নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জন্মসূত্রে মানব গোত্রভূক্ত; এজন্য প্রতিনিয়ত \'মানুষ\' হওয়ার প্রচেষ্টা। \'কাকতাড়ুয়ার ভাস্কর্য\', \'বায়স্কোপ\', \'পুতুলনাচ\' এবং অনুবাদ গল্পের \'নেকলেস\' বইয়ের কারিগর।

কাওসার চৌধুরী

প্রবন্ধ ও ফিচার লেখতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। পাশাপাশি গল্প, অনুবাদ, কবিতা ও রম্য লেখি। আমি আশাবাদী মানুষ।

কাওসার চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমাদের ভিআইপি সংস্কৃতি ও নাগরিক অধিকার (ফিচার)

২৪ শে মে, ২০১৮ দুপুর ২:৪২


কয়েকদি আগে দেশের জনপ্রিয় একটি জাতীয় পত্রিকায় নিউজ পড়ে আৎকে উঠলাম। সংবাদটি এরকম; আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, জরুরী সেবার যানবাহন ও ভিআইপিদের চলাচলের জন্য রাজধানীর রাজপথে আলাদা লেন করতে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগে প্রস্তাব পাঠিয়েছে মন্ত্রী পরিষদ বিভাগ। তবে আইনটি এখনো যাচাই বাচাই পর্যায়ে আছে। চূড়ান্ত হতে প্রয়োজনে আরো আলোচনা ও নীতিমালার সংযোজন-বিয়োজন করা হবে। সংবাদটি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও জরুরী সেবার যানবাহনের জন্য হলে আপত্তি থাকার কথা নয়। সরকারের এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাতাম। কিন্তু সমস্যা হলো এর সাথে ভিআইপি শব্দটি জুড়ে দেওয়ায়; এখানেই আমার যত আপত্তি।

পলিটিক্স ও ভিআইপি শব্দ দু'টি আমাদের সমাজে নেগেটিভ অর্থে বহুল প্রচলিত। এর পেছনে উপযুক্ত কারণ ও সাম্যক যুক্তি আছে। যদিও বাংলায় শব্দ দু'টি তর্জমা করলে খারাপ শুনায় না। ঠিক তেমনি মীর জাফর নামটি অনেক সুন্দর হলেও পলাশী যুদ্ধে নবাব সিরাজুদ্দৌলার সাথে প্রধান সেনাপতি মীর জাফর বিশ্বাস ঘাতকতা করায় নামটি এখন আমাদের সমাজে গালি হিসাবে প্রচলিত।

যাক, এবার আসি ভিআইপি রাস্তা প্রসঙ্গে। পৃথিবীর অনেক উন্নত দেশে পাবলিক সার্ভিসের জন্য রাস্তায় আলাদা লেন থাকে। যাতে যানজটের সময়ও পাবলিক সার্ভিস এবং ইমার্জেন্সি সেবা দিতে কোন সমস্যা না হয়। লন্ডনের বেশিরভাগ রাস্তায় পাবলিক বাসের জন্য আলাদা লেন আছে। এসব লেন দিয়ে শুধুমাত্র বাস চলাচল করে। তবে প্রয়োজন হলে সরকারী সেবা সমূহ যেমন- পুলিশ, এম্ভুলেন্স ও ফায়ারসার্ভিসও লেনটি ব্যবহার করতে পারে। প্রাইভেট গাড়ি, মন্ত্রী/এমপির বহনকারী বাহন, সরকারি কর্মকর্তা/কর্মচারির গাড়ি, প্রাইভেট ট্যাক্সি, লরি/ভ্যান ইত্যাদি গাড়ির বাস লেন ব্যবহার করা নিষেধ। এমনও দেখছি পিক আওয়ারে অনেক দীর্ঘ যানজটে গাড়িগুলো আটকে আছে কিন্তু বাস লেন একেবারে ফাঁকা, তারপরও অনঅনুমোদিত কোন গাড়ি বাস লেন দিয়ে চলে না। প্রতিটি লেনে ক্যামেরা বসানো থাকে; ফলে ভুল করেও কেউ বাস লেনে ঢুকলে জরিমানা গুনতে হয়।

পাবলিক পরিবহণে নেই কোন ব্যক্তি মালিকানা, এটা পুরোপুরি সরকারি। চালকদের প্রাইভেট গাড়ি চালানোর লাইসেন্স থাকলেও পাবলিক বাস চালাতে আলাদা টেস্ট দিয়ে উত্তীর্ণ হতে হয়। কোন চালক পূর্বে কোন মামলায় আদালত কর্তৃক ক্রিমিনাল হিসাবে অভিযুক্ত হলে পাবলিক পরিবহণের চালক হওয়ার অযোগ্য বিবেচিত হবেন। বাসগুলো পৃথিবীর সর্বোচ্ছ প্রযুক্তি দিয়ে তৈরী, আরামদায়ক ও বিলাসবহুল।

চলার পথে সামান্যতম কোন ত্রুটি দেখা দিলে চালক বাস থামিয়ে যাত্রীদেরকে অন্য বাসে তুলে দেন, কোন প্রকার রিস্কের সুযোগ নেই। আর বাস ওভারটেকের নজির সেখানে নেই। একটু পর পর বাস স্টপেজ থাকে, প্রতিটি স্টপেজে ডিজিটাল বোর্ডে দেখা যায় কোন বাস কত মিনিট পর আসছে। বাস থেকে নামতে জায়গায় বসে সুইচ টিপলে ড্রাইভার পরের স্টপে বাস থামায়। বাসের সামনে মনিটর থাকে, যাতে পরের স্টপেজের নাম দেখানো হয় আবার অটোমেটিক সিস্টেমে স্টেশনের নামটি স্পিকারে বলতে থাকে। এসব বাসে কোন হেল্পার নেই। ড্রাইভার কোন ক্যাশ ভাড়া নেয় না। যাত্রীরা বেশিরভাগ সময় সাপ্তাহিক/মাসিক 'ওয়েস্টার কার্ড' (Oyster Card) ব্যবহার করে।


লন্ডন সহ ইউরোপ আমেরিকার বেশিরভাগ বড় শহরে বাসের পাশাপাশি থাকে সাইকেল লেন। এসব শহরে বাসের যাত্রী ও বাইসাইকেল চালকরাই ভিআইপি। আর কারো জন্য আলাদা লেনের ব্যবস্থা নেই।

