নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জন্মসূত্রে মানব গোত্রভূক্ত; এজন্য প্রতিনিয়ত \'মানুষ\' হওয়ার প্রচেষ্টা। \'কাকতাড়ুয়ার ভাস্কর্য\', \'বায়স্কোপ\', \'পুতুলনাচ\' এবং অনুবাদ গল্পের \'নেকলেস\' বইয়ের কারিগর।

কাওসার চৌধুরী

প্রবন্ধ ও ফিচার লেখতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। পাশাপাশি গল্প, অনুবাদ, কবিতা ও রম্য লেখি। আমি আশাবাদী মানুষ।

কাওসার চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

শাসক নয়, আমাদের প্রয়োজন দক্ষ ম্যানেজারের (ফিচার)

৩০ শে মে, ২০১৮ রাত ১:২২


লন্ডনগামী বিমানে উঠার আগ পর্যন্ত কোনদিন এরোপ্লেনে চড়া হয়নি। এজন্য প্রথম যাত্রায় প্রচন্ড উত্তেজনা অনুভব করছিলাম। ঢাকা থেকে বাংলাদশ বিমান যাত্রা শুরু করে দুবাই হয়ে লন্ডন যাবে ফ্লাইটটি। প্রত্যাশা ছিল জানালার পাশের আসনটি পাব। কিন্তু দুবাইগামী এক ভদ্রলোকের সিটটি হওয়ায় মনটটা একটু খারাপ হলো। তারপরও দূর থেকে যতটুকু সম্ভব বাইরের জগৎটা দেখতে লাগলাম। নামে উইন্ডো হলেও আসলে এগুলো কাঁচের ছোট ভেন্টিলেটারের মতো, এজন্য তফাতে বসে তেমন কিছু দেখার সুযোগ ছিল না। প্রায় সাড়ে তিন ঘন্টায় দুবাই পৌছিলাম।

দুবাইয়ে যাত্রা বিরতি শেষে বিমানটি যখন আকাশে উড়াল দিল তখন লক্ষ্য করলাম পাশের আসনটি ফাঁকা। দুবাইয়ে ভদ্রলোক নামার পর নতুন করে কেউ উঠেনি। অনেকটা তড়িঘড়ি করে উইন্ডোর পাশে গিয়ে বসলাম। ঈগল পাখির মত বিমানের বিশাল ডানা দু'টি বিরামহীনভাবে আমাদের নিয়ে উড়ছে। নীচে সারি সারি তুলার মত সাদা সাদা মেঘের পাহাড়। দেখে মনে হলো মাটি ও আকাশের মাঝামাঝি আরেকটি পৃথিবী। যেখানে কোন জনমানব নেই, পশু পাখি নেই। নেই কোন কোলাহল। নেই হত্যা, নেই রাহাজানি, নেই লোভ। এ যেন মেঘ পরীর রাজ্য। পৃথিবীটা তো আরো বৈচিত্রময়। এখানে ফুল ফুটে, নাম না জানা হাজারো পাখি সূর দেয়, আছে মানুষের সুখ-দুঃখ, আবেগ-অনুভূতি। তারপরও পৃথিবীটাকে নিষ্ঠুরর মনে হয়। হ্যা, আমরা মানব জাতিই সুন্দর এ পৃথিবীটাকে ধাপে ধাপে কলঙ্কিত করেছি। মানুষ হয়ে মানুষকে হত্যা করেছি। অন্যের সম্পদ লুট করেছি। প্রকৃতির সৌন্দর্য বিনষ্ট করেছি। যুদ্ধ ও জঙ্গিপনায় লাখ লাখ মানুষ হত্যা করেছি, যা এখনো চলছে। ধনী ও দরিদ্রের মাঝে প্রতিনিয়ত ব্যবধান বাড়িয়ে চলেছি।

বিমানটি যখন ইরাক ও তুরস্কের পাহাড়ি অঞ্চল দিয়ে উড়ে যাচ্ছিল মনে হলো জনমানবশূন্য একটা পৃথিবী। দিনটি রোদ্রোজ্বল হওয়ায় এত উপর থেকেও নীচের পৃথিবীটা স্পস্ট দেখা যাচ্ছিল। এটি মূলত কুর্দি অধ্যুসিত এলাকা। যাকে এক সময় কুর্দিস্তান বলা হতো (কুর্দিরা এখনো কুর্দিস্তান বলে)। পাকিস্থান-আফগানিস্তান হয়ে ইরান-ইরাক-তুরস্ক পর্যন্ত পাহাড়ি এ অঞ্চলটি বিস্তৃত। শত শত বছর থেকে অনেক উপজাতি সম্প্রদায় এ অঞ্চলে বসবাস করে । মনে মনে ভাবি পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের এরকম অসম্ভব সুন্দর পাহাড়ঘেরা প্রকৃতির মাঝে ভয়ংকর তালেবান জঙ্গি কিভাবে জন্ম নিল? সুন্দর প্রকৃতির মাঝে বেঁড়ে উঠা মানুষ তো হিংস্র হওয়ার কথা নয়!! তাহলে এই পাহাড়টাকে নরক বানাতে, সহজ সরল ও সুন্দর এ মানুষগুলোকে ধর্মের লেবাসদারী কিছু মানুষ এবং কোট টাই পরা ক্যাপিটালিজমের বার্তা বাহকরাই কী নিজেদের স্বার্থে জঙ্গি বানিয়েছে? জানিনা, হিসাব মেলাতে পারি না।


লোহিত সাগর পার হয়ে বিমানটি যখন পূর্ব ইউরোপের দেশ রুমানিয়ায় ঢুকলো তখন সবকিছু যেন অন্য রকম মনে হতে লাগলো। সবকিছু কেমন যেন সুন্দর করে গোছানো, ছিমছাম। বড় বড় রাস্তায় ছোটবড় হরেক রকম গাড়ি ছুটাছুটি করছে। বেশি করে চোখে পড়লো বিশাল সাইজের লম্বা মালবাহী লরিগুলোকে। যেখানে গাছপালা ও উদ্যান আছে সেখানে শুধুই সুন্দর সুন্দর গাছের সারি। যদিও এগুলো কৃত্রিমভাবে তৈরী তারপরও অনেক সুন্দর লাগছিল। বিশাল সুন্দর পার্ক ও চাষের জমিও চোখে পড়লো। তবে এসব জমিগুলো আমাদের মতো ছোট ছোট টুকরো টুকরো করা নয়। একেকটি এলাকাকে একটি মাত্র জমি মনে হলো। যেখানে গমের চাষ, শুধুই গম। ফুল-ফলের চাষ হলেও তাই। অবাক লাগলো মানুষের বসতি দেখে। আমাদের মত বিচ্ছিন্নভাবে ছড়ানো ছিটানো জনবসতি নেই। মানুষের বসতিগুলো একসাথে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনায় বানানো। শহরগুলোকেও মনে হলো পরিকল্পিত ও পরিপাটি। যদিও নীচে কি অবস্থা এত দূর থেকে পুরোপুরি বলা মুশকিল, তারপরও সুবিন্যস্ত, শৈল্পিক মনে হলো।

হাঙ্গেরি, অস্ট্রিয়া, জার্মানী ও ফ্রান্সের আকাশসীমায়ও একই অবস্থা চোখে পড়ল। তবে পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলোর রাস্তা-ঘাট অনেক বেশি ব্যস্ত লাগলো, পূর্বের তুলনায়। শহরগুলোও তুলনায় কিছুটা বড়। তবে বাড়ি-ঘরগুলো দেখতে পূর্ব ইউরোপের মতো। সুন্দর সুন্দর পার্ক, বিশাল স্টেডিয়াম, ব্যস্ত এয়ারপোর্ট সবই চোখে পড়লো। বিমানটি যত পশ্চিম দিকে ধাবিত হয়েছে, দেশগুলোকে ততো পরিপাটি ও সাজানো গোছানো লেগেছে।

ফ্রান্স পেরিয়ে বিমানটি যখন ইংলিশ চ্যানেল পার হচ্ছিল, চোখে পড়লো শত শত ছোট বড় জাহাজ। উপর থেকে সমুদ্রের নীল জলরাশির মধ্যে জাহাজগুলোকে এতো সুন্দর লাগছিলো যে, সত্যি ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়। ধীরে ধীরে বিমানটি ইংল্যান্ডের আকাশসীমায় প্রবেশ করলো। মাইকে এনাউন্স করা হলো- আমরা এখন ইংল্যান্ডের আকাশসীমায় প্রবেশ করেছি, অল্প কিছুক্ষণ পর আমরা লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্ধরে ল্যান্ড করবো।

লন্ডনের আকাশে প্রবেশের পর বিমানটি অনেকটা নীচ দিয়ে চক্কর দিতে লাগলো ফলে বাড়ি-ঘর, অফিস-আদালত সবই স্পস্ট দেখা যাচ্ছিল। লন্ডনের মাঝ দিয়ে এঁকে বেঁকে বয়ে যাওয়া টেমস নদীকে খুব সুন্দর লাগছিল। নদীতে সুন্দর সুন্দর স্টিমার ও টুরিস্ট বোট চলছিল। উপর থেকে নদীর পানিও স্বচ্ছ দেখাচ্ছিল। অবাকের বিষয় নদীটির দুই তীর খুব সুন্দর করে বাঁধানো। দুই পারে বিশাল বিশাল রাস্তা। ল্যান্ডিংয়ের সিরিয়াল পেতে দেরী হওয়ায় প্রায় ত্রিশ মিনিট বিমানটি লন্ডনের আকাশে চক্কর দিলো। তবে আমার মোটেও বিরক্ত লাগছিল না। নিজেকে প্রশ্ন করলাম এত বিশাল রাস্তাঘাট, সুন্দর গোছানো পরিবেশ, সুশৃংখল গাড়ি চলাচল, পার্কিং, দালানকোঠা, ব্যস্ততম অথচ পরিচ্ছন্ন বিশাল শহর, সাজানো গোছানো বিশাল বড় বড় পার্ক ব্রিটিশরা কিভাবে তৈরী করলো?


