নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জন্মসূত্রে মানব গোত্রভূক্ত; এজন্য প্রতিনিয়ত \'মানুষ\' হওয়ার প্রচেষ্টা। \'কাকতাড়ুয়ার ভাস্কর্য\', \'বায়স্কোপ\', \'পুতুলনাচ\' এবং অনুবাদ গল্পের \'নেকলেস\' বইয়ের কারিগর।

কাওসার চৌধুরী

প্রবন্ধ ও ফিচার লেখতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। পাশাপাশি গল্প, অনুবাদ, কবিতা ও রম্য লেখি। আমি আশাবাদী মানুষ।

কাওসার চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

মাদকের ভয়াবহ ছোবলে বিষাক্ত নতুন প্রজন্ম (ফিচার)

২৭ শে মে, ২০১৮ দুপুর ১:২৭


২০১৩ সালের ১৪ই আগস্ট পুলিশ ইন্সপেক্টর মাহফুজুর রহমান এবং স্ত্রী স্বপ্না রহমানকে খুণ করে তাদের একমাত্র মেয়ে ঐশী। ইয়াবা আসক্ত ঐশীর বয়স তখন ছিল মাত্র ১৭ বছর! শোনা যায় তার ইয়াবা আসক্তি ১৪ বছর বয়স থেকেই। বাবা মায়ের উদাসীনতা, উশৃঙ্খল জীবন যাপন, মাদকসেবী বন্ধু-বান্ধব, ডিজে পার্টি আর অর্থের সহজলভ্যতা তাকে মাদকের দিকে ঠেলে দেয়। পরিণামে হয়ে উঠে ভয়ঙ্কর খুণি। সময় সুযোগ বুঝে বাবা-মাকে নৃশংসভাবে হত্যা করে। জানা যায় ঐদিন রাতে কফির সাথে ৬০টি ঘুমের বড়ি মিশিয়ে প্রথমে তাদেরকে অজ্ঞান করে, পরে গলায় ও বুকে ছুরি চালিয়ে খুণ করে।

সম্প্রতি দেশে মাদকের ব্যবহার বেড়েছে আশংকাজনক হারে। শুধু শহরের উচ্চবিত্ত নয়, গ্রামে-গঞ্জে ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়েছে ইয়াবা, হেরোইন, ফেনসিডিল, প্যাথেডিন সহ নানা নেশা জাতীয় দ্রব্য। মাদকের বিষাক্ত শক্তি শেষ করে দিচ্ছে শেষ করে দিচ্ছে তারুণ্যের শক্তি ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনাকে। মাদকের ভয়াবহ আগ্রাসনের কারণে পরিবার ও সমাজে বিপর্যয় নেমে আসছে। বেড়েছে খুণ, ধর্ষণ, ছিনতাই সহ নানা অপরাধ। ধনী-দরিদ্র উভয় পরিবারের কিশোর-কিশোরী, বিশেষ করে তরুণ সমাজ বিপথগামী হচ্ছে। মাদক নিয়ন্ত্রণে পারিবারিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় যথাযত উদ্যোগের অভাবে মাদকসেবীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে।

ভৌগলিকভাবে আমরা ভারত ও মায়ানমারের প্রতিবেশী হওয়ায় এবং দেশ দু'টিতে মাদক উৎপাদন হওয়ায় আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। ইয়াবা মায়ানমার থেকে টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে আসে। ফেন্সিডল আসে ভারত থেকে। একটা সময় হেরোইন ও ফেন্সিডিলে দেশ সয়লাব হলেও এখন ইয়াবার দাপট সর্বত্র। চাহিদাও ব্যাপক।

একটি পরিসংখ্যানে দেখা গেছে মাদকের নাটের গুরু ধুমপান। মাদক সেবীদের ৯৮% জনই ধুমপায়ী। এদের মধ্যে প্রায় ৪৪% সন্ত্রাসী। একটা উল্লেখযোগ্য সংখক শিক্ষিত বেকার, হতাশাগ্রস্ত তরুণ ও যুবক। উচ্চবিত্ত পরিবারের অনেক মেয়ে এখন মাদকাসক্ত, বিশেষ করে ইয়াবায়। একজন ইয়াবাসেবী নিজের পরিবার, অফিস ও সমাজের সবাইকে অস্বস্তিতে রাখে। তার মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়, ফলে সবার সাথে রূঢ় আচরণ করে।


দেশে প্রতিদিন গড়ে ২০০ কোটি টাকার মাদক কেনা-বেচা হয়। যার উল্লেখযোগ্য অংশই ইয়াবা। একটি পরিসংখ্যানে দেখা গেছে বর্তমানে দেশে প্রায় ৮০ লাখ মাদক সেবী এবং কয়েক লাখ মাদক বিক্রেতা আছে। মাদক সেবীদের গড় বয়স ১৫-২৯ বছর। অভিযোগ আছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর লোকজনও মাদক পরিবহণে জড়িত। পত্রিকায় দেখলাম কিছুদিন আগে একজন পুলিশ কর্মকর্তার গাড়িতে ৩০ লাখ টাকার ইয়াবা টেবলেট পাওয়া গেছে!

