নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জন্মসূত্রে মানব গোত্রভূক্ত; এজন্য প্রতিনিয়ত \'মানুষ\' হওয়ার প্রচেষ্টা। \'কাকতাড়ুয়ার ভাস্কর্য\', \'বায়স্কোপ\', \'পুতুলনাচ\' এবং অনুবাদ গল্পের \'নেকলেস\' বইয়ের কারিগর।

কাওসার চৌধুরী

প্রবন্ধ ও ফিচার লেখতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। পাশাপাশি গল্প, অনুবাদ, কবিতা ও রম্য লেখি। আমি আশাবাদী মানুষ।

কাওসার চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ছাত্র রাজনীতির মরণ নেশা।(একাল-সেকাল) :(( :(( :(( :(( [সমালোচনা] :(( :(( :(( :((

১৬ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:৩৪


ছাত্র রাজনীতি। নাম শুনলেই ভয় লাগে, আতংকিত হই। রাজনীতি তো রাজার নীতি। ছাত্রদের তো রাজা হওয়ার চান্স নেই, তাহলে সে রাজনীতি করবে কেন? আসলে তারা হলো রাজা/রানীর মসনদ চিরস্থায়ী হওয়ার গুটি বা হাতিয়ার। অথবা রাজা/রানীকে মসনদে নিয়ে যাওয়ার লাঠিয়াল। কাঁচা বয়স, শরীরে নতুন রক্তের স্রোত, হিরো হওয়ার নেশা, রঙ্গীন ভবিষ্যতের স্বপ্ন আর নেতা হয়ে প্রভাব প্রতিপত্তি অর্জন এবং মন্ত্রী/এমপি হওয়ার দিবাস্বপ্ন তাদেরকে সর্বনাশের পথে নিয়ে যায়। যে পথ যাত্রায় নেই কোন দিক নির্দেশনা, নেই কোন আদর্শ, নেই কোন দেশপ্রেমর লেশ। এ নেশার শুরু আছে কিন্তু শেষ বলে কিছু নেই। ছাত্ররা এ চক্রে একবার আটকে গেলে শত চেষ্টায়ও বের হয়ে আসতে পারে না। কখনো কখনো তাদেরকে আসতে দেওয়া হয় না! এ নেশার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ইয়াবা, ফেন্সিডিল আর কোকেইনের চেয়ে ভয়াবহ।

কোমলমতি ছাত্ররা কখনো বুঝতে পারে না তারা চ্যাম্পিয়ন এক দাবাড়ুর বাড়িয়ে দেওয়া গুটি মাত্র। যে কখনো নেতা হতে পারবে না অথবা তাকে নেতা হতে দেওয়া হবে না। কারণ নেতা হতে হলে, দেশকে নেতৃত্ব দিতে হলে যে জ্ঞান অর্জন করতে হয়, যোগ্যতা অর্জন করতে হয় তা তার নেই। যে বয়সে এসব জ্ঞান অর্জন করার কথা সে বয়সে সে রাজনীতির নামে সন্ত্রাসী, চান্দাবাজি ও গুটিবাজি শিখে। তার নেতা কখনো তাকে নেতৃত্বগুণ অর্জন করার তাগিদ দেন না বা দিতে প্রয়োজন মনে করেন না। উনারা সারাক্ষণ ছাত্রদের রাজনীতি শেখাতে ব্যস্ত থাকেন, পিকেটিং আর মিছিল-মিটিং নিয়ে ব্যস্ত রাখেন।

নেতৃত্বগুণ অর্জন করার সময় কই!

এক সময়ের প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মান ও পরিবেশ তলানিতে পৌছার জন্য ছাত্ররাজনীতির বিষক্রিয়া অনেকাংশে দায়ী। দেশের বাকি সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থাও একই। এখন এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা নিয়ে, রাষ্ট্র নিয়ে, পরিবেশ নিয়ে গবেষণা হয় না। হয় রাজনীতি নিয়ে গবেষণা আর রাজনৈতিক দলগুলোর ছাত্র সংগঠনের প্রেকটিক্যাল ক্লাস। ছাত্রীরাও কম কিসে! বিভিন্ন হলগুলোতে লেডি গুন্ডাদের তান্ডবের খবর সব সময় পত্রিকায় পাওয়া যায়। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরাই বাদ যাবেন কেন? অনেক শিক্ষক প্রকাশ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর ছাত্র সংগঠনগুলোকে তোষণ করেন। শিক্ষক সমিতির নামে রাজনৈতিক দলগুলোর এজেন্ডা বাস্তবায়ন করেন।

এ বয়সের একটা টগবগে তরুণ রাজনীতির কী বুঝে? এ সময়ে তার পড়ার টেবিলে থাকার কথা জ্ঞান অর্জনের জন্য। কিন্তু কিছু গডফাদারের স্বার্থে কোমলমতি এসব ছেলে রাজনীতির নামে সন্ত্রাসে যোগ দেয় নেতা হওয়ার আশায়, হিরো হওয়ার নেশায়। পরিণামে হয় সন্ত্রাসী, চান্দাবাজ আর বখাটে। তারা কখনো বুঝতে পারে না এসব নেতা তাকে ভবিষ্যৎ নেতা বানাতে চায় না, তাকে লাটিয়াল ও গুন্ডা বানিয় তার আখের গুছাতে চায়। একটা সময় আসে যখন ছেলেটির বয়সের সাথে বুদ্ধি পাকে, হিতাহিত জ্ঞান হয় তখন সব কিছু স্পষ্ট বুজতে পারে, কিন্তু ততোদিনে সব শেষ। পড়ালেখার বয়স শেষ, চাকরির বয়স শেষ, নেতৃত্বগুণ অর্জন করার বয়স শেষ। তখন সংসারের দায়িত্ব পালনের কোন সামর্থ থাকে না, যোগ্যতা অর্জন করা হয় না। ভুল সংশোধনের আর সময় থাকে না।

গ্রাম থেকে শহরে উঠে আসা কোমলমতি তরুণ ছেলেরা বেশিরভাগ সময় এসব নোংরা রাজনীতির শিকার হয়। নেতারা সহজে এদের দলে ভেড়াতে পারে, ইচ্ছামত ব্যবহার করতে পারে। এদের বাবা-মা অনেক স্বপ্ন নিয়ে ছেলেকে শহরে পাঠান একটি উজ্জল ভবিষ্যতের জন্য, সুশিক্ষিত হয়ে সংসারের হাল ধরার আশায় । গ্রামের এসব বেশিরভাগ পরিবারের আর্থিক সচ্ছলতা নেই। কারো বাবা স্কুল শিক্ষক, কেউ বা মুদি দোকানদার, কেউ সামান্য কৃষক, কারো বাবা অসুস্থ, কেউ হয়ত বাবা হারা; অভাবের সংসার। আবার অনেকের বাবা প্রবাসী। যত কষ্টই হোক অভিবাবকরা না খেয়ে, না পরে মাস শেষে ঠিকই তাদের ছেলেদের জন্য প্রয়োজনীয় টাকা পয়সা পাঠিয়ে দেন, যাতে আদরের সন্তানের পড়াশুনা ও থাকা খাওয়ার কোন কষ্ট না হয়। আশায় বুক বাঁধেন কখন ছেলে পড়ালেখা শেষ করে চাকরি পেয়ে পরিবারের হাল ধরবে, বাবা মায়ের মুখে হাসি ফুটাবে, ছোট ছোট ভাইবোনদের দায়িত্ব নেবে।


অনেক সময় ছাত্র রাজনীতি এসব বাবা মায়ের স্বপ্ন চুরমার করে দেয়। ছেলের গায়ে সন্ত্রাসী, চান্দাবাজ আর খুনির স্টিকার লাগে। কখনো আদরের সন্তানকে খুুন হয়ে বাড়ি ফিরতে হয়। কখনো নিজের সন্তানের খুনের আসামী হয়ে কারাগারে ঠাই হয়। কিন্তু তাদের সন্তানকে যারা খুনি বানায়, খুন করে তারা থাকে ধরা ছোয়ার বাইরে। এটা কত কষ্টের তা শুধু ভোক্তভোগী বাবা মায়েরা বুঝেন। ছাত্র রাজনীতি নামধারী এই মরণ নেশা ইয়াবা, কোকেইন, হেরোইন ও ফেনসিডিলের চেয়ে কোন অংশে কম নয়।

আগে দেখেছি ছাত্র রাজনীতিতে গ্রাম থেকে শহরে এসে ছেলেরা যোগদান করত। কিন্তু এখন রাজনীতি করতে শহরে পড়ালেখা করতে আসা ছেলেটি গ্রামে যায় রাজনৈতিক দলগুলোর এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে। দলগুলোর কত যে কমিটি আর কত যে নেতা গুনে শেষ করা যাবে না। ইদানিং ছাত্র সংগঠনগুলোর গ্রামের হাট-বাজারেও কমিটি আছে! আচ্ছা এসব হাট-বাজারে ছাত্রদের কাজটা কী? বাজারে ছাত্র সংগঠনের কমিটি থাকবে কেন? সে তো সন্ধ্যার পর বাড়িতে পড়তে বসার কথা, ছোট ছোট ভাইবোনদের পড়ালেখা দেখিয়ে দেওয়ার কথা। একটা টিউশনি করলেও তাতে ক্ষতি নেই, এতে জ্ঞান চর্চা হয়, নিজের পকেট মানি হয়। এ ছেলেকে টেনে হাট-বাজারে আনতে হবে কেন? বাজার পলিটিক্স শেখাতে হবে কেন? হোটেলে বসে আড্ডাবাজ বানাতে হবে কেন? রাজনৈতিক দাওয়া-পাল্টা দাওয়ার গুটি বানাতে হবে কেন?