হিথ্রো বিমান বন্দর যেমন বিশাল, তেমনি ব্যস্ত। নেই কোন বাড়তি জৌলুস। সবকিছু সাজানো গোছানো, সুশৃংখল। হিত্রো হলো পৃথিবীর সবচেয়ে ব্যস্ততম এয়ারপোর্ট। এখানে প্রতি আড়াই মিনিটে একটি বিমান উঠানামা করে। লন্ডনের কাছাকাছি স্টানস্টেড, গেটউইকও সমান ব্যস্ত। তবে লুটন, সাউথ এ্যন্ড ও লন্ডনের অভ্যন্তরে সিটি এয়ারপোর্টের ব্যস্ততাও কম নয়। সিটি এয়ারপোর্টে প্রতি পাঁচ মিনিটে একটি করে বিমান উঠানামা করে। তবে এ বিমানগুলো আকারে ছোট। শুধুমাত্র ইউরোপের মধ্যেই যাতায়াত করে। আছে প্রাইভেট বিমানও। পৃথিবীর প্রায় সব বিমান সংস্থার এয়ারক্রাফটগুলো লন্ডনের কোন না কোন এয়ারপোর্টে প্রতিদিন ল্যান্ড করে। আমি ভেবে পাইনা কিভাবে এরা সুশৃংখল ভাবে এতো বিশাল দায়িত্ব পালন করে। শুধু ল্যান্ডিং মানি হিসাবে প্রতি বছর হাজার হাজার কোটি টাকা ব্রিটিশ সরকার পায়।

এছাড়া উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকার সাথে এশিয়া ও ইউরোপের দেশগুলোতে আসা যাওয়া করতে অনেক বিমান হিত্রোতে যাত্রা বিরতি করে। বিমান থেকে নেমে মাত্র কয়েক মিনিটের ব্যবধানে ইমিগ্রেশন পার হয়ে বের হলাম। অবাকের বিষয় ঢাকাতে ইমিগ্রেশন করতে প্রায় দুই ঘন্টা লেগেছিল। হিত্রোতে ঘন্টায় কয়েক হাজার যাত্রীর ইমিগ্রেশন হলেও কিভাবে এরা এত দ্রুত সার্ভিস দেয় আমার কল্পনায় আসলো না। লাগেজ পেতেও অপেক্ষা করতে হয়নি। এয়ারপোর্টের ঠিক নীচেই আন্ডারগ্রাউন্ড স্টেশন। লন্ডনের পাতাল রেল এয়ারপোর্ট সহ লন্ডনের প্রতিটি এলাকায় জালের মতো ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। তবে চাইলে ট্যাক্সি/ক্যাবেরও ব্যবস্থা আছে।

আমাদের সমাজে একটি কথা প্রচলিত আছে কোন ছেলের জুতা পলিশ করা থাকলে, পরিপাটি হলে বোঝা যায় ছেলেটি গোছানো। এটি কতটুকু সত্য বা মিথ্যা জানি না। তবে মানুষের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, পোষাক-আশাক, আচার-ব্যবহারে অনেকটা অনুমান করা যায় লোকটি কেমন হতে পারে। পুরো ইউরোপটা সুন্দর ও গোছানো দেখে আমিও এমন অনুমান করেছি। অবশ্য পরবর্তী সময়ে অনুমানের সত্যতাও পেয়েছি।

ইউরোপিয়ানরা শত শত বছর পরিশ্রম করে আজকের এ অবস্থানে এসেছে। অনেক ত্যাগ, পরিশ্রম ও বিপ্লবের ফসল এখনকার উন্নত ও সমৃদ্ধ ইউরোপ। যদিও ইউরোপের অনেক দেশ যুগে যুগে উপনিবেশ স্থাপন করে অত্যাচার, জুলুম ও লুটপাট করেছিল পৃথিবীর অনেক দেশে। তারপরও অস্বীকারের কোন সুযোগ নেই ঔপনিবেশিক শাসনের সময়ে দেশগুলোর উন্নয়নেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে তারা। বিশ্বব্যাপী শিক্ষা, স্বাস্থ্য, গবেষণায়ও ইউরোপিয়দের অবদান অস্বীকারের কোন সুযোগ নেই। অবকাঠামো উন্নয়ন, যোগাযোগ ব্যবস্থা, ব্যবসা-বাণিজ্যের বিশ্বায়নেও তাদের অবদান ব্যাপক। আজকের যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড তার বড় উদাহরণ। এছাড়া দক্ষিণ আফ্রিকা, ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা ইত্যাদি দেশগুলোর উন্নয়নেও ইউরোপিয়ানরা অবদান রেখেছে। ইউরোপিয়ানরা ছিল মূলত ব্যবসায়ী। এজন্য প্রয়োজনে অন্য দেশগুলো শাসন করলেও নিজেদের দেশ ও জাতির উন্নয়নই ছিল তাদের আসল উদ্দেশ্য।


আমার এক বন্ধু যার বাড়ি বাংলাদেশের রাজশাহী অঞ্চলে। তার বউ বুলগেরিয়ান। লন্ডনে একসাথে কাজ করতে গিয়ে তাদের পরিচয়, ভাব বিনিময়। চূড়ান্ত পরিণতিতে বিয়ে। সে বউ নিয়ে বুলগেরিয়া থেকে ঘুরে আসলে জিজ্ঞেস করেছিলাম দেশটি দেখতে কেমন? উত্তরে বল্ল যেমন সুন্দর, তেমন নিরিবিলি ও পরিপাটি। সবচেয়ে ভাল লেগেছে দেশটি খুব নিট এন্ড ক্লিন অর্থাৎ খুব পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন। তাঁর কথা শুনে কিছুটা অবাক হলাম। কারণ পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলো থেকে পূর্ব ইউরোপের দেশগুলো অর্থনৈতিকভাবে এখনও অনেকটা পিছিয়ে। পূর্ব ইউরোপের অনেক দেশ ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের অন্তরভূক্ত হওয়ায় বিনা ভিসায় পশ্চিম ইউরোপের ধনী দেশগুলোতে অনায়াসে যেতে পারে। বুলগেরিয়া ই ইউ (EU) সদস্যভূক্ত দেশ হওয়ায় এ সুযোগে উপকৃত হয়েছে।

ইউরোপের শাসকরা আমাদের উপমহাদেশের শাসকদের মতো নিজেদের দেশের মালিক মনে করে না। তারা একজন দক্ষ ম্যানেজার হিসাবে নিজেদের পরিচালিত করে। তাদের চোখে দেশটা হলো একটি প্রতিষ্ঠান যার মালিক জনগন। এজন্য তারা দক্ষ হাতে দেশটা পরিচালনা করে যাতে জনগনের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জিত হয়। না পারলে বা ব্যর্থ হলে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সরে যায় বা যেতে হয়। কোন ব্যবসা/সেবা খাত যখন একক মালিকানায় চলে, যার মালিক ও পরিচালক একজন থাকেন সেটি কোন অবস্থাতে বৃহৎ লাভজনক কোম্পানি হতে পারেনা। কারণ এখানে নেই কোন জবাবদীহি ও দায়বদ্ধতা, মালিকের ইচ্ছাটাই আসল। মিথ্যা আবেগ, গলাবাজি আর দখলদারিত্বের মনোভাব দিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনা করা যায় না। রাষ্ট্র যন্ত্র চালাতে লাগে প্রতিভা, দক্ষতা এবং সুষ্ঠু পরিকল্পনা।

চার্লি চ্যাপলিনের মুভিগুলো প্রায় একশত বছর আগে রেকর্ড করা হলেও দেখা যায় লন্ডনের মাটির তৈরী সুবিশাল রাস্তা, প্রশস্ত ফুটপাত। এখনো লন্ডনের রাস্তার পাশের ফুটপাত বিশাল বড় বড়। কোন কোন জায়গায় রাস্তার চেয়ে ফুটপাত বড়। তারা আমাদের মতো নিজেদের পকেট ভারী করার জন্য পাঁচ বছর মেয়াদী কোন পরিকল্পনা করে না। এদের পরিকল্পনা থাকে কমপক্ষে শত বছরের। তারা যেমন মেধাবী তেমন দূরদর্শী। এসব দেশগুলোতে সবচেয়ে মেধাবীরা রাজনীতি করে। আর আমাদের দেশের সবচেয়ে মেধাবীরা সরাসরি রাজনীতি করা দূরে থাক, মান সম্মানের ভয়ে রাজনীতি নিয়ে কথা পর্যন্ত বলে না। সাহস করে পার্লামেন্ট ইলেকশনে নমিনিশন দিলেও বেশিরভাগ সময় এদের নমিনিশন বাজেয়াপ্ত হয়। যেমন দেশ, তেমন ভোটার!!

দক্ষ ব্যবস্থাপকের ছোয়ায় একটি ব্যবসা/সেবা খাত কত পরিবর্তন হয় তার বাস্তব উদাহরণ হলো বিটিভি ও দেশের শীর্ষ স্থানীয় প্রাইভেট টেলিভিশন চ্যানেলগুলো। দেশের সরকারী ব্যাংক ও প্রাইভেট ব্যাংকের ক্ষেত্রেও একই উদাহরণ দেওয়া যায়। দেশের সরকারি বিমান সংস্থা ও রেলের ক্ষেত্রেও একই পরিবর্তন দেখা যেত দক্ষ ব্যবস্থাপকের হাতে পড়লে। দেশের প্রচলিত গণতান্ত্রীক প্রক্রিয়ায় আমাদের মূদ্রার এপিট, ওপিট দেখা হয়ে গেছে। তাই আমরা টসের গণতন্ত্র চাই না। খারাপের মধ্যে অপেক্ষাকৃত কম খারাপ শাসকের আমাদের প্রয়োজন নেই। প্রয়োজন একজন দক্ষ ম্যানেজারের।।



ফটো ক্রেডিট,
গুগল।

উৎসর্গ: লেখাটি আমার অত্যন্ত প্রিয়ভাজন ব্যক্তিত্ব শ্রদ্ধেয় সনেট কবিকে উৎসর্গ করলাম।

মন্তব্য ৮৩ টি রেটিং +৯/-০

মন্তব্য (৮৩) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে মে, ২০১৮ রাত ১:৩৬

মাআইপা বলেছেন:
পাসপোর্ট ভিসা ছাড়াই আপনার সাথে বিমান ভ্রমন করলাম।
আহা দারুণ!!!!!!!!!!!

