নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জন্মসূত্রে মানব গোত্রভূক্ত; এজন্য প্রতিনিয়ত \'মানুষ\' হওয়ার প্রচেষ্টা। \'কাকতাড়ুয়ার ভাস্কর্য\', \'বায়স্কোপ\', \'পুতুলনাচ\' এবং অনুবাদ গল্পের \'নেকলেস\' বইয়ের কারিগর।

কাওসার চৌধুরী

প্রবন্ধ ও ফিচার লেখতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। পাশাপাশি গল্প, অনুবাদ, কবিতা ও রম্য লেখি। আমি আশাবাদী মানুষ।

কাওসার চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

দি টেল-টেইল হার্ট (The Tell-Tale Heart); "এডগার এলান পো"-র (Edgar Allan Poe) বিখ্যাত হরর গল্পের বাংলা অনুবাদ।

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৬


ঘটনা কিন্তু সত্যি! আমি অসুস্থ ছিলাম, খুবই অসুস্থ। কিন্তু তোমার কেন মনে হলো এখন আমি আত্ম নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছি? কেন তুমি আমাকে পাগল ভাবছ? তুমি কি দেখতে পাচ্ছ না আমি একদম সুস্থ? বলতে পার, আগের চেয়ে ঢের বেশি সুস্থ আমি। আর কি প্রমাণ চাও তুমি? সত্যি কথা বলতে কি; এই অসুস্থতা আমার মনোজগৎ, আমার অনুভূতি, আমার স্মৃতিশক্তি এবং আমার উপলবদ্ধিকে আরো তীক্ষ্ণ করেছে। বিশ্বাস কর, আমি এখন যত পরিস্কার শুনতে পাই; অসুস্থ হওয়ার আগে তা মোটেও ছিল না। শুধু কি তাই? আমি স্বর্গ-নরক থেকে কোন শব্দ ভেসে আসলেও ঠিক শুনতে পাই!

এবার শুন! মনযোগ দিয়ে শুন; ঘটনাটা কিভাবে ঘটেছিল সেই গল্পটা তোমাকে বলবো। শুনার পর তুমিও স্বীকার করতে বাধ্য হবে, সে সময়টাতে আমি মানসিকভাবে কত সুস্থ ছিলাম।

তবে এটা বলা খুবই দুরুহ যে; কবে, কখন, কিভাবে এই খুনের পরিকল্পনা আমার মাথায় এসেছিল। আর এর পেছেন নির্দিষ্টভাবে বলার মত কোন কারণও ছিল না। আমি বুড়ো লোকটিকে মোটেও ঘৃণা করতাম না। বলা যায় তাকে আমি পছন্দ করতাম। তিনি কখনো আমার কোন ক্ষতি করেন নাই। তার টাকা-পয়সার প্রতিও আমার কোন লোভ ছিল না। তবে আমার মনে হয় ঘটনাটার পেছনে তার একটা চোখের দায় আছে। চোখটা একদম শকুনের চোখের মত ছিল। বিষয়টা অনেকটা এরকম, যখন কোন শিকার সন্ধানী পাখি দূর থেকে তাদের তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে মৃত পশুদের প্রতি লক্ষ্য রাখে কিংবা পশুদের মৃত্যুর জন্য অপেক্ষায় থাকে এবং পাওয়ার পর খুব হিংস্রভাবে তার উপর ঝাপিয়ে পড়ে পঁচা-ভাসি মাংসের টুকরোগুলোকে খাবলে খাবলে পেটে চালান করে ঠিক সেরকম কিছু।

যখন বুড়ো লোকটা শকুনের দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকাতো তখন নিজের মধ্যে এক ধরনের ঠান্ডা, শীতল অনুভুতি হত; এমনকি আমার রক্ত পর্যন্ত হীম হয়ে আসত। আর এজন্যই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, যেভাবেই হোক বুড়োটাকে খুন করবো এবং চিরদিনের মত তার এই বিভৎস দৃষ্টিকে নিভিয়ে দেব। তাকে হত্যা করার এটাই আসল কারণ।

এখনো তুমি আমাকে পাগল ভাবছ, তাই না? তুমি নিশ্চয়ই আমার সাথে একমত হবে যে, পাগলরা কোন পরিকল্পনা করতে পারে না। আর হত্যার পরিকল্পনা তো নিশ্চয়ই নয়। এবার দেখবে আমি কত সুক্ষভাবে পরিকল্পনা করেছিলাম। খুন করার আগে পুরো সপ্তাহ জুড়ে আমি লোকটার সাথে খুব ঘনিষ্টভাবে, ভীষণ আন্তরিকতার সাথে মিশেছিলাম এবং তাকে ভালবাসার মিথ্যা অভিনয় করেছিলাম।

প্রতিদিন ঠিক মধ্যরাতে আমি খুব সাবধানে তার দরজার হুড়কা খুলেছি। দরজাটা সামান্য ফাঁক করে খুব সাবধানে প্রথমে নিজের হাঁত, তারপর মাথা ঢুকাতাম। যাতে কোন আলোর প্রতিবিম্ব লোকটার উপরে না পড়ে সেজন্য আমার হাতে ধরা লন্ঠনটি একটা কাপড় দিয়ে আবৃত করে রাখতাম। আমি খুব নিরিবিলি সেখানে দাঁড়াতাম। তারপর খুব সতর্কতার সাথে লন্ঠনের উপর থেকে একটু একটু করে কাপড় সরিয়ে নিতাম; এতে ছোট্ট একটা আলোকরশ্মি লোকটার বিভৎস শকুনি চোখের উপর গিয়ে পড়ত।

সাত-সাতটা রাত এভাবেই কাঁটলো; কম কথা, সা-ত-টা- রাত! ঠিক মধ্য রাতে এভাবেই খুব সতর্কতার সাথে যেতাম। বিষ্ময়কর বিষয় হল, প্রতি রাতেই লোকটার চোখ বন্ধ থাকতো; এজন্য আমার উদ্দেশ্য সফল করতে পারতাম না। কারণ, বুড়ো লোকটার উপর তো আমার কোন রাগ নেই; আমার সব রাগ তার বিস্ফোরিত শকুনি চোখটার উপর।

কিন্তু প্রতিদিন সকাল বেলা আমি লোকটার ঘরে গিয়ে খুব আন্তরিকতার সাথে জিজ্ঞেস করতাম, "রাতে ভাল ঘুম হয়েছে তো?" এমন চতুরতার সাথে অভিনয় করতাম যেন আগের রাতে কিছুই ঘটে নাই! লোকটি কখনো কল্পনাও করেনি যে, প্রতি মধ্য রাতে ঘুমানোর পর আমি তাকে চুপিচুপি পর্যবেক্ষণ করতাম; খুন করার পরিকল্পনা করতাম!

অষ্টম রাত্রিতে দরজার হুড়কা খোলার সময় আরেকটু অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করেছিলাম। ঘড়ির মিনিটের কাটা ঘোরার আগেই আমি কাজটা সেরে ফেললাম। আমি সেদিন এমন একটা অদৃশ্য শক্তি অনুভব করেছিলাম, যে ক্ষমতা সম্বন্ধে আগে মোটেও ওয়াকিবহাল ছিলাম না। এই ঐশ্বরিক শক্তির ফলে আমি নিশ্চিত সফল হলাম।


বুড়ো লোকটা স্বপনেও কল্পনা করেনি আমার চিন্তা আর পরিকল্পনার গভীরতা সম্বন্ধে; এ কথা ভাবতেই আমি মৃদু হাসলাম এবং বোধহয় লোকটা তা শুনতে পেয়েছিল। হঠাৎ লোকটি একটু নড়ে উঠলো। আপনারা হয়তো ভাবছেন আমি ভয় পেয়ে গেছি! কিন্তু না, মোটেও ভয় পাই নাই। ঘরটা ছিল ঘুটঘুটে অন্ধকার। আমি যে দরজাটা খুলছি লোকটা নিশ্চয়ই তা বুঝতে পারবে না। আমি খুব ধীরে-সুস্থে, সতর্কতার সাথে দরজাটা খুলতে লাগলাম। প্রথমে মাথা, তারপর হাত ঢুকালাম আর সাথে কাপড় দিয়ে ঢাঁকা লন্ঠন। হঠাৎ দেখি লোকটা ভয়ে আৎকে উঠলো, বিছানায় উঠে বসলো, চারিদিকে সতর্ক দৃষ্টি দিয়ে কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলে উঠল, "কে ওখানে? কে??!"

আমি বিচলিত না হয়ে তখনো চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছি। প্রায় ঘন্টাখানেক কোন নাড়াচাড়া না করে চুপচাপ দাঁড়িয়ে রইলাম। লোকটা কি এবার শুয়ে পড়েছে? মনে হয় না। শুয়ে পড়লে নিশ্চিত শব্দ পেতাম। মনে হচ্ছে লোকটা কান দু'টি খাড়া করে ভয়ে ভয়ে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করার চেষ্টা করছে। আমাকে ভাবনার মধ্যে রেখেই লোকটা হঠাৎ ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাদতে লাগলো। এবার নিশ্চিত হলাম লোকটা ভয়ে মুষড়ে গিয়ে কাচুমাচু হয়ে বিছানায় বসে আছে। আমরা দু'জনেই নিশ্চিতভাবে জানি আমি তার দরজায় দাঁড়িয়ে আছি। লোকটা আমাকে দেখতে পাচ্ছে না, আমার উপস্থিতির কোন সাড়াশব্দ পাচ্ছে না; কিন্তু অনুভব করছেন আমি আছি এখানে। এখন লোকটা জানে যে, মৃত্যু দূত তার ঠিক সামনে দাঁড়িয়ে আছে। তবে এই মৃত্যু দূত যে আমি তা সে জানে না।

ধীরে ধীরে খুব সতর্কতার সাথে লন্ঠনের কাপড়টা একটু একটু সরাতে লাগলাম, যতক্ষণ না সরু তীর্যক আলোক রশ্মিটা তার ভয়ঙ্কর শকুনি চোখে গিয়ে না পড়ে। ও মোর খোদা! বুড়োর চোখ দেখি খোলা; একদম খোলা। তার চোখের দৃষ্টি আমার উপর পড়তেই রাগটা বেড়ে গেল বহুগুণে; অপলকে স্থির দৃষ্টিতে আমার দিকে চেয়ে রইলো বুড়োটা। আমি তার মুখটা দেখতে পেলাম না; আমার দৃষ্টি শুধু তার চোখের দিকে, কেবল তার নীল পর্দা দিয়ে আবৃত উজ্জ্বল চোখটা দেখছিলাম। হালকা নীলাভ অসহ্য এ পর্দাটা আমার অস্থিমজ্জা শীতল করে দিচ্ছিল। যেহেতু লন্ঠনের চিকন একটা আলোকরশ্মি কেবল তার চোখে ফেলেছিলাম সেহেতু তার মুখ কিংবা শরীরের বাকি অংশগুলো দেখা যাচ্ছিল না।