পাবলিক বাস সার্ভিস উন্নত দেশগুলোর বেশিরভাগ স্বল্পআয়ের মানুষের চলাচলের অন্যতম বাহন। তবে এসব বাস আমাদের দেশের লক্কর ঝক্কর মার্কা গাড়ির মতো নয়। পৃথিবীর সর্বাধুনিক প্রযুক্তি দিয়ে তৈরী আরামদায়ক, চকচকে তকতকে ও সুন্দর ডিজাইনে তৈরী। ধনীদের জন্য আছে আন্ডারগ্রাউন্ড ট্রেন, কার ও ট্যাক্সি। একটি দেশের সরকার কতটুকু সাধারন জনগনকে মূল্যায়ন করে এটি থেকে স্পষ্ট বোঝা যায়। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় জনগন হলো সকল ক্ষমতার উৎস। এরাই ভিআইপি। এজন্য উন্নত গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় সাধারন জনগনের সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করার জন্য সরকার অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ করে। এসব দেশে ভিআইপি নামধারী অতি সুবিধাভোগী কোন শ্রেণী নেই। সবাই সমান।

কিছুদিন আগে পত্রিকায় দেখলাম বাংলাদেশের অনেক ভিআইপি রাজধানী ঢাকায় ব্যস্ততম রাস্তায় উল্টা দিক দিয়ে গাড়ি চালিয়ে জরিমানা দিয়েছেন। অনেকে আবার নিজেদের পদ পদবী দেখিয়ে পুলিশকে হুমকি ধামকি দিতে দেখলাম। পুলিশের হঠাৎ এমন বেয়াদবী মেনে না নিতে পেরে তারা রাগে অপমানে ফু্ঁসেছেন। আচ্ছা দেখা যাক আমাদের দেশে প্রচলিত ধ্যান ধারনায় ভিআইপি কারা। অনেকের মতে এমপি/মন্ত্রী, বড় শিল্পপতি, রাজনৈতিক নেতা/নেত্রী, সরকারী আমলা/কর্মকর্তা, ডিসি/সচিব, সাংবাদিক, প্রকৌশলী, পুলিশ/আর্মির পদস্থ অফিসার, বিভিন্ন দেশের কুটনৈতিক ইত্যাদি পদবীর লোকজন। এদের বেশিরভাগের নিজস্ব অথবা সরকার প্রদত্ত দামি গাড়ি থাকে। উনারা নিজে ড্রাইভ করেন না, আছে নিজস্ব/সরকারি ড্রাইভার।

সাধারন জনগন নামক আবুলরা প্রতিদিন প্রতিনিয়ত লক্কর ঝক্কর মার্কা গাড়িতে ঘন্টার পর ঘন্টা বসে, দাঁড়িয়ে, হ্যান্ডেলে ঝুঁলে, চাপাচাপিতে চ্যাপ্টা হয়ে ঘামে ভিজে গন্তব্য পৌছান। তাঁদের নেই কোন ক্ষোভ, নেই কোন অভিযোগ। আবুলরা এই নিয়তি মেনেই নিয়েছেন উপায় না দেখে। ভিআইপি আর আবুলরা কি সমান? হতেই পারেনা। অতএব আবুলদের যাত্রা প্রয়োজনে আরো দীর্ঘ করে সাঁ সাঁ করে ভিআইপিদের ভিআইপি এসি গাড়িগুলো যাতে ম্যারাথন দৌড় দিতে পারে সেজন্য রাস্তায় আলাদা লেন করা হোক। হাজার হোক এরাইতো দেশের বিবেক, দেশের মাথা। জনগনের কল্যাণে প্রতিনিয়ত রকেটের গতিতে তাদের ছুটতে হয়।

প্রশ্ন হলো গণতান্ত্রীক প্রক্রিয়ায় জনগনের ভোটে নির্বাচি একজন এমপি/মন্ত্রী ভিআইপি হন কিভাবে? ভোটাররাই তো সকল ক্ষমতার উৎস হওয়ার কথা, তাই না? আবার সরকারী কর্মকর্তা/কর্মচারিরা হলেন দেশের সাধারন জনগনের সেবক। এজন্য প্রজাতন্ত্রের একজন কর্মচারী ভিআইপি হওয়ার কোন সুযোগ নেই। পুলিশ/আর্মির বেলায়ও একই নিয়ম প্রযোজ্য। বড় ব্যবসায়ী, রাজনৈতিক নেতারাও আইনের উর্ধ্বে নয়। বিদেশী কুটনৈতিক ও ব্যবসায়ীরাও যে দেশে বসবাস করেন সে দেশের প্রচলিত আইন মানতে বাধ্য থাকেন। ফলে কুটনৈতিকদেরও ভিআইপি হওয়ার কোন সুযোগ নেই। আর আমাদের সংবিধানে তো স্পষ্ট করে বলে দেওয়া আছে জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস। বলা হয়নি ভিআইপিরাই সকল ক্ষমতার উৎস।


এতদিন শুনেছি বাংলাদেশের এসব ভিআইপিরা নিজেদের শান শওকত বাড়াতে সরকারী বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা নেন। তারা প্রয়োজনে বিদেশ থেকে ট্যাক্স ফ্রি গাড়ি আনেন, বিনামূল্যে সরকারি প্লট নেন, প্রয়োজনে/অপ্রয়োজনে সরকারি টাকায় বিদেশ ভ্রমন করেন, সরকারি বিলাসবহুল বাসা/বাড়িতে থাকেন, সরকরী রেস্ট হাউজ ব্যবহার করেন। এছাড়া আয়া, বুয়া, কুলি, মালি, ড্রাইভার, সুইপার সরকারি খরছে নিজেদের আরাম আয়েশের জন্যও পেয়ে থাকেন। এসব বাড়তি সুবিধার সাথে এখন নতুন করে যোগ হবে ভিআইপিদের গাড়ির জন্য প্রাইভেট লেনের সুবিধা।

আচ্ছা একজন ইয়াবা/ফেন্সিডিল ব্যবসায়ী ও চোরাকারবারী এমপি হলে তিনিও কী ভিআইপি? একজন মন্ত্রী পরিবহন চাঁদাবাজ হলে তিনিও ভিআইপি? গডফাদার, মাদকসেবী, সন্ত্রাসী, ঘোষখোর আমলা/কর্মচারী হলেও তিনি ভিআইপি? কালো টাকার মালিক ব্যবসায়ীরাও ভিআইপি? যারা বিদেশে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করে তারাও ভিআইপি? যারা ব্যাংক থেকে শত শত, হাজার হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করে তারাও ভিআইপি?