কেউ কি আছেন, জবাব দেওয়ার?
............................জানি নেই।

এলাকার মানুষ যে ছেলেকে নিয়ে স্বপ্ন দেখার কথা, গর্ব করার কথা; সে ছেলেটি এই বয়সে বাজারে আসর বসায়, বাহিনী গঠন করে, মারামারি আর বেয়াদবীতে হাত পাকায়। এতে কী স্পষ্ট হয় না রাজনৈতিক দলগুলোর একটাই উদ্দেশ্য ছাত্রদের দিয়ে লাটিয়াল বাহিনী তৈরী করা; আদর্শ ও মেধাবী ছাত্র হিসেবে গড়ে তোলা নয়। রাজার আসন পাকাপোক্ত করা অথবা রাজা/রানীকে মসনদে নিয়ে যাওয়া এসব ছাত্র রাজনীতির প্রধান উদ্দেশ্য। কোন অবস্থাতে ছাত্রদের ভবিষ্যৎ সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা নয়। তারপরও ছাত্ররা খেলার চালটি বুঝে না। খেলার পরিচালকদের চিনতে পারে না। এরাই হয় তাদের আদর্শ আর ভবিষ্যৎ আইডল।

অথচ নেতা হতে হলে, দেশকে নেতৃত্ব দিতে হলে পড়ালেখার কোন বিকল্প নেই। একজন ছাত্র যে রাজনীতিবিদ হতে চায় তাকে অবশ্যই গণতন্ত্র, রাজনীতি, সমাজনীতি, অর্থনীতি, দর্শন এবং বিদেশনীতির মতো কঠিন বিষয়গুলোর উপর গভীর জ্ঞান অর্জন করা জরুরী। প্রয়োজন পৃথিবীর বিখ্যাত আদর্শবান রাজনীতিবিদদের জীবনী পড়া, তাদের কর্ম পরিকল্পনা ফলো করা, আধুনিক গনতান্ত্রিক রাষ্ট্র ও শাসন ব্যবস্থা নিয়ে পড়াশুনা করা, আধুনিক প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করা। সর্বাপরি নিজস্ব চিন্তা চেতনা ও আইডিয়া নিয়ে রাজনীতির গভীরে গিয়ে পর্যবেক্ষণ ও গবেষণা করা। তা না করে ছাত্ররা সন্ত্রাস, চান্দাবাজি আর খুন খারাবিতে হাত পাকায়। সর্টকাট পথে নেতা হতে চায়। যদিও সর্টকাট পথে কেবলমাত্র সন্ত্রাসী হওয়া যায়, নেতা নয়।

একজন ছাত্রকে ডাক্তার হতে হলে যেমন চার-পাঁচ বছর মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হয়ে থিওরী ও প্র্যাকটিকেল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ডাক্তার ও সার্জন হতে হয়। একজন ইঞ্জিনিয়ারকে যেমন চার-পাঁচ বছর ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয় পড়াশুনা করে দক্ষতা অর্জন করে সার্টিফিকেট অর্জন করতে হয়। তেমনি একজন রাজনৈতিক নেতাকেও একই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে উঠে আসতে হয়। রাজনীতি ডাক্তারী, ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মতো একটি গভীর বিষয়। এর পাঠ ঠিক মতো না নিলে দক্ষ নেতা হওয়ার কোন সুযোগ নেই। অথচ বাংলাদেশের কোন রাজনৈতিক দল এসবের তোয়াক্কা করে না। যার ফলে গড়ে উঠে মেধাহীন নেতৃত্ব। গড ফাদার, সন্ত্রাসী ও চান্দাবাজরা দেশকে নেতৃত্ব দেয়। এসব মেধাহীন অযোগ্য নেতারা সুযোগের সদ্বব্যবহার করে নিজেদের আখের গোছায়। কিন্তু দেশ ও দশের সর্বনাশ করে।


রাজনৈতিক দলগুলোর মাঝে গনতন্ত্র ও নেতৃত্বগুণের চর্চা নেই বলে সন্ত্রাসী, খুনি, চান্দাবাজ, দালাল আর মেধাহীনরা আমাদের রাজনৈতিক গুরু হয়। দশ বছর আগে যে চান্দাবাজ, সন্ত্রাসী আর খুনি ছিল দশ বছর পর সে বড় নেতা হয়, দেশকে নেতৃত্ব দেয়। অথচ যে ছেলেটি সারা জীবন কঠোর শৃঙ্খলার মধ্যে থেকে পড়াশুনা করে নেতৃত্বগুণ অর্জন করল তাকে কোন দল নেতা বানায় না। সে যাতে নেতা হতে না পারে সেজন্য হাজারো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়। পরিণামে তৈরী হয় মেধাহীন একদল নেতার। এরা রাজনীতির নামে গ্রুপিং করে, সন্ত্রাস করে, আর নামে বেনামে কোটি কোটি টাকার সম্পদের পাহাড় গড়ে। যখন প্রয়োজন ফুরিয়ে যায় তখন তরুণ এসব ছাত্রদের তারা ছুঁড়ে ফেলে দেয়।

ছাত্র রাজনীতি করা অবস্থায় যে ছাত্রটি পড়ালেখা বাদ দিয়ে গ্রুপিং, মিছিল মিটিংয়ে রাজা/রানীর বন্ধনা করে, চান্দাবাজি আর বেশী বেশী জেল খাটে; এমপি/মন্ত্রী হওয়ার পর তার দাপট অন্যদের চেয়ে বেশি হয়। উন্নয়নের নামে বেশী লুটপাট করার সুযোগ পায়। দলীয় ফোরামে বীরের মর্যাদা পায়। জনগুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন সভা সমাবেশে গলাবাজি বেশি করে। জমি দখল, খুন খারাবি থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ সব কিছুতেই নেতৃত্ব দেয়। প্রশাসনকে পাশ কাটিয়ে তিনি হয়ে উঠেন বিকল্প প্রশাসক। বিশ্ববিদ্যালয়ের লাল দল, নীল দল নামধারী মেরুদন্ডহীন কিছু শিক্ষক বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা পাওয়ার জন্য, ভিসি হওয়ার জন্য তার কৃপাদৃষ্টি চান। এ সুযোগে তিনি গড়ে তুলেন বিশাল এক সিন্ডিকেট ও লাটিয়াল বাহিনী। নিজ এলাকায় রাজপুত্রের মর্যাদা পান। তোষামোদকারী আর সন্ত্রাসীদের নয়নের মণি হয়ে উঠেন। ফুলে ফুলে ভরে উঠে তার বসার ঘর। তার পদধূলি নিতে শত শত মানুষ ছুটে আসেন, মিছিল আর তোষণে প্রকম্পিত হয় তার আঙ্গিনা। তিনি হয়ে উঠেন দেশ ও জাতির মা বাপ। জনগনের পরম বন্ধু!

উনিশ শতকের প্রথমার্ধে ছাত্র রাজনীতি বাংলার রাজনীতিতে নতুন একটি ধারার সৃষ্টি করে। তবে বিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে 'স্বদেশী আন্দোলন' ও 'অসহযোগ আন্দোলন' ছাত্র রাজনীতিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়। তখন ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন এবং জমিদারী প্রথার বিরূদ্ধে সবচেয়ে বলিষ্ঠ ভূমিকা ছিল ছাত্রদের। তবে তখন ছাত্র রাজনীতি ছিল বলেই ছাত্ররা আন্দোলন ও সংগ্রাম করে নাই; বরং সময়ের প্রয়োজনে দেশ ও জাতির স্বার্থে ছাত্ররা এগিয়ে এসেছিল। আজকের দিনেও দেশের সঙ্কটময় সময়ে ছাত্ররা এগিয়ে আসবে; এজন্য ছাত্র রাজনীতির কোন দরকার পড়বে না। পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ কোন রাষ্ট্র নায়কই নিকট অতীতে ছাত্র রাজনীতিতে হাত পাকিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনা করতে আসেন নাই। বাংলাদেশে যারা ছাত্র রাজনীতি করে উঠে এসে এমপি/মিনিস্টার হয়েছেন তাদের প্রায় সবারই ছাত্র রাজনীতির ইতিহাস মসৃণ নয়। অনেকের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ আছে।

বিংশ শতাব্দীর শুরু থেকে সাতচল্লিশে দেশ বিভাগ হওয়া পর্যন্ত উপমহাদেশের ছাত্ররাজনীতির ধারা ছিল এক রকম; আবার সাতচল্লিশ থেকে একাত্তর পর্যন্ত এ ধারাটির গতি পরিবর্তন হয়; আবার একাত্তর থেকে একানব্বই পর্যন্ত এ দেশের ছাত্র রাজনীতি ছিল বিভিন্ন ধারা উপধারায় বিভক্ত; আর এ জং ধরা ধারায় এইডসের মড়ক লাগে একানব্বই পরবর্তী গণতান্ত্রিক সরকারগুলোর আমলে; এখন তো ছাত্র রাজনীতি একটি মহামারীতে রূপ নিয়েছে। ছাত্র রাজনীতি এখন আর ছাত্রদের করতে হয় না; এর মালিকানা রাজনৈতিক দল, তাদের নেতা আর অছাত্র, বখাটে, টেন্ডারবাজ আর গুন্ডাদের দখলে। এখানে নীতি আর আদর্শের কোন স্থান নেই।

৯১ পরবর্তী বাংলাদেশের ছাত্র রাজনীতিতে আদর্শ ও দায়িত্বের গুণগত মানে ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে। এখন ছাত্র রাজনীতি চিরায়ত 'গণমুখী' ঐতিহ্য ত্যাগ করে 'ক্ষমতামুখী' আদর্শে পরিচালিত হচ্ছে। ছাত্র নেতারা এখন পদ পদবীর আশায় কলেজ/বিশ্ব বিদ্যালয়ের পরীক্ষায় ইচ্ছা করেই ফেল করেন; এতে তাদের ছাত্র জীবন দীর্ঘ হয়, পদ পদবীর সুযোগ হয়। নেতাদের পড়াশুনায় নিয়মিত হওয়ার চেয়ে ফেলটুস ছাত্র হয়ে থাকাটাই এখন অধিক মর্যদার। এতে পদ পদবীর পাশাপাশি তাদের পেশি শক্তি বাড়ে, অর্থবিত্ত বাড়ে, বড় নেতার আশীর্বাদপুষ্ট হওয়ার সুযোগ বাড়ে। হাত পাকে তদবীর বাণিজ্যে, হলে সিট বাণিজ্যেে, টেন্ডার বাণিজ্যে। ফলাফল স্বরূপ চাকরি জীবনে প্রবেশের আগেই তিনি হয়ে যান কোটিপতি নেতা।

যারা ছাত্র রাজনীতির পক্ষে সবক দেন তারা ছাত্র রাজনীতিতির অতীতের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসের কথা বলে আত্মতৃপ্তিতে ভোগেন; কিন্তু বর্তমানেে কী ছাত্র রাজনীতির সে দিনটি আছে? তা উনারা দেখতে পান না অথবা দেখলেও তা স্বীকার করেন না।


