেই :)

২৩ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:০৫

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: হিরণ ভাই, ঠিকই বলেছেন।
থিয়ার অস্তিত্ব আমাদের মাঝেই :)

বিষয়টি আমিও আগে জানতাম না।

২১| ২৩ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৩:৩১

অনন্য দায়িত্বশীল আমি বলেছেন: @ ঠাকুরমাহমুদ-এর প্রশ্নটি আমারো।

২৩ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:০৬

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: এটি আমারও প্রশ্ন।

২২| ২৩ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:১০

রসায়ন বলেছেন: মহাবিশ্বের বড় তারকা ইউওয়াই স্কুটি এটির সাথে একমত নই । পোস্ট ভালো লেগেছে।

২৩ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৫:০৩

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ, ভাই।

বিষয়টা নিয়ে আমি কনফিউজ। কারণ- উইকপেডিয়া বলছে, "ইউ ওয়াই স্কিউটি" এ পর্যন্ত আবিষ্কৃত মহাবিশ্বের সবচেয়েে বড় তারকা। তবে কোন কোন সোর্স বলছে "ক্যানিস মেজরিস" এ পর্যন্ত আবিষ্কৃত সবচেয়ে বড় তারকা। বিষয়টি ক্লিয়ার নয়।

২৩| ২৩ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২০

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনি মনে হয়, দেখে দেখে লিখেছেন; সায়েন্স নিয়ে লিখতে হলে, বিষয়ের উপর আপনার নিজের সায়েন্টিফিক ধারণা থাকতে হবে।

২৩ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৮

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: আমি সাইন্সের কেউ না। এ বিষয়গুলো জানতে গিয়ে পড়াশুনা করেছি। আর তা থেকেই লেখেছি। পৃথিবী, চাঁদ, তারা, গ্রহ, নক্ষত্র, ধুমকেতু ইত্যাদি নিয়ে তো বানিয়ে লেখার সুযোগ নেই। তাই এখানে দেওয়া তথ্যগুলোও আমার মনগড়া নয়। এখানে আমি কোথাও বলিনি, এগুলো আমার সাইন্টিফিক গবেষণার ফল।

ধন্যবাদ আপনাকে, কমেন্ট করার জন্য।

২৪| ২৪ শে মে, ২০১৮ সকাল ১১:১৯

অচেনা হৃদি বলেছেন: ২০০৯ সালে প্লুটোকে গ্রহের তালিকা থেকে বাদ দেয়া হয় ।- আচ্ছা, গ্রহের তালিকা থেকে প্লুটোকে কি কারণে বাদ দেয়া হয় তা কি সংক্ষেপে একটু বলবেন ? এটা আমার পাঠ্য বিষয়, তাই জানা থাকলে উপকার হত ।

২৪ শে মে, ২০১৮ সকাল ১১:২৮

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: প্লুটো আবিস্কৃত হয় ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দে। বিজ্ঞানী ক্লাইড ডব্লিউ টমবাউ এটি আবিষ্কার করেন। সূর্যকে প্রদক্ষিণ করতে এর সময় লাগে ২৪৮ বছর। সূর্য থেকে প্লুটোর গড় দূরত্ব প্রায় ৬০০ কোটি কিলোমিটার। কক্ষপথে প্লুটোর গতি মাত্র ৪.৭ কিলোমিটার। এর ব্যাস প্রায় ৩০০০ কিলোমিটার। এর পাঁচটি উপগ্রহ রয়েছে। প্লুটোতে প্রচুর পরিমাণে মিথেন গ্যাস রয়েছে। কয়েক বছর একে গ্রহ এর তালিকায় রাখা হলেও একে ২০০৯ সাল থেকে বামন গ্রহ ধরা হয়ে থাকে। বিজ্ঞানীদের ধারণা, একটি পরিপূর্ণ গ্রহ হয়ে উঠতে যে বৈশিষ্ট্য থাকার কথা তা প্লুটোর নেই, তাই একে বাদ দেওয়া হয়েছে। তবে কিছু বিজ্ঞনীর এতে দ্বিমতও আছে।

বামন গ্রহ (Dwarf planet) হল সৌরজগতের এক ধরনের জ্যোতিষ্ক যা সম্প্রতি ইন্টারন্যাশনাল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল ইউনিয়ন কর্তৃক সজ্ঞায়িত হয়েছে। এই সংজ্ঞাটি বর্তমানে কেবল সৌরজগতের জন্যই প্রযোজ্য। প্লুটো গ্রহটিকে নিয়ে বিতর্ক ওঠার পর উক্ত প্রতিষ্ঠানটি বামন গ্রহের সংজ্ঞা নির্দিষ্ট করে প্লুটোকেও বামন গ্রহের তালিকায় স্থান দেয়। এতে করে এখন পর্যন্ত বামন গ্রহের সংখ্যা হল ৫ টি। এরা হল সেরেস, ইরিস, হোমিয়া, মেইকমেইক ও প্লুটো।

২৫| ২৭ শে মে, ২০১৮ ভোর ৪:০৮

বৃষ্টি বিন্দু বলেছেন: অনেক জ্ঞ্যান অর্জন হল।
এতদিন জেনে এলাম পৃথিবী গ্রহ কিন্তু একটা জায়গায় পেলাম পৃথিবী উপগ্রহ। এর কি কোন কারণ আছে?

২৭ শে মে, ২০১৮ দুপুর ১২:০২

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ, ভাই। পৃথিবী সৌরজগতের একটি গ্রহ, উপগ্রহ নয়।

২৬| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:২৬

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: সুখপাঠ্য

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:২৪

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ, শ্রদ্ধেয়; খুঁজে খুঁজ লেখাটি পড়ার জন্য। লেখা বিষয়ে যে কোন পরামর্শ দেবেন; আপনার লেখাগুলো পড়ে কিছুটা হলেও আপনাকে চিনতে পেয়েছি। আমি ধর্ম নিয়ে অনেক বছর স্টাডি করেছি; কিন্তু ব্লগে এ বিষয়ে লেখি না, কেউ লেখলেও কমেন্ট করি না। আশীর্বাদ করবেন আমার জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.