নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জন্মসূত্রে মানব গোত্রভূক্ত; এজন্য প্রতিনিয়ত \'মানুষ\' হওয়ার প্রচেষ্টা। \'কাকতাড়ুয়ার ভাস্কর্য\', \'বায়স্কোপ\', \'পুতুলনাচ\' এবং অনুবাদ গল্পের \'নেকলেস\' বইয়ের কারিগর।

কাওসার চৌধুরী

প্রবন্ধ ও ফিচার লেখতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। পাশাপাশি গল্প, অনুবাদ, কবিতা ও রম্য লেখি। আমি আশাবাদী মানুষ।

কাওসার চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

পরিবহনে চাঁদাবাজি - একটি বহুজাতিক শিল্প (ফিচার)

৩১ শে মে, ২০১৮ রাত ২:১৫


আমি দূর্বল চিত্তের মানুষ। এজন্য নেতিবাচক ও হতাশার সংবাদ বেশি থাকায় বাংলাদেশের পত্রিকা তেমন পড়া হয় না। তবে যদি দেশকে নিয়ে ইতিবাচক কোন সংবাদ পাই, পত্রিকায় সম্ভাবনার কিছু লেখা হয় তাহলে আশাবাদী হই, গর্বে আমার বুকটা ভরে যায়। নিজেকে সান্ত্বনা দেই এই বলে; খামখা দেশকে নিয়ে টেনশন করি, হতাশ হই। গর্ব করে বলি এটাইতো আমার সোনার বাংলা, এই তো চাই আমি। কোন কোন সময় একই নিউজ বারবার পড়ি, অন্যদের জানাতেও উৎসাহী হই। মনের মধ্যে একটি চৈতণ্য আসে, খুশিতে মুখটা উজ্জল হয়ে উঠে। গুগল, ইউটিউবে ''বাংলাদেশের ভবষ্যৎ সম্ভাবনার ক্ষেত্রগুলো'', "বাংলাদেশ এমার্জিং নেশন" প্রভৃতি লেখে সার্চ দেই। এটা আমার দেশপ্রেম কিনা জানি না। তবে এই অধম দেশমাতৃকাকে অসম্ভব রকম ভালবাসে এটা বলতে পারি।

কয়েকদিন আগে ফেইসবুকে একটি নিউজ পড়ে অনেক কষ্ট পাই। নিউজটি পড়ে কেন যেন নিজেকে অসহায় মনে হলো, দেশটাকে অভিবাবক হীন মনে হলো আমার। মনে মনে ভাবি দেশটা কী শেষ পর্যন্ত দুর্নীতিবাজ, চাঁদাবাজ ও দখলদারদের ইচ্ছা মাফিক চলবে, নাকি দেশের প্রচলিত আইন দিয়ে চলবে? সংবাদটি এরকম-

একজন ট্রাক মালিক লিখেছেন; "টাঙ্গাইল থেকে খুলনা যেতে একটি মালবাহী ট্রাকে ১৯ জায়গায় চাঁদাবাজি হয়েছে! রীতিমতো রশিদ দিয়ে চাঁদাবাজি!! তিনি আরো যোগ করেন, এটি ডিজিটাল বাংলাদেশের ডিজিটাল চান্দাবাজি।"

পরিবহন খাতের চাঁদাবাজি নিয়ে অনেকদিন থেকে লেখার ইচ্ছা ছিল। তবে ব্যস্ততার জন্য হয়ে উঠছিল না। ফেইসবুকের নিউজটি পড়ে অনেকটা বাধ্য হয়ে লেখতে বসা। সরকার যায়, সরকার আসে কিন্তু পরিবহনে চাঁদাবাজি কখনো বন্ধ হয় না, কেউ বন্ধ করে না। পরিবহনের কোথায় নেই চাঁদাবাজি? ট্রাক, বাস, মিনিবাস, পিকআপ, ভ্যান, লরি, লাইটেস, নোহা, টেম্পু, লেগুনা, সিএনজি ইত্যাদি বাহনগুলো প্রতিদিন চাঁদাবাজির শিকার হয়। মালিক ও ড্রাইভারদের কাছে নিয়মিত ঘটনা বলে তারা এটাকে অনেকটা বৈধ ও বাধ্যবাধকতা বলে ধরে নিয়েছেন। ইদানিং তো শুনি রিক্সায়ও চাঁদাবাজি হয়! তবে রিক্সাকে পরিবহনের তালিকায় ধরা যায় কি না জানি না। সবচেয়ে বেশি চাঁদাবাজির শিকার হয় আন্তঃনগর ট্রাক, বাস ও লরিগুলো।