“প্রয়োজন একজন দক্ষ ম্যানেজারের।।”
কবে হাল ধরবে সেই ম্যানেজার ? আদৌ কি তার জন্ম হয়েছে ?
আশায় বুক বেধে আছি এখনও............

৩০ শে মে, ২০১৮ রাত ১:৪৫

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: “প্রয়োজন একজন দক্ষ ম্যানেজারের।।”
কবে হাল ধরবে সেই ম্যানেজার ? আদৌ কি তার জন্ম হয়েছে ?
আশায় বুক বেধে আছি এখনও...........

এদেশে অসংখ্য দক্ষ ম্যানেজার আছেন, যারা মাহাথির হতে পারতেন সুযোগ পেলে। রাজনৈতিক দলগুলো এদেরকে তাদের ত্রিসীমানায় ঢুকতে দেয় না। যদি কেউ সংসদ নির্বাচনে সাহস করে দাঁড়ান, তাহলে নির্ঘাত জামানত বাজেয়াপ্ত হয়। যেমন দেশ তেমন ভোটার!!

২| ৩০ শে মে, ২০১৮ রাত ১:৪৭

মাআইপা বলেছেন: সমস্যা তো ঐ জায়গাতেই

৩০ শে মে, ২০১৮ রাত ১:৫৩

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: মাঝে মাঝে ভাবি সংসদ নির্বাচনে ইলেকশন করবো, পরে মান সম্মানের ভয়ে পিছিয়ে যাই। এলাকায় যা সম্মান আছে তা ধূলোয় মিশিয়ে যাবে। কেউ বলবে পাগল, কেউ বলবে নাস্তিক, কেউ বলবে ছাগল। আর রাজনৈতিক দলগুলো দেবে দৌড়ানি, আর মামলা হামলা।

এখানে দুটি ধারার সিন্ডিকেট এতো শক্তিশালী যে, নতুন করে কোন নেতৃত্ব আসার কোন সুযোগ নেই। স্বার্থের ব্যাপারে দুই জোটই এক।

৩| ৩০ শে মে, ২০১৮ রাত ২:০১

মাআইপা বলেছেন:
দেশপ্রেমের দিকটা বিবেচনা করে যদি ইলেকশন করেন, আমি খুব খুশি হব।
এমন চিন্তশীল এবং যাঁরা স্বপ্ন দেখতে জানেন তাঁদের খুব প্রয়োজন।
পাশে আছি।

৩০ শে মে, ২০১৮ রাত ২:০৯

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: এই দুই জোটের বাইরে গিয়ে ইলেকশন করে লাভ হবে না। এদের হাজারো গুন্ডা, নেতা-কর্মী আছে যারা ইলেকশনে প্রচারে, ভোট কেন্দ্রে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করে। মানুষকে ভয় দেখায়। এছাড়া কালো টাকার বিশাল একটা প্রভাব আছে। এজন্য সুযোগ নেই।

৪| ৩০ শে মে, ২০১৮ রাত ২:১১

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: আর্মি থাকলে ম্যানেজারের মত কাজ করত! কিন্তু এই দুই সতীন মালিক মনে করে নিজেদের...
(অফ টপিক - প্লেন যত উপর দিয়ে যায় ওখান থেকেতো সকাল হলেও নীচের এত কিছু বোঝা যায় না। তার উপর মেঘ থাকলে আপনি এত দেশের দৃশ্য কীভাবে দেখলেন?)

৩০ শে মে, ২০১৮ রাত ২:২৬

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: আকাশ মেঘমুক্ত হলে আর দিনটি রোদ্রজ্জল হলে নীচটা স্পষ্ট দেখা যায়। বড় বড় রাস্তায় লরিগুলোর চলাচল স্পষ্টত দেখা যায়। তবে বাড়িঘরগুলো খুব ছোট লাগে, উঁচু পাহাড়গুলো উপর থেকে দেখতে খুব সুন্দর লাগে। (প্রথম ছবিটার মত)

৫| ৩০ শে মে, ২০১৮ রাত ২:৫১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আশাকরি ভাল আছেন কাওসার ভাই। আপনার আজকের পোষ্টটি আমি পড়ছি তিস্তা তোর্সা এক্সপ্রেসে বসে বসে। বাইরে এখন বেশ বৃষ্টি হচ্ছে। সামান্য ঝিমুনি এসেছিল, কিষানগজ্ঞ স্টেশনে ট্রেন ঢুকছে, হঠাৎ সহকর্মীর ডাকে উঠে সঙ্গে ব্যাগের হিসাব নিলাম। নেট খুলেই আপনার পোষ্ট।

দুবাই হয়ে ট্রেনটি থুরি বিমানটি লোহিত সাগরের উপরে যখন পড়লো, তখনও লেখক অপরুপ কুর্দিস্তানের শোভায় আচ্ছন্ন। মনে হাজরোপ্রশ্ন এত অপরুপ স্থানের আর একটি অংশে মূলত আফগানিস্তানে কীভাবে তালিবান সংস্কৃতি প্রবেশ করলো? ভাবতে ভাবতে পূর্ব ইউরোপের রুমানিয়ার প্রবেশ।ইউরোপে প্রবেশের সঙ্গ সঙ্গে ভূ- পৃষ্ঠের ছবিটা যেন সম্পূর্ণ বদলে গেল। কাঁচের জানালা দিয়ে নিচে সারিবদ্ধভাবে বড় বড় মালবাহী ট্রাক ও সুন্দর বসতি যেন আধুনিক ইউরোপকে জানান দিচ্ছিল।

এরপর বিমান প্রবেশ করলো, একেএকে হাঙ্গেরি, অস্ট্রিয়া, জার্মানি ও ফ্রান্স। আকাশ পথে সভ্য ইউরোপের সুদৃশ্য উপভোগ করতে করতে নিজের মধ্যে একদিকে শ্রদ্ধাবোধ ও অপরদিকে একটা কাল্পনিক হীনমন্যতা যে তৈরী হয়েছিল, তা অস্বীকার করা যাবে না। আর এই তাগিদ থেকেই আজকের পোষ্টের জন্ম। যাইহোক ভূমধ্য সাগর উপকুলের ছোট ছোট কৃষি ফার্ম ও চলমান সব্জির দোকান গুলির সঙ্গে সুন্দর আঙ্গুর বাগানগুলি হয়তো কোনও কারনে চোখে ধরা পড়েনি। অবশেষে ইংলিশ চ্যানেল সাঁতার কেটে থুরি বিমান পৌছে গেল আকাঙ্খিত হিথরো বিমান বন্দরে। জীবনের প্রথম ইউরোপে পদার্পণ। নিজের চোখকেই যেন বিশ্বাস হচ্ছিল না, এত সুন্দর চারপাশ!? এ যেন কোনও শিল্পীর হাতে আঁকা ছবি।

আমি এটুকুই আজ নিলাম। বড়জোর আপনার বন্ধুর বুলগেরীয় স্ত্রী ও সেদেশ ভ্রমনটি পড়লাম। পরের দেশের ম্যানেজারদের বিষয়টি নেবোনা। নৈব নৈব চ। হি হি হি.....

অনেক অনেক শুভ কামনা আপনাকে।

৩০ শে মে, ২০১৮ রাত ৩:০০

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: অনেক ভাল লাগা প্রিয় ভাই। আগে বলুন, এতো লম্বা ট্রেন ভ্রমণে কোথায় যাচ্ছেন!! সেই বিকাল থেকেই ট্রেনে আছেন!! বাংলাদেশে ১০-১২ ঘন্টার বেশি ট্রেন ভ্রমণের সুযোগ নেই। ভারতে শুনেছি ২-৩ দিন পর্যন্ত ট্রেন ভ্রমণ হয়। যাক, ভাইয়ের ট্রেন ভ্রমণটা যেন আরামদায়ক হয়।

"যাইহোক ভূমধ্য সাগর উপকুলের ছোট ছোট কৃষি ফার্ম ও চলমান সব্জির দোকান গুলির সঙ্গে সুন্দর আঙ্গুর বাগানগুলি হয়তো কোনও কারনে চোখে ধরা পড়েনি।".......

আসলে এতো উপর থেকে ঠার করা সম্ভব হয়নি। এজন্য বুঝতে পারিনি।

৬| ৩০ শে মে, ২০১৮ রাত ৩:২১

চাঁদগাজী বলেছেন:




এশিয়া, আফ্রিকা ও দ: আমেরিকার মানুষেরা নিষ্ঠুর; নিজ পরিবারের বাহিরের মাানুষকে এরা কিছু দিতে চাহে না।

৩০ শে মে, ২০১৮ ভোর ৪:০৭

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: খুব সুন্দর একটি কথা বলেছেন, স্যার। এগুলোর মূলে মূর্খতা, অসহনশীলতা, সমাজিক ও ধর্মীয় বিভেদ, অতি লোভী মনোভাব ও একা একা প্রতিষ্টিত হওয়ার প্রবণতা দায়ী। ইউরোপীয়দের শিল্প সাহিত্য চর্চার ইতিহাস হাজার বছরের। আর আমাদের ইতিহাস তো সেদিনের। মানুষের মানবিক বিকাশর জন্য যে শিক্ষার প্রয়োজন তা এশিয়া, আফ্রিকা ও দক্ষিণ আমেরিকায় তেমন প্রভাব পড়েনি, এখনো না। এজন্য এতো ঘাটতি আমাদের মধ্যে।

৭| ৩০ শে মে, ২০১৮ রাত ৩:৩৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভ সকাল ঠিক হয়নি, কাজেই শুভ ভোরই বরং বলি। ট্রেন আর একটু সময়ের মধ্যে এন জি পিতে পৌছাবে। আসলে এই ট্রেনটি প্রাশ তেরো ঘন্টা সময় নেয়। আমাদের এবারের গন্তব্যস্থান দার্জিলিং এর লেপচা জগৎ, শ্রীখোলা কার্শিয়ং প্রভৃতি। পরে কথা হবে।