আমি তো তোমাকে আগেই বলেছি, আমার শ্রবণ শক্তি আগের চেয়ে বহুগুণ বেড়ে গেছে? আমি এখন খুব চিকন শব্দ, এমনকি খুব আস্তে আসা শব্দও স্পষ্ট শুনতে পাই, অনেকটা দেয়াল ঘড়ির শব্দ ওয়ালের ওপর পাশ থেকে শুনার মত। আমি নিশ্চিত ছিলাম ওটা বুড়ো লোকটার হৃদকম্পনের শব্দ ছিল; কারণ, এই শব্দের সাথে আমি পরিচিত ছিলাম। আমি চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকার চেষ্টা করলাম কিন্তু যত সময় যাচ্ছে শব্দটা তত বাড়ছিল। নিশ্চয় লোকটার ভয় আগের চেয়ে বহুগুণে বেড়ে গেছে। এদিকে লোকটার হৃদকম্পন বাড়ার সাথে সাথে আমার রাগও পাল্লা দিয়ে বাড়ছে; এতে বিদঘুটে এ শব্দটা আর যন্ত্রনাদায়ক মনে হল। এটি রাগের চেয়েও বড় কিছু ছিল। নীরব নিস্তব্ধ আর অন্ধকার রুমটাতে আমার রাগটা ধীরে ধীরে ভয়ে রূপ নিল; আর আমার হৃদকম্পন এত জোরে হচ্ছিল যে, মনে হতে লাগলো কেউ না কেউ তা শুনছে।

সময় ঘনিয়ে আসলো! আমি তাড়াহুড়ো করে ঘরটির ভেতরে ঢুকলাম। স্পষ্ট শুনতে পেলাম, লোকটা প্রচন্ড ভয়ে কাবু হয়ে কাঁদছে "আমি মরে যাচ্ছি।" আমি যত বেশি ঘনিষ্ট হচ্ছি বুড়োটা তত ভয়ে কুঁকড়ে যাচ্ছিল; লোকটা বিছানার চাঁদরটা মাথার উপর শক্ত করে ধরে একটা অদৃশ্য দেয়াল তৈরীর চেষ্টা করলো। একদম কাছে চলে আসায় তার হৃদকম্পন স্পষ্ট শুনা যাচ্ছিল। এদিকে শিকার খুব কাছে থাকায় আমি সফলতার গন্ধ পাচ্ছিলাম। আমি যখন তার হৃৎপিন্ডে প্রচন্ড আঘাত করলাম, তখনও বেশ কয়েক মিনিট পর্যন্ত তার হৃদকম্পন শুনা গেলে; তবে কোন গোঙানীর শব্দ শুনা নেই। তাহলে কি মানুষের আত্মা দেহত্যাগ করলেও হৃৎপিন্ডের মৃত্যু হতে আরেকটু বেশি সময় প্রয়োজন পড়? আমাকে ভাবনার সময় দিয়েই হঠাৎ করে বুড়োর হৃদকম্প থেমে গেল।

হ্যা, বুড়ো লোকটা মারা গেছে। আমি পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়ার জন্য বিছানার চাঁদরটা সরিয়ে তার বুকের যে পাশে হৃদয় প্রকোস্ট অবস্থিত ঠিক সেই স্থানে কান লাগালাম। নাহ! কোন সাড়াশব্দ নেই। নিশ্চিতভাবে লোকটা মারা গেছে। শরীরটা একদম পাথরের মত শক্ত হয়ে গেছে। ভয়ংকর শকুনি চোখটা আর আমাকে বিরক্ত করবে না!


তবুও তুমি বলবে আমি পাগল? তুমি নিশ্চয় আরো অবাক হবে যখন শুনবে আমি কত সতর্কতার সাথে তার লাশটা লুকিয়ে রেখেছি, কেউ যাতে টের না পায়। একদম ঠান্ডা মেজাজে প্রথমে তার মাথাটিকে কেটে দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন করলাম, তারপর যথাক্রমে হাত ও পা টুকরো করলাম। এ সময়টাতে আমি খুবই সতর্ক ছিলাম, যাতে একফোটা রক্ত মেঝেতে না পড়ে। এভাবে সারা শরীর কেটেকুটে সাইজ করে কাঠের তৈরী ঘরের মেঝের তিনটি টুকরো খুলে নিলাম; সাথে সাথে বুড়োর দেহের খন্ডিত অংশগুলো সেখানে স্তুপ করে জমিয়ে রাখলাম। এবার তার উপরে কাঠের টুকরোগুলো আগের মত বসিয়ে দিলাম, যাতে মানুষের দৃষ্টিগোচর না হয়।

যেই না সফলভাবে কাজটা শেষ করে একটা তৃপ্তির হাঁসি দেব; ঠিক তখনই বাইরের দরজায় কে যেন নক করল। সময় তখন ভোর চারটা; তবে অন্ধকার তখনো কাটে নাই। আমি মোটেও ভয় পেলাম না; নির্ভয়ে দরজাটা খুলে দেখলাম তিনজন পুলিশ অফিসার দরজায় দাঁড়িয়ে আছে!

পাশের ঘরের এক প্রতিবেশী এ ঘরে অনেক্ষণ ফুঁপিয়ে কান্নার শব্দ পেয়ে পুলিশে খবর দিয়েছিল; এজন্য তারা ঘরটা তল্লাশি করতে এবং ঘরের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে এসেছে।

আমি তাদেরকে ঘরে প্রবেশের অনুমতি দিলাম। বললাম, "কান্নাটা আমার ছিল; স্বপনে কিছু একটা কল্পনা করে ভয় পেয়ে ফুঁপিয়ে অনেক্ষণ কেঁদেছিলাম।" আর এ ঘরের বাসিন্দা বুড়ো লোকটা বাড়িতে নেই, তিনি তার এক বন্ধুর সাথে দেখা করতে গ্রামে বেড়াতে গেছেন। আমি তাদেরকে পুরো ঘরটা ভাল করে দেখালাম; তাদেরকেও ভাল করে খুজে দেখার আহ্বান করলাম। সবশেষে তাদেরকে বুড়ো লোকটার শয়নকক্ষে নিয়ে গেলাম। বসতে দিলাম, আর কিছু বলার আছে কিনা তাও জানতে চাইলাম।

আমার খুব স্বাভাবিক আর আন্তরিক কথাবার্তা তাদেরকে আশ্বস্ত করলো; তাৎক্ষণিক সময়ে বানিয়ে বলা গল্পটা তাদের বিশ্বাস হল। এভাবে বেশ বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশে আমাদের কথাবার্তা আগাচ্ছিল। ভাবছিলাম তারা সন্তুষ্ট হয়ে চলে যাবে।

হঠাৎ আমার মাথাটা কেমন যেন বিগড়ে গেল; একটা অস্বাভাবিক শব্দ কানে আসছে আমর;শব্দটি খুব পরিচিত! আমি দ্রুততার সাথে বেশি বেশি কথা বলতে লাগলাম; নিজের মধ্যে একটা অস্বস্তি টের পেলাম। যত সময় যাচ্ছে শব্দটা তত পরিষ্কার শুনা যাচ্ছিলো। পুলিশ তখনো চেয়ারে বসে কথা বলছে। তারা কি আমার এই মানসিক পরিবর্তনটা আন্দাজ করতে পেরেছে? এখনো ভোর হয়নি, ঘুটঘুটে অন্ধকারও কাটে নাই; নিশ্চয় তারা আমার মুখটা টিকমত দেখতে পাচ্ছে না।

হঠাৎ খেয়াল হলো শব্দটা আমার কানে বাজছে না; কি হচ্ছে এসব? মাথামুন্ডু কিছুই বুঝলাম না। টেনশনে মুখটা ফ্যাকাশে হয়ে গেল। আমি তখনো উচ্চস্বরে দ্রুত বেগে কথা বলছিলাম। এবার অদৃশ্য শব্দটা আরো স্পষ্ট শুনতে পেলাম। শব্দটা খুব আস্তে ও দ্রুত আসছিল; দেয়াল ভেদ করে ঘড়ির কাঁটার শব্দ যেমন দেয়ালে মিশে একাকার হয়ে যায় শব্দটা অনেকটা সেরকম ছিল; এ শব্দটা আমার অনেক দিনের পরিচিতি। শব্দটা বাড়তেই থাকলো। পুলিশ কেন এখনো যাচ্ছে না? তাদের তো এখন চলে যাওয়া উচিৎ।

আমি উঠে দাঁড়ালাম এবং সারা ঘর তন্ন তন্ন করে শব্দের উৎস খুজতে লাগলাম। ভয়ংকর এ শব্দটাকে পরাজিত করতে হাতের কাছের চেয়ারটা ধাম করে মেঝেতে ফেলে দিলাম যাতে আরো বেশি শব্দ হয়। আমি আরো জোরে কথা বলতে লাগলাম। পুলিশ তখনো শান্ত হয়ে বসে কথা বলছে, এমনকি হাঁসছেও! এটা কি বিশ্বাসযোগ্য যে, তারা কোন শব্দ পাচ্ছে না??

নাহ! তারা অবশ্যই শুনছে। আমি শতভাগ নিশ্চিত তারা শব্দটা শুনতে পাচ্ছে। আমি যে একটু আগে লোকটাকে খুন করেছি তা তারা নিশ্চিত হয়ে গেছে! তাহলে তারা কি জেনেও না জানার ভান করছে? আমার সাথে মশকরা করছে? তাদের হাঁসি আর অদৃশ্য শব্দটা আমার কানে ফলার মত বিধতে লাগল। হঠাৎ শব্দটা থেমে গেল। আমি মেঝের কাঠের বোর্ডের দিকে আংগুলি নির্দেশ করে বিলাপ করতে লাগলাম; হ্যা! সত্যি সত্যি আমি বুড়ো লোকটাকে খুন করেছি। কাঠের বোর্ডটা সরালেই তোমরা তার টুকরো করা দেহটা খুজে পাবে। আমিই লোকটাকে খুন করেছি। কিন্তু কেন লোকটার হৃদকম্পন বন্ধ হয় নাই?

কেন!?
শব্দটি কী এখনো কানে বাজছে?!



লেখক পরিচিতি -

'Edgar Allan Poe' ১৮০৯ সালের ১৯শে জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টনে (Boston) জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি একাধারে একজন লেখক, সম্পাদক এবং সাহিত্য সমালোচক ছিলেন। 'এলান পো'-কে 'detective fiction' এর আবিষ্কারক বলা হয়; এছাড়া সাহিত্যে 'science fiction' লেখার ধারণাটা তিনি প্রতিষ্ঠা করেন। সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় তাঁর অবাধ বিচরণ থাকলেও 'ছোট গল্প' লিখেই তিনি বিশ্ব সাহিত্যে নিজের আসন পোক্ত করেন। সমালোচকদের দৃষ্টিতে তিনি পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ গল্পকারদের অন্যতম ছিলেন। এছাড়া আমেরিকান সাহিত্যে ছোট গল্পের একটা শক্ত অবস্থান তাঁর হাত ধরেই রোপিত হয়। তিনি প্রথম আমেরিকান লেখক যিনি বই লেখে জীবিকা নির্বাহ করেছিলেন। মূলত; আর্থিক অনটন থেকে বাঁচতেই তিনি লেখালেখি করতেন। 'The Narrative of Arthur Gordon Pym of Nantucket' তাঁর একমাত্র কমপ্লিট উপন্যাস।

১৮৪৯ সালের ৭ই অক্টোবর মাত্র ৪০ বছর বয়সে যুক্তরাষ্ট্রের বাল্টিমোরে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।


জীবনের শেষ বছরটা লেখক এ বাড়িতে বসবাস করতেন। (Bronx, New York)। যুক্তরাষ্ট্র

তাঁর উল্লেখযোগ্য গল্পগুলোর মধ্যে আছে -

 The Tell-Tale Heart
 The Black Cat
 The Cask of Amontillado
 A Descent into the Maelström
 The Facts in the Case of M. Valdemar
 The Fall of the House of Ushe
 The Gold-Bug
 Hop-Frog
 The Imp of the Perverse
 Ligeia
 The Masque of the Red Death
 Morella
 The Murders in the Rue Morgue
 The Oval Portrait
 The Pit and the Pendulum
 The Premature Burial
 The Purloined Letter
 The System of Doctor Tarr and Professor Fether.