সত্যি বলতে কী সাধারন জনগন নয়, বাংলাদেশের এসব ভিআইপিরা হলো সকল ক্ষমতার উৎস। দেশের আইনগুলোও ভিআইপিদের স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে তৈরী হয়। এজন্য দেশের অতি সুবিধাভোগী এ শ্রেণী যেসকল সুবিধা পায় সাধারণ জনগন তার ছিটে ফুঁটোও পায় না।

ঢাকা শহরে পাবলিকের জন্য বরাদ্দ আছে লক্কর ঝক্কর বাস ও অটো রিক্সা। তবে ভিআইপি আমলারা সরকারি খরছে একাধিক দামী গাড়ি দৌড়ান। বউ বাচ্চার জন্যও আছে সরকারি পাজারো/জীপ। এমপি/মন্ত্রীরাও সমান সুযোগ সুবিধা পান। যেহেতু এসব ভিআইপিরা একাধিক দামী গাড়ি দৌড়ান, বউদের শপিং ও বাচ্চাদের দামী স্কুল/কলেজ ও প্রাইভেট টিউশনিতে শিক্ষকদের বাসায় বাসায় সারাদিন বিরামহীন ভাবে ছুটেন সেহেতু যুক্তিযুক্ত ভাবেই তাদের জন্য রাস্তায় আলাদা লেনের ব্যবস্থা করার প্রয়োজন। দেশটা তো ভিআইপিদের বাপদাদার জমিদারী। সবচেয়ে ভাল হয় জনগনের জন্য সব পাবলিক বাস পরিসেবা বন্ধ করে দিলে। রাস্তায় শুধু ভিআইপিদের মার্সিডিজ/পাজারো চলবে। জনগন শুধু হেঁটে হেঁটে চলাচল করবে, তারপরও কোন অভিযোগ করবে না। এত শহরের যানজট লাঘব হবে, শব্দ দূষণও কমবে।

জাতীয় জীবনের মতো ভয়ানক বৈষম্য আর রেষারেষিতে ভরা রাজধানীর রাজপথ। রাস্তায় আধুনিক গণতান্ত্রিক রাজতন্ত্রের রাজা/রাণী হলেন মন্ত্রী/এমপি/ভিআইপিরা; তারপর তাদের উজির নাজির; তিন নাম্বারে তাদের শুভাকাঙ্খী, সুবিধাভোগী আমলা, সমর্থক, খাঁটি চাটুকার আর দালালরা। এই শ্রেণীবিন্যাসে কোটাবিহীন সাধারন যাত্রীরা হলেন সবার নিচে। যেদিন ভিআইপিদের দৌড় ঝাঁপ বেশি সেদিন ফার্মের মুরগীর মতো ছাল বাকল হীন, ঘসা লাগা খাঁচায় চোখ কান খোলা রেখে গলা টান টান করে দীর্ঘ শ্বাস নিতে নিতে গরমে হাঁসফাঁস করতে করতে অসহায় দৃষ্টিতে ভিআইপিদের এসিতে বসা চকচকে চেহারা, দামী পাজারুর সারি দেখে দেখে গণতন্ত্রের চৌদ্দগোষ্টী উদ্ধার করে এরা নীরবে।


আমরা বীরের জাতি। বড়ই তেজ আমাদের, তবে তা বিদ্যায় ও দেশপ্রেমে নয়। এ তেজ ল্যাং মেরে, কনুইয়ের গুতায় অন্যকে ভূপাতিত করে এগিয়ে যাওয়ার। অন্যের অধিকার হরণ করে, অন্যের স্বপ্নগুলোকে ব্লেকমেল করে নিজের করে নেওয়ার। এই কনুইয়ের গুতা, ল্যাং মারা আর স্বপ্ন চুরি করা চলে দিনের ফকফকা আলোয়, গণতন্ত্র নামক এক রক্ষা কবচের রক্ষক হয়ে। এখানে স্বপ্ন দেখা অন্যায়, গণতন্ত্র বোঝা অন্যায়, অধিকার চাওয়া অন্যায়, প্রতিবাদ করা অন্যায়। শুধু করা যাবে তোষামোদ আর উন্নয়নের গল্প।

উন্নত অনেক দেশে রাজা/রানী আছে কেতাবে, বাস্তবে তাদের কোন দাপট নেই। আর আমাদের দেশে কেতাবে কোন রাজা/রাণীর অস্তিত্ব নেই কিন্তু বাস্তবে আছে। শুধু আছে বল্লে ভুল হবে। বহাল তবিয়তে বিশাল পরিষদ নিয়েই আছে। এরা সবাই রাজা! এদেশে শুধু নির্বাচন আসলে ভোটে দাঁড়ানো, ভোট চাওয়া আর ভোটারদের ভোট দেওয়াটাই গণতন্ত্র! যদিও ভোটের প্রসেস শুরু হওয়া থেকে শুরু করে, নির্বাচিত হওয়ার পর পর্যন্ত যাবতীয় কার্যক্রম অগণতান্ত্রিক হয়।

-- আমাকে চিনস!!
-- এক্কেরে হিলটেক্স পাঠায়া দিমু!!

এগুলো হলো আমাদের ভিআইপিদের কমন ডায়লগ। শুধু ভিআইপি কেন? এই ডায়লগ হতে পারে ক্ষমতার ছোঁয়া লাগা তাদের ভাই-বন্ধু-ভাতিজা-ভাগ্না-জামাই-শালী-চেলা-শাগরেদ যে কারো। এটা একটা ভয়ানক ছোয়াচে রোগ, এই রোগ ভিআইপি রোগ। ভিআইপি কারা? যাঁরা ইচ্ছা করলে আইন ভঙ্গ করতে পারেন। ভিআইপি কারা? আইন যাদের ধরতে পারে না। যাদের কলমের খোঁচায় বা মুখের অমর বাণীতে সাগর হয় পাহাড়, নদী হয় সমতল, বিষাক্ত খাদ্য হয় উপকারী, খুনি হয় সাধু। ভিআইপি কারা? যারা যেখানেই যান না কেন সেখানে প্রশাসন ও পুলিশ অন্য সব কাজ ফেলে তাদের সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য, আরাম-আয়েশ নিয়ে ব্যস্ত থাকে।

এদেশে ফারমার্স ব্যাঙ্কে কোন কৃষক নেই। লুটপাট করার জন্য কৃষকদের ফটো দেখিয়ে উজির নাজিররা কোটিকাটি টাকা লোপাট করে, বিদেশে পাচার করে। মন্ত্রী হয়েও পরিবহণ নেতা হয়। এমপি/মন্ত্রী হতে শিক্ষাগত যোগ্যতা লাগে না। গলাবাজি, অস্ত্রবাজি, বোমাবাজি, দখলবাজি আর খুণ খারাপি জানলেই নমিনেশন কনফার্ম হয়। গণতন্ত্র বানান করতে না পারলেও এমপি হতে সমস্যা নেই। টাকা থাকলে গণতন্ত্র কেনা যায়। পৃথিবী বিখ্যাত দার্শনিক প্লেটো বলেছিলেন; রাষ্ট্রে বিদ্বান, পন্ডিত আর যোগ্য লোকের সংখ্যার চেয়ে বিপরীত অংশটা অনেক বেশি বলে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় তাদের প্রতিনিধিত্বটাও করে এই মার্কা মারা ভিআইপিরা। এটাই গণতন্ত্র। অন্ততঃ বাংলাদেশের জন্য তা শতভাগ প্রযোজ্য।।