৩০ শে মে, ২০১৮ রাত ৩:৫৮

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: শুভ ভোর ভাই। দিনটি ভাল কাটুক এই কামনায়।

৮| ৩০ শে মে, ২০১৮ রাত ৩:৪০

খনাই বলেছেন: দেশ পরিচালনা, সামাজিক উন্নয়ন এসব নিয়ে আপনার ভাবনা খুব পরিষ্কার না বলেই মনে হলো | দেশ পরিচালনার জন্য দরকার সুশাসক |ভালো ম্যানেজার না |

একজন ভালো ম্যানেজার কস্ট বেনিফিট এনালাইসিস করে তার কাজ করবে | যেটা বেনিফিট দেবেনা সেই কাজ একজন ম্যানেজার কখনো করবে না | একটা কোম্পানির বেনিফিট করার কারণে আরেকটা কোম্পানি যদি মার্কেট থেকে চলে যেতে বাধ্যও হয় ম্যানেজারের জন্য সেটা কোন সমস্যা না | কস্ট বেনিফিট এনালাইসিস দিয়ে সাফল্যের সাথে একটা অর্গানাইজেশন চালানো গেলেও একটা দেশ চালানো হবে সুইসাইডাল |

একটা দেশে নানান অর্থনৈতিক সামর্থ্যের জাতি গোষ্ঠী থাকবে (পিছিয়ে পড়া আদিবাসী থাকবে) তাদের সাথে কস্ট বেনিফিট এনালাইসিস দিয়ে প্রোগ্রাম তৈরি করলে হবে না |তাদের জন্য ভর্তুকি দিতে হবে | যেটা একজন ম্যানেজার করবে না কখনো | একজন শাসকের শুধু rational হলেই হবে না, সোশ্যাল জাস্টিস নিয়েও ভাবতে হবে | সোশ্যাল জাস্টিস ম্যানেজারিয়াল বিষয় নয় | ওটা সামগ্রিক সামাজিক ইস্যু একটা | একজন সুশাসকই শুধু সেটা নিশ্চিত করতে পারবেন |একজন ভালো ম্যানেজার না |
আমেরিকার দিকে দেখুন |প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প একজন সফল ম্যানেজার | বিলিয়ন ডলার কোম্পানি গড়ে তুলেছেন তার বাবার মাঝারি কোম্পানিকে | ছলে বলে কৌশলে (ট্যাক্স ফাঁকি দিয়েছেন, যেখানে ঘুষ দেওয়া দরকার দিয়েছেন, করাপ্ট শাসক, বিজনেসম্যানদের সাথে যোগাযোগ রেখেছেন) তার নিজ বিজনেস সাকসেসকে নিশ্চিত করেছেন | সাকসেসফুল ম্যানেজার নিঃসন্দেহে ! কিন্তু তাকিয়ে দেখুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার প্রথম একবছর!২৯ মিলিয়ন মানুষ হেলথ ইন্স্যুরেন্স হারাবে তার কস্ট কাটিং স্ট্রাটেজির জন্য ! সাময়িক লাভের জন্য আন্তর্জাতিক পরিবেশ চুক্তি থেকে তার জন্য বেরিয়ে গেছে আমেরিকা| সাকসেসফুল ম্যানেজার ! কুশাসক |

আর ইউরোপের বড় আর পরিকল্পিত রাস্তাঘাটের কথা যেটা বললেন সেটার মত রাস্তাঘাটতো আরব ওয়ার্ল্ডেও আছে ! সেখানেতো রাজতন্ত্র ! ইউরোপের বড় রাস্তা ঘাট ম্যানেজেরিয়াল এপ্রোচের জন্য হয়নি ওটা হয়েছে ক্যাপিটালিজমের প্রসারের জন্য | মিলিয়ন মিলিয়ন গাড়ি চলে এদের রাস্তাঘাটে প্রতিদিন | ওই রাস্তা না থাকলেতো ব্যবসাই হবে না |তাই ওটা দরকার | পৃথিবী ইতিহাস পরে দেখুন সবচেয়ে স্বৈরাচারী শাসক আর রাকরাজরার সময়ই সবচেয়ে ভালো ইনফ্রাস্ট্রাকচার তৈরি হয়েছে ! কাৰণ তাদের শাসন শোষণের জন্য, সেনাবাহিনীর দ্রুত অভিযানের জন্য ওই সব রাস্তাঘাট দরকার হতো | উদ্দেশ্য হিসেবে ওগুলোর মধ্যে খুব বেশি মহত্ব ছিল তা কিন্তু না | আধুনিক সময়ে এই রাস্তাঘাট বানাবার মধ্যেও উদ্দেশ্য সেই একই | কিছু নির্দিষ্ট শ্রেণীর প্রফিট ! এই প্রফিট সমান ভাবে সমাজে বন্টন কোনো দেশই হচ্ছে না কিন্তু |

একজন ভালো ম্যানেজারতো দেশপ্রেম ভাবে না |সে ভাববে প্রফিট | দেখুন পৃথিবীর সেরা প্রায় সব কোম্পানিগুলোই অফশোর মানি ট্রান্সফারিংয়ের সাথে যুক্ত নীতি মেনেই ! কিন্তু এই কাজে তাদের লক্ষ্যটা কি ? নিজের দেশের জন্গণকে বেশি ট্যাক্স দেওয়া থেকে রেহাই পাওয়া | যেসব দেশে তারা ডিপোজিট রাখে সেখানে খুব কম ট্যাক্সে কাজগুলো করতে পারে | এর ভেতর সাকসেসফুল বিজনেস স্ট্রাটেজি থাকলেও দেশপ্রেম বলে কোনো ব্যাপার নেই কিন্তু !

ইউরোপের শাসকদের নিয়ে যা বললেন তার সবই কিন্তু ক্যাপিটালিজমের কারসাজি | তারা মানবিক তাদের দেশেই | এশিয়া আফ্রিকা আর ল্যাটিন আমেরিকার স্বল্পোন্নত দেশগুলোর ক্ষেত্রে তাদের ভূমিকা দেখুন ? দেখুন বিনা কারণে কিভাবে তারা সবাই একযোগে মিডিল ইস্টে যুদ্ধ করছে যুগ ধরে শুধু মাত্র তাদের স্বার্থ রক্ষা করতে ! তাই তাদের শুধুই প্রশংসা করা হবে একচোখা আর সুক্ষ দৃষ্টির অভাব | নতুন লিখছেন, লিখুন | কিন্তু এই লেখাগুলো পোস্ট করার আগে একটু পড়াশোনা করুন | সামগ্রিক বিশ্বের প্রেক্ষাপরে বিষয়গুলোকে দেখার চেষ্টা করুন তারপ আসবে লেখা ডেলিভারির প্রশ্ন |ভালো লেখা !

৩০ শে মে, ২০১৮ রাত ৩:৫৬

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: চমৎকার কিছু কথা বলেছেন আপনি এগুলোর সাথে আমার তেমন দ্বিমত নেই।

তবে, রাষ্ট্রের ক্ষেত্রে একজন সুশাসক একজন দক্ষ ম্যানেজার। কারণ, একজন ম্যানেজার যেমন নিজের কোম্পানির স্বার্থে অন্য কোম্পানীদের সাথে টেক্কা দিয়ে দক্ষ হাতে নিজের কোম্পানিকে সেরা হিসাবে প্রতিষ্ঠা করেন; ঠিক তেমনি একজন দক্ষ শাসকও দেশকে এগিয়ে নিয়ে যান অন্য দেশগুলোকে প্রতিযোগিতায় হারিয়ে। আপনি ইউরোপের শিল্প বিপ্লবের ইতিহাস, তাদের উপনিবেশিক শাসনের ইতিহাস পড়লে দেখবেন তারা দেশকে শাসন করেছে দক্ষ ম্যানেজার হিসাবে, শাসক হিসাবে নয়। এরা এশিয়া, আফ্রিকা, দক্ষিণ আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়া থেকে অনেকটা লুটপাট করে সম্পদগুলো এনে তাদের দেশকে গড়ে তুলেছে। এজন্য এরা আগে ম্যানেজার/ব্যবসায়ী, পরে শাসক।

আরব দেশের রাস্তার যে প্রসঙ্গটি এনেছেন তার সাথে আমিও একমত। আমি ইউরোপের রাস্তাগুলোকে তাদের সুশৃঙ্খল রাষ্ট্রীয়, সামাজিক ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থার প্রতিকী অর্থে বুঝিয়েছি।

আবারো ধন্যবাদ আপনাকে চমৎকার কমেন্টের জন্য।

৯| ৩০ শে মে, ২০১৮ ভোর ৪:০৬

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমাদের আসলে অনেক কিছুরই প্রয়োজন। স্বাধীনতার ৪৭ বছর পরও আমরা অল্প কিছু বিষয় নিয়ে বিতর্ক করে, আর নিজেদের মধ্যে মারামারি করেই সময় নষ্ট করছি। অন্যদিকে বিশ্বের অন্য দেশগুলো এগিয়ে যাচ্ছে তাদের মতো করে! অপার সম্ভাবনার দেশ, বাংলাদেশ সেই তুলনায় কতোটুকু এগোতে পারছে?