ফটো ক্রেডিট,
গুগল।

চাইলে পড়তে পারেন-

আমার সবচেয়ে পঠিত পোস্ট।
সবচেয়ে লাইকপ্রাপ্ত গল্প-ধূমকেতু
ধর্ষণ ও ধর্ষক (বাংলাদেশ/বহির্বিশ্ব)
অনুবাদ গল্প-(দি নেকলেস)
দি গিফট অফ দ্যা ম্যাজাই
গল্প লেখার সহজ পাঠ
সবচেয়ে পঠিত প্রবন্ধ।
আধুনিক কবিতার পাঠ (সমালোচনা)
আলোচিত ফিচার 'দি লাঞ্চিয়ন'।
ব্রিটেনের প্রবাস জীবন- স্মৃতিকথা।
সবচেয়ে পঠিত গল্প।
ছবি ব্লগ (লন্ডনের ডায়েরি-১)।

মন্তব্য ১০৯ টি রেটিং +২৯/-০

মন্তব্য (১০৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৭

আরোগ্য বলেছেন: ১ম বর্ষে পড়েছিলাম।অদ্ভুত একটি কাহিনী।

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৫

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



প্রথম কমেন্টে আপনাকে পেয়ে প্রীত হলাম; গল্পটি আপনার আগে পড়া হয়েছে জেনে ভাল লাগলো৷আপনি গল্পটি কি অনার্স প্রথম বর্ষে পড়েছিলেন? কাহিনীটা আসলেই অদ্ভুত৷লেখক গল্পে অনেক বিষয় খোলাসা করেন নাই; চরিত্রের ব্যাপারেও লুকোচুরি ছিল৷আর এগুলোই মূলত সাধারণ প্লটের এ গল্পটাকে রহস্যময় করে তুলেছে ৷

অনেক অনেক শুভ কামনা রইলো আপনার জন্য; সামুতে পথচলা আনন্দময় হোক ৷

২| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৪

ভুয়া মফিজ বলেছেন: মূল গল্পটা পড়া হয়নি, তবে অনুবাদ ভালো হয়েছে।
সব পাগলই নিজেকে সুস্থ, আর অন্যদেরকে পাগল ভাবে, এটা দারুনভাবে ফুটে উঠেছে গল্পে! :)

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৩

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



@ প্রিয় মফিজ ভাই শুভেচ্ছা রইলো; এডগার এলান পোর গল্পের সাথে আমার পরিচয় বেশিদিন আগে হয়নি; যখন পড়া শুরু করলাম তখন এক অজানা রহস্যের সন্ধান পেলাম৷লেখকের বিশেষত্ব হলো, চরিত্র ও কাহিনী নিয়ে পাঠকদের সাথে লুকোচুরি খেলা৷অনেক রহস্যে আবৃত থাকে তাঁর লেখাগুলো৷এগুলো পাঠককে ভীষনভাবে নাড়া দেয়, ভাবতে শেখায়৷আপনার মতো আমারও মনে হয়েছে খুনি লোকটা পাগল; এজন্য বারবার প্রমাণ করার চেষ্টা করেছিল সে পাগল নয় ৷

৩| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৫

নজসু বলেছেন: এডগার এলান পো আমার পছন্দের একজন লেখক।
বাংলায় অনূদিত উনার বেশ কিছু লেখা আমির পড়েছি।

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৪

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



কমেন্টের জন্য কৃতজ্ঞতা রইলো @ নজসু ভাই; এলান পো আপনার পছন্দের একজন লেখক শুনে প্রীত হলাম; আমার মনে হয় আপনি বিদেশী সাহিত্য নিয়মিত চর্চা করেন৷এজন্য ধন্যবাদ আপনাকে৷বিশ্ব সাহিত্যের বিশাল ভান্ডার এখনো এদেশের অনেক শিক্ষিত মানুষের অজানা; এজন্য বেশি বেশি অনুবাদ হওয়া প্রয়োজন৷কিন্তু অনুবাদ করা খুব কঠিন একটা শিল্প৷এজন্য এ বিষয়ে চর্চা কম আমাদের দেশে ৷

আপনার প্রতি অনেক শুভ কামনা রইলো; আশা করি খুব অল্প দিনেই 'সেফ' হবেন এবং মানসম্পন্ন লেখা দিয়ে ব্লগ মাতিয়ে রাখবেন৷ভাল থাকবেন ভাই ৷

৪| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৮

অচেনা হৃদি বলেছেন: গল্পটা আগে পড়া হয়নি। ভেবেছিলাম এটাও হয়তো আপনার অন্য পোস্টগুলোর মত বড় হবে, তাই আপাতত বুকমার্ক করে রাখবো। তবে যখন দেখলাম ছোট সাইজের গল্প তখন পড়ে ফেললাম।

পড়ে ভালো লেগেছে। তবুও আমি একটু হতাশ। কারণ হরর গল্প দেখে মনে করেছিলাম ভূত টুত আছে। কিন্তু গল্পে ভূত বা অতিপ্রাকৃতিক কিছু নেই!
:)

অনুবাদককে ধন্যবাদ!

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৪

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



আপুনি,.......
শুভেচ্ছা রইলো; প্রতিবার এতো এতো লম্বা গল্পের অনুবাদ করি, এতে আপুটা ভীষণ হাঁপিয়ে উঠে; তাই এবার পিচ্চি একটা দিলাম৷যাতে এক নিশ্বাসে পড়ে শেষ করা যায়৷আহা রে! গল্পে ভূত প্রেত নেই!! থাকলে মনে হয় ভাল হতো? তবে কাহিনীর মধ্যে অদৃশ্য এক বা একাধিক ভূত থাকলেও থাকতে পারে!! আর একজন খুনির মুখোমুখি হওয়ার সময় খুণ হওয়া মানুষটার চেয়ে বেশি ভয় কোন ভূত কখনো কাউকে দেখাতে পারেনি; পারবে না কোনদিন৷মানুষের চেয়ে বড় ভূত এ বিশ্বে একটাও নেই ৷

৫| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫৪

মোঃ হোসাইন খাঁন বলেছেন: ভয় ত পাইলামনা ।
হুমম: আগে পরা হয়নাই, বরাবরের মতই ভাল হয়েছে । ধন্যবাদককে ।

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪২

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



@ মোঃ হোসাইন খাঁন ভাই, ধন্যবাদ কমেন্ট করার জন্য; যার প্রফাইল পিকে 'মাশরাফির' মতো অকুতোভয় যোদ্ধার ছবি শোভা পায় তার দিলে তো ডর ভয় থাকার কথা নয়!! গল্প পড়ে ভয় পেলে চলবে না; মজা নিতে হবে৷ভূত প্রেত থাকলেও এদেরকে পাত্তা দেওয়া যাবে না!!! একটু মজা করলাম৷অনুবাদটা ভাল লেগেছে জেনে খুশি হলাম৷শুভ কামনা রইলো আপনার জন্য ৷

৬| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫৬

রাকু হাসান বলেছেন:

প্রথমে গল্পের মূল চরিত্র কে দেখলাম সে একা বৃদ্ধ কে হত্যা করতে মনোস্থির করলো ,পরে দেখলাম রুমে প্রবেশ করার সময় দু'জন । আরেক জন কে ! চরিত্রটি প্রথমে যদিও একমাত্র চোখে আঘাত করার কথা বললো তারপর দেখলাম হৃদপিন্ডে আঘাত করতে !
শেষ দিকে মানসিক সমস্যায় হয়েছিল মনে হচ্ছে ।
বুঝলাম আমি কি :P ভয় পাইনি :)
কাওসার ভাইয়া অনেক শুভকামনা । কষ্ট সার্থক হোক । প্রথম কমেন্ট করতে পারি নি । একজন করে ফেলছে কিন্তু প্রথম লাইকার হতে পেরে ভাল লাগছে B-)

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৭

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ, প্রিয় রাকু হাসান ভাই৷গল্পটি প্রথম পুরুষে লেখা হলেও লেখক বর্ণনাকারী খুনি কিংবা খুন হওয়া বৃদ্ধ লোকটার বিষয়ে কিছুই বলেন নাই৷উভয়ের মধ্যে কি সম্পর্ক তাও আমরা জানি না৷তাদের জেন্ডার বিষয়েও কোন কিছু বলা নেই৷এগুলো গল্পটাকে আরো রহস্যময় করে তুলেছে৷তবে খুনি একজনই৷প্রথম সাতটা রাত অনেক চেষ্টায় খুণ করতে না পেরে অষ্টম রাতে সে সফল হয়৷তবে, আমার মনে হয়েছে খুনি প্রথম থেকেই মানসিক বিকারগ্রস্থ ছিল; তবে খুন করার পর সে সুস্থ হয়ে উঠতে শুরু করে৷গল্পের শেষ পার্টে তার অস্থিরতা অতিরিক্ত রকম বেড়ে যায়; আর সব শেষে সে খুনের কথা পুলিশকে জানিয়ে দেয়৷তবে, লেখকের মনে কি ছিল কে জানে?

প্রথম লাইক যে আপনি দিয়েছেন তা দেখেছি; এজন্য অনেক কৃতজ্ঞতা আপনার প্রতি৷আপনি খুব ভাল লেখেন৷বেশ মান সম্পন্ন লেখা আপনার৷শুভ কামনা রইলো প্রিয় ভাইয়ের জন্য ৷

৭| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০১

সনেট কবি বলেছেন: অনুবাদ ভালো হয়েছে।

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:০৩

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রিয় সনেট কবিকে; আপনার মতো গুণী মানুষের কমেন্ট আমাকে অনুপ্রাণিত করে; আরো ভাল লেখতে উৎসাহ যোগায়৷শুভ কামনা রইলো আপনার জন্য ৷

৮| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৯

বলেছেন: সময় করে পরবো
আগে বলুন লেখার এত সময় কেমনে পান ?