সারা দেশে এক শ্রেণীর পরিবহন সংগঠন, পুলিশ ও সন্ত্রাসীদের রাজনৈতিক সংগঠনের সমন্বয়ে চলে বিরামহীন চাঁদাবাজি। জেলা শহরগুলোর তুলনায় রাজধানী ঢাকায় এ হার অনেক অনেক বেশি। রাজধানীতে শতাধিক পয়েন্টে প্রতিদিন চলে চাঁদাবাজির রমরমা ব্যবসা। চাঁদাবাজ এ চক্রটি এত ক্ষমতাবান ও বেপরোয়া যে গাড়ির মালিক ও ড্রাইভারদের চাঁদা না দিয়ে কোন উপায় থাকে না। সন্ত্রাসীরা সরাসরি চাঁদা নিলেও পরিবহণ শ্রমিকরা চাঁদা নেয় শ্রমিক কল্যাণের নামে রীতিমত রশিদ দিয়ে। আর পুলিশ চাঁদা নেয় মাসোহারা হিসাবে। এছাড়া আছে রেকার ভাড়া, রাস্তা ক্লিয়ার ফি, ঘাট ও টার্মিনাল সিরিয়াল, পার্কিং ফি নামে অবৈধ চার্জ। সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভার নামেও দেদারসে চলে চাঁদাবাজি।


আমাদের সমাজে একটি কথা প্রচলিত আছে, রক্ষক যদি ভক্ষক হয় তাহলে সাধারন মানুষের ন্যায় বিচার পাওয়ার কোন সুযোগ থাকে না। সরকার বলতে আলাদা কোন বস্তু নেই; সরকারী অফিস-আদালত, পুলিশ প্রশাসন, স্থানীয় সরকারের দপ্তর, চেয়ারম্যান-মেয়র-এমপি-মন্ত্রীর সমন্বয়ে একটি রাষ্ট্রীয় প্রশাসনিক ব্যবস্থা মাত্র। সবাই যার যার অবস্থান থেকে দেশের জন্য ভাল কাজ করলে রাষ্ট্র ও জনগণের কল্যাণ সাধিত হয়। কিন্তু এরা সম্মিলিতভাবে দুর্নীতি ও চাঁদাবাজি করলে রাষ্ট্রের ভীত দূর্বল হয়। রাষ্ট্রের চেইন অফ কমান্ড ভেঙ্গে পড়ে। সাধারন মানুষ শোষিত হয়, অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়। ফলে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। দেশী ও বিদেশি বিনিয়োগকারীরা আস্থা হারায়।

পরিবহনে চাঁদাবাজি থামাতে সবচেয়ে বেশি সক্রিয় হওয়ার কথা ছিল পুলিশ প্রশাসনের। অথচ তারা মাসোহারার নামে প্রতিদিন লাখ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করে। এ টাকার ভাগ পুলিশের সর্বোচ্চ পর্যায় পর্যন্ত পৌছায়। স্থানীয় ও জাতীয় কিছু প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ দেশব্যাপী সন্ত্রাসীদের সমন্বয়ে বিভিন্ন পয়েন্টে চাঁদা কালেকশন করেন। এসব চাঁদাবাজিতে স্থানীয় অনেক এমপি/মন্ত্রী জড়িত থাকেন বলেও অভিযোগ আছে। কেউ কেউ তো সরাসরি পরিবহন শ্রমিক নেতা। চাঁদাবাজির গড ফাদার অনেক পরিবহন নেতা আমাদের দেশে মন্ত্রী পর্যন্ত হয়। তাই পরিবহনে এসব চাঁদাবাজির সিন্ডিকেট ভাঙ্গা আর 'অরণ্য রোদন' করা সমান কথা।

আমরা যখন কোন বিপদে পড়ি তখন পুলিশের দ্বারস্থ হই। কিন্তু যেখানে পুলিশ নিজেরাই চাঁদাবাজির মহাউৎসবে যোগ দিয়েছে সেখানে অভিযোগের, সমস্যা থেকে পরিত্রাণের কোন সুযোগ নেই। রাজধানী সহ সারা দেশের সড়ক মহাসড়কে যত্রতত্র পুলিশের বিশেষ চেকিং আর মাসোহারা আদায়ের প্রতিযোগিতা বন্ধের সাধ্য কারো নেই। অভিযোগ আছে রাজধানীর একপাশ থেকে অন্য পাশ দিয়ে বেরিয়ে যেতে মালবাহী ট্রাক প্রতি ৫০০-৮০০ টাকা গুনতে হয়। তবে আন্তঃনগর বাসগুলোকে তার চেয়ে বেশি চাঁদা দিতে হয়। পুলিশের টোকেন বাণিজ্যও চলে সমান তালে।

দেশে প্রতিদিন গড়ে এক লক্ষ পণ্যবাহী ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান চলে। এর কোনটিই পুলিশকে চাঁদা না দিয়ে চলতে পারে না। শুধু এ খাত থেকে পুলিশ প্রতিদিন কোটি টাকার উপরে চাঁদা কালেকশন করে। হাইওয়ে পুলিশের পাশাপাশি, বিভিন্ন ফাঁড়ির পুলিশ, জেলা ও মেট্রোপলিটন পুলিশ যৌথভাবে এটি করে থাকে।