৩০ শে মে, ২০১৮ ভোর ৪:১৩

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: একটি দেশের উন্নতি ও অগ্রগতির জন্য প্রয়োজন জাতীয় স্বার্থে এক হওয়া। প্রয়োজন দক্ষ দুর্নীতিমুক্ত একজন শাসক ও প্রশাসন। আমাদের এগুলোর কোনটিই নেই। এখানে রাজনীতির নামে চলে সন্ত্রাস, লুটপাঠ আর মানুষে মানুষে বিভেদ ও ঘৃণা ছড়ানোর রাজনীতি।

আর ধর্মীয় গোষ্ঠীগগুলো তো জাতিকে বিভক্ত করছে সুপরিকল্পিত ভাবে। আসলে এগুলো দেখে আশার আলো চোখে পড়ে না।

১০| ৩০ শে মে, ২০১৮ ভোর ৬:১৬

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন |
বাংলাদেশের রাজনীতি এবং আমলাতন্ত্র এখনো মধ্যযুগে পড়ে আছে, তাই দেশের পতাকাবাহী বিমান, শিপিং কর্পোরেশন থেকে শুরু করে সর্বত্র চরম অব্যবস্থার ছড়াছড়ি |

এখনো জেলাগুলো পরিচালিত হয় মান্দাতার আমলের 'জেলা প্রশাসক' কনসেপ্টে | জনগণের এখন আর প্রশাসক প্রয়োজন নেই, প্রয়োজন ম্যানেজারের | একটি বিশেষ ক্যাডারের কর্মকর্তাদের দিয়ে জেলা, উপজেলা শাসন (এবং শোষণ) করার মতো চরম ইনেফিসিয়েন্ট ব্যবস্থা ধীরে ধীরে বিলোপ করা প্রয়োজন |

দেশের সরকারি এবং বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে সবচাইতে দক্ষ এবং যোগ্যতম কর্মকর্তাদের এনে সকল সরকারি এবং স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানসমূহ ব্যবস্থাপনা করার দায়িত্ব প্রদান করার সাহসী সিদ্ধান্ত জনপ্রতিনিধিরাই নিতে পারে |

৩০ শে মে, ২০১৮ সকাল ১১:১৬

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: বাহ!! চমৎকার কিছু বলেছেন ভাই। সম্পূর্ণ একমত আপনার সাথে।

"বাংলাদেশের রাজনীতি এবং আমলাতন্ত্র এখনো মধ্যযুগে পড়ে আছে, তাই দেশের পতাকাবাহী বিমান, শিপিং কর্পোরেশন থেকে শুরু করে সর্বত্র চরম অব্যবস্থার ছড়াছড়ি |

এখনো জেলাগুলো পরিচালিত হয় মান্দাতার আমলের 'জেলা প্রশাসক' কনসেপ্টে | জনগণের এখন আর প্রশাসক প্রয়োজন নেই, প্রয়োজন ম্যানেজারের | একটি বিশেষ ক্যাডারের কর্মকর্তাদের দিয়ে জেলা, উপজেলা শাসন (এবং শোষণ) করার মতো চরম ইনেফিসিয়েন্ট ব্যবস্থা ধীরে ধীরে বিলোপ করা প্রয়োজন।".............

১১| ৩০ শে মে, ২০১৮ সকাল ৭:০৯

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: অনলাইন চেক ইন কর‌লে কিন্তু ই‌চ্ছে ম‌তো সিট পছন্দ করা যায়। তখন আর সিট নি‌য়ে আ‌ক্ষেপ থা‌কে না। হিথ‌রোর নাম শু‌নে‌ছি। কখ‌নো দেখার সু‌যোগ পেলাম না। আফ‌সোস!

৩০ শে মে, ২০১৮ সকাল ১১:১৭

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: "হিথ‌রোর নাম শু‌নে‌ছি। কখ‌নো দেখার সু‌যোগ পেলাম না। আফ‌সোস!"...........

এতো আফসুস করার প্রয়োজন নেই, একদিন আপনিও লন্ডনে ভিজিট করবেন।

১২| ৩০ শে মে, ২০১৮ সকাল ৭:১৪

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: ঢাকা বিমান বন্দ‌রের ম্যা‌নেজ‌মেন্ট ক‌রে শ্র‌মিক লী‌গের নেতারা। উন্নত ম্যা‌নেজ‌মেন্ট পে‌তে চাই‌লে কোন বি‌দেশী কোম্পানীর কা‌ছে ইজারা দি‌তে হ‌বে। এ‌তে বন্দ‌রের ট্যাক্স কম হ‌বে। ভাড়াও ক‌মে যা‌বে অ‌নেক। আমরা কেন সেটা চাই না?

৩০ শে মে, ২০১৮ সকাল ১১:১৮

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: এই নেতা-খাতা দিয়ে দেশ চলবে না, দেশ চালাতে মেধাবীদের দায়িত্ব নিতে হবে।

১৩| ৩০ শে মে, ২০১৮ সকাল ১০:১৭

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: এমন লেখা পড়লে মন খারাপ হয়ে যায়! সব দেশ কত উন্নত আর আমাদের দেশ স্বাধীন হল ৪৭ বছর তবুও তেমন চোঁখে পড়ার মত কোন উন্নতি হলনা।
উন্নতি সব নেতাদের মূখের বুলিতে।এদেশে নেতাদের যদিন খাই খাই স্বভাব না যাবে ততদিন এদেশে ভাল কিছু আশা করা যাবে না।

৩০ শে মে, ২০১৮ সকাল ১১:১৩

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: "এমন লেখা পড়লে মন খারাপ হয়ে যায়! সব দেশ কত উন্নত আর আমাদের দেশ স্বাধীন হল ৪৭ বছর তবুও তেমন চোঁখে পড়ার মত কোন উন্নতি হলনা।".................

সুহেল ভাই, সত্যি অনেক কষ্ট লাগে। উন্নত দেশগুলো অনেক পরিশ্রম ও মেধা দিয়ে দেশকে গড়ে তুলেছে। আর আমরা ক্ষমতার ছোয়া পেলেই পকেট ভারী করি, বিদেশে অর্থ পাচার করি। আমরা দূর্ভাগা জাতি।

১৪| ৩০ শে মে, ২০১৮ সকাল ১০:২৬

রাজীব নুর বলেছেন: ্পোষ্ট টি দুইবার মন দিয়ে পড়লাম।
এরকম পোষ্ট আমার খুব পছন্দ। লিখেছেনও খুব সুন্দর করে।
কিছুদিন আগে আমি হেলিকাপ্টারে করে একটা গ্রাম থেকে ঢাকা আসি। উপর থেকে গ্রাম গুলো কি যে সুন্দর লাগছিল। নদী, ধানক্ষেত, পুকুর, গাছপালা, ঘরবাড়ি। খুব মুগ্ধ হয়ে দেখছিলাম।
যখন গ্রাম থেকে পদ্মা নদী পার হয়ে ঢাকা প্রবেশ করলাম। তখন মাথা ঘুরে গেল। এত নোংরা লাগছিল।

৩০ শে মে, ২০১৮ সকাল ১১:১০

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: শুভ সকাল, রাজীব ভাই।

"কিছুদিন আগে আমি হেলিকাপ্টারে করে একটা গ্রাম থেকে ঢাকা আসি। উপর থেকে গ্রাম গুলো কি যে সুন্দর লাগছিল। নদী, ধানক্ষেত, পুকুর, গাছপালা, ঘরবাড়ি। খুব মুগ্ধ হয়ে দেখছিলাম। যখন গ্রাম থেকে পদ্মা নদী পার হয়ে ঢাকা প্রবেশ করলাম। তখন মাথা ঘুরে গেল। এত নোংরা লাগছিল।"................

একদম ঠিক কথা।

১৫| ৩০ শে মে, ২০১৮ সকাল ১০:২৯

রাজীব নুর বলেছেন: আপনি চার্লি চ্যাপলিনের কথা বলেছেন।
আমি যখনই মন খারাপ হয়, আমি চার্লি চ্যাপলিন দেখি। চ্যাপলিনের মুভি গুলো আমাকে বিপুল শান্তি দেয়। হতাশা কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করে।

৩০ শে মে, ২০১৮ সকাল ১১:০৭

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: রাজীব ভাই, আমিও প্রায় সময় চার্লি চ্যাপলিনের মুভিগুলো দেখি। তাঁর অভিনয় সত্যি ভাল লাগার মতো, অসাধারন।

১৬| ৩০ শে মে, ২০১৮ সকাল ১০:৪০

টারজান০০০০৭ বলেছেন: পশ্চিমাদের ব্যাপারে আমি আব্দুল্লাহ সাঈদ স্যারের বচনই বলিব। তিনি বলিয়াছিলেন, যখন সমাজে ডাকাতের সংখ্যা বাড়িয়া যাইবে তখন ডাকাতরা নিজেরাই শান্তি শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করিবে যেন ডাকাতের উপর বাটপারি না হইয়া সকলের ইয়ে মারা না যায় !

পশ্চিমারা ডাকাতি শেষ করিয়া এখন এমন সাধু সাজিয়াছে যে আমাদের চোখ ধাঁধিয়া যাইতাছে আর আফসোস হইতাছে যে আমরা কেন উহাদের মতন হইতে পারিতেছি না !!!! আমরা পারিতেছি না কারণ আমরা ডাকাতি করিতে পারি নাই , আমাদের সম্পদ তাহারা ডাকাতি করিয়া পরের ধোনে পোঁদদারি করিতেছে !

একারণেই দেখিবেন গুলশান , বারিধারা, বনানী , ধানমন্ডিতে এখন সাধুতে ভরা, তাহারা (সকলেই নহে !) ডাকাতি শেষে এখন সাধু সাজিয়া সারা দেশরে সবক দিতে থাকে, আমরা গুণমুগ্ধ হইয়া শুনি, আহা, আমরাও যদি ওই এলাকার বাসিন্দাদের মতন সাধু হইতে পারিতাম !!!!!!

তবে আমরা যদি কোনকালে পশ্চিমাদের উপর ডাকাতি করিতে পারি তাহা হইলে একসময় সকলেই ডাকাত হইয়া অবশেষে সাধু হইয়া উহাদের শান্তির নসিহত করিব !!