আজকের ভিআইপি সংস্কৃতি ছোটবেলায় পড়া উপমহাদেশীয় জমিদারি প্রথার কথা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে। একবিংশ শতাব্দীতে এসে জমিদারি প্রথা বিলুপ্ত হয়েছে ঠিকই। কিন্তু নব্য মহা প্রতাপশালী ভিআইপিরা অত্যাচারি জমিদারদের চেয়ে কোন অংশে কম নয়। ভিআইপিরাই আজ আমাদের জমিদার, আর আমরা আবুলরা হলাম তাদের খাস গোলাম।।



ফটো ক্রেডিট,
গুগল।

মন্তব্য ৬৮ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (৬৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৩:০১

অচেনা হৃদি বলেছেন: স্যার যা বলেছেন তা শুধু রাস্তা আর ট্রাফিক ব্যবস্থার জন্য নয়, আমাদের জাতীয় জীবনের সকল ক্ষেত্রের/সমস্যার জন্যই প্রযোজ্য ।

২৪ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৩:০৭

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ, আপনাকে। প্রথম মন্তব্যকারী হিসাবে আপনাকে পেয়ে ভাল লাগলো। তবে একটি অনুরোধ করবো, আমি 'স্যার' হওয়ার যোগ্য নই। আমাকে ভাইয়া সম্ভোধন করলে খুশি হবো। আপনি সকাল থেকে ব্লগে একটিভ দেখে ভাল লাগছে। ব্লগে সময় দেন, সবাই আপনাকে চিনতে পারবে, মূল্যায়ন করবে। আশীর্বাদ করি যাতে তাড়াতাড়ি সেফ হন।

২| ২৪ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৩:১০

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: এই পৃথিবীতে কোন মানুষই ভিআইপ নয়। সবাই মানুষ । সবাই এক দিন মারা যাবে। এটাই আপাতত সত্য। তাই ভিআইপি কালচার বাদ দেয়া দরকার। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে উনারা সাধারণ মানুষের জন্য অভিশাপ। কেননা, উনাদের কারণে রাস্তা বন্ধ হয়ে যায় ঘন্টার পর ঘন্টা। উনারা উল্টাপথেও চলেন। কোন নিয়ম মানেন না। সাধারণ মানুষ কষ্ট পায়।

২৪ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৫

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: "ভিআইপি কালচার বাদ দেয়া দরকার। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে উনারা সাধারণ মানুষের জন্য অভিশাপ। কেননা, উনাদের কারণে রাস্তা বন্ধ হয়ে যায় ঘন্টার পর ঘন্টা। উনারা উল্টাপথেও চলেন। কোন নিয়ম মানেন না। সাধারণ মানুষ কষ্ট পায়।".......

সাজ্জাদ ভাই, চমৎকার বলেছেন। ভিআইপি কালচার আর চলতে দেওয়া যায় না।

৩| ২৪ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৩:১৫

অচেনা হৃদি বলেছেন: সকালে আপনার সৌরজগত নিয়ে লেখা আপনার আর্টিকেলটা সকালে পড়ে ধরে নিয়েছিলাম আপনি শিক্ষকতার সাথে হয়ত জড়িত । তাই স্যার বলেছিলাম । :`> আমি সকাল থেকে ব্লগে খুঁজে খুঁজে গল্প পড়ছিলাম । ভালোই লাগছে, তবে ব্লগে কতটা সময় এক্টিভ থাকতে পারবো তা সামনের সময়গুলোতে জানা যাবে । ধন্যবাদ ভাইয়া ।

২৪ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৩:৩০

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: আমি একটা সময় A Level/O Level পড়াতাম। লন্ডনেও কিছুদিন পড়ানোর অভিজ্ঞতা আছে। এখন প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস নেই। শিক্ষকতা পেশাটা আমার রক্তে। তবে ব্লগে 'স্যার' হতে চাই না। এখানে সবাই সমান মর্যাদার। এজন্য কথাটি বলেছি।

৪| ২৪ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৩:১৬

কথার ফুলঝুরি! বলেছেন: এই সকল ভি আই পি, মানে খুব গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের জন্য যন্ত্রণার শেষ নেই। প্রায় ই এদের আগমনের জন্য নিরাপত্তা জনিত কারনে রাস্তা ঘাটে সমস্যায় পরতে হয়। এদের কাজ এ হচ্ছে সাধারন মানুষের জন্য ভোগান্তি সৃষ্টি করা আর নিয়ম না মানা। দারুন একটি কথা তুলে ধরেছেন ভাইয়া।

২৪ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৫

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: একটা গণতান্ত্রীক দেশে ভিআইপি নামক কোন প্রজাতির অস্তিত্ব থাকার কথা নয়। সাধারন জনগনই আসল ভিআইপি হওয়ার কথা। কিন্তু আমাদের দেশটা ব্যতিক্রম। এখানে যত বড় চোর ততো বড় ভিআইপি। এটা দূর্ভাগ্যজনক।

চমৎকার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে। আশা করি সামু কর্তৃপক্ষ দ্রুত আপনাকে সেফ করবেন। শুভ কামনা সব সময়।

৫| ২৪ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৫

অচেনা হৃদি বলেছেন: তাহলে তো আমি ভুল ধারণা করিনি ! আপনি আসলেই শিক্ষক ! :| হয়ত দেখা যাবে সামনে কখনো আমি আপনার ক্লাসের স্টুডেন্ট, তখন কি ভাইয়া বলতে পারবো ? #:-S

২৪ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৩:৪২

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: আসলে ব্লগে চাইনি বিষয়টি শেয়ার করতে। এখানে খুব সাধারন একজন ব্লগার হিসাবে থাকতে চাই। আমি খুব ফ্রেন্ডলি একজন শিক্ষক। ছাত্ররা সহজে আমার সাথে মিশতে পারে, সমস্যার কথা বলতে পারে। আপনাকে ছাত্র নয়, একজন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষিকা হিসাবে দেখতে চাই। লেখালেখির পাশাপাশি পড়াশুনাটা চালিয়ে যান। বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার উপর আমার বেশ কয়েকটি লেখা ব্লগে আছে, চাইলে পড়তে পারেন।

৬| ২৪ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৬

কথার ফুলঝুরি! বলেছেন: "আশা করি সামু কর্তৃপক্ষ দ্রুত আপনাকে সেফ করবেন" হচ্ছি না তো ভাইয়া :( এখন তো সত্যি সত্যি মন খারাপ লাগে :(

২৪ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৩:৫০

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: মন খারাপ হলে চলবে? সেফ হতে ধৈর্য ধরতে হয়। একজন লেখকের ধৈর্যটা খুব গুরুত্বপূর্ণ গুণ। আজ হোক আর কাল হোক, সেফ আপনি হবেন। ধৈর্য হারালে চলবে না। আর যাতে এমন কথা না শুনি।

"হচ্ছি না তো ভাইয়া :( এখন তো সত্যি সত্যি মন খারাপ লাগে :( "

৭| ২৪ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:১৫

রাজীব নুর বলেছেন: দারুন লিখেছেন।
যদি পারতাম কাদের সাহেবকে লেখাটা পড়াতে।

২৪ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০০

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: "যদি পারতাম কাদের সাহেবকে লেখাটা পড়াতে।"......