আমরা একটি পুঁজিবাদী ও ভোগবাদী সমাজের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। জিরো ফিগারের জন্য অনেক নারী মাদক বেছে নেন। এজন্য অনেক মেয়ে মাদকের টাকা জোগাড় করতে পতিতাবৃত্তি করেন। পরিবারকে জিম্মি করে টাকা নেন। ছেলেরা চুরি, ছিনতাই সহ মাদক পাচারে জড়িয়ে পড়ে। মূলত রাজনৈতিক প্রভাব, পুলিশ ও প্রশাসনের একটি অংশের যোগসাজশে চলে অবৈধ মাদকের কারবার।

টেকনাফকে এখন বলা হয় ইয়াবা গেট বা ইয়াবা নগরী। টেকনাফের ১৩৩টি গ্রামের মধ্যে প্রায় ১০০টি গ্রামের লোকজন ইয়াবা ব্যবসায় জড়িত। সেখানের অর্থনীতির ব্যবস্থার রন্ধ্রে রন্ধ্রে আছে ইয়াবা। প্রতিদিন গড়ে ১ কোটি পিস ইয়াবা টেকনাফ দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। টেকনাফের যুব সমাজের অধিকাংশই ইয়াবা ব্যবসায়ী। টেকনাফের স্থানীয় ৯০ জন জনপ্রতিনিধি (মেম্বার/চেয়ারম্যান) নিয়ে যে ইয়াবা প্রতিরোধ কমিটি গঠন করা হয় তার ৮০ জনই ইয়াবা ব্যবসায় জড়িত!

আমাদের মস্তিষ্কে একটি জায়গা আছে যেখানে ভাল লাগা, খারাপ লাগার তীব্র অনুভূতির সাড়া দেয়। যদি কোনভাবে মস্তিষ্কের বিশেষ এ জায়গাটি উদ্দীপ্ত করতে পারি তাহলে আমরা আনন্দিত হই। মাদকের ভয়াবহ সেই ক্ষমতা আছে। প্রথম প্রথম মানুষ সখ করে মাদক নেয়, পরে যখন আসক্তি আসে তখন মাদক নেওয়ার জন্য অস্থির হয়ে যায়। ভীষণ যন্ত্রণায় ভোগে। সেই যন্ত্রণা থামাতেই আবার মাদক নিতে হয়। মাদক মানুষের মেধা, মনন ও শারীরিক শক্তি উজাড় করে নেয়।


মাদকসক্তরা তাদের স্বাভাবিক বিবেক বুদ্ধি ও মানবিক মূল্যবোধকে হারিয়ে হয়ে উঠে বেপরোয়া, উচ্ছৃঙ্খল এক অস্বাভাবিক ব্যক্তি। এতে শুধু তাদের নিজেদের জীবন বিপন্ন হয় না, গোটা পরিবার ও সমাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাছাড়া ইনজেকশনের মাধ্যমে মাদক গ্রহণের কারণে দেশে এইডস আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে।

মাদকাশক্তি ও মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার বর্তমানে একটি আন্তর্জাতিক সমস্যা। প্রতিবছর সারা বিশ্বে প্রায় ৬০০ বিলিওন ডলারের মাদক ব্যবসা হয়। এই ব্যবসার ফলে বিশ্বে প্রতিবছর বৈধ অর্থনীতির ক্ষতি প্রায় দুই ট্রিলিয়ন ডলার! পৃথিবীর অনেক দেশ আছে যাদের অর্থনীতির সিংহভাগই ক্ষতিকর মাদকদ্রব্য উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাত করণ ও পাচারের উপর নির্ভরশীল। প্রতি বছর বাংলাদেশে অবৈধ ও নিষিদ্ধ মাদকদ্রব্যের পেছনে খরছ হয় প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা। দেশে সংঘটিত অপরাধের ৭০% কোন না কোন ভাবে মাদকের সাথে জড়িত।

আফগানিস্তান হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে বেশী অবৈধ মাদক উৎপাদনকারী দেশ। তারপর যথাক্রমে আসে কলম্বিয়া, পেরু, মেক্সিকো, বলিভিয়া, মায়ানমার, মরোক্ক ও লাওসের নাম। অফিম ও ক্যানাবিজ উৎপাদনে আফগানিস্তান পৃথিবীর শীর্ষস্থানীয় দেশ। দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলোতে মূলত কোকেইন উৎপাদন করা হয়। মায়ানমার বিশ্বের দ্বিতীয় প্রধান অফিম উৎপাদনকারী দেশ। অফিম থেকে তৈরী হয় হেরোইন। মায়ামারে বর্তমানে প্রায় ৬০ হাজার হেক্টর জমিতে অফিম উৎপাদিত হয়। ইরানের মানুষ পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে বেশী মাদকাসক্ত (১৫%)। মূলত এরা হেরোইনসেবী।

আমেরিকার টেক্সাস, এরিজোনা ও ক্যালিফোরনিয়া সীমান্ত দিয়ে প্রতিবছর শত শত টন অবৈধ মাদক মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলো থেকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করে। এটি হচ্ছে পৃথিবীর অন্যতম মাদক চোরাচালান রুট। যুক্তরাষ্ট্র মেক্সিকো সীমান্তে ওয়াল নির্মাণ করতে চায় মূলত মাদক ও অবৈধ প্রবেশাধিকার ঠেকানোর জন্য। তবে চোরাচালানীরা ওয়াল ডিঙিয়ে, সুড়ঙ্গ খুঁড়ে ব্যবসা অব্যাহত রাখছে।