বাংলাদেশের ছাত্র রাজনীতির ইতিহাস খুব গৌরবজ্জল। মাওলানা ভাষানী, শেরে বাংলা এ. কে. ফজলুল হক, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর মত সর্বজন শ্রদ্ধেয় ও গ্রহণযোগ্য নেতারা ছাত্র রাজনীতি করেই বিশ্ব বিখ্যাত নেতা হয়েছিলেন। তাঁরা কখনো কর্মীদের হাতে অস্ত্র তুলে দেন নাই। সব সময় আদর্শের শিক্ষা দিয়েছেন। পড়ালেখা করতে উৎসাহ যুগিয়েছেন। তাঁরা রাজনীতিকে হাতিয়ার করে নিজেরা বাড়ি-গাড়ি, সহায় সম্পত্তি করেননি। তাঁদের লড়াই ছিল আদর্শের, মানুষের মুক্তি ও অধিকার আদায়ের; ভোগ ও প্রতিহিংসার নয়। এজন্য এসব নেতাদের নাম শুনলেই মানুষ শ্রদ্ধায় অবনত হত, আশ্রয় খুঁজত। তাঁদের যে কোন আহ্বানে মানুষ নির্ধিদায় ঝাঁপিয়ে পড়তেন। বায়ান্নর ভাষা আন্দোন, ঊনসত্তরের গণ আন্দোলন ও বাঙ্গালী জাতির শ্রেষ্ঠ অর্জন একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে তাঁদের আহ্বানে সাড়া দিয়ে সাধারণ মানুষ আন্দোলন গুলো সফল করেছিল। যার ধারাবাহিকতায় আমরা পেয়েছি স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ। ছাত্র রাজনীতির সোনালী সে দিন আজ শুধু স্মৃতি।

বিশেষ করে ৫২'র ভাষা আন্দোলন; ৫৪’র যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন; ৬২'র হামিদুর রহমান শিক্ষা কমিশনের বিরুদ্ধে আন্দোলন; ৬৬'র ঐতিহাসিক ৬ ও ১১ দফা; ৬৯'র গণঅভ্যুত্থান; ৭০'র নির্বাচন; ৭১'র মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জনসহ প্রতিটি ঐতিহাসিক বিজয়ের প্রেক্ষাপট তৈরি ও আন্দোলন সফল করার ভ্যানগার্ড হিসেবে তৎকালীন ছাত্রছাত্রীদের ভূমিকা অপরিসীম। পরবর্তীতে ৯১'র স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনেও এদেশের ছাত্র রাজনীতির রয়েছে গৌরবোজ্জ্বল ঐতিহাসিক ভূমিকা।

তবে, এখন এগুলো কেবলই স্মৃতি।

আমরা রাষ্ট্র হিসেবে এসব তরুনদের কী সঠিক দিক নির্দেশনা দিতে পেরেছি? তাদের প্রয়োজনীয় বিনোদন দিতে পেরেছি? কর্মসংস্থান করতে পেরেছি? নিয়োগ বাণিজ্য বন্ধ করতে পেরেছি? চরম বৈষম্যমূলক কোটা ব্যবস্থা সংস্কার করতে পেরেছি? কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ দিতে পেরেছি? দেশের যোগ্য নেতৃত্বগুণ অর্জন করার সুযোগ করে দিতে পেরেছি? রাজনীতি বাদ দিয়ে পড়াশুনায় মনোযোগ দিতে বাধ্য করেছি? যে সকল নেতা রাজনীতির নামে গ্রুপিং আর সন্ত্রাসে জড়িত তাদের রাজনীতি থেকে দূরে রাখতে পেরেছি? যারা রাজনৈতিক দলের নামে বিভিন্ন লুটপাট আর ধান্দাবাজিতে ব্যস্ত তাদের বিচারের সম্মুখিন করতে পেরেছি? উত্তর হল, না। রাষ্ট্র হিসাবে আমরা তা পারিনি। রাষ্ট্র হিসেবে এগুলো ব্যর্থতা নয় কী?

পড়াশুনার তাগিদে বেশ কয়েক বছর লন্ডনে থাকায় সে দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর কার্যক্রম কাছে থেকে দেখেছি। পর্যবেক্ষণ করেছি। কয়েকবার পার্লামেন্ট ইলেকশনে ভোট দিয়েছি। সেখানে ছাত্র রাজনীতি নামক কোন বস্তুর অস্তিত্ব নেই। নেই রাজনৈতিক দলগুলোর শাখা, প্রশাখা, উপশাখা। তরুণরা ভুলেও রাজনীতি নিয়ে ভাবে না, সরাসরি রাজনীতি করা তো অনেক পরের কথা। যারা রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে আগ্রহী, ভবিষ্যতে পলিটিশিয়ান হতে চায় তারা কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনীতি সম্পৃক্ত বিষয় নিয়ে পড়াশুনা করে, লেখালেখি করে, গবেষণা করে। গনতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থার নতুন নতুন আইডিয়া উদ্ভাবন করে। ছাত্রাবস্তায় এদের কোন পরিচিতি থাকে না। এমনকি এমপিদেরও অনেকে চেনে না। দলগুলো নমিনেশন দেওয়ার আগে প্রার্থীর অতীত ইতিহাস যাচাই করে। কোন ক্রিমিনাল অফেন্স আছে কিনা নিশ্চিত হয়। ছাত্র জীবনের অর্জনগুলোকে মূল্যায়ন করে। সবশেষে যদি মনোনয়ন বোর্ড তাকে যোগ্য মনে করে তাহলে প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করে। এখানে নেই কোন স্বজনপ্রীতি, নেই কোন পারিবারিক দাপট, নেই টাকার খেলা। এজন্য দলের মনোনীত পার্থীকে ভোটাররা বিশ্বাস করে। প্রার্থীকে চেনার কোন প্রয়োজন মনে করে না।

তাই তরুনদের প্রতি অনুরোধ যারা বুঝে অথবা না বুঝে ছাত্র রাজনীতি করেন, আশা করি নিজে থেকে বিষয়টি নিয়ে একটু গভীর মনযোগ সহকারে ভাববে। ভাল মন্দ বিচার করার যোগ্যতা তোমাদের নিজে থেকে অর্জন করতে হবে। আমার বিশ্বাস তোমরা তা পারবে। এখনই সতর্ক না হলে রাষ্ট্র নামক সন্ত্রাসের ড্রাগটি তোমাদের গিলে ফেলবে, ধ্বংস করে দেবে তোমাদের সুন্দর ভবিষ্যতের স্বপ্ন। রাজা/রানীর ক্ষমতা ঠিকয়ে রাখতে এসব সন্ত্রাসী গ্রুপ লিডারদের রাজনৈতিক দলগুলোর খুব প্রয়োজন। এজন্য দলগুলো তাদের নেতা বানায়, তোয়াজ করে ও হিরোর সম্মান দেয়। দলগুলো এসব গড ফাদারদের লাটিয়াল হিসাবে তোমাদের ব্যবহার করে, নেতা বানাতে নয়।

রাজনৈতিক দলগুলো ছাত্রদের নেতা বানাতে চায় না, পিকেটার বানায়। হলগুলোতে শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করতে চায় না, দখল করতে শেখায়। ভদ্রভাবে কথা বলতে শেখায় না, মিথ্যা গলাবাজি শেখায়। স্বাধীনভাবে চিন্তা করতে শেখায় না, দলকানা বানায়। হাতে কলম তুলে দেয় না, অস্ত্র চালাতে শেখায়। সমাজকর্মী বানায় না, চান্দাবাজি শেখায়। নীতি ও আদর্শ শেখায় না, সন্ত্রাসের পাঠ শেখায়। সমাজের সবাইকে নিয়ে চলতে শেখায় না, অন্য মত ও পথকে কঠোর হস্তে দমন করতে শেখায়। দেশপ্রেম শেখায় না, লুটপাট শেখায়। সত্যিকারের মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ করে না, মিথ্যা চেতনা আর মিথ্যা ইতিহাস শেখায়। সত্যবাদিতার শিক্ষা দেয় না, মিথ্যা মিথ্যা আশ্বাস দিতে শেখায়। ফলশ্রুতিতে এতো এতো প্রেকটিক্যাল পরীক্ষা দিতে দিতে পরিণত বয়সে ছাত্রটি হয়ে উঠে দক্ষ পলিটিশিয়ান, পাকনা গুটিবাজ।।



ফটো ক্রেডিট,
গুগল।

চাইলে পড়তে পারেন-
আমার সবচেয়ে পঠিত, লাইক ও কমেন্ট প্রাপ্ত পোস্ট।
সবচেয়ে পঠিত প্রবন্ধ।
আধুনিক কবিতার পাঠ (সমালোচনা)
আলোচিত ফিচার 'দি লাঞ্চিয়ন'।
ব্রিটেনের প্রবাস জীবন- স্মৃতিকথা।
সবচেয়ে পঠিত গল্প।
সবচেয়ে লাইকপ্রাপ্ত গল্প।
ছবি ব্লগ (লন্ডনের ডায়েরি-১)।

মন্তব্য ৬২ টি রেটিং +১৬/-০

মন্তব্য (৬২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:০৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় কাওসারভাই,

ভীষণ খুশি হয়েছি অনেকদিন পরে পোষ্ট পেয়ে। এখন অল্প পড়ে উত্তর দেবো। প্রচ্যের অক্সফোর্ড বলে নয়, গোটা উপমহাদেশে ছাত্র রাজনীতি একটা কৌলিন্য পাচ্ছে। এখনকার রাজনৈতিক নেতাদের যোগ্য সংস্পর্শে ছাত্রদের আর চুল সাদা করে প্রতিষ্ঠীত হতে হচ্চেনা। তার অনেক আগেই তারা জীবনে প্রতিষ্ঠা পাচ্ছে । মাঝে মাঝে কিছু উটকো পুলিশী ঝামেলা আসে ঠিকই কিন্ত দাদারা সব সামলে নেয়। কাজেই তারা মনদিয়ে বোমাবাজিটা রপ্ত করে। দাদার বেশি কাছে আসতে গেলে এটাই তাদের সেরা উপহার। য়ুগ এগিয়ে গেছে। ওরা অহেতুক কেন পুরানো পথে হেঁটে জীবনকে পাকিয়ে ফেলবে। সেদিকদিয়ে খুব কম সময়ে উল্কার বেগে উন্নতিতে সামিল হতে গেলে এটাইতো বর্তমানে আদর্শ রাস্তা ।

আমি বাংলাদেশ তথা উপমহাদেশের শ্রদ্ধেয় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের প্রতি সম্পূর্ণ শ্রদ্ধা রেখেই বলছি, যে রাজনৈতিক অবক্ষয়তা সমাজকে গিলে ফেলেছে তার হাত থেকে রেহাই পাওয়ার উপায় কোথায়। ছাত্ররা সমাজের অংশ। আগমীর নাগরিক, তাদের এভাবে ব্যবহারে সমাজের পতন অবশ্যম্ভাবী।
( কাল আবার আসবো)

অনেক অনেক শুভকামনা আপনাকে।

১৭ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:৩৫

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:


শুভেচ্ছা রইলো, প্রিয় ভাইকে প্রথম মন্তব্যে পাওয়ার জন্য খুব ভাল লাগছে। আপনি ঠিকই বলেছেন, শুধু বাংলাদেশ নয় গোটা উপমহাদেশের ছাত্র রাজনীতি আজ মহামারি আকারে বিস্তার করছে। সর্টকার্ট পথে আখের গোছানোর উত্তম পথ হলো ছাত্র রাজনীতি।

"বিশ শতকের গোড়ার দিকে পাশ্চাত্য শিক্ষায় শিক্ষিত মধ্যবিত্ত শ্রেণীর জাতীয়তাবাদী আন্দোলন ছাত্রদের সক্রিয় রাজনীতিতে অংশগ্রহণে প্রণোদনা জোগায়। জাতীয় রাজনীতিতে অংশগ্রহণ সত্ত্বেও ১৯২৮ সালে কংগ্রেসের উদ্যোগে নিখিল বঙ্গ ছাত্র সমিতি গঠিত হওয়ার আগে বাঙালি ছাত্রদের কোনো নিজস্ব সংগঠন ছিল না। এ সংস্থার সভাপতি ও সম্পাদক ছিলেন যথাক্রমে প্রমোদ কুমার ঘোষাল এবং যাদবপুর (জাতীয়) ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ছাত্র ও ছাত্র পত্রিকার সম্পাদক বীরেন্দ্রনাথ দাসগুপ্ত। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পন্ডিত জওহরলাল নেহরু, আর অতিথি বক্তা ছিলেন সুভাষচন্দ্র বসু। সংস্থার গঠনতন্ত্রের কাঠামো ছিল কংগ্রেসের আদলে তৈরি। একটি কেন্দ্রীয় কাউন্সিল ও ১৯ সদস্যের কার্যনির্বাহী কমিটি নিয়ে সমিতির কাঠামো গঠিত হয়। গঠনতন্ত্রে উল্লিখিত না থাকলেও কার্যত নিখিল বঙ্গ ছাত্র সমিতি ছিল কংগ্রেসের ছাত্রফ্রন্ট।

বিশ শতকের বিশের দশকের রাজনীতিতে মুসলিম ছাত্রদের অংশগ্রহণ প্রায় ছিলই না। মুসলিম অভিভাবক ও নেতারা তাদের রাজনীতি থেকে দূরে রাখার পক্ষপাতী ছিলেন। তা সত্ত্বেও কংগ্রেসের উদ্যোগে গঠিত নিখিল বঙ্গ ছাত্র সমিতির দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে ঢাকা শহরের কয়েকজন মুসলিম বুদ্ধিজীবী নিজেদের একটি ছাত্রসংগঠনের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করেন। ফলত ১৯৩০ সালের ১২ জুলাই ঢাকায় অনুষ্ঠিত মুসলিম ছাত্রদের একটি সম্মেলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শহীদুল্লাহ্কে একটি মুসলিম ছাত্র সমিতি গঠনের দায়িত্ব দেয়া হয় এবং ১৯৩২ সালে নিখিলবঙ্গ মুসলিম ছাত্র সমিতি প্রতিষ্ঠিত হয়। রাজনীতিতে অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকা ছিল এ ছাত্রসংগঠনের ঘোষিত নীতি। ইতঃপূর্বে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য লে. কর্নেল এইচ সোহরাওয়ার্দী মুসলিম ছাত্রদের রাজনীতি থেকে দূরে থাকার আহবান জানিয়েছিলেন।

কিন্তু মুসলিম ছাত্রদের এ সংগঠনটি আসলে মুসলিম রাজনৈতিক নেতারাই পরিচালনা করতেন এবং তাদের নানা দল-উপদল এটি নিয়ন্ত্রণ করতে চাইত। এভাবেই অভিন্ন সংগঠনভুক্ত হওয়া সত্ত্বেও টেইলর হোস্টেল ও কারমাইকেল হোস্টেলের ছাত্ররা যথাক্রমে মুসলিম লীগ ও কৃষক-প্রজা পার্টি এ দুটি রাজনৈতিক দলের অনুগামী হিসেবে বিভক্ত হয়ে পড়ে। ১৯৩৭ সালে সাধারণ নির্বাচনকালে এ ধারা আরও ঘনীভূত হয়। মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ১৯৩৭ সালে গঠন করেন অল ইন্ডিয়া মুসলিম স্টুডেন্টস ফেডারেশন এবং ওই বছরই কলকাতায় এর বঙ্গীয় শাখা প্রতিষ্ঠিত হয়। অবশ্য ১৯৩৭ সালের নির্বাচনের আগে খুব কমসংখ্যক মুসলিম ছাত্রই এসব রাজনৈতিক সংগঠনে আগ্রহী ছিল।

কিন্তু ১৯৩৭ সালের নির্বাচনের পর এবং জিন্নাহর নেতৃত্বে বাংলায় মুসলিম লীগের বিস্তার ঘটলে ছাত্ররা মুসলিম লীগ নেতাদের অনুগামী হয়ে ওঠে। কলকাতায় ইস্পাহানি ও ঢাকায় খাজাদের ভবনগুলি ছাত্রদের ওপর মুসলিম লীগের নিরঙ্কুশ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার কেন্দ্রে পরিণত হয়। ১৯৩৮ সালে বাংলায় অল ইন্ডিয়া মুসলিম স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের নতুন নামকরণ হয় অল বেঙ্গল মুসলিম স্টুডেন্টস লীগ। পুনর্গঠিত এ সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ছিলেন যথাক্রমে ঢাকার আবদুল ওয়াসেক ও যশোরের শামসুর রহমান। এ মুসলিম স্টুডেন্টস লীগই পূর্ববাংলার মুসলিম ছাত্রদের ব্যাপকভাবে রাজনীতিতে আকৃষ্ট করে। ঢাকার নবাব ছিলেন সংগঠনের পৃষ্ঠপোষক। মুসলিম স্টুডেন্টস লীগই পাকিস্তান আন্দোলনে ছাত্রদের ব্যাপক যোগদান নিশ্চিত করেছিল।"

শুভ রাত্রি।

২| ১৭ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:০৯

স্রাঞ্জি সে বলেছেন: কাওচার ভাইয়া প্রিয়তে নিলাম ।

ছাত্রত্ব থেকেই রাজনীতির ছোবলে পড়ে ছাত্ররা আজ বিপদাপন্ন।

১৭ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:৩৮

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ, প্রিয় ভাই। শুভেচ্ছা রইলো। লেখাটি প্রিয়তে নিয়েছেন জেনে ভাল লাগলো।

৩| ১৭ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:৪৩

অচেনা হৃদি বলেছেন: আর্টিকেলটা ভালো হয়েছে, পড়ে তো আপাত নিরপেক্ষ বিশ্লেষণ বলে মনে হচ্ছে । আশা করি আজকের এই পোস্টে আবার ক্যাচাল লেগে যাবে না । ;)

১৭ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:৫৩

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:


ধন্যবাদ, আপু। আমিও চাই না কমেন্টে কোন ক্যাচাল হোক; গঠনমূলক আলোচনা হলে ভাল লাগে। ব্লগে বিষয়ের বাইরের কোন টপিক নিয়ে আলোচনা হলে মূল বিষয়টির গুরুত্ব কমে যায়। আমি চেষ্টা করি নিরপেক্ষ পোস্ট করার; গঠনমূলক সমালোচনা করার। চমৎকার কমেন্টের জন্য আবারো ধন্যবাদ।

শুভ রাত্রি।

৪| ১৭ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১:০৭

শাহিন বিন রফিক বলেছেন:



আমার ছাত্র রাজনীতি ভাল লাগে কিন্তু এরকম অমানুষ ছাত্র রাজনীতি না। আমি ছাত্র রাজনীতি কম হলেও করেছি, কখনও কাওকে একটি ধমক দিয়েছি বলে মনে পড়ছে না।

আপনার লেখা বরাবরের মত খুবই ভাল হয়েছে।

আর একটি অনুরোধ, ক্যাচালে যাবেন না। অনেকে উন্নতি সহ্য করতে পারে না।

১৭ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১:১৭

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



শাহীন ভাই, এইমাত্র আপনার ব্লগ ঘুরে আসলাম। ফিরেই আপনার নটিফিকেশন পেলাম। আপনাকে দেখে তো ৬০-৭০ দশকের ছাত্র নেতা মনে হয় B-)। আপনি যে একজন ভদ্র রাজনৈতিক কর্মী ছিলেন তা আপনার কমেন্ট পড়েই বুঝতে পারি। এখনো কিছু আদর্শবান ছাত্র নেতা আছেন, তবে এরা সংখ্যায় এতো কম যে পেশীওয়ালাদের দাপটে টিকতে পারেন না। একটা সময় এই আদর্শগুলো ঠিকতে না পেরে হারিয়ে যায়।

শাহীন ভাই, আমি ক্যাচাল মোটেও পছন্দ করি না। আশা করি এমনটা আর হবে না।

শুভ রাত্রি, শাহীন ভাই।

৫| ১৭ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১:২৬

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
মিথ্যা প্রতারনা আর গুজব নির্ভর আন্দোলন কখনো সফল হয় না।
কোটাধারিরা মেধবী নয় কোটাবিহীনরা মেধাবী

৬ লাখ আবেদনকারি। জিপিএ প্রিলিমিনারি, সেকেন্ডারি এরপর ভাইবা দিয়ে ১০০ জন প্রাথমিক নির্বাচিত। প্রথমে চাকুরি হবে ৪০ জনের, বাকিরা ওয়েটিংয়ে। এখন কোটার প্রশ্ন।
এই ১০০ ভেতর ১০ জন মেয়ে, ১ জন চাকমা, ৩ জন মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের।
আন্দোলনকারিদের মুল দাবী এই ১৪ জন অ-মেধাবী, প্রথম ৪০ জন ভেতর এদেরকে নেয়া যাবে না।

অতচ এই ১০০ জন সবাই জিপিএ ৫, এমসিকিউ তে ১০০ তে ১০০ নম্বর পাওয়া প্রত্যেকেই সমান। এলফাবেটিক্যাল একটা তালিকা থাকলেও হিসেবে সবাই সমান।

আমার বিবেচনায় কোটা প্রথা যদি নাও থাকে এই ১৪ জনকে আগে নিয়ে তারপর বাকি ২৬ জন নেয়া উচিত।
আপনার বিবেচনা কি বলে?