দেশের নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য ও সেবার পর্যাপ্ত যোগানের জন্য নিরাপদ ও দ্রুত যোগাযোগ ব্যবস্থার কোন বিকল্প নেই। এ ক্ষেত্রে সস্তায় পণ্য পরিবহন ভোক্তা পর্যায়ে দাম সহনীয় রাখতে সহজ হয়। এতে দেশের দরিদ্র শ্রেণীর মানুষ উপকৃত হয়। কিন্তু আমাদের দেশে ধাপে ধাপে, নামে বেনামে চাঁদাবাজির ফলে পণ্যের পরিবহন খরছ বেড় যায়। এজন্য ভোক্তা পর্যায় পর্যন্ত পৌছিতে খরছ বেশি পড়ে। ক্রেতারা বাধ্য হয়ে বেশি দামে পণ্যটি কিনতে হয়।

সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়ে কাঁচামাল পরিবহনের ক্ষেত্রে। অনেক সময় দেখা যায় কৃষকের কাছ থেকে যে পণ্যটি কিনতে পাইকারী ব্যবসায়ী কেজি প্রতি ১০ টাকা খরছ করেন, সেই একই পণ্য রাজধানী ও জেলা শহরগুলোতে বিক্রি হয় তিন/চারগুণ বেশি দাম। এক্ষেত্রে শুধু পরিবহন চাঁদাবাজি দায়ী নয়, পাইকারদের সিন্ডিকেটও দায়ী।

প্রতিবছর পরিবহণের লাইসেন্স ফি, রোড পারমিট, গাড়ির ফিটনেস ও ইন্সুরেন্সের জন্য মালিকরা হাজার হাজার টাকা খরছ করেন। বিআরটিএর মাধ্যমে সরকার এ টাকা কালেকশন করে। মালিকরা সারা বছর নির্বিঘ্নে গাড়িটি চালানোর জন্য সরকার নির্ধারিত এসব ফি প্রদান করে থাকেন। তাহলে প্রশ্ন হলো, প্রতিদিন ধাপে ধাপে এত চাঁদাবাজি কেন? এসব টাকা তো সরকারি কোষাগারে জমা হয় না। এ অন্যায়-অবিচার দেখার, প্রতিরোধ করার কী কেউ নেই? এজন্য বিআরটিএর কী কোন দায় নেই? অবশ্য বাংলাদেশের সবচেয়ে দূর্ণীতিগ্রস্থ সরকারি প্রতিষ্ঠানের তালিকা করলে বিআরটিএর অবস্থান তালিকার উপরের দিকে থাকবে।

বিভিন্ন পরিবহণ শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচনের সময় প্রচারণা ও টাকা খরছের হিড়িক দেখলে বোঝা যায় এসব পদ কত লোভনীয়। পোস্টারে আর ব্যানারে ছেয়ে যায় পুরো এলাকা। চলে দেদারছে টাকা দিয়ে ভোট কেনার প্রতিযোগিতা। আমার পরিচিত একজন আন্তঃজেলা বাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আছেন। যিনি গত ২৩ বছর আগেও ছিলেন বাসের হেল্পার। পড়াশুনার হাতে খড়ি নাম দস্তখত পর্যন্ত। তবে এখন তার কাড়ি কাড়ি টাকা। শহরে আছে চার-পাঁচটি বহুতল ভবন। আছে নিজের ও পরিবারের নামে প্রচুর সম্পদ ও ব্যাংক ব্যালেন্স। তার দৃশ্যমান কোন পেশা/ব্যবসা নেই। তিনি নিজেকে বিশিষ্ট সমাজসেবী হিসেবে পরিচয় দেন। এখন তিনি নিজে ড্রাইভ করেন না। দামী প্রাইভেট কারের সাথে আছে নিজস্ব ড্রাইভার। রাজনীতিও করেন তিনি। তবে নির্দিষ্ট কোন দলের সাপোর্টার নন, তিনি সব সময় সরকারদলীয় রাজনীতির সাথে জড়িত। যে দল ক্ষমতায় আসে সে দলের বড় নেতার আশীর্বাদে বহাল থাকে তার পদ/পদবী।।



ফটো ক্রেডিট,
গুগল।

উৎসর্গ: লেখাটি আমার অত্যন্ত শ্রদ্ধাভাজন ব্যক্তিত্ব জনপ্রিয় ব্লগার জনাব চাঁদগাজীকে উৎসর্গ করলাম।

মন্তব্য ৪৪ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (৪৪) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে মে, ২০১৮ রাত ২:৩৩