রাজীব ভাই, ফাটা কেস্টো এখন বদিকে সামলাতে ব্যস্থ। টাইম নাই এসব পড়ার।

৮| ২৪ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৬

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
যাহাদের জানার কথা
যাহাদের বোঝার কথা
যাহাদের ব্যবস্থা নেবার কথা
তারা এই লেখা পাঠ থেকে
শত যোজন দূরে।
সুতরাং ম্যাংগো পাবলিক
যে তিমিরে সেই তিমিরেই
রয়ে যাবে আজীবন।

চমৎকার গবেষণাধর্মী লেখার জন্য
লেখককে অসংখ্য ধন্যবাদ

২৪ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০১

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: যাহাদের জানার কথা
যাহাদের বোঝার কথা
"যাহাদের ব্যবস্থা নেবার কথা
তারা এই লেখা পাঠ থেকে
শত যোজন দূরে।
সুতরাং ম্যাংগো পাবলিক
যে তিমিরে সেই তিমিরেই
রয়ে যাবে আজীবন।".................

হক কথা বলেছেন। মনকে শান্তনা দিতে গিয়ে লেখি।

৯| ২৪ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৭

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:

আবুলের পরে, ফাটাকেষ্ট শুরুর দিকে ভাল সুনাম অর্জন করেছিল; পরে আবার যে লাউ সেই কদু।। কাউয়ায় রুপান্তিত হলো । এখন যে সরকার আসুক না কেন। ভি আই পিদের আলাদা লেন করা সম্ভবনা না।। এখন উন্নায়নের নামে ব্রীজ বা মেট্রোরেল যাই চালু করুক না কেন । কোন দিন ঢাকার জ্যাম কমানো সম্ভব বলে মনে হয়না । কারণ ঢাকার রস্তাগুলো পরিকল্পিত না।।

২৪ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৩

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: "এখন উন্নায়নের নামে ব্রীজ বা মেট্রোরেল যাই চালু করুক না কেন । কোন দিন ঢাকার জ্যাম কমানো সম্ভব বলে মনে হয়না । কারণ ঢাকার রস্তাগুলো পরিকল্পিত না।".........

শাহরিয়ার ভাই, আমার মনের কথাটি বলেছেন। আমিও তাই মনে করি।

১০| ২৪ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৫০

ইব্‌রাহীম আই কে বলেছেন: জনগণ ই আসল ভিআইপি বা জনগণকেই আসল ভিআইপি হিসেবে মান্য করা উচিত। সেটা কেন করবে, আর কারাইবা করবেঃ

সরকার? -তার তো ভোটের দরকার নেই

আমলা? -সাধারণ জনগণ তার কাজের মধ্যেই পরেনা, তার কাজ বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই সীমাবদ্ধ থাকে উচ্চপর্যায়ের লোকদের মধ্যে।

গডফাদার, চোর ডাকাত? -ওদেরকে ভিআইপি না মেনে উপায় আছে? ওরাইতো দেশের একটা বিশাল মূলধন নিয়ে কাজ করে দেশের অর্থনীতির চাকাকে সচল রাখছে।

পুলিশ? -ওরাতো নিজেদেরকে জনগণের শাসক মনে করে, সেবক নয়!

এমপি-মন্ত্রী? -ভোটের দুইদিন আগে সবার কাছে হাত জোর করে ভোট চেয়েছে সবার কাছে নিজেকে ছোট করেছে এখন তো একটু সুযোগ সুবিধা পাওয়া তার অধিকারের মধ্যেই পরে।

সরকারি কর্মচারী? -যেখানে বর্তমানে সাধারণ মানুষ একটা ছোট কাজ করতে যেয়ে নির্দ্বিধায় ঘোষ দিতে রাজি হয়ে যায় সেখানে সরকারি কর্মচারীরা সাধারণ জনগণের কোন প্রতিবাদী বৈশিষ্ট্যের জন্য তাকে ভিআইপি মেনে নিতে রাজি হবে?

আপনার ফিচারগুলো নিয়মিতই ভালো লাগে। এটাও তার ব্যতিক্রম নয়।

২৪ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৮

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: ইবরাহীম ভাই, চমৎকার বিশ্লেষণ করেছেন। আসলেই আপনার সব কথা সত্যি।

১১| ২৪ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৫:০৭

মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: আজকে আর পড়মুনা!:(

মাঠ ফাঁকা রাখা ঠিক হয় নি! আমি শ্যাষ........:(

২৪ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৬

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:


আজ আপনার জন্য দোলনা ফাঁকা রাখলাম। :( (:(

১২| ২৪ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৫:১৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনি লিখেছেন,"ধনীদের জন্য আছে আন্ডারগ্রাউন্ড ট্রেন, কার ও ট্যাক্সি" ( ৬ নং প্যারাগ্রাফে )

-কোন দেশে?

২৪ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৪

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: এখানে লন্ডনের কথা বলেছি। লন্ডনে আন্ডারগ্রাউন্ড ট্রেন খুব এক্সপেন্সিভ। এজন্য অল্প আয়ের মানুষজন বাস ব্যবহার করে। সারা লন্ডনে Weekly underground ticket cost £৮৯.২০ (zone ১-৯) কিন্তু সারা লন্ডন Bus pass মাত্র £২১.২০।

আশা করি বুঝতে পেরেছেন।

১৩| ২৪ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৭

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: ওবায়েদুল সাহেব আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে আসার পর পাল্টে গেছেন। উনার এখনকার বক্তব্য হতাশ করে।

২৪ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৩

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: এতো বড় বড় দায়িত্ব পেয়ে উনার মাথা আউলাই গেছে। তিনি এখন সব জান্তা শমশের।

১৪| ২৪ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৮

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
গাজীসাব সব বোঝে
তবে একটু দেরীতে!!
মণ্ডল ভাই মন্ত্র জানে
কি করে তাকে বোঝাতে হয়!!
ওস্তাদ লোক মন্ডল ভাই,
ইদানিং তার সাথে
যুক্ত হয়েছেন
পবন ভাই।
যাদের কোন
জুড়ি নাই।

২৪ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৬

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ, নূরু ভাই। উনারা সবাই গুণী ব্লগার। @গাজী সাহেব একটু ব্যতিক্রম:( (:(

১৫| ২৪ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৯

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: দুর্নীতিবাজ মন্ত্রী, এমপিদের সাথে থাকতে থাকতে তাদের চামচারাও(সচিব) এখন নিজেদের ভিআইপি ভাবতে শুরু করেছে...

২৪ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৪

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: ----------------আমাকে চিনস!
এক্কেরে হিলটেক্স পাঠায়া দিমু!!