লন্ডনে দেখেছি আইনের এতো কড়াকড়ির পরও অবৈধ মাদক পেতে মাদকসেবীদের তেমন বেগ পেতে হয় না। সর্বত্রই মাদক কেনা বেচা হয়। অবৈধ মাদক দ্রব্য বিক্রি ও পরিবহণে সরকারের অবস্থান কঠোর হলেও আইন সে অনুপাতে কঠোর নয়। অপরাধীরা সহজেই জেল থেকে বেরিয়ে এসে পুনরায় ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ে। প্রতিদিন লন্ডন ওয়েস্ট এন্ডে হাজার হাজার পাউন্ডের মাদক কেনাবেচা হয়। এসব মাদকের ক্রেতা উচ্চবিত্ত পরিবারের সন্তান ও টুরিস্ট। পাকিস্তানীরা মূলত এ ব্যবসার মূল হোতা।

পশ্চিমা দেশগুলোতে বিয়ার, মদ, স্পিরিট ইত্যাদি বিক্রি ও বিপনন বৈধ। এজন্য পানির দামে সেখানে বিয়ার পাওয়া যায়। স্থানীয় মানুষজন পানির পরিবর্তে বিয়ার পান করে। এগুলো মানুষকে চাঙা রাখে, শীতের প্রকোপ থেকে বাঁচায়। তবে অতিরিক্ত মধ্যপানের ফলে পশ্চিমা দেশগুলোতে অনেক মানুষ মাদকাসক্ত হয়ে পড়ে। আছে শত শত মাদক নিরাময় কেন্দ্র। তারপরও অসংখ্য মাদকসেবী মারা যায়।

ইসলামী দেশ এবং মুসলিম অধ্যুষিত দেশগুলোতে মদ, বিয়ার বিক্রয় ও বিতরণ আইনত দন্ডনীয়। এজন্য এসব দেশে কয়েকগুণ বেশী দামে চোরাই পথে এগুলো বিক্রি হয়। বিশ্বায়নের এ যুগে ইসলামী দেশগুলোর মানুষের চিন্তা চেতনা ও অভ্যাসে ব্যাপক পরিবর্তনের ফলে মানুষ মদের নেশায় বুদ হচ্ছে।

প্যারিস, লন্ডন ও আমস্টারডামে দেখছি গালফ কান্ট্রির অধিকাংশ দেশের পুরুষরা বারে বসে মদ/বিয়ার পান করে। এক্ষেত্রে সৌদি, আমিরাত, কুয়েত ও কাতার সবচেয়ে এগিয়ে। একদিন সৌদি রাজপরিবারের একজনকে জিজ্ঞেস করেছিলাম- তোমাদের দেশে মদ পান করা তো আইনত দন্ডনীয়। জবাবে বল্ল, আইনগুলো সাধারণ নাগরিকদের জন্য প্রযোজ্য। রাজপরিবার, শেখ পরিবার ও ধনী পরিবারগুলোতে দেদারসে মদ চলে। বেশিরভাগ পরিবারেই পৃথিবীর সবচেয়ে দামী ব্রান্ডের মদ থাকে!


নাইট ক্লাব, পাব ও স্ট্রিপ ক্লাবে (উলঙ্গ সুন্দরী মেয়েদর ডান্স ক্লাব) সবচেয়ে বড় কাস্টমার আরব ধনীর দুলালরা। এখানে সারা রাত চলে মদ আর ন্যাংটা ডান্সের নৃত্য। আরবরা সেখানে টাকা উড়ায় দেদারসে। আরব অনেক মেয়েরাও নিয়মিত এসব ক্লাবে যায়।

মূলত ইসলামী দেশগুলোতে আইনের কড়াকড়ি থাকায় নিজ দেশে তারা এগুলো করতে পারে না। মানুষ যখন ধর্মীয় অনুশাসন থেকে দূরে চলে যায়, মন মানসিকতায় পশ্চিমা দেশগুলোর মত আধুনিক জীবন যাপনে অভ্যস্থ হয়। ধর্মীয় অনুশাসন ঠিকমতো মানে না তখন বেপরোয়া হয়ে উঠে। আরবদের বেলায়ও তাই হচ্ছে। পৃথিবীর অন্যান্য মুসলিম প্রদান দেশের ধনী ও আধুনিক নাগরিকরা পশ্চিমা দেশগুলোতে গিয়ে এভাবে এনজয় করে।

মাদকের অপব্যাবহার থেকে হয় অভ্যাস, আর অভ্যাস থেকে হয় আসক্তি। বাংলাদেশের মাদক পরিস্থিতি নিয়ে জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশে মাদকাসক্তদের মধ্যে ৮৪% পুরুষ এবং ১৬% নারী। সমাজের বিত্তশালী ব্যক্তি থেকে শুরু করে নারী ও শিশু-কিশোররা মাদক সেবন ও ব্যবসায় জড়িত। এই প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে দেশজুড়ে প্রায় সাড়ে তিন লাখ মানুষ নানা ভাবে মাদক ব্যবসায় জড়িত। এদের মধ্যে উচ্চশিক্ষিতের সংখ্যা ১৫%। প্রতি বছর ১০ হাজার কোটিরও বেশী টাকা মাদকের নামে অবৈধভাবে বিদেশে পাচার হয়।

