নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রবন্ধ ও ফিচার লেখতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। পাশাপাশি গল্প, অনুবাদ, কবিতা ও রম্য লেখি। আমি আশাবাদী মানুষ।
লন্ডন ওয়েস্ট এন্ডে (সেন্ট্রাল লন্ডন) বাংলাদেশী খাবারের দোকান নেই বল্লেই চলে, হাতে গোনা যে দুই-চারটি রেস্টুরেন্ট আছে সেগুলো আমার মত সাধারণ মানুষের সাধ্যের বাইরে। এমনিতেই ইংল্যান্ডে বাংলাদেশী রেস্তোরাগুলো খুব ব্যয়বহুল, সেন্ট্রাল লন্ডনে (সিটিতে) দাম তুলনামূলক ভাবে আরো বেশি। আমরা বাংলাদেশী যারা সারা রাত সেখানে কাজ করতাম সবাই যার যার মত করে কাজের ফাঁকে ম্যাকডুনাল্ড (McDonalds), কেএফসির (KFC) মত খাবার খেতাম। কারণ এগুলো তুলনামূলক সস্তা ও সহজলভ্য। তবে মাঝে মাঝে বাংলাদেশী একটি ছেলে কন্টেইনারে ভরে খাবার নিয়ে আসত বিক্রির জন্য। আমরা অনেকেই তার কাছে থেকে খাবার কিনে খেতাম।
একদিন দেখলাম একজন বয়স্ক ভদ্রলোক কনটেইনার ভরে খাবার নিয়ে এসেছেন বিক্রির জন্য। বয়স আনুমানিক পয়ষট্টি-সত্তর হবে। হাল্কা-পাতলা রোগা চেহারা। কথা প্রসঙ্গে জানতে পারলাম ১৭ বছর থেকে লন্ডনে আছেন কিন্তু লিগ্যাল (বৈধ নাগরিক) হতে পারেন নাই। দিনের বেলা একটি অফ লাইসেন্স (Off Liscence) শপে কাজ করেন। বৈধ কাগজপত্র না থাকায় খুবই অল্প বেতনে মালিক তাকে খাটায়, সাহস করে বেতন বাড়ানোর কথা বলেন না। যদি চাকরি চলে যায় এই ভয়ে! ইংল্যান্ডে ভারত ও বাংলাদেশী মালিকরা এই সুযোগটা নেয়। কারণ অবৈধ কাউকে চাকরি দেওয়া সে দেশের আইনে দন্ডনীয় অপরাধ। কথা প্রসঙ্গে বল্লেন, দেশে উনার এক ছেলে দুই মেয়ে। ছোট মেয়েটির জন্ম তার প্রবাসে আসার পর। বৈধ কাগজপত্র না থাকায় ১৭ বছর থেকে দেশে যেতে পারেন নাই। তাই সরাসরি ছোট মেয়েটিকে দেখার সুযোগ হয়নি। এখন ইন্টার ফাস্ট ইয়ারে পড়ে। ছেলেটি ইন্টার পাশ করে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির চেষ্টা করছে।
বড় মেয়েটি সিলেট ওসমানী মেডিকলে এমবিবিএস ফাইনাল ইয়ারের ছাত্রী। লক্ষ্য করলাম, বড় মেয়ের ডাক্তারী পড়ার কথা বলার সময় খুশিতে ভদ্রলোকের মুখটা উজ্জ্বল হয়ে উঠল। ঠিক যেমন শীতের সকালে দূর্বাঘাসের ডগায় শিশির বিন্দুর উপর সূর্যের আলো পড়ার পর চিকচিক করে। বল্লেন জান বাবা, এই মেয়েটাই আমার সব, আমার আশার আলো। মেয়েটা ডাক্তারি পাশ করলে দেশে চলে যাব। অনেক চেষ্টা করলাম, হয়ত আর লিগ্যাল হতে পারবো না। দেশে প্রতি মাসে ৩০-৩৫ হাজার টাকা পাঠাতে হয়। দোকানে কাজ করে যা পাই তা দিয়ে থাকা খাওয়ার পর তেমন কিছু থাকে না। তাই বাসায় ফিরে রান্না করে খাবার নিয়ে এখানে আসি বাড়তি সামান্য আয়ের আশায়।
মাঝে মাঝে সরকারি ফুড ইন্সপেক্টররা ওয়েস্ট এন্ডে আসে রাস্তায় কোন খাবার বিক্রি হয় কি না তা পর্যবেক্ষণ করতে। কারণ, অনুমোদন ছাড়া সে দেশে সব ধরনের খাবার বিক্রি করা দন্ডনীয় অপরাধ। তাই সবাইকে সতর্ক থাকতে হয়। চাচা ও সতর্ক ছিলেন। কিন্তু একদিন দেখলাম যে ব্যাগটিতে উনার খাবারগুলো রাখা ছিল সে ব্যাগটি ফুড ইন্সপেক্টররা নিয়ে ডাস্টবিনে ফেলে দিল। তবে খাবারগুলো কার তা শনাক্ত করতে পারেনি। কারণ টের পেয়ে চাচা সরে পড়েছিলেন। এদিনের তার লজ্জিত ও অপমানিত চেহারা আজো আমাকে পীড়া দেয়। সেদিনের পর উনাকে আর ওয়েস্ট এন্ডে দেখিনি।
বিলেতে যাওয়ার আগে লন্ডনের চাকচিক্য, উন্নত জীবন যাপন, উচু উচু অট্টালিক, পাউন্ড স্টার্লিং, টাওয়ার ব্রীজ আর লন্ডন আইয়ের ছবি সবার মনে ভাসে। যারা যেতে পারেন না তাদের অনেক আফসুস না দেখার। কিন্তু যাওয়ার পর ধীরে ধীরে রং ফ্যাকাশে হতে থাকে, স্বপ্নগুলোতে মরিচা ধরে। মনে হয় এটি আমার দেশ নয়, নিজেকে আবেগ অনুভূতিহীন একজন যাযাবর মনে হয়। যার কোন দেশ নেই, পরিচয় নেই। অনেক স্বপ্ন নিয়ে মানুষ উন্নত জীবনযাপনের আশায় লন্ডনে যায়। কিন্তু কয়জনই বা পায় সেই আলাদীনের চেরাগ?
যারা স্টুডেন্ট ভিসায় ইংল্যান্ডে আসেন তারা নিজের থাকা খাওয়ার খরছ যোগিয়ে টিউশন ফির টাকাও আয় করতে হয়। মাঝে মাঝে দেশে ফ্যামেলিতে টাকা পাঠাতে হয়। সেদেশের সরকার আইন করে বিদেশি ছাত্রদের সপ্তাহে ২০ ঘন্টা কাজের অনুমতি দিয়েছে। তবে যারা কলেজে পড়ে তাদের কাজের অনুমতি নেই। শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হলে ২০ ঘন্টা কাজের অনুমতি মিলে। এই টাকা দিয়ে নিজের থাকা খাওয়ার খরছ উঠে না। তাই বাধ্য হয়ে ছাত্ররা অবৈধভাবে কম পারিশ্রমিকে বেশি কাজ করতে হয়। অনেক মেয়ে বাধ্য হয়ে সর্টকাট পথ বেছে নেয়। দেশে অনেকের পরিবার তার হাতের দিকে চেয়ে থাকে। তাই নিজে না খেয়ে, না পরে দেশে টাকা পাঠাতে হয়। কখনো দেশের আপনজনকে মুখ খুলে বলতে পারে না সে কেমন আছে। নিজের কষ্টের ভাগ বাবা-মা, ভাই-বোনকে দিয়ে তাদের কষ্ট বাড়াতে চায় না সে। পরিবারের যেকোন দুঃসংবাদে ভেঙ্গে পড়ে। শত কষ্টের মাঝে পরিবারের ভাল থাকাটাই তার বেঁচে থাকার অবলম্বন।
এরা দেশের যেকোন খারাপ সংবাদ শুনলে কষ্ট পায়। প্রবাসীদের কাছে পুরো দেশটাই তো তার পরিবার। যখন দেশের কোন ভাল সংবাদ শুনে সবাইকে শেয়ার করে জানাতে মন চায়। যখন শুনে তার রক্ত ঝরা রেমিটেন্স দুর্নীতির মাধ্যমে বিদেশে পাচার হয় তখন নিজের সন্তান হারানোর মতো কষ্ট পায়। কিন্তু তার কষ্ট, তার আকুতি কেউ দেখে না। সে একজন সাধারণ কামলা মাত্র। দেশের স্যুট টাই পরা ভদ্রলোকরা তাদের কষ্টের রেমিটেন্স লোপাট করেন, বিদেশ পাচার করে। এসব মহামান্য স্যারদের বিরুদ্ধে কামলাদের কথা বলা মানায় না, এটা তো বেয়াদবির শামিল!!