এগুলো হলো আমাদের ভিআইপিদের কমন ডায়লগ। শুধু ভিআইপি কেন? এই ডায়লগ হতে পারে ক্ষমতার ছোঁয়া লাগা তাদের ভাই-বন্ধু-ভাতিজা-ভাগ্না-জামাই-শালী-চেলা-শাগরেদ যে কারো। এটা একটা ভয়ানক ছোয়াচে রোগ, এই রোগ ভিআইপি রোগ। ভিআইপি কারা? যাঁরা ইচ্ছা করলে আইন ভঙ্গ করতে পারেন। ভিআইপি কারা? আইন যাদের ধরতে পারে না। যাদের কলমের খোঁচায় বা মুখের অমর বাণীতে সাগর হয় পাহাড়, নদী হয় সমতল, বিষাক্ত খাদ্য হয় উপকারী, খুনি হয় সাধু। ভিআইপি কারা? যারা যেখানেই যান না কেন সেখানে প্রশাসন ও পুলিশ অন্য সব কাজ ফেলে তাদের সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য, আরাম-আয়েশ নিয়ে ব্যস্ত থাকে।............ ঠিক বলেছেন, ভাই।

১৬| ২৪ শে মে, ২০১৮ রাত ৮:৫২

পবন সরকার বলেছেন: হে হে হে নুরু ভাই,
রাগ করি নাই,
চাঁদগাজীর উল্টাপাল্টা কথা আর আপনার খুনশুটিতে ছড়া লেখা শুরু করেছি।
তবে কাওসার ভাইয়ের প্রত্যেকটা লেখাই পড়ার চেষ্টা করি এবং পড়ি, উনার লেখার হাত ভালো। পড়ে অনেক কিছু জানাও যায় মজাও পাওয়া যায়।

২৪ শে মে, ২০১৮ রাত ৯:১৮

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ, পবন সরকার ভাই।

১৭| ২৪ শে মে, ২০১৮ রাত ৯:৩২

একদম_ঠোঁটকাটা বলেছেন: avengers : infinty war এর সুপের ভিলেন থানোসের ফিলসফি এর সাথে আমি একমত যে " পৃথিবীর জনসংখ্যা যেকোনো ভাবে অর্ধেকে নামিয়ে আনলে সব সমস্যার অটোমেটিকভাবে সমাধান হয়ে যাবে।"

২৪ শে মে, ২০১৮ রাত ৯:৪০

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: আপনার কথায় যক্তি আছে। তবে প্রথমে বাংলাদেশ থেকে ১৫ কোটি মানুষ সরাতে হবে। এই দেশে তিন কোটি মানুষও অনেক বেশি।

১৮| ২৪ শে মে, ২০১৮ রাত ৯:৪৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: দারুন!

পুরাজাতির আমজনতার মনের কথাগুলোই তুলে ধরেছৈন সাবলিলতায়।

এ কথা গুলোই বলতে চায় কিন্তু গুম, খুন আর ত্রাসের রাজত্বে সব স্পিকটি নট!

কবে যে আমরা সভ্য হবো?????


++++++++++

২৪ শে মে, ২০১৮ রাত ১০:০১

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ, ভাই। আমি এভাবেই লেখি। নিজের বিশ্বাস, নিজের ভাবনা ও বিবেক থেকে যা সঠিক মনে হয় তাই লেখি। আশীর্বাদ করবেন, যাতে সব সময় বিবেকটা জাগ্রত রাখতে পারি।

লেখাটি পড়ায় ও কমেন্ট করায় খুশি হয়েছি। অনেক শুভ কামনা আপনার জন্য।

১৯| ২৪ শে মে, ২০১৮ রাত ১০:৫৭

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: কাউসার ভাই আপনি কোথায় পড়ান এটা না জানালে আমি খুব কষ্ট পাবো।
দরকার হলে প্রাইভেটে বলতে পারেন। ;) কিন্তু বলতে হবে।

আর ভাই, পরিবহন নিয়ে কি আর বলি বলেন, লোকাল বাসে ঝুলতে ঝুলতে পরিবহন নিয়ে কিছু বোঝার বাকি নাই।
আপনার মনে আছে, সিটিং সার্ভিস ইস্যুতে সরকার কতটা অসহায় ছিলো?
উত্তরা-পোস্তগোলা রুটের 'রাইদা' বাসের মালিক এক মন্ত্রী, ঐ বাসের লোকেরা যে কি উগ্র তা লিখে বলার নয়। তারা যাত্রীদের গায়ে পর্যন্ত হাত তুলেছে।
আমরা সাইকেলের রুট চেয়ে মিছিল করতে গিয়ে পুলিশের দৌড়ানি খাই, দুঃখের কথা আর কি বলবো।
ভিআইপি দের রুট দরকার, সামনে পালাতে সুবিধা হবে।

২৪ শে মে, ২০১৮ রাত ১১:০৪

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: "কাউসার ভাই আপনি কোথায় পড়ান এটা না জানালে আমি খুব কষ্ট পাবো। দরকার হলে প্রাইভেটে বলতে পারেন। ;) কিন্তু বলতে হবে।"........... বলবো তোমাকে একদিন।


তোমার প্রতিটি কমেন্ট আমার ভাল লাগে। তোমার লেখা আর কমেন্টের মান বয়সের তুলনায় অনেক প্রখর। পাঠ্য বইয়ের পাশাপাশি, যা ভাল লাগে তা পড়বে। একজন ভাল লেখক হতে হলে জানার কোন বিকল্প নেই। তোমার মাঝে একজন ভাল লেখকের প্রতিচ্ছবি দেখতে পাচ্ছি। তোমার আম্মুকে সালাম দিও।

২০| ২৪ শে মে, ২০১৮ রাত ১১:৪৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনি বলছেন, তা'হলে লন্ডনে শুধু ধনীরা আন্ডার গ্রাউন্ডে চড়ে? আমার মনে হয়, ব্যাপারটা উল্টা! কিছু ব্যাপারে আপনার মৌলিক সমস্যা আছে, আমার মনে হয়।

২৫ শে মে, ২০১৮ রাত ১২:০৭

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: আমি নিজেও বাধ্য না হলে, তাড়াহুড়ো না থাকলে ট্রেনে উঠতাম না, বাস চড়তাম। আমার লন্ডন সিটির ১০-১২ বছর বসবাসের অভিজ্ঞতা থেকে লেখা। এখানে মৌলিক সমস্যা বলতে কি বিঝাতে চান বুঝলাম না?