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:১১

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



প্রিয় @ রহমান লতিফ ভাই; শুভেচ্ছা রইলো৷গল্পটি সময় নিয়ে পড়বেন জেনে খুশি হলাম; তবে গল্পটি ছোট আছে এজন্য পড়তে সহজ হবে৷আর আমার লেখালেখি? ক্লাস সিক্স থেকে ইন্টার পর্যন্ত কবিতা লেখতাম; এগুলো কতটুকু ভাল বা মন্দ হয়েছিল জানি না৷এগুলো হারিয়ে ফেলেছি৷মাঝে মাঝে বিভিন্ন বিষয়ের উপরে পত্রিকায় লেখাও পাঠাতাম৷কিন্তু মাঝের এক যুগ আর লেখা হয়নি; আবার লেখব তা অনেকটা ভাবনার অতীত ছিল৷বাংলা ভাষা ও সাহিত্য থেকে অনেক দূরে চলে গিয়েছিলাম ৷

তবে সময় সুযোগে প্রচুর বই পড়তাম; ডকুমেন্টারি দেখতাম৷দেশে আসার পর কিছু বিষয় নিয়ে টুকটাক লেখার চেষ্টা শুরু করি৷কিন্তু ব্লগে লিখবো কিংবা বই বের করবো এমন ভাবনা কখনো মনে আসে নাই৷শুরুতেই পড়লাম মহা ঝামেলায়৷প্রচুর বানান ভুল হত (এখনো হয়); শব্দ চয়ন আর বাক্য গঠন ঠিকঠাক হত না৷তবে এগুলো ঠিকঠাক করতে চেষ্টা চালিয়ে যেতে লাগলাম৷এ যাত্রা এখনো চলছে ৷

আর লেখালেখিতে সময় বের করা, লেখা নিয়ে ভাবনা, বিষয় নির্বাচন করা ইত্যাদিতে অনেক সময় লাগে৷আমি শিক্ষকতা করি বিধায় কষ্ট হলেও ম্যানেজ করে নেই৷বাকি যে সময়টা পাই তা লেখালেখিতে দেওয়ার চেষ্টা করি; পছন্দের বিষয়গুলো নিয়ে পড়াশুনা করি৷আসলে শখ থেকেই এখন লিখি; এটা এখন আমার ভালবাসা আর বিনোদনের প্রধান মাধ্যম৷আমি টিভি/সিনেমা দেখি না৷আশীর্বাদ করবেন যাতে সাহিত্যের প্রতি এ টান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকে ৷

শুভ রাত্রি, ভাইজান ৷

৯| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২০

সোনালী ঈগল২৭৪ বলেছেন: বাহ বেশ ভালো অনুবাদ হয়েছে তো

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:১৪

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ, প্রিয় @ সোনালী ঈগল২৭৪ ভাই; গল্পটি পড়ে আপনার ভাল লেগেছে জেনে খুশি হলাম; এডগার এলান পোর রহস্যময় লেখাগুলো পাঠক মনে ভাবনার খোরাক যোগায়৷শুভ কামনা রইলো ভাই ৷

১০| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৮

ইসমাঈল আযহার বলেছেন: ভালোই লেগেছে গল্পটা।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:২৪

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



গল্পটি পড়ে আপনার ভাল লেগেছে জেনে প্রীত হলাম; গল্পটি বিশ্ব সাহিত্যের এক বিরাট সম্পদ৷মাত্র ৪০ বছর বয়সে মারা না গেলে বিশ্ব সাহিত্যের জন্য তিনি কালজয়ী আরো অনেক গল্প লেখতেন ৷

১১| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় গুরুদেব,

বরাবরের ন্যায় ভীষণ সুন্দর অনুবাদ কাজ হয়েছে। পড়ে মনে হচ্ছিলনা যে এটা আপনার লেখা কোনও ছোটো গল্প নয়। আপনার অনুবাদ গুনে এক নিশ্বাসে পড়ে ফেললাম । তবে দক্ষ পুলিশ অফিসার যে ভাবে সরলতার মাধ্যমে অপরাধীকে শনাক্ত করে, একেবারে শেষে চমকটা অসাধারণ লাগলো।


অনিঃশেষ শুভকামনা ও বিমুগ্ধ ভালোবাসা গুরুদেবকে।


১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৩০

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



গুরু,.........
বরাবরের মত খুব সুন্দর আর বাস্তব সম্মত কমেন্ট; এজন্য প্রিয় ভাইকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা৷আপনার সুন্দর কমেন্টগুলো আমাকে প্রেরণা যোগায়৷আমি অনুবাদে খুব কাঁচা; সবে হাত দিয়েছি৷এজন্য কিছু দূর্বলতা থাকবে৷তবে আমি সব সময় চেষ্টা করি ভুলের পরিমাণটা কমিয়ে আনতে৷অনুবাদটি গুরুর পছন্দ হয়েছে জেনে খুশি হলাম৷শুভ কামনা রইলো ভাই ৷

১২| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৩

সূর্যালোক । বলেছেন: অনুবাদক বোধহয় গল্পটি অনুবাদের পাশাপাশি মোটামুটি ভাবানুবাদের আশ্রয় নিয়েছেন ! গল্পটি খুব বিখ্যাত ।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৪১

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ প্রিয় @ সূর্যালোক ভাই। আসলে সাহিত্যের অনুবাদে প্রয়োজনে ভাবানুবাদের আশ্রয় নিতে হয়৷কারণ, একেক ভাষার প্রকাশ ভঙ্গি একেক রকম৷বিষয়টি আরেকটু পরিষ্কার করি, হয়তো ছোট্ট একটা বিদেশি শব্দে/বাক্যে লেখক এমন কোন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের ইঙ্গিত করেছেন যার শাব্দিক অর্থ সরাসরি বসালে লেখার মূল থিম নষ্ট হয়ে যাবে অথবা লেখকের ভাবনা পাঠকের কাছে পরিষ্কার হবে না৷আর বিষয়টি পাঠকের কাছে পরিষ্কার না হলে লেখাটি স্বকীয়তা হারাবে৷এজন্য অনুবাদের সময় শাব্দিক অর্থের পাশাপাশি ভাবানুবাদের দিকে খেয়াল রাখতে হয়৷এজন্য ভাষাগত ভাল দক্ষতা না তাকলে অনুবাদ করা সম্ভব নয়৷এটা খুব কঠিন একটা কর্ম ৷

১৩| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৩

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: যাক্, আজকের অনুবাদটা ছোট হওয়ায় এক নিশ্বাসে পড়ে ফেললাম। অনুবাদ ভালো হচ্ছে, চালিয়ে যান..... :)

মজার ব্যাপার হল, গল্পটা আমি আগেও কোথায় পড়েছি।
গল্পের খুনি কিছুটা সাইকো।

রাকুর প্রশ্নটা আমার মনেও আসছে।

অনুবাদে আমার অবস্থা লেজেগোবরে। পাঁচ লাইন অনুবাদ করতে চোখের পানি, নাকের পানি আর কলমের কালিতে একাকার। :(
(আমাকে গুরু ডাকা নিষেধ। পাঠক, নিজু, হিরো, জিরো, লুল যা খুশি ডাকতে পারেন।)

রাতে কথা হবে..

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৫৩

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



জানেমন,.............
কি বলে যে কমেন্টের প্রতি উত্তর শুরু করবো বুঝতেছি না :)!! তবে আজকে আমার পিচ্চি লেখাটি পড়েছেন এজন্য অসংখ্য মোবারকবাদ হিরোকে :) থুক্কু সামুর হিরো আলমকে!! রাকু ভাইয়ের কুয়েশ্চনে উত্তরটা যথাস্থানে দেওয়া হয়েছে লুল!! অনুবাদ করতে অনেক ধৈর্য্য আর সময় লাগে৷আপনিও পারবেন নিশ্চিত; চেষ্টা করলেই হবে ৷

১৪| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:০৮

রাকু হাসান বলেছেন:

খুব সুন্দর প্রতি উত্তর । আমি যদি সামুর নীতি নির্ধারক পর্যায়ে থাকতাম তাহলে বেশ কিছু পুরষ্কারের ব্যবস্থা করতাম মাসিক হিসাবে । :) একটি পুরষ্কার রাখতাম সেরা মন্তব্য ও প্রতি উত্তরকারী !:#P । আর সেই পুরষ্কার টা আপনি বারবার ই পেতেন । মনে করেন ভাইয়া পুরষ্কৃত করেছি =p~
আপনার উত্তরের মত আমারও তাই মনে হয়েছে । আগের মন্তবব্যে যোগ করতে চেয়েছিলাম ।সব শেষে সে খুনের কথা পুলিশকে জানিয়ে দেয়৷তবে, লেখকের মনে কি ছিল কে জানে? -এই রকম ই । কিন্তু এত বিখ্যাত লেখকের গল্প কে এভাবে বলা সাহসে ধরে নি । অবশ্য এতটুক বলা খারাপ ও কিছু মনে হয় না ,এতটা ।

মন্তব্যের শেষ অংশে যা বললেন 8-| । যদি তা হয় তাহলে সামুতে আছি অনকে দিন টানা । সাহস,উৎসাহ ,প্রেরণা পেয়ে আসছি । এখনও পাচ্ছি । তাই অনলাইনে অন্য কোনো কাজে পড়ে থাকলেও মনটা আপনাদের কাছেই থাকে । আমার মনে হয় আমার একটা ব্রেক নেওয়া দরকার ,নিজেকে তৈরী করা দরকার |-)

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১:০৬

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



রাকু ভাই; কি যে বলেন আপনি!! আমি লেখাগুলো যেমন মনযোগ দিয়ে লিখি; কমেন্ট ও কমেন্টের উত্তরগুলোও যত্ন করে দেওয়ার চেষ্টা করি৷যিনি কষ্ট করে আমার লেখাটি পড়েছেন এবং কমেন্ট করে নিজের মতামত জানিয়েছেন উনার প্রতি কৃতজ্ঞতা আর রেসপেক্ট রাখতে হয়৷একজন লেখক হিসেবে এটা আমার দায়বদ্ধতা৷নিজে নিজে লেখক হওয়া যায় না; ব্যবহার আর লেখার গুণে পাঠকের মনে নিজের আসন করে নিতে হয়৷পাঠককে রেসপেক্ট জানাতে হয়৷পাঠকের মতামত ও ভাবনা জেনে নিতে হয় ৷

আর গল্পের চরিত্রগুলো খুব রহস্যময়; লেখক নিজের জীবদ্দশায় তিনবার গল্পটি এডিট করেছেন৷আরো কয়েক বছর বেঁচে থাকলে হয়তো উনার মতামত জানা যেত৷আমরা যা বলবো তা স্রেফ অনুমান মাত্র৷পড়াশুনার পাশাপাশি আপনি লিখুন৷সাহিত্যের প্রতি আপনার আগ্রহ আর বিষয়ের গভীরতা আছে৷শুভ কামনা রইলো প্রিয় রাকু হাসান ভাইয়ের জন্য ৷

১৫| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৪৮

ঢাকার লোক বলেছেন: বরাবরের ন্যায় খুবই সুন্দর অনুবাদ হয়েছে। খুন করার আগে যেমনি হোক পরে অনেকেরই মাঝে একটা অপরাধবোধ সম্ভবত কাজ করে, তারই প্রতিক্রিয়ায় হয়তো বা ধরা দেয়ার মতো কিছু একটা করে ধরা পড়ে !