ইউকে বর্ডার এজেন্সি (UK Border Agency) যখন কোন অবৈধ ইমিগ্রেন্ট ধরতে রেইড দেয়, তখন এমনভাব করে দেখে মনে হবে খুনের পলাতক আসামী ধরতে এসেছে। আর যদি কাউকে পেয়ে যায় মনে হবে জংলী হায়েনা অনেক দিন পর কাঁচা মাংসের স্বাদ পেয়েছে। এদের আচরণ খুব হিংস্র ও উদ্যতপূর্ণ হয়। অনেকের আবার ইংল্যান্ডে থাকার অনুমতি আছে কিন্তু কাজের কোন অনুমতি নেই, তাই তাদেরকেও এরা ধরে নিয়ে জেলে পুরে দেয়। একদিন নর্থ লন্ডনে এক মামার রেস্টুরেন্টে গিয়েছিলাম। তিনি সেখানকার ম্যানেজার। বল্লেন, গতককাল আমাদের একজন ওয়েটারকে বর্ডার এজেন্সি ধরে নিয়ে গেছে। তার অপরাধ ভিসা আছে কিন্তু কাজের কোন অনুমতি নেই!! তাই অনুমতি না থাকার মহা অপরাধে নিয়ে গেল। তিনি জানালেন ছেলেটি খুব মেধাবী, জানি না কী দূর্গতি তার কপালে আছে। সে একটি ভাল কলেজে পড়ে। দেশে পরিবারকেও মাঝে মাঝে সাপোর্ট দিতে হয় তার।
বিভিন্ন কারণে অবৈধ হয়ে যাওয়া বাংলাদেশী নাগরিক ও স্টুডেন্টদের ইমিগ্রেশন সংক্রান্ত পরামর্শের জন্য পূর্ব লন্ডনের হোয়াইট চ্যাপল, অলগেট, কমার্শিয়াল রোড, বেথনাল গ্রীন ও ব্রিকলেনে অসংখ্য ল'ফার্ম আছে। ব্রিটেনে এসব ল'ফার্মের আইনজীবিদের 'সলিসিটর' বলা হয়। টাকার বিনিময়ে এরা এমন কোন অপকর্ম নেই যা করতে পারে না। সময় সুযোগে এরা অসহায় বাংলাদেশী অবৈধ নাগরিক ও বিপদগ্রস্ত ছাত্রদের কাছ থেকে কৌশলে হাজার হাজার পাউন্ড হাতিয়ে নেয়। এদের বেশিরভাগেরই ব্রিটেনে আইন পেশার কোন সনদ নেই। এজন্য বাংলাদেশীরাই হচ্ছে একমাত্র টার্গেট। অনেকে এদেরকে 'সলি-চিটার' অথবা 'দালাল' বলে থাকেন।
ইমিগ্রেশন নিয়ে আমারও অনেক তিক্ত অভিজ্ঞতা আছে। একদিনের জন্য অবৈধ না হয়েও অনেক হয়রানির শিকার হয়েছি। চলার পথে, কাজের সময় কতবার যে আমার আইডি চেক করেছে তার কোন হিসাব নেই। একদিন তো শত শত মানুষের সামনে আমাকে দীর্ঘ সময় দাঁড় করিয়ে জেরা করে ইমিগ্রেশন পুলিশ। অপরাপ হলো আমার চামড়া সাদা নয়। একদিন তো ধরে থানায় নিয়ে গেল। নেওয়ার পর কত কিছু করলো!! নিজেকে আমাজনের একজন খাঁটি জংলী মনে হলো তখন। ঊনিশ ঘন্টা পর ছেড়ে দেওয়ার পর জাস্ট 'সরি' বল্ল। তবে বলে দিল তাদের এ ভুলের জন্য চাইলে মামলা করতে পারবো!! আর এয়ারপোর্টে হয়রানির কথা কী আর বলবো। শত শত সাদা চামড়ার লোকজন অনায়াসে ইমিগ্রেশন পার হলেও আমাদের চেহারা দেখলেই তাদের হুশ থাকে না। কত শত প্রশ্ন আর পাণ্ডিত্য!! দূর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, এসব ইমিগ্রেশন অফিসারদের মধ্যে বাংলাদেশী ও দক্ষিণ এশিয়ান বংশধর বৃটিশরাই বেশি আমাদের টর্চার করে।
অথচ তাদের দেশের নাগরিক ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের নাগরিকদের কাজের অনুমতি থাকার পরও অনেকে লুকিয়ে সরকারকে না জানিয়ে কাজ করে। কারণ সরকার জানলে তারা ফ্যামেলি বেনিফিট কম পাবে, ঘর ভাড়া দিতে হবে তাই। অনেকে আবার টাকার জন্য নিজের বেডরুম ভাড়া দিয়ে বসার ঘরে সোফায় ঘুমান। এটা তাদের আইনে দন্ডনীয় অপরাধ হলেও সরকারের লোকজনের খুব দৌড়ঝাঁপ চোখে পড়ে না। সব দোষ আমাদের নিরীহ ছাত্র/অবৈধ বাংলাদেশীদের, যারা শুধুমাত্র জীবিকার স্বার্থে কাজ করে বাঁচার চেষ্টা করেন মাত্র।
প্রতি বছর শত শত বাংলাদেশী ছেলে-মেয়ে ইংল্যান্ড থেকে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে অবৈধভাবে পাড়ি জমায় নাগরিকত্ব ও ভাল কাজের আশায়। ইউকেতে বৈধভাবে কাজ করে যেখানে নিজের থাকা খাওয়ার পয়সা উপার্জন করা যায় না, সেখানে ইউনিভার্সিটির খরছ যোগান দেওয়া প্রায় অসম্ভব। অনেক ছাত্র/ছাত্রী ৭-৮ বছর ইংল্যান্ডে পড়াশুনা করেও কুলাতে না পেরে ইউরোপে পাড়ি দিতে দেখেছি। দেশে ফিরতে অনেকেই ভয় পান। যতই কষ্ট হোক অজানা আশংকায় দেশমুখী হন না।
ইংল্যান্ড আজব এক দেশ। যেখানে সারা পৃথিবীর বিখ্যাত দুর্নীতিবাজ, ড্রাগ ডিলার, চোরাকারবারি ও খুনের সাজাপ্রাপ্তরা সহজে টাকার জোরে ব্রিটেনে বৈধভাবে থাকার অনুমতি পায়। অথচ যারা দীর্ঘদিন সেদেশে থেকে পড়াশুনা করলো, ট্যাক্স পরিশোধ করলো, সে দেশের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকলো, যাদের বিরুদ্ধে কোন অপরাধের প্রমাণ নেই, তাদের নাগরিকত্ব দিতে যত আপত্তি। নিজ দেশে খুনের অপরাধী ও বিভিন্ন মামলা আছে প্রমাণ করতে পারলে সিটিজেন হতে সহজ হয়! এছাড়া ধর্মহীন ও গে সমাজের মানুষদের জন্যও বৈধ হওয়া অনেকটা সহজ। আপনি নিরেট ভদ্রলোক হলে নাগরিক হওয়ার চান্স সীমিত।
ইতালী, ফ্রান্স,স্পেন, পর্তুগাল, সুইডেন, ডেনমার্ক, নরওয়ে, নেদারল্যান্ড, বেলজিয়াম, ফিনল্যান্ড ও জার্মানী বাংলাদেশীদের ইংল্যান্ডের তুলনায় মানুষ হিসবে অনেক বেশি মর্যাদা দেয়। অল্পদিনে নাগরিকত্ব দেয়। ব্রিটিশরা দুইশো বছরের বেশি আমাদের দেশ শাসন করলেও এখন বিলকুল ভুলে গেছে। তারা যতই আমাদের কমনওয়েলথভূক্ত দেশ বলে বুলি আওড়াক না কেন বাস্তবে তার কোন প্রতিফলন নাই। আর মানবাধিকার বলে এরা শুধু গরীব দেশগুলোতে খবরদারী করে। "এ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল" বৃটেনে পয়দা হলেও সেখানে তাদের কোন কার্যক্রম/গর্জন তেমন একটা দেখা যায় না। আর বাংলাদেশ হাই কমিশন!! দাওয়াত খাওয়া, ফিতা কাঁটা আর জন্মদিনে কেক খাওয়া ছাড়া বৃটেনে এদের দৃশ্যমান কোন কাজ কখনো চোখে পড়ে না।।
ফটো ক্রেডিট,
গুগল।
২৩ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:১০
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: সুহেল ভাই, শুভেচ্ছা নিবেন।
"আপনার স্মৃতিচারন পড়তে ভালই লাগছিল।শেষ হয়ে গেল!!