দপ্তরবিহীন মন্ত্রী বলেছেন: একজন সৎ মন্ত্রীই যথেষ্ট এসব বন্ধ করতে। যদিও তাঁকে হয়তো মারাও যেতে হতে পারে। কারণ, এদের সিন্ডিকেট অনেক শক্তিশালী।

৩১ শে মে, ২০১৮ রাত ২:৩৬

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: প্রিয় ভাই, আপনার নিক নামের সাথে কমেন্ট মিলে গেছে। :( :( :(

হ্যা, সিন্ডিকেট আছে মানছি। তবে সরকারের সৎ সাহস থাকলে এ সিন্ডিকেট ভাঙ্গা সম্ভব।

২| ৩১ শে মে, ২০১৮ রাত ২:৫৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ২০০৯ সালে ক্ষমতা নিয়েছেন, ইয়াবা নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছেন (আংশিকভাবে) ২০১৮ সালে; পরিবহন চাঁদাবাজি এখনও উনার মগজে ধরা পড়েনি; মনে হয়, ইহা উনার স্নায়ুতে পৌঁছতে আরো কয়েক বছর লাগবে।

৩১ শে মে, ২০১৮ রাত ৩:২৪

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: স্যার, লেখাটি আপনাকে উৎসর্গ করেছি।

২০০৬ সাল থেকে ইয়াবা মহামারি হিসাবে দেশের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে। তবে ২০০৯ সালের নির্বাচনের পর এমপি বদি এন্ড কোম্পনির কল্যাণে ইয়াবার বিল্লব ঘটে। এখন দেয়ালে পীট লাগায় সরকার একশনে গেছে। তবে এই একশনে কোন কাজ হবে না। মাদকের উৎস, পাচারের রুট, পুলিশ, গড ফাদার আর প্রশাসন ঠিক না হলে ক্রসফায়ারের এসব নাটক কোন কাজে আসবে না। দীর্ঘ মেয়াদে এর ফলাফল শুণ্য (০)।

আর পরিবহন চাঁদাবাজি কেমনে বন্ধ হবে? এর সাথে সরকারে দুই-তিনজন প্রভাবশালী মন্ত্রী জড়িত। শেখ হাসিনাকে এ বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। না হলে পরিবহনের বিশাল চাঁদাবাজির সিন্ডকেট ভাঙ্গা সম্ভব নয়।

৩| ৩১ শে মে, ২০১৮ রাত ৩:২৫

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: বাংলাদেশের দীর্ঘকালীন সমস্যা গুলো সমাধান করতে হলে দুই পরিবার মুক্ত হতে হবে দেশ অথবা আর্মিকে আসতে হবে...

৩১ শে মে, ২০১৮ রাত ৩:৩৪

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: "বাংলাদেশের দীর্ঘকালীন সমস্যা গুলো সমাধান করতে হলে দুই পরিবার মুক্ত হতে হবে দেশ অথবা আর্মিকে আসতে হবে"।..............

এটি আমি, আপনি সহ বিবেকবান মানুষের চাওয়া। তবে এর হার শতকরা ১৫-২০% এর বেশি নয়। দেশে প্রকৃত পীরের চেয়ে ভন্ড পীরের ভক্ত যেমন বেশি ঠিক তেমনি দুই ভন্ড বিবির (নেত্রীর) মুরিদান কয়েক কোটি। এরা নিজের জান কুরবান করে হলেও ম্যাডামদের ক্ষমতায় দেখতে চায়।

অতএব, জনগন সচেতন, বিবেকবোধ সম্পন্ন ও সুশিক্ষিত না হলে পরিবর্তন আসবে না। আর পরিবর্তন না হলে নতুন দক্ষ নেতৃত্ব গড়ে উঠবে না।

৪| ৩১ শে মে, ২০১৮ রাত ৩:৩৬

অক্পটে বলেছেন: পরিবহনে চাঁদাবাজিতে সবচেয়ে বেশি সক্রিয় হচ্ছে পুলিশ প্রশাসন। পুলিশের দেখাদেখি অন্যরাও করছে দেদারসে। কিন্তু এদের থামানোর মানসিকতা কোন সরকারেরই নেই এই জন্যই প্রশাসন ডুবে গেছে সীমাহীন দূর্ণীতিতে। দেশকে আমরা দেশমাতৃকা বলি। এর মানে দেশ আমার মা'য়ের মতো! হায় মা! আর আমরা মায়ের এমনই পাষন্ড সন্তান যে মায়ের রক্তমাংস আমরা খুবলে খুবলে খাচ্ছি! আমাদের একটুও লজ্জা নেই এতটুকু দরদ নেই। দেশের পরিচালক যদি চায় যে ঐ কাজটি আমি করতে দেবনা আমার দেশে তাহলে কি আর কারো পক্ষে সম্ভব ঐ কাজটি করা। এমন সাহসী বুকের পাটা কি আছে কারো এই দেশে যে সরকার যা চায় তার বাইরে গিয়ে কোন কাজ করতে? তাহলে কেন হয়না দূর্নীতির ও অন্যান্য অনিয়মের অবসান? কারণ এরা নিজেরাই দূর্নীতিকে লালন করে তার বিশাল কর্মী বাহিনী দিয়ে। এরা প্রেসিডেন্ট রেখেছে ফাঁসির আসামীকে অনুকম্পা প্রদানের জন্য।