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ২:১২

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ প্রিয় ভাইকে; আপনি বলেছেন, "খুন করার আগে যেমনি হোক পরে অনেকেরই মাঝে একটা অপরাধবোধ সম্ভবত কাজ করে, তারই প্রতিক্রিয়ায় হয়তো বা ধরা দেয়ার মতো কিছু একটা করে ধরা পড়ে ! " ...... বাহ!! আপনার ভাবনার সাথে আমার ভাবনাটি মিলে গেছে৷আমারও মনে হয় বিষয়টি এমন হতে পারে৷তবে ভিন্ন মত থাকাও স্বাভাবিক ৷

১৬| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৫৫

ঢাবিয়ান বলেছেন: আগে পড়া হয়নি গল্পটা।একটা সময় সেবা প্রকাসনী থেকে বের হওয়া এই লেখকের প্রচুর অনুবাদ পড়েছিলাম ।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ২:১৭

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ, প্রিয় ভাই; আমি সাধারণত বিদেশি সাহিত্যের মূল বই অথবা ইংরেজি অনুবাদটি পড়ি৷তবে বাংলায় অনুবাদ বই তেমন একটা পড়া হয়নি৷আমি মনে করি, বিদেশি ভাল সাহিত্য আমাদের বেশি বেশি পড়া দরকার; যাদের ভাষাগত সীমাবদ্ধতা আছে তাদের জন্য মান সম্মত অনুবাদ বই থাকলে সুবিধা হয়৷ভাল থাকবেন ভাই ৷

১৭| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:১৪

আরোগ্য বলেছেন: হ্যাঁ, অনার্স ১ম বর্ষে পড়েছিলাম। গল্পের মূল চরিত্রটি আসলে সাইকো, পাগল বলা যায় না। এরা আশপাশের মানুষদের অতীষ্ঠ করে তোলে অথচ এদের চিকিৎসা নেই।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ২:২২

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



আবারো কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে৷হ্যা, মূল চরিত্রটি সাইকো হতে পারে৷এ সম্ভাবনা সবচেয়ে জোরালো৷তবে, গল্পকার কৌশলে প্রধান দুই চরিত্রের কোন বিষয়ই খোলাসা করেন নাই!! এমনকি নামটি পর্যন্ত আমরা জানি না!!! এটাই এলান পোর গল্পগুলোকে এত বিখ্যাত করেছে ৷

১৮| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৩৬

করুণাধারা বলেছেন: আপনার মাধ্যমে ব্লগে বসে বিখ্যাত ইংরেজ সাহিত্যিকদের রচনার সাথে পরিচিত হতে পারছি, অসংখ্য ধন্যবাদ সেজন্য।

এই গল্পটা রুদ্ধশ্বাসে পড়লাম। শেষ দিকে এসে মনে হচ্ছিল, খুনি সিজোফ্রেনিয়াক, কারণ সে শব্দ শুনতে পাচ্ছিল। সিজোফ্রেনিয়াকরা এভাবে অদৃশ্য কণ্ঠের নির্দেশে খুন করতে পারে, এমনকি মা হয়ে নিজের সন্তানকে পর্যন্ত।

আপনার অনুবাদ খুবই সাবলীল, আপনি ইংরেজি সাহিত্যের বিখ্যাত অনেক গল্প নিয়ে অনুবাদ করতে পারবেন অনায়াসে।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ২:৩৫

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



আপু, খুব ভাল একটি মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে৷আসলে আমি লেখক গোছের কেউ না, একটু চেষ্টা করি মাত্র ৷যে গল্পটি পড়ে ভাল লাগে তা অনুবাদ করার করি৷এডগার এলান পোর গল্প এত আগ্রহ নিয়ে পড়ার মূল কারণ হলো; মাত্র ৪০ বছরের জীবনে কিভাবে বিশ্ব সাহিত্যে এত সম্মানজনক অবস্থান করলেন তিনি৷একজন সাহিত্যিকের সৃজনশীল মানসিকতা সৃষ্টি হয় ৪০+ বয়সে৷আর পরিপক্বতা পেতে ৫০+ লাগে৷কিন্তু তিনি ছিলেন বিরল প্রতিভার একজন সাহিত্য সেবক, সাহিত্য সমালোচক এবং সাহিত্যে নতুন ধারার উদ্ভাবক ৷

আসলে গল্পের শেষ অংশে আপনার মত আমিও কনফিউজড!! আপনি বলেছেন, "শেষ দিকে এসে মনে হচ্ছিল, খুনি সিজোফ্রেনিয়াক, কারণ সে শব্দ শুনতে পাচ্ছিল। সিজো ফ্রেনিয়াকরা এভাবে অদৃশ্য কণ্ঠের নির্দেশে খুন করতে পারে, এমনকি মা হয়ে নিজের সন্তানকে পর্যন্ত।" আপনার বক্তব্যে জোরালো যুক্তি আছে৷আমি 'সিজোফ্রেনিয়াক' রোগীদের নিয়ে পড়াশোনা করবো ৷

আপু, আশীর্বাদ করবেন যাতে লেখার মান উন্নত করতে পারি৷শুভ কামনা আপনার জন্য ৷

১৯| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:০১

ঋতো আহমেদ বলেছেন: বাহ, চমৎকার ! দারুন অনুবাদ। ইংরেজিটা পরেছিলাম। অনেক আগে। তখন তেমন বুঝে উঠিনি। আপনার অনুবাদ ঝরঝরে ও স্পষ্ট। ছবিগুলো অদ্ভুত ও ভয়ংকর। +++

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ২:৪৩

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা রইলো @ ঋতো আহমেদ ভাই; আপনি গল্পটি আগে পড়েছেন জেনে খুশি হলাম৷আবারো অনুবাদ গল্পটি মনোযোগ দিয়ে পড়েছেন এজন্য কৃতজ্ঞতা রইলো৷আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি অনুবাদটি টিকটাক মত করতে৷আমি লেখার বিষয়ে সব সময় খুব সিরিয়াস থাকি৷জানি না কতটুকু ভাল পারি; আশীর্বাদ করবেন আমার জন্য ভাই৷আর ছবিগুলো তো আসলেই ভয়ংকর B-))!!

২০| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:২১

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: বড় লেখা দেখলেই এড়িয়ে চলি। ধৈর্য্য ও সময় নেই। তবুও পড়লাম। কারণ এবারের টা একটু ছোট ছিল!

আমার মনে হচ্ছে লোকটা আসলে নিজেই মৃত। কারণ, শেষের দিকে তার কথা কেউ শুনছে না কেন? আমি আরো জোরে কথা বলতে লাগলাম। পুলিশ তখনো শান্ত হয়ে বসে কথা বলছে, এমনকি হাঁসছেও! এটা কি বিশ্বাসযোগ্য যে, তারা কোন শব্দ পাচ্ছে না??
সাধারণত ভৌতিক ও হরর গল্পগুলোতে উত্তম পুরুষ(আপনি লিখেছেন প্রথম পুরুষ) কেই শেষ দৃশ্যে ভিকটিম করা হয়ে থাকে...

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ২:৫৪

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



লেখাটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা রইলো ভাইজান; আপনারা আমার অগ্রজ, গুণী ব্লগার৷আপনাদের দেখেই আমরা লেখার সাহস পাই৷ব্লগের শুরু থেকেই আপনার অনেক সহযোগিতা পেয়েছি৷আমার লেখাগুলো একটু লম্বা হয়৷এজন্য অনেকের জন্য একসাথে পুরোটা পড়া অনেক সময় কঠিন হয়ে উঠে৷বিশেষ করে যাদের ব্যস্থতা বেশি৷আপনি সময় করে এ অনুবাদ গল্পটি পড়েছেন জেনে খুব খুশি হলাম ৷

আপনি খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় পয়েন্ট আউট করেছেন, "আমি আরো জোরে কথা বলতে লাগলাম। পুলিশ তখনো শান্ত হয়ে বসে কথা বলছে, এমনকি হাঁসছেও! এটা কি বিশ্বাসযোগ্য যে, তারা কোন শব্দ পাচ্ছে না?? সাধারণত ভৌতিক ও হরর গল্পগুলোতে উত্তম পুরুষ(আপনি লিখেছেন প্রথম পুরুষ) কেই শেষ দৃশ্যে ভিকটিম করা হয়ে থাকে৷"

আপনি ঠিকই বলেছেন, লোকটি এত জোরে কথা বলছে কিন্তু পুলিশ কেন কিছুই শুনতে পায়নি? এখানে, তো এমনও হতে পারে, পুলিশগুলো আসলে অশরীরী আত্মা!! আর, আসলে 'উত্তম পুরুষ' লেখতে গিয়ে ভুলে 'প্রথম পুরুষ' লিখেছি ৷

২১| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:১৮

রাজীব নুর বলেছেন: প্রথম কথা হলো অনুবাদ ভালো হয়েছে। সুন্দর হয়েছে।

আচ্ছা, এই এডগার এলেন কি সুনোল গঙ্গোপাধ্যের বন্ধু ছিলেন?

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৩০

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা রইলো রাজীব ভাই; অনুবাদ গল্পটি পড়ার জন্য প্রীত হলাম৷এডগার এলান পোর সাথে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের কোন মিল কোন লেখায় পেয়েছেন? আর বন্ধুত্ব!! সুনীলের জন্মের প্রায় ১০০ বছর আগে এলান পো মারা গেছেন৷তবে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় নিশ্চয়ই উনার সাহিত্য পড়েছেন৷তবে দু'জন তো দুই ধারার লেখক৷সুনীল হলেন প্রেমের কবি আর রুমান্টিক উপন্যাসিক৷আর এলান পো লিখতেন হরর, সাইকো আর সাইন্স ফিকশন৷কোনই মিল নেই তাদের লেখা সাহিত্যের বিচারে৷তবে একটা মিল অবশ্যই আছে; দুজনেই বিশ্ব সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করে গেছেন ৷

২২| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৪২

এ.এস বাশার বলেছেন: অনুবাদ অসাধারন হয়েছে এবং মন্তব্যগুলি পড়ে আমার জ্ঞানের পরিধী জানতে পারলাম........

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৩

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



গল্পটি পাঠে এবং মন্তব্যে প্রীত হলাম বাশার ভাই; আর মন্তব্যগুলো পড়ে আপনার উপকার হয়েছে জেনে ভাল লাগলো৷শুভ কামনা রইলো আপনার জন্য৷ভাল থাকবেন সব সময় ৷

২৩| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৫২

জাহিদ হাসান বলেছেন: আপনাকে সাধুবাদ জানাই। আপনার অনুবাদের হাত খুবই চমৎকার। প্রথম কয়েক প্যারা পড়েই কমেন্ট করতে বসলাম। এখন পুরোটা পড়বো।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৮

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



@ জাহিদ হাসান ভাই; শুনে খুশি হলাম৷ধন্যবাদ আপনাকে৷আমি সাধ্যমত চেষ্টা করেছি সঠিকভাবে অনুবাদ করতে, তবে কতটুকু ভাল বলতে পারবো না৷কোন পাঠক যখন পজেটিভ রিভিউ দেন তখন আত্মবিশ্বাস বাড়ে৷আশা করি পুরো গল্পটি পড়বেন, আপনার ভাল লাগবে ৷

২৪| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৪০

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: অনেক লেখক আছেন যাদের লেখা পড়লে মনে হতে পারে “ব্যাটা কি আসলেই মানুষ নাকি অন্য কিছু” এ্যাডগার এ্যালান পো যতো ভৌতিক কাহিনী লিখেছেন পড়ে মনে হতে পারে “সব তার আত্মজীবনী অথবা সে নিজেই হন্টেড ভুত” !!! কারণ গল্প উপন্যাসে তার বলার রুপরেখা তাই বলে !!!