আমি খুশি হবো, আপনি নিজের অভিজ্ঞতা দিয়ে পরামর্শ দিলে। এতে শিখতে পারতাম। আমি জার্মানীতে কোনদিন যাইনি, এজন্য জার্মানির বিষয়টি আপনি ভাল জানার কথা। কিন্তু আপনি যদি আমার চেয়ে লন্ডনের ট্রান্সপোর্ট বিষয়ে বেশি বুঝেন তাহলে তো মৌলিক সমস্যা আপনার হওয়ার কথা, তাই না? আপনার প্রশ্নের উত্তর তো আগে দিয়েছি আমি। প্রয়োজনে আবার পড়ে দেখতে পারেন।

"লন্ডনে আন্ডারগ্রাউন্ড ট্রেন খুব এক্সপেন্সিভ। এজন্য অল্প আয়ের মানুষজন বাস ব্যবহার করে। সারা লন্ডনে Weekly underground ticket cost £৮৯.২০ (zone ১-৯) কিন্তু সারা লন্ডন Bus pass মাত্র £২১.২০।"

আশা করি বুঝতে পেরেছেন।

২১| ২৫ শে মে, ২০১৮ রাত ১২:০২

রসায়ন বলেছেন: সমস্যা আমাদের এটাই । আমরা মানুষকে না দিয়ে পদবীকে সম্মান দেই । গরীব কিন্তু সৎ দোকানদারের চেয়ে আমাদের কাছে ঘুষখোর আমলা বেশি মর্যাদাবান ।

২৫ শে মে, ২০১৮ রাত ১২:১০

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: গরীব কিন্তু সৎ দোকানদারের চেয়ে আমাদের কাছে ঘুষখোর আমলা বেশি মর্যাদাবান ।

খুব দামী একটি কথা বলেছেন। বিষয়টি ভাবনার।

২২| ২৫ শে মে, ২০১৮ রাত ১২:১২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আশাকরি ভাল আছেন। এখন বড্ড অন্য কাজে ব্যস্ত থাকায় ব্লগে সময় দিতে পারছি না। তার উপর আছে গৃহযুদ্ধের আশঙ্কা। যাই হোক বরাবরের ন্যায় সুন্দর ফিচার। তবে সমস্যাটি আমাদের এখানেও সমানভাবে প্রযোজ্য। আসলে আমরা সব একসূত্রে গাঁথা। তাই আপনি যে সমস্যাই তুলে ধরুন সেটি শুধু ওপার বাংলার নয়, গোটা উপমহাদেশের সামুগ্রিক সমস্যার চিত্র হয়ে দাঁড়ায়।

অনেক ভাল লাগা প্রিয় কাওসার 'স্যরকে'। দেখি আপনি কতটা রাগেন।

২৫ শে মে, ২০১৮ রাত ১২:২১

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: "অনেক ভাল লাগা প্রিয় কাওসার 'স্যরকে'। দেখি আপনি কতটা রাগেন।".......... রাগবো কেন? হাসছি 'স্যর' দেখে ;)!! গৃহযুদ্ধের আশঙ্কা থাকলে সাবধানতা অবলম্বন করাটাই বুদ্ধিমানের কাজ।

এতো ব্যস্ততা কিসের? সারাদিন মিস করি আপনাকে। নতুন কোন লেখাও পাই না আপনার। আশা করি, অচিরেই ব্যস্ততা কমবে। ভাল থাকবেন প্রিয় পদাতিক চৌধুরী ভাই।

২৩| ২৫ শে মে, ২০১৮ রাত ১:০১

চাঁদগাজী বলেছেন:


মৌলিক সমস্যা বলতে আমি বুঝাচ্ছি, লজিক্যালী, যাদের গাড়ী নেই তাদেরকে আন্ডারগ্রাউন্ড, বাস কিংবা ট্যাক্সী ব্যবহার করতেই হবে; চড়ুক, বা না চড়ুক, ইউরোপ, আমেরিকায় ধনীদের গাড়ী আছে, এবং অনেক দামী গাড়ী থাকতে পারে; ইউরোপে শহরে যাদের গাড়ী নেই, কিছু ব্যতিক্রম ব্যতিত তারা মোটামুটি ধনী নয়।

সৌর জগত নিয়ে লেখার সময়ে, সেখানে "চাঁদের দুরত্ব হিসেব করেছেন, 'বর্গ মাইলে ' "; আমি একবার প্রশ্ন করার পরও, আপনি আবারও বর্গ মাইলেই বলেছেন; এটাও একটা মৌলিক সমস্যা।

২৫ শে মে, ২০১৮ ভোর ৬:৫২

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: লন্ডনে সকাল সাতটা থেকে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত সিটি এলাকায় প্রাইভেট গাড়ির প্রবেশাধীকার নেই। ভেতরে ঢুকলেই বাধ্যতামূলক কনজেশন চার্জ দিতে হয়। এটা অনেকটা জরিমানার মতো। এজন্য গাড়িওয়ালারা সিটির বাইরে গাড়ি পার্কিং করে পাবললিক ট্রান্সপোর্ট বাস/ট্রেন ব্যবহার করতে হয়।

২৪| ২৫ শে মে, ২০১৮ রাত ১:৩৪

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:

২৫ শে মে, ২০১৮ ভোর ৬:৫৩

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ, ঠাকুর মাহমুদ ভাই।

২৫| ২৫ শে মে, ২০১৮ সকাল ১০:০২

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: স্যার, আপনার লেখা গুলো জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়া দরকার। এখানো আমাদের অনেক মানুষ ব্লগ পড়েন না। তারা এটাকে হারাম মনে করেন। পত্রিকায় প্রকাশিত হলে অনেকেই আপনার ভাবনাগুলো জানতে পারত।

আপনি এক জন সম্মানিত শিক্ষক। আপনার লেখা পত্রিকাতে প্রকাশিত না হবার কোন কারণ দেখি না। আমি কোন পত্রিকার সাথে যুক্ত থাকলে এখনই ছাপানোর ব্যবস্থা করতাম।

২৫ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৫

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: সাজ্জাদ ভাই, শুভেচ্ছা নেবেন। হয়তো জাতীয় পত্রিকায় ছাপালে ভালো হতো, আরো বেশি মানুষ পড়ার সুযোগ পেতেন। আমি প্রথম আলো ও বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকায় বার্তা বিভাগে ফোন দিয়েছিলাম। কিন্তু উনারা পাত্তা দেননি। আমাকে বল্লেন, এসব পত্রিকার সম্পাদকীয় পাতায় দেশের সেরা বিশেষজ্ঞ লেখকরা লেখেন। তাই আমার মতো নাম না জানা কারো লেখা ছাপানো সম্ভব নয়। তারা আসলে মিথ্যা বলেনি, আসলে বলার মতো আমার তেমন পরিচয় নেই, বিশেষজ্ঞ নই আমি। কোনদিন যে হব সে সম্ভাবনাও নেই আমার।

এখন আর কোন পত্রিকায় ফোন করি না। কোনদিন ভাল লেখক হতে পারলে, বিশেষজ্ঞ হতে পারলে হয়তো অনুমোদন পাব।

২৬| ২৫ শে মে, ২০১৮ সকাল ১১:১৪

নীল মনি বলেছেন: লেখাটা পড়লাম। ভি আইপি নিয়ে আমিও কিছু একটা লিখব ইন শা আল্লাহ। পোস্টে ভালো লাগা রইল।

২৫ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৭

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: হ্যা, লিখুন। আমি আপনার লেখাটি পড়ার অপেক্ষায় রইলাম।

২৭| ২৫ শে মে, ২০১৮ সকাল ১১:৩২

বৃষ্টি বিন্দু বলেছেন: ভি আই পি শিক্ষিত প্রজন্মের জন্য একটা কলঙ্কময় অধ্যায় ; রক্ষা হোক।

লেখা ভাল লাগলো।

২৫ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৮

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: ভি আই পি শিক্ষিত প্রজন্মের জন্য একটা কলঙ্কময় অধ্যায় ; একদম ঠিক বলেছেন।

২৮| ২৫ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:১৭

সনেট কবি বলেছেন: এককথায় চমৎকার।

২৫ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৯

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ, স্যার। আশীর্বাদ করবেন।

২৯| ২৫ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০১

মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: ভাইয়া... আআআআা......