৩১ শে মে, ২০১৮ রাত ৩:৪৬

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: সমস্যা হলো ১৯৯১ সাল থেকে এখন পর্যন্ত দুই বিবির অধীনে দেশ চলছে। এরা এত অদক্ষ যে, এত বছর শাসন করেও দেশের মৌলিক সমস্যাগুলো চিহ্নিত করতে পারেনি। সারাক্ষণ এরা চাটুকারদের দ্বারা পরিবেষ্টিত থাকে। তারা তোষামোদকারীদের পছন্দ করে। রাষ্ট্র পরিচালনার ন্যুনতম যে দূর্দশিতা থাকা প্রয়োজন তা তাদের নেই। এরা বেছে বেছে অযোগ্য লোকদের এমপি/মন্ত্রী বানায়। তারা জানে এদেশের শতকরা ৮০% আবুল মার্কা পাবলিক। ভোট পেতে তাদের সমস্যা হবে না।

৫| ৩১ শে মে, ২০১৮ ভোর ৪:১৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


উৎসর্গের জন্য অনেক ধন্যবাদ। অনুরোধ, আমার নিকের সামনের থেকে 'সবচেয়ে জনপ্রিয়' ফ্রেইজটুকু বাদ দিন; সামুতে আমি খুবই সাধরণ ব্লগার।

৩১ শে মে, ২০১৮ ভোর ৪:১৯

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ, স্যার। 'সবচেয়ে' শব্দটি বাদ দিয়েছি।

৬| ৩১ শে মে, ২০১৮ ভোর ৫:৫২

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: অনেক আগে আমাকে ঢাকা শহরে বেশ কিছু দিন থাকতে হয়েছিল। তখন টেম্পু নামক তিন চাকার এক ধরনের গাড়ী চালু ছিল যাতে ১২/১৪ জন যাত্রী নেয়া হতো। সেই সময় অনেক গাড়ীতেই কেবল চালক থাকতেন। যাত্রীদের কেউ একজন ভাড়া তুলে চালককে দিতেন। আমি অবাক হয়ে লক্ষ্য করলাম, শহরের বেশ কয়েক জায়গায় গাড়ী থামিয়ে কোন কোন ব্যক্তির হাতে নগদ টাকা দিতে হচ্ছে। এটার নাম নাকি চান্দা।

আমার বক্তব্য, চান্দা যদি দিতে হয় সরকারকে দেব। এবং সেটা প্রপার চ্যানেলে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে। আমার টাকায় রাষ্ট্র সমৃদ্ধ হোক। কিন্তু কোন সন্ত্রাসী, চাদাবাজ আমার টাকা মেৌজ করবে এটা কি কথা?

৩১ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৮

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: টেম্পু তো দীর্ঘদিন শুধু পুলিশকে টাকার বিনিময়ে ম্যানেজ করে চলেছে। এখন অনেক গাড়ি আছে যারা বছরান্তে কাগজ নবায়ন করেনা, শুধু পুলিশর রসিদ দেখিয়ে চলে। এগুলো হলো নীরব চাঁদাবাজি। শুধু পুলিশকে কন্ট্রোল করতে পারলে এসব চান্দাবাজি বন্ধ করা সম্ভব।

৭| ৩১ শে মে, ২০১৮ সকাল ৯:৪৭

রাজীব নুর বলেছেন: এক কথায় বলি- পতিতা ব্যবসার চেয়েও পরিবহন ব্যবসা খারাপ।

৩১ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৯

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: আমি একটি গাড়ি কিনে, ড্রাইভারকে চালাতে দিয়ে তা হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছি।

৮| ৩১ শে মে, ২০১৮ সকাল ১১:৪৩

লাবণ্য ২ বলেছেন: সরকারের মদদেই চাঁদাবাজি,ছিনতাই হয় ক্যামনে বন্ধ হবে।

৩১ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৩:৫০

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: একদম ঠিক কথা। চাঁদাবাজরা সরকারের লোক, তাহলে চাঁদাবাজি কমবে কেমনে?