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৫২

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



গুরু...........
'এলান পো' নিয়ে আপনার মত আমারও অনেক কৌতুহল আছে৷উনার গল্প এত আগ্রহ নিয়ে পড়ার মূল কারণ হলো; মাত্র ৪০ বছরের জীবনে কিভাবে বিশ্ব সাহিত্যে এত সম্মানজনক অবস্থান করলেন তিনি? একজন সাহিত্যিকের সৃজনশীল মানসিকতা সৃষ্টি হয় ৪০+ বয়সে৷আর পরিপক্বতা পেতে ৫০+ লাগে৷কিন্তু তিনি ছিলেন বিরল প্রতিভার একজন সাহিত্য সেবক, সাহিত্য সমালোচক এবং সাহিত্যে নতুন ধারার উদ্ভাবক ৷

তবে আমার কেন যেন মনে হয় লেখক ব্যক্তি জীবনে খুব অসুখী ছিলেন; জীবন সম্বন্ধে তার ভাবনা সাধারণ অনেক মানুষের চেয়ে ভিন্ন ছিল৷সম্ভবত এজন্য এলোমেলো ভাবনা মাথায় আসতো৷তিনি গল্প লেখায় কোন নিয়ম নীতির তোয়াক্কা করতেন না; নিজের মত করে চরিত্র গড়তেন৷তবে আরো কয়েক বছর বেঁচে থাকলে হয়তো তার জীবন দর্শন এবং লেখার প্লট ও বিষয় পরিবর্তন আসতো ৷

২৫| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৫১

প্রামানিক বলেছেন: আপনার অনুবাদের হাত খুবই ভালো এ অনুবাদটিও পড়ে খুব ভালো লাগল। ধন্যবাদ আপনাকে

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৭

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



গল্পটি পড়ে মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ প্রিয় কবিকে; আপনাকে ইদানিং ব্লগে কম দেখা যায়৷হয়তো ব্যস্থতা বেড়ে গেছে৷আমি আপনার রম্য কবিতার খুব ভক্ত৷শুভ কামনা রইলো আপনার জন্য৷

২৬| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:০০

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: প্রথম সারির অধিকাংশ লেখক/বৈজ্ঞানিক ব্যক্তি জীবনে খুবই অসুখী, ভয়ংকর অসুখী !
তারা বেঁচে থাকেন তাদের লেখায় তাদের কর্মে - অনেকে আত্মহত্যাও করেছেন, বা কারো কারো আবার দেশদ্রোহী হিসেবে মৃত্যুদন্ড !!!

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:১৯

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ঠিক বলেছেন গুরু,.............
দার্শনিকদের বেলায়ও তাই; এর অসংখ্য কারণ ও খুঁজে পাওয়া গেছে৷অন্যতম কারণ হলো, তারা তাদের আবিষ্কার, দর্শন আর সাহিত্য ভাবনা নিয়ে নিজেদের মধ্যে অন্তরদ্বন্ধে ভোগেন৷আর সাধনা করতে লাগে অনেক সময় আর পরিশ্রম৷ফলে পরিবার থেকে এরা অনেকটা বিচ্ছিহ্ন হয়ে পড়েন; জীবন হয়ে উঠে অগোছালো৷আর ভাবুক মানুষ মানেই বোধসম্পন্ন মানুষ; আর বিবেকবান ও জ্ঞানী মানুষজন কখনো সুখী হতে পারে না৷এরা খুব একাকীত্বে ভোগেন ৷

২৭| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:২৪

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ভালো লাগল অনুবাদ।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:২৮

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ, প্রিয় মফিজ ভাই; এডগার এলান পোর গল্পের সাথে আমার পরিচয় বেশিদিন আগে হয়নি; যখন পড়া শুরু করলাম তখন এক অজানা রহস্যের সন্ধান পেলাম৷লেখকের বিশেষত্ব হলো, চরিত্র ও কাহিনী নিয়ে পাঠকদের সাথে লুকোচুরি খেলা৷অনেক রহস্যে আবৃত থাকে তাঁর লেখাগুলো৷এগুলো পাঠককে ভীষনভাবে নাড়া দেয়, ভাবতে শেখায় ৷

২৮| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৫৫

ব্লগ মাস্টার বলেছেন: পড়লাম বাহ! দারুন অনুবাদ হয়েছে প্রিয় ।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:২৩

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ, প্রিয় ব্লগ মাস্টার ভাই; আশা করি ভাল আছেন৷আপনার লেখা কি এখন প্রথম পাতায় যাচ্ছে? মন খারাপ করবেন না৷আর অনুবাদটি আপনার ভাল লেগেছে জেনে খুশি হলাম৷অনেক শুভ কামনা আপনার জন্য ৷

২৯| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৩

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: অনুবাদ ভাল হলেও গল্পটি কেন যেন ভাল লাগেনি।

এই ভাল না লাগার কারণটাও বুঝতে পারছিনা।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৫

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ প্রিয় মাইদুল ভাই; আসলে এ গল্পের প্রধান চরিত্র (খুনি) লোকটা খুব রহস্যময়৷সে কেন লোকটাকে খুন করল? লোকটার সাথে তার কি সম্পর্ক? নীল চোখটা দেখলে কেন সে ভয় পেত? ঘুমন্ত অবস্থায় কেন তাকে খুন করলো না? চোখে না করে হার্টে আঘাত করে খুন করল কেন? মৃত্যুর পরও হার্টবিট শুনতে পেল কেন? সে বার বার নিজেকে সুস্থ দাবী করছিল কেন? .......

এমন অসংখ্য বিষয় গল্পে স্পষ্ট নয়৷এজন্য গল্পটা অনেক রহস্যময়৷আর এসব খুন খারাপির গল্প পড়তে অনেকেরই ভাল লাগে না৷তবে অনেকে পছন্দ করে৷আমিও এসব গল্প পড়ে অস্বস্তিতে ভোগী; ভাল লাগে না ৷

৩০| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৩

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: হরর গল্প আমার সত্যি দারুণ লাগে, অনেক কৌতূহল নিয়ে পড়ি বা সিনেমা দেখি, আমার কাছে ভালো লাগে।
দারুণ একটা রিভিউ করেছেন, জনপ্রিয় একটা ইংরেজি মুভির বাংলা অনুবাদ করেছেন, অনেক অনেক ভালো লাগা জানবেন।
প্রিয় পাতায় জায়গা করে নিল আপনার অনুবাদ, দি গ্রেট।

শুভকামনা আপনার জন্য সবসময়

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৪০

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



নাঈম ভাই, শুভেচ্ছা রইলো৷গল্পটির অনুবাদ আপনার ভাল লেগেছে জেনে খুশি হলাম; এলান পোর অনেকগুলো বিখ্যাত গল্পের মধ্যে অন্যতম এটি৷এ গল্পে অনেক কিছু পাঠকের অজানা৷অনেক রহস্যময় কিছু চরিত্র আছে৷গল্পটি প্রিয়তে রেখেছেন জেনে ভাল লাগলো ৷

৩১| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:১৯

মেহেদী হাসান হাসিব বলেছেন: সময় নিয়ে পড়বো কাউসার ভাই

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:২০

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ, হাসিব ভাই; সময় নিয়ে গল্পটি পড়লে আপনার ভাল লাগবে আশা করি ৷

৩২| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:৪০

জুন বলেছেন: অনাবদ্য অনুবাদে এলান পোর হৃদয়ের ধুকপুক শব্দগুলো আমার হৃদয়ে গেথে গেল মনে হচ্ছে। এই সব বিশ্বখ্যাত বিদেশী বইগুলো পড়ার সুযোগ ঘটেছিল যখন আমার কাজিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরাজীতে অনার্স ও এম এ করছে । তার হাত ধরেই আমরা সব কাজিনরা এই সব সাহিত্যের স্বাদ গ্রহন করি। তবে সে সব বই ছিল ইংরাজীতে। সেসব অনুধাবনে ছোটখাটো ত্রুটি থাকলেও আপনার লেখায় তা সহজেই পুর্ন হয়ে গেলো জেনো । প্রসংগত আমিও এখানে চার পাচটা বিভিন্ন দেশের শিশুদের উপযোগী উপকথার অনুবাদ করেছিলাম । অনুবাদ সাহিত্য বিশেষ করে রাশিয়ান বইগুলো আজও উল্টপাল্টে দেখি তাদের উচুদরের সাহিত্যর জন্য কাউসার চৌধুরী। শুভেচ্ছা জানবেন সাথে লেখায় রইলো ভালোলাগা।

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৪৯

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



আপু, চমৎকার একটি মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে৷"এলান পো" একজন রহস্যময়ী সাহিত্যিক, সাহিত্য সমালোচক এবং সাহিত্যের নতুন ধারার উদ্ভাবক৷মাত্র ৪০ বছরের জীবনে এ গুনাবলী তিনি অর্জন করেছেন৷তিনি সর্ব প্রথম আমেরিকান সাহিত্যে ছোট গলপের ধারা শুরু করেন৷'সাইন্স ফিকশনের' ধারাটিও তাঁর হাত ধরে গতি পায়৷তিনি আর ৪০ বছর বেশি বাঁচলে আরো কত ধারার সৃষ্টি করতেন কে জানে!! তিনি বিরলতম প্রতিভার এক সাহিত্য লেখক৷অথচ অবাকের বিষয় তিনি কখনো নিজেকে লেখক হিসেবে পরিচয় দিতেন না; মূলত তাঁর লেখাগুলো পত্রিকায় বিক্রি করতেন শুধুমাত্র থাকা, খাওয়ার পয়সা যোগাতে!!!

এদেশে যারা ইংরেজি সাহিত্য নিয়ে পড়াশুনা করেন, তারা ব্যতীত অন্যান্য বিদেশি ভাল মানের সাহিত্য পড়ার সুযোগ খুব সীমিত৷এজন্য প্রধান বাঁধা হলো ভাষাগত সীমাবদ্ধতা আর বইয়ের অপ্রতুলতা৷আর নিম্ন মানের অনুবাদ তো আছেই৷আপনি এজন্য খুব লাকি৷কাজিনের মাধ্যমে এসব লেখকের সাথে পরিচিত হতে পেরেছেন৷আর রাশিয়ান ও ইউক্রেনের সাহিত্যিকদের লেখা ভবিষ্যতে অনুবাদ করার ইচ্ছা আছে৷আমার জন্য আশীর্বাদ করবেন আপু ৷

শুভ রাত্রি ৷

৩৩| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:২০

সূচরিতা সেন বলেছেন: কাওসার দাদু অসাধারন হয়েছে অনুবাদ । আশা করি এক সময় আমাদের কাওসার দাদু অনুবাদে উজ্জল নক্ষত্র হয়ে আলো
ছড়াবেন। শুভকামনা থাকল।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৫৮

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



দিদি, ধন্যবাদ আপনাকে৷আরে কি যে বলেন আপনি? আমি সখে লিখি, বড় মাপের লেখক হওয়ার যোগ্যতা আমার নেই৷আশীর্বাদ করবেন৷দিদির জন্য অনেক শুভ কামনা রইলো ৷

৩৪| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ২:০৭

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: শ্রিহট্ট নামের ইতিহাস কি ? এ্যালপো ভুতের কাহিনি লিখে নিজেও ভুত হয়ে গেছেন, এখন আপনি গুরু নিজ ভূমে নিজ দেশের ইতিহাস লিখেন - এটা আপনি পারেন, এটা আপনার কাজ, কোনো একদিন বলবেন ঠাকুর মাহমুদ ভাই চাঁপ দিতো, “আজ হাতে তরতাজা ইতিহাস নিজের লেখা” !!! আপনার কমেন্টের উত্তর আমার ব্লগে দিয়েছি পড়ে জানান ।

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১:২০

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



গুরু,...........
কোথায় হারিয়ে গেলেন!! গত রাতে আপনার পোস্টে কমেন্ট করার পর থেকে আপনি লাপাত্তা!!! এখন তো ভুত আমি নয়, আমার গুরু!!!! আপনার কি মনে হয় এই কাঁচা হাতে ইতিহাসের মত কঠিন কাজে হাত দেওয়া ঠিক? আমার প্রতি আপনার আস্থা দেখে নিজেকে খুব ভাগ্যবান মনে হচ্ছে৷এ বিষয়ে অবশ্যই ভাবনা চিন্তা করবো৷কিছুদিন আগে আমার পরিচিত একজন লেখক বলেছিলে, "আপনি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস লেখেন৷কারণ, বাংলাদেশে এ পর্যন্ত এ বিষয়ে যতগুলো বই লেখা হয়েছে সেগুলোতে নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গির অভাব আছে৷এসব লেখা পড়ে নতুন প্রজন্ম ভুল ইতিহাস শিখছে৷ এ বিষয়ে লেখা আমার জন্য খুবই দুরূহ কাজ; কারণ, মুক্তিযুদ্ধের অনেক পরে আমার জন্ম৷গুরু আশীর্বাদ করবেন, দেখি সাহস হয় কিনা!!