৩০ শে মে, ২০১৮ সকাল ১০:৫৯

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: "একারণেই দেখিবেন গুলশান , বারিধারা, বনানী , ধানমন্ডিতে এখন সাধুতে ভরা, তাহারা (সকলেই নহে !) ডাকাতি শেষে এখন সাধু সাজিয়া সারা দেশরে সবক দিতে থাকে, আমরা গুণমুগ্ধ হইয়া শুনি, আহা, আমরাও যদি ওই এলাকার বাসিন্দাদের মতন সাধু হইতে পারিতাম !!!!!!"................. টারজান ভাই চমৎকার কিছু কথা বলেছেন।

তবে ডাকাতি না করেও পৃথিবীর অনেক দেশ নিজেদের পরিবর্তন করেছে দক্ষ ব্যবস্থাপপনা দিয়ে। তারা কোনদিন লোটপাট করেনি, কোন কোন দেশ দীর্ঘদিন উপনিবেশিক শাসনের অধীনে থেকেও উন্নত হয়েছে। জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, হংকং, তাইওয়ান, চায়না, অস্ট্রিয়া, সুইজারল্যান্ড, লুক্সেমবার্গ, ডেনমার্ক, সুইডেন, নরওয়ে, আইসল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, চিলি ইত্যাদি।

গুলশান, বনানী, ধানমন্ডি, বারিধারার ভদ্রলোকদের বিষয়ে যা বলেছেন তার সাথে আমিও একমত।

১৭| ৩০ শে মে, ২০১৮ সকাল ১০:৪১

কথার ফুলঝুরি! বলেছেন: শুভ সকাল ভাইয়া। বাংলাদেশ থেকে লন্ডন পর্যন্ত আপনার বিমান যাত্রার অভিজ্ঞতা এবং বাকি কথাগুলো পড়ে ভালো লাগল।
আর শিরোনাম টায় একদম খাটি একটা কথা বলেছেন, কিন্তু এটা যে বাংলাদেশ ভাইয়া, আমরা দক্ষ ম্যানেজার হয়ে চারপাশ উন্নত করে বদলে দেওয়ার চাইতে শাসক হয়ে মানুষকে শাসন করতে, নিজের কর্তৃত্ব খাটাতে বেশী পছন্দ করি।

৩০ শে মে, ২০১৮ সকাল ১১:০৪

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: শুভ সকাল আপু। আপনি ঠিকই বলেছেন।
"আমরা দক্ষ ম্যানেজার হয়ে চারপাশ উন্নত করে বদলে দেওয়ার চাইতে শাসক হয়ে মানুষকে শাসন করতে, নিজের কর্তৃত্ব খাটাতে বেশী পছন্দ করি।"............... এটাই আসল কথা। নিজে অদক্ষ হলে দক্ষ ব্যবস্থাপনা কায়েম করা সম্ভব নয়।

১৮| ৩০ শে মে, ২০১৮ সকাল ১০:৫৭

বিজন রয় বলেছেন: শুধু শিরোণাম নিয়েই কথা বলি......

দক্ষতা অর্জন করতে এদেশে অনেক সময় লাগবে।

৩০ শে মে, ২০১৮ সকাল ১১:০১

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: আমাদের এখানে সরকার চলে চাটুকারদের ব্যবস্থাপনা ও পরামর্শে। যার জন্য এত অদক্ষ শাসক পাই আমরা।

১৯| ৩০ শে মে, ২০১৮ সকাল ১১:০২

বিজন রয় বলেছেন: সরকারের দোষ দেওয়ার আগে আমাদের মানুষদের উচিৎ আয়নায় নিজের মুখ দেখা।
আমরা মানুষরা অনেক বেশি খারাপ।

৩০ শে মে, ২০১৮ সকাল ১১:০৫

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: আসলে আমরাই তো ভোট দিয়ে শাসক বানাই। এজন্য আমাদেও দায়ভার আছে এতে।

২০| ৩০ শে মে, ২০১৮ সকাল ১১:২৬

টারজান০০০০৭ বলেছেন: জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, হংকং, তাইওয়ান, চায়না, অস্ট্রিয়া, সুইজারল্যান্ড, লুক্সেমবার্গ, ডেনমার্ক, সুইডেন, নরওয়ে, আইসল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, চিলি

কিছু কিছু রাষ্ট্র আছে সত্যি, তবে আপনার উল্লেখিত রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে ঔপনিবেশিক শক্তি আছে, কতকগুলো দেশতো ডাকাতরাই গড়িয়া তুলিয়াছে, কিছু কিছু দেশ চোর /ডাকাতদের অর্থ কাজে লাগাইয়া ধোনি হইয়াছে !

শাসক আর ম্যানেজারের বড় পার্থক্য আছে ! সুশাসক কল্যাণকামী হন , ম্যানেজার সবকিছু ম্যানেজ করিয়া শুধু লাভই দেখেন, কল্যাণকামী নহেন ! একারণেই আমাদের আমলারা ভালো ম্যানেজার, সবাইরে ম্যানাজ করিয়া ফেলেন, কাহারো কল্যাণ হউক বা না হউক , নিজের কল্যাণ হইলেই হইল !

আমাদের ম্যানেজার দরকার নাই , আমাদের সুশাসক দরকার !

আর আপনি যুক্তরাষ্ট্রের কথা বলিলেন !! উহার চেয়ে বড় ডাকাইত আর কেহ আছে নাকি ? সারাবিশ্বে এমন সিস্টেম করিয়া রাখিয়াছে যে ডাকাইতের উপর বাটপারি করিতেছে ! তবে যোগ্য বাটপার বটে !

৩০ শে মে, ২০১৮ সকাল ১১:৪৭

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: আসলে তাদেরকে দোষ দিয়ে লাভ নেই। তারা নিজেদের দেশের স্বার্থে এগুলো করছে। তারা একসাথে দক্ষ ম্যানেজার ও দক্ষ শাসক।

এরা চোরদের আশ্রয়দাতা, আবার চুরি করা টাকায় ব্যবসায়ীও। আমরা না পারি বিদেশীদের পকেট কেটে আনতে, না পারি নিজেরা কিছু করতে।

২১| ৩০ শে মে, ২০১৮ সকাল ১১:৩১

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আপনার অভিজ্ঞতা পড়ে খুব ভালো লাগলো।

দক্ষ ম্যানেজার কোথায় পাবেন ভাই? শুনেছি, আমাদের ধর্মে নাকি এমন কথা আছে যে, যে জাতি যেমন, সেই জাতির রাজা বাদশারাও নাকি তেমনই আসে। এ দেশের মানুষ ঈদের মতো আনন্দ করতে করতে চোর বাটপারদেরকে ভোট দিয়ে আসে। নিজেরাও ঘুষ খায়, ওজনে কম দেয়, রাসায়নিক দিয়ে ফল পাকিয়ে মানুষ মারে, মাদক দিয়ে পুরো জাতিকে নিস্তেজ বানিয়ে দেয়, কাজে ফাঁকি দেয় আর আড়ম্বরপূর্ণ কথাবার্তা বলে।

দক্ষ ম্যানেজার কোথায় পাবেন ভাই?

৩০ শে মে, ২০১৮ সকাল ১১:৫১

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: স্যার, চমৎকার বলেছেন।

"শুনেছি, আমাদের ধর্মে নাকি এমন কথা আছে যে, যে জাতি যেমন, সেই জাতির রাজা বাদশারাও নাকি তেমনই আসে। এ দেশের মানুষ ঈদের মতো আনন্দ করতে করতে চোর বাটপারদেরকে ভোট দিয়ে আসে।"................

পৃথিবী বিখ্যাত দার্শনিক প্লেটো বলেছিলেন; রাষ্ট্রে বিদ্বান, পন্ডিত আর যোগ্য লোকের সংখ্যার চেয়ে বিপরীত অংশটা অনেক বেশি বলে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় তাদের প্রতিনিধিত্বটাও করে এই মার্কা মারা ভিআইপিরা। এটাই গণতন্ত্র। অন্ততঃ বাংলাদেশের জন্য তা শতভাগ প্রযোজ্য।।

২২| ৩০ শে মে, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৯

শামচুল হক বলেছেন: দক্ষ ম্যানেজার মনে হয় বাঙালির পেটে জন্ম নিবে না, এখন এই পদের জন্য লোকজন সুন্দর বনে বাঙালিবিহীন এলাকায় চাষ করতে হবে, যেখানে ঘুষ দুর্নীতির বালাই নাই।

৩০ শে মে, ২০১৮ দুপুর ১:০৪

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: শামচুল ভাই, ঠিকই বলেছেন। আমার মনে হয় দেশটা উন্নত কোন দেশকে আবার দুইশত বছরের জন্য লীজ দেওয়া উচিৎ।

২৩| ৩০ শে মে, ২০১৮ দুপুর ২:০১

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: আজকে বেশি কথা বলবো না, সিনিয়াররা সবাই ভালো বলেছেন। আমি ভাবছি অন্য কথা, ব্রিটিশ শাসনের সময় কম করে দুটি প্রজন্ম পরাধীনতা দেখে জন্মেছে, আবার পরাধীন হয়ে মারা গেছে। এই ভীরুতা আমাদের মাঝে সংক্রমিত হয়নি তো !? ভাবছি কিছু লিখবো...