আমাদের দেশে মাদক একটি দুষ্ট চক্রে আবর্তিত। চক্রটি এরকম "রাজনীতি-বেকারত্ব-সহজলভ্যতা-প্রশাসন-বিচার ব্যবস্থা"। মাদকের ব্যাপক আগ্রাসনে এই টোটাল চক্রটি দায়ী। আমাদের দেশে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে মাদকের রমরমা ব্যবসা হয়, টাকা দিয়ে প্রশাসন ম্যানেজ করে চলে মাদকের অবাধ প্রবেশ। এছাড়া সীমাহীন বেকারত্ব, হতাশা, পারিবারিক অবহেলা ও সামাজিক অবক্ষয় মাদকের সহজলভ্যতার জন্য দায়ী। মাদকের ব্যবহার এক্কের বন্ধ করা হয়তো সম্ভব নয়, তবে সীমান্তে কড়া নজরদারী, মাদকের উৎস নির্মূল, মাদকের বিরুদ্ধে ব্যাপক জনমত তৈরী এবং ব্যক্তিগত ও পারিবারিক সচেতনতা মাদক নির্মুলে সবচেয়ে দরকারী পদক্ষেপ।।




তথ্য সূত্র-
প্রথম আলো- ১৮ আগস্ট, ২০১৩।
insidermonkey.com - ২৬ এপ্রিল, ২০১৬।
ekushey-tv.com - ১৮ জানুয়ারি, ২০১৮।
bd-pratidin.com - ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭।
blvdcenters.org - ৩ মে, ২০১৬।
edition.cnn.com - ২১ মার্চ, ২০১৮।
bbc.com - ২১ এপ্রিল, ২০১৬।

ফটো ক্রেডিট,
গুগল।

মন্তব্য ৫৪ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (৫৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে মে, ২০১৮ দুপুর ২:০৩

বিজন রয় বলেছেন: মদের আবার ধর্ম কি?

হিন্দু বা মুসলিম??

২৭ শে মে, ২০১৮ দুপুর ২:১১

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: দাদা, শুভেচ্ছা নেবেন। মাদকের ব্যবহারকে আমাদের দেশে অনেকে ধর্মের মোড়কে ব্যবহার করেন। কিন্তু ধর্মের আড়ালেও মাদকের অবাধ বিচরণ বিশ্বব্যাপী তা বুঝাতে প্রসঙ্গটি এনেছি। আসলে মাদকের কোন ধর্ম নেই। যারা ধর্মের আড়ালে মাদক গ্রহণ করে এরা হিপোক্রেট।

২| ২৭ শে মে, ২০১৮ দুপুর ২:০৩

অচেনা হৃদি বলেছেন: আমার মোবাইলে একটা মেসেজ এসেছে, চলো যাই যুদ্ধে, মাদকের বিরুদ্ধে ! =p~ মাদকের বিরুদ্ধে তো তাহলে আসলেই যুদ্ধ শুরু হয়েছে । দেখি এই যুদ্ধে শেষমেশ কে জয়লাভ করে ।

২৭ শে মে, ২০১৮ দুপুর ২:১৫

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: মোবাইল কোম্পানীরা জানে সুন্দরী অনেক মেয়ে এখন ইয়াবার নেশায় মত্ত, তাই হয়তো সতর্ক করতে দিয়েছে!!! =p~। মাদকের বিরুদ্ধে সব সময় সচ্ছার থাকতে হবে। আর পরিচিতজনদের এ বিষয়ে সতর্ক করতে হবে।

৩| ২৭ শে মে, ২০১৮ দুপুর ২:২৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: অনেক কিছু জানলাম। ধন্যবাদ ভাই কাওসার চৌধুরী।

২৭ শে মে, ২০১৮ দুপুর ২:২৮

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ, স্যার। আপনি লেখাটি পড়ে কমেন্ট করেছেন এজন্য কৃতজ্ঞ।

৪| ২৭ শে মে, ২০১৮ দুপুর ২:৫০

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: ধন্যবাদ চৌধুরী ভাই,সময়পযোগী ও বর্তমান সময়ে বহুল আলোচিত মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার ক্ষণে আপনার লেখাটি গুরত্বপূর্ণ। বর্তমানে মাদকের বিস্তার এমন পর্যায়ে চলে গেছে যে, এখন এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার কোনো বিকল্প নেই। শুধু শহরেই নয়, গ্রামেও ছড়িয়ে পড়েছে মাদক। তার বিষাক্ত ছোবল শেষ করে দিচ্ছে তারুণ্যের শক্তি ও অমিত সম্ভাবনা। ব্যক্তি ও পারিবারিক জীবনের অবক্ষয়, প্রত্যাশার সঙ্গে প্রাপ্তির অসামঞ্জস্যতা, হতাশা এবং মূল্যবোধের অভাবের সুযোগ নিয়ে মাদক তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে তরুণ সমাজের প্রতি।
মাদকের এই ভয়াল থাবা থেকে দেশকে বাঁচাতে হলে মাদক সিন্ডিকেট যতই শক্তিশালী হোক তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। এ ব্যাপারে সামাজিক সচেতনতারও কোনো বিকল্প নেই। এ ব্যাপারে সবাইকে সহযোগিতা করতে হবে।