৩৫| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:২৬

ফারিহা হোসেন প্রভা বলেছেন: লিখাটি পরে গায়ের লোমগুলো দাঁড়িয়ে গেলো!!!

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১:২১

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



হুম, লেখাটি আসলেই লোম খাড়া হওয়ার মত; এলান পোর লেখাগুলো এমনই৷

৩৬| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৩২

কথার ফুলঝুরি! বলেছেন: আমি কখনো ভুতের সিনেমা বা গল্প পড়ে ভয় পাইনা B-) কিছুদিন আগে ব্লগে একের পর এক ভুতের গল্প পোস্ট হয়েছে আমি একটা পড়েও ভয় পাইনি কিন্তু আজ আপনার লেখাটা পড়ে ভয় পেয়ে গেলাম সিরিয়াসলি, ভাইয়া :||

মানুষ খুন, রক্ত, কাটাকাটি আমার কাছে অসম্ভব ভয় লাগে । ইভেন কারও হাতে ছুরি কিংবা অন্য কিছু দেখলে পর্যন্ত ভয় লাগে :||

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১:২৮

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



যাক অবশেষে, আপুনিকে পেলাম; আপনার চমৎকার কমেন্ট পড়ে প্রীত হলাম৷আসলে ভুতের গল্প পড়ে ভয় না পেলে কি হয়? শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের লেখা ভূতের চরিত্রগুলো খুব ভদ্র৷এজন্য সবাই মজা পাওয়ার জন্য এগুলো পড়তো৷আমার এ অনুবাদ গল্পটি খুব রহস্যময়৷লেখক গল্পের মূল বিষয়টি পাঠকের উপর ছেড়ে দিয়েছেন!! মানুষ খুন, রক্ত, কাটাকাটি আমার কাছেও অসম্ভব ভয় লাগে৷আমি তো মুরগী জবাই দেখলেও ভয় পাই ৷শুভ কামনা রইলো আপু ৷

৩৭| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৭

লায়নহার্ট বলেছেন: {আপনি আপনার প্রথম এবং শেষ অনুবাদটি পড়ে দেখুন, তফাতটা আপনিই দেখতে পারবেন। অসাধারণ হচ্ছে....গল্পটি আগেই পড়েছিলাম, তবে আপনার সাবলীল অনুবাদে পড়ে আরো শান্তি পেলাম...নতুন কিছু বলার নেই, শুভকামনা}

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১:৩৩

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



প্রিয় @ লায়নহার্ট ভাই; শুভেচ্ছা রইলো৷চমৎকার এ কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে৷অনুবাদে আমার হাতেখড়ি মাত্র৷এজন্য অনুবাদগুলোতে ধারাবাহিক ভাবে উন্নতি হচ্ছে জেনে খুশি হলাম৷আশা করি আগামী দিনগুলোতে এ ধারা অব্যাহত থাকবে৷আরো ভাল করার চেষ্টা করবো৷এ অনুবাদ গল্পটি আপনার ভাল লেগেছে জেনে প্রীত হলাম৷শুভ কামনা রইলো আপনার জন্য ৷

৩৮| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৫

ফারিহা হোসেন প্রভা বলেছেন: শুভ কামনা রইলো আপনার প্রতি।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৫

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



অনেক শুভ কামনা আপনার প্রতি৷ভাল থাকুন আর নিয়মিত ব্লগে লিখুন ৷(ধন্যবাদ)

৩৯| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১:০৩

শামচুল হক বলেছেন: অনুবাদ অনেক ভালো লাগল।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৬

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ শামচুল হক ভাই; শুভ কামনা রইলো আপনার প্রতি ৷

৪০| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১০

নীলপরি বলেছেন: বাহ , এটাও ভীষণ ভালো লাগলো । ++

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৫৭

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



দিদি, কেমন আছেন? আশা করি ভাল আছেন ৷অনুবাদদ গল্পটি পড়ে আপনার ভাল লেগেছে জেনে খুশি হলাম৷আশীর্বাদ করবেন আমার জন্য৷শুভ কামনা রইলো দিদি ৷

৪১| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:১৭

বলেছেন: ধন্যবাদ নিবেন ভাই,
আজ ছুটির দিনে কয়েকজনের লেখা পড়লাম,
আপনার অনুবাদ সাবলীল।
আর একটা বিশেষ কথা বলতে চাই
আপনার প্রতিটি প্রতি উওর খুব নিবিড় ভাবে পড়লাম
আপনি খুব যুক্তি ও ধৈর্য্যের সহিত প্রদান করেন তাতে আপনা বিনয়ী ভাব টা প্রকাশ পায়।
যতদুর মনে পড়ে কেউ এককন বলেছিল আপনি কিছুটা অহংকারী কিন্ত আমার মনে হয় আপনি খুব বিনয়ী লোক তা প্রমান করার দরকার নেই আপনার প্রতি মন্তব্য বলে দেয় আপনি কেমন ্

ভালবাসা নিবেন সুরমা, কুশিয়ারার মতো শান্ত শিষ্ট সিলেটের কিংবদন্তি।

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৪৪

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:




প্রিয় 'রহমান লতিফ' ভাই শুভেচ্ছা রইলো৷ধৈর্য ধরে অনুবাদ গল্পটি পড়েছেন জেনে খুশি হলাম৷আর চমৎকার একটি মন্তব্যের জন্য কৃতজ্ঞতা রইলো৷আমার পোস্টে যেসব সম্মানিত ব্লগার/লেখক কমেন্ট করেন উনাদের কমেন্টের প্রতি উত্তর আমি সময় নিয়ে, যুক্তি দিয়ে, ধৈর্য ধরে দেওয়ার চেষ্টা করি৷কারণ, যারা আমার পোস্টে কমেন্ট করে মূল্যবান মতামত দিয়ে থাকেন উনারা সবাই স্ব স্ব কর্মে সম্মানিত৷এজন্য আমার ব্লগ বাড়িতে আসলে আমার দায়িত্ব হলো উনাদের উপযুক্ত সম্মান প্রদান করা৷আমি তা-ই করার চেষ্টা করি মাত্র ৷

আর 'অহংকারী' শব্দটি আমার ব্যক্তি জীবনেও শুনি অনেক সময়৷তার অন্যতম কারণ হলো, আমি খুব নিরিবিলি স্বভাবের৷এজন্য বন্ধুদের সাথে আড্ডা মারা, নিজেকে শো আপ করা, লোক দেখিয়ে কিছু করা, কারো চাটুকারিতা করা, নেতা/মিনিস্টারের সাথে সেলফি তোলে ফেইসবুকে শেয়ার করা ইত্যাদি আমার নীতি বিরুদ্ধ৷এজন্য আমার 'আত্মমর্যাদাবোধকে' ভুলবশত কেউ কেউ 'অহংকার' মনে করতে পারেন৷তবে, যারা আমার সাথে ঘনিষ্টভাবে মিশেছেন উনারা জানেন আমি কতটুকু সাধারন একজন মানুষ ৷

শুভ রাত্রি, লতিফ ভাই ৷

৪২| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ২:২৪

রাকু হাসান বলেছেন: ব্লগটা যেন জিমিয়ে গেল । নতুন পোস্ট কবে পাব ....

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ভোর ৫:০৯

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



কেমন আছেন, রাকু হাসান ভাই? একটু ব্যস্থতার কারণে ব্লগে উপস্থিতি কম। আপনার লাস্ট পোস্টে একটা বড় মন্তব্য করার ইচ্ছে ছিল, কিন্তু হাতে সময় না থাকায় ছোট্ট একটি কমেন্ট করেছি। আপনার লেখার মান এবং চিন্তা চেতনা বেশ পরিপক্ব। ব্লগের প্রতি আপনার টান সীমাহীন। আপনার এ গুণগুলো আমাকে মুগ্ধ করে। আপনি লিখে যান; সামু হলো একজন পাঠকের লেখক হওয়ার সবচেয়ে উপযুক্ত প্লাটফর্ম। আমাদেরকে এ সুযোগ কাজে লাগানো উচিৎ।

আমি এজন্য ব্লগে 'চানাচুর' টাইপের কোন পোস্ট লিখি না। চেষ্টা থাকে নিজের পরিশ্রমের লেখাটির স্থায়িত্ব যেন দীর্ঘ হয়। এজন্য গুণী ব্লগারদের লেখা পড়ে, তাদের কমেন্ট দেখে প্রতিনিয়ত শেখার চেষ্টা করি। আশা করি, ২-১ দিন পর নতুন লেখা পোস্ট করবো। তবে, সময় করে প্রতিদিন পোস্ট হওয়া লেখাগুলো পড়ার চেষ্টা করি। সবাই চেষ্টা করেন ভাল মানের লেখা পোস্ট করতে কিন্তু তারপরও কিছু কথা থেকে যায়!! আর ব্লগ ঝিমিয়ে পড়বে কেন? ব্লগে অনেক গুণী ব্লগারের লেখা প্রতিদিন পোস্ট হচ্ছে। আমি তো নতুন একজন শিক্ষানবিস মাত্র। বয়স সবে পাঁচ মাস চলছে।