১৭ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১:৪৪

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



হাসান ভাই, বিষয়টি বুঝতে বেশ কয়েকবার পড়লাম। প্রথমে একটু জটিল মনে হলেও পরে সহজ হয়েছে। এক্ষেত্রে আমার বক্তব্য হলো, ১ জন চাকমা, ৩ জন মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তানকে অগ্রাধিকার দেওয়া; আর ১০ জন মহিলা কোটাধারীকে কমিয়ে সংখ্যাটি ৩-এ নিয়ে আসা। কারণ, এখন মেয়েরা কোটা প্রথায় ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। এজন্য বিসিএসে মেয়েদের কোটা তুলে দেওয়া হোক।

সর্বাপরি, মুক্তিযুদ্ধা কোটা কমিয়ে আনা উচিৎ। উপজাতি কোটা থাকলে ভাল; তবে জেলা কোটা ও মহিলা কোটা বাতিল করলে ভাল হয়।

শুভ রাত্রি, হাসান ভাই।

৬| ১৭ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১:৪০

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: যতদিন বিপর্যয় না হবে ততদিন ছাত্র রাজনীতি বন্ধ হবে না। এখন যত খুন, হত্যা, মারামারি হয় সবাই সাধারণ পরিবারের ছাত্র। যেদিন হেভিওয়েট নেতাদের ছেলে মেয়েরা খুন হবে, লাঞ্চিত হবে সেদিনই নেতারা বলবেন ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করতে। ছাত্র নেতারা যদি একটু ভাবত কেন কোন বড় নেতার ছেলে মেয়ে রাজনীতি করছে না, কেন তাদের ছেলে মেয়ে বাইরে পড়ছে তাহলে বোধোদয় হত তাদের। এ ব্যপারে সুপ্রীম কোর্টও স্বপ্রনোদিত হয়ে রুল জারি করতে পারে। এছাড়া সব সময় যেটা বলি নপুংসক ভিসিগুলো এক হয়ে বলতে পারে ক্যাম্পাসে রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে। ২/১ টা অমানুষের(যে প্রাণীর নাম নিলে মুখ নাপাক হয় সেটা পড়ুন) বাচ্চা বলবে, ছাত্র রাজনীতির দরকার আছে, ঐতিহ্য আছে ব্লা ব্লা ব্লা, তবুও সব নপুংসক ভিসি ও বুদ্ধিবেশ্যারা এক হয়ে বললে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ হবেই...

১৭ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১:৫৬

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



"যেদিন হেভিওয়েট নেতাদের ছেলে মেয়েরা খুন হবে, লাঞ্চিত হবে সেদিনই নেতারা বলবেন ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করতে। ছাত্র নেতারা যদি একটু ভাবত কেন কোন বড় নেতার ছেলে মেয়ে রাজনীতি করছে না, কেন তাদের ছেলে মেয়ে বাইরে পড়ছে তাহলে বোধোদয় হত তাদের।"

আমিও একমত আপনার সাথে; নেতা নামধারী গুন্ডাদের ছেলে মেয়েদের আইন করে এ দেশের কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে বাধ্য করতে হবে; মিছিলে, পিকেটিংয়ে এদেরকে সামনের লাইনে থাকতে হবে; তখন দেখা যাবে নেতাদের বুকের পাটা কত শক্ত।

"এছাড়া সব সময় যেটা বলি নপুংসক ভিসিগুলো এক হয়ে বলতে পারে ক্যাম্পাসে রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে। ২/১ টা অমানুষের(যে প্রাণীর নাম নিলে মুখ নাপাক হয় সেটা পড়ুন) বাচ্চা বলবে, ছাত্র রাজনীতির দরকার আছে, ঐতিহ্য আছে ব্লা ব্লা ব্লা, তবুও সব নপুংসক ভিসি ও বুদ্ধিবেশ্যারা এক হয়ে বললে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ হবেই"?

এই চামচা মেরুদণ্ডহীনরা মনে হয় না এক হয়ে কখনো বলতে পারবে, আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের আঙিনায় কোন ছাত্র রাজনীতি চলবে না!!! কারণ, সরকার মেরুদণ্ডহীনদেরই বেছে বেছে নিয়োগ দেয়ে যাতে সরকারের চাটুকারিতা করতে করতে মুখে ফেনা উঠে!! তবে, এমন ভিসির অপেক্ষায় রইলাম B:-)

শুভ রাত্রি, ভাই।

৭| ১৭ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ২:২৫

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: কোটা নিয়ে আমি একটি পোষ্ট দিয়েছি, কোটা ইস্যু এটি মাথায় এক ধরনের যন্ত্রনা দিচ্ছিলো তাই লিখে কিছুটা মনের শান্তি বা নিজেকে নিজে প্রবোধ দেওয়া - এই আর কি ? আমার বা আমাদের পরিবারের কোটা বা তদবীরের প্রয়োজন নাই আর তাই আমরা আন্দোলনেও নাই ।

১৭ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ২:৩২

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



প্রিয় ঠাকুরমাহমুদ ভাই, আপনার লাস্ট দুইটি পোস্ট পড়া হয়নি। সময় সুযোগে পড়ে ফেলবো। কোটা নিয়ে আমারও একটি লেখা ব্লগে আছে। আশা করবো, সরকারের শুভ বুদ্ধির উদয় হবে। ছাত্রদের ন্যায্য দাবী মেনে কোটা সংস্কার করবে। আমরা ছাত্রদের মাঠে ময়দানে আন্দোলন করতে দেখতে চাই না; তাদেরকে দেশ গঠনে সহযোগী দেখতে চাই।

৮| ১৭ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৩:৩৬

রাকু হাসান বলেছেন: আমাদের মানসিকতার পরিবর্তন করা দরকার । নীতি নির্ধারকদের ভূমিকা খুব দরকার । কিন্তু এমন উদার মনের নেতা কি আমাদের আছে ? যে সাহসী কাজ টা করে দিবে । পাছে ভয় শুধু তাদের ,ছাত্রদের এভাবে রাখলেই মুনাফা বেশি । আপনার লেখাটা আমার খুব ভাল লেগেছে ভাইয়া +++ । আমার দ্বিমত করার সুযোগ রাখেন নি । আমাদের দেশে এই প্রবণতা প্রকট ,কবে সে দিন আসবে যে দিন ছাত্র পড়ার টেবিল বা গভেষণা কক্ষ টা কে প্রধান বিচরণ ক্ষেত্র বলে ধারণ করবে । জানি বেঁচে থাকা পর্যন্ত দেখে যেতে পারবো কিনা । আমি কোন আশার আলো দেখছি না । তবু আশাবাদী

১৭ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:৪৯

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



"গবেষণা কক্ষ টা কে প্রধান বিচরণ ক্ষেত্র বলে ধারণ করবে । জানি বেঁচে থাকা পর্যন্ত দেখে যেতে পারবো কিনা । আমি কোন আশার আলো দেখছি না।"

প্রিয় রাকু হাসান ভাই, দারুন কিছু কথা বলেছেন। তবে এ জন্মেে ছাত্র রাজনীতির বিলুপ্ত হবে বলে মনে হয় না।

৯| ১৭ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:৪৮

রাজীব নুর বলেছেন: বহুদিন পর আপনার পোষ্ট পেলাম।
খুব ভালো লাগছে।


ছাত্র রাজনীতির কোনো দরকার নাই আমাদের দেশে।

১৭ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:৫৫

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



প্রিয় রাজীব ভাই, শুভেচ্ছা নেবেন। আমরা চাই ছাত্র রাজনীতি আইন করে বন্ধ করা হোক। না হলে দেশের ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব মেধাশূন্য হয়ে যাবে। আমরা এমন নেতা দেখতে চাই না।

১০| ১৭ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:০০

ময়না বলেছেন: ছাত্র রাজনীতির সংজ্ঞা এখন পাল্টে গেছে। যার হাত ধরে অতীতে অনেক বড় বড় অর্জন সম্ভব হয়েছিল তা এখন ইতিহাস মাত্র। সে নীতির সাথে এখনকার ছাত্র রাজনীতির কোন মিল নেই। আগে পরিচয় দিতে ছাত্ররা গর্ববোধ করতো, আর এখন সাধারন মানুষেরও ঘৃণা হয় এমন রাজনীতির সাথে জড়িত ছাত্রদের দেখে। আজকের ছাত্ররা আগামির ভবিষ্যৎ, আর ভবিষ্যতের নমুনা যদি এই হয়, তাহলে সবার কপালে দুঃখ আছে।

১৭ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:৫৯

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



বর্তমান প্রেক্ষাপটে ছাত্র রাজনীতি আমাদের দেশ ও জনগণের সামনে দেখা দিয়েছে সম্পূর্ণ ভিন্ন আঙ্গিকে। জনগণ এখন আর ছাত্র নেতাদের আগের মতো সম্মান করে না। ছাত্র রাজনীতিকেও জনগণ সহজভাবে ও ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখছে না। জনগণ ছাত্র রাজনীতির প্রতি ভীতশ্রদ্ধ হয়ে উঠেছে। এর কারণ কী? তরুণ ও মেধাবী ছাত্ররা আজকে কেন রাজনীতিবিমুখ হয়ে যাচ্ছে? কিছু শিক্ষাঙ্গনে আজকে কেন লিখে দেয়া হচ্ছে ‘ছাত্র রাজনীতি মুক্ত’? বর্তমান বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি বলে, ছাত্র রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হওয়ার মাধ্যমে একজন ছাত্র নিজের জীবনকে ঝুঁকিপূর্ণ, নিজেকে সন্ত্রাসী বা চোরাকারবারির বা অন্যের হাতের ক্রীড়নক হিসেবে গড়ে তোলে।

বর্তমানে ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছাত্রদের সাধারণ মানুষ আদর্শহীন, চরিত্রহীন, অর্থলোভী, মাস্তান, চাঁদাবাজ, অস্ত্রবাজ, মূর্খ সর্বোপরি সমাজের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর মানুষ বলে মনে করেন। কিন্তু এ কথাও সত্য এবং ইতিহাস দ্বারা প্রমাণিত, ছাত্র রাজনীতির মাধ্যমেই রাজনৈতিক ব্যক্তিদের প্রাথমিক ভিত তৈরি হয়েছে এবং আদর্শবান ছাত্র নেতারাই রাজনৈতিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন। সেই ৫২, ৬২, ৬৯, ৭১, ৯০-এর ঐতিহ্য আজ অনুপস্থিত। ইচ্ছা করলেই ভাষা আন্দোলন, ছয় দফা, মুক্তিযুদ্ধের মতো আবেগী অনুষঙ্গ আজকে তৈরি করা যাবে না। বর্তমান সময়ের অনুষঙ্গ নতুন, ক্ষেত্রবিশেষ অতীতের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। সাম্প্রদায়িকতা, জঙ্গিবাদ, দুর্নীতি, বিচারহীনতার সংস্কৃতি, মত প্রকাশের বাঁধা, বেকারত্ব, হত্যা, খুন, মাদক, ধর্ষণ, নারী নির্যাতনের মতো ইস্যুগুলো এ দেশের স্বাধীনতার মূল চেতনা তৈরির পথে প্রধান বাধা হিসেবে জগদ্দল পাথরের মতো আমাদের সমাজের ওপর চেপে বসছে। এর থেকে মুক্তির জন্য আজকের ছাত্র সমাজ কেন ভূমিকা রাখতে পারছে না।