২৮ শে মে, ২০১৮ রাত ৩:২০

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। আপনার কমেন্টের উত্তর দিতে দেরী হওয়ায় দুঃখিত।

"শুধু শহরেই নয়, গ্রামেও ছড়িয়ে পড়েছে মাদক। তার বিষাক্ত ছোবল শেষ করে দিচ্ছে তারুণ্যের শক্তি ও অমিত সম্ভাবনা। ব্যক্তি ও পারিবারিক জীবনের অবক্ষয়, প্রত্যাশার সঙ্গে প্রাপ্তির অসামঞ্জস্যতা, হতাশা এবং মূল্যবোধের অভাবের সুযোগ নিয়ে মাদক তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে তরুণ সমাজের প্রতি।"..........

বাহ!! আমার মনের কথাগুলো বলেছেন, নূরু ভাই। অনেক শুভ কামনা আপনার জন্য।

৫| ২৭ শে মে, ২০১৮ দুপুর ২:৫২

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: সর্বনাশা মাদকে ছেয়ে গেছে গোটা দেশ, সুন্দর পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ।

২৭ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৯

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ, প্রিয় তারেক ভাই।

৬| ২৭ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৩:০৬

গোধুলী বেলা বলেছেন: ঐশীর কোন দোষ দেখিনা। গোড়ায় গলদ ছিল আর সেটার ফলাফল ভোগ করল ইন্সপেক্টর ও তার বউ।একবার ভাবুন এক জন ইন্সপেক্টর এর বেতন কত?? এই টাকায় ঢাকায় বিলাশ বহুল ফ্ল্যাট, আধুনিক জীবন যাপন,উশৃঙ্খল জীবন যাপন, মাদকসেবী বন্ধু-বান্ধব, ডিজে পার্টি আর অর্থের সহজলভ্যতা কই থেকে আসে?
হয়ত এই পুলিশ অফিসারই ইয়াবা বেচতে সাহায্য করছিল আর সেই ইয়াবার ক্রেতাও ছিল তার মেয়ে।

২৭ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৮

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: "গোড়ায় গলদ ছিল আর সেটার ফলাফল ভোগ করল ইন্সপেক্টর ও তার বউ।একবার ভাবুন এক জন ইন্সপেক্টর এর বেতন কত?? এই টাকায় ঢাকায় বিলাশ বহুল ফ্ল্যাট, আধুনিক জীবন যাপন,উশৃঙ্খল জীবন যাপন, মাদকসেবী বন্ধু-বান্ধব, ডিজে পার্টি আর অর্থের সহজলভ্যতা কই থেকে আসে? হয়ত এই পুলিশ অফিসারই ইয়াবা বেচতে সাহায্য করছিল আর সেই ইয়াবার ক্রেতাও ছিল তার মেয়ে।"..............


চমৎকার কথা বলেছেন ভাই। সহমত আপনার সাথে।

৭| ২৭ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:২৫

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: আমাদের ক্লাবে সামনে একটা ডিবেট আসতে পারে, আমাদের স্কুলের ক্লাবে এই লেখাটি তাই রেফারেন্স হিসেবে জমা দিবো। (আপনার অনুমতি পেলে)
কারণ অনেক তথ্য দিয়েছেন, প্রিয়তে রাখলাম।
আপনার সাথে আমি ধূমপানে বিষয়টিতে একমত। যারা মাদক নেয় তাদের সবাই অবশ্যই ধূমপান করে। আমি সর্বপ্রথম তাই ধূমপানের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছি। সব চেয়ে কষ্ট লাগে যখন দেখি দরিদ্র ছেলেমেয়েরা যখন ভাত খেতে না পেরে নেশা করে।
আপনি হয়তো জানেন, জুতার আঠা দিয়ে ঢাকা শহরের অনেক গরিব লোক নেশা করে, কারণ তারা ক্ষুধার্থ, কেউ তাদের কাজ দেয়।
আচ্ছা ভাই, নস্যি জিনিসটা কি?

২৭ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৫

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: "আমাদের ক্লাবে সামনে একটা ডিবেট আসতে পারে, আমাদের স্কুলের ক্লাবে এই লেখাটি তাই রেফারেন্স হিসেবে জমা দিবো।"........... লেখাটি কোন কারণে তোমার উপকারে আসলে অবশ্যই ব্যবহার করবে, কেমন। এজন্য আমার অনুমতি লাগবে না। লেখাটি পড়ে ভাল লেগেছে জেনে খুশি হয়েছি।

"যারা মাদক নেয় তাদের সবাই অবশ্যই ধূমপান করে। আমি সর্বপ্রথম তাই ধূমপানের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছি। সব চেয়ে কষ্ট লাগে যখন দেখি দরিদ্র ছেলেমেয়েরা যখন ভাত খেতে না পেরে নেশা করে।"............. হ্যা, চমৎকার বলেছো তুমি।

"জুতার আঠা দিয়ে ঢাকা শহরের অনেক গরিব লোক নেশা করে, কারণ তারা ক্ষুধার্থ, কেউ তাদের কাজ দেয় না।".......... অবাকের বিষয় তো!!! বিষয়টি জানা ছিল না।