শুভ কামনা রইলো, প্রিয় রাকু হাসান ভাইয়ের জন্য। শুভ সকাল।

৪৩| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ভোর ৫:২১

রাকু হাসান বলেছেন: শুভ ভোর ভাইয়া ,
আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি । আপনি কেমন আছেন ?
সামু হলো একজন পাঠকের লেখক হওয়ার সবচেয়ে উপযুক্ত প্লাটফর্ম। আমাদেরকে এ সুযোগ কাজে লাগানো উচিৎ।----ঠিক বলেছেন । সেই সুযোগটা কাজে লাগাতে চাই । শখের বসে যাই করা আর কি । থাকে না কারও এক্সট্রা গুন আমার টাও এমন । কোনো লেখক হতেই হবে এমন না । অামার প্রতি আপনার ইতিবাচক মনোভাব দেখে ভালো লাগছে । চানাচুর টাইপ পোস্ট দিনে ১০টাও দেওয়া যাই । তবু হয়ে যাই আমার কেন জানি । মান সম্মত লেখা লেখতে প্রয়োজনীয় পরামর্শ আশা করছি । হ্যাঁ ব্লগে অনেকে লিখে ,পোস্ট দিচ্ছে । কিন্তু আমার মনে হলো ব্লগটা অন্য রকম ।পাঠক কম কম লাগে । কেন জানি না এমনটা মনে হলো । পাঁচ ৫ হলেও আপনি আমার কাছে খুব পছন্দের একজন ব্লগার । সময় অল্প হলেও আপনার সব কিছুতেই পেশাদারিত্বের ছাপ আছে । যা আমাকে শেখায় ।
মন্তব্যের কথা বলেছেন ..আন্তরিকতা দেখে খুশি হলাম । তবে সমস্যা নেই সুযোগ তো থাকছেই :) । ব্যস্ততা শেষ হোক ।

পরে এসে প্রতি উত্তর দেখে যাব । আমি কিন্তু প্রতি উত্তর সব সময় দেখে যাই ,কোনো কারণে মাঝে মাঝে মন্তব্যে লাইক দেওয়া হয়ে উঠে না আর কি । ভাল থাকবেন । ভালোবাসা থাকলো আমার ।

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ভোর ৫:৩৩

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ, রাকু হাসান ভাই আবারো চমৎকার একটি মন্তব্য করার জন্য। আপনি খেয়াল করলে দেখবেন, ইদানিং ব্লগে ফেইসবুক টাইপের লেখা বেড়ে গেছে। এছাড়া, কেউ কেউ তো দিনে ২-৩ টা পোস্ট করে থাকেন!! কেউ কেউ ৮-৯ বছর থেকে শুধু লিখছেন তো লিখছেন লেখার গুণগত কোন পরিবর্তন নেই!! এছাড়া মানহীন লেখা আছেই। এ বিষয়গুলো আমাকে কষ্ট দেয়ে। কেউ কেউ ব্লগারদের এটেনশন পাওয়ার জন্য দিনের পর দিন 'চানাচুর' কিংবা ব্লগীয় রং তামশার লেখা পোস্ট করছেন প্রতিনিয়ত। কেউ কেউ নিজের ব্যক্তিগত খাওয়া-পরা নিয়ে পোস্ট লিখছেন। এছাড়া নিম্ন মানের ধর্মীয় বা রাজনৈতিক পক্ষপাত মূলক লেখা তো আছেই।

এজন্য ব্লগে নিয়মিত পাঠকরা এখন কম আসেন।

৪৪| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:১৮

সামিয়া বলেছেন: গল্পটি আগেই পড়েছি যদিও, আপনার অনুবাদ আগেরবারের মতই সাবলীল সুন্দর। গল্পের মাঝে সামঞ্জস্যপূর্ণ ছবি এবং গল্প শেষে লেখক পরিচিতি পোস্টটি তে ভিন্ন মাত্রা পেয়েছে। নিঃসন্দেহে বলা যায় ব্লগের সেরা পোস্ট গুলোর একটি। আপনি মূল্যবান ব্লগার। শুভকামনা সবসময়।

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:০০

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



চমৎকার একটি কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা রইলো, আপু। আপনি সামুর একজন পরিশ্রমী ও গুনী ব্লগার। ব্লগে আসার পর থেকে আপনার প্রতিটি লেখা পড়ার চেষ্টা করেছি। আপনার লেখাগুলো পড়ে শেখার এবং জানার ক্ষেত্র আরো বাড়ানোর চেষ্টা করি প্রতিনিয়ত। আমি দীর্ঘদিন থেকে বিদেশী সাহিত্যের একনিষ্ঠ পাঠক হলেও অনুবাদে নবীন। আমার কাঁচা হাতের লেখা অনুবাদ আপনার ভাল লাগে জেনে প্রীত হলান, প্রেরণা পেলাম।

আপু, আমি প্রতিটি লেখা অনেক সময় নিয়ে লিখি। চেষ্টা থাকে ভুলের সংখ্যা সর্বনিম্ন রাখার। আর আমার লেখাগুলো আকারে বড় হওয়ায় বিষয়ের সাথে সামঞ্জস্য রেখে মাঝে মাঝে ছবি পোস্ট করি। এতে পাঠকরা ভিন্ন একটি বিনোদন পান। আর আমি যে লেখকের গল্প অনুবাদ করছি উনার পরিচিতি পাঠকের সামনে তুলে ধরা আমার দায়িত্ব। এসব বিশ্ব বিখ্যাত গুণী লেখকদেরকে আমাদের পাঠকের কাছে পরিচিত করে তুলতে পারছি এটা আমার জন্য অনেক বড় সম্মানের।

ভাল থাকুন, আপু। শুভ কামনা রইলো।

৪৫| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:১১

সামিয়া বলেছেন: আপনার চিন্তা চেতনা অনেক উন্নত, দোয়া করি জীবনে অনেক বড় হউন আপনি।

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:১৭

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



আশীর্বাদ করবেন, আপু। আপনার লেখা নতুন কবিতায় একটা কমেন্ট করে আসলাম। শুভ কামনা রইলো আপনার জন্য। জীবনের প্রতিটা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন এই দোয়া রইলো।

৪৬| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৪৪

আরজু পনি বলেছেন: চোখ বুলিয়ে গেলাম। অনুবাদের কাজ সমৃদ্ধ হবে নিঃসন্দেহে।
বড় লেখা একটু সময় নিয়ে পড়তে চাই।
পড়ে মতামত জানাবো।

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৫১

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



আজ দিনটি আমার খুব ভাল যাবে। আমার ব্লগে আপনাকে পেয়ে ভীষণ ভাল লাগছে আপু। সময় করে অনুবাদ গল্পটি পড়লে আপনার ভাল লাগবে আশা করি। আপনার প্রো পিকটা খুব সুন্দর "দারুন একটা মেসেজ আছে এতে"; এজন্য ব্লগে আপনাকে নিয়মিত লেখতে হবে। গুণীদের "হোপলেপস" হতে নেই। এতে সমাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

শুভ সকাল।

৪৭| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১:০৯

এস এম মামুন অর রশীদ বলেছেন: যেসব গল্প-উপন্যাসে অনির্ভরযোগ্য বর্ণনাকারী কেন্দ্রীয় চরিত্র হিসেবে থাকে, সেগুলোর আমেজ আসলেই অন্যরকম।
অনুবাদ গল্পগ্রন্থ ছাপিয়ে ফেলুন।

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ২:১৫

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



মামুন ভাই, ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা রইলো আবার কমেন্ট করার জন্য। আপনি ঠিকই বলেছে, "যেসব গল্প-উপন্যাসে অনির্ভরযোগ্য বর্ণনাকারী কেন্দ্রীয় চরিত্র হিসেবে থাকে, সেগুলোর আমেজ আসলেই অন্যরকম।" সহমত আপনার সাথে। 'এলান পো' লেখক হিসেবে এত পরিচিতি পাওয়ার পেছেন আছে তার এসব রহস্যময় চরিত্রের বিচরণ। তিনি পাঠককে ভাবতে বাধ্য করে গল্পের বিষয় বস্তু আর পটভূমি নিয়ে।

আর অনুবাদ গল্পের বই!! সাহসে কুলায় না। দেখি সামনের দিনগুলোতে সাহস সঞ্চয় করতে পারি কিনা। আপনি তো অনেক দক্ষ একজন অনুবাদক। আশীর্বাদ করবেন আমার জন্য।

শুভ রাত্রি।

৪৮| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:০২

আরজু পনি বলেছেন: অনুবাদ পড়তে ভালো লেগেছে। সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ ছবি আর বোনাস হিসেবে মূল লেখকের ব্যাপারে অনেক তথ্য দিয়েছেন।
সবমিলিয়ে বেশ সমৃদ্ধ এবং পরিশ্রমী একটা পোস্ট।
অনেক শুভকামনা রইলো।

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৩৪

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
শুভ সকাল আপা; অনুবাদ গল্পটি পড়ে আবারো সুচিন্তিত মতামত জানিয়ে কমেন্ট করার জন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা রইলো। আমি মূলতঃ গল্প ও প্রবন্ধ লিখি। অনুবাদে হাতেখড়ি মাত্র। তবুও গুণীজনেরা যখন এ প্রচেষ্টাকে ইতিবাচক হিসেবে দেখেন, উৎসাহ দেন তখন তা সত্যি আমাকে প্রেরণা জোগায়। অনুরোধ করবো, সময় সুযোগে ব্লগে আবারো লেখালেখি শুরু করুন। (ধন্যবাদ)

৪৯| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৫২

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: চমৎকার একটা গল্প পড়লাম। ধন্যবাদ আপনাকে।

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৩৮

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



অনুবাদ গল্পটি পড়ে মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে। শুভ কামনা আপনার জন্য।

৫০| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৪৯

আবু মুহাম্মদ বলেছেন: অদ্ভুত একটি কাহিনী।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:০৪

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



হুম, আসলেই অদ্ভুত কাহিনী। এলান পোর গল্প মানেই রহস্য আর রহস্য।

৫১| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৯:০৬

সুমন কর বলেছেন: গল্প-অনুবাদ, লেখক পরিচিতি ও শেষের ছবি মিলিয়ে দারুণ পোস্ট। +।


* প্রতি পোস্টের শেষে চাইলে পড়তে পারেন, দেবার কি দরকার আছে? তাও আবার এতোগুলো !! এটা শুধু আমার ব্যক্তিগত মতামত। কিছু মনে করবেন না।

০২ রা অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১০:৫১

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



দাদা, ধন্যবাদ আপনাকে। মূল্যবান কমেন্ট দিয়ে আমাকে সহযোগিতা করার জন্য। আর অনুবাদ গল্পটি পড়ে আপনার ভাল লেগেছে জেনে খুশি হলাম। আর নীচে আমার অন্য লেখার লিঙ্ক শেয়ার করি মূলত, আমার ব্লগে যারা প্রথম আসবেন উনাদের জন্য। এতে চাইলে উনারা অল্প সময়ে এই লেখাগুলো থেকে এক বা একাধিক লেখা সিলেক্ট করে পড়তে পারেন।

শুভ রাত্রি, দাদা।

৫২| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:২৭

নীলপরি বলেছেন: কাল একবার এসেছিলাম । আজও পড়লাম । খুব ভালো অনুবাদ করেছেন । ++++

শুভকামনা

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:৪৮

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ দিদি। অনুবাদ গল্পটি আপনার ভাল লেগেছে জেনে খুশি হলাম।

৫৩| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৯

জুনাইদ-বিন-কায়েস বলেছেন: গল্পটি অনার্স চলাকালীন পড়েছিলাম ইংরেজিতে, অনুবাদ পড়ে তাই বেশ ভালো লাগলো! ভাবটা ধরেছেন যথার্থ।

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:২৬

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ, জুনাইদ ভাই। গল্পটি আগেও পড়েছিলেন জেনে ভাল লাগলো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.