আশা করি সামনে আরও পর্ব পাব?"..............
সুহেল ভাই, ব্রিটেনের কত স্মৃতি জমে আছে বলে কী শেষ করা যাবে? সামনের দিনগুলোতে আর লেখবো এ বিষয়ে।
২| ২৩ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৪
কথার ফুলঝুরি! বলেছেন: নিজের দেশ, বাবা মা সবাইকে ছেড়ে বিদেশে কাজ অথবা পড়াশোনা করা খুবই কঠিন। যাওয়ার পর পর পর নতুন দেশ, নতুন মানুষ সবকিছু নিয়ে Excitement থাকায় তেমন কষ্ট লাগেনা কিন্তু যত দিন যায় তত একাকীত্ব বাড়ে।
আর যারা অবৈধ ভাবে কাজ করে তাদের কষ্টের কথা তো অবর্ণনীয়। শুধুমাত্র নিজের পরিবারের মুখে হাসি ফুটানোর জন্য তাদের মুখে খাবার তুলে দেওয়ার জন্য আপনজন গুলো দুরদেশে অন্য দেশে এতটা কষ্ট করে। আহারে সেই মানুষগুলো
আর শুধুমাত্র ইংল্যান্ড না, অনেক দেশে এমন কত মানুষ পড়াশোনা, কিছুটা টাকা উপার্জন এর আশায় পাড়ি জমায় কিন্তু দূর থেকে সব সহজ মনে হয় কিন্তু বাস্তব টা অনেক কঠিন।
২৩ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:১১
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: "নিজের দেশ, বাবা মা সবাইকে ছেড়ে বিদেশে কাজ অথবা পড়াশোনা করা খুবই কঠিন। যাওয়ার পর পর পর নতুন দেশ, নতুন মানুষ সবকিছু নিয়ে Excitement থাকায় তেমন কষ্ট লাগেনা কিন্তু যত দিন যায় তত একাকীত্ব বাড়ে।
আর যারা অবৈধ ভাবে কাজ করে তাদের কষ্টের কথা তো অবর্ণনীয়। শুধুমাত্র নিজের পরিবারের মুখে হাসি ফুটানোর জন্য তাদের মুখে খাবার তুলে দেওয়ার জন্য আপনজন গুলো দুরদেশে অন্য দেশে এতটা কষ্ট করে। আহারে সেই মানুষগুলো
চমৎকার কিছু কথা বলেছেন। এটা সত্যি অনেক বেদনাদায়ক।
৩| ২৩ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৬
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: অসাধারণ একটি লেখা পড়লাম। বিনা খরচে এতো ভালো লেখা পড়তে পারি বলেই তো ব্লগে আছি। নইলে কবেই চলে যেতাম। আমি গরীব মানুষ। বই কেনার টাকা কই। এই বিদেশে বই কেনা খুব সহজ ব্যাপার নয়। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ , কাউসার ভাই।
২৩ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:১৪
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: সাজ্জাদ ভাই, আপনিও প্রবাসী। তাই লেখাটির মর্ম সহজে অনুধাবন করতে পেরেছেন। আর আমার লেখার প্রশংসা পেয়ে লজ্জা পেলাম। এখনো লেখক হয়ে উঠতে পারিনি। চেষ্টা করছি মাত্র। আশীর্বাদ করবেন।
৪| ২৩ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৭
মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: ব্রিটিসদের হিরোগিরি দিন শেষ!
ব্রেক্সিট কার্যকর হলে ওদের কেউ আর বেল দিবে না!!
বন্ধু তোমার সব লেখা
এত কেন বড় হে?
মাঠ ফাঁকা রেখো না
গোল দিয়ে দেব যে!!
২৩ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:১৯
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: "ব্রিটিসদের হিরোগিরি দিন শেষ!
ব্রেক্সিট কার্যকর হলে ওদের কেউ আর বেল দিবে না!!
নিজাম ভাই, ওরা বেনিয়ার জাত। ঠিকই একটা উপায় বের করে নেবে।
বন্ধু তুমি আমার সাথে
এতো কেন জেলাস হে,
ফাঁকা মাঠ লাগবে না মোর
গোল দিতে জানি যে!!
২৪ শে মে, ২০১৮ রাত ১২:০০
কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
বন্ধু তোমার সব লেখা
এত কেন বড় হে?
মাঠ ফাঁকা রেখো না
গোল দিয়ে দেব যে!!
বন্ধু তোমার সব লেখা
এত কেন বড় হে?
মাঠ ফাঁকা রেখো না
গোল দিয়ে দেব যে!!
ওরে ব্যাটা রাগিস না
প্রথম পাতায় দেখে যা
সনেট কবি লিখেছে কি
সব লোকে পড়ে তা
৯৪ ওজন নিয়ে
সাজো তুমি হিরো হে?
কত এলো হাতি ঘোড়া,
মোর কাছে জিরো যে।
বুঝি বুঝি সব বুঝি
ব্লগে তোর পাগলামি
মোর পদে ভাগ চাস
হতে চাস তুই আমি??
রাজনীতির ম্যাওপ্যাও
কেন তুমি করো হে??
লাভ নেই, নেই লাভ
ওসব আমি জানি যে?? (ঐ ঘাটের জল অনেক আগেই খেয়েছি)
যে যা বলে, বলে যাক
থামিস না ভাই তুই(লেখালেখি চলুক)
ব্লগে তার সাথি হোক
কানা, খোঁড়া জবা জুঁই...
ভালো থাক, সুখে থাক
দোয়া করি আমি হে,
কোনদিন দেখা হলে
বলিস না তুমি কে???
আমি নাকি গানা ছাড়া
কোন কিছু পারি না!
পাজি গাজী বলে কেন
আমি তাহা জানি না?
মোর কথা বলি আমি
নিজে ফাটাই হাঁড়ি
(আমার সাথে) টক্কর দেবার মত লোক
নেই ব্লগ বাড়ী।।
তা কি তুমি জান ম্যান??
আমার দোলনা নিয়ে বারেবারে
টানাটানি করো ক্যান?
আমি এখন ছড়াকার
দেশ থেকে বহু ফার
তুমি হে কোন ছার?
কিনবো নতুন কার?)!
চাও যদি দোলনা
আমাকে হে বলনা?
লজ্জাবতী না হয়ে
আমার সাথে চল না
কার সাথে তোর ভাব
আমি কি তা জানি না?
হাটে যদি হাঁড়ি ভাঙি
দেখতে সে রানী না।
কত এল রাজা গোজা
হাতি ঘোড়া গেল তল
গাজীর সাথে ভাব করে,
মাপতে চাও মোর জল??
ভুল তুমি করো না
ব্লগে প্রেম করো না।
বলি আমি শোন ভাই
সাবধানে মার নাই.....