৮| ২৭ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৩০

রাজীব নুর বলেছেন: আপনার পোষ্ট টি পড়ে অনেক কিছু জানলাম।

২৭ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১০

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: রাজীব ভাই, অনেক ভাল লাগলো আপনার কমেন্ট পেয়ে।

৯| ২৭ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৩

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: ইয়াবা খা‌বি খা/মারা যা‌বি যা। অ‌নেক সুন্দর পোস্ট।

২৭ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৯

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ, প্রিয় সাজ্জাদ ভাই।

১০| ২৭ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ঐশী বা আরব দুলাল, এরা একটি প্রতীক। আইন সাধারণ মানুষের জন্য। আমরা বরং কতটা শৃঙ্খলে থাকলাম বা কতটা দুর্নীতি মুক্ত থাকলাম, পরিবারকে কতটা নিরাপদ রাখতে পারকাম, সেটাই আমাদের লক্ষ্য। প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা নিজেদের অপকর্ম ঢাকতে নতুবা আমাদের মত গরিবগুরবো বাড়ির ছেলেমেয়েদের সফ্ট টার্গেট করতে পারে। আর উপসাগরীয় যুদ্ধের সময় রাজা ফাহাদের একটি কথা আজও মনে আছে, বেলেল্লাপনা আল্লাহপাক পৃথিবীর মাটিতে নাকি বারং করেছেন। আকাশের কথা বললনি। যে কারনে বিমানে নাকি বেলেল্লাপনা করা যায়। ' যাক সেদিনও পড়েছিলাম, আজও পড়লাম। ভাল লাগলো।


শুভকামনা রইল, প্রিয় কাওসার ভাইকে।

২৭ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৮

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: চমৎকার একটি কমেন্ট করেছেন, প্রিয় পদাতিক চৌধুরী ভাই।

"আর উপসাগরীয় যুদ্ধের সময় রাজা ফাহাদের একটি কথা আজও মনে আছে, বেলেল্লাপনা আল্লাহপাক পৃথিবীর মাটিতে নাকি বারং করেছেন। আকাশের কথা বললনি। যে কারনে বিমানে নাকি বেলেল্লাপনা করা যায়। ' যাক সেদিনও পড়েছিলাম, আজও পড়লাম। ভাল লাগলো।"........... বাহ!! চমৎকার যুক্তি!!! উনাকে মেডেল দেওয়া উচিৎ ছিল।

১১| ২৭ শে মে, ২০১৮ রাত ৮:১১

মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: আগামীকাল থেকে সেফ হওয়া লেখকদের পোস্ট প্রথম পাতায় না থাকলে কমেন্ট করবো না.....



আমি বাংলায় হিপহপ গাই
মাঞ্জা মাইরা গাঞ্জা খাই!!!!:P

ছোট খোকা বড় হ, বড় হবি না।
আরে এক টানে দুই টানে কিছু হয় না ".....;)


আপনি কাউ হলেও, সবাই আমাকে কেন গরু(গুরু) বলে বুঝেছেন??;)

২৭ শে মে, ২০১৮ রাত ৮:৪৩

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: আপনি কাউ হলেও, সবাই আমাকে কেন গরু(গুরু) বলে বুঝেছেন??;)


"আমি বাংলায় হিপহপ গাই
মাঞ্জা মাইরা গাঞ্জা খাই!!!!:P"...............

আমি ভাই গুরু(গরু) গাঞ্জা নই
মাঞ্জা মারা একখান জামাই।।
কাউ নিয়া এতো টানাটানি
করো কেন!! জবাব চাই!! জবাব চাই!!!

১২| ২৭ শে মে, ২০১৮ রাত ৮:২৯

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: এটা পুরো বন্ধ হবে না হয়ত। এমনকি আমেরিকাতেও সম্ভব না। তবে দৃশ্যমান যেভাবে বাংলাদেশে ওপেন সিক্রেট হয়(এমন কি পুলিশও জড়িত) এগুলো বন্ধ হওয়া দরকার...

২৭ শে মে, ২০১৮ রাত ৮:৪৪

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: ঠিক বলেছেন ভাই। পুরোপুরি বন্ধ না হলেও কন্ট্রোলে আনতে হবে।

১৩| ২৮ শে মে, ২০১৮ রাত ১২:৪৪

শিখা রহমান বলেছেন: কাওসার বরাবরের মতোই তথ্যবহুল লেখা। অনেক কিছু জানলাম আপনার লেখাটা পড়ে। আপনার লেখণীর গুণে তথ্যসমৃদ্ধ লেখা হলেও পড়তে ভালো লেগেছে।

ধন্যবাদ সমসাময়িক বিষোয়গুলো নিয়ে লেখার জন্য। শুভকামনা। ভালো থাকবেন।

২৮ শে মে, ২০১৮ রাত ১:৩৫

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: আপা, শুভেচ্ছা নেবেন। আপনার যে কোন কমেন্ট আমাকে অনুপ্রাণিত করে। অনেক ভাল লাগা ও শুভ কামনা আপনার জন্য।

১৪| ২৮ শে মে, ২০১৮ রাত ১:০৯

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: সর্বনাশা মাদকের বিরুদ্ধে সচেতনতা ছড়িয়ে যাক!