আপনি বাঁইচা আছেন??:P

২৫ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১১

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ, মন্ডল ভাই। আজ একটু ব্যস্ত, তাই ব্লগে তেমন আসতে পারছি না। খোঁজ নেওয়ার জন্য ধন্যনাদ, প্রিয় ভাই।

৩০| ২৫ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৯

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: ভাই নিজাম ভাইয়ের মন্তব্যটা ভালো করে খেয়াল করেন B-)
""""""মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: আমাদের বিমানবন্দরের অবস্থা তো বুঝেনই,
গত জানুয়ারিতে সন্ধেবেলা ঘুরতে গেলাম, ক্যামেরাতে দুই-তিনটা ছবি না তুলতেই দুজন গার্ডের হম্বিতম্বি শুরু হল। ওদের নাকি নিরাপত্তা সমস্যা!

পরে পরিচয় দিলে শুরু করলো তেলামি । এই হল অবস্থা।
দেশের মানুষ নেহায়েত সহজ সরল!! তা না হলে আরো খারাপ কিছু হত। আমি শিওর কখনো কোন হামলা হলে ওখানকার আবুলগুলো কিচ্ছু করতে পারবে না।।"""

২৫ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫৭

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: হ্যা, এখন বুঝতে পেরেছি।

৩১| ২৫ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২১

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: ভাই ইব্‌রাহীম আই কে ভাই একটা লেখা দিয়েছেন। আপনি যদি সময় করে একটু পড়তেন।
click

২৫ শে মে, ২০১৮ রাত ৮:০১

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: হ্যা, পড়ছি।

৩২| ২৫ শে মে, ২০১৮ রাত ৯:২০

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: স্যার, তো বাস ট্রে‌নের যাত্রী‌দের প‌ত্রিকা। কলাম লেখকরা কেউ কেউ ধা‌রে নয় ভা‌রেও কাট‌ছেন। পীর হা‌বি‌বের কলা‌মের চে‌য়ে অ‌নেক ভা‌লো লেখা আমা‌দের এ ই ব্ল‌গেই প‌ড়ি। কা‌দের সিদ্দিকীর লেখা চ‌লে তার না‌মের জো‌রে। আপনার লেখার মান তা‌দের কা‌রো চে‌য়ে খারাপ নয়। আপ‌নি য‌দি দয়া ক‌রে আমা‌কে এক‌টি মেইল কর‌তেন আ‌মি আপনা‌কে কিছু বলতাম যা আপনার লেখা বিকা‌শে সহায়ক হ‌তে পা‌রে। আমার ই মেইল ঠিকানাঃ [email protected] আপনার সাড়ার অ‌পেক্ষায় রইলাম। ভা‌লো থাকুন।

২৬ শে মে, ২০১৮ দুপুর ১:২৯

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, প্রিয় সাজ্জাদ ভাই। একটি মেইল পাঠিয়েছি আপনাকে।

৩৩| ২৬ শে মে, ২০১৮ দুপুর ১:২৪

মিথী_মারজান বলেছেন: এসব ভি আই পি দের বাসা থেকে বের হওয়ার কি দরকার!!
সেমিনার, মিটিং, স্হাপনা উদ্বোধন করা আর সরকারী খরচে বিদেশ ভ্রমন ছাড়া দেশের জন্য কোন উপকার করেছে এমন কিছুতো আজ পর্যন্ত খবর পাইনি।
তারচেয়ে বরং বিশাল কিছু চিড়িয়াখানা করে ওদেরকে সেখানে আটকে রাখা হোক।
আর পথ-ঘাট এবং জনসাধারণ ওদের ভোগান্তি থেকে বাঁচুক।

২৬ শে মে, ২০১৮ দুপুর ১:৩১

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: আপু, চমৎকার বলেছেন।

"সেমিনার, মিটিং, স্হাপনা উদ্বোধন করা আর সরকারী খরচে বিদেশ ভ্রমন ছাড়া দেশের জন্য কোন উপকার করেছে এমন কিছুতো আজ পর্যন্ত খবর পাইনি।
তারচেয়ে বরং বিশাল কিছু চিড়িয়াখানা করে ওদেরকে সেখানে আটকে রাখা হোক।
আর পথ-ঘাট এবং জনসাধারণ ওদের ভোগান্তি থেকে বাঁচুক।"...... সহমত আপনার সাথে।

৩৪| ২৬ শে মে, ২০১৮ রাত ৮:৩৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: কাওসার চৌধুরী ,




এসব নিয়ে আক্ষেপ করার কিছু নেই । দেশটাকে আমরা জনগণই তাদের কাছেই লীজ দিয়েছি পাঁচ পাঁচটি বছরের জন্যে । আবারও দেবো । সুতরাং তারা যা করছেন সবটাতেই আমাদের সায় আছে ধরে নিতে হবে । কারন আঙুলের ছাপ দিয়ে আমরা দেশটাকে তাদের হাওলায় রেজিষ্ট্রি করে দিয়েছি । এখন হা..হু .ট্যা..ফো... করলে চলবে কেন ?

২৬ শে মে, ২০১৮ রাত ৮:৪৬

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: হ্যা, ঠিকই বলেছেন। এর দায়ভার আমাদেরও আছে। আপনার কথায়, "আঙুলের ছাপ দিয়ে আমরা দেশটাকে তাদের হাওলায় রেজিষ্ট্রি করে দিয়েছি।"............................

আমরা নিজের ভোট দেওয়াটাকেই গণতন্ত্র মনে করি। এজন্য কত আন্দোলন, কারচুপি ও খুনোখুণি। সত্যি বলতে কী যেসব দেশের বেশিরভাগ মানুষজন গণতন্ত্রের মিনিং বুঝে না সেসব দেশে গণতান্ত্রীক রাষ্ট্র ব্যবস্থায় চোর, সন্ত্রাসীরা জনপ্রতিনিধি হয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.