৯| ৩১ শে মে, ২০১৮ সকাল ১১:৫৩

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: জনগনেরও আওয়াজ তোলার সাহস নাই, সবাই মুন্ডু কাটার জন্য উদগ্রীব। দেশকে আধুনিক করার আগে জনগনকে স্বাধীন করা লাগবে। যেই দিন ঐ ট্রাক চালক জোর গলায় বলতে পারবে, চাঁদা দিবো না। সেদিন এই দেশে অনেক সমস্যাই থাকবে না। ধন্যবাদ, সুন্দর লিখেছেন বড় ভাই।

৩১ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৩

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: "যেই দিন ঐ ট্রাক চালক জোর গলায় বলতে পারবে, চাঁদা দিবো না। সেদিন এই দেশে অনেক সমস্যাই থাকবে না। ধন্যবাদ, সুন্দর লিখেছেন বড় ভাই।"...........

ভাই, প্রান্ত :( চমৎকার বলেছো। এখন সময় এসেছে এমন হুংকার দেওয়ার।

১০| ৩১ শে মে, ২০১৮ দুপুর ১:০৮

কথার ফুলঝুরি! বলেছেন: ভাইয়া, শিরোনাম টা দারুন হয়েছে । চাঁদাবাজি শিল্প :P পরিবহনের অন্যান্য ক্ষেত্র সম্পর্কে ধারনা নেই :( তবে রিকশা তে একদিন চাঁদাবাজির শিকার হয়েছিলাম, ভাড়া ৫০ ঠিক করে উঠে, পরে নামার সময় বলে ৭০ ঠিক করেছিলাম =p~
বরাবরের মত চমৎকার পোস্ট।

নতুন কিছু লেখার চেষ্টা করলাম ভাইয়া, কেমন হল জানাবেন :P
কফি হাউজ এর সেই আড্ডা টা আজ আর নেই :(

৩১ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৮

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: পরিবহন খাতে প্রতিদিন কয়েক কোটি টাকা চান্দাবাজি হয়। এরচেয়ে লাভবান পেশা পৃথিবীতে নেই। এজন্য এটা এদেশের একটি সম্ভাবনাময় শিল্প। :( :(

আপনার রিক্সাওয়ালার বাড়তি ২০ টাকার চাঁদাবাজি পড়ে হাসলাম। যাক তা ২০০ টাকা হয়নি। :(( :(( :((

১১| ৩১ শে মে, ২০১৮ দুপুর ২:৪৭

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: রোযাতে ইফতার পার্টির দাওয়াত। ট্রাফিক জামে আটকা পড়ে সময় এটে দা ইলেভেন্থ আওয়ার...তখন হেল্পারে লাগলো ঝগড়া অন্য গাড়ীর ড্রাইভারের সঙ্গে। সে গাড়ী থেকে নেমে গাড়ী আটকে রেখে প্রতিশোধ নিয়ে তার পর আবার গাড়িতে উঠলো। এটা কেমন অসহনীয় ভাবেন তো ।সব যাত্রীর বিলম্ব হলো ।

৩১ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:০৩

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: স্যার, এত তাড়াতাড়ি কই যান ইফতার করতে? আপনার ভোগান্তির নিউজটা পড়ে খারাপ লাগছে। :(( ড্রাইভাররা একে অন্যের সাথে কঠিন প্রতিযোগিতা করে। কখনো এর জন্য প্যাসেঞ্জারের জীবন বিপন্ন হয়। আর দুই ড্রাইভারে লেগে গেলে তো কথাই নেই।

আশাকরি, আপনি সময়মতো দাওয়াতে পৌছিতে পারবেন। শুভ কামনা আপনার জন্য।

১২| ৩১ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:০২

মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: আমি শ্যাষ হইয়া গেছিরেএএএ.....:(
কার অভিসাপ(সর্প);) লাগলো!
কোথায় সেই নাগ-নাগিনী??:P



আপনার জন্য গানাঃ
তোমরা কাওকে বলোনা!
তোমরা কাওকে বলোনা!
এইতো প্রথম(বুড়োকালে) :P একটি মেয়ে আমার প্রেমে পরেছে
পাগল করেছে, আমায় জাদু করেছে!!:P

৩১ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৫:০৬

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:


তোমরা কাওকে বলোনা!
তোমরা কাওকে বলোনা!
এইতো প্রথম(বুড়োকালে) :P একটি মেয়ে আমার প্রেমে পরেছে
পাগল করেছে, আমায় জাদু করেছে!!