৫| ২৩ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৮
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আশাকরি কাওসার ভাই ভালো আছেন। আজকের পোষ্টিও বরাবরের ন্যায় ভালো হয়েছে। প্রবাসের পাতা থেকে শুনতে খুবই ভালো লাগে। তবে বিষন্ন হলাম সিলেটের চাচাজীর পরিনতি শুনে। সত্য দুবেলা দুমুঠো খাবারের যোগান দিতে আত্মীয় পরিজন ছেড়ে কোথায় না বসবাস, তাও আবার এমন অবস্থায়। উপর ওয়ালা ওনার পরিবারকে রক্ষা করুন, কামনা করি।
খারাপ লাগলো ইউকো বডার এজেন্সির কাছে গ্রেপ্তার হওয়া ছেলেটির খবর জোনে। সলিচিটার আরও একটি অবক্ষয়ের দিক। বিদেশে নিম্নবিত্ত বা মধ্যবিত্ত ছাত্রদের করুণ পরিনতি দেখে শিউরে উঠলাম। এভাবে প্রতিদিন কতটা স্বপ্ন আইনের জাঁতাকল শুকিয়ে যাচ্ছে।
জানিনা ভাই আজকের এই স্মৃতিচারণের মধ্যে আপনার নিজের জীবন আছে কিনা। যাইহোক এই সংগ্রামী সন্তানদের জন্য রইল অন্তরের কুর্নিশ ।
অনোক অনেক শুভ কামনা প্রিয় কাওসার ভাইকে।
২৩ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:২৩
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ, প্রিয় পদাতিক চৌধুরী ভাই।
"খারাপ লাগলো ইউকো বডার এজেন্সির কাছে গ্রেপ্তার হওয়া ছেলেটির খবর জোনে। সলিচিটার আরও একটি অবক্ষয়ের দিক। বিদেশে নিম্নবিত্ত বা মধ্যবিত্ত ছাত্রদের করুণ পরিনতি দেখে শিউরে উঠলাম। এভাবে প্রতিদিন কতটা স্বপ্ন আইনের জাঁতাকল শুকিয়ে যাচ্ছে।"........ এখানে হিউমেন রাইটের কোন বালাই নেই।
"জানিনা ভাই আজকের এই স্মৃতিচারণের মধ্যে আপনার নিজের জীবন আছে কিনা। যাইহোক এই সংগ্রামী সন্তানদের জন্য রইল অন্তরের কুর্নিশ। "............
স্মুৃতির সাথে আমারও কিছু কথা এখানে আছে। অনেক ভাল লাগা প্রিয় ভাই।
৬| ২৩ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৩:৪১
তারেক_মাহমুদ বলেছেন: দারুণ পোষ্ট , প্রবাসীরা কত পরিশ্রম করে এবং অন্তর থেকে এই দেশটাকে ভালবাসা তারই একটি চিত্র এই পোষ্টে তুলে ধরেছেন, লাইক দিলাম।
২৩ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৪
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ, তারেক ভাই। যারা কখনো প্রবাসি হন নাই তারা বুঝবে না এর বেদনা কতটা গভীর। সকল প্রবাসী ভাইদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও ভালবাসা রইলো।
৭| ২৩ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৫
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আবার পড়লাম। আপনার লেখার হাত এতো ভালো যে হিংসা (ভালো অর্থে) করতে মন চায় ।
২৩ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৫
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: হাসলাম, সাজ্জাদ ভাই। কৃতজ্ঞতা রইলো। আর দোয়া করি আপনার প্রবাস জীবনটা সুন্দর হোক।
৮| ২৩ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:০০
রোকনুজ্জামান খান বলেছেন: দেশে থেকে আমরা দেশের মায়া কি সেটা হয়তো কমই বুজি । অনেক ভাল লেগেছে আবার পড়তে পড়তে শরীরের লোম গুলো ও সাড়া দিয়েছে । এই দেশ আমার মাটি আমার ।
২৩ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৭
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: হ্যা, ঠিকই বলেছেন রোকনুজ্জামান ভাই। প্রবাসে না গেলে দেশের মায়া বোঝা যায় না।
৯| ২৩ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:১৪
সনেট কবি বলেছেন: দারুণ সুন্দর পোষ্ট।
২৩ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৯
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ, স্যার। আমাকে নিয়ে আপনার আজকের সনেটটি চমৎকার হয়েছে। অনেক কৃতজ্ঞতা, স্যার। ভাল থাকবেন সব সময়।
১০| ২৩ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:১৬
রাজীব নুর বলেছেন: এই ধরনের লেখা গুলো নিয়মিত লিখবেন। ভালো লাগে।
২৩ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৫০
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: রাজীব ভাই, ধন্যবাদ।
ব্রিটেনের কত স্মৃতি জমে আছে বলে কী শেষ করা যাবে? সামনের দিনগুলোতে আর লেখবো এ বিষয়ে।
১১| ২৩ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:২৩
মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: ওরে ব্যাটা রাগিস না
প্রথম পাতায় দেখে যা
সনেট কবি লিখেছে কি
সব লোকে পড়ে তা
২৩ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৫২
কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
প্রথম পাতায় গিয়েছি,
সনেটটিও পড়েছি,
কৃতজ্ঞতার শেষ নেই,
সনেট কবিকে ধন্য জানাই।
১২| ২৩ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:২৩
স্ব বর্ন বলেছেন: আপনার লেখা আমার সবসময়ই ভাল লাগে আর আজকে একটু বেশিই ভাল লেগেছে যে আপনার সৃত্মি থেকে নিয়ে পড়ছি।কিন্তু পড়া শেষ হয়ে গেলেই মনটা খারাপ হয়ে গেল শেষ না হলেই ভাল হত ।এরকম লেখা আরো পড়তে চাই অপেক্ষায় রইলাম।
২৩ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৪
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। আপনি নিয়মিত আমার লেখা পড়েন জেনে ভাল লাগলো। আশীর্বাদ করবেন আমার জন্য যাতে লেখার হাতটি ভালো করতে পারি।
১৩| ২৩ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৪
ঢাবিয়ান বলেছেন: খুব সুন্দর লিখেছেন। প্রবাসে প্রফেশনাল হিসেবে যেসব বাংলাদেশী আছে তাদের সংখ্যা খুব বেশি নয়। মেজরিটি বাংলাদেশী প্রবাসে শ্রমিক হিসেবে আছে অথবা আছে অবৈধ উপায়ে। আপনার লেখায় চাচা মিয়ার মত বহু মানুষের দেখা পেয়েছি এই প্রবাসে। কঠিন মানবেতর জীবন যাপন তাদের প্রবাসে।শরীরের রক্ত পানি করে তারা দেশে টাকা পাঠায়। তারপরেও দূর থেকে পরিবারকে জানাতে চায় না তাদের কষ্টের কথা। এদের পাঠানো রেমিটেন্সের উপড় ভর করে দাঁড়িয়ে আছে দেশ। জীবনযুদ্ধে পর্যুদস্থ এই মানুষগুলো একেকজন জীবন্ত যোদ্ধা যারা প্রতি মুহুর্তে লড়ে যাচ্ছে নিজ পরিবারের জন্য, নিজ দেশের জন্য।
২৩ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৮
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: প্রবাসে প্রফেশনাল হিসেবে যেসব বাংলাদেশী আছে তাদের সংখ্যা খুব বেশি নয়। মেজরিটি "বাংলাদেশী প্রবাসে শ্রমিক হিসেবে আছে অথবা আছে অবৈধ উপায়ে। আপনার লেখায় চাচা মিয়ার মত বহু মানুষের দেখা পেয়েছি এই প্রবাসে। কঠিন মানবেতর জীবন যাপন তাদের প্রবাসে।শরীরের রক্ত পানি করে তারা দেশে টাকা পাঠায়। তারপরেও দূর থেকে পরিবারকে জানাতে চায় না তাদের কষ্টের কথা। এদের পাঠানো রেমিটেন্সের উপড় ভর করে দাঁড়িয়ে আছে দেশ। জীবনযুদ্ধে পর্যুদস্থ এই মানুষগুলো একেকজন জীবন্ত যোদ্ধা যারা প্রতি মুহুর্তে লড়ে যাচ্ছে নিজ পরিবারের জন্য, নিজ দেশের জন্য।"........
চমৎকার কিছু কথা বলেছেন ভাই। কৃতজ্ঞতা ও ভালবাসা রইলো।
১৪| ২৩ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৫
প্রামানিক বলেছেন: স্মৃতিচারণ খুবই ভালো লাগল, এক টানেই পড়ে ফেললাম। শুভেচ্ছা রইল।
২৩ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৫:০০
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: প্রামানিক ভাই, আপনি পড়েছেন জেনে খুশি হলাম। অনেক ভাললাগা আপনার জন্য।
১৫| ২৩ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৫:০৭
প্রামানিক বলেছেন: আপনার লেখা পড়ে যত না ভালো লাগল তার চেয়ে বাংলাদেশীদের দুর্দশার চিত্রই বেশি পেলাম। আমরা অনেকেই তাদের কষ্টের কথা জানি না এবং ইংল্যান্ডে যারা থাকে তারা কেউ বলেও না। ধন্যবাদ আপনাকে অকপটে সব কথা বলার জন্য।
২৩ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৫:১৫
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: বাংলাদেশের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশুনা করে শত শত ছেলে মেয়ে ধোয়া মোছার কাজ করে। লন্ডন সিটিতে এদের অনেকেই রিক্সা চালায়, এই খবর কয়জনই বা নেয়।
১৬| ২৩ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০১
ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: একটু সুখের আশায় পরিবার পরিজন, দেশ-মাটি ফেলে রেখে আমাদের ভাই বোনেরা বিদেশে যায়। কিন্তু সেখানে তাদের যে যন্ত্রনার মুখোমুখি হতে হয়, তা শুনলে মন খারাপ হয়ে যায়।
খুব সুন্দর করে মানুষের জীবনের প্রত্যাশা আর হাহাকারের কথা লিখেছেন। আপনি আমার প্রিয় একজন ব্লগার।
তাই প্রশ্ন করি,"আজকে আমরা ৩য় বিশ্বের দেশ বলে পিছিয়ে আছি, আমাদের দেশে মেধার মূল্য নেই। কিন্তু সেই ছেলেটি বিদেশে মেধার মূল্য পেয়েছে কি? তার বাবা-মা জানি তাকে নিয়ে কত স্বপ্ন দেখে। কিন্তু তার স্বপ্লগুলো দুঃস্বপ্ন হয়ে যায় কিনা তার খবর কে রাখে?"