১১| ১৭ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:৪৮

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমাদের দেশের অনেক নোংরা কালচারের একটা হলো এই ছাত্র রাজনীতি। স্টুডেন্ট ইউনিয়ন পৃথিবীর সব বিশ্ববিদ্যালয়েই আছে। তবে তারা মেইনস্ট্রীম পলিটিক্স এর লেজুরবৃত্তি করে না। আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংসের অন্যতম প্রধান কারন এই ছাত্র রাজনীতি।

ভালো লিখেছেন।

১৭ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১২:১১

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



আপনি ঠিকই বলেছেন, স্টুডেন্ট ইউনিয়ন পৃথিবীর সব দেশে আছে; কিন্তু এর সাথে পলিটিক্যাল দলগুলোর কোন যোগসাজোশ নেই।

কিন্তু বর্তমান ছাত্র রাজনীতিতে আমরা কি দেখতে পাই, বছরের পর বছর কোনো প্রতিষ্ঠানে ছাত্র সংসদ নাই, থাকলেও নির্বাচন হয় না, লেখাপড়া ছেড়ে অর্থের লোভে, হল দখল, টেন্ডারবাজি, ভোট কেন্দ্র দখল, মাঠ-জমি-বাড়িঘর সহ চর দখলের কাজে ছাত্ররা রাজনীতির স্থলে অপ্রাপ্ত বয়সে পেট নীতি ও দলীয় ক্যাডার গুন্ডাবাহিনী হিসেবে কাজ করছে, যার অনেক নজির রয়েছে। এমনকি অনেক ছাত্র নেতা আইন হাতে তুলে নিয়ে মানুষ খুন করতেও দ্বিধা করে নাই। তিনি আরও বলেন বিবাহিত হলে সে আর ছাত্ররাজনীতি করতে পারবে না কিন্তু প্রতিবেদক তুমি কি সঠিক পরিসংখ্যান দিতে পার কতজন ছাত্র নেতা অবিবাহিত? তুমি হয়তো জান না যে, ছাত্রনেতারা কমপক্ষে ষাট ভাগ বিবাহিত ও চলি্লশ ভাগের বেশি সন্তানের জনক-জননী। আগের যুগে ছাত্র নেতারা উপদেশ দিত ছাত্র ভাই-বোনেরা ভালভাবে পড়াশুনা করবে, একে অপরের সঙ্গে কলহ-বিবাদে জড়াবে না।

এখন তেমনটি দেখা যায় না, শিক্ষাঙ্গনে অস্থিরতা শুরু হওয়া মাত্রই দেখা যায় অস্ত্রের মহড়া ও ঝনঝনানী। আগের দিনে মা-বাবাদের কোনো চিন্তা ছিলনা কখনও তাদের সন্তানকে নিয়ে কিন্তু এখনকার ছাত্র রাজনীতিতে সন্তান সুস্থ শরীরে জীবন নিয়ে বাড়িতে আসবে না লাশ হয়ে ঘরে ফিরবে এ দুশ্চিন্তায় অভিভাবকদের সময় কাটতে চায় না। ছাত্র রাজনীতিতে প্রতিহিংসার কারণে অনেক মায়ের কোল খালি হয়েছে, অনেক মেধাবী ছাত্রের বুক বুলেট ও ভারি অস্ত্রের আঘাতে অকালে ঝাঝড়া হয়েছে। এমনটি অতীতে কখনো ছিল না।

১২| ১৭ ই জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৭

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: দারুন বিশ্লেষনী লেখায় মুগ্ধ ভাললাগা :)

অসাধারন নৈপুন্যে গহন গভীরে গিয়ে মুল পয়েন্টগুলো চিহ্নিত করেছেন।

আমার মাঝে মাঝে মনে হয় একটা পূর্ণতর বিপ্লব ছাড়া এই পচন ধরা ব্যবস্থার
বদল কিছূতেই হবে না। শুধু নাম আর চেহারা বদলাবে মাত্র!
কিন্তু সেই আহবায়ক কই?

পোষ্টে +++++++


১৮ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:২৯

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ, প্রিয় বিদ্রোহী ভৃগু ভাই। আমি নতুন প্রজন্মের মানুষ। টুকটাক লেখালেখি করি বলে দায়িত্ববোধ থেকেই এ বিষয়টি নিয়ে লেখতে চেষ্টা করেছি। সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি বিষয়টির গভীরে যাওয়ার; নতুন প্রজন্ম এখন দিশেহারা, নেই কোন নেতা, নেই কোন ভবিষ্যৎ দিশা, নেই কোন গাইডলাইন। এটা আমাকে আহত করে, পীড়া দেয়।

আপনি একজন গুণী কবি, এত লম্বা একটি লেখা মনযোগ দিয়ে পড়েছেন জেনে খুশি হলাম। অনেক শুভ কামনা আপনার জন্য।

শুভ রাত্রি ।

১৩| ১৭ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:২৯

প্রামানিক বলেছেন: হঠাৎ করে আপনি কোথায় গিয়েছিলেন ভাই?

১৮ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:৩৩

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: প্রামানিক ভাই, শুভেচ্ছা রইলো। ব্যস্ততা বেড়ে যাওয়ায় গত সপ্তাহে ব্লগে ছিলাম না; যাক আপনি বিষয়টি খেয়াল করেছেন এজন্য কৃতজ্ঞতা রইলো। শুভ কামনা আপনার জন্য।

শুভ রাত্রি।

১৪| ১৭ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:৫০

শামচুল হক বলেছেন: এখন ছাত্ররা রাজনীতি করতে বাধ্য হয় কারণ চাকরি, ব্যবসা যাই করেন রাজনীতির ছায়াতলে থেকেই করতে হয়।

১৮ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:৩৭

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: শামচুল ভাই, আপনার কথায় যুক্তি আছে। চাকরি, ব্যবসায় বাড়তি সুবিধা অনেক সময় পাওয়া যায়। তবে থাকতে হবে সরকার দলীয় পার্টির ছায়াতলে, না হলে খবর আছে। খুণ, গুম হওয়া অসম্ভব নয়।

শুভ রাত্রি।

১৫| ১৭ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:০০

লায়নহার্ট বলেছেন: {শিক্ষিত ভদ্রলোক যেহেতু ইলেকশনে ভোট পায়না, তাই অর্ধ-শিক্ষিত নেতারা ছাত্র রাজনীতি করবে, মারামারি খুন খারাপি করে গদিতে বসবে, এটাই সিস্টেম। আপনি কিভাবে সাধারন জনগনের মনস্তত্ব পাল্টাবেন?}

১৮ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:৪৫

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:


"শিক্ষিত ভদ্রলোক যেহেতু ইলেকশনে ভোট পায়না, তাই অর্ধ-শিক্ষিত নেতারা ছাত্র রাজনীতি করবে, মারামারি খুন খারাপি করে গদিতে বসবে, এটাই সিস্টেম। আপনি কিভাবে সাধারন জনগনের মনস্তত্ব পাল্টাবেন?"

প্রিয় লায়নহার্ট ভাই, আপনি খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি কথা বলেছেন। আসলে বদ নেতাদের দেখতে দেখতে পাবলিকের রুচিও নেতাদের মত হয়ে গেছে। এজন্য ভাল ও যোগ্য কেউ ইলেকশনে দাঁড়ালে ভোট পায় না; পাবলিক রিজেক্ট করে দেয়। কখনো কখনো জামানত বাজেয়াপ্ত হয়। আসলে যেমন পাবলিক, তেমন নেতা।

শুভ রাত্রি ।

১৬| ১৮ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:১৪

অনন্ত নিগার বলেছেন: দারুণ একটি পোস্ট! অন্ততঃ এই সময়ে ছাত্রদের জন্য খুবই প্রয়োজনীয় একটি লেখা। যদি সব ছাত্ররা লেখাটি পড়ত!

১৮ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:৪৭

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: শুভেচ্ছা নেবেন। পোস্ট পড়ায় ও কমেন্ট করায় কৃতজ্ঞতা। এগুলো পড়ার টাইম ছাত্রদের নেই।

শুভ রাত্রি।

১৭| ১৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:২৯

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: গুরু,
ছাত্র রাজনীতিকে সবাই (তথাকথিত বড়ভাই, নেতা, মহান নেতা) জ্বালানী তৈল হিসেবে বলতে - পেট্রোল হিসেবে ব্যাবহার করেছে। কোনোদিন ছাত্ররা দেশের ঘি এর বাতী হতে পারে সেই তৈল নামে তৈরি করতে চায়নি। এখন সেই নেতা দেশের যতো বড় নেতা হোক আর খেতা হোক, তার মন মানষিকতা তাই ছিলো !!!

১৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:৪২

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



"ছাত্র রাজনীতিকে সবাই (তথাকথিত বড়ভাই, নেতা, মহান নেতা) জ্বালানী তৈল হিসেবে বলতে - পেট্রোল হিসেবে ব্যাবহার করেছে। কোনোদিন ছাত্ররা দেশের ঘি এর বাতী হতে পারে সেই তৈল নামে তৈরি করতে চায়নি। এখন সেই নেতা দেশের যতো বড় নেতা হোক আর খেতা হোক, তার মন মানষিকতা তাই ছিলো" !!!

গুরু, আপনার এই চিকন কথাগুলো কেউ বুজুক বা না বুজুক, আমি ঠিকই বুঝি; এজন্য গুরুকে এতো পছন্দ করি।

১৮| ১৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:৫৯

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: গুরু এই কারণে অনেক কিছুই মুখ বন্ধ করে সহ্য করি কারণ বলিলে চাকুরী থাকবে না” এমন অবস্থা !!! তারপরও ছোট্ট একটা সুত্র দেই ভারতে কয়টি ভাষা বিদ্যমান ??? আর বাংলাদেশ পাকিস্তান মাত্র দুইটি ভাষা নিয়ে যুদ্ধ লেগে গেলো - সমস্যা কি ভাষা ছিলো যা বৈঠক করে সমাধাণ সমঝোতা করা যায় নি, নাকি ক্ষমতার লোভ ছিলো - যেখানে ভাষা’কে ব্যাবহার করা হয়েছে ???

১৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১:১১

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



আপনি নিশচয় আসামের কাছাড় জেলায় ভাষা আন্দোলনের কথা জানেন। স্থানীয় বাঙালিদের আন্দোলনের মুখে আসাম সহ ভারত সরকার তিন জেলার জন্য সিলেটি ভাষা (তবে বইয়ে প্রমিত বাংলা) মেনে নেয়; এজন্য কয়েকটি প্রাণ গেলেও বড় কোন দাঙ্গা হয়নি। এখনো আসামের বাকী ২৮টি জেলার ভাষা অসমীয় হলেও করিমগঞ্জ, বদরপুর ও কাছাড় জেলার ভাষা বাংলা।

আর বাকী ভারতের কথা কী আর বলবো, দক্ষিণ ভারতের স্কুলগুলোতে তো হিন্দি বর্ণমালার কোন বইও নেই। কেরালা, বেঙ্গলোর, চেন্নাই ও হায়দ্রাবাদে হিন্দির কোন প্রবেশাধিকার নেই। এটা ভারত সরকার মেনে নিয়েছে।

১৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১:১৪

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: এখানেই পাকি আর ভারতের মধ্যে পার্থক্য। তবে, এর পেছেনে অদৃশ্য একাধিক কারণ আছে যা ব্লগে আলোচনা করতে চাই না। অনেক সময় সত্য বাণী তিতা হয়।

১৯| ১৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১:২৭

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: সত্য বাণী তিতা শুধু নয় বিষ হয় । তাই চুপ আছি চুপ থাকি ।

শিক্ষিত লোক চালানো সহজ তাদের ভয় থাকে, পিছুটান থাকে। রাজনীতি হিন্দু রাজারাও জানতেন তারা কেনো ছাত্র রাজনীতি প্রশ্রয় না দিয়ে স্কুল কলেজ করতে গেলেন? যেখানে আপনি জানেন মূর্খ্য অবাধ্য প্রজা চালাতে গিয়ে রাজাদের হিমশীম খেতে হতো তারপর আছে ভিন রাজ্যর রাজা দ্বারা আক্রান্ত হবার সম্ভবনা প্রতিনিয়ত - তারপর ও তারা শিক্ষিত সমাজ তৈরি করতে চেয়েছেন - ভুইয়া, খান, নোয়াব, দেওয়ান, শাহ - তাদের ভুমিকা কি ?

তাই চাচ্ছিলাম মুরালি চাঁদ ও তাঁর এম সি কলেজ নিয়ে লিখুন এবং অবস্যই ব্যাক্ষা সহ - কিছু আঘাত আসবে !!! - গুরু কথা দিচ্ছি পাশে আছি পাশে থাকবো ।।

১৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১:৩৯

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: ভারত উপমহাদেশে রাজনীতিতে ধর্মীয় রং লাগে সুলতানিয়াত দ্বারা দিল্লী শাসন হওয়ার শুরু থেকে। মূঘল আমলে তা পূর্ণতা পায়; আর সাতচল্লিশে দেশভাগের আগ পর্যন্ত অনেকগুলো দাঙ্গা হয়। শেষ পর্যন্ত ভারত ভেঙ্গে মৌলবাদি শক্তির উদয় হয়।

ভুইয়া, খান, নোয়াব, দেওয়ান, শাহ - তাদের ভুমিকা কি ? উনারা প্রতি রাতে জলসা নিয়ে বিজি থাকতেন, আর একটা করে নতুন বাসর সাজাতেন; প্রজাদের শিক্ষিত করার কোন টেকা ছিল না তাদের।

১৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১:৪১

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: মুরালি চাঁদ ও তাঁর এম সি কলেজ নিয়ে লিখুন এবং অবস্যই ব্যাক্ষা সহ - কথা দিলাম শীঘ্রই লেখবো।

২০| ১৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ২:৪৬

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: এই ঘটনা ব্লগে আসা উচিত শক্তভাবে “খাঁ সাহেব সহ আমীর, ভুইয়া, নোয়াব, দেওয়ান আর শাহনামা দের কার্যকলাপ কি ছিলো - তাদের বাসরে কতোজনের অপমৃত্যু হয়েছে, আহারে কতো দুঃখিনি মায়ের নাবালিকা মেয়ের প্রাণ বিসর্জন - গুরু, আপনি লিখবেন এটাই বড় পাওয়া । ধন্যবাদ ।।

আমার কেনো জানি মনে হয় আমাদের জেনারেশনের পর এই সব নিয়ে আর কেউ মাথা ঘামাবে না। ভবিষ্যত প্রজন্মের কাছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যেম আর পর্ণ হবে তাদের একমাত্র সঙ্গী ।।

১৯ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ২:২৫

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: গুরু..........


"এই ঘটনা ব্লগে আসা উচিত শক্তভাবে “খাঁ সাহেব সহ আমীর, ভুইয়া, নোয়াব, দেওয়ান আর শাহনামা দের কার্যকলাপ কি ছিলো - তাদের বাসরে কতোজনের অপমৃত্যু হয়েছে, আহারে কতো দুঃখিনি মায়ের নাবালিকা মেয়ের প্রাণ বিসর্জন"!!

শুধু নাবালিকা মেয়ে নয়; নাবালক ছেলেরাও তাদের বাসর সঙ্গী হতো। হুমায়ুন আহমেদ স্যার এ বিষয়টি তার "ঘেটুপুত্র কমলায়" তুলে ধরেছেন। এ বিষয়গুলো নিয়ে আরো লেখার প্রয়োজন আছে।

আর ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে সাহিত্যের আবেদন সব সময় থাকবে। শুধু ঠিকে থাকবে সহজপাঠ্য আর বিশ্লেষণধর্মী সাহিত্য। অপ্রয়োজনীয় কঠিন ও কাল্পনিক সাহিত্য বিদায় নেবে। তবে ........ আগেও ছিল এখনো আছে ভবিষ্যতেও থাকবে।

২১| ১৯ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:৫০

কথার ফুলঝুরি! বলেছেন: ভাইয়ার নতুন লেখার জন্য অপেক্ষায় ছিলাম । কিন্তু লেখাটা যখন পোস্ট হয়েছে তখন চোখেই পরেনি আর যখন দেখলাম তখন মন্তব্য করতে পারছিলাম না। যাই হোক অবশেষে, আসতে পারলাম ভাইয়ার ব্লগ বাড়ী তে :#) এবং প্রিয় ভাইয়ার নতুন লেখা দেখে খুশী :#)

ভাইয়া, আমি রাজনীতি বুঝিনা :(( সত্যি বলতে ভালো ও লাগেনা আমার কাছে এসব। শুধু এটা বলতে চাই, ছাত্র রা একটা দেশের রাজনীতি তে অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটা অংশ। কিন্তু এখনকার আমাদের দেশের বেশীরভাগ ছাত্র, রাজনীতির নামে যা করে যাচ্ছে তা খুবই দুঃখজনক।

১৯ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৮

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:


ধন্যবাদ, আপু। ছাত্র রাজনীতিতে এখন আর আদর্শ আর চরিত্র গঠনের তাগিদ দেওয়া হয় না। এটা এখন মাস্তান, গুন্ডা, চাঁদাবাজ আর ডাকাত বানানোর কারখানা। আইন করে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করা উচিৎ।

২২| ১৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:৫১

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
আমি সব সময়ই ছাত্র ও শিক্ষক রাজনীতিকে না বলি।
প্রথমতঃ না বলেছি।
দ্বিতীয়তঃ না বলিছি।
তৃতীয়তঃ না বলেছি।
শেষ পর্যন্ত না বলবো।
দূর হ ছাত্র ও শিক্ষক রাজনীতি!!

১৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:৫১

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: সাজ্জাদ ভাই, আপনি ঠিকই বলেছেন। দুইটাই আমাদের জন্য মহামারি এইডস; এগুলো বন্ধ না হলে মুক্তি নেই।

২৩| ১৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:০৮

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: কাওসার ভাই!
এতবড় লেখা পড়তে পড়তে আমি শ্যাষ!!:(
পুরোটা পড়তে পারি নি।।


সামনের দিন আপনার ছ্যাঁকা খাওয়ার গল্প নিয়ে একটা পোস্ট দিয়েন। ওসব পড়তে আমার ভালই লাগে...:P

১৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:২০

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:


শুভেচ্ছা রইলো, প্রিয় দোস্ত B-) আপনার জন্য মনটা খারাপ লাগে। এই ব্লগে লেখতে সবচেয়ে বেশি উৎসাহ আপনি আমাকে দিয়েছিলেন। এগুলো এখনো টাটকা মনে আছে। আসলে আমি এভারেজ কিছু লেখে ব্লগে পাঠকদের সময় নষ্ট করতে চাই না বলে প্রতিটি লেখা সময় নিয়ে লেখি। যাতে পাঠকদের মূল্যবান সময়টা ম্যাও ম্যাও পোস্ট পড়ে নষ্ট না হয়। B-) B-)

আমি জানি, আমার এতো লম্বা পোস্ট পড়া আপনার জন্য অনেক কষ্টেের। এজন্য আপনি কমেন্ট না করলেও মাইন্ড করি না। আপনি মাঝে মাঝে খবর নিলেই আমি খুশি। অনেক শুভ কামনা আপনার জন্য। B-) B-)

শুভ রাত্রি।

২৪| ২০ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:২৫

সূচরিতা সেন বলেছেন: ভালো কথাই বলেছেন ভাই।আমাদের এ দেশ থেকে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করা প্রয়োজন।

২০ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ২:৪৩

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ, দিদি। শুভ কামনা রইলো আপননার জন্য।

২৫| ২০ শে জুলাই, ২০১৮ ভোর ৫:৩৮

সোহানী বলেছেন: আপনার লিখা মানেই আমার কাছে অনেক কিছু। আপাতত জানান দিলাম কারন খুব পছন্দের বিষয় নিয়ে লিখেছেন। তাই সময় নিয়ে পড়ে মন্তব্য করতে হবে।.............