এজন্যই তো বলি, মন্ডল বাড়ির ছোট্ট পোলাটা এত উদাস উদাস কেরে :( :(
কোন কালনাগিনী পোলাটার মাথা খাইলো :(( :((
হে, পরওয়ার দিগার তুমি রহম কর। :)

১৩| ৩১ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩০

মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: :P:P
করেছেন কিB:-)
ও ভাই কাওসারররররররররররর...;)
গানটা তো আপনাকেই গাওয়ার জন্য দিয়েছি,
গানের নায়ক আমি নই, আপনিঃ ;)


নিন শুরু করুন। ১, ২,৩.....;)
তোমরা কাওকে বলোনা,
তোমরা কাওকে বলোনা!(ওকে মন্ডল কাউকেও বলবে না);)
এইতো প্রথম(বুড়োকালে) একটি মেয়ে আমার(কাওসার) প্রেমে পড়েছে:P
পাগল করেছে, আমায়(কাওসারকে) জাদু করেছে!!:P


বি. দ্রঃ বিশিষ্ট লেখক কাওসার ভাইয়ের বিবাহের তারিখ শীঘ্রই জানানো হইবে!!!;)

৩১ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৬

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
বিঃদ্রঃ বিশিষ্ট লেখক কাওসার ভাইয়ের বিবাহের তারিখ শীঘ্রই জানানো হইবে!!!;)

যার বিয়ে খবর নাই, মন্ডল পোলার ঘুম নাই। :( :(

তোমরা কাওকে বলোনা!(ওকে ব্লগাররা কাউকেও বলবে না);)
এইতো প্রথম(বুড়োকালে) একটি মেয়ে আমার(মন্ডল) প্রেমে পড়েছে:P
পাগল করেছে, আমায়(মন্ডল) জাদু করেছে!!:P

পোলাটার জন্য এক বালতি সমবেদনা :P :P



১৪| ৩১ শে মে, ২০১৮ রাত ৮:০৮

সোহাগ তানভীর সাকিব বলেছেন: রাস্তায় যানবাহনে যে শুধু পুলিশ চাঁদাবাজি করে তা কিন্তু। হিজড়ারাও চাঁদাবাজি করে। অশ্লীল আচরণ করে।

৩১ শে মে, ২০১৮ রাত ৮:১০

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: "হিজড়ারাও চাঁদাবাজি করে। অশ্লীল আচরণ করে।"....... তানভীর ভাই, ঠিক বলেছেন।

১৫| ৩১ শে মে, ২০১৮ রাত ৮:০৯

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
লেখাটি চমৎকার,
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
কাওসার ভাই, সত্যি আপনার
অসাধারণ পাণ্ডিত্য প্রশংসার দাবীদার।

মজারু< খোচারুঃ চমৎকার লেখাটি যাকে
উৎসর্গ করেছেন তিনি বিচক্ষণ ব্যক্তি, তিনি যানেন তিনি কি !
অবশ্য আমরাও জানি, মন্ডল বেশী জানে!
আমি চিনিগো চিনি তোমারে, ওগো পরবাসী!
মন্ডলের জন্য সমবেদনা!!

৩১ শে মে, ২০১৮ রাত ৮:১২

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: চমৎকার লেখাটি যাকে
উৎসর্গ করেছেন তিনি বিচক্ষণ ব্যক্তি, তিনি যানেন তিনি কি !
অবশ্য আমরাও জানি, মন্ডল বেশী জানে!
আমি চিনিগো চিনি তোমারে, ওগো পরবাসী!
মন্ডলের জন্য সমবেদনা!!........


তিনি জানেন, এজন্য আমাকে ধন্যবাদ দিয়েছেন।

১৬| ৩১ শে মে, ২০১৮ রাত ৯:০৬

প্রামানিক বলেছেন: উৎসর্গ ঠিক আছে, ফ্রেইজটুকু বাদ দেয়া উচিৎ হবে না। ধন্যবাদ কাওসার ভাই।

৩১ শে মে, ২০১৮ রাত ১১:৩৩

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: প্রামানিক ভাই, ফ্রেইজটুকু বাদ দেওয়ার ইচ্ছা ছিল না। কিন্তু দিতে হল। :( :(

১৭| ৩১ শে মে, ২০১৮ রাত ৯:২৫

লায়নহার্ট বলেছেন: ২য় প্রশ্ন

৩১ শে মে, ২০১৮ রাত ১১:৩৪

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: ২০০৬ সাল থেকে ইয়াবা মহামারি হিসাবে দেশের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে। তবে ২০০৯ সালের নির্বাচনের পর এমপি বদি এন্ড কোম্পনির কল্যাণে ইয়াবার বিল্লব ঘটে। এখন দেয়ালে পীট লাগায় সরকার একশনে গেছে। তবে এই একশনে কোন কাজ হবে না। মাদকের উৎস, পাচারের রুট, পুলিশ, গড ফাদার আর প্রশাসন ঠিক না হলে ক্রসফায়ারের এসব নাটক কোন কাজে আসবে না। দীর্ঘ মেয়াদে এর ফলাফল শুণ্য (০)।

আর পরিবহন চাঁদাবাজি কেমনে বন্ধ হবে? এর সাথে সরকারে দুই-তিনজন প্রভাবশালী মন্ত্রী জড়িত। শেখ হাসিনাকে এ বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। না হলে পরিবহনের বিশাল চাঁদাবাজির সিন্ডকেট ভাঙ্গা সম্ভব নয়।