২৮ শে মে, ২০১৮ রাত ১:৪০

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: ভাই, শুভেচ্ছা নেবেন। ব্লগে নতুন তাই সবার সাথে পরিচিত হওয়ার সুযোগ হয়নি। আমি দুঃখিত যে, আপনার মতো গুণী মানুষের সাথে পরিচিত হলাম একটু দেরীতে। অনুসরনে নিলাম। সময় সুযোগে আপনার লেখাগুলো পড়বো। অনেক ভাল লাগা ও শুভ কামনা আপনার জন্য। আশীর্বাদ করি, আপনার কলমের ছোয়ায় সমাজ সমাজ যেন উপকৃত হয়, বাংলা সাহিত্য সমৃদ্ধ হয়। (ধন্যবাদ)

১৫| ২৮ শে মে, ২০১৮ সকাল ৯:৪৫

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: অবস্থা দেখি ভয়াভয়ো!!!

২৮ শে মে, ২০১৮ সকাল ৯:৫৩

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: শুভ সকাল সোহেল ভাই। আসলেই অবস্থা এখন চরম পর্যায়ে।

১৬| ২৮ শে মে, ২০১৮ সকাল ১০:১৬

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
মাদক নিমূল হোক।

২৮ শে মে, ২০১৮ সকাল ১১:০৮

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: হ্যা, মাদক নির্মুল হোক।

১৭| ২৮ শে মে, ২০১৮ সকাল ১০:১৯

কথার ফুলঝুরি! বলেছেন: মাদক নিয়ে যুব সমাজের মাঝে অনেক বেশী সচেতনতা গড়ে তোলা প্রয়োজন। সাথে বিভিন্ন স্কুল কলেজে ও এ বিষয়ে সেমিনার হওয়া উচিত তাহলে উঠতি বয়সি ছেলেমেয়ে রা ও এর ভয়াবহতা সম্পর্কে জানতে পারবে। এবং বাবা মা কে ও তাদের সন্তানের প্রতি খেয়াল রাখতে হবে। কথা সত্য, মাদক শুধু একটা মানুষের জীবন না সাথে তার পরিবার সহ আরও কয়েকটা জীবনকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যায়।

২৮ শে মে, ২০১৮ সকাল ১০:২৭

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: শুভ সকাল। মাদক এখন দেশের তরুণদের মাঝে ব্যাপক বিস্তার লাভ করেছে। এগুলো থেকে পরিত্রাণের একমাত্র উপায় সচেতনতা সৃষ্টি। পাশাপাশি, সরকার-প্রশাসন-ব্যবসায়ী সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।

১৮| ২৮ শে মে, ২০১৮ সকাল ১০:৪১

একদম_ঠোঁটকাটা বলেছেন: দারুণ একটি লেখা পড়লাম। বাহারিন নাকি বানানো হয়ে ছিল শুধুমাত্র সৌদি সেখদের সমস্ত পার্থিব বিনোদনের আস্বাদ নেবার জন্য যেটা সৌদিতে নিষেধ। ওমান ও কুয়েত তে থাকাকালীন দেখেছি মদ ও ড্রাগ সেখানে সহজলভ্যও। ভারতের উত্তাখন্ডে পৃথিবী বিখ্যাত হাসিস র চাষ হয় দুর্গম স্থানে তাই সেখানে প্রতিবছর প্রচুর বিদেশী টুরিস্টের আগমন হয় বেরানোর জন্য, রথ দেখা আর কলা বেচা দুইই হয়।

২৮ শে মে, ২০১৮ সকাল ১০:৪৭

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: "বাহারিন নাকি বানানো হয়ে ছিল শুধুমাত্র সৌদি সেখদের সমস্ত পার্থিব বিনোদনের আস্বাদ নেবার জন্য যেটা সৌদিতে নিষেধ।"........ বিষয়টা আমার জানা নেই।

আরব শেখরা মুখে মুখে, আর বেশভূষায় নিজেদের খুবই ধার্মিক হিসাবে প্রচার করে। কিন্তু এদের বেশিরভাগই মদখোর, লম্পট আর ধর্মহীন।

১৯| ২৮ শে মে, ২০১৮ সকাল ১০:৪৭

নাজিম সৌরভ বলেছেন: ফিচারটা পড়ে অনেক খারাপ লাগলো; বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ইরান, আরব বিশ্ব- কি লজ্জাজনকভাবে নেশার সাথে জড়িত ! অথচ মুসলিম বিশ্ব মাদকের গোরস্থান হওয়া উচিৎ ছিল ।

আমি নতুন ব্লগার, আমার ব্লগবাড়িতে কাওসার ভাইয়ের নিমন্ত্রণ রইল ।

২৮ শে মে, ২০১৮ সকাল ১০:৫৯

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: এ দেশগুলোতে ইসলাম হলো একটি ব্যবসা। আফগানরা হলো মাদক ব্যবসার নাটের গুরু। আফগানিস্তানে যারা অফিম উৎপাদনে জড়িত এরা সবাই পাক্কা ধার্মিক।

২০| ২৮ শে মে, ২০১৮ দুপুর ১:২৭

তারেক ফাহিম বলেছেন: গুরুত্বপুর্ণ পোষ্ট নিয়ে এলেন ভাই।

চলতি মাসের শুরু থেকে আপনাদের লেখা অনেকটা মিস করছি।

নেট লাইনগত সমস্যার কারণে।

২৮ শে মে, ২০১৮ দুপুর ২:০৫

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: তারেক ফাহিম ভাই, শুভেচ্ছা নেবেন। নেটে লগইন সমস্যার কথা শুনে খারাপ লাগছে। আশা করি এখন ঠিক আছে। আমার লেখাগুলো আপনি নিয়মিত পড়েন জেনে ভাল লাগলো। আপনার জন্য অনেক শুভ কামনা রইলো।