আর কত যুগ পরে আমরা বলতে পারবো, আমরা নিজেরা নিজেদের মেধার মূল্য দিতে জানি? সব কি সরকারের দোষ? সরকারতো ধ্রুবক না। জনগন ধ্রুবক। এদের ঘুম কে ভাঙাবে?
মন হয়, পৃথিবীটা সবার জন্য সুন্দর না!
২৩ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৭
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: বাহ!! চমৎকার বলেছ তুমি।
"আজকে আমরা ৩য় বিশ্বের দেশ বলে পিছিয়ে আছি, আমাদের দেশে মেধার মূল্য নেই। কিন্তু সেই ছেলেটি বিদেশে মেধার মূল্য পেয়েছে কি? তার বাবা-মা জানি তাকে নিয়ে কত স্বপ্ন দেখে। কিন্তু তার স্বপ্লগুলো দুঃস্বপ্ন হয়ে যায় কিনা তার খবর কে রাখে?"
আর কত যুগ পরে আমরা বলতে পারবো, আমরা নিজেরা নিজেদের মেধার মূল্য দিতে জানি? সব কি সরকারের দোষ?"....................
তোমার মেধার প্রশংসা করছি। তোমার মধ্যে অনেক সম্ভাবনা দেখছি।
১৭| ২৩ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২১
মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: চৌধুরী ভাই?
আপনার কোন কোন পোস্টে আমার ছড়া আছে একটু দেখুন তো?
আমি দুটোর বেশী খুঁজে পাচ্ছি না..
ভাবছি ছড়াগুলো সব একসাথে করবো....
রাতে কথা হবে!
২৩ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১০
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: দেখবো, সবগুলো একসাথে করে দেব।
১৮| ২৩ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০২
জাহিদ অনিক বলেছেন:
লেখাটা ভালো লাগলো।
দূর থেকে মনে হয় প্রবাসী সবাই যেন কত আমোদ মৌজে থাকে
২৩ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১১
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: জাহিদ ভাই, শুভেচ্ছা নেবেন।
"দূর থেকে মনে হয় প্রবাসী সবাই যেন কত আমোদ মৌজে থাকে।"........ ঠিক বলেছেন।
১৯| ২৩ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৫
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:
খুব সুন্দর সাবলীল লেখা।
পড়তে যেমন ভাল লেগেছে, আবার পড়তে পড়তে অনেক কিছু জানাও হল।
একই চিত্র আমি দেখেছি আমেরিকাতে।
তবে প্রবাসে অনেকেই ভাল আছেন। আবার অনেকেই অনেক অনেক কষ্টে আছেন।
অবশ্য এই ভাল থাকা-মন্দ থাকা সারা পৃথিবীর মানুষের জন্যই প্রযোজ্য।
প্রবাসে খারাপ থাকার পিছনে অনেক কারণ থাকতে পারে।
তবে আমার কাছে মনে হয়েছে, অধিকাংশই শুধুমাত্র কল্পনা আর স্বপ্নের উপর ভর করে প্রবাসে চলে এসেছে।
কেউ যদি একটা ছোট্ট নৌকা নিয়ে মহাসমুদ্র পার হওয়ার স্বপ্ন দেখে তা হলে সে বিপদে পরবে, কষ্ট হবে এতে কোন সন্দেহ নাই, বরং বিপদে পরাটাই স্বাভাবিক। আর যদি সে একটা সমুদ্রগামী জাহাজ নিয়ে বের হয় তা হলে তার ভ্রমণ হবে আনন্দদায়ক এবং নিরাপদ।
২৩ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২১
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ, আপনাকে। সুচিন্তিত ও বাস্তব সম্মত সুন্দর কমেন্ট করার জন্য। অনেক শুভ কামনা আপনার জন্য।
২০| ২৩ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৮
শিখা রহমান বলেছেন: কাওসার আপনার এই লেখাটা মন ছুঁয়ে গেলো। খুব সুন্দর লিখেছেন। প্রবাসে থাকার কারণে লেখাটার অনেককিছুই দেখার বা জানার অভিজ্ঞতা আছে।
ভালো থাকবেন। আপনি দারুন লেখেন। সুন্দর লেখনীতে মাতিয়ে রাখুন ব্লগ। শুভকামনা।
২৩ শে মে, ২০১৮ রাত ৮:২০
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: আপা, আপনি আমার লেখাগুলো নিয়মিত পড়েন এতে খুব খুশি হই। আপনার অনুপ্রেরণা আমার সামনের দিনগুলোতে ভাল লেখার খোরাক হয়ে থাকবে। আপনার প্রবাস জীবনটা সুখের হোক এই কামনা করি।
২১| ২৩ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫০
শামচুল হক বলেছেন: নদীর এপার ছাড়িয়ে কহে নিঃশ্বাস, ওপারে কত সুখ আমার বিশ্বাস--- আমরা যারা বাংলাদেশে আছি তারা অনেকেই বিদেশের এই কষ্টের খবর জানি না, আমরা জানি লন্ডন যাওয়া মানেই পকেট ভরা ইউরো আর ডলার। আপনার লেখা পড়ে প্রকৃত সত্য জানা হলো। ধন্যবাদ কাওসার ভাই।
২৩ শে মে, ২০১৮ রাত ৮:২২
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: "নদীর এপার ছাড়িয়ে কহে নিঃশ্বাস, ওপারে কত সুখ আমার বিশ্বাস--- আমরা যারা বাংলাদেশে আছি তারা অনেকেই বিদেশের এই কষ্টের খবর জানি না, আমরা জানি লন্ডন যাওয়া মানেই পকেট ভরা ইউরো আর ডলার। আপনার লেখা পড়ে প্রকৃত সত্য জানা হলো।"..........
শামচুল ভাই, চমৎকার বলেছেন। অনেক শুভ কামনা আপনার জন্য।
২২| ২৩ শে মে, ২০১৮ রাত ৮:০৮
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: লন্ডনে আমি একবারই গিয়েছি, ব্যাবসা বা কোনো কাজে না অযথা, এটাকে ট্যুরে ও বলা যায় না, অযথা ইমিগ্রেশনে একগাদা প্রশ্নত্তোর আমি যখন দেখালাম আমার পাসপোর্টে ইউ এস ভ্রমণ করা আছে ইমিগ্রেশণ ভদ্রমহিলা উত্তর দিলেন “সো ওয়াট দিজ ইজ নট ইউ এস” আরো অনেক কথা এখন আর মনে নেই, বেড়ানোর মতো পৃথিবীতে অসংখ্য দেশ আছে তবে বেয়াদব আমেরিকা আর বৃটেন বেড়ানোর উদ্যেশ্যে না যাওয়াই ভালো, আর বাংলাদেশী রা মানবেতর জীবন যাপন করছে লন্ডন আমেরিকা ইতালী সহ সমস্ত ইউরোপে - আমার ধারণা বাঙ্গালী বরং মধ্যপ্রাচ্যে ভালো আছে আমি মধ্যেপ্রাচ্যের মোটামোটি সবগুলো দেশেই গিয়েছি লিবিয়া বাদে । ভবিষ্যতে লন্ডন বা আমেরিকা নাম কা ওয়াস্তে ভ্রমণ করে ডলার পাওন্ড খরচ করার আর ইচ্ছা নাই ।
২৩ শে মে, ২০১৮ রাত ৮:২৬
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: "আর বাংলাদেশী রা মানবেতর জীবন যাপন করছে লন্ডন আমেরিকা ইতালী সহ সমস্ত ইউরোপে - আমার ধারণা বাঙ্গালী বরং মধ্যপ্রাচ্যে ভালো আছে আমি মধ্যেপ্রাচ্যের মোটামোটি সবগুলো দেশেই গিয়েছি লিবিয়া বাদে । ভবিষ্যতে লন্ডন বা আমেরিকা নাম কা ওয়াস্তে ভ্রমণ করে ডলার পাওন্ড খরচ করার আর ইচ্ছা নাই।"...............