২১ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:২৯

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



আমার প্রিয় আপুকে অনেক দিন পর পেলাম; আশা করি, সব কিছু ঠিকঠাক আছে। আপনি আমার লেখা পড়েন মানে আমার কাছে অনেক কিছু। আপনার ভাল থাকাটাই আমার সবচেয়ে বড় চাওয়া।

শুভ রাত্রি, আপু।

২৬| ২০ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১২:২৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: কাওসার চৌধুরী ,



খুব সুন্দর পোস্ট ।
কিছু মন্তব্য তুলে ছাত্র রাজনীতির যৌক্তিকতা কতোখানি তা বোঝাতে চেষ্টা করি ------

স্রাঞ্জি সে ছাত্রত্ব থেকেই রাজনীতির ছোবলে পড়ে ছাত্ররা আজ বিপদাপন্ন।

বিচার মানি তালগাছ আমার
: যতদিন বিপর্যয় না হবে ততদিন ছাত্র রাজনীতি বন্ধ হবে না। এখন যত খুন, হত্যা, মারামারি হয় সবাই সাধারণ পরিবারের ছাত্র। যেদিন হেভিওয়েট নেতাদের ছেলে মেয়েরা খুন হবে, লাঞ্চিত হবে সেদিনই নেতারা বলবেন ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করতে। ছাত্র নেতারা যদি একটু ভাবত কেন কোন বড় নেতার ছেলে মেয়ে রাজনীতি করছে না, কেন তাদের ছেলে মেয়ে বাইরে পড়ছে তাহলে বোধোদয় হত তাদের।

রাজীব নুর " ছাত্র রাজনীতির কোনো দরকার নাই আমাদের দেশে। "

ময়ন্া : আগে পরিচয় দিতে ছাত্ররা গর্ববোধ করতো, আর এখন সাধারন মানুষেরও ঘৃণা হয় এমন রাজনীতির সাথে জড়িত ছাত্রদের দেখে।

"ভুয়া মফিজ ": আমাদের দেশের অনেক নোংরা কালচারের একটা হলো এই ছাত্র রাজনীতি। স্টুডেন্ট ইউনিয়ন পৃথিবীর সব বিশ্ববিদ্যালয়েই আছে। তবে তারা মেইনস্ট্রীম পলিটিক্স এর লেজুরবৃত্তি করে না। আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংসের অন্যতম প্রধান কারন এই ছাত্র রাজনীতি।

লায়নহার্ট : শিক্ষিত ভদ্রলোক যেহেতু ইলেকশনে ভোট পায়না, তাই অর্ধ-শিক্ষিত নেতারা ছাত্র রাজনীতি করবে, মারামারি খুন খারাপি করে গদিতে বসবে, এটাই সিস্টেম।

ঠাকুরমাহমুদ -- ছাত্র রাজনীতিকে সবাই (তথাকথিত বড়ভাই, নেতা, মহান নেতা) জ্বালানী তৈল হিসেবে বলতে - পেট্রোল হিসেবে ব্যাবহার করেছে।

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন
আমি সব সময়ই ছাত্র ও শিক্ষক রাজনীতিকে না বলি।
প্রথমতঃ না বলেছি।
দ্বিতীয়তঃ না বলিছি।
তৃতীয়তঃ না বলেছি।
শেষ পর্যন্ত না বলবো।
দূর হ ছাত্র ও শিক্ষক রাজনীতি!!

আর আমার কথা হলো - ছাত্র রাজনীতি ঝেঁটিয়ে বিদায় করা হোক ।

২১ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:৪৭

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:


স্যার, আপনার কমেন্টগুলো এজন্যই আমার ভাল লাগে।

বাংলাদেশ ভূখণ্ডের জন্মের সঙ্গে মিশে আছে ছাত্র রাজনীতির গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা। বিশেষ করে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ৫৪’র যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ’৬২-র কুখ্যাত হামিদুর রহমান শিক্ষা কমিশনের বিরুদ্ধে আন্দোলন, ’৬৬-র ঐতিহাসিক ৬ দফা ও ১১ দফা, ’৬৯-র গণঅভ্যুত্থান, ’৭০-র নির্বাচন, ’৭১-এ মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জনসহ প্রতিটি ঐতিহাসিক বিজয়ের প্রেক্ষাপট তৈরি ও আন্দোলন সফল করার ভ্যানগার্ড হিসেবে তৎকালীন ছাত্রছাত্রীদের ভূমিকা অপরিসীম। পরবর্তীতে ’৯১-র স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনেও এদেশের ছাত্র রাজনীতির রয়েছে গৌরবোজ্জ্বল ঐতিহাসিক ভূমিকা।

বর্তমান প্রেক্ষাপটে ছাত্র রাজনীতি আমাদের দেশ ও জনগণের সামনে দেখা দিয়েছে সম্পূর্ণ ভিন্ন আঙ্গিকে। জনগণ এখন আর ছাত্র নেতাদের আগের মতো সম্মান করে না। ছাত্র রাজনীতিকেও জনগণ সহজভাবে ও ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখছে না। জনগণ ছাত্র রাজনীতির প্রতি ভীতশ্রদ্ধ হয়ে উঠেছে। এর কারণ কী? তরুণ ও মেধাবী ছাত্ররা আজকে কেন রাজনীতিবিমুখ হয়ে যাচ্ছে? কিছু শিক্ষাঙ্গনে আজকে কেন লিখে দেয়া হচ্ছে ‘ছাত্র রাজনীতি মুক্ত’? বর্তমান বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি বলে, ছাত্র রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হওয়ার মাধ্যমে একজন ছাত্র নিজের জীবনকে ঝুঁকিপূর্ণ, নিজেকে সন্ত্রাসী বা চোরাকারবারির বা অন্যের হাতের ক্রীড়নক হিসেবে গড়ে তোলে।

বর্তমানে ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছাত্রদের সাধারণ মানুষ আদর্শহীন, চরিত্রহীন, অর্থলোভী, মাস্তান, চাঁদাবাজ, অস্ত্রবাজ, মূর্খ সর্বোপরি সমাজের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর মানুষ বলে মনে করেন। কিন্তু এ কথাও সত্য এবং ইতিহাস দ্বারা প্রমাণিত, ছাত্র রাজনীতির মাধ্যমেই রাজনৈতিক ব্যক্তিদের প্রাথমিক ভিত তৈরি হয়েছে এবং আদর্শবান ছাত্র নেতারাই রাজনৈতিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন। সেই ৫২, ৬২, ৬৯, ৭১, ৯০-এর ঐতিহ্য আজ অনুপস্থিত।

কমেন্টে ভাল লাগা, শুভ কামনা আপনার জন্য।
শুভ রাত্রি।

২৭| ২০ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:০৮

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: আহমেদ জী এস ভাই,
ছাত্র রাজনীতি হচ্ছে মরণব্যাধী এইড্স ও এইচ বি এস এ জি বি পজেটিভ । এটি স্বমূলে উৎপাটন প্রয়োজন এবং এজন্য প্রতিটি ছাত্রের পরিবারের ভুমিকা প্রয়োজন ।

২১ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:১৯

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: আহমেদ জী এস সাহেবের কমেন্টটি আমার খুব ভাল লেগেছে। আমিও আপনার সাথে একমত হয়ে বলতে চাই, "এটি স্বমূলে উৎপাটন প্রয়োজন এবং এজন্য প্রতিটি ছাত্রের পরিবারের ভুমিকা প্রয়োজন"।

২৮| ২০ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:০৪

ঢাবিয়ান বলেছেন: অসাধারন একটি লেখা। যে বিষাক্ত ছাত্র রাজনীতি দেখে এদেছি ঢাবিতে , তার পুরোটাই তুলে ধরেছেন আপনি।

অফ টপিকঃ আপনাদের মত লেখকদের কলম থামানোর অনেক অপচেষ্টা থাকবে ব্লগে।তাদের হতাশ করে কলম চালিয়ে যান। শুভকামনা রইল।

২১ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:১৫

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:


ঢাবিয়ান ভাই, শুভেচ্ছা নেবেন। আপনার দেওয়া কমেন্টগুলো আমাকে খুব উৎসাহ যোগায়, ভাল লেখতে প্রেরণা পাই। কতটুকু ভাল লেখি জানি না; কিন্তু আমি প্রতিটি লেখায় ও বিষয় নিয়ে ভাবনায় অনেক সময় নেই; পড়াশুনা করি, তারপর লেখি। সব সময় মনে হয়, যে পাঠক উনার মূল্যবান সময় নষ্ট করে আমার লেখাটি পড়ছেন, উনার মূল্যবান সময়টা আমার মানহীন লেখাটি পড়ে যাতে নষ্ট না হয়। এটা একজন লেখক হিসাবে আমার দায়বদ্ধতা; আর পাঠকরা আমাকে বিশ্বাস করেন বলেই এই লম্বা লেখাগুলো পড়েন।

আমার জন্য আশীর্বাদ করবেন। আগামী কাল নতুন একটি লেখা দেব। ছুটির দিনটি ভাল কাটুক এই প্রত্যাশা রইলো।

শুভ রাত্রি।

২৯| ২৪ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:৪৩

বলেছেন: মনুষ্যত্বের জয় হোক,
বিষাক্ত ছাত্র রাজনীতি নিপাত যাক'।

২৪ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:৫১

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:


শুভেচ্ছা নেবেন, আপনি খুঁজে খুঁজে আমার লেখাগুলো পড়ছেন জেনে খুশি হলাম। ছাত্র রাজনীতি রাজনৈতিক দলগুলোর প্রয়োজন নিজেদের আখের গোছাতে, অন্য দলগুলোকে পিটুনি দিতে, মিছিল মিটিং ও পিকেটিং করতে। তবে দেশের কথা বললে, ছাত্র রাজনীতি ভয়ংকর ও বিপজ্জনক একটি ব্যধি; অনেকটা এইডসের মতো মরণঘাতি; আইন করে তা বন্ধ করা উচিৎ।

৩০| ২৪ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ২:৩৮

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: রাজনীতিতে মাঝেমধ্যে দু/একটা খুনের প্রয়োজন পড়ে, যা পুরো পরিস্থিতিটাই পাল্টে দেয়।। নুর হোসেন, ডাঃ মিলন বা বাবলুদের হত্যাই এর প্রমান।। ভুলে যাওয়া উচিৎ নয় ইমদুদের কথা।।

২৪ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ২:৪৮

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:


শুভেচ্ছা রইলো, আপু। নেগেটিভ সেন্সে চিন্তা করলে আপনার কথা ঠিক আছে; আছে যুক্তি। কিন্তু বৃহৎ স্বার্থে সমাজে এসব খুন খারাপি খুব নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। নতুন প্রজন্ম আতঙ্কিত হয়; সমাজে বিভক্তি আসে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে ছাত্র রাজনীতি তরুণ প্রজন্মের জন্য ইয়াবা, কোকেনের মত ক্ষতিকর; এই চর্চা বন্ধ না হলে ভবিষ্যতে নতুন ও মেধাবী নেতৃত্ব গড়ে উঠবে না; তৈরী হবে মেধাহীন, নীতিহীন, খুনি, লোভী আর অবিবেচক নেতৃত্বের।

শুভ রাত্রি, আপু।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.