৩০ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৩:০৩

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: আমি ভাবছি অন্য কথা, ব্রিটিশ শাসনের সময় কম করে দুটি প্রজন্ম পরাধীনতা দেখে জন্মেছে, আবার পরাধীন হয়ে মারা গেছে। এই ভীরুতা আমাদের মাঝে সংক্রমিত হয়নি তো।".............. চমৎকার কমেন্ট ভাই, প্রান্ত।

এই বিষয়টি আমাকেও মাঝে মাঝে ভাবায়। বিষয়টি নিয়ে তুমি চাইলে লেখতে পার।

২৪| ৩০ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৮

ইব্‌রাহীম আই কে বলেছেন: ভ্রমণ করার অনেক শখ। কোন টাকা পয়সা ব্যয় ছাড়াই এতো বিশাল একটা জার্নি এতো কম সময়ে করানোর জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

৩০ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৫:০৫

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: খুশি হলাম, ইবরাহিম ভাই। মন খারাপের কিছু নেই। একদিন ঠিকই টাকা পয়সা হবে বিমানে ঘোরে বেড়াবেন বিভিন্ন দেশে। মন খারাপের কিছু নেই।

২৫| ৩০ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:১০

ভোরের সূর্য বলেছেন: একটা জেলখানায় বিভিন্ন দেশের বন্দী রয়েছে।সব দেশের বন্দীদের আলাদা আলাদা কক্ষে বন্দী করে রাখা হয়েছে।কিন্ত বাংলাদেশের বন্দীরা ফ্রী ঘুরে বেড়াচ্ছে। তো সেই জেলখানা ভিজিটে এসে জেলারকে এক ভদ্রলোক জিজ্ঞাসা করলেন সবাই আলাদা আলদা কক্ষে বন্দী কিন্তু বাংলাদেশীরা ছাড়া কেন? জেলার বল্লেন যে ওরা দেয়াল টপকে পালাতে পারবেনা কারন কেউ যদি পালাতে চায় তাহলে আরো দশ জন বাংলাদেশী বন্দী তাকে নামিয়ে আনবে,যেতে দিবেনা।

আমরা কেউ কারো ভাল চাই না।স্যাটেলাইট নিয়ে কথা হচ্ছিল এর মধ্যে একজন উদাহরণ দিলেন বিএনপি তো দেশের তথ্য পাচার হবার ভয়ে সাবমেরিন ক্যবল বিনা পয়সায় নেয়নি যেটা ভুল সিদ্ধান্ত ছিল।কথা শুনে মনে হয় দেশে বিএনপি বা আওয়ামীলীগ বাদে আর কোন ধ্যান ধারণার মানুষ নাই।বিএনপি একটা ভুল করেছে কিন্ত সেটার কথা বলে আমরা আরেকটা ভুল কে আড়াল করি।দলীয় সংকীর্ণতার বাইরে যেতে পারিনা।

কতদিন আমরা আর রাজাকার,মুক্তিযোদ্ধা,ইতিহাস বিকৃতি,মুক্তিযুদ্ধের ঘোষক এই নিয়ে মারামারি করে খাব।অথচ মুক্তি ৪৬বছর পরেও আমরা সেগুলো নিয়েই আছি। কালকে এক খবরে দেখলাম একজন মুক্তিযোদ্ধা উঁচু মহলে ধরনা দিয়েও চিকিৎসা করাতে পারছে না,অথচ ৩ হাজার কোটি টাকার অকাজের স্যাটেলাইট আর ১৫০০কোটি টাকা দিয়ে ১৫বছরের পুরাতন চাইনিজ সাবমেরিন কিনে আমরা নাকি এলিট!!!!! আর এদিকে আমাদের আসল(প্রায় দিনই নাকি নতুন নতুন মুক্তিযোদ্ধার লিস্ট বাড়ছে তাই আসল শব্দটা ব্যবহার করলাম) মুক্তিযোদ্ধারা চিকিৎসার অভাবে মড়ছে।আমরা কত নীচে নেমে গেছি।
দক্ষ ম্যানেজার!!!! আরে শরষেতেই যে ভুত!!!!!!

৩০ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৬

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: খুব দামী কিছু কথা বলেছেন ভাই।

"কতদিন আমরা আর রাজাকার,মুক্তিযোদ্ধা,ইতিহাস বিকৃতি,মুক্তিযুদ্ধের ঘোষক এই নিয়ে মারামারি করে খাব।অথচ মুক্তি ৪৬বছর পরেও আমরা সেগুলো নিয়েই আছি। কালকে এক খবরে দেখলাম একজন মুক্তিযোদ্ধা উঁচু মহলে ধরনা দিয়েও চিকিৎসা করাতে পারছে না।"

আপনাকে স্যালুট। আপনি ঠিকই বলেছেন।

২৬| ৩০ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৭

কামরুল ইসলাম রুবেল বলেছেন: আপনার চোখের বা চশমার পাওয়ার কিন্তু বেশ!

৩০ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৭

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: হা হা হা..........
রুবেল ভাই হাসালেন।

২৭| ৩০ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৯

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: শাসক নয়, আমাদের প্রয়োজন দক্ষ ম্যানেজারের - বিস্তারিত পড়ে বোঝে বলছি বুঝলাম আপনার উদ্যেশ্য - এখন কথা হচ্ছে দক্ষ ম্যানেজার পাবেন কোথায় ? নাই তো - বলছি এক কথা্য় নাই - নাই তো নাই, গুরু বোঝেন বাংলা কথা ?

শুকুনি মামা, কংকস মামা, বিভীষণ, মীর জাফর, মীর মদন, রাজাকার, আলবদর, আল শামস এই দেশের-এই উপ মহাদেশের সন্তান তাদের রক্ত এই দেশের মানুষের শরীরে বহমান । কি বুঝলেন গুরু ??

৩০ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১১

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: "শুকুনি মামা, কংকস মামা, বিভীষণ, মীর জাফর, মীর মদন, রাজাকার, আলবদর, আল শামস এই দেশের-এই উপ মহাদেশের সন্তান তাদের রক্ত এই দেশের মানুষের শরীরে বহমান । কি বুঝলেন গুরু ??"...........

হা হা হা..... ;) :( আমিও আপনার সাথে একমত। কিন্তু কিছু একটা তো করতে হবে :( যেভাবেই হোক। আমি/আপনাকে চান্স দিলে তো খারাপ হতো না!!! :( :( :(

২৮| ৩০ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২১

চাঁদগাজী বলেছেন:


ব্লগার ভোরের সূর্য মন্তব্যে বলেছেন, একজন মুক্তিযোদ্ধা উঁচু মহলে ধরনা দিয়েও চিকিৎসা করাতে পারছে না,অথচ ৩ হাজার কোটি টাকার অকাজের স্যাটেলাইট আর ১৫০০কোটি টাকা দিয়ে ১৫বছরের পুরাতন চাইনিজ সাবমেরিন কিনে আমরা নাকি লিট!!".........

-আপনি উনার মন্তব্যে স্যালুট জানায়েছেন! স্যাটেলাইট নিয়ে আপনি কি উনার পক্ষে? আপনার একটা পোষ্ট ছিলো, "আকাশে না কোথায় একটুকরা বাংলাদেশ?" আমার মনে হয়, দেশের ব্যাপারে আপনার সঠিক কোন অবস্হান নেই, লেখার জন্যই লিখছেন!

৩০ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৪

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: সরি, স্যাটেলাইট অংশটি ভুলে কোটেশন করেছি। খেয়াল হয়নি, ভুলটি ধরিয়ে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।

২৯| ৩০ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৩

সনেট কবি বলেছেন: আমরা এখনো প্রত্যাশা থেকে অনেক দূরে। আপনার অনেক পরিশ্রমলব্ধ পোষ্ট আমার নামে উৎসর্গ করেছেন সে জন্য অনেক কৃতজ্ঞতা।

৩০ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৯

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ, স্যার। আপনি লেখাটি পড়েছেন এতেই আমি খুশি। আপনাকে লেখাটি উৎসর্গ করে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছি।

৩০| ৩০ শে মে, ২০১৮ রাত ৯:২৯

সোহানী বলেছেন: ভালো লাগলো জার্নি বাই বিমান। ছোটবেলায় রচনা পড়তাম মনে পড়ে.... জার্নি বাই ট্রেন/বোট/বাস !!!

হিথ্রোর কথা শুনে ভালো লাগলো। তবে আমার মনে হয় সবচেয়ে এশিয়ান যাত্রীদের অপদস্ত হরা হয় ইস্তাম্বুলে আর দুবাইতে (দেশের কথা বলে লজ্জা পেতে চাই না)। আমি ইউরোপ বা আমেরকিার কোন দেশেই এয়ারপোর্টে কোন ঝামেলা ফেইস করিনি। কিন্তু তুর্কিতে তো পারলে মনে হয় কাপড় ও খুলে দেখে........হাহাহাহাহা যাহোক মেয়ে হওয়াতে মনে হয় একটু ছাড় দেয় বাকি ছেলেদেরতো দেখলাম বেল্ট, জুতা, মোজা সব খোলায়ে ভিতরে ঢুকায় .... হাহাহাহাহাহাহা ;) । আর দুবাই, বাংলাদেশী পার্সপোর্ট নিয়ে সেখানে যাওয়া মানে কঠিন অবস্থা...............

৩০ শে মে, ২০১৮ রাত ১০:০১

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: আপা, দুবাই এয়ারপোর্টে একবার এক ঘন্টার যাত্রা বিরতীতে এয়ারপোর্ট চত্তরে বের হতে গিয়ে কী পরিমান নাজেহাল হতে হয়েছিল বলে শেষ করা যাবে না। জুতা, প্যান্ট, সার্ট................. সব খুলে মেশিনে চেক করাতে হলো। অথচ আমরা সোজা বিমান থেকে নেমেই আসলাম!!! বিমানে উঠতে তো চেক করেই তোলা হয়েছিল, তাই না? আর এদের কথাবার্তা খুব রূঢ়। তবে কাতারের দোহায় এমন পরিস্তিতিতে পড়তে হয়নি।

৩১| ৩০ শে মে, ২০১৮ রাত ৯:৩৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: কাওসার চৌধুরী ,




আপনার এই পোস্টের মূল বক্তব্য সম্পর্কে বলার কিছু নেই ।
সহব্লগার ঠাকুরমাহমুদ / ভোরের সূর্য / শামচুল হক / আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম / টারজান০০০০৭ / খনাই প্রমুখরা সব কথাই বলে গেছেন ।

৩০ শে মে, ২০১৮ রাত ৯:৫৩

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: শ্রদ্ধেয় @আহমেদ জী এস,
ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা মন্তব্যে ও পাঠে।