আমিও মনে করি, মধ্যপ্রাচ্যে অনেক ভাল আছেন বাংলাদেশিরা। তবে ইউরোপ-আমেরিকায় যাদের সিটিজেনশীপ আছে তারা অনেক সুযোগ সুবিধা পান।
আপনার বৃটেন ভ্রমণ অভিজ্ঞতা ভাল হয়নি জেনে খারাপ লাগছে। এয়ারপোর্টে আমাদের চেহারা দেখলেই এরা আমাদের চুর-ডাকাত ভাবে, কতশত প্রশ্ন আর পাণ্ডিত্য!!
২৩| ২৩ শে মে, ২০১৮ রাত ৮:২৬
সুমন কর বলেছেন: লেখায় অনেক সত্য তুলে ধরেছেন। গল্পের পেছনের কাহিনী।
সবার কষ্ট দূর হয়ে যাক...
২৩ শে মে, ২০১৮ রাত ৮:৫৭
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: হ্যা, ঠিক বলেছেন। ধন্যবাদ, সুমন ভাই।
২৪| ২৩ শে মে, ২০১৮ রাত ৮:২৬
ইমরান আশফাক বলেছেন: বিদেশের কোথায় আমরা বাংগালীরা মানুষের মর্যাদা পাবো? মধ্যপ্রাচ্যে তো আমাদেরকে জানোয়ারের অধম মনে করা হয়। ইউরোপে এই ব্যবহার বরাদ্দ আমাদের জন্য! অস্ট্রেলিয়ায় অস্ট্রেলিয়ানরা ব্যতিত অন্যান্য জাতীগুলো আমাদের সংগে খুবই বৈরী আচারন করে। আমেরিকায় আমাদের স্ট্রিং ল না কি একটা কায়দায় আমাদের পোলাপানদের ফাঁদে ফেলে সন্ত্রাসী বানিয়ে গ্রেফতার করা হয়। ভারত পাকিস্তানের কথা ছেড়েই দিলাম (ওরা গায়ে মানে না আপনি মাতব্বর টাইপের)।
নেপাল, শ্রীলংকা এই রোহিংগা ক্রাইসিসের সময় বার্মার আচারনের বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাবে চুপ করে থেকে পক্ষান্তরে ওদের সমর্থনই জানালো। মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া ব্যাতিত আশিয়ানভুক্ত অন্যান্য দেশগুলি সরাসরি বার্মাকে সমর্থন দিয়েছে। দুরপ্রাচ্য ও সরাসরি আমাদের বিপক্ষে।
একমাত্র আফ্রিকান দেশগুলি বার্মার পক্ষে সরাসরি অবস্হান নেয় নাই এখন পর্যন্ত।
আর এখন ইউরোপ ও আমেরিকা নিত্য-নতুন আমাদেরকে মানবধিকার শিক্ষা দিতে আসে? আর কয়টা দিন সবুর করেন, ওরা আমাদের কাছ থেকে মানবধিকারের শিক্ষা নিতে বাধ্য হবে।
২৩ শে মে, ২০১৮ রাত ৯:০০
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: "বিদেশের কোথায় আমরা বাংগালীরা মানুষের মর্যাদা পাবো? মধ্যপ্রাচ্যে তো আমাদেরকে জানোয়ারের অধম মনে করা হয়। ইউরোপে এই ব্যবহার বরাদ্দ আমাদের জন্য! অস্ট্রেলিয়ায় অস্ট্রেলিয়ানরা ব্যতিত অন্যান্য জাতীগুলো আমাদের সংগে খুবই বৈরী আচারন করে। আমেরিকায় আমাদের স্ট্রিং ল না কি একটা কায়দায় আমাদের পোলাপানদের ফাঁদে ফেলে সন্ত্রাসী বানিয়ে গ্রেফতার করা হয়।"............. ইমরান ভাই চমৎকার ভাবে বিষয়টি ব্যাখ্যা করেছেন।
"আর এখন ইউরোপ ও আমেরিকা নিত্য-নতুন আমাদেরকে মানবধিকার শিক্ষা দিতে আসে? আর কয়টা দিন সবুর করেন, ওরা আমাদের কাছ থেকে মানবধিকারের শিক্ষা নিতে বাধ্য হবে।"................ দিনটির অপেক্ষায় আছি।
২৫| ২৩ শে মে, ২০১৮ রাত ৮:৪২
চাঁদগাজী বলেছেন:
বৃটেনে সব মিলিয়ে, কি পরিমাণ বাংগালী আছেন?
২৩ শে মে, ২০১৮ রাত ৯:০২
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: সঠিক সংখ্যাটা আমার জানা নেই। কারণ, তিন-চার প্রজন্ম থেকে বাংলাদেশীরা বৃটেনে আছে। তবে আট-দশ লাখ হতে পারে।
২৬| ২৩ শে মে, ২০১৮ রাত ৯:৩৬
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: ইউরোপে যা লন্ডনেও তা, যারা ভালো আছেন তারা নিজের জীবনের অর্ধেক অর্থ ব্যায় করেছেন শুধু লিগেলাইজেশনের জন্য, যেই টাকা যেই শ্রম যেই ধর্য্য ব্যায় করেছেন তা বংলাদেশে ব্যায় করলে ভালো করতেন, বাংলাদেশে যাতায়াত ব্যাবস্থা সিলেট থেকে ঢাকা বাই ট্রেন দশ ঘন্টার জার্নি, দুরত্ব ২৫০ কি: মি: প্রায় - আফসোস ।
২৩ শে মে, ২০১৮ রাত ৯:৪৬
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: "যারা ভালো আছেন তারা নিজের জীবনের অর্ধেক অর্থ ব্যায় করেছেন শুধু লিগেলাইজেশনের জন্য, যেই টাকা যেই শ্রম যেই ধর্য্য ব্যায় করেছেন তা বংলাদেশে ব্যায় করলে ভালো করতেন।"......... একদম ঠিক কথা।
"বাংলাদেশে যাতায়াত ব্যাবস্থা সিলেট থেকে ঢাকা বাই ট্রেন দশ ঘন্টার জার্নি, দুরত্ব ২৫০ কি: মি: প্রায় - আফসোস"............... আমি লন্ডন টু সিলেট সরাসরি ফ্লাইটে ১১ ঘন্টায় এসেছি।
লন্ডন টু নিউকাসল ৪৫২ কি.মি. যেতে ট্রেনে ৩ ঘন্টা ১০ মিনিট লাগে।
২৭| ২৩ শে মে, ২০১৮ রাত ১০:০১
বিএম বরকতউল্লাহ বলেছেন: ছবি আর লেখায় মন আর পেট ভইরা গেছেগা।
ভাল আছেন ভাল থাকুন।
২৩ শে মে, ২০১৮ রাত ১০:০৮
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ, স্যার। আপনি পড়েছেন জেনে খুশি হলাম।
২৮| ২৩ শে মে, ২০১৮ রাত ১০:১৭
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: পুরো লেখাটা পড়ার পর সেই শাশ্বত প্রবাদটি আমার মনে পড়ে গেল। ঢোলের আওয়াজ দূর থেকেই ভালো লাগে। কানিং ফক্স ইংরেজদের দেশে কারোই যাওয়া উচিৎ নয়।
ধন্যবাদ ভাই কাওসার চৌধুরী।
২৩ শে মে, ২০১৮ রাত ১০:২০
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: "কানিং ফক্স ইংরেজদের দেশে কারোই যাওয়া উচিৎ নয়।"........