২১| ২৮ শে মে, ২০১৮ দুপুর ২:৪৩

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: এই অঞ্চলে মাদকের প্রধান যোগান দাতা বার্মা। তাকে ঠেকানো দরকার।

২৮ শে মে, ২০১৮ দুপুর ২:৫৫

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: হ্যা, ঠিকই বলেছেন সাজ্জাদ ভাই। এ অঞ্চলে বার্মা মূল মাদক সাপ্লাইয়ার। তবে থাইল্যান্ড ও চীন তাদের সীমান্ত অনেকটা সুরুক্ষিত করতে পেরেছে যাতে বার্মা থেকে সহজে মাদক ঢুকতে না পারে। আমাদেরও তা করতে হবে।

২২| ২৮ শে মে, ২০১৮ দুপুর ২:৪৯

আখেনাটেন বলেছেন: ভালো লিখেছেন। মাদকের করাল গ্রাস থেকে মুক্ত হোক সোনার বাংলা।

২৮ শে মে, ২০১৮ দুপুর ২:৫৬

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: "মাদকের করাল গ্রাস থেকে মুক্ত হোক সোনার বাংলা।"........ চমৎকার বলেছেন ভাই। এটা আমাদের সবার প্রত্যাশা।

২৩| ২৮ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৪

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সময়োপযোগি পোস্ট। মাদকের করাল গ্রাস থেকে মুক্তি চা্ই আমরা সবাই ।

২৮ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৬

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ, আপনাকে। মুক্তি ছাড়া উপায় নেই।

২৪| ২৯ শে মে, ২০১৮ ভোর ৫:০২

জাহিদ অনিক বলেছেন:

মাদকের দুই চারটা উপকারী দিকও লিখতে পারতেন !

২৯ শে মে, ২০১৮ সকাল ১০:১০

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: হ্যা, লেখা যেত।

২৫| ৩০ শে মে, ২০১৮ রাত ১:১৪

কিশোর মাইনু বলেছেন: আসলে আপনাদের চিল্লাচিল্লিতে তেমন কিছুই হবেনা।এই মুহুর্তে যেটা বেশী দরকার সেটা হচ্ছে সচেতনতা।আর এই সচেতনতা আমাদের ভিতর থেকে আসতে হবে।
আমি আমাদের বলতে আমাদের জেনারেশন বুঝিয়েছি।ইদানিং মাদকাসক্তির কবলে আমাদের বয়সী ছেলেমেয়েরায় বেশী পড়ছে।
আমাদের ই প্রধান ভুমিকা নেওয়া দরকার বলে আমি মনে করি এই মাদকবিরোধী যুদ্ধে।
নাহলে আপনারা যারা সেই বয়স পার করে এসেছেন,এইসব ব্যাপারে সচেতন হয়েছেন তারা গাছের আগায় পানি দিতে থাকবেন আর এদিকে দেখা যাবে আমরা গাছের গোড়া কেটে দিয়ে লুকিয়ে লুকিয়ে মাদকাসক্ত হয়ে পড়ছি।

৩০ শে মে, ২০১৮ রাত ৯:৪১

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: আপনি ঠিকই বলেছেন, তরুণরাই নিজে থেকে দায়িত্ববান হতে হবে। এ ব্যাপারে সতর্ক হতে হবে।

২৬| ৩০ শে মে, ২০১৮ রাত ৯:১৮

সোহানী বলেছেন: হুম দেখছি দেশের মাদক বিরোধী অভিযান। তবে অবশ্য রাঘব বোয়ালদের ছেড়ে চুনোপুটিদের ধরে লাভ কি!!!!!!!!! সরকার চাইলে ইটি এক সপ্তাহেই বন্ধ করে দিতে পারে। কিন্তু চাইতে হবে তো...........

আর ঐশি একটি প্রতিকি নেইম এখন। এ ঘটনার পর এ ধরনের বাবা মায়েরা সতর্ক হয়েছেন কিনা জানি না তবে এটি নি:সন্দেহে সতর্ক বার্তা।

৩০ শে মে, ২০১৮ রাত ৯:৫০

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: আপা, কেমন আছেন!! :(

"রাঘব বোয়ালদের ছেড়ে চুনোপুটিদের ধরে লাভ কি!!!!!!!!! সরকার চাইলে ইটি এক সপ্তাহেই বন্ধ করে দিতে পারে।"........ মাদক নির্মুলে এমন পদক্ষেপ নিতে হবে।

২৭| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:৫৬

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: অনেক কিছু জানা হলো.....
পোস্টের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ :)

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:৪০

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



আপনি খুঁজে খুঁজে আমার আগের লেখা পড়ে মন্তব্য করেছেন দেখে খুব খুশি হলাম। আসলে মাদকের ছোবল আমাদের তরুণ ও যুব সমাজকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এজন্য সরকারের পাশাপাশি সমাজ ও পরিবারকে আরো দায়িত্বশীল হওয়া প্রয়োজন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.