৩২| ৩১ শে মে, ২০১৮ রাত ১:৪২

অক্পটে বলেছেন: "ইউরোপের শাসকরা আমাদের উপমহাদেশের শাসকদের মতো নিজেদের দেশের মালিক মনে করে না। তারা একজন দক্ষ ম্যানেজার হিসাবে নিজেদের পরিচালিত করে। তাদের চোখে দেশটা হলো একটি প্রতিষ্ঠান যার মালিক জনগন। এজন্য তারা দক্ষ হাতে দেশটা পরিচালনা করে যাতে জনগনের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জিত হয়। না পারলে বা ব্যর্থ হলে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সরে যায় বা যেতে হয়।"
কাওসার ভাই অনেকদিন পরে আসা এবং এসেই আপনার লেখাটি পড়া। কোড করার মতো অনেক প্যারা আপনার লেখায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। কোনটা রেখে কোনটার কথা লিখব। এত্বসব সত্য উপলব্ধি আপনার লেখায় পাই যে মুগ্ধ হওয়া ছাড়া কোন উপায় থাকে না।
আমাদের দেশটা চলছে একটা পাকের ঘুর্ণীতে। শাসকেরা এখানে দেশ শাসন করেনা এরা দেশ দখল করে মানুষের অধিকার দখল করে নেয়। দখল আর শোষণ যাদের মন মস্তিস্কে ঠাসা হয়ে আছে তারা করে শুধু লুট আর লুট। এদের কাছে ব্যর্থতা বলে কোন শব্দ নেই। লুটপাটই তাদের সফলতা। আজ পত্রিকায় পড়লাম যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত কুখ্যাত শীর্ষ সন্ত্রাসী জোসেফ রাষ্ট্রপতির ক্ষমায় মুক্তি পেয়েছেন। কঠোর গোপনীয়তার মধ্যে গত রোববার তাঁর সাজা মওকুফ করা হয়। ছাড়া পেয়েই গোপনে দেশ ছেড়েছেন তিনি। এই হল আমাদের দেশের শাসক। রাষ্ট্রপতিকে বসানো হয়েছে শুধু ফাঁসির আসামীদের অনুকম্পা দেয়ার জন্য।

দক্ষ ম্যানেজারের আশায় বুক বেধেই শুধু আছি। একদিন বদলাবে এই বাংলাদেশ একজন দক্ষ ব্যবস্থাপকের হাত ধরে।

৩১ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৯

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: প্রথমেই দুঃখিত, কমেন্টের জবাব দিতে একটু দেরী হওয়ার জন্য। আপনি সব সময় আমার লেখাগুলো পড়ে আমাকে উৎসাহ দেন; এটা আমার মত সামান্য একজন কলম সৈনিকের জন্য অনেক বড় সম্মানের।

আমি স্বভাবতঃ অন্তর্মুখী, চুপচাপ স্বভাবের। কাউকে একটু শব্দ করে ডাকতে পর্যন্ত পারি না। এজন্য নিজের ভাবনাটা কলমের কালিতে বলার চেষ্টা করি। জানি না কতটুকু পারি, তবে চেষ্টায় কোন ত্রুটি নেই। আমার জন্য আশীর্বাদ করবেন, যাতে লেখার মানটা উন্নত করতে পারি, লেখনি দিয়ে সমাজ পরিবর্তনে অবদান রাখতে পারি।

অনেক ভাল লাগা ও শুভ কামনা আপনার জন্য।
আপনার মন্তব্য লিখুন

৩৩| ৩১ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৫

রোকসানা লেইস বলেছেন: ভালোলাগল আপননার যাত্রা পথের বর্ণনা। লন্ডন শহরের কিছু এলাকার সাথে পুরানো ঢাকার দালন কোঠার মিল মনে হয় আমার। লন্ডনে শহরের বাইরের শহরগুলো অনেক ছিমছাম গোছান।

৩১ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৫:১০

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ, আপা। লন্ডন একটি ঐতিহাসিক নগরী। এখানে হাজার হাজার পুরাতন বিল্ডিং আছে। দেখতে চমৎকার লাগে। তবে, এগুলো আমাদের দেশের মতো পরিত্যক্ত নয়। এগুলো প্রতিনিয়ত সংস্কার হয়। খুব সুন্দর আর গোছানো।

৩৪| ৩১ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪২

অচেনা হৃদি বলেছেন: ১০০১তম পাঠক বলেছেনঃ দেশত্তুন লন্ডনের খৌয়াব আর হত দেহাইবেন বদ্দা, লন্ডন শহরের লাই আঁর ত পেট পুরের ! :(

৩১ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৮

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: কিতা গো বুয়াই!! খই লুকাইসলায় অতো দিন :(( আমি তোমারে লন্ডনর কুয়াফ দেখাইরাম না, আমি ছাই তুমিও এখদিন লন্ডন জাও। এখদিন দেখবায় লন্ডনি এখটা ফুয়া আইয়া বিয়া খরি তোমারে ফুরুত খরিয়া লইয়া জাইবগি। B-)

অত হতাশ অইলে ছলবো নিগো বুয়াই!!! :#)

৩৫| ৩১ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৪

অচেনা হৃদি বলেছেন: ওরে বাপরে ! আঞ্চলিক ভাষা টাইপ করতে গিয়ে তো আমার অভ্র কি বোর্ড বিদ্রোহ করছে । :(
লন্ডনি ফুয়া আমার লাগবে না ! আমার লাগবে এঞ্জেলস ! বিস্তারিত ভবিষ্যতে জানবেন । ;)

৩১ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২০

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: আমার লাগবে এঞ্জেলস! বিস্তারিত ভবিষ্যতে জানবেন ;)
আন্নের খতার শানে নজুল বইজলাম না। আন্নে কী কুনো হূদি বেশে হৃদয় (পোলা) নি!!
ইটা খইলাম সন্দেহ অর আমার। :( :( :(

৩৬| ৩১ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩১

অচেনা হৃদি বলেছেন: আরে ধুর !
ওকে, বিস্তারিত জানার আগে আপাতত সংক্ষেপে জেনে নিন ।
লস এঞ্জেলস শহরের নাম শুনেছেন ? আমেরিকার শহর লস এঞ্জেলস, যেখানে হলিউড অবস্থিত । ন্যাপ্পি পরার যুগ থেকে আমি হলিউডের কার্টুন আর মুভি দেখছি । দেখতে দেখতে আমি হলিউড (তথা লস এঞ্জেলস)- এর প্রেমে পড়ে হাবুডুবু খাচ্ছি । আমার কল্পনাতে শুধুই লস এঞ্জেলস শহর । সেই শহরের কোন এক এঞ্জেলের স্বপ্নে আমি বিভোর ! 8-|
(লাস্ট কথা ডক্টর, এই কমেন্ট পড়ে আবার আপনার যেন সন্দেহ না হয় আমি লেসবিয়ান :P দয়া করে এঞ্জেলস মানে 'ফেরেশতা' মনে করবেন । কমেন্টে এডাল্ট ওয়ার্ড ইউজ করার জন্য দুঃখিত । )

৩১ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৪

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:

এই নেন, আন্নেরে একখান লস এঞ্জেল দিলাম। :P

৩১ শে মে, ২০১৮ রাত ৮:০৩

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:

৩৭| ৩১ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৯

অচেনা হৃদি বলেছেন: লাগবো না এই লস এঞ্জেলস, এই রকম লস এঞ্জেলস জীবনে বহু দেখছি । পারলে আমারে অরিজিনাল লস এঞ্জেলস দেন, আমি সারাজীবন আপনার আজ্ঞাবহ থাকবো ! :||

৩১ শে মে, ২০১৮ রাত ৮:০৮

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: আন্নে কী হলিউডের কোন নায়ক খুজছেন?

নেন, টম ক্রুজ দিলাম।

৩৮| ৩১ শে মে, ২০১৮ রাত ৮:১১

অচেনা হৃদি বলেছেন: :( মাফ চাই, আমি এমনিতেই অসুস্থ ! মাথা ঘোরাচ্ছে, এমন আর কিছু দেখাইয়েন না যেইটা দেখে চক্কর দিয়া পইড়াই যামু ! পিলিজ, স্টপ করেন ।

৩১ শে মে, ২০১৮ রাত ৮:১৯

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
হলিউডের নতুন নায়ক "আবুল বেপারি" :P

৩৯| ৩১ শে মে, ২০১৮ রাত ৯:৫৯

অচেনা হৃদি বলেছেন: কে উনি, চেহারা তো আপনার সাথে মিল আছে !

৩১ শে মে, ২০১৮ রাত ১১:৩৯

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: আফায় তাইনরে ছিনতা ফারছইন না। :( :( :(
তাইন হলিউডর নয়া একখান নায়ক। =p~ =p~

৪০| ০২ রা জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৩

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: গুরু কি ঘটকালি শুরু করেছেন মনে হচ্ছে ? ঘটকের ছাতা লাগে, ছাতা ছাড়া ঘটক মানায় না, দরকার লাগলে হাত তুইলেন জায়গা মতো ছাতা পৌছাইয়া দিবো। দাম মাত্র ৩৫০/- টাকা যোগ কুরিয়ার সার্ভিস খরচ। ***শর্ত পযোজ্যে ।

০২ রা জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২২

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
এটা পুরান যুগের ঘটকালী।


এখন :( :(

৪১| ০৬ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:১৫

ভোরের সূর্য বলেছেন: ‘বঙ্গবন্ধু-২’-এর প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু-১-এর ধারাবাহিকতায় বঙ্গবন্ধু-২ স্যাটেলাইট তৈরির প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। আজ বুধবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে প্রধানমন্ত্রী এ কথা জানান। আরেক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সাগরের তলদেশ থেকে মহাকাশ পর্যন্ত আমরা বাংলাদেশের মর্যাদাকে উন্নত করেছি। অগ্রযাত্রা যেন অব্যাহত থাকে, এ জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চাই।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু-১-এর ৪০টি ট্রান্সপন্ডার আছে। এর মধ্যে বাংলাদেশের প্রয়োজন হবে ২০টি। বাকি ২০টি সার্কভুক্ত দেশসহ আশপাশের বিভিন্ন দেশের কাছে ভাড়া দেওয়া যাবে।

কোন মন্তব্য নয়। শুধু প্রথম আলো থেকে হুবহু কোট করে দিলাম। ‘বঙ্গবন্ধু-২’-এর প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার
প্রথম আলোর লিঙ্ক টা দিলাম। সময় হলে পড়ে দেখবেন প্রথম আলোতে করা মন্তব্যগুলো। বেশিরভাগ মানুষ কি চায়, কি দরকার বা প্রয়োজনীয়। স্যাটেলাইট কিংবা দক্ষ ম্যানেজার দুটোরই উত্তর পাওয়া যাবে।

০৬ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:২৮

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: ধন্যনাদ, ভাই। অবশ্যই আপনার দেওয়া লিঙ্কটি পড়বো। চমৎকার কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ, আপনাকে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.