চমৎকার মন্তব্য স্যার। ভাল লাগলো। শুভ কামনা আপনার জন্য।
২৯| ২৩ শে মে, ২০১৮ রাত ১০:৪১
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: কাউসার ভাই,
তবে একটা কথা ১০০ তে ১০০ সত্যি আমরা দেশপ্রেম দেশপ্রেম বলে গলাবাজী করি তবে এই ব্যাটারা অরিজিনাল দেশপ্রেমিক তারা দেশকে ভালোবাসে এবং দেশের উন্নতি করেছে, আর আমরা দেশকে আসলে ভালোবাসিনা এটা একটা নিছক ফাইজলামি বলতে পারেন বাংলাদেশীদের মাঝে বাস করে, দেশপ্রেম ! - দেশপ্রেমের নমুনা কি রাস্তায় নর্দমা, রাস্তায় প্রস্রাব, রাস্তায় থুথু, নোংরা গালাগালি, নোংরা ভাঙ্গা রাস্তা, রাজনৈতিক নোংরামী, খুন ধর্ষণ, ব্যাংক লুট এই হচ্ছে আমাদের দেশপ্রেমের বহিঃপ্রকাশ।
২৩ শে মে, ২০১৮ রাত ১১:২১
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: "দেশপ্রেমের নমুনা কি রাস্তায় নর্দমা, রাস্তায় প্রস্রাব, রাস্তায় থুথু, নোংরা গালাগালি, নোংরা ভাঙ্গা রাস্তা, রাজনৈতিক নোংরামী, খুন ধর্ষণ, ব্যাংক লুট এই হচ্ছে আমাদের দেশপ্রেমের বহিঃপ্রকাশ।"............... ১০০% চরম সত্যি কথা। আমরা দেশপ্রেমিক নয়, নিমক হারাম, দেশদ্রোহী ভন্ড।
৩০| ২৪ শে মে, ২০১৮ রাত ২:০২
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: আমি অবৈধ ভাবে বিদেশে থাকাটা একদমই পছন্দ করি না। যাদের ওখানকার পুলিশ প্যাঁদানি দেয় এবং পাঠিয়ে দেয় আমি তাতে সমর্থন জানাই। কারণ এইসব লোভী অবৈধদের জন্য বৈধদের সমস্যা হয়। কার পরিবারে কী সমস্যা, কার দেশে কী সমস্যা - এই অজুহাতে একটা দেশের আইন ভাঙা সমর্থন করি না...
জন্মভূমিতে ফেরত যেতে বললে এত প্যান প্যান করে কেন ওরা?
২৪ শে মে, ২০১৮ সকাল ৭:৩৯
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: আসলে বিদেশে ইচ্ছা করে কেউ অবৈধ হয় না। যারা বিভিন্ন পরিস্থিতির শিকার হয়ে অবৈধ হয় তারা পরিবারের সুখের আশায় দেশে ফিরতে পারে না। এজন্য যেকোন ভাবেই থাকতে চায়।
৩১| ২৪ শে মে, ২০১৮ ভোর ৫:৫৮
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আজ সকালে আবারো পড়লাম। ভালো লেখা সব সময়ই যেন নতুন।
২৪ শে মে, ২০১৮ সকাল ৭:৪০
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: সাজ্জাদ ভাই, ধন্যবাদ। আবার পড়ার জন্য আবারে ধন্যবাদ।
৩২| ২৪ শে মে, ২০১৮ ভোর ৬:১৮
মিথী_মারজান বলেছেন: ছোট ছোট গল্প আর টুকরো টুকরো হাহাকার মিশিয়ে সুন্দর করে এঁকেছেন প্রবাস চিত্র।
আমিতো প্রথমে ভেবেছিলাম ছবিগুলোও আপনার তোলা।
ভালো লেগেছে বরাবরের মতই।
২৪ শে মে, ২০১৮ সকাল ৭:৪২
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ, আপা। আপনি লেখাটি পড়েছেন জেনে ভাল লাগলো। অনেক ভাল লাগা ও শুভ কামনা আপনার জন্য।
৩৩| ২৪ শে মে, ২০১৮ সকাল ৮:৩৮
শিমুল_মাহমুদ বলেছেন: প্রবাসীদের শ্রমে ঘামে দেশের অর্থনীতির চাকা সচল হচ্ছে। নিজস্ব অর্থায়নে আজ পদ্মাসেতু হচ্ছে এর ক্রেডিট প্রবাসী ভাইদের দিতেই হবে। আপনার খাবার দিয়ে যাওয়া সেই চাচার জন্য খারাপ লাগলো।
প্রবাসী ভাইদের এত কষ্টার্জিত অর্থ বিদেশে পাচার হয়ে যাওয়া মেনে নেওয়া যায় না।
সুন্দর উপস্থাপনা। খুবই ভাল লাগলো ভাই আপনার লেখাটি।
২৪ শে মে, ২০১৮ সকাল ৯:০২
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ, শিমুল ভাই।
৩৪| ২৪ শে মে, ২০১৮ সকাল ৯:১৯
ধ্রুবক আলো বলেছেন: খুব ভালো লেখাখানি, সুন্দর স্মৃতিচারণ। শেষের দুই অংশ খুব জোরালো লাগলো, বাস্তবিক কথাই।
২৪ শে মে, ২০১৮ সকাল ৯:৫০
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: লেখাটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
৩৫| ২৪ শে মে, ২০১৮ সকাল ৯:৩৭
নীল মনি বলেছেন: লেখাটা পড়ার সময় দু:খ লাগছিল । সতের বছর পরিবার ছেড়ে;সন্তানের মুখ পর্যন্ত দেখল না।জীবন এত কঠিন কেন ! সবাই অনেক সুন্দর সুন্দর মন্তব্য করে, সব পড়লাম।
শুভ কামনা রইল।আপনার মন্তব্যে ছড়াটাও মজার।
২৪ শে মে, ২০১৮ সকাল ৯:৫১
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: "লেখাটা পড়ার সময় দু:খ লাগছিল । সতের বছর পরিবার ছেড়ে;সন্তানের মুখ পর্যন্ত দেখল না।".............. সত্যি দুঃখজনক।
৩৬| ২৪ শে মে, ২০১৮ সকাল ১১:০৪
যুক্তি না নিলে যুক্তি দাও বলেছেন: বরাবরের মত দুর্দান্ত পোস্ট। আপনার পোস্ট প্রথম পাতায় চোখ পড়লেই না পড়ে যেতে পারিনা।খাটি ধন্যবাদ জানালাম।
২৪ শে মে, ২০১৮ সকাল ১১:০৯
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা আপনার প্রতি। আমার নিম্নমানের লেখাগুলো নিয়মিত পড়েন জেনে ভাল লাগলো। অনেক শুভ কামনা আপনার প্রতি।
৩৭| ২৪ শে মে, ২০১৮ সকাল ১১:৫৬
নীল মনি বলেছেন: এবার কিন্তু যুদ্ধ বেঁধে যাবে। আপনার লেখা নিম্নমানের হলে আমাদের গুলো তো তাহলে নিছক শব্দ।এ ধরণের কথা আর যেন শুনতে না হয়।
ইফতারিতে আমার জন্য দোয়া করবেন
২৪ শে মে, ২০১৮ দুপুর ১২:০৪
কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
ইফতারিতে আমার জন্য দোয়া করবেন ঠিকানাটা দেন এক গাড়ি ইফতারি পাঠিয়ে দেব। আপনার জন্য আশীর্বাদ সব সময় আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে।
৩৮| ২৪ শে মে, ২০১৮ দুপুর ১২:১২
নীল মনি বলেছেন:
আলহামদুলিল্লাহ্ আপনার ইফতারি গ্রহণ করা হল।ওত খাবার দিলে নষ্ট হয়ে যাবে।আমাকে এক প্লেট দিলেই হবে।বাকিগুলো অন্য কাউকে দিলে হবে।কিন্তু সেই এক প্লেট আসতে আসতে নষ্ট হয়ে যাবে।
ঠিকানা তো দিতে পারছি না জনগণ দেখে ফেলবে।
২৪ শে মে, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৭
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: ঠিকানা লাগবে না, শুধু বিকাশ নাম্বার দিলেই চলবে বিকাশে পাঠিয়ে দেব।
৩৯| ২৪ শে মে, ২০১৮ দুপুর ১২:২৮
মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: জানেমান কাউস
২৪ শে মে, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৭
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: জানে দুশমন!!
৪০| ২৪ শে মে, ২০১৮ দুপুর ১২:৩২
মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: জানেমান কাউ!সার ভাই??
ছড়ার জন্য ধন্যবাদ!
ফুল পাখি নিয়ে ভাল থাকুন
বেস্ট অফ লাক/লক্ষ/কোটি...
গানাঃ
তোমরা সবাই থাকো সুখে
আগুন জ্বলুক আমার বুকে
মনটাকে বলি তুমি কেঁদনা
প্রেমের নাম বেদনা.....
২৪ শে মে, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৯
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: ফুল পাখি নিয়ে ভাল থাকুন
বেস্ট অফ লাক/লক্ষ/কোটি...