১৮| ৩১ শে মে, ২০১৮ রাত ১০:১০

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: পরিবহণ সেক্টরে চাঁদাবাজি অলিখিত আইন হয়ে গেছে,আর এখন হিজড়া নামক চাঁদাবাজদের চাঁদাবাজির সম্মুখীন আমরা প্রতিদিনই হচ্ছি, এদের অশ্লীল আচরণে ভিত হয়ে অনেকেই এদের চাদা দিতে বাধ্য হয়,সাকিব ভাইয়ের সাথে আমি একমত।

৩১ শে মে, ২০১৮ রাত ১১:৩৫

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: তারেক ভাই, হিজড়াদের ব্যাপারে একটা পোস্ট দেন।

১৯| ০১ লা জুন, ২০১৮ রাত ১২:৩১

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: বাহ দারুন আয়োজন ।হাতে হাড়িকেন ধরাইয়া দেয়ার মত পোস্ট। গুরু আপনাকে অসংখ ধন্যবাদ এরকম একটা পরিবহনের
কালোবাজারিদের নিয়ে ফিচারের জন্য।

০১ লা জুন, ২০১৮ রাত ১২:৩৮

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: হাসু ভাই, শুভেচ্ছা নেবেন। আপনি খুব জনপ্রিয় একজন ব্লগার। অনেক দিন থেকে সামুতে আছেন। আমার লেখাটি আপনার ভাল লেগেছে জেনে অনুপ্রাণিত হলাম। আশীর্বাদ করবেন। আপনার জন্য অনেক শুভ কামনা রইলো।

২০| ০১ লা জুন, ২০১৮ রাত ১:৫০

মাআইপা বলেছেন:
গুরুত্বপূর্ণ একটি সমস্যা নিয়ে চমৎকার লিখেছেন।
বর্তমান সময়ে চাঁদাবাজী ভয়ঙ্কর রূপে বিস্তার লাভ করেছে।
শুভকামনা রইল।

০১ লা জুন, ২০১৮ রাত ২:৪৯

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ, ভাই। আমরা সবাই চাঁদাবাজি মুক্ত সমাজ চাই।

২১| ০১ লা জুন, ২০১৮ রাত ১:৫৭

ইব্‌রাহীম আই কে বলেছেন: পুলিশ, সন্ত্রাসী চাঁদাবাজি করে এমনটা বলা থেকে সন্ত্রাসী (পুলিশ সন্ত্রাসদেরই একটা রূপ) চাঁদাবাজি করে এটা বলাই মনে হয় বর্তমানের প্রেক্ষিতে বেশি যুক্তিযুক্ত। সন্ত্রাস চাঁদাবাজি করে ড্রাইভার, মালিকদের কাছ থেকে, আর হিজড়ারা চাঁদাবাজি করে যাত্রীদের থেকে। দিনশেষে ওদের (সন্ত্রাস-হিজড়া) পকেট ভর্তি হয় সাধারণ মানুষের অক্লান্ত পরিশ্রমের টাকা দিয়ে!

আমরা রোজা রাখছি না উপোস থাকছি?! দাদা, লেখাটা পড়ার অনুরোধ রইলো।

০১ লা জুন, ২০১৮ রাত ২:৫১

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: "পুলিশ, সন্ত্রাসী চাঁদাবাজি করে এমনটা বলা থেকে সন্ত্রাসী (পুলিশ সন্ত্রাসদেরই একটা রূপ) চাঁদাবাজি করে এটা বলাই মনে হয় বর্তমানের প্রেক্ষিতে বেশি যুক্তিযুক্ত। সন্ত্রাস চাঁদাবাজি করে ড্রাইভার, মালিকদের কাছ থেকে, আর হিজড়ারা চাঁদাবাজি করে যাত্রীদের থেকে। দিনশেষে ওদের (সন্ত্রাস-হিজড়া) পকেট ভর্তি হয় সাধারণ মানুষের অক্লান্ত পরিশ্রমের টাকা দিয়ে!"............ ইব্রাহিম ভাই, খুব গুরুত্বপূর্ণ কিছু কথা বলেছেন।

সহমত আপনার সাথে।

২২| ০৪ ঠা জুন, ২০১৮ রাত ৯:৪৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: কাওসার চৌধুরী ,



চাঁদার হরেকরকম নিয়ে সহব্লগার চাঁদগাজীকে উৎসর্গ করা পোস্টটিতে দেশের ভাগ্য যে চাঁদের আলোর মতেই ফকফকা , সন্দেহ নেই ।

০৪ ঠা জুন, ২০১৮ রাত ৯:৪৮

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: আাসলে চাঁদাবাজি ও চাঁদগাজী একসূত্রে গাঁথা!!! তবে বিষয়টি কাকতালীয়। তিনি আমার অত্যন্ত প্রিয়ভাজন ও শ্রদ্ধেয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.