অগ্রীম দাওয়াত রইলো।...
৪১| ২৪ শে মে, ২০১৮ দুপুর ১:০০
সামিয়া বলেছেন: অসাধারণ পোস্ট। প্রিয়তে নিলাম ভাইয়া।
২৪ শে মে, ২০১৮ দুপুর ১:০৪
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: আপু শুভেচ্ছা নেবেন। পরিচিত হতে পেরে ভাল লাগলো। আপনার জন্য অনেক শুভ কামনা রইলো।
৪২| ২৪ শে মে, ২০১৮ দুপুর ২:১২
অজানিতা বলেছেন: মন্ খারাপ হয়ে গেলো পোস্টটি পড়ার পর।
তবুও ধন্যবাদ আপনাকে, রুড় বাস্তবতাকে সাবলীলভাবে তুলে ধরার জন্য।
২৪ শে মে, ২০১৮ দুপুর ২:২৪
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: শুভেচ্ছা নেবেন। লেখাটি পড়ায় এবং মন্তব্য করায় খুশি হলাম। শুভ কামনা আপনার জন্য।
৪৩| ২৪ শে মে, ২০১৮ দুপুর ২:৪১
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
বরাবরের মতই প্রানবন্ত।
২৪ শে মে, ২০১৮ দুপুর ২:৫৬
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ, মাইদুল ভাই।
৪৪| ২৪ শে মে, ২০১৮ দুপুর ২:৫৫
অচেনা হৃদি বলেছেন: "অনেক মেয়ে বাধ্য হয়ে সর্টকাট পথ বেছে নেয়..." বাক্যটা পড়তেই মনের ভেতর কেমন যেন লেগেছে । আমার এক দূরসম্পর্কের আপু টেক্সাস (USA) থাকেন, উনার কাছেও এরকম বেদনদায়ক একটা কথা শুনেছিলাম ।
২৪ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৩:০১
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: সত্যি বেদনাদায়ক। এ হার শতকরা ৮০% বা তার চেয়ে বেশি। তবে অনেক মেয়ে পরিবার পরিজন থেকে দূরে থাকে বিধায় এটিকে ফ্যাশন/পেশা হিসাবে নিয়েছে। দেশে অনেক সম্পদের মালিকও হয়েছে। আর লিভ টুগেদার খুবই কমন।
৪৫| ২৪ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৯
মনিরা সুলতানা বলেছেন: আপনার স্মৃতি তো মন'টা খারাপ করে দিলো
বৈধ ভিসা নিজের খরচে পড়াশুনা তারপর ও এমন সব হয়রানি !!!
আমার খুব ইচ্ছে ছিল বছর দুয়েক পর মেয়ে কে লন্ডন পাঠাবো কিন্তু এমন সব গল্প তো মন ভেঙে দেয়; মেয়ে অবশ্য নিজেই বলেছে সে ওখানে যেতে রাজি না ওয়ার্ল্ড এর সব চাইতে রেসিস্ট ওরা'ই ।
ঝরঝরে বর্ণনায় চমৎকার লেখা ভাইয়া।
২৪ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৭
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: আপা শুভেচ্ছা নেবেন। আপনার মেয়ের জন্য শুভ কামনা রইলো। তবে মেয়ের জন্য যেকোন সিদ্ধান্ত একটু ভেবে চিন্তে নেবেন।
৪৬| ২৪ শে মে, ২০১৮ রাত ১০:৩৫
আসিফ ইকবাল তােরক বলেছেন: আপনার লেখা পড়ে চোখের সামনে লন্ডনের স্মৃতিগুলো যেনো ফিরে এলো। অনেক দিন ছিলাম। মোটামুটি লন্ডন একটা ট্রেপের মতন। আপনি হয় নিজের জন্য কিছু করবেন না হলে পরিবারের জন্যে। একসাথে দুটো করা বেশ কষ্টসাধ্য ব্যাপার।
২৪ শে মে, ২০১৮ রাত ১০:৪৫
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: "আপনি হয় নিজের জন্য কিছু করবেন না হলে পরিবারের জন্যে। একসাথে দুটো করা বেশ কষ্টসাধ্য ব্যাপার।"........
চমৎকার একটি কথা বলেছেন, আসিফ ভাই।
৪৭| ২৪ শে মে, ২০১৮ রাত ১০:৫৪
আসিফ ইকবাল তােরক বলেছেন: আমার এক রুমমেট ছিলো লিগ্যাল আর ইলিগ্যালের মাঝামাঝি অবস্থানে। এখনো লন্ডনে আছে। বলতে গেলে সে নিজের জন্য কিছুই খরচ করতো না। মাসে প্রায় বাংলাদেশি টাকায় ২লাখ টাকা ইনকাম করতো। কিভাবে যেনো ৪৫০ টাকার মধ্যে নিজের চাহিদা পূরন করতো বাকি ১.৫ লাখ টাকা দেশে পাঠিয়ে দিতো। আর আমি পড়াশোনা টিউশন ফীস আর নিজের খরচ জোগার করে পরিবারকে পাঠানোর মত কিছুই থাকতো না। ভাগ্য ভালো যে আমার পরিবার মোটামুটি স্বচ্ছল আর তাদের আমার টাকার প্রয়োজন হত না। এ কারনে বেচে গেছি।
২৪ শে মে, ২০১৮ রাত ১১:০৮
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: ঠিক বলেছেন। এমনটা আমিও দেখেছি। আমাকে উভয়কুল রক্ষা করতে গিয়ে অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে।
৪৮| ২৬ শে মে, ২০১৮ রাত ১১:২১
সোহানী বলেছেন: খুব সংক্ষেপে বৃটেনের বাস্তবতা তুলে ধরেছেন। কি পরিমান কস্ট প্রবাসীরা করে তা দেশবাসী কখনই বুঝবে না। কারন তারা প্রবাসীদের বাইরের চেহারাই দেখে, তাদের কস্টটা দেখে না। আর যারা রেমিটেন্সের টাকায় বেগম পাড়ায় বাড়ি কিনে বা নিউইয়র্কে প্লাট কিনে তারাতো উল্টো লাথি দেয় শ্রমিকদের। আর তা শুরু হয় এয়ারপোর্ট থেকে।
কি করবে এ অভাগা তরুনরা, দেশে থাকলেতো জীবনই থাকে না। বিদেশের মাটিতে এসে অন্তত জীবনটা বাচেঁ।
খুব ভালো লাগলো বৃটেনের এ বাস্তবতা।
২৬ শে মে, ২০১৮ রাত ১১:৩৪
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: "আর যারা রেমিটেন্সের টাকায় বেগম পাড়ায় বাড়ি কিনে বা নিউইয়র্কে প্লাট কিনে তারাতো উল্টো লাথি দেয় শ্রমিকদের। আর তা শুরু হয় এয়ারপোর্ট থেকে। কি করবে এ অভাগা তরুনরা, দেশে থাকলেতো জীবনই থাকে না। বিদেশের মাটিতে এসে অন্তত জীবনটা বাচেঁ।".................
কিছুই বলার নেই, আপা। আপনার কমেন্ট পড়ে চোখে জল এসে গেল। ভাল থাকবেন সব সময়।
৪৯| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:৫১
আরোগ্য বলেছেন: লন্ডনের চাকচিক্য এটাই প্রমান করে , চকচক করলেই সোনা হয় না।
১৭ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১০:৫৬
কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
চমৎকার মন্তব্য করেছেন, ভাই। আসলেই চকচক করলে সোনা হয় না। তবে, প্রবাস জীবন কারো জন্য সুখকর নয়। মাতৃভূমির চেয়ে সুযোগ সুবিধা ও শান্তি পৃথিবীর কোথাও নেই।
৫০| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৯
ইসিয়াক বলেছেন: আপনার স্মৃতিচারণ পড়ে খুব ভালো লাগলো।
১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৪৯
কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
আমার ব্লগে স্বাগতম, ইসিয়াক ভাই। ব্লগে আপনাকে স্বাগতম। লিখুন মন খুলে; আমরা পড়বো আপনার চমৎকার লেখাগুলো। শুভ কামনা রইলো। ++++++++++++
©somewhere in net ltd.
১| ২৩ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৩:৩২
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: আপনার স্মৃতিচারন পড়তে ভালই লাগছিল।শেষ হয়ে গেল!! আশা করি সামনে আরও পর্ব পাব?
পৃথিবীতে হয়তো ভাল মানুষের ভাত কোথাও নেই।